সম্পাদকীয়
নীলফামারীর সৈয়দপুরে চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়া হলে তা আজমির নামে এক শিশুর চোখে এসে লাগে। চোখটি বাঁচানো যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে খোদ চিকিৎসকদের। সুলভ এবং নিরাপদ বাহন হিসেবে ট্রেনে চড়ে মানুষ। সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’ ছবিতে ট্রেন দেখার জন্য কাশবন পেরিয়ে অপু আর দুর্গার সেই ছুটে চলার দৃশ্য কি ভোলা যায়?
অপু বা দুর্গার মনে একবারের জন্যও ট্রেনের দিকে পাথর ছুড়ে মারার ভাবনা আসেনি। ধাবমান যন্ত্রযানটি দেখার প্রতিই ছিল ওদের আগ্রহ। ট্রেনের দিকে পাথর ছুড়ে মারার অভ্যাসটা কেন হলো, সেটাই বিস্ময়ের বিষয়। এটা যে অনেকের কাছে একটি আনন্দময় খেলা, সেটা বুঝতে অসুবিধা হয় না। জানালা খোলা কি বন্ধ, সেটা ভাববার বিষয় নয়। জানালা খোলা থাকলে ছুড়ে মারা পাথরটা সরাসরি খুঁজে পায় শিকারকে, আর জানালা বন্ধ থাকলে জানালার কাচ ভেঙে সে কাচের টুকরো দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করতে পারে যাত্রীকে, আর ভাগ্য আরও খারাপ হলে কাচের টুকরোর সঙ্গে পাথরটাও এসে লাগতে পারে শরীরে।
অর্থাৎ সবচেয়ে নিরাপদ ও আরামদায়ক এই ভ্রমণটি যেকোনো মুহূর্তে যে কারও জন্য হয়ে উঠতে পারে বিপজ্জনক। যেমনটা হয়েছে ডোমারের আমবাড়ি গ্রামের হ্যাচারি ব্যবসায়ী মারুফ ইসলামের ছেলে আজমিরের ক্ষেত্রে।
ইট বা পাথর ছুড়ে মারার ফলে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। চট্টগ্রাম থেকে আসা তূর্ণা নিশীথার যাত্রী প্রীতি দাশের ঘটনাটা বলাই যায়। সেটা ছিল ২০১৩ সালের ১০ আগস্টের ঘটনা। অন্য অনেকের মতোই জানালার ধারের আসনটিতে নিজেকে নিরাপদ ভেবেছিলেন প্রীতি। জানালা থেকে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখা যায়, সে জন্যই নিশ্চয় বসেছিলেন সে আসনে। ট্রেনটি ভাটিয়ারির ভাঙা ব্রিজ এলাকায় আসার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় পাথর বৃষ্টি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই একটি পাথর এসে লাগে প্রীতির মাথায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ট্রেনের দিকে পাথর ছুড়েছিল যারা, তাদের কেউ কি দেখেছিল সেই মৃত্যু সংবাদ? দেখে থাকলে তাদের মনে কি কোনো অনুশোচনা এসেছিল? সেটা জানা না গেলেও দেশজুড়ে পাথর ছুড়ে ট্রেনের জানালা-দরজা ভাঙার ঘটনা যে ঘটেই চলেছে, সেটা মিথ্যে নয়। ওই ঘটনার পাঁচ বছর পর রেলওয়ে পরিদর্শক বায়েজিদ শিকদারও খুলনায় যাওয়ার পথে দৌলতপুর স্টেশন এলাকায় পাথরের আঘাতে নিহত হন। আর পঙ্গু হওয়ার ঘটনা তো ঘটছেই।
মূলত শিশু-কিশোরেরাই এ ধরনের আক্রমণ চালায়। চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড। রেলযাত্রীর মৃত্যু প্রমাণিত হলে অপরাধীর ফাঁসিরও বিধান আছে। কিন্তু সে শাস্তি দিতে হলে তো পাথর নিক্ষেপকারীদের শনাক্ত করতে হবে আগে! এ ছাড়া স্থানীয়ভাবে এ ব্যাপারে পাথর ছোড়ার প্রভাব নিয়ে
কথা বলতে হবে, স্কুলেও চালাতে হবে প্রচারণা। সামান্য আনন্দের জন্য যারা ট্রেনে পাথর ছুড়ে মারে, তাদের ব্যাপারে কঠোর হওয়ার বিকল্প নেই।
নীলফামারীর সৈয়দপুরে চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়া হলে তা আজমির নামে এক শিশুর চোখে এসে লাগে। চোখটি বাঁচানো যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে খোদ চিকিৎসকদের। সুলভ এবং নিরাপদ বাহন হিসেবে ট্রেনে চড়ে মানুষ। সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’ ছবিতে ট্রেন দেখার জন্য কাশবন পেরিয়ে অপু আর দুর্গার সেই ছুটে চলার দৃশ্য কি ভোলা যায়?
অপু বা দুর্গার মনে একবারের জন্যও ট্রেনের দিকে পাথর ছুড়ে মারার ভাবনা আসেনি। ধাবমান যন্ত্রযানটি দেখার প্রতিই ছিল ওদের আগ্রহ। ট্রেনের দিকে পাথর ছুড়ে মারার অভ্যাসটা কেন হলো, সেটাই বিস্ময়ের বিষয়। এটা যে অনেকের কাছে একটি আনন্দময় খেলা, সেটা বুঝতে অসুবিধা হয় না। জানালা খোলা কি বন্ধ, সেটা ভাববার বিষয় নয়। জানালা খোলা থাকলে ছুড়ে মারা পাথরটা সরাসরি খুঁজে পায় শিকারকে, আর জানালা বন্ধ থাকলে জানালার কাচ ভেঙে সে কাচের টুকরো দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করতে পারে যাত্রীকে, আর ভাগ্য আরও খারাপ হলে কাচের টুকরোর সঙ্গে পাথরটাও এসে লাগতে পারে শরীরে।
অর্থাৎ সবচেয়ে নিরাপদ ও আরামদায়ক এই ভ্রমণটি যেকোনো মুহূর্তে যে কারও জন্য হয়ে উঠতে পারে বিপজ্জনক। যেমনটা হয়েছে ডোমারের আমবাড়ি গ্রামের হ্যাচারি ব্যবসায়ী মারুফ ইসলামের ছেলে আজমিরের ক্ষেত্রে।
ইট বা পাথর ছুড়ে মারার ফলে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। চট্টগ্রাম থেকে আসা তূর্ণা নিশীথার যাত্রী প্রীতি দাশের ঘটনাটা বলাই যায়। সেটা ছিল ২০১৩ সালের ১০ আগস্টের ঘটনা। অন্য অনেকের মতোই জানালার ধারের আসনটিতে নিজেকে নিরাপদ ভেবেছিলেন প্রীতি। জানালা থেকে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখা যায়, সে জন্যই নিশ্চয় বসেছিলেন সে আসনে। ট্রেনটি ভাটিয়ারির ভাঙা ব্রিজ এলাকায় আসার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় পাথর বৃষ্টি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই একটি পাথর এসে লাগে প্রীতির মাথায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ট্রেনের দিকে পাথর ছুড়েছিল যারা, তাদের কেউ কি দেখেছিল সেই মৃত্যু সংবাদ? দেখে থাকলে তাদের মনে কি কোনো অনুশোচনা এসেছিল? সেটা জানা না গেলেও দেশজুড়ে পাথর ছুড়ে ট্রেনের জানালা-দরজা ভাঙার ঘটনা যে ঘটেই চলেছে, সেটা মিথ্যে নয়। ওই ঘটনার পাঁচ বছর পর রেলওয়ে পরিদর্শক বায়েজিদ শিকদারও খুলনায় যাওয়ার পথে দৌলতপুর স্টেশন এলাকায় পাথরের আঘাতে নিহত হন। আর পঙ্গু হওয়ার ঘটনা তো ঘটছেই।
মূলত শিশু-কিশোরেরাই এ ধরনের আক্রমণ চালায়। চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড। রেলযাত্রীর মৃত্যু প্রমাণিত হলে অপরাধীর ফাঁসিরও বিধান আছে। কিন্তু সে শাস্তি দিতে হলে তো পাথর নিক্ষেপকারীদের শনাক্ত করতে হবে আগে! এ ছাড়া স্থানীয়ভাবে এ ব্যাপারে পাথর ছোড়ার প্রভাব নিয়ে
কথা বলতে হবে, স্কুলেও চালাতে হবে প্রচারণা। সামান্য আনন্দের জন্য যারা ট্রেনে পাথর ছুড়ে মারে, তাদের ব্যাপারে কঠোর হওয়ার বিকল্প নেই।
নজরুলের মূল শক্তি ছিল তাঁর গতি এবং কুসংস্কারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ। কোমলে-কঠোরে গড়া ছিল তাঁর জীবন। তাই প্রেমের কবিতা, সাম্যের কবিতা, ইসলামি কবিতা কিংবা শ্যামা সংগীত, কোনোখানেই তিনি স্থির হয়ে দাঁড়াননি। যা কিছু সুন্দর, তার প্রতি আস্থা রেখেছেন আজীবন।
৬ ঘণ্টা আগেহোয়াইট হাউসে সপ্তাহখানেক আগে গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈঠকে ছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডেরিখ মার্জ, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভনডার...
৬ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের তারাকান্দা এন ইসলামিয়া একাডেমি কলেজে একজন আয়াকে প্রভাষক ও নিয়মবহির্ভূতভাবে অফিস সহকারী নিয়োগ এবং একই প্রভাষককে দুই বিষয়ে নিয়োগ দেখিয়ে ২২ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বছরের...
৭ ঘণ্টা আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কৃষি ও পল্লিঋণের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ১২ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘কৃষিঋণের সবটাই কৃষকের কাছে পৌঁছায় কি না, বাংলাদেশ ব্যাংক তা পর্যালোচনা করছে। আমরা চাই, শতভাগ কৃষিঋণ কৃষকের কাছে যাক। দালালের কাছে যেন না যায়।
১ দিন আগে