সম্পাদকীয়
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রশ্নটি তুলেছিলেন। জুলাই-আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যে মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটেছে, তার বিচারের ব্যাপারে কথাবলার আগে তিনি লিখেছেন, ‘একাত্তরের প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে। যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে। বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে। পাকিস্তান এ দেশে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। (পাকিস্তান অফিশিয়ালি ক্ষমা চাইলেও, তদুপরি আবারও ক্ষমা চাইতে রাজি হলেও, যুদ্ধাপরাধের সহযোগীরা এখনো ক্ষমা চায়নি।) ইনিয়ে-বিনিয়ে হত্যাকাণ্ডের পক্ষে বয়ান উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। জুলাইয়ের শক্তির মধ্যে ঢুকে স্যাবোটাজ করা বন্ধ করতে হবে। সাফ দিলে আসতে হবে।’
তথ্য উপদেষ্টা কখন এই কথা বলেছেন? যখন এনসিপিসহ আরও কয়েকটি সংগঠন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন করছিল, তার কিছু পরে। প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে আন্দোলন চালিয়ে সেই আন্দোলন স্থানান্তরিত হয়েছিল শাহবাগে। লক্ষণীয় বিষয় হলো, এনসিপির আন্দোলন চলাকালে সে আন্দোলনে বড় কোনো রাজনৈতিক দল যোগ দেয়নি। যারা এসে শাহবাগে যুক্ত হয়েছিল, তাদের অনেকেই ছিল জামায়াত-শিবির কিংবা প্রায় সেই রকম মতবাদের অনুসারী। এ কারণেই সেখানে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে স্লোগান উঠেছিল। গোলাম আযম কিংবা মতিউর রহমান নিজামীকে বাংলাদেশ আন্দোলনের নায়ক বানানো হয়েছিল সে স্লোগানে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবির সঙ্গে গোলাম আযম-নিজামীকে স্বাধীনতার নায়ক বানানোর অপচেষ্টা সাধারণ জনগণ ভালোভাবে নেবে—এই আশা দুরাশা। আওয়ামী লীগ বিরোধিতার মানে কি স্বাধীনতার নায়কদের অগ্রাহ্য করা? এ রকম চিন্তা সাধারণ মানুষের মনে স্বভাবতই জেগেছে।
এরই প্রতিক্রিয়ায় পরবর্তীকালে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমবেত হয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে শিক্ষার্থীদের অনেকে অঙ্গীকার করলেন যে মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় রাজাকার, আলবদরদের বিচার হতে হবে, তখন মনে হলো, আসলে কী ঘটছে চারপাশে, তা আত্মস্থ করা কঠিন। বোঝা গেল, এই আন্দোলনকারীরা এখন ছোট ছোট গ্রুপে বিভক্ত। ছাত্রদের পক্ষ থেকে এত দিন সুস্পষ্টভাবে স্বাধীনতাবিরোধীদের ব্যাপারে কোনো কথা বলতে শোনা যায়নি। তবে এটা যদি সাজানো নাটক না হয়ে থাকে, তাহলে তার একটা গুরুত্ব আছে। মাহফুজ আলমের ফেসবুক স্ট্যাটাসে বোঝা গেল, ছাত্রদের একটা অংশ অন্তত একাত্তরের বিরোধীদের বিচার চাইছে। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুই পক্ষের লড়াই গড়িয়েছে অনেক দূর। একজন উপদেষ্টার নামে গরু জবাই করে খাওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক অসহনশীলতা আর কাকে বলে! কেন একাত্তরের নৃশংসতা ঘটানোর জন্য জামায়াত ক্ষমা চাইবে না, সে প্রশ্ন যেমন উঠেছে, তেমনি ক্ষমা না চেয়েও এই দল কীভাবে রাজনীতি করছে, সে বিতর্কও ভেসে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ১৯৭১ সালকে অগ্রাহ্য করে কোনো ধরনের পরিকল্পনা করলে তা হবে ধান্ধাবাজি—বাংলার সাধারণ মানুষ তা গ্রহণ করবে না। নতুন যা কিছু হবে,
তা হতে হবে ১৯৭১ সালের অর্জনকে মনে রেখে। সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন তরুণদের একাত্ম করবে, সংহত করবে এবং দেশবিরোধী নানা চক্রান্তকে রুখে দেবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রশ্নটি তুলেছিলেন। জুলাই-আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যে মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটেছে, তার বিচারের ব্যাপারে কথাবলার আগে তিনি লিখেছেন, ‘একাত্তরের প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে। যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে। বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে। পাকিস্তান এ দেশে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। (পাকিস্তান অফিশিয়ালি ক্ষমা চাইলেও, তদুপরি আবারও ক্ষমা চাইতে রাজি হলেও, যুদ্ধাপরাধের সহযোগীরা এখনো ক্ষমা চায়নি।) ইনিয়ে-বিনিয়ে হত্যাকাণ্ডের পক্ষে বয়ান উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। জুলাইয়ের শক্তির মধ্যে ঢুকে স্যাবোটাজ করা বন্ধ করতে হবে। সাফ দিলে আসতে হবে।’
তথ্য উপদেষ্টা কখন এই কথা বলেছেন? যখন এনসিপিসহ আরও কয়েকটি সংগঠন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন করছিল, তার কিছু পরে। প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে আন্দোলন চালিয়ে সেই আন্দোলন স্থানান্তরিত হয়েছিল শাহবাগে। লক্ষণীয় বিষয় হলো, এনসিপির আন্দোলন চলাকালে সে আন্দোলনে বড় কোনো রাজনৈতিক দল যোগ দেয়নি। যারা এসে শাহবাগে যুক্ত হয়েছিল, তাদের অনেকেই ছিল জামায়াত-শিবির কিংবা প্রায় সেই রকম মতবাদের অনুসারী। এ কারণেই সেখানে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে স্লোগান উঠেছিল। গোলাম আযম কিংবা মতিউর রহমান নিজামীকে বাংলাদেশ আন্দোলনের নায়ক বানানো হয়েছিল সে স্লোগানে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবির সঙ্গে গোলাম আযম-নিজামীকে স্বাধীনতার নায়ক বানানোর অপচেষ্টা সাধারণ জনগণ ভালোভাবে নেবে—এই আশা দুরাশা। আওয়ামী লীগ বিরোধিতার মানে কি স্বাধীনতার নায়কদের অগ্রাহ্য করা? এ রকম চিন্তা সাধারণ মানুষের মনে স্বভাবতই জেগেছে।
এরই প্রতিক্রিয়ায় পরবর্তীকালে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমবেত হয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে শিক্ষার্থীদের অনেকে অঙ্গীকার করলেন যে মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় রাজাকার, আলবদরদের বিচার হতে হবে, তখন মনে হলো, আসলে কী ঘটছে চারপাশে, তা আত্মস্থ করা কঠিন। বোঝা গেল, এই আন্দোলনকারীরা এখন ছোট ছোট গ্রুপে বিভক্ত। ছাত্রদের পক্ষ থেকে এত দিন সুস্পষ্টভাবে স্বাধীনতাবিরোধীদের ব্যাপারে কোনো কথা বলতে শোনা যায়নি। তবে এটা যদি সাজানো নাটক না হয়ে থাকে, তাহলে তার একটা গুরুত্ব আছে। মাহফুজ আলমের ফেসবুক স্ট্যাটাসে বোঝা গেল, ছাত্রদের একটা অংশ অন্তত একাত্তরের বিরোধীদের বিচার চাইছে। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুই পক্ষের লড়াই গড়িয়েছে অনেক দূর। একজন উপদেষ্টার নামে গরু জবাই করে খাওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক অসহনশীলতা আর কাকে বলে! কেন একাত্তরের নৃশংসতা ঘটানোর জন্য জামায়াত ক্ষমা চাইবে না, সে প্রশ্ন যেমন উঠেছে, তেমনি ক্ষমা না চেয়েও এই দল কীভাবে রাজনীতি করছে, সে বিতর্কও ভেসে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ১৯৭১ সালকে অগ্রাহ্য করে কোনো ধরনের পরিকল্পনা করলে তা হবে ধান্ধাবাজি—বাংলার সাধারণ মানুষ তা গ্রহণ করবে না। নতুন যা কিছু হবে,
তা হতে হবে ১৯৭১ সালের অর্জনকে মনে রেখে। সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন তরুণদের একাত্ম করবে, সংহত করবে এবং দেশবিরোধী নানা চক্রান্তকে রুখে দেবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। গত বছর জুলাই-আগস্টে দেশে গড়ে ওঠা ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের একনায়কতান্ত্রিক স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটে। তখন সাধারণ মানুষের মনে একধরনের ইতিবাচক প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছিল।
১ ঘণ্টা আগেবর্ষাকাল এলেই যেন ঢাকায় জলাবদ্ধতা ভর করে বসে। জলাবদ্ধতা যখন এই শহরের ঘাড়ে চেপে বসে, তখন এই নগরের মানুষকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আজ এই শহরের এত সমস্যার মুখোমুখি হতে হতো না যদি তারা অপরিকল্পিত নগরায়ণের দিকে না ঝুঁকত, যদি নদী কিংবা খালের স্থান দখল না করে কোনো স্থাপনা করার পরিকল্পনা করত।
১ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের সখীপুর-কচুয়া-আড়াইপাড়া সড়কের যে করুণ অবস্থা, তা আসলে আমাদের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থার অব্যবস্থাপনার এক করুণ প্রতিচ্ছবি। সাত কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক—যেখানে প্রতিদিন স্কুলশিক্ষার্থী, রোগী, কৃষিপণ্যবাহী ট্রাক ও হাজারো সাধারণ মানুষ চলাচল করে।
১ ঘণ্টা আগেজুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর হয়ে গেল। ওই অভ্যুত্থানের সময় দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল। মূলত তারা ফ্যাসিবাদী সরকারব্যবস্থার পতন ঘটিয়ে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিল। মূলত বাংলাদেশের মূল সমস্যা সেটাই যে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে একটি
১ দিন আগে