সম্পাদকীয়
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে উচ্চ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। ঘোষিত হার অনুযায়ী, বাংলাদেশের রপ্তানিপণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হতে পারে, যদিও তা আগামী ১ আগস্ট থেকে চালুর কথা বলা হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের পেছনে শুধু অভ্যন্তরীণ মার্কিন রাজনীতি নয়, রয়েছে জটিল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সমীকরণ, যা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির সবচেয়ে বড় বাজার, যেখানে দেশের মোট রপ্তানির প্রায় ১৮ শতাংশ যায়। শুল্কহার বাড়লে সেই রপ্তানি হুমকির মুখে পড়বে।
গত এপ্রিলে ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করলেও, তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়। হোয়াইট হাউস তখন জানায়, এই সময়ের মধ্যে দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে আলোচনায় বসবে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যাঁর আন্তর্জাতিক পরিচিতি এবং নেটওয়ার্ক বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ৭ জুলাই তাঁকে সরাসরি একটি চিঠিও দিয়েছেন, যা তিনি নিজেই ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ প্রকাশ করেছেন। সেই চিঠিতে স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করা হয়েছে যে যদি বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়, তবে ১ আগস্ট থেকে ৩৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে।
এই প্রেক্ষাপটে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে—ড. ইউনূসের মতো একজন আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব যখন সরকারের প্রধান নির্বাহী পদে রয়েছেন, তখন কেন তাঁর সেই পরিচিতি ও প্রভাবকে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি ইতিবাচক চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি বা হচ্ছে না?
এই সংকট কেবল ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নীতির ফল নয়, এটি আমাদের কূটনৈতিক প্রস্তুতির অভাব ও বাণিজ্যিক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার দুর্বলতার প্রতিফলন। বাংলাদেশ সময়মতো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি আলোচনায় বসতে পারেনি এবং আজ তার চড়া মূল্য দিতে হতে পারে আমাদের তৈরি পোশাক খাতকে, যেখানে লাখো শ্রমিকের জীবন-জীবিকা জড়িয়ে আছে।
ট্রাম্পের চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ চাইলে তার বাণিজ্য বাজার যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুলে দিলে এবং শুল্ক ও অশুল্ক বাধা কমালে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার সুযোগ আছে। অর্থাৎ এখনো সময় রয়েছে, কিন্তু সেটি দ্রুত কমে আসছে। এখন আমাদের প্রয়োজন দুর্বল ও বিভ্রান্তিকর পদক্ষেপ নয়, বরং সুপরিকল্পিত, সম্মানজনক ও শক্তিশালী কূটনীতির মাধ্যমে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে টেবিলে বসা। প্রশ্ন হলো, আমরা কি সেই কৌশল তৈরি করেছি? নাকি কেবল চিঠি পাওয়ার পর তা পড়ে জনগণকে জানিয়ে দায় শেষ করছি?
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নির্ভর করে আন্তরিকতা, স্বচ্ছতা ও কৌশলের সমন্বয়ের ওপর। দেরিতে হলেও এখন আমাদের উচিত জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত ও বাস্তবভিত্তিক আলোচনায় নামা। কারণ, একবার যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান দুর্বল হয়ে গেলে তা পুনরুদ্ধার করা শুধু কঠিন নয়, সম্ভবত অসম্ভবও।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে উচ্চ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। ঘোষিত হার অনুযায়ী, বাংলাদেশের রপ্তানিপণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হতে পারে, যদিও তা আগামী ১ আগস্ট থেকে চালুর কথা বলা হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের পেছনে শুধু অভ্যন্তরীণ মার্কিন রাজনীতি নয়, রয়েছে জটিল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সমীকরণ, যা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির সবচেয়ে বড় বাজার, যেখানে দেশের মোট রপ্তানির প্রায় ১৮ শতাংশ যায়। শুল্কহার বাড়লে সেই রপ্তানি হুমকির মুখে পড়বে।
গত এপ্রিলে ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করলেও, তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়। হোয়াইট হাউস তখন জানায়, এই সময়ের মধ্যে দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে আলোচনায় বসবে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যাঁর আন্তর্জাতিক পরিচিতি এবং নেটওয়ার্ক বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ৭ জুলাই তাঁকে সরাসরি একটি চিঠিও দিয়েছেন, যা তিনি নিজেই ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ প্রকাশ করেছেন। সেই চিঠিতে স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করা হয়েছে যে যদি বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়, তবে ১ আগস্ট থেকে ৩৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে।
এই প্রেক্ষাপটে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে—ড. ইউনূসের মতো একজন আন্তর্জাতিকভাবে সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব যখন সরকারের প্রধান নির্বাহী পদে রয়েছেন, তখন কেন তাঁর সেই পরিচিতি ও প্রভাবকে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি ইতিবাচক চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি বা হচ্ছে না?
এই সংকট কেবল ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নীতির ফল নয়, এটি আমাদের কূটনৈতিক প্রস্তুতির অভাব ও বাণিজ্যিক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার দুর্বলতার প্রতিফলন। বাংলাদেশ সময়মতো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি আলোচনায় বসতে পারেনি এবং আজ তার চড়া মূল্য দিতে হতে পারে আমাদের তৈরি পোশাক খাতকে, যেখানে লাখো শ্রমিকের জীবন-জীবিকা জড়িয়ে আছে।
ট্রাম্পের চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ চাইলে তার বাণিজ্য বাজার যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুলে দিলে এবং শুল্ক ও অশুল্ক বাধা কমালে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার সুযোগ আছে। অর্থাৎ এখনো সময় রয়েছে, কিন্তু সেটি দ্রুত কমে আসছে। এখন আমাদের প্রয়োজন দুর্বল ও বিভ্রান্তিকর পদক্ষেপ নয়, বরং সুপরিকল্পিত, সম্মানজনক ও শক্তিশালী কূটনীতির মাধ্যমে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে টেবিলে বসা। প্রশ্ন হলো, আমরা কি সেই কৌশল তৈরি করেছি? নাকি কেবল চিঠি পাওয়ার পর তা পড়ে জনগণকে জানিয়ে দায় শেষ করছি?
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নির্ভর করে আন্তরিকতা, স্বচ্ছতা ও কৌশলের সমন্বয়ের ওপর। দেরিতে হলেও এখন আমাদের উচিত জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত ও বাস্তবভিত্তিক আলোচনায় নামা। কারণ, একবার যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান দুর্বল হয়ে গেলে তা পুনরুদ্ধার করা শুধু কঠিন নয়, সম্ভবত অসম্ভবও।
গত বছরের ৮ আগস্ট বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার গুরুদায়িত্ব গ্রহণ করেছিল। তাদের শাসন আমলে একটি নতুন অর্থবছরেরও সূচনা হয়েছে। আজ বছর পেরিয়ে অনেকেই পেছন ফিরে তাকাচ্ছেন—অর্জন কতটুকু, ব্যর্থতা কোথায় এবং অন্তরায় কী কী? এমন একটি হিসাব-নিকাশ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রায় দিকনির্দেশনা দি
২০ ঘণ্টা আগেআমরা যেন এক কদম সামনে বাড়লে পিছিয়ে পড়ি আরও দশ কদম। তখন সেই এক কদম এগিয়ে যাওয়াকে বড্ড ম্লান মনে হয়। গত প্রায় এক দশক ধরেই ঢাকার বায়ু ও পরিবেশ দূষণের শিকার। এখনো আমরা শীর্ষ বা এর আশপাশে অবস্থান করছি। এত সংস্কার কমিটি হলো, শুনেছি পরিবেশ উন্নয়নের জন্যও নাকি কমিটি গঠিত হয়েছে। কাজের ক্ষেত্রে কোনোটিরই কি কো
২০ ঘণ্টা আগেবাসটা ধাক্কা দিয়েছে এক শিক্ষার্থীকে, শিক্ষার্থী করেছে তার প্রতিবাদ। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে বাসের চালক, চালকের সহকারী ও অন্য কর্মীরা শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়েছে বাসে। ‘চোর’ আখ্যা দিয়ে পিটিয়েছে। বাসের যাত্রীরা প্রশ্ন করেছে, কিন্তু ‘চোর’কে পেটানো হচ্ছে বলা হলে তারা নির্বিকার বসে থেকেছে আসনে। চোর হলেও যে তাকে পু
২০ ঘণ্টা আগেযে রকম পরিস্থিতিতে দেশ চলছে, তাতে দেশের জনগণের স্বস্তিতে থাকার কোনো কারণ নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ৫ আগস্ট নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ায় সেই অস্বস্তি থেকে বের হয়ে আসার আপাতত একটা পথের দিশা পাওয়া গেল। জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা এই ভাষণ দেওয়ার আগে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে...
২ দিন আগে