সম্পাদকীয়
কারণে এই ঐতিহ্যবাহী কারখানাটি ধুঁকছে জনবল আর প্রয়োজনীয় কাঁচামালের অভাবে। ৪ মে আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সংবাদে উঠে এসেছে এর ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কার কথা।
জানা যায়, কারখানার ২ হাজার ৮৫৯টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ৭১৬ জন। ২০১৭ সালে ১৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে কারখানাটি আধুনিকায়ন করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় ব্রডগেজ ও মিটারগেজ যাত্রীবাহী বগি এবং ওয়াগন মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে ১৭টি ওয়ার্কশপ মেরামত করা হয়। ৪৩ ধরনের মেকানিক্যাল ও ১৩ ধরনের ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া ডিপ টিউবওয়েল স্থাপনসহ একটি ওভারহেড পানির ট্যাংক নির্মাণ করা হয়। কিন্তু দক্ষ জনবল না থাকায় নষ্ট হচ্ছে এসব অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। ফলে রাষ্ট্রের বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ জলে যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, কারখানায় প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না থাকায় দেখা দিয়েছে কাঁচামালের তীব্র সংকট। এই দ্বিমুখী সংকটের ফলে কারখানার উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
মালপত্র কেনার দরপত্রে জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রতার কারণে প্রায়ই কোচ ও ওয়াগন মেরামতের প্রয়োজনীয় কাঁচামালের সরবরাহ সময়মতো আসে না। অনেক সময় নিম্নমানের মালপত্র চলে আসে, যা ঠিক করতে গিয়ে অপচয় হয় অতিরিক্ত জনবল, কর্মঘণ্টা ও বিদ্যুতের। অথচ এই কারখানাটি কেবল রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের নয়, একসময় সারা দেশের রেলওয়ের চাহিদা পূরণে সক্ষম ছিল।
রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী, একটি রেলগাড়ি (ক্যারেজ) চার বছর অন্তর সাময়িক সংস্কার (পিওএইচ) এবং ১২ বছর অন্তর সাধারণ সংস্কার (জিওএইচ) করার কথা। কিন্তু জনবলসংকট ও কাঁচামালের অভাবে বহু ক্যারেজ বছরের পর বছর মেরামত ছাড়াই পড়ে আছে। সময়মতো মেরামত না হওয়ার কারণে একদিকে যেমন রেলের মূল্যবান সম্পদ নষ্ট হচ্ছে, তেমনি অন্যদিকে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার এই করুণ চিত্র আমাদের রেল ব্যবস্থাপনার দীর্ঘদিনের দুর্বলতা এবং উদাসীনতার চিত্রই তুলে ধরছে। একটি ঐতিহ্যবাহী এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে বছরের পর বছর ধরে জনবল ও প্রয়োজনীয় সম্পদ সংকটে ফেলে রাখা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
সরকারের নীতিনির্ধারকদের অবিলম্বে এই বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করা উচিত। রেলওয়ে শুধু একটি পরিবহন মাধ্যম নয়, দেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর রাখতে না পারলে রেলওয়ের সামগ্রিক কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এই পরিস্থিতিতে কারখানার শূন্য পদগুলোতে দ্রুত নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা জরুরি। যেন কাঁচামালের অভাব না থাকে এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি সচল রাখা যায়, তাই প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে। মালপত্র কেনা এবং অন্যান্য প্রশাসনিক জটিলতা দূর করে একটি স্বচ্ছ ও দ্রুত প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে। আধুনিক যন্ত্রপাতি পরিচালনায় কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করাও প্রয়োজন।
কারণে এই ঐতিহ্যবাহী কারখানাটি ধুঁকছে জনবল আর প্রয়োজনীয় কাঁচামালের অভাবে। ৪ মে আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সংবাদে উঠে এসেছে এর ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কার কথা।
জানা যায়, কারখানার ২ হাজার ৮৫৯টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ৭১৬ জন। ২০১৭ সালে ১৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে কারখানাটি আধুনিকায়ন করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় ব্রডগেজ ও মিটারগেজ যাত্রীবাহী বগি এবং ওয়াগন মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে ১৭টি ওয়ার্কশপ মেরামত করা হয়। ৪৩ ধরনের মেকানিক্যাল ও ১৩ ধরনের ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া ডিপ টিউবওয়েল স্থাপনসহ একটি ওভারহেড পানির ট্যাংক নির্মাণ করা হয়। কিন্তু দক্ষ জনবল না থাকায় নষ্ট হচ্ছে এসব অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। ফলে রাষ্ট্রের বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ জলে যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, কারখানায় প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না থাকায় দেখা দিয়েছে কাঁচামালের তীব্র সংকট। এই দ্বিমুখী সংকটের ফলে কারখানার উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
মালপত্র কেনার দরপত্রে জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রতার কারণে প্রায়ই কোচ ও ওয়াগন মেরামতের প্রয়োজনীয় কাঁচামালের সরবরাহ সময়মতো আসে না। অনেক সময় নিম্নমানের মালপত্র চলে আসে, যা ঠিক করতে গিয়ে অপচয় হয় অতিরিক্ত জনবল, কর্মঘণ্টা ও বিদ্যুতের। অথচ এই কারখানাটি কেবল রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের নয়, একসময় সারা দেশের রেলওয়ের চাহিদা পূরণে সক্ষম ছিল।
রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী, একটি রেলগাড়ি (ক্যারেজ) চার বছর অন্তর সাময়িক সংস্কার (পিওএইচ) এবং ১২ বছর অন্তর সাধারণ সংস্কার (জিওএইচ) করার কথা। কিন্তু জনবলসংকট ও কাঁচামালের অভাবে বহু ক্যারেজ বছরের পর বছর মেরামত ছাড়াই পড়ে আছে। সময়মতো মেরামত না হওয়ার কারণে একদিকে যেমন রেলের মূল্যবান সম্পদ নষ্ট হচ্ছে, তেমনি অন্যদিকে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার এই করুণ চিত্র আমাদের রেল ব্যবস্থাপনার দীর্ঘদিনের দুর্বলতা এবং উদাসীনতার চিত্রই তুলে ধরছে। একটি ঐতিহ্যবাহী এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে বছরের পর বছর ধরে জনবল ও প্রয়োজনীয় সম্পদ সংকটে ফেলে রাখা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
সরকারের নীতিনির্ধারকদের অবিলম্বে এই বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করা উচিত। রেলওয়ে শুধু একটি পরিবহন মাধ্যম নয়, দেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর রাখতে না পারলে রেলওয়ের সামগ্রিক কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এই পরিস্থিতিতে কারখানার শূন্য পদগুলোতে দ্রুত নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা জরুরি। যেন কাঁচামালের অভাব না থাকে এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি সচল রাখা যায়, তাই প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে। মালপত্র কেনা এবং অন্যান্য প্রশাসনিক জটিলতা দূর করে একটি স্বচ্ছ ও দ্রুত প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে। আধুনিক যন্ত্রপাতি পরিচালনায় কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করাও প্রয়োজন।
লেখার শিরোনাম দেখেই যদি কেউ ভেবে থাকেন, এখানে অমূল্য রতন পেয়ে যাবেন, তাহলে ভুল করবেন। ফেব্রুয়ারি আর এপ্রিল নিয়ে এমন এক গাড্ডায় পড়েছে নির্বাচন যে, কোনো ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী করার শক্তি কারও নেই। বিএনপির হাতে মুলা ধরিয়ে দিয়ে এই সরকারই আরও অনেক দিন ক্ষমতায় থাকার বাসনা পোষণ করছে কি না...
২ ঘণ্টা আগেবিশ্বে পরিবেশদূষণকারী হিসেবে ১৫টি প্রধান দূষক চিহ্নিত করা হয়েছে। পয়লা নম্বরে আছে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। বিশ্বব্যাপী পরিবেশদূষণে ৫ নম্বর দূষণকারী এখন প্লাস্টিক। দূষণের মাত্রা অনুযায়ী এই অবস্থান নির্ধারিত হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত ‘সিটিজেন পারসেপশন সার্ভে (সিপিএস) ২০২৫’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন আমাদের সামনে একটি হতাশাজনক বাস্তবতা তুলে ধরেছে।
৩ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে লন্ডনে অনুষ্ঠিত সভা এখন অতীত বিষয়। ওই সভার পর দেশের রাজনীতিতে অনেক কিছুই সমন্বয় হয়ে গেছে এবং এখনো হয়ে যাচ্ছে। রাজনীতি একটি দ্রুত অগ্রসরমাণ বিষয়। তার কয়েক দিনও এক জায়গায় অবস্থানের সুযোগ নেই।
১ দিন আগে