সম্পাদকীয়
সরকারি সহায়তা কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো সমাজের পিছিয়ে পড়া ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহযোগিতা করা, তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা। কিন্তু যখন এই সহায়তাপ্রাপ্তিই নতুন এক দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তখন তা গভীর উদ্বেগের জন্ম দেয়। ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদে ভালনারেবল উইমেন বেনিফিটের (ভিডব্লিউবি) চাল বিতরণে যে অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে, তা কেবল দুঃখজনক নয়, রীতিমতো হতাশাজনক।
এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে ২৪ জুনের আজকের পত্রিকায়।
আজানুর আক্তার, তাহেরা বেগম, লাইলী, লাভলী আক্তারের মতো শত শত দরিদ্র নারী সরকারি সহায়তার চাল পেতে গিয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের বেঁধে দেওয়া অযৌক্তিক নিয়মের বেড়াজালে আটকা পড়েছেন। স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকার অজুহাতে নির্বাচন অফিস থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ভেরিফিকেশন কপি নিয়ে আসতে বাধ্য করা হয়েছে ভুক্তভোগীদের। এই কাগজ সংগ্রহ করতে পরিবহন খরচ, ফটোকপি এবং অন্যান্য ফি বাবদ প্রায় ৩০০ টাকা খরচ হচ্ছে, যা একজন দিনমজুর বা দুস্থ নারীর সামর্থ্যের বাইরে। দুস্থ আজানুর আক্তার বলেন, যদি ৩০০ টাকা খরচ করার সামর্থ্য থাকত, তাহলে সরকারের সহায়তার চাল না নিয়ে নিজেই চাল কিনে খেতে পারতেন। এখন চাল বিক্রি করে তাঁকে কাগজের খরচের জন্য ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে। এটি কেমন সহায়তা, যা গ্রহণ করতে গিয়ে উল্টো ঋণের বোঝা চাপছে?
এই পুরো প্রক্রিয়ায় ইউপি সচিব রফিকুল ইসলামের ভূমিকা আছে। সরকারিভাবে এমন কোনো নিয়ম না থাকা সত্ত্বেও তিনি যখন দম্ভের সঙ্গে বলেন, ‘আমরা এই নিয়ম করেছি, এতে সরকারি রাজস্ব আদায় হচ্ছে।’ এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য ক্ষমতার অপব্যবহারের চূড়ান্ত উদাহরণ। একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা হয়ে তিনি কী করে দরিদ্র মানুষের জন্য সহায়তার পথকে আরও কঠিন করে তুলতে পারেন? রাজস্ব আদায়ের অজুহাতে দরিদ্রদের পকেট কাটা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
ভিডব্লিউবি কর্মসূচির মতো জনহিতকর উদ্যোগগুলো যখন দুর্নীতি ও অনিয়মের শিকার হয়, তখন তা সরকারের মহৎ উদ্দেশ্যকে ম্লান করে দেয়। এই ঘটনা কেবল একটি ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন চিত্র নয়, বরং দেশের আরও অনেক স্থানে এমন অব্যবস্থাপনা ও হয়রানি চলছে বলে ধারণা করা যায়। প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের দায়িত্বশীলতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত না হলে দরিদ্র মানুষের প্রতি এ ধরনের অবিচার চলতেই থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার দেবনাথ বিষয়টি তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা আশা করি, এই তদন্ত কেবল লোকদেখানো হবে না, বরং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে, সে জন্য একটি স্বচ্ছ ও সুনির্দিষ্ট বিতরণপ্রক্রিয়া প্রণয়ন করা উচিত, যা দরিদ্র মানুষকে হয়রানি না করে বরং তাদের জন্য সহায়তাপ্রাপ্তি সহজ করে। সরকারি সহায়তার কর্মসূচি যেন দুস্থদের সমস্যার কারণ না হয়ে ওঠে, সেটা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে।
সরকারি সহায়তা কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো সমাজের পিছিয়ে পড়া ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহযোগিতা করা, তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা। কিন্তু যখন এই সহায়তাপ্রাপ্তিই নতুন এক দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তখন তা গভীর উদ্বেগের জন্ম দেয়। ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদে ভালনারেবল উইমেন বেনিফিটের (ভিডব্লিউবি) চাল বিতরণে যে অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে, তা কেবল দুঃখজনক নয়, রীতিমতো হতাশাজনক।
এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে ২৪ জুনের আজকের পত্রিকায়।
আজানুর আক্তার, তাহেরা বেগম, লাইলী, লাভলী আক্তারের মতো শত শত দরিদ্র নারী সরকারি সহায়তার চাল পেতে গিয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের বেঁধে দেওয়া অযৌক্তিক নিয়মের বেড়াজালে আটকা পড়েছেন। স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকার অজুহাতে নির্বাচন অফিস থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ভেরিফিকেশন কপি নিয়ে আসতে বাধ্য করা হয়েছে ভুক্তভোগীদের। এই কাগজ সংগ্রহ করতে পরিবহন খরচ, ফটোকপি এবং অন্যান্য ফি বাবদ প্রায় ৩০০ টাকা খরচ হচ্ছে, যা একজন দিনমজুর বা দুস্থ নারীর সামর্থ্যের বাইরে। দুস্থ আজানুর আক্তার বলেন, যদি ৩০০ টাকা খরচ করার সামর্থ্য থাকত, তাহলে সরকারের সহায়তার চাল না নিয়ে নিজেই চাল কিনে খেতে পারতেন। এখন চাল বিক্রি করে তাঁকে কাগজের খরচের জন্য ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে। এটি কেমন সহায়তা, যা গ্রহণ করতে গিয়ে উল্টো ঋণের বোঝা চাপছে?
এই পুরো প্রক্রিয়ায় ইউপি সচিব রফিকুল ইসলামের ভূমিকা আছে। সরকারিভাবে এমন কোনো নিয়ম না থাকা সত্ত্বেও তিনি যখন দম্ভের সঙ্গে বলেন, ‘আমরা এই নিয়ম করেছি, এতে সরকারি রাজস্ব আদায় হচ্ছে।’ এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য ক্ষমতার অপব্যবহারের চূড়ান্ত উদাহরণ। একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা হয়ে তিনি কী করে দরিদ্র মানুষের জন্য সহায়তার পথকে আরও কঠিন করে তুলতে পারেন? রাজস্ব আদায়ের অজুহাতে দরিদ্রদের পকেট কাটা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
ভিডব্লিউবি কর্মসূচির মতো জনহিতকর উদ্যোগগুলো যখন দুর্নীতি ও অনিয়মের শিকার হয়, তখন তা সরকারের মহৎ উদ্দেশ্যকে ম্লান করে দেয়। এই ঘটনা কেবল একটি ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন চিত্র নয়, বরং দেশের আরও অনেক স্থানে এমন অব্যবস্থাপনা ও হয়রানি চলছে বলে ধারণা করা যায়। প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের দায়িত্বশীলতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত না হলে দরিদ্র মানুষের প্রতি এ ধরনের অবিচার চলতেই থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার দেবনাথ বিষয়টি তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা আশা করি, এই তদন্ত কেবল লোকদেখানো হবে না, বরং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে, সে জন্য একটি স্বচ্ছ ও সুনির্দিষ্ট বিতরণপ্রক্রিয়া প্রণয়ন করা উচিত, যা দরিদ্র মানুষকে হয়রানি না করে বরং তাদের জন্য সহায়তাপ্রাপ্তি সহজ করে। সরকারি সহায়তার কর্মসূচি যেন দুস্থদের সমস্যার কারণ না হয়ে ওঠে, সেটা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে।
সেই কৌতুকটা তো নিশ্চয়ই শুনেছেন? একজন বয়স্ক লোকের সঙ্গে এক তরুণের দেখা হতেই জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী করছ আজকাল?’ ‘জি, সৎ রাজনীতি করার চেষ্টা করছি।’ তরুণ জবাব দিলে বয়স্ক ভদ্রলোক বললেন, ‘ভালো। তুমি শাইন করবে।’
২ ঘণ্টা আগেমানুষ যেদিন থেকে গল্পটা নিজের মতো করে বলতে শিখল, সেদিন থেকে সে একে অপরের কাছ থেকে দূরে সরল, আবার একে অপরের কাছেও এল। বাক্যটি স্ববিরোধী মনে হলেও এর ভেতর বিন্দু পরিমাণ বিরোধ নেই, বরং ঐকতান আছে। এই দূরত্ব ও নৈকট্যকে যে মানুষ পাখির নজরে পরখ করতে পারে, সেই মানুষ সেতারযন্ত্রে তোলা সুরের মতো ঐকতানের ধারায়
৪ ঘণ্টা আগেএকটি জাপানি লোককাহিনি দিয়ে শুরু করি। জাপানের এক পাহাড়ি অঞ্চলে বাস করত এক বৃদ্ধ বাঁশকাটা শ্রমিক ও তার স্ত্রী। একদিন ওই বৃদ্ধ জঙ্গলে বাঁশ কাটতে গিয়ে হঠাৎ দেখে একটি কচি বাঁশ থেকে আলো ঠিকরে বের হচ্ছে—জ্বলজ্বলে সোনালি আলো। কৌতূহলবশত সে বাঁশটি কাটল।
৪ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল মিডিয়া খুললেই দেখা যায়—করোনা, লকডাউন বা কোয়ারেন্টিন নিয়ে নানা রকমের কৌতুক, মিম। কেউ বলে, ‘আবার যদি লকডাউন আসে, ঘরে বসে টিকটকে ক্যারিয়ার বানিয়ে ফেলব।’ কেউ আবার ব্যঙ্গ করে করোনাকে বলে, ‘পুরোনো প্রেমের মতো, নাম শুনলেই বিরক্ত লাগে!’ তাহলে আমরা ভুলে গেছি, এই করোনাই কেড়ে নিয়েছে লাখো মানুষকে।
২০ ঘণ্টা আগে