সম্পাদকীয়
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন প্রকাশিত পত্রিকায় যদি পড়তে হয় ৮ বছর বয়সী শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে, তাহলে দিবসটির মূল প্রতিপাদ্যই ম্লান হয়ে পড়ে। ঘটনাটির নৃশংসতা বিবেচনা করুন। মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে এসেছে ৮ বছর বয়সী অভয়া (কল্পিত নাম)। রমজান মাসে বোন ও দুলাভাইয়ের সঙ্গে একই ঘরে সে ঘুমাচ্ছিল।
অভয়াকে সেহরির সময় ডেকে নিয়ে যান বোনের শ্বশুর। বোন তখন ঘুমিয়ে ছিলেন। বোনের স্বামী দরজা খুলে দিয়েছিলেন। এরপর বোনের শ্বশুর মহাশয় ৮ বছর বয়সী শিশুটির ওপর চড়াও হন। অসহায় মেয়েটি ঘরে ফিরে এসে আতঙ্কে কাঁপছিল। বোন ভেবেছেন, শীতে কাঁপছে মেয়েটা। অথচ সেই শ্বশুর নামক ধর্ষক এই শিশুর শরীর ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে।
শিশুটিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার শরীরের অবস্থা ভালো নয়। বোনটি বলেছে, বিয়ের পর শ্বশুরের দ্বারা তিনিও শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছিলেন। স্বামী এবং শাশুড়িও ধর্ষণকারী শ্বশুরের পক্ষ নিয়েছেন।
পরিবার, সমাজ বলে যে প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে উঠেছিল, সেগুলো ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছে। নইলে বড় বোনের শ্বশুরের চোখ কেন যাবে ৮ বছরের একটি মেয়ের দিকে? কেনই-বা এই কুলাঙ্গার শ্বশুরের স্ত্রী তাঁর স্বামীর পক্ষ নিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে বলবেন? স্বামীই বা কেমন মানুষ, যিনি আগাগোড়া বিষয়টি জেনেও বদমাশ পিতার ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেবেন না? নাকি এরা সবাই মানসিকভাবে বিকৃত শ্বাপদ?
আমরা যে সমাজে বাস করছি, সেটা কি ক্রমেই অমানবিক হয়ে যাচ্ছে? এ রকম ভ্রষ্ট ধর্ষক তো সমাজে একটিই নয়। এদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ নেই কেন? পারিবারিক আর সামাজিক শিক্ষায় কি শিথিলতা এল? না হলে এ ধরনের নৃশংসতা রোধ করা যাচ্ছে না কেন?
অভয়ার ওপর চালানো নৃশংসতার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে দেশের জনগণ। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সোচ্চার হয়েছে শিক্ষার্থীরা। এই পাশবিকতার দ্রুত বিচার করতে হবে। আর এই একটি ঘটনার বিচারই শেষ কথা নয়। সমাজে এ রকম পথভ্রষ্ট মানুষের উত্থান রোধ করতে হলে সমাজের মধ্যেই সেই মানবিক অবস্থা তৈরি করতে হবে; যেখানে প্রেম, ভালোবাসা, সহমর্মিতা, পারস্পরিক সম্মানকে মূল্য দেওয়া হয়। যেকোনো অনৈতিক কাজকেই যেন বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়।
আমাদের দেশে মেয়েরা নিরাপদ নয়। ৯ মার্চ আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সংবাদেও দেখা যাচ্ছে, উন্মুক্ত স্থানগুলোতে অস্বস্তি আর ভয় বুকে নিয়ে চলতে হচ্ছে নারীদের। কারা কোন দিক থেকে তাদের হেনস্তা করবে, তা কেউ আগাম বলতে পারে না। এ রকম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে যদি নারীদের থাকতে হয়, তাহলে সমাজের চাকাটা সামনের দিকে চলছে না, সেটা বুঝতে হবে।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন ব্যবহার করেও এক ব্যক্তি তথাকথিত ‘তৌহিদি জনতা’র ছত্রচ্ছায়ায় ছাড়া পেয়েছে এবং তাঁর হাতে দেওয়া হয়েছে পবিত্র কোরআন, তাঁর গলায় দেওয়া হয়েছে ফুলের মালা! সেই ছাত্রী মামলা উঠিয়ে নিতেও বাধ্য হয়েছেন। এই যখন অবস্থা, তখন অভয়া কি সত্যিই বিচার পাবে? সংশয় যায় না।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন প্রকাশিত পত্রিকায় যদি পড়তে হয় ৮ বছর বয়সী শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে, তাহলে দিবসটির মূল প্রতিপাদ্যই ম্লান হয়ে পড়ে। ঘটনাটির নৃশংসতা বিবেচনা করুন। মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে এসেছে ৮ বছর বয়সী অভয়া (কল্পিত নাম)। রমজান মাসে বোন ও দুলাভাইয়ের সঙ্গে একই ঘরে সে ঘুমাচ্ছিল।
অভয়াকে সেহরির সময় ডেকে নিয়ে যান বোনের শ্বশুর। বোন তখন ঘুমিয়ে ছিলেন। বোনের স্বামী দরজা খুলে দিয়েছিলেন। এরপর বোনের শ্বশুর মহাশয় ৮ বছর বয়সী শিশুটির ওপর চড়াও হন। অসহায় মেয়েটি ঘরে ফিরে এসে আতঙ্কে কাঁপছিল। বোন ভেবেছেন, শীতে কাঁপছে মেয়েটা। অথচ সেই শ্বশুর নামক ধর্ষক এই শিশুর শরীর ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে।
শিশুটিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার শরীরের অবস্থা ভালো নয়। বোনটি বলেছে, বিয়ের পর শ্বশুরের দ্বারা তিনিও শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছিলেন। স্বামী এবং শাশুড়িও ধর্ষণকারী শ্বশুরের পক্ষ নিয়েছেন।
পরিবার, সমাজ বলে যে প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে উঠেছিল, সেগুলো ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছে। নইলে বড় বোনের শ্বশুরের চোখ কেন যাবে ৮ বছরের একটি মেয়ের দিকে? কেনই-বা এই কুলাঙ্গার শ্বশুরের স্ত্রী তাঁর স্বামীর পক্ষ নিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে বলবেন? স্বামীই বা কেমন মানুষ, যিনি আগাগোড়া বিষয়টি জেনেও বদমাশ পিতার ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেবেন না? নাকি এরা সবাই মানসিকভাবে বিকৃত শ্বাপদ?
আমরা যে সমাজে বাস করছি, সেটা কি ক্রমেই অমানবিক হয়ে যাচ্ছে? এ রকম ভ্রষ্ট ধর্ষক তো সমাজে একটিই নয়। এদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ নেই কেন? পারিবারিক আর সামাজিক শিক্ষায় কি শিথিলতা এল? না হলে এ ধরনের নৃশংসতা রোধ করা যাচ্ছে না কেন?
অভয়ার ওপর চালানো নৃশংসতার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে দেশের জনগণ। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সোচ্চার হয়েছে শিক্ষার্থীরা। এই পাশবিকতার দ্রুত বিচার করতে হবে। আর এই একটি ঘটনার বিচারই শেষ কথা নয়। সমাজে এ রকম পথভ্রষ্ট মানুষের উত্থান রোধ করতে হলে সমাজের মধ্যেই সেই মানবিক অবস্থা তৈরি করতে হবে; যেখানে প্রেম, ভালোবাসা, সহমর্মিতা, পারস্পরিক সম্মানকে মূল্য দেওয়া হয়। যেকোনো অনৈতিক কাজকেই যেন বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়।
আমাদের দেশে মেয়েরা নিরাপদ নয়। ৯ মার্চ আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সংবাদেও দেখা যাচ্ছে, উন্মুক্ত স্থানগুলোতে অস্বস্তি আর ভয় বুকে নিয়ে চলতে হচ্ছে নারীদের। কারা কোন দিক থেকে তাদের হেনস্তা করবে, তা কেউ আগাম বলতে পারে না। এ রকম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে যদি নারীদের থাকতে হয়, তাহলে সমাজের চাকাটা সামনের দিকে চলছে না, সেটা বুঝতে হবে।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন ব্যবহার করেও এক ব্যক্তি তথাকথিত ‘তৌহিদি জনতা’র ছত্রচ্ছায়ায় ছাড়া পেয়েছে এবং তাঁর হাতে দেওয়া হয়েছে পবিত্র কোরআন, তাঁর গলায় দেওয়া হয়েছে ফুলের মালা! সেই ছাত্রী মামলা উঠিয়ে নিতেও বাধ্য হয়েছেন। এই যখন অবস্থা, তখন অভয়া কি সত্যিই বিচার পাবে? সংশয় যায় না।
মাত্র ২০০ বছর আগেও পৃথিবীটা ভালো ছিল, ছিল স্বাস্থ্যকর, পরিবেশ ছিল সবুজ-শ্যামলিমায় শান্ত-স্নিগ্ধ আরামদায়ক। বনে বনে ছিল বন্য প্রাণীদের আনন্দময় বিচরণ, গাছে গাছে ছিল পাখিদের কূজন, নদীতে-সাগরে সাঁতরে বেড়াত ডানকানা মাছ-ডলফিন ও দৈত্যাকার তিমিরা। মানুষও ছিল হাসিখুশি, বায়ুমণ্ডল থেকে মানুষও বুকভরে নিতে পারত
১১ ঘণ্টা আগে‘আচ্ছা, আমরা গেলাম, তোমরা ভালো থেকো’—ডোনাল্ড ট্রাম্পের গত সপ্তাহের ইউক্রেন-সম্পর্কিত বক্তব্যকে এভাবেই সংক্ষেপে বলা যায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হঠাৎ ঘোষণা করলেন, ইউক্রেন রাশিয়ার কাছ থেকে তার সব হারানো ভূখণ্ড ফিরে পেতে পারে, তবে সেটা কেবল ইউরোপের সমর্থনে।
১১ ঘণ্টা আগেযদি সাম্প্রতিক গাজা ও ইউক্রেনের সংঘাত কোনো বার্তা বহন করে থাকে, তবে সেটি হলো: ‘সব আগের মতোই চলছে, তবে আরও বড় আকারে।’ ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে সহিংসতা বন্ধ হওয়ার যে আশা জেগেছিল, তা মিলিয়ে গেছে। এখন প্রায় কারও মুখে ‘যুদ্ধবিরতি’ শব্দটি শোনা যায় না। যেকোনো পদক্ষেপ যুদ্ধ কমানোর বদলে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
১১ ঘণ্টা আগেখেলার মাঠ শুধু একটি খেলার জায়গা নয়, এটি একটি এলাকার শিশু-কিশোর, বয়স্ক মানুষের খেলাধুলা ও হাঁটাচলার জায়গাও। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল সঞ্জরপুর এলাকায় তেলিবিল উচ্চবিদ্যালয় সরকারি মাঠের জায়গা দখল করে বাড়িঘর নির্মাণের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে ২৫ সেপ্টেম্বর আজকের পত্রিকায়।
১১ ঘণ্টা আগে