সম্পাদকীয়
৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ বাহিনী এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় পুরোপুরি স্থিত হতে পারেনি—এমন চিত্র উঠে এসেছে আজকের পত্রিকার ১৯ মে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে। জানা যায়, কয়েকটি বিশেষ বিষয়ের ওপর অত্যধিক মনোযোগ দেওয়ার কারণে পুলিশের মূল কাজ ‘অপরাধ দমন’ ব্যাহত হচ্ছে।
পুলিশ বাহিনীর এই সমস্যার পেছনে মূলত চারটি প্রধান কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে, যা বর্তমানে তাদের কার্যক্রমে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে। যেমন: বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল সামলানো। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে এবং গত আট মাসে ৬৫ নেতা-কর্মীর প্রাণহানি হয়েছে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রতিনিয়ত পুলিশ মোতায়েন রাখতে হচ্ছে, যা স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য দায়িত্ব পালনে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।
এরপর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অভিযুক্ত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলোর তদন্ত দ্রুত শেষ করার সরকারি তাগিদ থাকায় পুলিশের বিশেষ ইউনিট ও তদন্ত সংস্থাগুলো এই কাজে ব্যস্ত রয়েছে।
তৃতীয় কারণ, পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রাজধানীসহ অন্যান্য শহরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের আন্দোলন, মিছিল-সমাবেশ লেগেই আছে। এসব কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পুলিশের নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা পরিকল্পনায় অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ও অবরোধ মোকাবিলায় ব্যস্ত থাকায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিধান কতটা সম্ভব হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।
সবশেষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণটি হলো বাহিনীর অভ্যন্তরীণ সংকট। আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় ছাত্র-জনতার রোষানলে পড়ে পুলিশের স্থাপনা ও সদস্যরা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ে ব্যাপক রদবদল করে। এখনো ১৮৭ জন পুলিশ সদস্য পলাতক। শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে থানা স্তরের কর্মকর্তারা নতুন প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়, রাজনৈতিক চাপ সামলানো এবং পেশাগত নীতি বজায় রাখার মতো ত্রিমুখী চাপে রয়েছেন। এই অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা স্বাভাবিকভাবেই বাহিনীর কর্মক্ষমতাকে দুর্বল করে দিচ্ছে।
এ রকম বহুমুখী চাপ সামলাতে গিয়ে পুলিশের প্রতিদিনের রুটিন কাজের ব্যাঘাত ঘটছে। ফলে গত তিন মাসে রাজধানীতে খুন, ছিনতাই, মাদক ও নারী নির্যাতনের ঘটনা গড়ে ২২ শতাংশ বেড়েছে। ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে ৩৪ শতাংশ। অথচ এসব অপরাধ ঠেকাতে মাঠে পর্যাপ্ত পুলিশি টহল দেখা যাচ্ছে না। আবার বাহিনীর বড় অংশ রাজনীতিকেন্দ্রিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যস্ত থাকায় অপরাধ দমনে নজরদারি কমেছে।
সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, নিরপেক্ষতা বজায় রেখে দায়িত্ব পালনের পরিবেশ না থাকলে এ ধরনের ছন্দপতন চলতেই থাকবে।
পরিস্থিতি বিবেচনায়, এটা স্পষ্ট যে পুলিশ বাহিনী এক কঠিন সময় পার করছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং বাহিনীর অভ্যন্তরীণ সংকট নিরসনের পাশাপাশি অপরাধ দমনে মনোযোগ দেওয়া এখন সময়ের দাবি। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশকে তার মূল দায়িত্ব পালনের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া অপরিহার্য। অন্যথায় ‘ঘাটতি’র এই ধারা অব্যাহত থাকলে জননিরাপত্তা আরও হুমকির মুখে পড়বে।
৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ বাহিনী এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় পুরোপুরি স্থিত হতে পারেনি—এমন চিত্র উঠে এসেছে আজকের পত্রিকার ১৯ মে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে। জানা যায়, কয়েকটি বিশেষ বিষয়ের ওপর অত্যধিক মনোযোগ দেওয়ার কারণে পুলিশের মূল কাজ ‘অপরাধ দমন’ ব্যাহত হচ্ছে।
পুলিশ বাহিনীর এই সমস্যার পেছনে মূলত চারটি প্রধান কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে, যা বর্তমানে তাদের কার্যক্রমে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে। যেমন: বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল সামলানো। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে এবং গত আট মাসে ৬৫ নেতা-কর্মীর প্রাণহানি হয়েছে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রতিনিয়ত পুলিশ মোতায়েন রাখতে হচ্ছে, যা স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য দায়িত্ব পালনে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।
এরপর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অভিযুক্ত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলোর তদন্ত দ্রুত শেষ করার সরকারি তাগিদ থাকায় পুলিশের বিশেষ ইউনিট ও তদন্ত সংস্থাগুলো এই কাজে ব্যস্ত রয়েছে।
তৃতীয় কারণ, পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রাজধানীসহ অন্যান্য শহরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের আন্দোলন, মিছিল-সমাবেশ লেগেই আছে। এসব কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পুলিশের নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা পরিকল্পনায় অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ও অবরোধ মোকাবিলায় ব্যস্ত থাকায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিধান কতটা সম্ভব হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।
সবশেষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণটি হলো বাহিনীর অভ্যন্তরীণ সংকট। আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় ছাত্র-জনতার রোষানলে পড়ে পুলিশের স্থাপনা ও সদস্যরা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ে ব্যাপক রদবদল করে। এখনো ১৮৭ জন পুলিশ সদস্য পলাতক। শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে থানা স্তরের কর্মকর্তারা নতুন প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়, রাজনৈতিক চাপ সামলানো এবং পেশাগত নীতি বজায় রাখার মতো ত্রিমুখী চাপে রয়েছেন। এই অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা স্বাভাবিকভাবেই বাহিনীর কর্মক্ষমতাকে দুর্বল করে দিচ্ছে।
এ রকম বহুমুখী চাপ সামলাতে গিয়ে পুলিশের প্রতিদিনের রুটিন কাজের ব্যাঘাত ঘটছে। ফলে গত তিন মাসে রাজধানীতে খুন, ছিনতাই, মাদক ও নারী নির্যাতনের ঘটনা গড়ে ২২ শতাংশ বেড়েছে। ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে ৩৪ শতাংশ। অথচ এসব অপরাধ ঠেকাতে মাঠে পর্যাপ্ত পুলিশি টহল দেখা যাচ্ছে না। আবার বাহিনীর বড় অংশ রাজনীতিকেন্দ্রিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যস্ত থাকায় অপরাধ দমনে নজরদারি কমেছে।
সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, নিরপেক্ষতা বজায় রেখে দায়িত্ব পালনের পরিবেশ না থাকলে এ ধরনের ছন্দপতন চলতেই থাকবে।
পরিস্থিতি বিবেচনায়, এটা স্পষ্ট যে পুলিশ বাহিনী এক কঠিন সময় পার করছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং বাহিনীর অভ্যন্তরীণ সংকট নিরসনের পাশাপাশি অপরাধ দমনে মনোযোগ দেওয়া এখন সময়ের দাবি। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশকে তার মূল দায়িত্ব পালনের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া অপরিহার্য। অন্যথায় ‘ঘাটতি’র এই ধারা অব্যাহত থাকলে জননিরাপত্তা আরও হুমকির মুখে পড়বে।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
৩ ঘণ্টা আগেগত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
৩ ঘণ্টা আগেপ্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
৩ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১ দিন আগে