সম্পাদকীয়
বাংলাদেশে ট্রেন দুর্ঘটনা এবং ট্রেন থেকে তেল চুরির ঘটনা প্রায়ই ঘটে। কিন্তু এবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রেললাইনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—সিগন্যালের সরঞ্জাম চুরির ঘটনা। ট্রেনের সিগন্যালের সরঞ্জাম চুরি নিয়ে ২৭ মে আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
ব্রিটিশ আমলে চালু হওয়া রেলওয়ের বয়স প্রায় ১৫০ বছর হতে চলেছে। সড়কপথে যোগাযোগের পরেই এ দেশের মানুষ ট্রেনে বেশি চলাচল করে থাকে। আর বাসের তুলনায় ট্রেনের টিকিটের দাম কম হওয়ায় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করে থাকে। এ কারণে আমাদের যোগাযোগব্যবস্থায় ট্রেনের গুরুত্ব অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
জানা যায়, সম্প্রতি দেশের নবনির্মিত রেললাইনগুলোতে, বিশেষ করে আখাউড়া-লাকসাম এবং ঢাকা-যশোর রেলপথে সিগন্যালের সরঞ্জাম চুরির ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ দুটি রেলপথে রেললাইনে স্থাপিত আধুনিক সংকেতব্যবস্থার তামার কেব্ল, পয়েন্ট মেশিনের কেব্ল, সিগন্যাল পোস্টের লেডার, সিগন্যাল আসপেক্ট, কন্ট্রোল বক্সসহ বিভিন্ন মূল্যবান সরঞ্জাম নিয়মিত চুরি হচ্ছে। এই চুরির কারণে সংকেতব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়ায় ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ এবং সংকেত আদান-প্রদান মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা সামগ্রিক ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে।
প্রতিটি সিগন্যাল পোস্টে থাকা নির্দিষ্ট কিছু সরঞ্জাম ট্রেন চলাচলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো চুরি হওয়ায় ট্রেন পরিচালনায় ম্যানুয়াল পদ্ধতি ব্যবহার করতে হচ্ছে, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও অকার্যকর। আখাউড়া-লাকসাম-সিলেট রেলপথ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে হওয়ায় সেখানে মাদকসেবী ও অসাধু চক্রের অবাধ বিচরণ রয়েছে। তারা রেললাইনের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে মূল্যবান সরঞ্জাম চুরি করে এবং বিভিন্ন সময় সংকেতব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে নষ্ট করে থাকে। এমনকি পণ্য চোরাচালানে সুবিধার জন্য ট্রেনকে নির্ধারিত স্থান ছাড়া হঠাৎ থামানোর উদ্দেশ্যেও তারা এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। রেলের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, রেললাইনের মালামাল চুরিতে স্থানীয় লোকজন জড়িত, যা ট্রেন চলাচলে ঝুঁকি তৈরি করছে।
ট্রেনের এই গুরুত্বপূর্ণ সিগন্যালের সরঞ্জাম চুরি রোধে ‘রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স’ বা রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে (আরএনবি) আরও সক্রিয় করা দরকার। কারণ, ব্রিটিশ আমলে রেল চালু হওয়ার পরপরই রেলওয়ের সম্পদ, যাত্রী ও মালামাল রক্ষার্থে এই বিশেষ বাহিনী গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের যথাযথভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। আবার স্টেশন অনুপাতে এ বাহিনীর লোকবলের অভাব আছে।
এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য একটি সমন্বিত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা অপরিহার্য। শুধু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ওপর দায় চাপিয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন রেলওয়ে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা। চুরি রোধে কঠোর নজরদারি, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, নিয়মিত টহল বৃদ্ধি, রেললাইনের আশপাশে বসবাসকারী স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতা তৈরি এবং চোর চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি, নতুন রেলপথে পর্যাপ্ত লোকবল নিয়োগ এবং দ্রুত স্টেশনগুলো চালু করার মাধ্যমেও নিরাপত্তা জোরদার করা সম্ভব।
বাংলাদেশে ট্রেন দুর্ঘটনা এবং ট্রেন থেকে তেল চুরির ঘটনা প্রায়ই ঘটে। কিন্তু এবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রেললাইনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—সিগন্যালের সরঞ্জাম চুরির ঘটনা। ট্রেনের সিগন্যালের সরঞ্জাম চুরি নিয়ে ২৭ মে আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
ব্রিটিশ আমলে চালু হওয়া রেলওয়ের বয়স প্রায় ১৫০ বছর হতে চলেছে। সড়কপথে যোগাযোগের পরেই এ দেশের মানুষ ট্রেনে বেশি চলাচল করে থাকে। আর বাসের তুলনায় ট্রেনের টিকিটের দাম কম হওয়ায় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করে থাকে। এ কারণে আমাদের যোগাযোগব্যবস্থায় ট্রেনের গুরুত্ব অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
জানা যায়, সম্প্রতি দেশের নবনির্মিত রেললাইনগুলোতে, বিশেষ করে আখাউড়া-লাকসাম এবং ঢাকা-যশোর রেলপথে সিগন্যালের সরঞ্জাম চুরির ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ দুটি রেলপথে রেললাইনে স্থাপিত আধুনিক সংকেতব্যবস্থার তামার কেব্ল, পয়েন্ট মেশিনের কেব্ল, সিগন্যাল পোস্টের লেডার, সিগন্যাল আসপেক্ট, কন্ট্রোল বক্সসহ বিভিন্ন মূল্যবান সরঞ্জাম নিয়মিত চুরি হচ্ছে। এই চুরির কারণে সংকেতব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়ায় ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ এবং সংকেত আদান-প্রদান মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা সামগ্রিক ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে।
প্রতিটি সিগন্যাল পোস্টে থাকা নির্দিষ্ট কিছু সরঞ্জাম ট্রেন চলাচলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো চুরি হওয়ায় ট্রেন পরিচালনায় ম্যানুয়াল পদ্ধতি ব্যবহার করতে হচ্ছে, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও অকার্যকর। আখাউড়া-লাকসাম-সিলেট রেলপথ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে হওয়ায় সেখানে মাদকসেবী ও অসাধু চক্রের অবাধ বিচরণ রয়েছে। তারা রেললাইনের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে মূল্যবান সরঞ্জাম চুরি করে এবং বিভিন্ন সময় সংকেতব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে নষ্ট করে থাকে। এমনকি পণ্য চোরাচালানে সুবিধার জন্য ট্রেনকে নির্ধারিত স্থান ছাড়া হঠাৎ থামানোর উদ্দেশ্যেও তারা এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। রেলের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, রেললাইনের মালামাল চুরিতে স্থানীয় লোকজন জড়িত, যা ট্রেন চলাচলে ঝুঁকি তৈরি করছে।
ট্রেনের এই গুরুত্বপূর্ণ সিগন্যালের সরঞ্জাম চুরি রোধে ‘রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স’ বা রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে (আরএনবি) আরও সক্রিয় করা দরকার। কারণ, ব্রিটিশ আমলে রেল চালু হওয়ার পরপরই রেলওয়ের সম্পদ, যাত্রী ও মালামাল রক্ষার্থে এই বিশেষ বাহিনী গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের যথাযথভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। আবার স্টেশন অনুপাতে এ বাহিনীর লোকবলের অভাব আছে।
এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য একটি সমন্বিত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা অপরিহার্য। শুধু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ওপর দায় চাপিয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন রেলওয়ে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা। চুরি রোধে কঠোর নজরদারি, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, নিয়মিত টহল বৃদ্ধি, রেললাইনের আশপাশে বসবাসকারী স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতা তৈরি এবং চোর চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি, নতুন রেলপথে পর্যাপ্ত লোকবল নিয়োগ এবং দ্রুত স্টেশনগুলো চালু করার মাধ্যমেও নিরাপত্তা জোরদার করা সম্ভব।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
৩ ঘণ্টা আগেগত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
৩ ঘণ্টা আগেপ্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
৩ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১ দিন আগে