সম্পাদকীয়
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পাটলাই নদের ওপর ২০১৮ সালে যে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল, তার তিন বছরের নির্ধারিত সময় পার হয়ে সাত বছরে গড়ালেও এখনো কাজ শেষ হয়নি। ১৭ মে আজকের পত্রিকায় এ-সংক্রান্ত একটি খবর ছাপা হয়েছে। পর্যটনে গতি আনার লক্ষ্যে যে সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা, সেটা কেন এমন গতিহীন হয়ে পড়ল, এটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সেতুটি ছিল টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজ লেক, শিমুলবাগানের মতো সম্ভাবনাময় পর্যটন অঞ্চলে সংযোগের অন্যতম উপায়। এখন এটা পরিণত হয়েছে দীর্ঘসূত্রতা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা ও উন্নয়ন দুর্নীতির এক বেদনাদায়ক প্রতীকীতে।
তমা কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৪৩ কোটি টাকার প্রকল্পের মূল কাজ শেষ করলেও সংযোগ সড়ক, কার্পেটিং, লাইটিংয়ের মতো শেষ ধাপের কাজগুলো বছরের পর বছর ঝুলিয়ে রেখেছে। নির্মাণ ব্যয় ৮১ দশমিক ২৭ শতাংশ উত্তোলন করা হয়ে গেছে, কিন্তু সেতুর পূর্ণ ব্যবহারযোগ্যতা এখনো অধরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতায়াতে দুর্ভোগ বাড়ছে; একদিকে পারাপারের জন্য সেতু প্রস্তুত, অন্যদিকে সংযোগ সড়কসহ কিছু কাজ বাকি থাকায় তা ব্যবহারের অনুপযুক্ত—এ যেন প্রহসন।
সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, আর মাত্র এক মাস, কাজ শেষ হবেই। কিন্তু স্থানীয়দের ক্ষোভ আর হতাশা বলছে ভিন্ন কথা। প্রশ্ন থেকে যায়—কেন এই সময়ক্ষেপণ? ঠিকাদার বিদেশে চলে গেলে, কেন বিকল্প পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি? কেন এত বড় একটি প্রকল্পে প্রশাসনিক তদারকি এত দুর্বল?
আমরা প্রায়ই উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে দেখি, কাজ শুরুর আগেই প্রচার, উদ্বোধন, ফলক উন্মোচন হয় ব্যাপক উৎসাহে; কিন্তু বাস্তবায়নে দেখা যায় দীর্ঘসূত্রতা, অনিয়ম এবং দায়িত্বহীনতা। এতে যে শুধু জনগণের দুর্ভোগ বাড়ে তা নয়, সরকারের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসেও চিড় ধরে। উন্নয়ন যদি মানুষের জীবনে সময়মতো ইতিবাচক পরিবর্তন না আনতে পারে, তাহলে তা কতটুকু মূল্য রাখে?
প্রশ্ন হলো, প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে জনগণের অর্থ কীভাবে তামাশার বস্তুতে পরিণত হয়? স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), তমা কনস্ট্রাকশন, এমনকি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে নিরুত্তর প্রশাসন—সবাইকে তাদের দায়িত্বের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন। কারণ, উন্নয়ন শুধুই প্রকল্পপত্র বা বাজেট খরচের বিষয় নয়, তা জনগণের অধিকার ও জীবনযাত্রার উন্নতিরও প্রশ্ন।
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আমাদের দাবি, অবিলম্বে এই সেতুর বাকি কাজ শেষ করে চলাচলের জন্য খুলে দিতে হবে এবং পুরো প্রকল্পটির নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের পাশাপাশি সরকারি তদারকির গাফিলতিও চিহ্নিত করতে হবে। প্রয়োজনে কালো তালিকাভুক্ত করা হোক দায়ী প্রতিষ্ঠানকে।
একটি সেতু—যা স্থানীয় জনজীবন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটন উন্নয়নে সহায়ক—তার সময়মতো বাস্তবায়ন শুধু উন্নয়ন পরিকল্পনার সাফল্য না, হয়ে উঠতে পারে জনগণের আস্থার ভিত্তি। কিন্তু সে আস্থা এখন প্রশ্নবিদ্ধ। এই ব্যর্থতা থেকে সরকার ও প্রশাসনের শিক্ষা নেওয়া জরুরি।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পাটলাই নদের ওপর ২০১৮ সালে যে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল, তার তিন বছরের নির্ধারিত সময় পার হয়ে সাত বছরে গড়ালেও এখনো কাজ শেষ হয়নি। ১৭ মে আজকের পত্রিকায় এ-সংক্রান্ত একটি খবর ছাপা হয়েছে। পর্যটনে গতি আনার লক্ষ্যে যে সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা, সেটা কেন এমন গতিহীন হয়ে পড়ল, এটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সেতুটি ছিল টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজ লেক, শিমুলবাগানের মতো সম্ভাবনাময় পর্যটন অঞ্চলে সংযোগের অন্যতম উপায়। এখন এটা পরিণত হয়েছে দীর্ঘসূত্রতা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা ও উন্নয়ন দুর্নীতির এক বেদনাদায়ক প্রতীকীতে।
তমা কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৪৩ কোটি টাকার প্রকল্পের মূল কাজ শেষ করলেও সংযোগ সড়ক, কার্পেটিং, লাইটিংয়ের মতো শেষ ধাপের কাজগুলো বছরের পর বছর ঝুলিয়ে রেখেছে। নির্মাণ ব্যয় ৮১ দশমিক ২৭ শতাংশ উত্তোলন করা হয়ে গেছে, কিন্তু সেতুর পূর্ণ ব্যবহারযোগ্যতা এখনো অধরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতায়াতে দুর্ভোগ বাড়ছে; একদিকে পারাপারের জন্য সেতু প্রস্তুত, অন্যদিকে সংযোগ সড়কসহ কিছু কাজ বাকি থাকায় তা ব্যবহারের অনুপযুক্ত—এ যেন প্রহসন।
সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, আর মাত্র এক মাস, কাজ শেষ হবেই। কিন্তু স্থানীয়দের ক্ষোভ আর হতাশা বলছে ভিন্ন কথা। প্রশ্ন থেকে যায়—কেন এই সময়ক্ষেপণ? ঠিকাদার বিদেশে চলে গেলে, কেন বিকল্প পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি? কেন এত বড় একটি প্রকল্পে প্রশাসনিক তদারকি এত দুর্বল?
আমরা প্রায়ই উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে দেখি, কাজ শুরুর আগেই প্রচার, উদ্বোধন, ফলক উন্মোচন হয় ব্যাপক উৎসাহে; কিন্তু বাস্তবায়নে দেখা যায় দীর্ঘসূত্রতা, অনিয়ম এবং দায়িত্বহীনতা। এতে যে শুধু জনগণের দুর্ভোগ বাড়ে তা নয়, সরকারের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসেও চিড় ধরে। উন্নয়ন যদি মানুষের জীবনে সময়মতো ইতিবাচক পরিবর্তন না আনতে পারে, তাহলে তা কতটুকু মূল্য রাখে?
প্রশ্ন হলো, প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে জনগণের অর্থ কীভাবে তামাশার বস্তুতে পরিণত হয়? স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), তমা কনস্ট্রাকশন, এমনকি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে নিরুত্তর প্রশাসন—সবাইকে তাদের দায়িত্বের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন। কারণ, উন্নয়ন শুধুই প্রকল্পপত্র বা বাজেট খরচের বিষয় নয়, তা জনগণের অধিকার ও জীবনযাত্রার উন্নতিরও প্রশ্ন।
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আমাদের দাবি, অবিলম্বে এই সেতুর বাকি কাজ শেষ করে চলাচলের জন্য খুলে দিতে হবে এবং পুরো প্রকল্পটির নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের পাশাপাশি সরকারি তদারকির গাফিলতিও চিহ্নিত করতে হবে। প্রয়োজনে কালো তালিকাভুক্ত করা হোক দায়ী প্রতিষ্ঠানকে।
একটি সেতু—যা স্থানীয় জনজীবন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটন উন্নয়নে সহায়ক—তার সময়মতো বাস্তবায়ন শুধু উন্নয়ন পরিকল্পনার সাফল্য না, হয়ে উঠতে পারে জনগণের আস্থার ভিত্তি। কিন্তু সে আস্থা এখন প্রশ্নবিদ্ধ। এই ব্যর্থতা থেকে সরকার ও প্রশাসনের শিক্ষা নেওয়া জরুরি।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার একসময় ছিল আন্তর্জাতিক নৈতিকতার শীর্ষ সম্মান—যেখানে পুরস্কার পেতেন তাঁরা, যাঁদের জীবন ও কর্ম বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সেই পুরস্কার অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক সৌজন্য উপহার। যা দেওয়া হয় যখন কারও হাত মলতে হয়, অহংকারে তেল দিতে হয় বা নিজের অ্যাজেন্ডা...
৩ ঘণ্টা আগেগত বছর জুলাই মাস থেকে আমাদের আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্রছাত্রীদের মুখে ও কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মুখে, বেশি বেশি করে কয়েকটি বাক্য উচ্চারিত হয়ে আসছিল। বাকিগুলোর মধ্যে প্রথম যে বাক্যটি সবার কানে বেধেছে, সেটা হলো ‘বন্দোবস্ত’।
৩ ঘণ্টা আগেপ্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি রংপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় যে কথাগুলো বলেছেন, তা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
৩ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকার অবসানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে কয়েক দিন ধরে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনের টক শোতে চলছে এক বছরের মূল্যায়ন।
১ দিন আগে