সম্পাদকীয়
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল জেলার স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হলেও বর্তমানে এক গভীর সংকটে নিমজ্জিত। ১ জুন আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত ‘চিকিৎসকের অনুপস্থিতিই যেন নিয়ম’ শিরোনামটিই হাসপাতালের বর্তমান দুরবস্থার এক করুণ চিত্র তুলে ধরছে। রোগীদের অভিযোগ হলো, প্রতিদিন আউটডোরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দেখা মেলে না এবং তাঁরা বিলম্বে চেম্বারে বসেন। এ পরিস্থিতি স্বাস্থ্য খাতের বিদ্যমান প্রশাসনিক দুর্বলতা ও জবাবদিহির অভাবকে প্রকটভাবে তুলে ধরছে।
অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেশির ভাগই নিয়মিত হাসপাতালে আসেন না। যাঁরা আসেন, তাঁদের অনেকেই বায়োমেট্রিক ফিঙ্গার মেশিনে প্রবেশের সময় পাঞ্চ করলেও, বের হওয়ার সময় পাঞ্চ করেন না। ফলে তাঁদের প্রস্থানের কোনো রেকর্ড থাকছে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, বায়োমেট্রিক মেশিনের সমস্যার কারণে অনুপস্থিতির সংখ্যা বেশি। কিন্তু এই অজুহাত বাস্তবতার সঙ্গে কতটা সংগতিপূর্ণ, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। ২৬ মের এক দিনের উপস্থিতি প্রতিবেদন দেখলে বোঝা যায় হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্তদের অবহেলার করুণ চিত্র। সেদিন ২৮ জন চিকিৎসকের মধ্যে ১৯ জনই অনুপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে হাসপাতালের পরিচালকসহ সিনিয়র কনসালট্যান্টরাও রয়েছেন। ১২৭ জন নার্সের মধ্যে ৭৫ জন অনুপস্থিত ছিলেন। এই পরিসংখ্যান হাসপাতালের প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা এবং দায়বদ্ধতার অভাবের স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়।
রোগীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। দুপুর সাড়ে ১২টায়ও যখন রোগীরা সকাল ১০টা থেকে চিকিৎসকের অপেক্ষায় বসে থাকেন, তখন এটি কেবল সেবাবঞ্চিতের চিত্র নয়, বরং জনস্বাস্থ্যের প্রতি চরম অবহেলার দৃষ্টান্ত।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ৫২ শতাংশ চিকিৎসক এবং ৫৭ শতাংশ জনবলের পদ খালি থাকার কথা বলেছেন। তিনি সকালে বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের রোগী দেখার কারণে আউটডোরে যেতে দেরি হওয়ার কথা বললেও এটি সার্বিক অনুপস্থিতির চিত্রকে পুরোপুরি স্পষ্ট করে না। পদশূন্যতা নিঃসন্দেহে একটি বড় সমস্যা, কিন্তু যাঁরা কর্মরত আছেন, তাঁদেরও নিয়মিত উপস্থিত না থাকা এবং দায়িত্বে অবহেলা করা আরও গুরুতর অপরাধ। বায়োমেট্রিক মেশিনের সমস্যা এবং বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ফিঙ্গার পাঞ্চ না করতে পারার অজুহাত দেখালেও এটি সমস্যার মূল কারণ নয়। অনেকেই হাসপাতালে আসেন, কিন্তু বায়োমেট্রিক মেশিনে আঙুলের ছাপ দেন না—কর্তৃপক্ষের এই বক্তব্য কর্মীদের মধ্যে নিয়মানুবর্তিতার অভাবকেই নির্দেশ করে।
এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ হিসেবে শূন্য পদগুলোতে দ্রুত নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে; কর্মরত চিকিৎসক ও কর্মীদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য কঠোর মনিটরিং এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। বায়োমেট্রিক সিস্টেমের ত্রুটি দূর করে এর কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং অনুপস্থিত কর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এই হাসপাতাল সুনামগঞ্জবাসীর জন্য একটি অপরিহার্য প্রতিষ্ঠান। এর সুষ্ঠু কার্যকারিতা নিশ্চিত করা সরকারের এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। সেবাবঞ্চিত রোগীদের দুর্দশা লাঘবে এবং জনগণের মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল জেলার স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হলেও বর্তমানে এক গভীর সংকটে নিমজ্জিত। ১ জুন আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত ‘চিকিৎসকের অনুপস্থিতিই যেন নিয়ম’ শিরোনামটিই হাসপাতালের বর্তমান দুরবস্থার এক করুণ চিত্র তুলে ধরছে। রোগীদের অভিযোগ হলো, প্রতিদিন আউটডোরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দেখা মেলে না এবং তাঁরা বিলম্বে চেম্বারে বসেন। এ পরিস্থিতি স্বাস্থ্য খাতের বিদ্যমান প্রশাসনিক দুর্বলতা ও জবাবদিহির অভাবকে প্রকটভাবে তুলে ধরছে।
অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেশির ভাগই নিয়মিত হাসপাতালে আসেন না। যাঁরা আসেন, তাঁদের অনেকেই বায়োমেট্রিক ফিঙ্গার মেশিনে প্রবেশের সময় পাঞ্চ করলেও, বের হওয়ার সময় পাঞ্চ করেন না। ফলে তাঁদের প্রস্থানের কোনো রেকর্ড থাকছে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, বায়োমেট্রিক মেশিনের সমস্যার কারণে অনুপস্থিতির সংখ্যা বেশি। কিন্তু এই অজুহাত বাস্তবতার সঙ্গে কতটা সংগতিপূর্ণ, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। ২৬ মের এক দিনের উপস্থিতি প্রতিবেদন দেখলে বোঝা যায় হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্তদের অবহেলার করুণ চিত্র। সেদিন ২৮ জন চিকিৎসকের মধ্যে ১৯ জনই অনুপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে হাসপাতালের পরিচালকসহ সিনিয়র কনসালট্যান্টরাও রয়েছেন। ১২৭ জন নার্সের মধ্যে ৭৫ জন অনুপস্থিত ছিলেন। এই পরিসংখ্যান হাসপাতালের প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা এবং দায়বদ্ধতার অভাবের স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়।
রোগীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। দুপুর সাড়ে ১২টায়ও যখন রোগীরা সকাল ১০টা থেকে চিকিৎসকের অপেক্ষায় বসে থাকেন, তখন এটি কেবল সেবাবঞ্চিতের চিত্র নয়, বরং জনস্বাস্থ্যের প্রতি চরম অবহেলার দৃষ্টান্ত।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ৫২ শতাংশ চিকিৎসক এবং ৫৭ শতাংশ জনবলের পদ খালি থাকার কথা বলেছেন। তিনি সকালে বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের রোগী দেখার কারণে আউটডোরে যেতে দেরি হওয়ার কথা বললেও এটি সার্বিক অনুপস্থিতির চিত্রকে পুরোপুরি স্পষ্ট করে না। পদশূন্যতা নিঃসন্দেহে একটি বড় সমস্যা, কিন্তু যাঁরা কর্মরত আছেন, তাঁদেরও নিয়মিত উপস্থিত না থাকা এবং দায়িত্বে অবহেলা করা আরও গুরুতর অপরাধ। বায়োমেট্রিক মেশিনের সমস্যা এবং বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ফিঙ্গার পাঞ্চ না করতে পারার অজুহাত দেখালেও এটি সমস্যার মূল কারণ নয়। অনেকেই হাসপাতালে আসেন, কিন্তু বায়োমেট্রিক মেশিনে আঙুলের ছাপ দেন না—কর্তৃপক্ষের এই বক্তব্য কর্মীদের মধ্যে নিয়মানুবর্তিতার অভাবকেই নির্দেশ করে।
এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ হিসেবে শূন্য পদগুলোতে দ্রুত নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে; কর্মরত চিকিৎসক ও কর্মীদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য কঠোর মনিটরিং এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। বায়োমেট্রিক সিস্টেমের ত্রুটি দূর করে এর কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং অনুপস্থিত কর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এই হাসপাতাল সুনামগঞ্জবাসীর জন্য একটি অপরিহার্য প্রতিষ্ঠান। এর সুষ্ঠু কার্যকারিতা নিশ্চিত করা সরকারের এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। সেবাবঞ্চিত রোগীদের দুর্দশা লাঘবে এবং জনগণের মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে লন্ডনে অনুষ্ঠিত সভা এখন অতীত বিষয়। ওই সভার পর দেশের রাজনীতিতে অনেক কিছুই সমন্বয় হয়ে গেছে এবং এখনো হয়ে যাচ্ছে। রাজনীতি একটি দ্রুত অগ্রসরমাণ বিষয়। তার কয়েক দিনও এক জায়গায় অবস্থানের সুযোগ নেই।
১৮ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি বিশ্বজুড়ে আলোচনায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়—শুধু গবেষণায় নয়, মানবিক দায়বদ্ধতায়ও। যুক্তরাষ্ট্রের একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নেমে বিশ্ববিদ্যালয়টি দেখিয়ে দিয়েছে, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেবল জ্ঞানচর্চার স্থান নয়; বরং তা ন্যায়, স্বাধীনতা ও দায়িত্বশীল...
১৮ ঘণ্টা আগেএই জীবনে মানুষ হয়ে জন্মানো আর মানুষ হয়ে ওঠা—এই দুইয়ের মাঝে যে সংযোগ, তাকে যদি ‘ম্যাজিক রিয়্যালিজম’ বলি? কথাটির সহজ কোনো মানে কি করা যায়? জীবনের শুরুতে কিংবা বেড়ে উঠতে উঠতে কতটুকুইবা বুঝতে পারা যায়? বোঝাটুকুর জন্যই যে মনের বৃদ্ধি দরকার!
১৮ ঘণ্টা আগেআমাদের দেশে ক্রমান্বয়ে নদী হারিয়ে যাচ্ছে। নদী হলো পরিবেশ, কৃষি, মৎস্য সম্পদ আহরণ, যোগাযোগব্যবস্থা ও সেচের অন্যতম মাধ্যম। সমাজ-সভ্যতার ক্রমবিকাশে নদীর ভূমিকা অনেক। কিন্তু দিন দিন বিভিন্ন কারণে নদী দখল হয়ে যাচ্ছে। নদীতে বর্জ্য ফেলে যখন নদীকে দূষিত করা হয়, তখন বোঝা যায় আমরা জাতি হিসেবে কতটুকু...
১৯ ঘণ্টা আগে