সম্পাদকীয়
বগুড়ার শিবগঞ্জে ৪২০ টাকা কেজি দরে নতুন আলু বিক্রি হয়েছে। আজকের পত্রিকায় খবরটি দেখা গেছে ১৮ নভেম্বর। এই দামে বেচাকেনাও হচ্ছে। ক্রেতারাও নাকি এই দামে আলু কিনতে পেরে সন্তুষ্ট! পেঁয়াজের পথ ধরে আলুও বেশ বড় একটা সময় ধরে বাজারের নায়ক হয়ে আছে। গরিব মানুষ কী খেয়ে বাঁচবে, সে প্রশ্নটি দিন দিন গৌণ হয়ে যাচ্ছে। কেন বাড়তি দামে পণ্য কিনতে হবে, তার উত্তর কোনো দায়িত্বশীল মহল থেকে পাওয়া যাচ্ছে না।
একটা ব্যাপার বোঝা যাচ্ছে না, মাস দুই আগে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য পণ্যটির আমদানি শুল্ক কমিয়েছিল সরকার। ৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এক প্রজ্ঞাপনে আলুর আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করেছে। সেই সঙ্গে আলু আমদানিতে থাকা ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কও প্রত্যাহার করেছিল। কিন্তু বাজারে তার প্রভাব পড়েনি। বরং দাম বেড়েছে। ৭০-৭৫ টাকা দরে
কিনতে হচ্ছে আলু।
তাহলে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আসা ১০ হাজার টন আলু কেনা হলো কী দরে, বিক্রি হলো কী দরে, সে বিষয়টি নিয়ে কি তদন্ত হবে না? কার পকেটে যাচ্ছে বাড়তি টাকা?
অনেকেরই মনে পড়ে যাবে ২০-২৫ টাকার আলু হঠাৎ করেই ৫০ টাকায় উঠে গিয়েছিল। সেখানেই কয়েক মাস একটু ওঠা-নামার মধ্যে স্থায়ী হয়েছিল। তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। হিমাগারের আলুও শেষ পর্যায়ে। নতুন আলু উঠছে। এ সময় আলুর মূল্য স্বাভাবিক হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। এর চেয়েও বড় প্রশ্ন হলো, আলুর কোন দামটাকে ‘স্বাভাবিক’ বলা হবে? প্রশ্ন উঠবে, আলু উৎপাদন করছেন যে কৃষক, তিনি কি ন্যায্য দাম পাবেন? যে আলু দেশের বাজারগুলোয় খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে, তার থেকে কতটা যাচ্ছে কৃষকের হাতে? হিমাগারে আলু আসার আগে কৃষক কত টাকা করে পেয়েছিলেন আলুর দাম? এবার যে নতুন আলু বাজারে আসবে, তার দাম কীভাবে নির্ধারিত হবে?
এ বছর অতিবৃষ্টির কারণে আগাম নতুন আলু আসতে পারেনি বলে পুরোনো আলুর দাম বেড়েছে—এমন একটা কথা বলা হয়ে থাকে। কিন্তু আবারও প্রশ্ন: কোন দামের কথা বলা হচ্ছে? এমনিতেই তো বাড়তি দামে আলু কিনতে হচ্ছে। কেন এই বাড়তি দাম গুনতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাকে, সে প্রশ্নের তো একটা গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা থাকা দরকার।
দাম বাড়ার জন্য মজুতদারেরা কতটা দায়ী, তা নিয়েও তদন্ত হতে হবে। হিমাগারের আলুর পাইকারি দামই বা কেন বাড়ছে? কারও কি কোনো জবাবদিহি থাকবে না?
এখন এই নতুন সময়ে বাজার যে শুধু চাহিদা-জোগানের অর্থনৈতিক সূত্রে পরিচালিত হচ্ছে না, বরং তাতে যোগ হয়েছে নতুন নতুন খেলোয়াড়, সেটা বুঝতে রকেট সায়েন্স পড়তে হয় না। কিন্তু সেটা বুঝলেই কি গরিবের পেট ভরবে? মাছ-মাংস-ডিমের পর আলুও তো গরিবের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে। তাকে বাঁচানোর উদ্যোগ কই?
বগুড়ার শিবগঞ্জে ৪২০ টাকা কেজি দরে নতুন আলু বিক্রি হয়েছে। আজকের পত্রিকায় খবরটি দেখা গেছে ১৮ নভেম্বর। এই দামে বেচাকেনাও হচ্ছে। ক্রেতারাও নাকি এই দামে আলু কিনতে পেরে সন্তুষ্ট! পেঁয়াজের পথ ধরে আলুও বেশ বড় একটা সময় ধরে বাজারের নায়ক হয়ে আছে। গরিব মানুষ কী খেয়ে বাঁচবে, সে প্রশ্নটি দিন দিন গৌণ হয়ে যাচ্ছে। কেন বাড়তি দামে পণ্য কিনতে হবে, তার উত্তর কোনো দায়িত্বশীল মহল থেকে পাওয়া যাচ্ছে না।
একটা ব্যাপার বোঝা যাচ্ছে না, মাস দুই আগে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য পণ্যটির আমদানি শুল্ক কমিয়েছিল সরকার। ৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এক প্রজ্ঞাপনে আলুর আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করেছে। সেই সঙ্গে আলু আমদানিতে থাকা ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কও প্রত্যাহার করেছিল। কিন্তু বাজারে তার প্রভাব পড়েনি। বরং দাম বেড়েছে। ৭০-৭৫ টাকা দরে
কিনতে হচ্ছে আলু।
তাহলে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আসা ১০ হাজার টন আলু কেনা হলো কী দরে, বিক্রি হলো কী দরে, সে বিষয়টি নিয়ে কি তদন্ত হবে না? কার পকেটে যাচ্ছে বাড়তি টাকা?
অনেকেরই মনে পড়ে যাবে ২০-২৫ টাকার আলু হঠাৎ করেই ৫০ টাকায় উঠে গিয়েছিল। সেখানেই কয়েক মাস একটু ওঠা-নামার মধ্যে স্থায়ী হয়েছিল। তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। হিমাগারের আলুও শেষ পর্যায়ে। নতুন আলু উঠছে। এ সময় আলুর মূল্য স্বাভাবিক হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। এর চেয়েও বড় প্রশ্ন হলো, আলুর কোন দামটাকে ‘স্বাভাবিক’ বলা হবে? প্রশ্ন উঠবে, আলু উৎপাদন করছেন যে কৃষক, তিনি কি ন্যায্য দাম পাবেন? যে আলু দেশের বাজারগুলোয় খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে, তার থেকে কতটা যাচ্ছে কৃষকের হাতে? হিমাগারে আলু আসার আগে কৃষক কত টাকা করে পেয়েছিলেন আলুর দাম? এবার যে নতুন আলু বাজারে আসবে, তার দাম কীভাবে নির্ধারিত হবে?
এ বছর অতিবৃষ্টির কারণে আগাম নতুন আলু আসতে পারেনি বলে পুরোনো আলুর দাম বেড়েছে—এমন একটা কথা বলা হয়ে থাকে। কিন্তু আবারও প্রশ্ন: কোন দামের কথা বলা হচ্ছে? এমনিতেই তো বাড়তি দামে আলু কিনতে হচ্ছে। কেন এই বাড়তি দাম গুনতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাকে, সে প্রশ্নের তো একটা গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা থাকা দরকার।
দাম বাড়ার জন্য মজুতদারেরা কতটা দায়ী, তা নিয়েও তদন্ত হতে হবে। হিমাগারের আলুর পাইকারি দামই বা কেন বাড়ছে? কারও কি কোনো জবাবদিহি থাকবে না?
এখন এই নতুন সময়ে বাজার যে শুধু চাহিদা-জোগানের অর্থনৈতিক সূত্রে পরিচালিত হচ্ছে না, বরং তাতে যোগ হয়েছে নতুন নতুন খেলোয়াড়, সেটা বুঝতে রকেট সায়েন্স পড়তে হয় না। কিন্তু সেটা বুঝলেই কি গরিবের পেট ভরবে? মাছ-মাংস-ডিমের পর আলুও তো গরিবের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে। তাকে বাঁচানোর উদ্যোগ কই?
সম্প্রতি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে একটি পাঠাগারে আক্রমণ চালিয়ে কিছু ব্যক্তি সব বইপুস্তক নিয়ে যায়। তাদের ইচ্ছে ছিল আগুন দিয়ে লাইব্রেরিটি ধ্বংস করে দেওয়া। কিন্তু একজন পুলিশ অফিসারের হস্তক্ষেপে লাইব্রেরিটি ভস্মীভূত হওয়া থেকে মুক্তি পায়।
৯ ঘণ্টা আগেমে দিবস আসে প্রতিবছর, আসে শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদার কথা মনে করিয়ে দিতে। ১৮৮৬ সালের শিকাগোর হে মার্কেট আন্দোলনের আগুন আজও নিভে যায়নি, বরং সময়ের পরম্পরায় সেই আগুনই আলো হয়ে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে শ্রমিকশ্রেণির অধিকারের প্রশ্নে।
১০ ঘণ্টা আগেজার্মানির বিজ্ঞানী ও লেখক গেয়র্গ ক্রিস্টফ লিশটেনব্যর্গ তাঁর দার্শনিক নিবন্ধের এক জায়গায় বলেছিলেন, ‘সনাতনপন্থীরা এ-কথা মনে রাখেন না যে, মানুষের বিশ্বাস তাদের জ্ঞান এবং ইতিহাসের সাধারণ পরিবর্তনের ধারা অনুযায়ী বদলায়।
১০ ঘণ্টা আগেআজ মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মানুষের দিন। সংক্ষেপে মে দিবসের ইতিহাস বলতে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটে ঘটা শ্রমিক আন্দোলনের কথা বলতে হবে। এই জায়গায় ১৮৮৬ সালের ১ মে দৈনিক আট ঘণ্টা কর্মদিবসের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন শ্রমিকেরা।
১০ ঘণ্টা আগে