বিভুরঞ্জন সরকার
আজ পঁচিশে বৈশাখ। আজ তার জন্মদিন। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি কবি। বিশ্বকবি। কবিগুরু। তিনি আমাদের বিশ্বব্যাপী পরিচিতি দিয়েছেন। অনেককে ঋদ্ধ করেছেন। আলোকিতও করেছেন অনেকেই। অন্ধকার একেবারে দূর না হলেও তাঁর কাছে আমাদের ঋণের শেষ নেই। আমাদের জন্য তাঁর দান অশেষ। যা কিছু ভালো, মঙ্গল ও কল্যাণকর তার সবই আমরা তাঁর কাছ থেকেই পেয়েছি। আনন্দ-বেদনা-মিলন-বিরহ-সংকটে তিনি আমাদের সহায়, তিনি আমাদের গতি।
সেই বালকবেলায় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ‘জল পড়ে, পাতা নড়ে’র প্রচণ্ড প্রভাব থেকে শুরু। আর যেন শেষ নেই। আমাদের দৃষ্টি থেকে কালো ঘুচিয়ে নবীন আলো ফুটিয়ে পথের ক্লান্তি ভুলে পথ চলতে শিখিয়েছেন তিনি। সংকটের বিহ্বলতায় ম্রিয়মাণ না হয়ে নিশিদিন ভরসা রাখার তাগিদ দিয়ে অচেনাকে চিনে চিনে সামনে যাওয়ার পথও দেখিয়েছেন তিনি। দুঃখ-বিপদ তুচ্ছ করার আহ্বান তাঁর কাছেই পেয়েছি।
‘এ জগতে হায় সেই বেশি চায়, আছে যার ভুঁড়ি ভুঁড়ি’ এই চিরন্তন সত্য কত আনায়াসে তিনি উচ্চারণ করে আমাদের সতর্ক করে বলেছেন, ‘রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি’। তিনি আমাদের বোধ তৈরি করেছেন, আমাদের চেতনা তৈরি করেছেন। দোষারোপের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার প্রেরণাও দিয়ে গেছেন এই বলে যে, ‘যা কিছু হারায় গিন্নি বলেন, কেষ্টা বেটাই চোর’।
সবাইকে নিয়ে চলা ভালো। কিন্তু কেউ না এলে একলা চলার আহ্বানও তাঁরই। ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে।’ থেমে থাকা নয়, বসে থাকা নয়। এগিয়ে যাওয়াই জীবনের ধর্ম। নিবিড়ঘন অন্ধকারে দিশেহারা না হওয়ার সাহসও তিনি দিয়েছেন।
বাংলাদেশের হৃদয় থেকে যাত্রা শুরু করে তিনি আমাদের মহামানবের সাগরতীরে নিয়ে দাঁড় করিয়েছেন। ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা পুড়িয়ে তিনি পরিশুদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন। তিনি আমাদের সোনার বাংলাকে ভালোবাসতে শিখিয়েছেন। তিনি আমাদের বরাভয় দিয়ে বলেছেন, ‘নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই’। পথ ভোলা পথিকের মতো আমরা যেন বেপথু না হই, সেটা তাঁর ভাবনায় ছিল। তাই অশ্রু দিয়ে নয়ন ধুয়ে সঙ্কোচের বিহ্বলতা কাটিয়ে শুভ কর্মপথে নির্ভয়গান তিনি শুনিয়েছেন।
পঁচিশে বৈশাখে জন্ম নেওয়া বাঁধনহারা রবির ধারা রবীন্দ্রনাাথ ঠাকুর গীতবিতানের পাতায় পাতায় হৃদয়ে কুসুম ফুটিয়ে আমাদের জন্য রেখে গেছেন আলোকের ঝরনাধারা। তাঁকে অবহেলা করা কিংবা তাঁকে এড়িয়ে যাওয়ার দুর্মতি কারও হতে পারে, তবে সেটা পরিণামে হবে আত্মঘাতী।
রবীন্দ্র পাঠ, রবীন্দ্র অধ্যয়ন, রবীন্দ্র চর্চা অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। কারও জীবন রবীন্দ্রময় হলে ক্ষতি নেই, কিন্তু রবীন্দ্রবিমুখ জীবন বিষাদ-বিমূঢ়তারই অপর নাম। রবীন্দ্রনাথকে জানার চেষ্টা যতই করা যাক না কেন, তবু ‘অন্তরে অতৃপ্তি রবে, সাঙ্গ করি মনে হবে শেষ হইয়াও হইলো না শেষ’।
‘রাত্রি হল ভোর।
আজি মোর
জন্মের স্মরণপূর্ণ বাণী,
প্রভাতের রৌদ্রে-লেখা লিপিখানি
হাতে করে আনি
দ্বারে আসি দিল ডাক
পঁচিশে বৈশাখ।’
তিনি আমাদের নয়নসম্মুখ থেকে সরে গিয়ে নয়নের মাঝখানে ঠাঁই নিয়েছেন। তাঁর প্রতি প্রণতি।
আজ পঁচিশে বৈশাখ। আজ তার জন্মদিন। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি কবি। বিশ্বকবি। কবিগুরু। তিনি আমাদের বিশ্বব্যাপী পরিচিতি দিয়েছেন। অনেককে ঋদ্ধ করেছেন। আলোকিতও করেছেন অনেকেই। অন্ধকার একেবারে দূর না হলেও তাঁর কাছে আমাদের ঋণের শেষ নেই। আমাদের জন্য তাঁর দান অশেষ। যা কিছু ভালো, মঙ্গল ও কল্যাণকর তার সবই আমরা তাঁর কাছ থেকেই পেয়েছি। আনন্দ-বেদনা-মিলন-বিরহ-সংকটে তিনি আমাদের সহায়, তিনি আমাদের গতি।
সেই বালকবেলায় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ‘জল পড়ে, পাতা নড়ে’র প্রচণ্ড প্রভাব থেকে শুরু। আর যেন শেষ নেই। আমাদের দৃষ্টি থেকে কালো ঘুচিয়ে নবীন আলো ফুটিয়ে পথের ক্লান্তি ভুলে পথ চলতে শিখিয়েছেন তিনি। সংকটের বিহ্বলতায় ম্রিয়মাণ না হয়ে নিশিদিন ভরসা রাখার তাগিদ দিয়ে অচেনাকে চিনে চিনে সামনে যাওয়ার পথও দেখিয়েছেন তিনি। দুঃখ-বিপদ তুচ্ছ করার আহ্বান তাঁর কাছেই পেয়েছি।
‘এ জগতে হায় সেই বেশি চায়, আছে যার ভুঁড়ি ভুঁড়ি’ এই চিরন্তন সত্য কত আনায়াসে তিনি উচ্চারণ করে আমাদের সতর্ক করে বলেছেন, ‘রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি’। তিনি আমাদের বোধ তৈরি করেছেন, আমাদের চেতনা তৈরি করেছেন। দোষারোপের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার প্রেরণাও দিয়ে গেছেন এই বলে যে, ‘যা কিছু হারায় গিন্নি বলেন, কেষ্টা বেটাই চোর’।
সবাইকে নিয়ে চলা ভালো। কিন্তু কেউ না এলে একলা চলার আহ্বানও তাঁরই। ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে।’ থেমে থাকা নয়, বসে থাকা নয়। এগিয়ে যাওয়াই জীবনের ধর্ম। নিবিড়ঘন অন্ধকারে দিশেহারা না হওয়ার সাহসও তিনি দিয়েছেন।
বাংলাদেশের হৃদয় থেকে যাত্রা শুরু করে তিনি আমাদের মহামানবের সাগরতীরে নিয়ে দাঁড় করিয়েছেন। ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা পুড়িয়ে তিনি পরিশুদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন। তিনি আমাদের সোনার বাংলাকে ভালোবাসতে শিখিয়েছেন। তিনি আমাদের বরাভয় দিয়ে বলেছেন, ‘নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই’। পথ ভোলা পথিকের মতো আমরা যেন বেপথু না হই, সেটা তাঁর ভাবনায় ছিল। তাই অশ্রু দিয়ে নয়ন ধুয়ে সঙ্কোচের বিহ্বলতা কাটিয়ে শুভ কর্মপথে নির্ভয়গান তিনি শুনিয়েছেন।
পঁচিশে বৈশাখে জন্ম নেওয়া বাঁধনহারা রবির ধারা রবীন্দ্রনাাথ ঠাকুর গীতবিতানের পাতায় পাতায় হৃদয়ে কুসুম ফুটিয়ে আমাদের জন্য রেখে গেছেন আলোকের ঝরনাধারা। তাঁকে অবহেলা করা কিংবা তাঁকে এড়িয়ে যাওয়ার দুর্মতি কারও হতে পারে, তবে সেটা পরিণামে হবে আত্মঘাতী।
রবীন্দ্র পাঠ, রবীন্দ্র অধ্যয়ন, রবীন্দ্র চর্চা অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। কারও জীবন রবীন্দ্রময় হলে ক্ষতি নেই, কিন্তু রবীন্দ্রবিমুখ জীবন বিষাদ-বিমূঢ়তারই অপর নাম। রবীন্দ্রনাথকে জানার চেষ্টা যতই করা যাক না কেন, তবু ‘অন্তরে অতৃপ্তি রবে, সাঙ্গ করি মনে হবে শেষ হইয়াও হইলো না শেষ’।
‘রাত্রি হল ভোর।
আজি মোর
জন্মের স্মরণপূর্ণ বাণী,
প্রভাতের রৌদ্রে-লেখা লিপিখানি
হাতে করে আনি
দ্বারে আসি দিল ডাক
পঁচিশে বৈশাখ।’
তিনি আমাদের নয়নসম্মুখ থেকে সরে গিয়ে নয়নের মাঝখানে ঠাঁই নিয়েছেন। তাঁর প্রতি প্রণতি।
ড. সাজ্জাদ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি এই বিভাগ থেকেই অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করে নরওয়ের বারগেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল এবং অস্ট্রেলিয়ার নিউ ইংল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হাইব্রিড...
১ দিন আগেবাংলাদেশে প্রায় ৬ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ আছে, যার মধ্যে কমপক্ষে ৩০০ প্রজাতির বিদেশি উদ্ভিদ রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেসব গাছপালা রয়েছে, তার ৪১ শতাংশই বিদেশি উদ্ভিদ। ঢাকার সড়ক বিভাজকে লাগানো ৫৬ শতাংশ গাছ বিদেশি।
১ দিন আগেসাতক্ষীরার কালীগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী যে শিশুটি গত বৃহস্পতিবার দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে, সে বেঁচে আছে বটে; কিন্তু শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিশুটির অবস্থা স্থিতিশীল ছিল না। চিকিৎসকেরা শিশুটির শুশ্রূষা করছেন।
১ দিন আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্বয়ং একাধিকবার বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন এমন এক আবহে অনুষ্ঠিত হবে যে তা শুধু দেশে নয়, সারা পৃথিবীতে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সর্বজনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এটা তাঁর নিজের এবং অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে
২ দিন আগে