মাসুমা হক প্রিয়াংকা
বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন ও বিপ্লবে নারীর ভূমিকা ছিল অসামান্য। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন কিংবা সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান—নারীরা তাঁদের মেধা, সাহস এবং সংগ্রামের মাধ্যমে প্রতিটি অধ্যায়কে সমৃদ্ধ করেছেন। তবু বারবার দেখা যায়, আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে নারীরা আলোচনার বাইরে চলে যান। সমসাময়িক এক সংলাপে নারীদের এই বঞ্চনার কথা উঠে এসেছে, যা শুধু তাঁদের প্রতি নয়, পুরো সমাজের প্রতি এক গুরুতর প্রশ্ন তোলে।
অতীতের দিকে তাকালে দেখা যায়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে নারীদের সাহসিকতা ও আত্মত্যাগ ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তেমনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেও নারীদের ভূমিকা ছিল অতুলনীয়। সংলাপে উঠে আসা বিভিন্ন উদাহরণ থেকে জানা যায়, কীভাবে নারীরা কৌশল, নেতৃত্ব এবং সরাসরি অংশগ্রহণের মাধ্যমে আন্দোলনের অগ্রগতিতে ভূমিকা রেখেছিলেন।
বরিশালের জান্নাতুল ফেরদৌস নিপু গ্রাফিতি তৈরিতে যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, তা কেবল ব্যক্তিগত উদ্যোগ নয়, বরং নারীর সংগ্রামী চরিত্রেরই প্রতিফলন। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে দেয়ালে প্রতিবাদী চিত্র আঁকা কিংবা আহতদের সেবা দেওয়া—এইসব কাজ নারীর অবস্থানকে শুধু সমানই নয়, অনেক ক্ষেত্রেই অগ্রগামী করে তুলেছিল।
অন্যদিকে, ধানমন্ডির অর্থী জুখরিফ ও হৃতিশা আক্তারের মতো নারীরা নিজেদের গ্যারেজকে চিকিৎসাকেন্দ্র বানিয়ে শতাধিক আহত আন্দোলনকারীকে চিকিৎসা দেন। প্রবাসী নারীরা তহবিল সংগ্রহে ভূমিকা রেখে দেখিয়ে দিয়েছেন, লড়াই শুধু মাঠেই হয় না; পরোক্ষভাবে সমর্থন দিয়েও বিপ্লবের অংশ হওয়া যায়।
আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে নারীদের অবদান অস্বীকৃত থাকার পেছনে সমাজের জেন্ডারবৈষম্য মূল কারণ। সমাজে দীর্ঘদিন ধরে নারীর ভূমিকা গৃহকেন্দ্রিক রাখার একটি প্রবণতা কাজ করেছে। আন্দোলনের সময় নারীর প্রয়োজনীয়তা থাকলেও, পরবর্তী সময়ে তাঁদের নেতৃত্বে অংশগ্রহণ নিরুৎসাহিত করা হয়।
উমামা ফাতেমার মতো সমন্বয়কেরা উল্লেখ করেছেন, নারীদের অবদানকে পুরোপুরি অগ্রাহ্য করা হয়েছে। তাঁর কথায় উঠে এসেছে নারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হয়রানি এবং তাঁদের প্রতি রাষ্ট্রের উদাসীনতার বিষয়টি। এই উপেক্ষা শুধু নারীদের ব্যক্তিগত বঞ্চনা নয়; এটি বৃহত্তর সমাজে নারীর প্রতি বৈষম্যের একটি উদাহরণ। নারী আন্দোলনকারীদের কৃতিত্ব উপেক্ষা করার অর্থ হলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নারীদের জন্য একটি নেতিবাচক বার্তা দেওয়া।
প্রতিটি আন্দোলনে নারীর ভূমিকা অপরিহার্য হলেও, তাঁদের অবস্থান বরাবরই সীমিত রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। এই সীমাবদ্ধতার কারণ কেবল পুরুষতান্ত্রিক চিন্তাধারায় সীমাবদ্ধ নয়; এটি রাজনীতিরও একটি ধারা। সমাজের একটি বড় অংশ এখনো মনে করে, নারীদের ভূমিকা পার্শ্বচরিত্রে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত। আন্দোলনের সময় তাঁদের সাহস ও ভূমিকা দেখা গেলেও, পরবর্তী সময়ে তাঁদের প্রাপ্য সম্মান দিতে সমাজ ব্যর্থ হয়।
আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে নেতৃত্বের স্থানে নারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ঢাকার বাইরের নারীদের কথা আরও বেশি উপেক্ষিত হয়েছে, যাঁরা বিভিন্ন বাধা পেরিয়ে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। আন্দোলনে নারীর অবদানকে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতির মাধ্যমে ধরে রাখা হয়নি। কোনো ইতিহাস রচনায় নারীদের অবস্থান স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়নি, যা তাঁদের ভূমিকা মুছে ফেলার একটি প্রক্রিয়া।
আন্দোলনকারীদের ভূমিকা অস্বীকার করা মানে তাঁদের সম্মান ও মর্যাদাকে খাটো করা। এই বঞ্চনা তাঁদের সামাজিক, মানসিক এবং পেশাগত জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ইতিহাস যদি নারীর অবদানকে উপেক্ষা করে লেখা হয়, তা হবে অর্ধসত্য এবং পক্ষপাতমূলক। শহীদ রিয়া গোপ বা নাঈমা সুলতানার আত্মত্যাগ আমাদের ইতিহাসের গৌরবময় অংশ। আন্দোলনে নারীর ভূমিকার স্বীকৃতি আগামী প্রজন্মের নারীদের জন্য প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। এটি দেখাবে যে সংকট মোকাবিলায় নারীরাও পুরুষের সমান, এমনকি অগ্রগামী।
আন্দোলনে নারীর ভূমিকা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রীয়ভাবে একটি নীতিমালা থাকা উচিত। এতে আন্দোলনের পর তাঁদের নেতৃত্বের অংশীদারত্ব নিশ্চিত করা যাবে। অনলাইন হয়রানি থেকে শুরু করে আন্দোলনের কারণে সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার বিষয়গুলো মোকাবিলায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। প্রতিটি আন্দোলনের ইতিহাস রচনায় নারীর ভূমিকা সুনির্দিষ্টভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নারীর অবদান নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো প্রয়োজন।
একটি আন্দোলন কেবল একজন নায়ক বা মহানায়কের কাহিনি নয়; এটি হাজারো মানুষের সংগ্রামের ফল। সেই সংগ্রামে নারীর ভূমিকা বারবার প্রমাণ করেছে যে তাঁদের উপস্থিতি ও নেতৃত্ব ছাড়া কোনো পরিবর্তন সম্ভব নয়। সমাজের অর্ধেক জনসংখ্যাকে অদৃশ্য রেখে একটি গণতান্ত্রিক দেশ গঠন সম্ভব নয়। নারীর মর্যাদা ও সম্মান কেবল নৈতিক নয়, তা একটি শক্তিশালী জাতি গঠনের শর্ত। গণ-আন্দোলনের নারীদের সঠিক স্বীকৃতি দিয়ে আমাদের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ এবং সমাজকে অধিকতর ন্যায্য করতে হবে।
লেখক: মাসুমা হক প্রিয়াংকা
সমাজকর্মী ও শিক্ষার্থী
বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন ও বিপ্লবে নারীর ভূমিকা ছিল অসামান্য। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন কিংবা সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান—নারীরা তাঁদের মেধা, সাহস এবং সংগ্রামের মাধ্যমে প্রতিটি অধ্যায়কে সমৃদ্ধ করেছেন। তবু বারবার দেখা যায়, আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে নারীরা আলোচনার বাইরে চলে যান। সমসাময়িক এক সংলাপে নারীদের এই বঞ্চনার কথা উঠে এসেছে, যা শুধু তাঁদের প্রতি নয়, পুরো সমাজের প্রতি এক গুরুতর প্রশ্ন তোলে।
অতীতের দিকে তাকালে দেখা যায়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে নারীদের সাহসিকতা ও আত্মত্যাগ ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তেমনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেও নারীদের ভূমিকা ছিল অতুলনীয়। সংলাপে উঠে আসা বিভিন্ন উদাহরণ থেকে জানা যায়, কীভাবে নারীরা কৌশল, নেতৃত্ব এবং সরাসরি অংশগ্রহণের মাধ্যমে আন্দোলনের অগ্রগতিতে ভূমিকা রেখেছিলেন।
বরিশালের জান্নাতুল ফেরদৌস নিপু গ্রাফিতি তৈরিতে যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, তা কেবল ব্যক্তিগত উদ্যোগ নয়, বরং নারীর সংগ্রামী চরিত্রেরই প্রতিফলন। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে দেয়ালে প্রতিবাদী চিত্র আঁকা কিংবা আহতদের সেবা দেওয়া—এইসব কাজ নারীর অবস্থানকে শুধু সমানই নয়, অনেক ক্ষেত্রেই অগ্রগামী করে তুলেছিল।
অন্যদিকে, ধানমন্ডির অর্থী জুখরিফ ও হৃতিশা আক্তারের মতো নারীরা নিজেদের গ্যারেজকে চিকিৎসাকেন্দ্র বানিয়ে শতাধিক আহত আন্দোলনকারীকে চিকিৎসা দেন। প্রবাসী নারীরা তহবিল সংগ্রহে ভূমিকা রেখে দেখিয়ে দিয়েছেন, লড়াই শুধু মাঠেই হয় না; পরোক্ষভাবে সমর্থন দিয়েও বিপ্লবের অংশ হওয়া যায়।
আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে নারীদের অবদান অস্বীকৃত থাকার পেছনে সমাজের জেন্ডারবৈষম্য মূল কারণ। সমাজে দীর্ঘদিন ধরে নারীর ভূমিকা গৃহকেন্দ্রিক রাখার একটি প্রবণতা কাজ করেছে। আন্দোলনের সময় নারীর প্রয়োজনীয়তা থাকলেও, পরবর্তী সময়ে তাঁদের নেতৃত্বে অংশগ্রহণ নিরুৎসাহিত করা হয়।
উমামা ফাতেমার মতো সমন্বয়কেরা উল্লেখ করেছেন, নারীদের অবদানকে পুরোপুরি অগ্রাহ্য করা হয়েছে। তাঁর কথায় উঠে এসেছে নারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হয়রানি এবং তাঁদের প্রতি রাষ্ট্রের উদাসীনতার বিষয়টি। এই উপেক্ষা শুধু নারীদের ব্যক্তিগত বঞ্চনা নয়; এটি বৃহত্তর সমাজে নারীর প্রতি বৈষম্যের একটি উদাহরণ। নারী আন্দোলনকারীদের কৃতিত্ব উপেক্ষা করার অর্থ হলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নারীদের জন্য একটি নেতিবাচক বার্তা দেওয়া।
প্রতিটি আন্দোলনে নারীর ভূমিকা অপরিহার্য হলেও, তাঁদের অবস্থান বরাবরই সীমিত রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। এই সীমাবদ্ধতার কারণ কেবল পুরুষতান্ত্রিক চিন্তাধারায় সীমাবদ্ধ নয়; এটি রাজনীতিরও একটি ধারা। সমাজের একটি বড় অংশ এখনো মনে করে, নারীদের ভূমিকা পার্শ্বচরিত্রে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত। আন্দোলনের সময় তাঁদের সাহস ও ভূমিকা দেখা গেলেও, পরবর্তী সময়ে তাঁদের প্রাপ্য সম্মান দিতে সমাজ ব্যর্থ হয়।
আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে নেতৃত্বের স্থানে নারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ঢাকার বাইরের নারীদের কথা আরও বেশি উপেক্ষিত হয়েছে, যাঁরা বিভিন্ন বাধা পেরিয়ে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। আন্দোলনে নারীর অবদানকে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতির মাধ্যমে ধরে রাখা হয়নি। কোনো ইতিহাস রচনায় নারীদের অবস্থান স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়নি, যা তাঁদের ভূমিকা মুছে ফেলার একটি প্রক্রিয়া।
আন্দোলনকারীদের ভূমিকা অস্বীকার করা মানে তাঁদের সম্মান ও মর্যাদাকে খাটো করা। এই বঞ্চনা তাঁদের সামাজিক, মানসিক এবং পেশাগত জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ইতিহাস যদি নারীর অবদানকে উপেক্ষা করে লেখা হয়, তা হবে অর্ধসত্য এবং পক্ষপাতমূলক। শহীদ রিয়া গোপ বা নাঈমা সুলতানার আত্মত্যাগ আমাদের ইতিহাসের গৌরবময় অংশ। আন্দোলনে নারীর ভূমিকার স্বীকৃতি আগামী প্রজন্মের নারীদের জন্য প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। এটি দেখাবে যে সংকট মোকাবিলায় নারীরাও পুরুষের সমান, এমনকি অগ্রগামী।
আন্দোলনে নারীর ভূমিকা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রীয়ভাবে একটি নীতিমালা থাকা উচিত। এতে আন্দোলনের পর তাঁদের নেতৃত্বের অংশীদারত্ব নিশ্চিত করা যাবে। অনলাইন হয়রানি থেকে শুরু করে আন্দোলনের কারণে সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার বিষয়গুলো মোকাবিলায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। প্রতিটি আন্দোলনের ইতিহাস রচনায় নারীর ভূমিকা সুনির্দিষ্টভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নারীর অবদান নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো প্রয়োজন।
একটি আন্দোলন কেবল একজন নায়ক বা মহানায়কের কাহিনি নয়; এটি হাজারো মানুষের সংগ্রামের ফল। সেই সংগ্রামে নারীর ভূমিকা বারবার প্রমাণ করেছে যে তাঁদের উপস্থিতি ও নেতৃত্ব ছাড়া কোনো পরিবর্তন সম্ভব নয়। সমাজের অর্ধেক জনসংখ্যাকে অদৃশ্য রেখে একটি গণতান্ত্রিক দেশ গঠন সম্ভব নয়। নারীর মর্যাদা ও সম্মান কেবল নৈতিক নয়, তা একটি শক্তিশালী জাতি গঠনের শর্ত। গণ-আন্দোলনের নারীদের সঠিক স্বীকৃতি দিয়ে আমাদের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ এবং সমাজকে অধিকতর ন্যায্য করতে হবে।
লেখক: মাসুমা হক প্রিয়াংকা
সমাজকর্মী ও শিক্ষার্থী
পৃথিবীর ঘূর্ণন চক্রের সঙ্গে সঙ্গে সবই ঘোরে, কালের চক্রও। সেই সঙ্গে প্রতিনিয়ত পৃথিবীতে আবির্ভাব যেমন ঘটছে বা আবিষ্কৃত হচ্ছে নতুন নতুন প্রজাতির জীব, তেমনি এ গ্রহের বুক থেকে তাদের কেউ কেউ চিরতরে হারিয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে বিজ্ঞানীরা বলছেন বিলুপ্তি। একসময় পৃথিবীর বুকে দাপিয়ে বেড়াত যে ডাইনোসর..
১৬ ঘণ্টা আগেএকটি শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি বাংলাদেশের জন্য নতুন কিছু নয়। কিন্তু গত কয়েকটি নির্বাচন না ছিল অংশগ্রহণমূলক, না ছিল শান্তিপূর্ণ। ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের পর একটি নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে দেশ। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে সেই নির্বাচন...
১৬ ঘণ্টা আগে১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৩ মে পালিত হয় বিশ্ব মুক্তগণমাধ্যম দিবস। এই দিনটিতে সাংবাদিকেরা আত্ম-উপলব্ধির দিন হিসেবে গুরুত্ব দিয়ে তাঁদের নিরাপত্তা ও পেশাগত দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করে থাকেন।
২ দিন আগেদেশের রাজনীতি ক্রমেই জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। সংস্কার এবং নির্বাচনের বিষয় তো আছেই। নির্বাচনের মধ্যেও এখন পর্যন্ত রয়েছে স্থানীয় সরকার, গণপরিষদ এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রশ্ন। এরই মধ্যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে সম্ভাব্য জোট গঠন কিংবা সমঝোতার সম্ভাবনা নিয়ে...
২ দিন আগে