Ajker Patrika

উপযুক্ত নেতৃত্বের অভাবে উন্নয়নবঞ্চিত নগরী

মোহাম্মদ ইউসুফ
উপযুক্ত নেতৃত্বের অভাবে উন্নয়নবঞ্চিত নগরী

চট্টগ্রাম এখনো গ্রাম থেকে শহর হয়ে উঠতে পারেনি। মেয়র আসে মেয়র যায় কিন্তু বন্দর শহর চট্টগ্রামের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয় না। সরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতার গল্প শুনতে শুনতে নগরবাসী ক্লান্ত।

সিটি করপোরেশন প্রশাসনের সর্বক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা লেগেই আছে। অপচয় ও অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়মে পরিণত হয়েছে। এ সংস্থার প্রশাসনে নেই চেইন অব কমান্ড। উপযুক্ত কর্মকর্তাদের যথাযথ পদায়ন  হয়নি। আছে দক্ষ জনবলের অভাবও।

চট্টগ্রাম সিটিকে ৬টি প্রশাসনিক জোনে ভাগ করা হলেও সুফল নগরবাসী পাচ্ছেন না। সিডিএ, ওয়াসা, বন্দর ও অন্যান্য সরকারিসংস্থার সঙ্গে কার্যকর সমন্বয় করে উন্নয়ন কার্যক্রম গতিশীল করতে উদ্যোগ নেই চসিকের।

সিভিল প্রকৌশল বিভাগে অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়টি ওপেন-সিক্রেট। টেন্ডার ও যাচাই-বাছাইয়ে অনিয়ম বন্ধ হচ্ছে না। প্রকৌশলীদের বিরুদ্ধে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ পুরোনো। রাস্তা নির্মাণ ও উন্নয়নকাজের পরিদর্শন ও তত্ত্বাবধানে ঘাপলা, পরিমাপে অনিয়ম যেন নিয়ম। তদবির ও তোষামোদিতে কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

রাজস্ব বিভাগে হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে গিয়ে নগরবাসী হয়রানির শিকার হচ্ছেন। কর নির্ধারণে করপোরেশনের নীতিমালার মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন নেই। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ ও করপোরেশনের প্রচলিত বিধান উপেক্ষা করে এবারও ১ কোটি টাকা অনাদায়ি রেখে বাজার ইজারা দেওয়ার খবর পত্রপত্রিকায় এসেছে।

শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্যে  শিক্ষা বিভাগকে প্রতিবছর ৩২ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয় করপোরেশন। স্বজনপ্রীতি ও দলীয়করণের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের কারণে স্কুল-কলজে শিক্ষার মানে উন্নতি কম।

যান্ত্রিক প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ সঠিকভাবে হয় না। মেরামত না করেও বিল তোলার অভিযোগ সর্বজনবিদিত। পরিচ্ছন্ন অফিসের বিরুদ্ধে মশকনিধনের ওষুধ ও ব্লিচিং পাউডার কেনা, মজুত ও ব্যবহারে  গোঁজামিলের অভিযোগ আছে।  

বিদ্যুৎ প্রকৌশল বিভাগেও সরঞ্জাম ক্রয়, মজুত ও ব্যবহারে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগে জনগণের চেয়ে এখানে বেশি সুযোগ-সুবিধে নিচ্ছেন করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যেরা। মেডিকেল যন্ত্রপাতি ক্রয়, মজুত ও রক্ষণাবেক্ষণে জবাবদিহি নেই। টিকাদান কার্যক্রমে বাড়ি বাড়ি সার্চিং কার্যক্রম হতাশাজনক। তবে দুই নির্বাচিত মেয়রের অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে মাত্র ছয় মাসের জন্য এসে চমক দেখিয়েছেন প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। ৯০ দিনে গুনে গুনে  দেখিয়ে গেছেন নগরপিতার কী করা দরকার। 

লেখক: প্রধান-সম্পাদক, চাটগাঁর বাণী ও চাটগাঁরবাণীডটকম

বিষয়:

মতামত
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সবচেয়ে সুখী দেশ ফিনল্যান্ডে স্থায়ী বসবাসের আবেদন করবেন যেভাবে

‘ম্যামের মুখটা দেখলাম, মনে হলো—শুয়ে আছেন, কিছুই হয়নি তাঁর’

তিন ভোটে দায়িত্ব পালনকারীদের ‘যথাসম্ভব’ দূরে রাখতে হবে

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ চাইলেন ফখরুল

নেপালে সরকার পতনের পর ভাইরাল মনীষা কৈরালার পুরোনো ভিডিও

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত