নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মেঘে ঢাকা আকাশ। থেমে থেমে বৃষ্টি। দিনভর এমন অস্বস্তিকর আবহাওয়ায়ও আটকে থাকেনি ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস ২০২৫’ উদ্যাপন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’য় গতকাল মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মানুষের ঢল নামে। শিল্পীদের পরিবেশনার পাশাপাশি ফ্যাসিস্টের পলায়ন ক্ষণ উদ্যাপন এবং জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ ছিল আকর্ষণের কেন্দ্রে। শাহবাগে স্থাপিত হয়েছে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নানা আয়োজনে দিবসটি পালিত হয় আনন্দে-উচ্ছ্বাসে।
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সকাল থেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে জমায়েত হয় ছাত্র-জনতা। কারও মাথায় জাতীয় পতাকা বাঁধা, কেউ আবার নিয়েছে হাতে। বৃষ্টির জন্য এক ঘণ্টা পিছিয়ে দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আয়োজন। তারা গেয়ে শোনায় ‘এ দেশ আমার বাংলাদেশ’, ‘আয় তারুণ্য আয়’ সম্মেলক গান। সাইমুমের শিল্পী ওবায়দুল্লাহ তারেক শোনান ‘ওমা আর কেঁদো না’, মশিউর রহমান শোনান ‘যাদের জন্য পেলাম আবার নতুন বাংলাদেশ’। শেষে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে নিয়ে জারি গান দিয়ে শেষ হয় তাদের পরিবেশনা।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনসমুদ্রে পরিণত হয় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ। একে একে মঞ্চে আসে কলরব শিল্পীগোষ্ঠী, শিল্পী নাহিদ ও তাশফি। তাঁরা নিজেদের ও দেশের গানে মুগ্ধ করেন ছাত্র-জনতাকে। গানের সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। বিজয়ের বর্ষপূর্তিকে রাঙিয়ে তুলতে অনেকেই পরিবারসহ এসেছেন।
ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত বছর ৫ আগস্ট ঠিক ২টা ২৫ মিনিটে দেশ ছেড়েছিলেন শেখ হাসিনা। সেই পলায়ন ক্ষণকে ফুটিয়ে তুলতে কৃত্রিম হেলিকপ্টারের বেলুন উড়িয়ে দেওয়া হয়। জনতার হাতে দেওয়া হয় ফ্লেয়ার। ফ্লেয়ার থেকে লাল ও সবুজ ধোঁয়া উড়ছে। ওপরে উড়ে যাচ্ছে বেলুনের হেলিকপ্টার। এক অন্য রকম দৃশ্যের অবতারণা হয়।
পরে মঞ্চে ওঠে চিটাগং হিপহপ হুড, র্যাপার সেজান, ব্যান্ড দল শূন্য, কণ্ঠশিল্পী ইথুন বাবু ও মৌসুমী। বিকেল ৫টার পরে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রধান উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সিনিয়র সচিব, বিভিন্ন বাহিনী ও দপ্তর-সংস্থার প্রধান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, সুশীল সমাজ ও ছাত্র প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠের অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রথমেই দেখানো হয় জুলাই যোদ্ধা মাহাবুবুলের ওপরে নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র। প্রারম্ভিক বক্তব্য দেন শহীদ মাহমুদুর রহমান সৈকতের বোন সাবরিনা আফরোজ সেবন্তী। তিনি বলেন, ‘দেশের ভবিষ্যৎ যখন সম্পূর্ণ অন্ধকারাচ্ছন্ন মনে হচ্ছিল, সামনে কোনো আলোর দিশারি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন এই সফল গণ-অভ্যুত্থানই আমাদের আবার নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখাল। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে আমরা যেন কিছুতেই লক্ষ্যচ্যুত না হই।’
এরপরে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ঘোষণাপত্র পাঠের পরে আবার শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে মঞ্চে আসেন শিল্পী সায়ান, ব্যান্ড সোলস, ওয়ারফেজ, বেসিক গিটার লার্নিং স্কুল, ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ব্যান্ড এফ মাইনর, কণ্ঠশিল্পী পারশা মাহজাবিন, কণ্ঠশিল্পী এলিটা করিম এবং আর্টসেল। পুরো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ব্যান্ড ও দলের ২৫০ জনের অধিক শিল্পী অংশ নেন। সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় স্পেশাল ড্রোন ড্রামা শো ‘ডু ইউ মিস মি?’। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জুলহাজ্জ জুবায়ের ও সারা আলম।
দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সংসদ ভবনের সামনের সড়কে প্রবেশ করার মুখে ও সংসদ ভবন এলাকায় পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী, বিজিবির টহলসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নজরদারি রাখেন। দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় ফায়ার সার্ভিস ও আনসার সদস্যদেরও। নিরাপত্তার বিষয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ, র্যাবসহ সেনাবাহিনী, বিজিবির টহল রয়েছে। উচ্চ ধারণক্ষমতাসম্পন্ন সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
মূল মঞ্চ ছাড়াও পুরো অ্যাভিনিউতে বসানো হয় চারটি বড় স্ক্রিন। সংসদ ভবনের মূল ফটকের পাশে ছিল লাইভ স্ক্রিন ও গেম শো স্টল। ‘হাসিনা পালায় না’ এমন প্রতীকী খেলার আয়োজনও ছিল। স্ক্রিনে ভার্চুয়াল শেখ হাসিনার দৌড়ানোর খেলায় ধাওয়া করে অংশ নেয় অনেকে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে রাখা হয় পানির ব্যবস্থা। পুরো অনুষ্ঠান সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয়।
‘হেলিকপ্টার বেলুন’ ওড়াতে গিয়ে বিস্ফোরণে দগ্ধ ১১ জন
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট হেলিকপ্টারে করে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই ক্ষণকে তুলে ধরতে হেলিকপ্টার আকৃতির শতাধিক বেলুন ওড়ানো হয়। জনতার হাতে দেওয়া হয় ফ্লেয়ার। ফ্লেয়ারের আগুন বেলুনে থাকা গ্যাসের সংস্পর্শে এলে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ১১ জন দগ্ধ হয়েছে। তাদের গায়ের কিছু অংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। আয়োজনের স্পিকারের তারেও আগুন লাগে। পরে ড্রোনের পাখার বাতাসে আগুন নিভিয়ে দেওয়া হয়। দগ্ধদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান জানান, দুপুরে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে দগ্ধ ১১ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে এসেছেন। তাঁদের সবার হাত ও মুখ সামান্য দগ্ধ হয়েছে। কারও অবস্থা গুরুতর নয়। সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও যা ছিল রাজধানী ও দেশজুড়ে
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের অনুষ্ঠান ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বছরপূর্তি এবং ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস ২০২৫’ পালন করে। রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে স্থাপন করা হয়েছে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। দিনটি উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় একটি স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ ছাড়া গণভবনে নির্মাণাধীন ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’-এর নির্মাণকাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেন প্রধান উপদেষ্টা। জাদুঘরটি ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট, সংগ্রাম, শহীদ এবং বিজয়ের স্মারক হিসেবে নির্মাণাধীন। নির্মাণ এলাকায় পৌঁছে প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী, স্থপতি এবং কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং দ্রুততম সময়ে কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিভিন্ন মোটিফ নিয়ে বিজয় শোভাযাত্রা করে বাংলাদেশি চারুশিল্পী সংসদ। মহাখালীতে ‘সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যবৃন্দ-ছাত্র-জনতার ঐক্য শোভাযাত্রা’ বের হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের শিক্ষকেরা শোভাযাত্রা বের করেন, রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বের করা হয় শোভাযাত্রা, খুলনায় ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ ও খুলনা সাইক্লিং কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় সাইকেল শোভাযাত্রা। রাজবাড়ীতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ আবদুল গণির সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জুলাই শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধারা।

মেঘে ঢাকা আকাশ। থেমে থেমে বৃষ্টি। দিনভর এমন অস্বস্তিকর আবহাওয়ায়ও আটকে থাকেনি ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস ২০২৫’ উদ্যাপন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’য় গতকাল মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মানুষের ঢল নামে। শিল্পীদের পরিবেশনার পাশাপাশি ফ্যাসিস্টের পলায়ন ক্ষণ উদ্যাপন এবং জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ ছিল আকর্ষণের কেন্দ্রে। শাহবাগে স্থাপিত হয়েছে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নানা আয়োজনে দিবসটি পালিত হয় আনন্দে-উচ্ছ্বাসে।
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সকাল থেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে জমায়েত হয় ছাত্র-জনতা। কারও মাথায় জাতীয় পতাকা বাঁধা, কেউ আবার নিয়েছে হাতে। বৃষ্টির জন্য এক ঘণ্টা পিছিয়ে দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আয়োজন। তারা গেয়ে শোনায় ‘এ দেশ আমার বাংলাদেশ’, ‘আয় তারুণ্য আয়’ সম্মেলক গান। সাইমুমের শিল্পী ওবায়দুল্লাহ তারেক শোনান ‘ওমা আর কেঁদো না’, মশিউর রহমান শোনান ‘যাদের জন্য পেলাম আবার নতুন বাংলাদেশ’। শেষে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে নিয়ে জারি গান দিয়ে শেষ হয় তাদের পরিবেশনা।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনসমুদ্রে পরিণত হয় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ। একে একে মঞ্চে আসে কলরব শিল্পীগোষ্ঠী, শিল্পী নাহিদ ও তাশফি। তাঁরা নিজেদের ও দেশের গানে মুগ্ধ করেন ছাত্র-জনতাকে। গানের সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। বিজয়ের বর্ষপূর্তিকে রাঙিয়ে তুলতে অনেকেই পরিবারসহ এসেছেন।
ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত বছর ৫ আগস্ট ঠিক ২টা ২৫ মিনিটে দেশ ছেড়েছিলেন শেখ হাসিনা। সেই পলায়ন ক্ষণকে ফুটিয়ে তুলতে কৃত্রিম হেলিকপ্টারের বেলুন উড়িয়ে দেওয়া হয়। জনতার হাতে দেওয়া হয় ফ্লেয়ার। ফ্লেয়ার থেকে লাল ও সবুজ ধোঁয়া উড়ছে। ওপরে উড়ে যাচ্ছে বেলুনের হেলিকপ্টার। এক অন্য রকম দৃশ্যের অবতারণা হয়।
পরে মঞ্চে ওঠে চিটাগং হিপহপ হুড, র্যাপার সেজান, ব্যান্ড দল শূন্য, কণ্ঠশিল্পী ইথুন বাবু ও মৌসুমী। বিকেল ৫টার পরে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রধান উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সিনিয়র সচিব, বিভিন্ন বাহিনী ও দপ্তর-সংস্থার প্রধান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, সুশীল সমাজ ও ছাত্র প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠের অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রথমেই দেখানো হয় জুলাই যোদ্ধা মাহাবুবুলের ওপরে নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র। প্রারম্ভিক বক্তব্য দেন শহীদ মাহমুদুর রহমান সৈকতের বোন সাবরিনা আফরোজ সেবন্তী। তিনি বলেন, ‘দেশের ভবিষ্যৎ যখন সম্পূর্ণ অন্ধকারাচ্ছন্ন মনে হচ্ছিল, সামনে কোনো আলোর দিশারি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন এই সফল গণ-অভ্যুত্থানই আমাদের আবার নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখাল। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে আমরা যেন কিছুতেই লক্ষ্যচ্যুত না হই।’
এরপরে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ঘোষণাপত্র পাঠের পরে আবার শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে মঞ্চে আসেন শিল্পী সায়ান, ব্যান্ড সোলস, ওয়ারফেজ, বেসিক গিটার লার্নিং স্কুল, ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ব্যান্ড এফ মাইনর, কণ্ঠশিল্পী পারশা মাহজাবিন, কণ্ঠশিল্পী এলিটা করিম এবং আর্টসেল। পুরো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ব্যান্ড ও দলের ২৫০ জনের অধিক শিল্পী অংশ নেন। সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় স্পেশাল ড্রোন ড্রামা শো ‘ডু ইউ মিস মি?’। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জুলহাজ্জ জুবায়ের ও সারা আলম।
দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সংসদ ভবনের সামনের সড়কে প্রবেশ করার মুখে ও সংসদ ভবন এলাকায় পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী, বিজিবির টহলসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নজরদারি রাখেন। দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় ফায়ার সার্ভিস ও আনসার সদস্যদেরও। নিরাপত্তার বিষয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ, র্যাবসহ সেনাবাহিনী, বিজিবির টহল রয়েছে। উচ্চ ধারণক্ষমতাসম্পন্ন সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
মূল মঞ্চ ছাড়াও পুরো অ্যাভিনিউতে বসানো হয় চারটি বড় স্ক্রিন। সংসদ ভবনের মূল ফটকের পাশে ছিল লাইভ স্ক্রিন ও গেম শো স্টল। ‘হাসিনা পালায় না’ এমন প্রতীকী খেলার আয়োজনও ছিল। স্ক্রিনে ভার্চুয়াল শেখ হাসিনার দৌড়ানোর খেলায় ধাওয়া করে অংশ নেয় অনেকে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে রাখা হয় পানির ব্যবস্থা। পুরো অনুষ্ঠান সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয়।
‘হেলিকপ্টার বেলুন’ ওড়াতে গিয়ে বিস্ফোরণে দগ্ধ ১১ জন
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট হেলিকপ্টারে করে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই ক্ষণকে তুলে ধরতে হেলিকপ্টার আকৃতির শতাধিক বেলুন ওড়ানো হয়। জনতার হাতে দেওয়া হয় ফ্লেয়ার। ফ্লেয়ারের আগুন বেলুনে থাকা গ্যাসের সংস্পর্শে এলে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ১১ জন দগ্ধ হয়েছে। তাদের গায়ের কিছু অংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। আয়োজনের স্পিকারের তারেও আগুন লাগে। পরে ড্রোনের পাখার বাতাসে আগুন নিভিয়ে দেওয়া হয়। দগ্ধদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান জানান, দুপুরে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে দগ্ধ ১১ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে এসেছেন। তাঁদের সবার হাত ও মুখ সামান্য দগ্ধ হয়েছে। কারও অবস্থা গুরুতর নয়। সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও যা ছিল রাজধানী ও দেশজুড়ে
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের অনুষ্ঠান ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বছরপূর্তি এবং ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস ২০২৫’ পালন করে। রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে স্থাপন করা হয়েছে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। দিনটি উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় একটি স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ ছাড়া গণভবনে নির্মাণাধীন ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’-এর নির্মাণকাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেন প্রধান উপদেষ্টা। জাদুঘরটি ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট, সংগ্রাম, শহীদ এবং বিজয়ের স্মারক হিসেবে নির্মাণাধীন। নির্মাণ এলাকায় পৌঁছে প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী, স্থপতি এবং কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং দ্রুততম সময়ে কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিভিন্ন মোটিফ নিয়ে বিজয় শোভাযাত্রা করে বাংলাদেশি চারুশিল্পী সংসদ। মহাখালীতে ‘সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যবৃন্দ-ছাত্র-জনতার ঐক্য শোভাযাত্রা’ বের হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের শিক্ষকেরা শোভাযাত্রা বের করেন, রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বের করা হয় শোভাযাত্রা, খুলনায় ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ ও খুলনা সাইক্লিং কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় সাইকেল শোভাযাত্রা। রাজবাড়ীতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ আবদুল গণির সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জুলাই শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধারা।

আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঠেকানো যাচ্ছে না বুঝতে পেরে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে শেষ মরণ আঘাত হানে পাকিস্তানি বাহিনী।
১ ঘণ্টা আগে
প্রেস উইং জানিয়েছে, আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঠেকানো যাচ্ছে না বুঝতে পেরে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে শেষ মরণ আঘাত হানে পাকিস্তানি বাহিনী। পরিকল্পিতভাবে একযোগে বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। বিজয়ের পরই তাঁদের অনেকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহের সন্ধান মেলে।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগী স্থানীয় আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্যরাই মূলত বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছিল। আর এই দুই বাহিনীর মূল শক্তি ছিল স্বাধীনতাবিরোধী প্রধান রাজনৈতিক শক্তি জামায়াতে ইসলামীর তখনকার সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের নেতাকর্মীরা। পাকসেনাদের আত্মসমর্পণের আগে ঢাকা শহরে ঘন ঘন কারফিউয়ের মধ্যে মাইক্রোবাস নিয়ে বেরিয়ে অনেক বুদ্ধিজীবীকে ধরে নেওয়া হয়েছিল। তাদের সহায়তা করেছিল ছাত্রসংঘের নেতাকর্মীরা।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৩ সালে ৩ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় জন শিক্ষক, ছয় জন সাংবাদিক ও তিনজন চিকিৎসকসহ ১৮ বুদ্ধিজীবীকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে ছাত্রসংঘের দুই কেন্দ্রীয় নেতা ও আলবদর কমান্ডার আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। পলাতক আশরাফুজ্জামান বর্তমানে আছেন যুক্তরাষ্ট্রে, আর মুঈনুদ্দীন যুক্তরাজ্যে। দুই দেশই তাদের ফেরত দিচ্ছে না।
ট্রাইব্যনালের ১৫৪ পৃষ্ঠার রায়ে উঠে এসেছে, কীভাবে আশরাফুজ্জামান ও মুঈনুদ্দীন ১৯৭১ সালের ১১ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আল বদর সদস্যদের নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের অপহরণ ও হত্যার পর বধ্যভূমিতে লাশ গুম করেছিলেন। আশরাফুজ্জামান ছিলেন হত্যাযজ্ঞের ‘চিফ এক্সিকিউটর’ ও মুঈনুদ্দীন ‘অপারেশন ইনচার্জ’। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আশরাফুজ্জামানের নাখালপাড়ার বাসা থেকে উদ্ধার করা ব্যক্তিগত দিনপঞ্জিতে হত্যার পরিকল্পনা ও একটি তালিকাও পাওয়া যায়।
জামায়াতের এই দুই ছাত্র নেতা ও তাদের সহযোগীদের হাতে নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নাট্যকার মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, ড. সিরাজুল হক খান, ড. আবুল খায়ের, ড. ফয়জুল মহিউদ্দিন, অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা ও ড. সন্তোষ ভট্টাচার্য।

সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেন, সৈয়দ নাজমুল হক, এএনএম গোলাম মুস্তাফা, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, সেলিনা পারভীন, শহীদুল্লাহ কায়সার এবং চিকিৎসক মো. মর্তুজা, মো. ফজলে রাব্বি ও আলিম চৌধুরীকেও হত্যার পর গুম করে তারা।
‘ফ্যাসিস্ট’ জামায়াত
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে দল হিসাবে জামায়াতে ইসলামীর প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার বিষয়টি ট্রাইব্যুনালের রায়ে উঠে এসেছিল। আদালত বলেছিল, সেই সময় জামায়াতে ইসলামী একটি ফ্যাসিস্ট সংগঠন হিসাবে কাজ করেছে। ‘কিলিং স্কোয়াড’ আল বদরের নিয়ন্ত্রণ জামায়াতের হাতেই ছিল।
রায়ে বলা হয়, এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, ফ্যাসিস্ট জামায়াতে ইসলামীর সংগঠিত মহাপরিকল্পনার আলোকেই সে সময় আল বদর বাহিনীকে নামানো হয়। বাঙালি জাতিকে প্যারালাইজড করতে তারা বুদ্ধিজীবী-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিহীন করতে চেয়েছিল।
একাত্তরের ১৩ ডিসেম্বর দৈনিক শিলালিপির সম্পাদক সেলিনা পারভীনকে অপহরণের পর হত্যার বিষয়টি উল্লেখ করে রায়ে বলা হয়, ‘সন্তানের জন্য সেলিনা পারভীন প্রাণ ভিক্ষা চান, তাকে ছেড়ে দিতে বলেন। তার ছোট একটি ছেলে রয়েছে, যাকে দেখাশুনা করার আর কেউ নেই। কিন্তু নিষ্ঠুর হত্যাকারীরা তাকে ছাড়েনি। বেয়নেট দিয়ে তাকে তাতক্ষণিকভাবে হত্যা করা হয় বলে প্রসিকিউশনের ২২ নম্বর সাক্ষী জানিয়েছেন। সেলিনা পারভীন ছিলেন একজন মা। ভীতিকর আক্রমণ কেবল সেলিনা পারভীনের ওপরই করা হয় নাই। বরং মাতৃত্বের ওপরও হয়েছে। এটা বরং মাতৃহন্তাও। অবর্ণনীয় এই নিষ্ঠুরতা মানবতার বিবেককে আঘাত করেছে।’
এর আগে জামায়াতের মুক্তিযুদ্ধকালীন আমির গোলাম আযমের যুদ্ধাপরাধের বিচারের রায়ে দলটিকে ‘সন্ত্রাসী দল’ আখ্যা দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। জিয়াউর রহমান ও এরশাদ সরকারের আমলে পুলিশ প্রহরায় মুঈনুদ্দীনকে দেশে আসার সুযোগ করে দেয়ায় ওই দুই সামরিক শাসককেও ধিক্কার জানানো হয়েছে রায়ের পর্যবেক্ষণে।
রায়ে বলা হয়, ‘এটা জাতির বড় একটি বিরাট লজ্জা (গ্রেট শেম) যে, জিয়া ও এরশাদ তাকে গ্রামের বাড়িতে যেতে দিয়েছেন। আত্মগোপনে গিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া এই আসামিকে সে সময় পুলিশি নিরাপত্তাও দেয়া হয়। বিচারের মুখোমুখি করার পরিবর্তে তাকে রাষ্ট্রীয় মেশিনারি দিয়ে সম্মান দেয়া হলো।’

আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঠেকানো যাচ্ছে না বুঝতে পেরে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে শেষ মরণ আঘাত হানে পাকিস্তানি বাহিনী। পরিকল্পিতভাবে একযোগে বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। বিজয়ের পরই তাঁদের অনেকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহের সন্ধান মেলে।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগী স্থানীয় আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্যরাই মূলত বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছিল। আর এই দুই বাহিনীর মূল শক্তি ছিল স্বাধীনতাবিরোধী প্রধান রাজনৈতিক শক্তি জামায়াতে ইসলামীর তখনকার সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের নেতাকর্মীরা। পাকসেনাদের আত্মসমর্পণের আগে ঢাকা শহরে ঘন ঘন কারফিউয়ের মধ্যে মাইক্রোবাস নিয়ে বেরিয়ে অনেক বুদ্ধিজীবীকে ধরে নেওয়া হয়েছিল। তাদের সহায়তা করেছিল ছাত্রসংঘের নেতাকর্মীরা।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৩ সালে ৩ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় জন শিক্ষক, ছয় জন সাংবাদিক ও তিনজন চিকিৎসকসহ ১৮ বুদ্ধিজীবীকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে ছাত্রসংঘের দুই কেন্দ্রীয় নেতা ও আলবদর কমান্ডার আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। পলাতক আশরাফুজ্জামান বর্তমানে আছেন যুক্তরাষ্ট্রে, আর মুঈনুদ্দীন যুক্তরাজ্যে। দুই দেশই তাদের ফেরত দিচ্ছে না।
ট্রাইব্যনালের ১৫৪ পৃষ্ঠার রায়ে উঠে এসেছে, কীভাবে আশরাফুজ্জামান ও মুঈনুদ্দীন ১৯৭১ সালের ১১ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আল বদর সদস্যদের নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের অপহরণ ও হত্যার পর বধ্যভূমিতে লাশ গুম করেছিলেন। আশরাফুজ্জামান ছিলেন হত্যাযজ্ঞের ‘চিফ এক্সিকিউটর’ ও মুঈনুদ্দীন ‘অপারেশন ইনচার্জ’। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আশরাফুজ্জামানের নাখালপাড়ার বাসা থেকে উদ্ধার করা ব্যক্তিগত দিনপঞ্জিতে হত্যার পরিকল্পনা ও একটি তালিকাও পাওয়া যায়।
জামায়াতের এই দুই ছাত্র নেতা ও তাদের সহযোগীদের হাতে নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নাট্যকার মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, ড. সিরাজুল হক খান, ড. আবুল খায়ের, ড. ফয়জুল মহিউদ্দিন, অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা ও ড. সন্তোষ ভট্টাচার্য।

সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেন, সৈয়দ নাজমুল হক, এএনএম গোলাম মুস্তাফা, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, সেলিনা পারভীন, শহীদুল্লাহ কায়সার এবং চিকিৎসক মো. মর্তুজা, মো. ফজলে রাব্বি ও আলিম চৌধুরীকেও হত্যার পর গুম করে তারা।
‘ফ্যাসিস্ট’ জামায়াত
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে দল হিসাবে জামায়াতে ইসলামীর প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার বিষয়টি ট্রাইব্যুনালের রায়ে উঠে এসেছিল। আদালত বলেছিল, সেই সময় জামায়াতে ইসলামী একটি ফ্যাসিস্ট সংগঠন হিসাবে কাজ করেছে। ‘কিলিং স্কোয়াড’ আল বদরের নিয়ন্ত্রণ জামায়াতের হাতেই ছিল।
রায়ে বলা হয়, এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, ফ্যাসিস্ট জামায়াতে ইসলামীর সংগঠিত মহাপরিকল্পনার আলোকেই সে সময় আল বদর বাহিনীকে নামানো হয়। বাঙালি জাতিকে প্যারালাইজড করতে তারা বুদ্ধিজীবী-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিহীন করতে চেয়েছিল।
একাত্তরের ১৩ ডিসেম্বর দৈনিক শিলালিপির সম্পাদক সেলিনা পারভীনকে অপহরণের পর হত্যার বিষয়টি উল্লেখ করে রায়ে বলা হয়, ‘সন্তানের জন্য সেলিনা পারভীন প্রাণ ভিক্ষা চান, তাকে ছেড়ে দিতে বলেন। তার ছোট একটি ছেলে রয়েছে, যাকে দেখাশুনা করার আর কেউ নেই। কিন্তু নিষ্ঠুর হত্যাকারীরা তাকে ছাড়েনি। বেয়নেট দিয়ে তাকে তাতক্ষণিকভাবে হত্যা করা হয় বলে প্রসিকিউশনের ২২ নম্বর সাক্ষী জানিয়েছেন। সেলিনা পারভীন ছিলেন একজন মা। ভীতিকর আক্রমণ কেবল সেলিনা পারভীনের ওপরই করা হয় নাই। বরং মাতৃত্বের ওপরও হয়েছে। এটা বরং মাতৃহন্তাও। অবর্ণনীয় এই নিষ্ঠুরতা মানবতার বিবেককে আঘাত করেছে।’
এর আগে জামায়াতের মুক্তিযুদ্ধকালীন আমির গোলাম আযমের যুদ্ধাপরাধের বিচারের রায়ে দলটিকে ‘সন্ত্রাসী দল’ আখ্যা দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। জিয়াউর রহমান ও এরশাদ সরকারের আমলে পুলিশ প্রহরায় মুঈনুদ্দীনকে দেশে আসার সুযোগ করে দেয়ায় ওই দুই সামরিক শাসককেও ধিক্কার জানানো হয়েছে রায়ের পর্যবেক্ষণে।
রায়ে বলা হয়, ‘এটা জাতির বড় একটি বিরাট লজ্জা (গ্রেট শেম) যে, জিয়া ও এরশাদ তাকে গ্রামের বাড়িতে যেতে দিয়েছেন। আত্মগোপনে গিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া এই আসামিকে সে সময় পুলিশি নিরাপত্তাও দেয়া হয়। বিচারের মুখোমুখি করার পরিবর্তে তাকে রাষ্ট্রীয় মেশিনারি দিয়ে সম্মান দেয়া হলো।’

মেঘে ঢাকা আকাশ। থেমে থেমে বৃষ্টি। দিনভর এমন অস্বস্তিকর আবহাওয়ায়ও আটকে থাকেনি ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস ২০২৫’ উদ্যাপন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’য় গতকাল মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মানুষের ঢল নামে।
০৬ আগস্ট ২০২৫
প্রেস উইং জানিয়েছে, আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর, ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত দুদিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছে। আজ এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, বর্তমানে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে।
আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাকসিডেন্ট ইমার্জেন্সি বিভাগে তাঁর চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ওসমান হাদির চিকিৎসাসংক্রান্ত সব ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। তাঁর চিকিৎসাপ্রক্রিয়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন ড. ইউনূস।
ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর, ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত দুদিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছে। আজ এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, বর্তমানে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে।
আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাকসিডেন্ট ইমার্জেন্সি বিভাগে তাঁর চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ওসমান হাদির চিকিৎসাসংক্রান্ত সব ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। তাঁর চিকিৎসাপ্রক্রিয়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন ড. ইউনূস।
ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

মেঘে ঢাকা আকাশ। থেমে থেমে বৃষ্টি। দিনভর এমন অস্বস্তিকর আবহাওয়ায়ও আটকে থাকেনি ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস ২০২৫’ উদ্যাপন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’য় গতকাল মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মানুষের ঢল নামে।
০৬ আগস্ট ২০২৫
আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঠেকানো যাচ্ছে না বুঝতে পেরে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে শেষ মরণ আঘাত হানে পাকিস্তানি বাহিনী।
১ ঘণ্টা আগে
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, পছন্দসই পদায়নের জন্য রাজনৈতিক পদলেহন পরিহার করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আইন বৃহত্তর রাজনীতির একটা অঙ্গ হলেও বিচারকদের রাজনীতির উর্ধ্বে ওঠার প্রয়াস রপ্ত করতে হয়। কেবল ক্ষমতাবান শাসকশ্রেণির পক্ষে প্রয়োজনীয় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব নিলে বিচার বিভাগের আলাদা কোনো অস্তিত্বেরই প্রয়োজন নেই। সে কাজের জন্য নির্বাহী বিভাগ ও পুলিশই যথেষ্ট। রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ভিত্তি যে আদর্শকেই ধারণ করে গড়ে ওঠুক না কেন, বিচারকদের সুনীতি ও সুবিবেচনা বজায় রেখে কাজ করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আজ রোববার জেলা ও মহানগর দায়রা জজ এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে দেওয়া বিদায়ী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে গত বছরের ১১ আগস্ট ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন রেফাত আহমেদ। অবসর নেওয়ার আগে আজ বিদায়ী ভাষণ দেন তিনি। ২৭ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন রেফাত আহমেদ।
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে। শুনানিকালে কোনো বিশেষ পদবিধারী ব্যক্তি বা ক্ষমতাবান পক্ষকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া বিচারকের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত নয়।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘এই পৃথক সচিবালয় (সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়) প্রতিষ্ঠার কোনো স্বার্থকতা নেই, যদি না আমরা ব্যক্তিগত অসততার ব্যাপারে সতর্ক থাকি। একটি স্বাধীন সচিবালয় কেবল শুরু, সর্বশেষ উদ্দেশ্য নয়। আপনাদের উচিত, সততা আর যোগ্যতার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হওয়া। অনুপার্জিত অর্থের বাসনা, অন্যায্য বিলাসী জীবন এবং অসংগত ক্ষমতার প্রতিপত্তি যদি আমাদের মনকে কলুষিত করে রাখে, তাহলে পৃথিবীর কোনো আইনি বিধানই আমাদের সামষ্টিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারবে না।’
বিচারকদের উদ্দেশে রেফাত আহমেদ আরও বলেন, ‘উন্নত জীবনমান ও কর্মপরিবেশের প্রতি প্রত্যাশা কখনোই ব্যক্তিগত ভোগ, আত্মতুষ্টি কিংবা সামাজিক মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্য হতে পারে না। এর অন্তরে থাকতে হবে বিচারিক সক্ষমতার উন্নয়ন, জ্ঞানচর্চার সম্প্রসারণ এবং উচ্চমানের কর্মদক্ষতা অর্জনের সৎ প্রেরণা। এটি অনস্বীকার্য যে, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থায় চাকরিকালীন প্রশিক্ষণ সংস্কৃতি এখনো কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছায়নি। প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য আমরা এখনো একটি আধুনিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারিনি। তবে বিদ্যমান সুযোগের ন্যূনতম সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বিচারকদের বড় অংশের অনীহা ও কার্পণ্য পরিলক্ষিত হয়। তাই আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ—জ্ঞান অর্জন ও পাঠাভ্যাসকে আপনারা জীবনের পরম দায় হিসেবে নেবেন।’

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, পছন্দসই পদায়নের জন্য রাজনৈতিক পদলেহন পরিহার করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আইন বৃহত্তর রাজনীতির একটা অঙ্গ হলেও বিচারকদের রাজনীতির উর্ধ্বে ওঠার প্রয়াস রপ্ত করতে হয়। কেবল ক্ষমতাবান শাসকশ্রেণির পক্ষে প্রয়োজনীয় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব নিলে বিচার বিভাগের আলাদা কোনো অস্তিত্বেরই প্রয়োজন নেই। সে কাজের জন্য নির্বাহী বিভাগ ও পুলিশই যথেষ্ট। রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ভিত্তি যে আদর্শকেই ধারণ করে গড়ে ওঠুক না কেন, বিচারকদের সুনীতি ও সুবিবেচনা বজায় রেখে কাজ করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আজ রোববার জেলা ও মহানগর দায়রা জজ এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে দেওয়া বিদায়ী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে গত বছরের ১১ আগস্ট ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন রেফাত আহমেদ। অবসর নেওয়ার আগে আজ বিদায়ী ভাষণ দেন তিনি। ২৭ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন রেফাত আহমেদ।
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে। শুনানিকালে কোনো বিশেষ পদবিধারী ব্যক্তি বা ক্ষমতাবান পক্ষকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া বিচারকের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত নয়।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘এই পৃথক সচিবালয় (সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়) প্রতিষ্ঠার কোনো স্বার্থকতা নেই, যদি না আমরা ব্যক্তিগত অসততার ব্যাপারে সতর্ক থাকি। একটি স্বাধীন সচিবালয় কেবল শুরু, সর্বশেষ উদ্দেশ্য নয়। আপনাদের উচিত, সততা আর যোগ্যতার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হওয়া। অনুপার্জিত অর্থের বাসনা, অন্যায্য বিলাসী জীবন এবং অসংগত ক্ষমতার প্রতিপত্তি যদি আমাদের মনকে কলুষিত করে রাখে, তাহলে পৃথিবীর কোনো আইনি বিধানই আমাদের সামষ্টিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারবে না।’
বিচারকদের উদ্দেশে রেফাত আহমেদ আরও বলেন, ‘উন্নত জীবনমান ও কর্মপরিবেশের প্রতি প্রত্যাশা কখনোই ব্যক্তিগত ভোগ, আত্মতুষ্টি কিংবা সামাজিক মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্য হতে পারে না। এর অন্তরে থাকতে হবে বিচারিক সক্ষমতার উন্নয়ন, জ্ঞানচর্চার সম্প্রসারণ এবং উচ্চমানের কর্মদক্ষতা অর্জনের সৎ প্রেরণা। এটি অনস্বীকার্য যে, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থায় চাকরিকালীন প্রশিক্ষণ সংস্কৃতি এখনো কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছায়নি। প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য আমরা এখনো একটি আধুনিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারিনি। তবে বিদ্যমান সুযোগের ন্যূনতম সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বিচারকদের বড় অংশের অনীহা ও কার্পণ্য পরিলক্ষিত হয়। তাই আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ—জ্ঞান অর্জন ও পাঠাভ্যাসকে আপনারা জীবনের পরম দায় হিসেবে নেবেন।’

মেঘে ঢাকা আকাশ। থেমে থেমে বৃষ্টি। দিনভর এমন অস্বস্তিকর আবহাওয়ায়ও আটকে থাকেনি ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস ২০২৫’ উদ্যাপন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’য় গতকাল মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মানুষের ঢল নামে।
০৬ আগস্ট ২০২৫
আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঠেকানো যাচ্ছে না বুঝতে পেরে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে শেষ মরণ আঘাত হানে পাকিস্তানি বাহিনী।
১ ঘণ্টা আগে
প্রেস উইং জানিয়েছে, আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সানাউল্লাহ বলেন, ‘আজকে একটা বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মূলত আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের ডেকেছিলাম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এতে তফসিল ঘোষণার পর থেকে এই পর্যন্ত উদ্ভূত বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। সামনের আমাদের কার্যক্রম এবং কৌশল কী হওয়া উচিত—সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি এবং তাঁদের বিভিন্ন মত শুনেছি।’
সানাউল্লাহ আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময় একটা ঘটনা, যেটা আমাদের সবার সবাইকে উদ্বিগ্ন করেছে। শরিফ ওসমান হাদির ওপরে চোরাগোপ্তা হামলা। সেটা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলছি না। সেখানকার আরও কিছু বিষয় সম্বন্ধে আমরা অবহিত হয়েছে। যেগুলোর সাথে নির্বাচন এবং নির্বাচন কমিশনের স্বার্থ জড়িত।’
সানাউল্লাহ বলেন, ‘এখানে কয়েকটা বিষয় উঠে এসেছে যে ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হচ্ছে সন্দেহভাজন হিসেবে। তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই একটা সখ্যতা গড়ে তুলে অত্যন্ত কাছে গিয়েছে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে যে তার একটা অতীত আছে, পেছনে তার একটা রাজনৈতিক ইন্টারেসিডেন্স (মধ্যস্থতা বা হস্তক্ষেপ) আছে এবং তার একটা ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে। সেটা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে আমরা জানতে পারলাম যে রেবেল হান্ট বিশেষ করে—এক শুরু হওয়ার পর থেকে যেসব সন্ত্রাসীদের অ্যারেস্ট করা হয়েছিল, তাদের একটা বড় সংখ্যা ইতিমধ্যে জামিন পেয়ে গেছে এবং তারা সমাজে বিরাজ করছে। এটা নিয়ে আমাদের কী করণীয়—সেটা নিয়ে আমরা কথা বলেছি।’
দেশে চোরাগোপ্তা হামলার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সামনেও যে এটা সম্ভাবনা নাই, তা-ও বলছি না। আজকের মূল উদ্দেশ্য ছিল যাতে করে এই ধরনের হামলার ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে বা এগুলো যাতে কঠোর হস্তে দমন করা হয় ... নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মেসেজ ইজ ভেরি ক্লিয়ার। নির্বাচন নিয়ে কোনো আশঙ্কা নাই।’
প্রার্থীদের বৈধ অস্ত্র ও লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য নজরে আনলে এই নির্বাচন কমিশনার বলে, ‘আমার সাথে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। কমিশনের সাথে কোনো আলোচনা হয়েছে বলে আমার জানা নাই। উনি কী মন্তব্য করেছেন, কোন প্রেক্ষাপটে করেছেন, আমি যদি জানি পরে আমি আলোকপাত করতে পারব।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর আরও চোরাগোপ্তা হামলার শঙ্কা দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সানাউল্লাহ বলেন, ‘আজকে একটা বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মূলত আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের ডেকেছিলাম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এতে তফসিল ঘোষণার পর থেকে এই পর্যন্ত উদ্ভূত বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। সামনের আমাদের কার্যক্রম এবং কৌশল কী হওয়া উচিত—সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি এবং তাঁদের বিভিন্ন মত শুনেছি।’
সানাউল্লাহ আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময় একটা ঘটনা, যেটা আমাদের সবার সবাইকে উদ্বিগ্ন করেছে। শরিফ ওসমান হাদির ওপরে চোরাগোপ্তা হামলা। সেটা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলছি না। সেখানকার আরও কিছু বিষয় সম্বন্ধে আমরা অবহিত হয়েছে। যেগুলোর সাথে নির্বাচন এবং নির্বাচন কমিশনের স্বার্থ জড়িত।’
সানাউল্লাহ বলেন, ‘এখানে কয়েকটা বিষয় উঠে এসেছে যে ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হচ্ছে সন্দেহভাজন হিসেবে। তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই একটা সখ্যতা গড়ে তুলে অত্যন্ত কাছে গিয়েছে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে যে তার একটা অতীত আছে, পেছনে তার একটা রাজনৈতিক ইন্টারেসিডেন্স (মধ্যস্থতা বা হস্তক্ষেপ) আছে এবং তার একটা ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে। সেটা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে আমরা জানতে পারলাম যে রেবেল হান্ট বিশেষ করে—এক শুরু হওয়ার পর থেকে যেসব সন্ত্রাসীদের অ্যারেস্ট করা হয়েছিল, তাদের একটা বড় সংখ্যা ইতিমধ্যে জামিন পেয়ে গেছে এবং তারা সমাজে বিরাজ করছে। এটা নিয়ে আমাদের কী করণীয়—সেটা নিয়ে আমরা কথা বলেছি।’
দেশে চোরাগোপ্তা হামলার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সামনেও যে এটা সম্ভাবনা নাই, তা-ও বলছি না। আজকের মূল উদ্দেশ্য ছিল যাতে করে এই ধরনের হামলার ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে বা এগুলো যাতে কঠোর হস্তে দমন করা হয় ... নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মেসেজ ইজ ভেরি ক্লিয়ার। নির্বাচন নিয়ে কোনো আশঙ্কা নাই।’
প্রার্থীদের বৈধ অস্ত্র ও লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য নজরে আনলে এই নির্বাচন কমিশনার বলে, ‘আমার সাথে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। কমিশনের সাথে কোনো আলোচনা হয়েছে বলে আমার জানা নাই। উনি কী মন্তব্য করেছেন, কোন প্রেক্ষাপটে করেছেন, আমি যদি জানি পরে আমি আলোকপাত করতে পারব।’

মেঘে ঢাকা আকাশ। থেমে থেমে বৃষ্টি। দিনভর এমন অস্বস্তিকর আবহাওয়ায়ও আটকে থাকেনি ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস ২০২৫’ উদ্যাপন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’য় গতকাল মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মানুষের ঢল নামে।
০৬ আগস্ট ২০২৫
আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের কয়েক দিন আগেই পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঠেকানো যাচ্ছে না বুঝতে পেরে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে শেষ মরণ আঘাত হানে পাকিস্তানি বাহিনী।
১ ঘণ্টা আগে
প্রেস উইং জানিয়েছে, আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
প্রধান বিচারপতি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ বন্ধ করতে হবে। জনগণের জন্য সংক্ষিপ্ত সময়ে সুবিচার নিশ্চিত করতে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগে