Ajker Patrika

ভূমিহীনের ঘর নির্মাণে অনিয়ম ও নারী সহকর্মীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক: দুই কর্মকর্তাকে ‘তিরস্কার’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভূমিহীনের ঘর নির্মাণে অনিয়ম ও নারী সহকর্মীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক: দুই কর্মকর্তাকে ‘তিরস্কার’

ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণে অনিয়ম এবং নারী সহকর্মীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার দায়ে প্রশাসনের দুই কর্মকর্তাকে ‘তিরস্কার’ সূচক লঘুদণ্ড দিয়েছে সরকার। 

বিভাগীয় মামলা ও তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুই কর্মকর্তাকে লঘুদণ্ড দিয়ে গত ২৭ অক্টোবর পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার সেটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। 

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কেএম আলী আজমের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) সারোয়ার সালাম চাকরিকালে মৌলভীবাজারের একটি উপজেলার এক নারী কর্মকর্তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া এবং নিজের স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন ও বিয়ের অনুমতি দিতে স্ত্রীকে চাপ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে বিভাগীয় মামলা ও ব্যক্তিগত শুনানি হয়। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিবকে দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা গত ১৯ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত বলে দেখতে পেয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অন্য অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়নি। 

তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগের মাত্রা ও প্রাসঙ্গিক সব বিষয় বিবেচনায় সারোয়ার সালামকে দোষী সাব্যস্ত করে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী ‘তিরস্কার’ সূচক লঘুদণ্ড দেওয়া হলো। 

অপর প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীন ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণে অনিয়ম ও ত্রুটির বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (রাজস্ব) আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্তে ভূমি ও গৃহহীন ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের জন্য আখাউড়া উপজেলায় দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণাধীন ঘরে নির্ধারিত মাপের চেয়ে কম মাপের রড, বেশি দূরত্বে রিং স্থাপন, রডের রিংয়ের পরিবর্তে তারের রিং ব্যবহার—সংক্রান্ত বিভিন্ন অনিয়ম ও ত্রুটি প্রমাণিত হয়। এ ছাড়া নির্মাণের ক্ষেত্রে আরও বেশ কিছু অনিয়ম দেখতে পায় তদন্ত কমিটি। এর ভিত্তিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অভিযুক্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে। 

ব্যক্তিগত শুনানিতে অভিযুক্ত কর্মকর্তা দাবি করেন, তিনি তাঁর দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করেছেন। তবে যে অনিয়ম বা ভুল পাওয়া গেছে, তা তাঁর অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল। তিনি ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে দায় থেকে অব্যাহতি চান। সব বিষয় পর্যালোচনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আইনসংগত আদেশ অমান্যকরণ এবং কর্তব্যে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া যায়, যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার পরিপন্থী। এ জন্য তিনি দণ্ড পাওয়ার যোগ্য। 

তবে সাইফুল ইসলাম নবীন কর্মকর্তা হওয়ায় এবং চাকরি জীবনের অভিজ্ঞতা কম থাকায় অসদাচরণের জন্য দোষী সাব্যস্ত করে তাঁকে তিরস্কারসূচক লঘুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত