সুলতান মাহমুদ, ঢাকা

ফৌজদারি কার্যবিধির ৩২ ধারায় বর্ণিত বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের জরিমানার ক্ষমতা ব্যাপক বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা আগের ১০ হাজার টাকার জায়গায় এখন ৫ লাখ টাকা জরিমানা করতে পারবেন। সংসদ অধিবেশন না থাকায় সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এরই মধ্যে ফৌজদারি কার্যবিধি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ জারি করেছেন। আইন মন্ত্রণালয় গেজেট বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে।
এই সংশোধনী শুধু আইন প্রয়োগের সক্ষমতা নয়, বরং সামগ্রিকভাবে বিচার ব্যবস্থার কার্যকারিতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতেও সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, জরিমানার পরিমান ব্যাপক বাড়ার ফলে অপরাধপ্রবণতার সঙ্গে উচ্চ আদালতে মামলার জট ও সময়ক্ষেপণ কমবে।
১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ৩২ ধারা অনুযায়ী, আদালতে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের নিম্ন বর্ণিত দণ্ড দেওয়ার ক্ষমতা আছে—
* মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারবেন।
* দ্বিতীয় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারবেন।
* তৃতীয় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারবেন।
সংশোধিত ফৌজদারি কার্যবিধি অধ্যাদেশে ৩২ ধারায় বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের আর্থিক জরিমানার সীমা বাড়ানো হয়েছে—
* ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা এখন ১০ হাজার টাকার বদলে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা
* ২য় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা এখন ৫ হাজার টাকার বদলে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা
* ৩য় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা এখন আগের ২ হাজার টাকার বদলে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা

এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে এটি ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বাস্তবমুখী’ পদক্ষেপ। আগে ম্যাজিস্ট্রেটদের জরিমানার ক্ষমতা খুবই সীমিত ছিল। ফলে অনেক অপরাধের সাজার অপর্যাপ্ত হত। আগে বারবার সংঘটিত হওয়া অপরাধের ক্ষেত্রে সামান্য জরিমানা দিয়ে দায়মুক্তি সম্ভব হত। ফলে বিচার ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা কমত এবং অপরাধপ্রবণতা কমানো যেত না। এছাড়া, বড় অঙ্কের জরিমানার প্রয়োজন হলে মামলাগুলো উচ্চ আদালতে পাঠাতে হতো, ফলে মামলার জট ও সময়ক্ষেপণ বেড়ে যেত।
ইশরাত হাসান আরো বলেন, ‘সংশোধনের ফলে ম্যাজিস্ট্রেটরা এখন আর্থিকভাবে যথাযথ জরিমানা আরোপ করতে সক্ষম হবেন। এতে করে অপরাধ দমন সহজ হবে, বিচারিক প্রক্রিয়ার গতি বাড়বে, উচ্চ আদালতের ওপর চাপ কমবে। ফলে বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে। ৩২ ধারার এই সংশোধন শুধু আইন প্রয়োগের সক্ষমতা নয়, বরং সামগ্রিকভাবে বিচার ব্যবস্থার কার্যকারিতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতেও সহায়ক হবে।’
নতুন ধারা যুক্ত
সংশোধিত ফৌজদারি কার্যবিধি অধ্যাদেশে নতুন করে ৪৬এ থেকে ৪৬ই ধারা যুক্ত করা হয়েছে, যেখানে গ্রেপ্তারের সময় পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় প্রদর্শন, গ্রেপ্তারের স্মারকলিপি প্রস্তুত, পরিবারকে অবহিতকরণ, আঘাতপ্রাপ্ত হলে চিকিৎসা নিশ্চিতকরণ, গ্রেপ্তারের তথ্য সরকারি রেজিস্ট্রারে নথিভুক্ত করা এবং হেফাজতে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার যত্ন নেওয়ার মতো বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
৪৬এ ধারায় বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে পুলিশ কর্মকর্তা বা অন্য যে ব্যক্তি গ্রেপ্তার করবেন, তিনি—
(ক) নিজের নামের সঠিক, দৃশ্যমান ও স্পষ্ট পরিচয় বহন করবেন, যা সহজে শনাক্ত করতে সহায়তা করবে;
(খ) নিজের পরিচয় প্রকাশ করবেন এবং দাবি করলে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি ও গ্রেপ্তারের সময় উপস্থিত ব্যক্তিদের তাঁর পরিচয়পত্র দেখাবেন;
(গ) গ্রেপ্তারের একটি স্মারকলিপি প্রস্তুত করবেন, যা—
(i) অন্তত একজন সাক্ষী কর্তৃক স্বাক্ষরিত হবে, যিনি গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্য অথবা গ্রেপ্তারস্থলের কোনো সম্মানিত বাসিন্দা হবেন; এমন কোনো সাক্ষী না থাকলে তার কারণ স্মারকলিপিতে লিপিবদ্ধ করতে হবে;
(ii) গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি স্বাক্ষর বা অঙ্গুলির ছাপ দিয়ে স্বীকৃতি দেবেন, যদি তিনি অস্বীকার না করেন;
(ঘ) যদি আসামিকে তাঁর বাসস্থান ছাড়া অন্য কোথাও থেকে গ্রেপ্তার করা হয়, তবে যত দ্রুত সম্ভব, তবে গ্রেপ্তারের ১২ ঘণ্টার মধ্যে, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির মনোনীত পরিবারের সদস্য, আত্মীয় বা বন্ধুকে গ্রেপ্তারের সময়, স্থান এবং হেফাজতের স্থান জানাতে হবে;
(ঙ) গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেলে, ৪৬ই ধারা অনুযায়ী তাঁকে চিকিৎসক বা নিবন্ধিত চিকিৎসকের মাধ্যমে পরীক্ষা ও প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে হবে; সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সনদ সংগ্রহ করতে হবে এবং আঘাতের কারণ লিপিবদ্ধ করতে হবে;
(চ) গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি চাইলে গ্রেপ্তারের ১২ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর পছন্দের আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ বা নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ দিতে হবে।
৪৬বি. ধারায় সরকারি রেজিস্ট্রার, সাধারণ ডায়েরিতে গ্রেপ্তারের নথিভুক্তকরণ ও গ্রেপ্তারের তথ্য প্রদানের বিধি তুলে ধরা হয়েছে—
(১) গ্রেপ্তারকারী কর্মকর্তা সরকারি রেজিস্ট্রারে গ্রেপ্তারের কারণ, তথ্যদাতা বা অভিযোগকারীর নাম ও বিবরণ, যার কাছে গ্রেপ্তারের তথ্য দেওয়া হয়েছে সেই আত্মীয় বা বন্ধুর নাম ও বিবরণ, এবং গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির হেফাজতকারী কর্মকর্তার নাম ও বিবরণ লিখবেন।
(২) কোনো থানার অধিক্ষেত্রে হওয়া প্রতিটি গ্রেপ্তার অবিলম্বে সেই থানার সাধারণ ডায়েরিতে নথিভুক্ত হবে। গ্রেপ্তারকারী কর্মকর্তা যদি উক্ত থানার সঙ্গে সংযুক্ত না হন, তবে গ্রেপ্তারের পরপরই গ্রেপ্তারের স্মারকলিপির একটি অনুলিপি সেই থানার অফিসার ইনচার্জকে দেবেন এবং তিনি তা সাধারণ ডায়েরিতে নথিভুক্ত করবেন।
(৩) রেজিস্ট্রার বা সাধারণ ডায়েরি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চাহিদা অনুযায়ী গ্রেপ্তারের তথ্য গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির আত্মীয়, বন্ধু বা প্রতিবেশীকে দিতে বাধ্য থাকবেন।
৪৬সি ধারায় বলা হয়েছে—
প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপার বা মহানগরের পুলিশ কমিশনার একজন সহকারী উপপরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নয় এমন একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রতিটি জেলা, মহানগর সদর দপ্তর ও থানায় মনোনীত করবেন, যিনি গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের নাম, ঠিকানা ও অপরাধের ধরন সংরক্ষণ করবেন; এই তথ্য প্রতিটি থানা ও জেলা বা মহানগর সদর দপ্তরে, সম্ভব হলে ডিজিটাল আকারে, সুস্পষ্টভাবে প্রদর্শন করা হবে।
৪৬ডি ধারামতে—
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির হেফাজতকারী ব্যক্তির দায়িত্ব হবে তাঁর স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার যৌক্তিক যত্ন নেওয়া।
৪৬ই. ধারামতে—
(১) গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি অসুস্থ বা আঘাতপ্রাপ্ত মনে হলে, গ্রেপ্তারের পরপরই সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক অথবা চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকলে নিবন্ধিত চিকিৎসকের মাধ্যমে পরীক্ষা ও প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে হবে; তবে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি মহিলা হলে, সম্ভব হলে মহিলা চিকিৎসক বা মহিলা চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে, অথবা মহিলা স্টাফ নার্স বা মহিলা সহকারী উপস্থিতিতে পরীক্ষা করতে হবে।
(২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী পরীক্ষা ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে চিকিৎসক বা নিবন্ধিত চিকিৎসক একটি সনদসহ পরীক্ষা ও চিকিৎসার প্রতিবেদন দেবেন, যা সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা ও গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি বা তাঁর মনোনীত ব্যক্তিকে প্রদান করতে হবে।
(৩) গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি অসুস্থ বা আহত অবস্থায় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির হলে, ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজনীয় চিকিৎসার নির্দেশ দিতে পারবেন; তবে গুরুতর আহত বা অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রয়োজন হলে এবং শারীরিকভাবে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা সম্ভব না হলে, ম্যাজিস্ট্রেটের সন্তুষ্টির ভিত্তিতে ইলেকট্রনিক ভিডিও লিংকের মাধ্যমে হাজির করানো যাবে।

ফৌজদারি কার্যবিধির ৩২ ধারায় বর্ণিত বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের জরিমানার ক্ষমতা ব্যাপক বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা আগের ১০ হাজার টাকার জায়গায় এখন ৫ লাখ টাকা জরিমানা করতে পারবেন। সংসদ অধিবেশন না থাকায় সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এরই মধ্যে ফৌজদারি কার্যবিধি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ জারি করেছেন। আইন মন্ত্রণালয় গেজেট বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে।
এই সংশোধনী শুধু আইন প্রয়োগের সক্ষমতা নয়, বরং সামগ্রিকভাবে বিচার ব্যবস্থার কার্যকারিতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতেও সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, জরিমানার পরিমান ব্যাপক বাড়ার ফলে অপরাধপ্রবণতার সঙ্গে উচ্চ আদালতে মামলার জট ও সময়ক্ষেপণ কমবে।
১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ৩২ ধারা অনুযায়ী, আদালতে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের নিম্ন বর্ণিত দণ্ড দেওয়ার ক্ষমতা আছে—
* মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারবেন।
* দ্বিতীয় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারবেন।
* তৃতীয় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারবেন।
সংশোধিত ফৌজদারি কার্যবিধি অধ্যাদেশে ৩২ ধারায় বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের আর্থিক জরিমানার সীমা বাড়ানো হয়েছে—
* ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা এখন ১০ হাজার টাকার বদলে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা
* ২য় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা এখন ৫ হাজার টাকার বদলে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা
* ৩য় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা এখন আগের ২ হাজার টাকার বদলে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা

এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে এটি ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বাস্তবমুখী’ পদক্ষেপ। আগে ম্যাজিস্ট্রেটদের জরিমানার ক্ষমতা খুবই সীমিত ছিল। ফলে অনেক অপরাধের সাজার অপর্যাপ্ত হত। আগে বারবার সংঘটিত হওয়া অপরাধের ক্ষেত্রে সামান্য জরিমানা দিয়ে দায়মুক্তি সম্ভব হত। ফলে বিচার ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা কমত এবং অপরাধপ্রবণতা কমানো যেত না। এছাড়া, বড় অঙ্কের জরিমানার প্রয়োজন হলে মামলাগুলো উচ্চ আদালতে পাঠাতে হতো, ফলে মামলার জট ও সময়ক্ষেপণ বেড়ে যেত।
ইশরাত হাসান আরো বলেন, ‘সংশোধনের ফলে ম্যাজিস্ট্রেটরা এখন আর্থিকভাবে যথাযথ জরিমানা আরোপ করতে সক্ষম হবেন। এতে করে অপরাধ দমন সহজ হবে, বিচারিক প্রক্রিয়ার গতি বাড়বে, উচ্চ আদালতের ওপর চাপ কমবে। ফলে বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে। ৩২ ধারার এই সংশোধন শুধু আইন প্রয়োগের সক্ষমতা নয়, বরং সামগ্রিকভাবে বিচার ব্যবস্থার কার্যকারিতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতেও সহায়ক হবে।’
নতুন ধারা যুক্ত
সংশোধিত ফৌজদারি কার্যবিধি অধ্যাদেশে নতুন করে ৪৬এ থেকে ৪৬ই ধারা যুক্ত করা হয়েছে, যেখানে গ্রেপ্তারের সময় পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় প্রদর্শন, গ্রেপ্তারের স্মারকলিপি প্রস্তুত, পরিবারকে অবহিতকরণ, আঘাতপ্রাপ্ত হলে চিকিৎসা নিশ্চিতকরণ, গ্রেপ্তারের তথ্য সরকারি রেজিস্ট্রারে নথিভুক্ত করা এবং হেফাজতে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার যত্ন নেওয়ার মতো বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
৪৬এ ধারায় বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে পুলিশ কর্মকর্তা বা অন্য যে ব্যক্তি গ্রেপ্তার করবেন, তিনি—
(ক) নিজের নামের সঠিক, দৃশ্যমান ও স্পষ্ট পরিচয় বহন করবেন, যা সহজে শনাক্ত করতে সহায়তা করবে;
(খ) নিজের পরিচয় প্রকাশ করবেন এবং দাবি করলে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি ও গ্রেপ্তারের সময় উপস্থিত ব্যক্তিদের তাঁর পরিচয়পত্র দেখাবেন;
(গ) গ্রেপ্তারের একটি স্মারকলিপি প্রস্তুত করবেন, যা—
(i) অন্তত একজন সাক্ষী কর্তৃক স্বাক্ষরিত হবে, যিনি গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্য অথবা গ্রেপ্তারস্থলের কোনো সম্মানিত বাসিন্দা হবেন; এমন কোনো সাক্ষী না থাকলে তার কারণ স্মারকলিপিতে লিপিবদ্ধ করতে হবে;
(ii) গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি স্বাক্ষর বা অঙ্গুলির ছাপ দিয়ে স্বীকৃতি দেবেন, যদি তিনি অস্বীকার না করেন;
(ঘ) যদি আসামিকে তাঁর বাসস্থান ছাড়া অন্য কোথাও থেকে গ্রেপ্তার করা হয়, তবে যত দ্রুত সম্ভব, তবে গ্রেপ্তারের ১২ ঘণ্টার মধ্যে, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির মনোনীত পরিবারের সদস্য, আত্মীয় বা বন্ধুকে গ্রেপ্তারের সময়, স্থান এবং হেফাজতের স্থান জানাতে হবে;
(ঙ) গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেলে, ৪৬ই ধারা অনুযায়ী তাঁকে চিকিৎসক বা নিবন্ধিত চিকিৎসকের মাধ্যমে পরীক্ষা ও প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে হবে; সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সনদ সংগ্রহ করতে হবে এবং আঘাতের কারণ লিপিবদ্ধ করতে হবে;
(চ) গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি চাইলে গ্রেপ্তারের ১২ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর পছন্দের আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ বা নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ দিতে হবে।
৪৬বি. ধারায় সরকারি রেজিস্ট্রার, সাধারণ ডায়েরিতে গ্রেপ্তারের নথিভুক্তকরণ ও গ্রেপ্তারের তথ্য প্রদানের বিধি তুলে ধরা হয়েছে—
(১) গ্রেপ্তারকারী কর্মকর্তা সরকারি রেজিস্ট্রারে গ্রেপ্তারের কারণ, তথ্যদাতা বা অভিযোগকারীর নাম ও বিবরণ, যার কাছে গ্রেপ্তারের তথ্য দেওয়া হয়েছে সেই আত্মীয় বা বন্ধুর নাম ও বিবরণ, এবং গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির হেফাজতকারী কর্মকর্তার নাম ও বিবরণ লিখবেন।
(২) কোনো থানার অধিক্ষেত্রে হওয়া প্রতিটি গ্রেপ্তার অবিলম্বে সেই থানার সাধারণ ডায়েরিতে নথিভুক্ত হবে। গ্রেপ্তারকারী কর্মকর্তা যদি উক্ত থানার সঙ্গে সংযুক্ত না হন, তবে গ্রেপ্তারের পরপরই গ্রেপ্তারের স্মারকলিপির একটি অনুলিপি সেই থানার অফিসার ইনচার্জকে দেবেন এবং তিনি তা সাধারণ ডায়েরিতে নথিভুক্ত করবেন।
(৩) রেজিস্ট্রার বা সাধারণ ডায়েরি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চাহিদা অনুযায়ী গ্রেপ্তারের তথ্য গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির আত্মীয়, বন্ধু বা প্রতিবেশীকে দিতে বাধ্য থাকবেন।
৪৬সি ধারায় বলা হয়েছে—
প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপার বা মহানগরের পুলিশ কমিশনার একজন সহকারী উপপরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নয় এমন একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রতিটি জেলা, মহানগর সদর দপ্তর ও থানায় মনোনীত করবেন, যিনি গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের নাম, ঠিকানা ও অপরাধের ধরন সংরক্ষণ করবেন; এই তথ্য প্রতিটি থানা ও জেলা বা মহানগর সদর দপ্তরে, সম্ভব হলে ডিজিটাল আকারে, সুস্পষ্টভাবে প্রদর্শন করা হবে।
৪৬ডি ধারামতে—
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির হেফাজতকারী ব্যক্তির দায়িত্ব হবে তাঁর স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার যৌক্তিক যত্ন নেওয়া।
৪৬ই. ধারামতে—
(১) গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি অসুস্থ বা আঘাতপ্রাপ্ত মনে হলে, গ্রেপ্তারের পরপরই সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক অথবা চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকলে নিবন্ধিত চিকিৎসকের মাধ্যমে পরীক্ষা ও প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে হবে; তবে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি মহিলা হলে, সম্ভব হলে মহিলা চিকিৎসক বা মহিলা চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে, অথবা মহিলা স্টাফ নার্স বা মহিলা সহকারী উপস্থিতিতে পরীক্ষা করতে হবে।
(২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী পরীক্ষা ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে চিকিৎসক বা নিবন্ধিত চিকিৎসক একটি সনদসহ পরীক্ষা ও চিকিৎসার প্রতিবেদন দেবেন, যা সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা ও গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি বা তাঁর মনোনীত ব্যক্তিকে প্রদান করতে হবে।
(৩) গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি অসুস্থ বা আহত অবস্থায় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির হলে, ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজনীয় চিকিৎসার নির্দেশ দিতে পারবেন; তবে গুরুতর আহত বা অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রয়োজন হলে এবং শারীরিকভাবে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা সম্ভব না হলে, ম্যাজিস্ট্রেটের সন্তুষ্টির ভিত্তিতে ইলেকট্রনিক ভিডিও লিংকের মাধ্যমে হাজির করানো যাবে।
সুলতান মাহমুদ, ঢাকা

ফৌজদারি কার্যবিধির ৩২ ধারায় বর্ণিত বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের জরিমানার ক্ষমতা ব্যাপক বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা আগের ১০ হাজার টাকার জায়গায় এখন ৫ লাখ টাকা জরিমানা করতে পারবেন। সংসদ অধিবেশন না থাকায় সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এরই মধ্যে ফৌজদারি কার্যবিধি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ জারি করেছেন। আইন মন্ত্রণালয় গেজেট বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে।
এই সংশোধনী শুধু আইন প্রয়োগের সক্ষমতা নয়, বরং সামগ্রিকভাবে বিচার ব্যবস্থার কার্যকারিতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতেও সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, জরিমানার পরিমান ব্যাপক বাড়ার ফলে অপরাধপ্রবণতার সঙ্গে উচ্চ আদালতে মামলার জট ও সময়ক্ষেপণ কমবে।
১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ৩২ ধারা অনুযায়ী, আদালতে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের নিম্ন বর্ণিত দণ্ড দেওয়ার ক্ষমতা আছে—
* মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারবেন।
* দ্বিতীয় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারবেন।
* তৃতীয় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারবেন।
সংশোধিত ফৌজদারি কার্যবিধি অধ্যাদেশে ৩২ ধারায় বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের আর্থিক জরিমানার সীমা বাড়ানো হয়েছে—
* ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা এখন ১০ হাজার টাকার বদলে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা
* ২য় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা এখন ৫ হাজার টাকার বদলে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা
* ৩য় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা এখন আগের ২ হাজার টাকার বদলে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা

এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে এটি ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বাস্তবমুখী’ পদক্ষেপ। আগে ম্যাজিস্ট্রেটদের জরিমানার ক্ষমতা খুবই সীমিত ছিল। ফলে অনেক অপরাধের সাজার অপর্যাপ্ত হত। আগে বারবার সংঘটিত হওয়া অপরাধের ক্ষেত্রে সামান্য জরিমানা দিয়ে দায়মুক্তি সম্ভব হত। ফলে বিচার ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা কমত এবং অপরাধপ্রবণতা কমানো যেত না। এছাড়া, বড় অঙ্কের জরিমানার প্রয়োজন হলে মামলাগুলো উচ্চ আদালতে পাঠাতে হতো, ফলে মামলার জট ও সময়ক্ষেপণ বেড়ে যেত।
ইশরাত হাসান আরো বলেন, ‘সংশোধনের ফলে ম্যাজিস্ট্রেটরা এখন আর্থিকভাবে যথাযথ জরিমানা আরোপ করতে সক্ষম হবেন। এতে করে অপরাধ দমন সহজ হবে, বিচারিক প্রক্রিয়ার গতি বাড়বে, উচ্চ আদালতের ওপর চাপ কমবে। ফলে বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে। ৩২ ধারার এই সংশোধন শুধু আইন প্রয়োগের সক্ষমতা নয়, বরং সামগ্রিকভাবে বিচার ব্যবস্থার কার্যকারিতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতেও সহায়ক হবে।’
নতুন ধারা যুক্ত
সংশোধিত ফৌজদারি কার্যবিধি অধ্যাদেশে নতুন করে ৪৬এ থেকে ৪৬ই ধারা যুক্ত করা হয়েছে, যেখানে গ্রেপ্তারের সময় পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় প্রদর্শন, গ্রেপ্তারের স্মারকলিপি প্রস্তুত, পরিবারকে অবহিতকরণ, আঘাতপ্রাপ্ত হলে চিকিৎসা নিশ্চিতকরণ, গ্রেপ্তারের তথ্য সরকারি রেজিস্ট্রারে নথিভুক্ত করা এবং হেফাজতে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার যত্ন নেওয়ার মতো বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
৪৬এ ধারায় বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে পুলিশ কর্মকর্তা বা অন্য যে ব্যক্তি গ্রেপ্তার করবেন, তিনি—
(ক) নিজের নামের সঠিক, দৃশ্যমান ও স্পষ্ট পরিচয় বহন করবেন, যা সহজে শনাক্ত করতে সহায়তা করবে;
(খ) নিজের পরিচয় প্রকাশ করবেন এবং দাবি করলে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি ও গ্রেপ্তারের সময় উপস্থিত ব্যক্তিদের তাঁর পরিচয়পত্র দেখাবেন;
(গ) গ্রেপ্তারের একটি স্মারকলিপি প্রস্তুত করবেন, যা—
(i) অন্তত একজন সাক্ষী কর্তৃক স্বাক্ষরিত হবে, যিনি গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্য অথবা গ্রেপ্তারস্থলের কোনো সম্মানিত বাসিন্দা হবেন; এমন কোনো সাক্ষী না থাকলে তার কারণ স্মারকলিপিতে লিপিবদ্ধ করতে হবে;
(ii) গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি স্বাক্ষর বা অঙ্গুলির ছাপ দিয়ে স্বীকৃতি দেবেন, যদি তিনি অস্বীকার না করেন;
(ঘ) যদি আসামিকে তাঁর বাসস্থান ছাড়া অন্য কোথাও থেকে গ্রেপ্তার করা হয়, তবে যত দ্রুত সম্ভব, তবে গ্রেপ্তারের ১২ ঘণ্টার মধ্যে, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির মনোনীত পরিবারের সদস্য, আত্মীয় বা বন্ধুকে গ্রেপ্তারের সময়, স্থান এবং হেফাজতের স্থান জানাতে হবে;
(ঙ) গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেলে, ৪৬ই ধারা অনুযায়ী তাঁকে চিকিৎসক বা নিবন্ধিত চিকিৎসকের মাধ্যমে পরীক্ষা ও প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে হবে; সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সনদ সংগ্রহ করতে হবে এবং আঘাতের কারণ লিপিবদ্ধ করতে হবে;
(চ) গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি চাইলে গ্রেপ্তারের ১২ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর পছন্দের আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ বা নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ দিতে হবে।
৪৬বি. ধারায় সরকারি রেজিস্ট্রার, সাধারণ ডায়েরিতে গ্রেপ্তারের নথিভুক্তকরণ ও গ্রেপ্তারের তথ্য প্রদানের বিধি তুলে ধরা হয়েছে—
(১) গ্রেপ্তারকারী কর্মকর্তা সরকারি রেজিস্ট্রারে গ্রেপ্তারের কারণ, তথ্যদাতা বা অভিযোগকারীর নাম ও বিবরণ, যার কাছে গ্রেপ্তারের তথ্য দেওয়া হয়েছে সেই আত্মীয় বা বন্ধুর নাম ও বিবরণ, এবং গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির হেফাজতকারী কর্মকর্তার নাম ও বিবরণ লিখবেন।
(২) কোনো থানার অধিক্ষেত্রে হওয়া প্রতিটি গ্রেপ্তার অবিলম্বে সেই থানার সাধারণ ডায়েরিতে নথিভুক্ত হবে। গ্রেপ্তারকারী কর্মকর্তা যদি উক্ত থানার সঙ্গে সংযুক্ত না হন, তবে গ্রেপ্তারের পরপরই গ্রেপ্তারের স্মারকলিপির একটি অনুলিপি সেই থানার অফিসার ইনচার্জকে দেবেন এবং তিনি তা সাধারণ ডায়েরিতে নথিভুক্ত করবেন।
(৩) রেজিস্ট্রার বা সাধারণ ডায়েরি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চাহিদা অনুযায়ী গ্রেপ্তারের তথ্য গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির আত্মীয়, বন্ধু বা প্রতিবেশীকে দিতে বাধ্য থাকবেন।
৪৬সি ধারায় বলা হয়েছে—
প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপার বা মহানগরের পুলিশ কমিশনার একজন সহকারী উপপরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নয় এমন একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রতিটি জেলা, মহানগর সদর দপ্তর ও থানায় মনোনীত করবেন, যিনি গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের নাম, ঠিকানা ও অপরাধের ধরন সংরক্ষণ করবেন; এই তথ্য প্রতিটি থানা ও জেলা বা মহানগর সদর দপ্তরে, সম্ভব হলে ডিজিটাল আকারে, সুস্পষ্টভাবে প্রদর্শন করা হবে।
৪৬ডি ধারামতে—
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির হেফাজতকারী ব্যক্তির দায়িত্ব হবে তাঁর স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার যৌক্তিক যত্ন নেওয়া।
৪৬ই. ধারামতে—
(১) গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি অসুস্থ বা আঘাতপ্রাপ্ত মনে হলে, গ্রেপ্তারের পরপরই সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক অথবা চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকলে নিবন্ধিত চিকিৎসকের মাধ্যমে পরীক্ষা ও প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে হবে; তবে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি মহিলা হলে, সম্ভব হলে মহিলা চিকিৎসক বা মহিলা চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে, অথবা মহিলা স্টাফ নার্স বা মহিলা সহকারী উপস্থিতিতে পরীক্ষা করতে হবে।
(২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী পরীক্ষা ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে চিকিৎসক বা নিবন্ধিত চিকিৎসক একটি সনদসহ পরীক্ষা ও চিকিৎসার প্রতিবেদন দেবেন, যা সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা ও গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি বা তাঁর মনোনীত ব্যক্তিকে প্রদান করতে হবে।
(৩) গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি অসুস্থ বা আহত অবস্থায় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির হলে, ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজনীয় চিকিৎসার নির্দেশ দিতে পারবেন; তবে গুরুতর আহত বা অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রয়োজন হলে এবং শারীরিকভাবে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা সম্ভব না হলে, ম্যাজিস্ট্রেটের সন্তুষ্টির ভিত্তিতে ইলেকট্রনিক ভিডিও লিংকের মাধ্যমে হাজির করানো যাবে।

ফৌজদারি কার্যবিধির ৩২ ধারায় বর্ণিত বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের জরিমানার ক্ষমতা ব্যাপক বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা আগের ১০ হাজার টাকার জায়গায় এখন ৫ লাখ টাকা জরিমানা করতে পারবেন। সংসদ অধিবেশন না থাকায় সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এরই মধ্যে ফৌজদারি কার্যবিধি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ জারি করেছেন। আইন মন্ত্রণালয় গেজেট বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে।
এই সংশোধনী শুধু আইন প্রয়োগের সক্ষমতা নয়, বরং সামগ্রিকভাবে বিচার ব্যবস্থার কার্যকারিতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতেও সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, জরিমানার পরিমান ব্যাপক বাড়ার ফলে অপরাধপ্রবণতার সঙ্গে উচ্চ আদালতে মামলার জট ও সময়ক্ষেপণ কমবে।
১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ৩২ ধারা অনুযায়ী, আদালতে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটের নিম্ন বর্ণিত দণ্ড দেওয়ার ক্ষমতা আছে—
* মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারবেন।
* দ্বিতীয় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারবেন।
* তৃতীয় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারবেন।
সংশোধিত ফৌজদারি কার্যবিধি অধ্যাদেশে ৩২ ধারায় বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের আর্থিক জরিমানার সীমা বাড়ানো হয়েছে—
* ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা এখন ১০ হাজার টাকার বদলে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা
* ২য় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা এখন ৫ হাজার টাকার বদলে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা
* ৩য় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা এখন আগের ২ হাজার টাকার বদলে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা

এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে এটি ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বাস্তবমুখী’ পদক্ষেপ। আগে ম্যাজিস্ট্রেটদের জরিমানার ক্ষমতা খুবই সীমিত ছিল। ফলে অনেক অপরাধের সাজার অপর্যাপ্ত হত। আগে বারবার সংঘটিত হওয়া অপরাধের ক্ষেত্রে সামান্য জরিমানা দিয়ে দায়মুক্তি সম্ভব হত। ফলে বিচার ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা কমত এবং অপরাধপ্রবণতা কমানো যেত না। এছাড়া, বড় অঙ্কের জরিমানার প্রয়োজন হলে মামলাগুলো উচ্চ আদালতে পাঠাতে হতো, ফলে মামলার জট ও সময়ক্ষেপণ বেড়ে যেত।
ইশরাত হাসান আরো বলেন, ‘সংশোধনের ফলে ম্যাজিস্ট্রেটরা এখন আর্থিকভাবে যথাযথ জরিমানা আরোপ করতে সক্ষম হবেন। এতে করে অপরাধ দমন সহজ হবে, বিচারিক প্রক্রিয়ার গতি বাড়বে, উচ্চ আদালতের ওপর চাপ কমবে। ফলে বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে। ৩২ ধারার এই সংশোধন শুধু আইন প্রয়োগের সক্ষমতা নয়, বরং সামগ্রিকভাবে বিচার ব্যবস্থার কার্যকারিতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতেও সহায়ক হবে।’
নতুন ধারা যুক্ত
সংশোধিত ফৌজদারি কার্যবিধি অধ্যাদেশে নতুন করে ৪৬এ থেকে ৪৬ই ধারা যুক্ত করা হয়েছে, যেখানে গ্রেপ্তারের সময় পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় প্রদর্শন, গ্রেপ্তারের স্মারকলিপি প্রস্তুত, পরিবারকে অবহিতকরণ, আঘাতপ্রাপ্ত হলে চিকিৎসা নিশ্চিতকরণ, গ্রেপ্তারের তথ্য সরকারি রেজিস্ট্রারে নথিভুক্ত করা এবং হেফাজতে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার যত্ন নেওয়ার মতো বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
৪৬এ ধারায় বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে পুলিশ কর্মকর্তা বা অন্য যে ব্যক্তি গ্রেপ্তার করবেন, তিনি—
(ক) নিজের নামের সঠিক, দৃশ্যমান ও স্পষ্ট পরিচয় বহন করবেন, যা সহজে শনাক্ত করতে সহায়তা করবে;
(খ) নিজের পরিচয় প্রকাশ করবেন এবং দাবি করলে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি ও গ্রেপ্তারের সময় উপস্থিত ব্যক্তিদের তাঁর পরিচয়পত্র দেখাবেন;
(গ) গ্রেপ্তারের একটি স্মারকলিপি প্রস্তুত করবেন, যা—
(i) অন্তত একজন সাক্ষী কর্তৃক স্বাক্ষরিত হবে, যিনি গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্য অথবা গ্রেপ্তারস্থলের কোনো সম্মানিত বাসিন্দা হবেন; এমন কোনো সাক্ষী না থাকলে তার কারণ স্মারকলিপিতে লিপিবদ্ধ করতে হবে;
(ii) গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি স্বাক্ষর বা অঙ্গুলির ছাপ দিয়ে স্বীকৃতি দেবেন, যদি তিনি অস্বীকার না করেন;
(ঘ) যদি আসামিকে তাঁর বাসস্থান ছাড়া অন্য কোথাও থেকে গ্রেপ্তার করা হয়, তবে যত দ্রুত সম্ভব, তবে গ্রেপ্তারের ১২ ঘণ্টার মধ্যে, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির মনোনীত পরিবারের সদস্য, আত্মীয় বা বন্ধুকে গ্রেপ্তারের সময়, স্থান এবং হেফাজতের স্থান জানাতে হবে;
(ঙ) গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেলে, ৪৬ই ধারা অনুযায়ী তাঁকে চিকিৎসক বা নিবন্ধিত চিকিৎসকের মাধ্যমে পরীক্ষা ও প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে হবে; সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সনদ সংগ্রহ করতে হবে এবং আঘাতের কারণ লিপিবদ্ধ করতে হবে;
(চ) গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি চাইলে গ্রেপ্তারের ১২ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর পছন্দের আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ বা নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ দিতে হবে।
৪৬বি. ধারায় সরকারি রেজিস্ট্রার, সাধারণ ডায়েরিতে গ্রেপ্তারের নথিভুক্তকরণ ও গ্রেপ্তারের তথ্য প্রদানের বিধি তুলে ধরা হয়েছে—
(১) গ্রেপ্তারকারী কর্মকর্তা সরকারি রেজিস্ট্রারে গ্রেপ্তারের কারণ, তথ্যদাতা বা অভিযোগকারীর নাম ও বিবরণ, যার কাছে গ্রেপ্তারের তথ্য দেওয়া হয়েছে সেই আত্মীয় বা বন্ধুর নাম ও বিবরণ, এবং গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির হেফাজতকারী কর্মকর্তার নাম ও বিবরণ লিখবেন।
(২) কোনো থানার অধিক্ষেত্রে হওয়া প্রতিটি গ্রেপ্তার অবিলম্বে সেই থানার সাধারণ ডায়েরিতে নথিভুক্ত হবে। গ্রেপ্তারকারী কর্মকর্তা যদি উক্ত থানার সঙ্গে সংযুক্ত না হন, তবে গ্রেপ্তারের পরপরই গ্রেপ্তারের স্মারকলিপির একটি অনুলিপি সেই থানার অফিসার ইনচার্জকে দেবেন এবং তিনি তা সাধারণ ডায়েরিতে নথিভুক্ত করবেন।
(৩) রেজিস্ট্রার বা সাধারণ ডায়েরি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চাহিদা অনুযায়ী গ্রেপ্তারের তথ্য গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির আত্মীয়, বন্ধু বা প্রতিবেশীকে দিতে বাধ্য থাকবেন।
৪৬সি ধারায় বলা হয়েছে—
প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপার বা মহানগরের পুলিশ কমিশনার একজন সহকারী উপপরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নয় এমন একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রতিটি জেলা, মহানগর সদর দপ্তর ও থানায় মনোনীত করবেন, যিনি গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের নাম, ঠিকানা ও অপরাধের ধরন সংরক্ষণ করবেন; এই তথ্য প্রতিটি থানা ও জেলা বা মহানগর সদর দপ্তরে, সম্ভব হলে ডিজিটাল আকারে, সুস্পষ্টভাবে প্রদর্শন করা হবে।
৪৬ডি ধারামতে—
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির হেফাজতকারী ব্যক্তির দায়িত্ব হবে তাঁর স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার যৌক্তিক যত্ন নেওয়া।
৪৬ই. ধারামতে—
(১) গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি অসুস্থ বা আঘাতপ্রাপ্ত মনে হলে, গ্রেপ্তারের পরপরই সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক অথবা চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকলে নিবন্ধিত চিকিৎসকের মাধ্যমে পরীক্ষা ও প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে হবে; তবে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি মহিলা হলে, সম্ভব হলে মহিলা চিকিৎসক বা মহিলা চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে, অথবা মহিলা স্টাফ নার্স বা মহিলা সহকারী উপস্থিতিতে পরীক্ষা করতে হবে।
(২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী পরীক্ষা ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে চিকিৎসক বা নিবন্ধিত চিকিৎসক একটি সনদসহ পরীক্ষা ও চিকিৎসার প্রতিবেদন দেবেন, যা সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা ও গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি বা তাঁর মনোনীত ব্যক্তিকে প্রদান করতে হবে।
(৩) গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি অসুস্থ বা আহত অবস্থায় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির হলে, ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজনীয় চিকিৎসার নির্দেশ দিতে পারবেন; তবে গুরুতর আহত বা অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রয়োজন হলে এবং শারীরিকভাবে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা সম্ভব না হলে, ম্যাজিস্ট্রেটের সন্তুষ্টির ভিত্তিতে ইলেকট্রনিক ভিডিও লিংকের মাধ্যমে হাজির করানো যাবে।

রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
৪ ঘণ্টা আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
১৫ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা রোধে বেতন বৃদ্ধির যৌক্তিক দাবি পে কমিশনের কাছে উত্থাপন করা হয়েছে।
বাহিনীর বিবৃতি অনুযায়ী, ৫ নভেম্বর রাতে নাইট শিফটে (রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৩০ মিনিট) দায়িত্ব পালনকালে অভিযুক্ত অঙ্গীভূত আনসার সদস্য জেনারুল ইসলাম লোভের বশবর্তী হয়ে একটি অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। তিনি ব্যক্তিগত প্রয়োজনের কথা বলে পোড়া ভবনের ভেতরে ভস্মীভূত দ্রব্যাদি থেকে কিছু বাটন ফোন লুকিয়ে বের করার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁকে ঘটনাস্থলেই হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং বাহিনীর জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখতে, সংশ্লিষ্ট আনসার সদস্যকে সঙ্গে সঙ্গে চাকরি থেকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। উপপরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এত দ্রুততম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাহিনীর সদস্যদের দীর্ঘদিনের অনৈতিক চর্চার ক্ষেত্রগুলো হ্রাস করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলো।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাহিনী মনে করে, রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে স্বল্প বেতনের মাধ্যমে দিবারাত্রি ডিউটি শেষে জীবিকার মৌলিক প্রয়োজনগুলো মেটানো অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের মনস্তাত্ত্বিক প্রেষণার অন্যতম নিয়ামক। এ কারণেই বাহিনীর পক্ষ থেকে সদস্যদের নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে মনস্তাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে বাহিনীর প্রধান পে কমিশন চেয়ারম্যানের কাছে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের যৌক্তিক বেতন বৃদ্ধির আবেদন করেছেন। বাহিনীর প্রত্যাশা, বেতন বৃদ্ধি হলে সংবেদনশীল ও ঝুঁকিপূর্ণ ডিউটির ক্ষেত্রে সদস্যরা আরও বেশি নিবেদিত ও নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে অনুপ্রাণিত হবেন।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও কেপিআই এলাকায় দক্ষতা, সততা ও পেশাদারির সঙ্গে দীর্ঘকাল ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছে। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, দ্রুততর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি সদস্যদের জন্য সার্বিক কল্যাণধর্মী কার্যক্রমের মাধ্যমে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপে সদস্যদের সম্পৃক্ততা ধীরে ধীরে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুনেও অক্ষত স্ট্রংরুমের ভল্ট থেকে চুরি হয়েছে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই কমপ্লেক্সের স্ট্রংরুম গত রোববার দুপুরে নিয়মিত পরিদর্শনের সময় ভল্ট থেকে অস্ত্রগুলো খোয়া যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।

রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা রোধে বেতন বৃদ্ধির যৌক্তিক দাবি পে কমিশনের কাছে উত্থাপন করা হয়েছে।
বাহিনীর বিবৃতি অনুযায়ী, ৫ নভেম্বর রাতে নাইট শিফটে (রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৩০ মিনিট) দায়িত্ব পালনকালে অভিযুক্ত অঙ্গীভূত আনসার সদস্য জেনারুল ইসলাম লোভের বশবর্তী হয়ে একটি অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। তিনি ব্যক্তিগত প্রয়োজনের কথা বলে পোড়া ভবনের ভেতরে ভস্মীভূত দ্রব্যাদি থেকে কিছু বাটন ফোন লুকিয়ে বের করার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁকে ঘটনাস্থলেই হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং বাহিনীর জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখতে, সংশ্লিষ্ট আনসার সদস্যকে সঙ্গে সঙ্গে চাকরি থেকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। উপপরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এত দ্রুততম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাহিনীর সদস্যদের দীর্ঘদিনের অনৈতিক চর্চার ক্ষেত্রগুলো হ্রাস করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলো।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাহিনী মনে করে, রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে স্বল্প বেতনের মাধ্যমে দিবারাত্রি ডিউটি শেষে জীবিকার মৌলিক প্রয়োজনগুলো মেটানো অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের মনস্তাত্ত্বিক প্রেষণার অন্যতম নিয়ামক। এ কারণেই বাহিনীর পক্ষ থেকে সদস্যদের নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে মনস্তাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে বাহিনীর প্রধান পে কমিশন চেয়ারম্যানের কাছে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের যৌক্তিক বেতন বৃদ্ধির আবেদন করেছেন। বাহিনীর প্রত্যাশা, বেতন বৃদ্ধি হলে সংবেদনশীল ও ঝুঁকিপূর্ণ ডিউটির ক্ষেত্রে সদস্যরা আরও বেশি নিবেদিত ও নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে অনুপ্রাণিত হবেন।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও কেপিআই এলাকায় দক্ষতা, সততা ও পেশাদারির সঙ্গে দীর্ঘকাল ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছে। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, দ্রুততর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি সদস্যদের জন্য সার্বিক কল্যাণধর্মী কার্যক্রমের মাধ্যমে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপে সদস্যদের সম্পৃক্ততা ধীরে ধীরে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুনেও অক্ষত স্ট্রংরুমের ভল্ট থেকে চুরি হয়েছে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই কমপ্লেক্সের স্ট্রংরুম গত রোববার দুপুরে নিয়মিত পরিদর্শনের সময় ভল্ট থেকে অস্ত্রগুলো খোয়া যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।

ফৌজদারি কার্যবিধির ৩২ ধারায় বর্ণিত বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের জরিমানার ক্ষমতা ব্যাপক বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা আগের ১০ হাজার টাকার জায়গায় এখন ৫ লাখ টাকা জরিমানা করতে পারবেন। সংসদ অধিবেশন না থাকায় সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এরই মধ্যে ফৌজদারি কার্যবিধি
১১ আগস্ট ২০২৫
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
১৫ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
১৭ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
রাইডশেয়ারিং সেবার নীতিমালা-২০১৭ সংশোধন করে বিআরটিএ ২ নভেম্বর প্রস্তাবটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আগে ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস গাইডলাইন-২০১০ অনুযায়ী রাইড শেয়ারিংয়ের ভাড়া নির্ধারিত থাকলেও তা নতুনভাবে নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত আগস্টে গঠিত বিআরটিএর কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই প্রস্তাব করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিআরটিএর প্রস্তাবিত ভাড়ার কাঠামো অনুযায়ী মাইক্রোবাস, মোটরকার/জিপ, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ২ কিলোমিটারের মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। মাইক্রোবাসের ২ কিলোমিটারের সর্বনিম্ন ভাড়া হবে ১১০ টাকা, মোটরকার ও জিপের ১১০ টাকা, অটোরিকশার ৭০ টাকা এবং মোটরসাইকেলের ৬৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি যানের প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়ার সঙ্গে ২০ টাকা বুকিং ফি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৮ টাকা। ভ্রমণ চলাকালে প্রতি মিনিটের ভাড়া ২ টাকা। মোটরকার ও জিপে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। অটোরিকশার প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারে ১৮ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। মোটরসাইকেলের প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ১ টাকা। মোটরসাইকেলের আগে প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়া ছিল ৮৫ টাকা।
রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর কমিশনের হারও কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিআরটিএ। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা ভাড়ার সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ কমিশন নিতে পারবে। আগে এই হার ছিল ৩০ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাইড শেয়ারিংয়ের নানা বিষয়ে একটি আবেদন করেছিলেন রাইডরা। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পরে এটা নিয়ে আমাদের একটি কমিটি হয়েছিল। ওই কমিটি রাইডশেয়ারিংয়ের নানা বিষয় পর্যালোচনা করেছে।’
বিআরটিএ সূত্র জানায়, রাইডশেয়ারিং সেবার প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী যাত্রী বা চালক কেউ ট্রিপ বাতিল করলে নির্দিষ্ট সময়ের পর বাতিল চার্জ প্রযোজ্য হবে। যাত্রী অনুরোধ পাঠানোর পর চালক গ্রহণ করে যাত্রীর অভিমুখে রওনা হওয়ার পর ৩ মিনিটের মধ্যে ট্রিপ বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। তবে ওই সময়ের পর বাতিল করলে সম্ভাব্য ভাড়ার ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৩০ টাকা (যেটি কম) ক্যানসেলেশন চার্জ হিসেবে নেওয়া হবে, যা চালক ও রাইডশেয়ারিং কোম্পানি সমানভাবে ভাগ করবে।
চালকও অনুরোধ গ্রহণের পর ৩ মিনিটের মধ্যে বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। কিন্তু এর পর বাতিল করলে তাঁর কাছ থেকেও একই হারে চার্জ কাটা হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাইড শেয়ারিংয়ে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ ও কমিশন কমানো যাত্রীদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে। তবে বাস্তবায়ন ও তদারকি নিশ্চিত করাই মূল চ্যালেঞ্জ। এসব নিয়ম শুধু কাগজে নয়, বাস্তবেও কার্যকর করতে হবে।

রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
রাইডশেয়ারিং সেবার নীতিমালা-২০১৭ সংশোধন করে বিআরটিএ ২ নভেম্বর প্রস্তাবটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আগে ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস গাইডলাইন-২০১০ অনুযায়ী রাইড শেয়ারিংয়ের ভাড়া নির্ধারিত থাকলেও তা নতুনভাবে নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত আগস্টে গঠিত বিআরটিএর কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই প্রস্তাব করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিআরটিএর প্রস্তাবিত ভাড়ার কাঠামো অনুযায়ী মাইক্রোবাস, মোটরকার/জিপ, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ২ কিলোমিটারের মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। মাইক্রোবাসের ২ কিলোমিটারের সর্বনিম্ন ভাড়া হবে ১১০ টাকা, মোটরকার ও জিপের ১১০ টাকা, অটোরিকশার ৭০ টাকা এবং মোটরসাইকেলের ৬৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি যানের প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়ার সঙ্গে ২০ টাকা বুকিং ফি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৮ টাকা। ভ্রমণ চলাকালে প্রতি মিনিটের ভাড়া ২ টাকা। মোটরকার ও জিপে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। অটোরিকশার প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারে ১৮ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। মোটরসাইকেলের প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ১ টাকা। মোটরসাইকেলের আগে প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়া ছিল ৮৫ টাকা।
রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর কমিশনের হারও কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিআরটিএ। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা ভাড়ার সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ কমিশন নিতে পারবে। আগে এই হার ছিল ৩০ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাইড শেয়ারিংয়ের নানা বিষয়ে একটি আবেদন করেছিলেন রাইডরা। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পরে এটা নিয়ে আমাদের একটি কমিটি হয়েছিল। ওই কমিটি রাইডশেয়ারিংয়ের নানা বিষয় পর্যালোচনা করেছে।’
বিআরটিএ সূত্র জানায়, রাইডশেয়ারিং সেবার প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী যাত্রী বা চালক কেউ ট্রিপ বাতিল করলে নির্দিষ্ট সময়ের পর বাতিল চার্জ প্রযোজ্য হবে। যাত্রী অনুরোধ পাঠানোর পর চালক গ্রহণ করে যাত্রীর অভিমুখে রওনা হওয়ার পর ৩ মিনিটের মধ্যে ট্রিপ বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। তবে ওই সময়ের পর বাতিল করলে সম্ভাব্য ভাড়ার ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৩০ টাকা (যেটি কম) ক্যানসেলেশন চার্জ হিসেবে নেওয়া হবে, যা চালক ও রাইডশেয়ারিং কোম্পানি সমানভাবে ভাগ করবে।
চালকও অনুরোধ গ্রহণের পর ৩ মিনিটের মধ্যে বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। কিন্তু এর পর বাতিল করলে তাঁর কাছ থেকেও একই হারে চার্জ কাটা হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাইড শেয়ারিংয়ে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ ও কমিশন কমানো যাত্রীদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে। তবে বাস্তবায়ন ও তদারকি নিশ্চিত করাই মূল চ্যালেঞ্জ। এসব নিয়ম শুধু কাগজে নয়, বাস্তবেও কার্যকর করতে হবে।

ফৌজদারি কার্যবিধির ৩২ ধারায় বর্ণিত বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের জরিমানার ক্ষমতা ব্যাপক বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা আগের ১০ হাজার টাকার জায়গায় এখন ৫ লাখ টাকা জরিমানা করতে পারবেন। সংসদ অধিবেশন না থাকায় সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এরই মধ্যে ফৌজদারি কার্যবিধি
১১ আগস্ট ২০২৫
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘অতি সম্প্রতি মহলবিশেষের পক্ষ থেকে সংঘবদ্ধ অপপ্রচারে বলা হচ্ছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আপ্যায়ন বাবদ ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। এটি একটি পরিকল্পিত প্রপাগান্ডা, যা প্রচারকারীরা কমিশনের কোনো ভাষ্য বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ না করেই চালাচ্ছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২০২৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যক্রম শুরু করে। ২০২৪-২৫ এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কমিশনের মোট বাজেট ছিল ৭ কোটি ২৩ লাখ ৩১ হাজার ২৬ টাকা। এর মধ্যে ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৭১ লাখ ৩১ হাজার ১২৬ টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বাজেটের মধ্যে আপ্যায়ন খাতে বরাদ্দ ছিল ৬৩ লাখ টাকা, যার মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৪৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮৫ টাকা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, আপ্যায়ন খাতের অধিকাংশ ব্যয় হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও কমিশনের বিভিন্ন বৈঠক চলাকালে। এসব বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি, তাঁদের সহযোগী, সাংবাদিক, কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
প্রথম পর্যায়ে গত ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৪৪টি বৈঠক হয়, যেখানে ব্যয় হয় ৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ২৩টি বৈঠক হয়। এতে মোট ব্যয় হয় ২৮ লাখ ৮৩ হাজার ১০০ টাকা। এই বৈঠকগুলোর বেশির ভাগই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলেছে। ফলে নাশতার পাশাপাশি দুপুর ও রাতের খাবারেরও ব্যবস্থা করতে হয়েছে। গড়ে প্রতিদিনের ব্যয় ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকার কম।
তৃতীয় পর্যায়ে সাতটি বৈঠকে ৩০টি দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন, এতে ব্যয় হয় ৭ লাখ ৮ হাজার ৬০০ টাকা।
এ ছাড়া কমিশনের অভ্যন্তরীণ সভা হয়েছে ৫০টি, যার অনেকগুলোই দিনব্যাপী বা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনুষ্ঠিত হয়। এই বাবদ মোট ব্যয় হয় ১ লাখ ৫ হাজার ৫২০ টাকা।
রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক, নাগরিক সমাজ ও পেশাজীবীদের সঙ্গে বৈঠক এবং তিনটি সংবাদ সম্মেলনসহ মোট ১৩টি সভায় ব্যয় হয় ২ লাখ ৩৪০ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ১৩টি, যেখানে আপ্যায়ন বাবদ ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ৯৬০ টাকা। প্রেস উইং জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা এসব বৈঠকের জন্য কোনো ভাতা বা সম্মানী নেননি।
এ ছাড়া গত ৯ মাসে অতিথি আপ্যায়নের জন্য ব্যয় হয়েছে ২ লাখ টাকা। এসব অতিথির মধ্যে ছিলেন বিদেশি কূটনীতিক, দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতা, সম্পাদক, সাংবাদিক ও অন্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘উল্লিখিত বিস্তারিত হিসাব থেকে এটি স্পষ্ট যে, ৮৩ কোটি টাকার দাবি শুধু মিথ্যাচার নয়, বরং ঐকমত্য কমিশন ও তার কার্যক্রমকে হেয় করার একটি সংঘবদ্ধ ও পরিকল্পিত অপপ্রয়াস।’
কমিশনের দাবি, তারা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছে, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত দৈনন্দিন সংবাদ থেকেই স্পষ্ট। সাংবাদিকেরা নির্বিঘ্নে কমিশন কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পেরেছেন, কমিশনের সহসভাপতি ও সদস্যরা নিয়মিতভাবে গণমাধ্যমকে তথ্য দিয়েছেন এবং প্রেস ব্রিফিং করেছেন।
এ ছাড়া, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনাগুলো সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়েছে।
কমিশন আশা প্রকাশ করেছে, যে অসাধু মহল এই প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে, তারা অবিলম্বে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কমিশন তার দায়িত্ব পালনে দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের সহযোগিতা পেয়েছে এবং আশা করে গণমাধ্যমগুলো ভবিষ্যতেও সঠিক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্তির হাত থেকে রক্ষা করবে।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘অতি সম্প্রতি মহলবিশেষের পক্ষ থেকে সংঘবদ্ধ অপপ্রচারে বলা হচ্ছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আপ্যায়ন বাবদ ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। এটি একটি পরিকল্পিত প্রপাগান্ডা, যা প্রচারকারীরা কমিশনের কোনো ভাষ্য বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ না করেই চালাচ্ছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২০২৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যক্রম শুরু করে। ২০২৪-২৫ এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কমিশনের মোট বাজেট ছিল ৭ কোটি ২৩ লাখ ৩১ হাজার ২৬ টাকা। এর মধ্যে ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৭১ লাখ ৩১ হাজার ১২৬ টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বাজেটের মধ্যে আপ্যায়ন খাতে বরাদ্দ ছিল ৬৩ লাখ টাকা, যার মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৪৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮৫ টাকা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, আপ্যায়ন খাতের অধিকাংশ ব্যয় হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও কমিশনের বিভিন্ন বৈঠক চলাকালে। এসব বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি, তাঁদের সহযোগী, সাংবাদিক, কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
প্রথম পর্যায়ে গত ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৪৪টি বৈঠক হয়, যেখানে ব্যয় হয় ৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ২৩টি বৈঠক হয়। এতে মোট ব্যয় হয় ২৮ লাখ ৮৩ হাজার ১০০ টাকা। এই বৈঠকগুলোর বেশির ভাগই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলেছে। ফলে নাশতার পাশাপাশি দুপুর ও রাতের খাবারেরও ব্যবস্থা করতে হয়েছে। গড়ে প্রতিদিনের ব্যয় ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকার কম।
তৃতীয় পর্যায়ে সাতটি বৈঠকে ৩০টি দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন, এতে ব্যয় হয় ৭ লাখ ৮ হাজার ৬০০ টাকা।
এ ছাড়া কমিশনের অভ্যন্তরীণ সভা হয়েছে ৫০টি, যার অনেকগুলোই দিনব্যাপী বা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনুষ্ঠিত হয়। এই বাবদ মোট ব্যয় হয় ১ লাখ ৫ হাজার ৫২০ টাকা।
রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক, নাগরিক সমাজ ও পেশাজীবীদের সঙ্গে বৈঠক এবং তিনটি সংবাদ সম্মেলনসহ মোট ১৩টি সভায় ব্যয় হয় ২ লাখ ৩৪০ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ১৩টি, যেখানে আপ্যায়ন বাবদ ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ৯৬০ টাকা। প্রেস উইং জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা এসব বৈঠকের জন্য কোনো ভাতা বা সম্মানী নেননি।
এ ছাড়া গত ৯ মাসে অতিথি আপ্যায়নের জন্য ব্যয় হয়েছে ২ লাখ টাকা। এসব অতিথির মধ্যে ছিলেন বিদেশি কূটনীতিক, দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতা, সম্পাদক, সাংবাদিক ও অন্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘উল্লিখিত বিস্তারিত হিসাব থেকে এটি স্পষ্ট যে, ৮৩ কোটি টাকার দাবি শুধু মিথ্যাচার নয়, বরং ঐকমত্য কমিশন ও তার কার্যক্রমকে হেয় করার একটি সংঘবদ্ধ ও পরিকল্পিত অপপ্রয়াস।’
কমিশনের দাবি, তারা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছে, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত দৈনন্দিন সংবাদ থেকেই স্পষ্ট। সাংবাদিকেরা নির্বিঘ্নে কমিশন কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পেরেছেন, কমিশনের সহসভাপতি ও সদস্যরা নিয়মিতভাবে গণমাধ্যমকে তথ্য দিয়েছেন এবং প্রেস ব্রিফিং করেছেন।
এ ছাড়া, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনাগুলো সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়েছে।
কমিশন আশা প্রকাশ করেছে, যে অসাধু মহল এই প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে, তারা অবিলম্বে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কমিশন তার দায়িত্ব পালনে দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের সহযোগিতা পেয়েছে এবং আশা করে গণমাধ্যমগুলো ভবিষ্যতেও সঠিক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্তির হাত থেকে রক্ষা করবে।’

ফৌজদারি কার্যবিধির ৩২ ধারায় বর্ণিত বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের জরিমানার ক্ষমতা ব্যাপক বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা আগের ১০ হাজার টাকার জায়গায় এখন ৫ লাখ টাকা জরিমানা করতে পারবেন। সংসদ অধিবেশন না থাকায় সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এরই মধ্যে ফৌজদারি কার্যবিধি
১১ আগস্ট ২০২৫
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
৪ ঘণ্টা আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
১৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক তাঁদের ব্যবস্থাপত্রে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) অনুমোদিত ও নিবন্ধিত নয় এমন ওষুধ লিখে আসছেন। এতে রোগীদের স্বাস্থ্য বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়ছে। বিষয়টি তদন্তে মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবু হেনা চৌধুরীকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন ফার্মাকোলজি বিভাগের সভাপতি ডা. ইলোরা শারমিন এবং উপ-রেজিস্ট্রার (আইন) ডা. আবু হেনা হেলাল উদ্দিন আহমেদ। সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী পরিচালক (আইন) অ্যাডভোকেট তানিয়া আক্তার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএমইউর চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ওষুধ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। কোনো ওষুধ, ভিটামিন, মিনারেল বা সাপ্লিমেন্টের নাম প্রেসক্রিপশনে লেখা হলে তা আইনভঙ্গের শামিল কি না এবং হলে কী ধরনের আইনি প্রতিকার বা শাস্তি প্রযোজ্য হতে পারে, তা নির্ধারণ করে প্রচলিত আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে কমিটি। এ ক্ষেত্রে প্রামাণ্য আইন হিসেবে ‘ঔষধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩’ এবং ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০’ উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে—যেসব ভিটামিন, মিনারেল সাপ্লিমেন্ট ও হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট বিদেশ থেকে আমদানি হয়, সেগুলো ডিজিডিএ ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কীভাবে যাচাই-বাছাই করে, কিংবা এসব পণ্য ব্যবহারের অনুমোদন দেয় কি না, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ডিজিডিএর ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা সহজেই পাওয়া যায়। এই বিষয়ে চিকিৎসকদের সচেতন করতে আইটি সেকশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রতিকার হিসেবে বিএমইউর চিকিৎসকেরা যেন অননুমোদিত ওষুধ প্রেসক্রিপশনে না লেখেন সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট ছাপানো এবং সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম আয়োজন করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি অনিবন্ধিত ওষুধ লিখলে সম্ভাব্য শাস্তির বিষয়েও চিকিৎসকদের অবহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ, বহির্বিভাগ এবং প্রবেশদ্বারগুলোতে বড় সাইনবোর্ড স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি পাঠানো এবং ডিজিডিএ ও বিএসটিআই কর্তৃক নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা বিভাগ ও বহির্বিভাগে সরবরাহের সুপারিশও করা হয়েছে।

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক তাঁদের ব্যবস্থাপত্রে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) অনুমোদিত ও নিবন্ধিত নয় এমন ওষুধ লিখে আসছেন। এতে রোগীদের স্বাস্থ্য বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়ছে। বিষয়টি তদন্তে মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবু হেনা চৌধুরীকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন ফার্মাকোলজি বিভাগের সভাপতি ডা. ইলোরা শারমিন এবং উপ-রেজিস্ট্রার (আইন) ডা. আবু হেনা হেলাল উদ্দিন আহমেদ। সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী পরিচালক (আইন) অ্যাডভোকেট তানিয়া আক্তার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএমইউর চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ওষুধ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। কোনো ওষুধ, ভিটামিন, মিনারেল বা সাপ্লিমেন্টের নাম প্রেসক্রিপশনে লেখা হলে তা আইনভঙ্গের শামিল কি না এবং হলে কী ধরনের আইনি প্রতিকার বা শাস্তি প্রযোজ্য হতে পারে, তা নির্ধারণ করে প্রচলিত আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে কমিটি। এ ক্ষেত্রে প্রামাণ্য আইন হিসেবে ‘ঔষধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩’ এবং ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০’ উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে—যেসব ভিটামিন, মিনারেল সাপ্লিমেন্ট ও হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট বিদেশ থেকে আমদানি হয়, সেগুলো ডিজিডিএ ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কীভাবে যাচাই-বাছাই করে, কিংবা এসব পণ্য ব্যবহারের অনুমোদন দেয় কি না, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ডিজিডিএর ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা সহজেই পাওয়া যায়। এই বিষয়ে চিকিৎসকদের সচেতন করতে আইটি সেকশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রতিকার হিসেবে বিএমইউর চিকিৎসকেরা যেন অননুমোদিত ওষুধ প্রেসক্রিপশনে না লেখেন সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট ছাপানো এবং সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম আয়োজন করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি অনিবন্ধিত ওষুধ লিখলে সম্ভাব্য শাস্তির বিষয়েও চিকিৎসকদের অবহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ, বহির্বিভাগ এবং প্রবেশদ্বারগুলোতে বড় সাইনবোর্ড স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি পাঠানো এবং ডিজিডিএ ও বিএসটিআই কর্তৃক নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা বিভাগ ও বহির্বিভাগে সরবরাহের সুপারিশও করা হয়েছে।

ফৌজদারি কার্যবিধির ৩২ ধারায় বর্ণিত বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের জরিমানার ক্ষমতা ব্যাপক বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা আগের ১০ হাজার টাকার জায়গায় এখন ৫ লাখ টাকা জরিমানা করতে পারবেন। সংসদ অধিবেশন না থাকায় সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এরই মধ্যে ফৌজদারি কার্যবিধি
১১ আগস্ট ২০২৫
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
৪ ঘণ্টা আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
১৫ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
১৬ ঘণ্টা আগে