Ajker Patrika

ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক: জনপ্রশাসনমন্ত্রী

ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক: জনপ্রশাসনমন্ত্রী

জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক ভারত। দু’দেশের শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অনেক মিল আছে। ফলে এসব ক্ষেত্রেও দু’দেশের আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

আজ রোববার সচিবালয়ে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। এ সময় মন্ত্রীর কথার জবাবে ভারতের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মাঝে ঐতিহাসিকভাবেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। এই সম্পর্ক উন্নয়নে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক।

মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে জন প্রশাসনমন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আগামী দিনে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে রূপকল্প ২০৪১, ডেলটা প্ল্যান ২১০০, প্রেক্ষিত পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এই কর্মসূচিগুলো সফল বাস্তবায়নে আমাদের দক্ষ মানবসম্পদ প্রয়োজন। মানব সম্পদ উন্নয়নে ভারত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে আসছে। ভবিষ্যতেও তাদের এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে মনে করি।

এ ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার সুযোগ আছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

এ সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হক, বাংলাদেশের নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের কাউন্সিলর পাওয়ান বাধে উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা-১৭ আসনে লড়বেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের ছেলে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫৩
জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন তপু রায়হান। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন তপু রায়হান। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘আমি কোনো প্রথাগত রাজনীতি করতে আসিনি’—এমন ঘোষণা দিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার একটি আসনে প্রার্থী হওয়ার কথা জানালেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার ও সাহিত্যিক শহীদ জহির রায়হানের ছেলে তপু রায়হান।

আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে নিজের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং নির্বাচনী কৌশল তুলে ধরেন তপু রায়হান।

তপু রায়হান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের দরকার দুর্নীতিমুক্ত, দলীয়করণমুক্ত, রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডামুক্ত সত্যিকারের জনকল্যাণমুখী, সৃজনশীল একটি সরকার ও তার প্রশাসন। আমার বাবা জহির রায়হান রাজনৈতিক সচেতন হলেও কোনো দলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন না। বাবার মানবতাবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকে ধারণ করে সংসদীয় গণতন্ত্রের মাধ্যমে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না হয়েও মানবকল্যাণমুখী রাজনীতি করা সম্ভব বলে আমি বিশ্বাস করি।’

তপু রায়হান জানান, ঢাকা-১৭ আসন থেকে তিনি নির্বাচনে লড়বেন। ঢাকা-১৭ আসনটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৫, ১৮, ১৯ ও ২০ ওয়ার্ড এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানার ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত। মূলত গুলশান, বনানী, নিকেতন, মহাখালী, বারিধারা, শাহজাদপুর এবং ঢাকা সেনানিবাসের একাংশ নিয়ে এই আসনটি।

তপু রায়হান বলেন, ‘এই এলাকার সমস্যা সমাধানে আমি এলাকাভিত্তিক ইশতেহার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। কড়াইল বস্তির মতো নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানুষের সমস্যা চিহ্নিত করে সেগুলোর কার্যকর মডেল তৈরির চেষ্টা করছি।’

তপু রায়হান আরও বলেন, ‘এই মাসেই এলাকাভিত্তিক ইশতেহারগুলো প্রকাশ করা হবে। এই ইশতেহার নিয়ে সব প্রার্থীর কাছে যাব এবং তাঁদের সহযোগিতা চাইব।’

সহযোগিতামূলক রাজনৈতিক সংস্কৃতিই আমার নির্বাচনী প্রচারণার মূল ভিত্তি—উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি জয়ী হই বা না হই, নির্বাচনের পর ঢাকা-১৭ আসনে যিনিই এমপি হন, এলাকার উন্নয়ন ও সমস্যা সমাধানে আমি তাঁর সঙ্গে কাজ করে যাব।’

জহির রায়হানপুত্র বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করার লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি উপদেষ্টামণ্ডলী তৈরির চেষ্টা করছি। নীতি (পলিসি) তৈরি, বাজেট প্রণয়ন এবং কাজ শুরু করার প্রতিটি ধাপে এই কমিটি আমাকে সাহায্য করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সাবেক দুই ব্যক্তিগত কর্মকর্তার সম্পদের হিসাব চাইল দুদক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
তুহিন ফারাবী ও মাহমুদুল হাসান। ছবি: সংগৃহীত
তুহিন ফারাবী ও মাহমুদুল হাসান। ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সাবেক দুই ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তুহিন ফারাবী ও মাহমুদুল হাসানের নামে থাকা সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ জারি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্প্রতি দুদক থেকে নোটিশ জারির বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দায়িত্ব পালনের সময় অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জন, অনিয়ম ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে তাঁদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পদের উৎস ও বিবরণ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, তুহিন ফারাবী ও মাহমুদুল হাসানকে এর আগে দুদক প্রাথমিকভাবে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল, যেখানে তাঁদের কাছ থেকে আয়-ব্যয়ের প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সেই জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতেই দুদক পরবর্তীতে সম্পদের বিস্তারিত হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠায়।

দুদক জানায়, সম্পদের হিসাব না দিলে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ অনুযায়ী পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য খাত-সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি দুর্নীতি ও অনিয়মের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সূত্রটি বলছে, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কার্যালয়ে দায়িত্ব পালনকালে কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকারি বরাদ্দের অপব্যবহার, নিয়োগ বাণিজ্য ও সরবরাহ কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। ওই অভিযোগগুলোর পরিপ্রেক্ষিতেই তুহিন ফারাবী ও মাহমুদুল হাসানের সম্পদ যাচাইপ্রক্রিয়া শুরু করে দুদক।

এর আগে গত ২১ মে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) তুহিন ফারাবী (ছাত্র প্রতিনিধি), ডা. মাহমুদুল হাসান ও এনসিপির বহিষ্কারকৃত যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দীন তানভীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। ওই দিন তদবির, চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগে কমিশনের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত সংক্রান্ত দু’টি শাখার কর্মকর্তারা রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে তাঁদের নামে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদকালে তাঁদের ওই সব সম্পদের উৎস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।

তুহিন ফারাবীর বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার দপ্তরে কাজ করার সময় ক্ষমতার অপব্যবহার, তদবির বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্যসহ নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে নামে-বেনামে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় নিজের এবং স্ত্রী ও সন্তানদের জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, তাঁর ও স্ত্রীর আয়করের হালনাগাদ নথির সত্যায়িত ফটোকপি, নিজের ও স্ত্রী-সন্তানদের নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাবের বিবরণী জমা দিতে বলা হয়েছিল।

ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, তদবির, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির মাধ্যমে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তাঁর নিজের, স্ত্রী ও সন্তানদের জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট (যদি থাকে), আয়কর নথি, ব্যাংক হিসাবের বিবরণীসহ হাজির হতে বলা হয়।

এর পর গত ২৭ মে তুহিন ফারাবী ও মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে দেশত্যাগ ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্লকের নিষেধাজ্ঞা দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন গালিব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ ১৩ নভেম্বর থেকে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে আগামী ১৩ নভেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ রোববার ইসির পরিচালক জনসংযোগ মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘১৩ নভেম্বর থেকে দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সকাল ও বিকেলে দুই বেলা করে সংলাপ হবে। তবে কোন দলের সঙ্গে কখন বসা হবে, সেটি এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।’

আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে ইসি। এবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরুর আয়োজন চলছে।

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি প্রায় গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি মাসের মধ্যে প্রাক্-প্রস্তুতি শেষ করে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার চিন্তা আছে কমিশনের।

তবে গণভোটের বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেনি সাংবিধানিক এই সংস্থা। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে ইসি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রাইব্যুনালে আসামি সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষে লড়বেন না ব্যারিস্টার সারওয়ার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৯
ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন। ছবি: স্ক্রিনশট
ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন। ছবি: স্ক্রিনশট

আওয়ামী লীগের সময় অপহরণ ও গুমের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কারাগারে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে লড়বেন না ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন।

আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ নিজের নাম প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আদালত থেকে বের হয়ে সারওয়ার হোসেন বলেন, ‘১৫ জন সেনা কর্মকর্তার পক্ষে আমরা পাঁচজন আইনজীবী ওকালতনামার সাবমিট করেছিলাম ২২ অক্টোবর। পরবর্তীতে দেখলাম আমি নিজে একটি অভিযোগ করেছিলাম। সেই অভিযোগের আসামি, এই মামলারও আসামি।’

তিনি বলেন, ‘প্রফেশনাল এথিকস অ্যান্ড কনডাক্ট (পেশাগত নৈতিকতা ও আচরণবিধি) অনুযায়ী আমার ডিফেন্স আইনজীবী হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সেই প্রফেশনাল কনডাক্ট এবং এথিকস অনুযায়ী এবং আইসিটি বিধি অনুযায়ী আজকে একটা আবেদন করেছি। ট্রাইব্যুনাল সেই আবেদন গ্রহণ করেছেন।’

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা তিনটির মধ্যে দুটি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনার। অন্যটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ সম্পর্কিত। এসব মামলায় সাবেক ও বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৩২ জন আসামি। তাঁদের মধ্যে ১৫ সেনা কর্মকর্তা বর্তমানে ঢাকা সেনানিবাসে ঘোষিত সাবজেলে রয়েছেন।

গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা দুটি মামলার একটিতে আসামি ১৭ জন। তাঁদের মধ্যে র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (এখন অবসরকালীন ছুটিতে), র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম এখন কারাগারে রয়েছেন।

আসামিদের মধ্যে র‍্যাবের সাবেক তিনজন মহাপরিচালকও আছেন। তাঁরা হলেন—বেনজীর আহমেদ (পরে আইজিপি হন), এম খুরশিদ হোসেন ও মো. হারুন-অর-রশিদ। তাঁরা পলাতক। এ মামলার আসামির তালিকায় থাকা শেখ হাসিনা, সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও র‍্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলাম পলাতক।

গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেকটি মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে রেদোয়ানুল ও রাফাত এখন সেনানিবাসের সাবজেলে আছেন। বাকি দুই আসামি পলাতক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত