শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে প্রায় তিন কিলোমিটার প্রস্থের নাফ নদী। ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য। এই নদী পেরিয়ে আসছে ইয়াবা, আইস, হেরোইন থেকে শুরু করে ভয়ংকর সব মাদক। বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে মাদকের বাহকেরা গ্রেপ্তার হলেও মূল হোতা ও পৃষ্ঠপোষকেরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফলে থামছে না মাদকের কারবার। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর চলমান সংঘাতের ফলে সীমান্ত দিয়ে মাদকের প্রবাহ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ সদর দপ্তর।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশে মাদকের আগ্রাসন রোধকল্পে গঠিত স্ট্রাটেজিক কমিটির তৃতীয় সভা। সেই সভায় পুলিশ সদর দপ্তরের তৈরি করা একটি প্রতিবেদন তুলে ধরেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)। ওই প্রতিবেদনে পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, মিয়ানমারে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর অস্ত্র কেনার জন্য টাকা দরকার। সেই টাকা জোগাড় করতে এপারে বাংলাদেশ সীমান্তে থাকা রোহিঙ্গা ও দেশি কারবারিদের কাছে অল্প দামে মাদক বিক্রি করছে তারা। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা বাড়ার সঙ্গে দেশে মাদকের প্রবাহও বাড়ছে। পাশাপাশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে টেকনাফ এলাকাকেন্দ্রিক মাদকের শীর্ষ কারবারিরা।
মাদক কারবারিদের নিয়ে গত বছর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে তালিকা করেছে, তাতে কক্সবাজার জেলার ১ হাজার ১৫১ জনের নাম আছে। এর মধ্যে ৯১২ জনই টেকনাফের। তালিকার শীর্ষ ৭৩ জন ইয়াবা কারবারির ৬৫ জনই টেকনাফের। এই তালিকার হালনাগাদ করা হচ্ছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
মাদকের আগ্রাসন রোধে গঠিত স্ট্রাটেজিক কমিটির সভায় আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা যত বাড়ছে, টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে দেশে মাদকের প্রভাব তত বাড়ছে। মূলত এ সময় রোহিঙ্গাসহ দেশের মাদক কারবারিদের কাছে ইয়াবা আর আইস কম দামে বিক্রি করছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী। কম দামে মাদক পাওয়ায় টেকনাফের কারবারিরাও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। রোহিঙ্গা কারবারিদের পাশাপাশি দেশীয় শীর্ষ মাদক কারবারিরা নিজেদের কাছে মাদক কিনে গচ্ছিত করে রাখছে। ইয়াবা-আইস বিক্রির সেই টাকা দিয়ে মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা নিজেদের খরচ চালাচ্ছে ও অস্ত্র কিনছে।
টেকনাফের মাদক নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের এমন প্রতিবেদনের বিষয়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশের সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, প্রতিবেদনের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বে থাকা ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক মোহাম্মদ ইকবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু মাদক নয়, ক্যাম্পে যেকোনো অপরাধ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান সব সময় শক্তিশালী। তবে মাদকের পুরো সিন্ডিকেট পুলিশের পক্ষে একা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। অন্য বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে হবে।
মিয়ানমার থেকে কী পরিমাণ মাদক আসছে, তার কিছুটা উঠে এসেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যে। সংস্থাটির হিসাব বলছে, গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে ৪ কোটি ২৯ লাখ ৭৭ হাজার ২১৯টি ইয়াবা জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তার আগের বছর ২০২২ সালে ৪ কোটি ৫৮ লাখ এবং ২০২১ সালে ৫ কোটি ৩০ লাখ ৭৩ হাজার ৬৬৫টি ইয়াবা উদ্ধার করে। যদিও জাতিসংঘের মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (ইউএনওডিসি) দাবি, বাংলাদেশে যত মাদক ঢুকছে, এর মাত্র ১০ শতাংশ ধরা পড়ে।
সর্বশেষ গত ২৯ এপ্রিল কক্সবাজারের চকরিয়ায় নদীতে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ১২ লাখ ইয়াবা জব্দ করেছে চকরিয়া থানার পুলিশ। পুলিশ বলছে, থানার পুলিশ এর আগে ইয়াবার এত বড় চালান জব্দ করতে পারেনি। এটাই সবচেয়ে বড়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, নদীপথে টেকনাফ থেকে ইয়াবার বড় একটি চালান চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। পরে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের বহলতলী এলাকায় মহেশখালী চ্যানেলে (নদীতে) অবস্থান নেয় পুলিশের কয়েকটি দল। এ সময় একটি নৌযান থেকে ইয়াবাভর্তি প্লাস্টিকের পাঁচটি ড্রাম জব্দ করা হয়। ড্রামগুলো কেটে একে একে বের করা হয় টেপ মোড়ানো ১২৫টি প্যাকেট। এসব প্যাকেটের প্রতিটিতে ১০ হাজার করে ইয়াবা থাকে।
পুলিশ সূত্র বলছে, চালান জব্দের দুই দিন আগে মিয়ানমারের এক বিদ্রোহী গোষ্ঠী থেকে ইয়াবাগুলো কেনেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করা মাদক কারবারিরা। তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে দেশি কারবারিদের তত্ত্বাবধানে চালানটি চট্টগ্রামে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। পরে অবশ্য এ ঘটনায় পুলিশ শাহজাহান নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে। যিনি চালানটি চট্টগ্রামে পৌঁছে দিতে সহযোগিতা করেছিলেন।
মাদকের সরবরাহ হ্রাস করতে মাদক কারবারি তালিকা হালনাগাদ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ টেকনাফে যৌথ অভিযান পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। সঙ্গে জোরদার করতে বলা হয়েছে টাস্কফোর্সের কার্যক্রম।
এ নিয়ে পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যত দিন পর্যন্ত মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব বন্ধ না হবে, তত দিন পর্যন্ত সীমান্তে মাদক প্রবেশ ঠেকাতে কড়া নজরদারি বসাতে হবে। তা ছাড়া টেকনাফের শীর্ষ মাদক কারবারিদের গতিবিধি অনুসরণ করতে হবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতর ও টেকনাফের কারবারিদের সন্দেহভাজন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করতে হবে। যেকোনো মূল্যে মিয়ানমার থেকে মাদকের সরবরাহ হ্রাস করার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।
২০১৮ সালে মাদকের দৌরাত্ম্য কমাতে বিশেষ করে ইয়াবা বন্ধে দেশে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়, তখন ক্রসফায়ারে বেশ কয়েকজন মাদক গডফাদারসহ মাঝারি ধরনের কারবারি নিহতও হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কক্সবাজার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মাদকের প্রবেশ কমেনি। দেশে নিয়মিতই ঢুকছে সর্বনাশা মাদক ইয়াবা।
জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী বলেন, বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন তথ্য দিয়েছে। মাদকের প্রবাহ রোধে বেশ কিছু পরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হয়েছে। সব বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ে কাজগুলো করা হবে। যেকোনো মূল্যে মাদকের প্রবেশ ঠেকাতে হবে।

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে প্রায় তিন কিলোমিটার প্রস্থের নাফ নদী। ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য। এই নদী পেরিয়ে আসছে ইয়াবা, আইস, হেরোইন থেকে শুরু করে ভয়ংকর সব মাদক। বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে মাদকের বাহকেরা গ্রেপ্তার হলেও মূল হোতা ও পৃষ্ঠপোষকেরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফলে থামছে না মাদকের কারবার। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর চলমান সংঘাতের ফলে সীমান্ত দিয়ে মাদকের প্রবাহ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ সদর দপ্তর।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশে মাদকের আগ্রাসন রোধকল্পে গঠিত স্ট্রাটেজিক কমিটির তৃতীয় সভা। সেই সভায় পুলিশ সদর দপ্তরের তৈরি করা একটি প্রতিবেদন তুলে ধরেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)। ওই প্রতিবেদনে পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, মিয়ানমারে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর অস্ত্র কেনার জন্য টাকা দরকার। সেই টাকা জোগাড় করতে এপারে বাংলাদেশ সীমান্তে থাকা রোহিঙ্গা ও দেশি কারবারিদের কাছে অল্প দামে মাদক বিক্রি করছে তারা। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা বাড়ার সঙ্গে দেশে মাদকের প্রবাহও বাড়ছে। পাশাপাশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে টেকনাফ এলাকাকেন্দ্রিক মাদকের শীর্ষ কারবারিরা।
মাদক কারবারিদের নিয়ে গত বছর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে তালিকা করেছে, তাতে কক্সবাজার জেলার ১ হাজার ১৫১ জনের নাম আছে। এর মধ্যে ৯১২ জনই টেকনাফের। তালিকার শীর্ষ ৭৩ জন ইয়াবা কারবারির ৬৫ জনই টেকনাফের। এই তালিকার হালনাগাদ করা হচ্ছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
মাদকের আগ্রাসন রোধে গঠিত স্ট্রাটেজিক কমিটির সভায় আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা যত বাড়ছে, টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে দেশে মাদকের প্রভাব তত বাড়ছে। মূলত এ সময় রোহিঙ্গাসহ দেশের মাদক কারবারিদের কাছে ইয়াবা আর আইস কম দামে বিক্রি করছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী। কম দামে মাদক পাওয়ায় টেকনাফের কারবারিরাও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। রোহিঙ্গা কারবারিদের পাশাপাশি দেশীয় শীর্ষ মাদক কারবারিরা নিজেদের কাছে মাদক কিনে গচ্ছিত করে রাখছে। ইয়াবা-আইস বিক্রির সেই টাকা দিয়ে মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা নিজেদের খরচ চালাচ্ছে ও অস্ত্র কিনছে।
টেকনাফের মাদক নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের এমন প্রতিবেদনের বিষয়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশের সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, প্রতিবেদনের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বে থাকা ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক মোহাম্মদ ইকবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু মাদক নয়, ক্যাম্পে যেকোনো অপরাধ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান সব সময় শক্তিশালী। তবে মাদকের পুরো সিন্ডিকেট পুলিশের পক্ষে একা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। অন্য বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে হবে।
মিয়ানমার থেকে কী পরিমাণ মাদক আসছে, তার কিছুটা উঠে এসেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যে। সংস্থাটির হিসাব বলছে, গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে ৪ কোটি ২৯ লাখ ৭৭ হাজার ২১৯টি ইয়াবা জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তার আগের বছর ২০২২ সালে ৪ কোটি ৫৮ লাখ এবং ২০২১ সালে ৫ কোটি ৩০ লাখ ৭৩ হাজার ৬৬৫টি ইয়াবা উদ্ধার করে। যদিও জাতিসংঘের মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (ইউএনওডিসি) দাবি, বাংলাদেশে যত মাদক ঢুকছে, এর মাত্র ১০ শতাংশ ধরা পড়ে।
সর্বশেষ গত ২৯ এপ্রিল কক্সবাজারের চকরিয়ায় নদীতে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ১২ লাখ ইয়াবা জব্দ করেছে চকরিয়া থানার পুলিশ। পুলিশ বলছে, থানার পুলিশ এর আগে ইয়াবার এত বড় চালান জব্দ করতে পারেনি। এটাই সবচেয়ে বড়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, নদীপথে টেকনাফ থেকে ইয়াবার বড় একটি চালান চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। পরে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের বহলতলী এলাকায় মহেশখালী চ্যানেলে (নদীতে) অবস্থান নেয় পুলিশের কয়েকটি দল। এ সময় একটি নৌযান থেকে ইয়াবাভর্তি প্লাস্টিকের পাঁচটি ড্রাম জব্দ করা হয়। ড্রামগুলো কেটে একে একে বের করা হয় টেপ মোড়ানো ১২৫টি প্যাকেট। এসব প্যাকেটের প্রতিটিতে ১০ হাজার করে ইয়াবা থাকে।
পুলিশ সূত্র বলছে, চালান জব্দের দুই দিন আগে মিয়ানমারের এক বিদ্রোহী গোষ্ঠী থেকে ইয়াবাগুলো কেনেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করা মাদক কারবারিরা। তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে দেশি কারবারিদের তত্ত্বাবধানে চালানটি চট্টগ্রামে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। পরে অবশ্য এ ঘটনায় পুলিশ শাহজাহান নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে। যিনি চালানটি চট্টগ্রামে পৌঁছে দিতে সহযোগিতা করেছিলেন।
মাদকের সরবরাহ হ্রাস করতে মাদক কারবারি তালিকা হালনাগাদ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ টেকনাফে যৌথ অভিযান পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। সঙ্গে জোরদার করতে বলা হয়েছে টাস্কফোর্সের কার্যক্রম।
এ নিয়ে পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যত দিন পর্যন্ত মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব বন্ধ না হবে, তত দিন পর্যন্ত সীমান্তে মাদক প্রবেশ ঠেকাতে কড়া নজরদারি বসাতে হবে। তা ছাড়া টেকনাফের শীর্ষ মাদক কারবারিদের গতিবিধি অনুসরণ করতে হবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতর ও টেকনাফের কারবারিদের সন্দেহভাজন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করতে হবে। যেকোনো মূল্যে মিয়ানমার থেকে মাদকের সরবরাহ হ্রাস করার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।
২০১৮ সালে মাদকের দৌরাত্ম্য কমাতে বিশেষ করে ইয়াবা বন্ধে দেশে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়, তখন ক্রসফায়ারে বেশ কয়েকজন মাদক গডফাদারসহ মাঝারি ধরনের কারবারি নিহতও হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কক্সবাজার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মাদকের প্রবেশ কমেনি। দেশে নিয়মিতই ঢুকছে সর্বনাশা মাদক ইয়াবা।
জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী বলেন, বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন তথ্য দিয়েছে। মাদকের প্রবাহ রোধে বেশ কিছু পরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হয়েছে। সব বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ে কাজগুলো করা হবে। যেকোনো মূল্যে মাদকের প্রবেশ ঠেকাতে হবে।
শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে প্রায় তিন কিলোমিটার প্রস্থের নাফ নদী। ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য। এই নদী পেরিয়ে আসছে ইয়াবা, আইস, হেরোইন থেকে শুরু করে ভয়ংকর সব মাদক। বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে মাদকের বাহকেরা গ্রেপ্তার হলেও মূল হোতা ও পৃষ্ঠপোষকেরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফলে থামছে না মাদকের কারবার। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর চলমান সংঘাতের ফলে সীমান্ত দিয়ে মাদকের প্রবাহ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ সদর দপ্তর।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশে মাদকের আগ্রাসন রোধকল্পে গঠিত স্ট্রাটেজিক কমিটির তৃতীয় সভা। সেই সভায় পুলিশ সদর দপ্তরের তৈরি করা একটি প্রতিবেদন তুলে ধরেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)। ওই প্রতিবেদনে পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, মিয়ানমারে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর অস্ত্র কেনার জন্য টাকা দরকার। সেই টাকা জোগাড় করতে এপারে বাংলাদেশ সীমান্তে থাকা রোহিঙ্গা ও দেশি কারবারিদের কাছে অল্প দামে মাদক বিক্রি করছে তারা। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা বাড়ার সঙ্গে দেশে মাদকের প্রবাহও বাড়ছে। পাশাপাশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে টেকনাফ এলাকাকেন্দ্রিক মাদকের শীর্ষ কারবারিরা।
মাদক কারবারিদের নিয়ে গত বছর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে তালিকা করেছে, তাতে কক্সবাজার জেলার ১ হাজার ১৫১ জনের নাম আছে। এর মধ্যে ৯১২ জনই টেকনাফের। তালিকার শীর্ষ ৭৩ জন ইয়াবা কারবারির ৬৫ জনই টেকনাফের। এই তালিকার হালনাগাদ করা হচ্ছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
মাদকের আগ্রাসন রোধে গঠিত স্ট্রাটেজিক কমিটির সভায় আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা যত বাড়ছে, টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে দেশে মাদকের প্রভাব তত বাড়ছে। মূলত এ সময় রোহিঙ্গাসহ দেশের মাদক কারবারিদের কাছে ইয়াবা আর আইস কম দামে বিক্রি করছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী। কম দামে মাদক পাওয়ায় টেকনাফের কারবারিরাও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। রোহিঙ্গা কারবারিদের পাশাপাশি দেশীয় শীর্ষ মাদক কারবারিরা নিজেদের কাছে মাদক কিনে গচ্ছিত করে রাখছে। ইয়াবা-আইস বিক্রির সেই টাকা দিয়ে মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা নিজেদের খরচ চালাচ্ছে ও অস্ত্র কিনছে।
টেকনাফের মাদক নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের এমন প্রতিবেদনের বিষয়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশের সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, প্রতিবেদনের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বে থাকা ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক মোহাম্মদ ইকবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু মাদক নয়, ক্যাম্পে যেকোনো অপরাধ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান সব সময় শক্তিশালী। তবে মাদকের পুরো সিন্ডিকেট পুলিশের পক্ষে একা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। অন্য বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে হবে।
মিয়ানমার থেকে কী পরিমাণ মাদক আসছে, তার কিছুটা উঠে এসেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যে। সংস্থাটির হিসাব বলছে, গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে ৪ কোটি ২৯ লাখ ৭৭ হাজার ২১৯টি ইয়াবা জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তার আগের বছর ২০২২ সালে ৪ কোটি ৫৮ লাখ এবং ২০২১ সালে ৫ কোটি ৩০ লাখ ৭৩ হাজার ৬৬৫টি ইয়াবা উদ্ধার করে। যদিও জাতিসংঘের মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (ইউএনওডিসি) দাবি, বাংলাদেশে যত মাদক ঢুকছে, এর মাত্র ১০ শতাংশ ধরা পড়ে।
সর্বশেষ গত ২৯ এপ্রিল কক্সবাজারের চকরিয়ায় নদীতে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ১২ লাখ ইয়াবা জব্দ করেছে চকরিয়া থানার পুলিশ। পুলিশ বলছে, থানার পুলিশ এর আগে ইয়াবার এত বড় চালান জব্দ করতে পারেনি। এটাই সবচেয়ে বড়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, নদীপথে টেকনাফ থেকে ইয়াবার বড় একটি চালান চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। পরে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের বহলতলী এলাকায় মহেশখালী চ্যানেলে (নদীতে) অবস্থান নেয় পুলিশের কয়েকটি দল। এ সময় একটি নৌযান থেকে ইয়াবাভর্তি প্লাস্টিকের পাঁচটি ড্রাম জব্দ করা হয়। ড্রামগুলো কেটে একে একে বের করা হয় টেপ মোড়ানো ১২৫টি প্যাকেট। এসব প্যাকেটের প্রতিটিতে ১০ হাজার করে ইয়াবা থাকে।
পুলিশ সূত্র বলছে, চালান জব্দের দুই দিন আগে মিয়ানমারের এক বিদ্রোহী গোষ্ঠী থেকে ইয়াবাগুলো কেনেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করা মাদক কারবারিরা। তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে দেশি কারবারিদের তত্ত্বাবধানে চালানটি চট্টগ্রামে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। পরে অবশ্য এ ঘটনায় পুলিশ শাহজাহান নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে। যিনি চালানটি চট্টগ্রামে পৌঁছে দিতে সহযোগিতা করেছিলেন।
মাদকের সরবরাহ হ্রাস করতে মাদক কারবারি তালিকা হালনাগাদ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ টেকনাফে যৌথ অভিযান পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। সঙ্গে জোরদার করতে বলা হয়েছে টাস্কফোর্সের কার্যক্রম।
এ নিয়ে পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যত দিন পর্যন্ত মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব বন্ধ না হবে, তত দিন পর্যন্ত সীমান্তে মাদক প্রবেশ ঠেকাতে কড়া নজরদারি বসাতে হবে। তা ছাড়া টেকনাফের শীর্ষ মাদক কারবারিদের গতিবিধি অনুসরণ করতে হবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতর ও টেকনাফের কারবারিদের সন্দেহভাজন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করতে হবে। যেকোনো মূল্যে মিয়ানমার থেকে মাদকের সরবরাহ হ্রাস করার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।
২০১৮ সালে মাদকের দৌরাত্ম্য কমাতে বিশেষ করে ইয়াবা বন্ধে দেশে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়, তখন ক্রসফায়ারে বেশ কয়েকজন মাদক গডফাদারসহ মাঝারি ধরনের কারবারি নিহতও হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কক্সবাজার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মাদকের প্রবেশ কমেনি। দেশে নিয়মিতই ঢুকছে সর্বনাশা মাদক ইয়াবা।
জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী বলেন, বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন তথ্য দিয়েছে। মাদকের প্রবাহ রোধে বেশ কিছু পরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হয়েছে। সব বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ে কাজগুলো করা হবে। যেকোনো মূল্যে মাদকের প্রবেশ ঠেকাতে হবে।

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে প্রায় তিন কিলোমিটার প্রস্থের নাফ নদী। ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য। এই নদী পেরিয়ে আসছে ইয়াবা, আইস, হেরোইন থেকে শুরু করে ভয়ংকর সব মাদক। বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে মাদকের বাহকেরা গ্রেপ্তার হলেও মূল হোতা ও পৃষ্ঠপোষকেরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফলে থামছে না মাদকের কারবার। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর চলমান সংঘাতের ফলে সীমান্ত দিয়ে মাদকের প্রবাহ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ সদর দপ্তর।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশে মাদকের আগ্রাসন রোধকল্পে গঠিত স্ট্রাটেজিক কমিটির তৃতীয় সভা। সেই সভায় পুলিশ সদর দপ্তরের তৈরি করা একটি প্রতিবেদন তুলে ধরেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)। ওই প্রতিবেদনে পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, মিয়ানমারে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর অস্ত্র কেনার জন্য টাকা দরকার। সেই টাকা জোগাড় করতে এপারে বাংলাদেশ সীমান্তে থাকা রোহিঙ্গা ও দেশি কারবারিদের কাছে অল্প দামে মাদক বিক্রি করছে তারা। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা বাড়ার সঙ্গে দেশে মাদকের প্রবাহও বাড়ছে। পাশাপাশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে টেকনাফ এলাকাকেন্দ্রিক মাদকের শীর্ষ কারবারিরা।
মাদক কারবারিদের নিয়ে গত বছর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে তালিকা করেছে, তাতে কক্সবাজার জেলার ১ হাজার ১৫১ জনের নাম আছে। এর মধ্যে ৯১২ জনই টেকনাফের। তালিকার শীর্ষ ৭৩ জন ইয়াবা কারবারির ৬৫ জনই টেকনাফের। এই তালিকার হালনাগাদ করা হচ্ছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
মাদকের আগ্রাসন রোধে গঠিত স্ট্রাটেজিক কমিটির সভায় আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা যত বাড়ছে, টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে দেশে মাদকের প্রভাব তত বাড়ছে। মূলত এ সময় রোহিঙ্গাসহ দেশের মাদক কারবারিদের কাছে ইয়াবা আর আইস কম দামে বিক্রি করছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী। কম দামে মাদক পাওয়ায় টেকনাফের কারবারিরাও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। রোহিঙ্গা কারবারিদের পাশাপাশি দেশীয় শীর্ষ মাদক কারবারিরা নিজেদের কাছে মাদক কিনে গচ্ছিত করে রাখছে। ইয়াবা-আইস বিক্রির সেই টাকা দিয়ে মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা নিজেদের খরচ চালাচ্ছে ও অস্ত্র কিনছে।
টেকনাফের মাদক নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের এমন প্রতিবেদনের বিষয়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশের সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, প্রতিবেদনের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বে থাকা ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক মোহাম্মদ ইকবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু মাদক নয়, ক্যাম্পে যেকোনো অপরাধ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান সব সময় শক্তিশালী। তবে মাদকের পুরো সিন্ডিকেট পুলিশের পক্ষে একা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। অন্য বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে হবে।
মিয়ানমার থেকে কী পরিমাণ মাদক আসছে, তার কিছুটা উঠে এসেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যে। সংস্থাটির হিসাব বলছে, গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে ৪ কোটি ২৯ লাখ ৭৭ হাজার ২১৯টি ইয়াবা জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তার আগের বছর ২০২২ সালে ৪ কোটি ৫৮ লাখ এবং ২০২১ সালে ৫ কোটি ৩০ লাখ ৭৩ হাজার ৬৬৫টি ইয়াবা উদ্ধার করে। যদিও জাতিসংঘের মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (ইউএনওডিসি) দাবি, বাংলাদেশে যত মাদক ঢুকছে, এর মাত্র ১০ শতাংশ ধরা পড়ে।
সর্বশেষ গত ২৯ এপ্রিল কক্সবাজারের চকরিয়ায় নদীতে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ১২ লাখ ইয়াবা জব্দ করেছে চকরিয়া থানার পুলিশ। পুলিশ বলছে, থানার পুলিশ এর আগে ইয়াবার এত বড় চালান জব্দ করতে পারেনি। এটাই সবচেয়ে বড়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, নদীপথে টেকনাফ থেকে ইয়াবার বড় একটি চালান চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। পরে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের বহলতলী এলাকায় মহেশখালী চ্যানেলে (নদীতে) অবস্থান নেয় পুলিশের কয়েকটি দল। এ সময় একটি নৌযান থেকে ইয়াবাভর্তি প্লাস্টিকের পাঁচটি ড্রাম জব্দ করা হয়। ড্রামগুলো কেটে একে একে বের করা হয় টেপ মোড়ানো ১২৫টি প্যাকেট। এসব প্যাকেটের প্রতিটিতে ১০ হাজার করে ইয়াবা থাকে।
পুলিশ সূত্র বলছে, চালান জব্দের দুই দিন আগে মিয়ানমারের এক বিদ্রোহী গোষ্ঠী থেকে ইয়াবাগুলো কেনেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করা মাদক কারবারিরা। তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে দেশি কারবারিদের তত্ত্বাবধানে চালানটি চট্টগ্রামে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। পরে অবশ্য এ ঘটনায় পুলিশ শাহজাহান নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে। যিনি চালানটি চট্টগ্রামে পৌঁছে দিতে সহযোগিতা করেছিলেন।
মাদকের সরবরাহ হ্রাস করতে মাদক কারবারি তালিকা হালনাগাদ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ টেকনাফে যৌথ অভিযান পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। সঙ্গে জোরদার করতে বলা হয়েছে টাস্কফোর্সের কার্যক্রম।
এ নিয়ে পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যত দিন পর্যন্ত মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব বন্ধ না হবে, তত দিন পর্যন্ত সীমান্তে মাদক প্রবেশ ঠেকাতে কড়া নজরদারি বসাতে হবে। তা ছাড়া টেকনাফের শীর্ষ মাদক কারবারিদের গতিবিধি অনুসরণ করতে হবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতর ও টেকনাফের কারবারিদের সন্দেহভাজন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করতে হবে। যেকোনো মূল্যে মিয়ানমার থেকে মাদকের সরবরাহ হ্রাস করার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।
২০১৮ সালে মাদকের দৌরাত্ম্য কমাতে বিশেষ করে ইয়াবা বন্ধে দেশে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়, তখন ক্রসফায়ারে বেশ কয়েকজন মাদক গডফাদারসহ মাঝারি ধরনের কারবারি নিহতও হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কক্সবাজার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মাদকের প্রবেশ কমেনি। দেশে নিয়মিতই ঢুকছে সর্বনাশা মাদক ইয়াবা।
জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী বলেন, বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন তথ্য দিয়েছে। মাদকের প্রবাহ রোধে বেশ কিছু পরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হয়েছে। সব বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ে কাজগুলো করা হবে। যেকোনো মূল্যে মাদকের প্রবেশ ঠেকাতে হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
৪ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৬ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের
৭ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আদালত।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে প্রায় তিন কিলোমিটার প্রস্থের নাফ নদী। ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য। এই নদী পেরিয়ে আসছে ইয়াবা, আইস, হেরোইন থেকে শুরু করে ভয়ংকর সব মাদক। বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে মাদকের বাহকেরা গ্রেপ্তার হলেও মূল হোতা ও পৃষ্ঠপোষকেরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফলে
১০ মে ২০২৪
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৬ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের
৭ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আদালত।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে প্রায় তিন কিলোমিটার প্রস্থের নাফ নদী। ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য। এই নদী পেরিয়ে আসছে ইয়াবা, আইস, হেরোইন থেকে শুরু করে ভয়ংকর সব মাদক। বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে মাদকের বাহকেরা গ্রেপ্তার হলেও মূল হোতা ও পৃষ্ঠপোষকেরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফলে
১০ মে ২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
৪ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের
৭ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আদালত।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এরপর তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কুশল-বিনিয়ম করেন। নিরাপত্তা ও বিভিন্ন ধরনের সহায়তার জন্য এ সময় তিনি সরকারপ্রধানের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কথোপকথনে তারেককে বলতে শোনা যায়, ‘জি জি...আমার জন্য আমার...জি জি...আপনার শরীর কেমন আছে?’
...
‘হ্যাঁ, দোয়া করবেন, দোয়া করবেন।’ ...
‘আমি আমার পক্ষ থেকে এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনি আপনার পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকম আয়োজন করেছেন, বিশেষ করে আমার নিরাপত্তার জন্য। অ্যান্ড উই আর থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ...থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ। সব রকম আয়োজনের জন্য।’
...
‘নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই। জি নিশ্চয়ই...ইনশাল্লাহ...ইনশাল্লাহ।’
ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।
এরপরই তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু ফুলের মালা পরিয়ে জামাতাকে বরণ করেন নেন। নাতনি জাইমাকেও আদর করতে দেখা যায়। তারেক রহমান এ সময় তাঁর পাশে কিছু সময় বসে থাকেন। এরপর বেলা ১২টা ২০ মিনিটে তারেক রহমানে স্ত্রী ও তাঁর মেয়ে সাদা রঙের একটি জিপ গাড়িতে উঠে বসেন।
দলের অন্য নেতাদের সঙ্গে তারেক রহমান বেলা ১২টা মিনিটে ৩২ মিনিটে লাল সবুজ রঙে একটি বুলেটপ্রুফ বাসে উঠেন। ২ মিনিট পরে বাসটি বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলের ৩০০ ফিটের সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে যেতে শুরু করে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এরপর তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কুশল-বিনিয়ম করেন। নিরাপত্তা ও বিভিন্ন ধরনের সহায়তার জন্য এ সময় তিনি সরকারপ্রধানের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কথোপকথনে তারেককে বলতে শোনা যায়, ‘জি জি...আমার জন্য আমার...জি জি...আপনার শরীর কেমন আছে?’
...
‘হ্যাঁ, দোয়া করবেন, দোয়া করবেন।’ ...
‘আমি আমার পক্ষ থেকে এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনি আপনার পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকম আয়োজন করেছেন, বিশেষ করে আমার নিরাপত্তার জন্য। অ্যান্ড উই আর থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ...থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ। সব রকম আয়োজনের জন্য।’
...
‘নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই। জি নিশ্চয়ই...ইনশাল্লাহ...ইনশাল্লাহ।’
ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।
এরপরই তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু ফুলের মালা পরিয়ে জামাতাকে বরণ করেন নেন। নাতনি জাইমাকেও আদর করতে দেখা যায়। তারেক রহমান এ সময় তাঁর পাশে কিছু সময় বসে থাকেন। এরপর বেলা ১২টা ২০ মিনিটে তারেক রহমানে স্ত্রী ও তাঁর মেয়ে সাদা রঙের একটি জিপ গাড়িতে উঠে বসেন।
দলের অন্য নেতাদের সঙ্গে তারেক রহমান বেলা ১২টা মিনিটে ৩২ মিনিটে লাল সবুজ রঙে একটি বুলেটপ্রুফ বাসে উঠেন। ২ মিনিট পরে বাসটি বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলের ৩০০ ফিটের সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে যেতে শুরু করে।

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে প্রায় তিন কিলোমিটার প্রস্থের নাফ নদী। ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য। এই নদী পেরিয়ে আসছে ইয়াবা, আইস, হেরোইন থেকে শুরু করে ভয়ংকর সব মাদক। বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে মাদকের বাহকেরা গ্রেপ্তার হলেও মূল হোতা ও পৃষ্ঠপোষকেরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফলে
১০ মে ২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
৪ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৬ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আদালত।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আদালত।
অন্যদিকে ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে জব্দ করা ফায়ার কার্তুজ ও ফায়ার বুলেট সদৃশ বস্তুর ব্যালিস্টিক পরীক্ষা করে বিস্তারিত মতামত প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনজন। একইদিনে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে জব্দ করা কার্তুজ ও বুলেট পরীক্ষার নির্দেশ দেন আদালত।
ঢাকার মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনজনের জবানবন্দি
গতকাল বুধবার সামিয়া, মারিয়া ও সিপুকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবি। মামলার তদন্তকর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ তিনজনের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন। পরে আসামি মারিয়া ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কামাল উদ্দিনের আদালতে এবং সামিয়া ও সিপু ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম জুনাঈদের আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
জবানবন্দিতে তিনজন কী বলেছেন তা জানা যায়নি। তবে বিশ্বস্ত এক সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার আগে ও পরে ফয়সাল কি করেছে এবং কি বলেছে সে সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছেন তিনজন।
এর আগে, গত ১৫ ডিসেম্বর এই তিনজনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরে ২০ ডিসেম্বর তিনজনকে আবার দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। গত ১৪ ডিসেম্বর সামিয়া ও সিপুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং মারিয়াকে ঢাকা থেকে আটক করে পল্টন থানায় হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, এ মামলায় গ্রেফতার ফয়সালের মা ও বাবাও স্বীকোরোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
কার্তুজ-বুলেট ব্যালিস্টিক পরীক্ষা
বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ ঘটনাস্থলে জব্দ করা ফায়ার কার্তুজ ও বুলেট সদৃশ বস্তু পরীক্ষার নির্দেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদি ওরফে ওসমান গণি (৩৩) গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে পল্টন থানাধীন বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোড সংলগ্ন ডিআর টাওয়ারের সামনে দুষ্কৃতিকারীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরবর্তীতে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে গত ১৫ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে নিয়ে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃতদেহ বাংলাদেশ বিমান যোগে দেশে এনে ২০ ডিসেম্বর সকালে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।
মামলায় ঘটনাস্থল হতে ফায়ার কার্তুজ ও ফায়ার বুলেট সদৃশ বস্তু আলামত জব্দ করা হয়। মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আলামতসমূহ ব্যালিস্টিক পরীক্ষা করে বিস্তারিত মতামত প্রদান করার জন্য সিআইডির ব্যালিস্টিক শাখার বিশেষ পুলিশ সুপারকে নির্দেশ প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন। শুনানি শেষে আদালত সিআইডিকে নির্দেশ দেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আদালত।
অন্যদিকে ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে জব্দ করা ফায়ার কার্তুজ ও ফায়ার বুলেট সদৃশ বস্তুর ব্যালিস্টিক পরীক্ষা করে বিস্তারিত মতামত প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনজন। একইদিনে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে জব্দ করা কার্তুজ ও বুলেট পরীক্ষার নির্দেশ দেন আদালত।
ঢাকার মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনজনের জবানবন্দি
গতকাল বুধবার সামিয়া, মারিয়া ও সিপুকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবি। মামলার তদন্তকর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ তিনজনের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন। পরে আসামি মারিয়া ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কামাল উদ্দিনের আদালতে এবং সামিয়া ও সিপু ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম জুনাঈদের আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
জবানবন্দিতে তিনজন কী বলেছেন তা জানা যায়নি। তবে বিশ্বস্ত এক সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার আগে ও পরে ফয়সাল কি করেছে এবং কি বলেছে সে সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছেন তিনজন।
এর আগে, গত ১৫ ডিসেম্বর এই তিনজনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরে ২০ ডিসেম্বর তিনজনকে আবার দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। গত ১৪ ডিসেম্বর সামিয়া ও সিপুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং মারিয়াকে ঢাকা থেকে আটক করে পল্টন থানায় হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, এ মামলায় গ্রেফতার ফয়সালের মা ও বাবাও স্বীকোরোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
কার্তুজ-বুলেট ব্যালিস্টিক পরীক্ষা
বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ ঘটনাস্থলে জব্দ করা ফায়ার কার্তুজ ও বুলেট সদৃশ বস্তু পরীক্ষার নির্দেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদি ওরফে ওসমান গণি (৩৩) গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে পল্টন থানাধীন বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোড সংলগ্ন ডিআর টাওয়ারের সামনে দুষ্কৃতিকারীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরবর্তীতে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে গত ১৫ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে নিয়ে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃতদেহ বাংলাদেশ বিমান যোগে দেশে এনে ২০ ডিসেম্বর সকালে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।
মামলায় ঘটনাস্থল হতে ফায়ার কার্তুজ ও ফায়ার বুলেট সদৃশ বস্তু আলামত জব্দ করা হয়। মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আলামতসমূহ ব্যালিস্টিক পরীক্ষা করে বিস্তারিত মতামত প্রদান করার জন্য সিআইডির ব্যালিস্টিক শাখার বিশেষ পুলিশ সুপারকে নির্দেশ প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন। শুনানি শেষে আদালত সিআইডিকে নির্দেশ দেন।

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে প্রায় তিন কিলোমিটার প্রস্থের নাফ নদী। ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য। এই নদী পেরিয়ে আসছে ইয়াবা, আইস, হেরোইন থেকে শুরু করে ভয়ংকর সব মাদক। বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে মাদকের বাহকেরা গ্রেপ্তার হলেও মূল হোতা ও পৃষ্ঠপোষকেরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফলে
১০ মে ২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
৪ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৬ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের
৭ ঘণ্টা আগে