নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দুর্নীতি দেশে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নড়াইল–১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি। তিনি বলেছেন, দুর্নীতি আমাদের দেশে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। আজকে অনেকের দুর্নীতির থলের বিড়াল বের হচ্ছে। আমার কাছে মনে হয় এ দুর্নীতির আঘাত থেকে আমরা কেউ বাইরে নই। মূল দোষ হয় জনপ্রতিনিধির।
বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন কবিরুল হক মুক্তি।
তিনি বলেন, সংসদের সাড়ে তিনশ এমপি, তাঁদের দুর্নীতি করার সুযোগ কোথায়? আমার কথায় কোনো কাজ হয় না, চাকরি হয় না। আমার কথায় সরকারের কোনো কেনাকাটা হয় না। তাহলে দুর্নীতি কীভাবে করব? তারাই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, যারা সরকারের কেনাকাটায় জড়িত।
মুক্তি বলেন, সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের পিডি (প্রকল্প পরিচালক) আছেন, একজন পিডির কত শত শত কোটি টাকা আছে! আমার কাছে মনে হয় এরা মানসিক বিকারগ্রস্ত! এদের চিকিৎসা হওয়া প্রয়োজন। আমাদের সময় খুব কম। দেশটাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে না পারি তাহলে ৩০ লাখ শহীদ আমাদের অভিশাপ দেবে।
কবিরুল হক মুক্তি বলেন, বাংলাদেশের কিছু মানুষ, কিছু কর্মকর্তা, কিছু কর্মচারী বা আমরা (এমপি) কথায় কথায় বিদেশে চেকআপে যায়, মাউন্ট এলিজাবেথ, ইউরোপ-আমেরিকায় যায়। এর মাধ্যমে আমাদের দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে জনগণের কাছে অনাস্থা যায়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ না হলে আমরা যতই বড় বাজেট দি না কেন দেশের জন্য ভালো হবে না।
অধিবেশনে বিরোধী দলীয় উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে একটা দেশ তাতে চলতে পারে না। সময় এসেছে দুর্নীতি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া এবং পুরো ব্যবস্থা নিয়ে একটি পর্যালোচনা করার। সংসদ সদস্য নির্বাচনের আগে যেভাবে হলফনামায় সংসদ সদস্যদের সম্পদের হিসাব দিতে হয়, সেভাবে সরকারি কর্মচারীদের চাকরির শুরুতে সম্পদের হিসাব দেওয়ার বিধান করার দাবি জানান তিনি।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম আরও বলেন, এখন জনগণ দেখছে কীভাবে দুর্নীতি হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানগুলো নষ্ট হচ্ছে। সবাই দুর্নীতিবাজ নন। কিন্তু সবার ওপর দায় আসছে। এই দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
কালো টাকা সাদা করার সুযোগের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, এই সুযোগ অনৈতিক। অবৈধ আয় যদি ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বৈধ করা যায় তাহলে কেন অন্যরা কর দেবেন।
আনিসুল ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু দুর্নীতির ঘটনা সামনে এসেছে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দেন তাদের বিরুদ্ধে শত শত কোটি নয় হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে।
বাজেটের সমালোচকদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে নানান ধরনের বিশেষজ্ঞ আছে। সব বিষয়ে বিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ। বিশেষ কারণে অজ্ঞ বিশেষজ্ঞ এবং বিশেষ উদ্দেশে বিশেষজ্ঞ। এ বিশেষজ্ঞরা নানা ধরনের মত দেয়। ভারত ও পাকিস্তানে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি নিয়ে কথা হয়, তার ছিটে-ফোঁটাও আমাদের দেশের বিশেষজ্ঞরা করেন না। তারা শুধু সমালোচনাই করতে পারেন। কিছু বিশেষজ্ঞ আছেন তারা মনে করেন যদি ভুল ধরা না হয় তাহলে যে তারা বিজ্ঞ তা প্রমাণিত হয় না। এ জন্য তারা ভুল ধরে। কেউ পড়ছেন রাজনীতি তিনি অর্থনীতির বিশেষজ্ঞ। পড়েছেন আইন তিনি পরিবেশ বিশেষজ্ঞ। পড়েছেন অর্থনীতি, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানও অর্থনীতি, তিনি আবার পরিবেশ-তেল-গ্যাস বিশেষজ্ঞ। এ ধরনের নানা বিশেষজ্ঞ আছে। যখন কোনো বাজেট দেওয়া হয় তখন গৎবাঁধা সমালোচনা করে।
বিএনপির আমলের বাজেটের সঙ্গে বর্তমান বাজেটের তুলনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের বাজেট যখন বাড়ে তার অর্থ দেশের অর্থনীতি মজবুত হচ্ছে দেশ ভালো হচ্ছে মানুষ উপকার পাচ্ছে। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ে অনেক কথা হয়। সমগ্র পৃথিবী মূল্যস্ফীতিতে জর্জরিত। সে তুলনায় অনেক দেশের তুলনায় আমাদের কম। এ সময় তিনি পাকিস্তান, রাশিয়া, তুরস্ক, মিয়ানমার, ইরানের উদাহরণ দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই বাজেটে মূল্যস্ফীতি কমানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।

দুর্নীতি দেশে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নড়াইল–১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি। তিনি বলেছেন, দুর্নীতি আমাদের দেশে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। আজকে অনেকের দুর্নীতির থলের বিড়াল বের হচ্ছে। আমার কাছে মনে হয় এ দুর্নীতির আঘাত থেকে আমরা কেউ বাইরে নই। মূল দোষ হয় জনপ্রতিনিধির।
বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন কবিরুল হক মুক্তি।
তিনি বলেন, সংসদের সাড়ে তিনশ এমপি, তাঁদের দুর্নীতি করার সুযোগ কোথায়? আমার কথায় কোনো কাজ হয় না, চাকরি হয় না। আমার কথায় সরকারের কোনো কেনাকাটা হয় না। তাহলে দুর্নীতি কীভাবে করব? তারাই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, যারা সরকারের কেনাকাটায় জড়িত।
মুক্তি বলেন, সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের পিডি (প্রকল্প পরিচালক) আছেন, একজন পিডির কত শত শত কোটি টাকা আছে! আমার কাছে মনে হয় এরা মানসিক বিকারগ্রস্ত! এদের চিকিৎসা হওয়া প্রয়োজন। আমাদের সময় খুব কম। দেশটাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে না পারি তাহলে ৩০ লাখ শহীদ আমাদের অভিশাপ দেবে।
কবিরুল হক মুক্তি বলেন, বাংলাদেশের কিছু মানুষ, কিছু কর্মকর্তা, কিছু কর্মচারী বা আমরা (এমপি) কথায় কথায় বিদেশে চেকআপে যায়, মাউন্ট এলিজাবেথ, ইউরোপ-আমেরিকায় যায়। এর মাধ্যমে আমাদের দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে জনগণের কাছে অনাস্থা যায়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ না হলে আমরা যতই বড় বাজেট দি না কেন দেশের জন্য ভালো হবে না।
অধিবেশনে বিরোধী দলীয় উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে একটা দেশ তাতে চলতে পারে না। সময় এসেছে দুর্নীতি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া এবং পুরো ব্যবস্থা নিয়ে একটি পর্যালোচনা করার। সংসদ সদস্য নির্বাচনের আগে যেভাবে হলফনামায় সংসদ সদস্যদের সম্পদের হিসাব দিতে হয়, সেভাবে সরকারি কর্মচারীদের চাকরির শুরুতে সম্পদের হিসাব দেওয়ার বিধান করার দাবি জানান তিনি।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম আরও বলেন, এখন জনগণ দেখছে কীভাবে দুর্নীতি হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানগুলো নষ্ট হচ্ছে। সবাই দুর্নীতিবাজ নন। কিন্তু সবার ওপর দায় আসছে। এই দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
কালো টাকা সাদা করার সুযোগের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, এই সুযোগ অনৈতিক। অবৈধ আয় যদি ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বৈধ করা যায় তাহলে কেন অন্যরা কর দেবেন।
আনিসুল ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু দুর্নীতির ঘটনা সামনে এসেছে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দেন তাদের বিরুদ্ধে শত শত কোটি নয় হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে।
বাজেটের সমালোচকদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে নানান ধরনের বিশেষজ্ঞ আছে। সব বিষয়ে বিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ। বিশেষ কারণে অজ্ঞ বিশেষজ্ঞ এবং বিশেষ উদ্দেশে বিশেষজ্ঞ। এ বিশেষজ্ঞরা নানা ধরনের মত দেয়। ভারত ও পাকিস্তানে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি নিয়ে কথা হয়, তার ছিটে-ফোঁটাও আমাদের দেশের বিশেষজ্ঞরা করেন না। তারা শুধু সমালোচনাই করতে পারেন। কিছু বিশেষজ্ঞ আছেন তারা মনে করেন যদি ভুল ধরা না হয় তাহলে যে তারা বিজ্ঞ তা প্রমাণিত হয় না। এ জন্য তারা ভুল ধরে। কেউ পড়ছেন রাজনীতি তিনি অর্থনীতির বিশেষজ্ঞ। পড়েছেন আইন তিনি পরিবেশ বিশেষজ্ঞ। পড়েছেন অর্থনীতি, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানও অর্থনীতি, তিনি আবার পরিবেশ-তেল-গ্যাস বিশেষজ্ঞ। এ ধরনের নানা বিশেষজ্ঞ আছে। যখন কোনো বাজেট দেওয়া হয় তখন গৎবাঁধা সমালোচনা করে।
বিএনপির আমলের বাজেটের সঙ্গে বর্তমান বাজেটের তুলনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের বাজেট যখন বাড়ে তার অর্থ দেশের অর্থনীতি মজবুত হচ্ছে দেশ ভালো হচ্ছে মানুষ উপকার পাচ্ছে। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ে অনেক কথা হয়। সমগ্র পৃথিবী মূল্যস্ফীতিতে জর্জরিত। সে তুলনায় অনেক দেশের তুলনায় আমাদের কম। এ সময় তিনি পাকিস্তান, রাশিয়া, তুরস্ক, মিয়ানমার, ইরানের উদাহরণ দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই বাজেটে মূল্যস্ফীতি কমানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল।
৩ ঘণ্টা আগে
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫২৫ কোটি টাকার বেশি আদায় করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির ১১ মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৬টি পৃথক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘অতি সম্প্রতি মহলবিশেষের পক্ষ থেকে সংঘবদ্ধ অপপ্রচারে বলা হচ্ছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আপ্যায়ন বাবদ ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। এটি একটি পরিকল্পিত প্রপাগান্ডা, যা প্রচারকারীরা কমিশনের কোনো ভাষ্য বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ না করেই চালাচ্ছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২০২৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যক্রম শুরু করে। ২০২৪-২৫ এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কমিশনের মোট বাজেট ছিল ৭ কোটি ২৩ লাখ ৩১ হাজার ২৬ টাকা। এর মধ্যে ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৭১ লাখ ৩১ হাজার ১২৬ টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বাজেটের মধ্যে আপ্যায়ন খাতে বরাদ্দ ছিল ৬৩ লাখ টাকা, যার মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৪৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮৫ টাকা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, আপ্যায়ন খাতের অধিকাংশ ব্যয় হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও কমিশনের বিভিন্ন বৈঠক চলাকালে। এসব বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি, তাঁদের সহযোগী, সাংবাদিক, কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
প্রথম পর্যায়ে গত ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৪৪টি বৈঠক হয়, যেখানে ব্যয় হয় ৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ২৩টি বৈঠক হয়। এতে মোট ব্যয় হয় ২৮ লাখ ৮৩ হাজার ১০০ টাকা। এই বৈঠকগুলোর বেশির ভাগই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলেছে। ফলে নাশতার পাশাপাশি দুপুর ও রাতের খাবারেরও ব্যবস্থা করতে হয়েছে। গড়ে প্রতিদিনের ব্যয় ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকার কম।
তৃতীয় পর্যায়ে সাতটি বৈঠকে ৩০টি দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন, এতে ব্যয় হয় ৭ লাখ ৮ হাজার ৬০০ টাকা।
এ ছাড়া কমিশনের অভ্যন্তরীণ সভা হয়েছে ৫০টি, যার অনেকগুলোই দিনব্যাপী বা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনুষ্ঠিত হয়। এই বাবদ মোট ব্যয় হয় ১ লাখ ৫ হাজার ৫২০ টাকা।
রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক, নাগরিক সমাজ ও পেশাজীবীদের সঙ্গে বৈঠক এবং তিনটি সংবাদ সম্মেলনসহ মোট ১৩টি সভায় ব্যয় হয় ২ লাখ ৩৪০ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ১৩টি, যেখানে আপ্যায়ন বাবদ ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ৯৬০ টাকা। প্রেস উইং জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা এসব বৈঠকের জন্য কোনো ভাতা বা সম্মানী নেননি।
এ ছাড়া গত ৯ মাসে অতিথি আপ্যায়নের জন্য ব্যয় হয়েছে ২ লাখ টাকা। এসব অতিথির মধ্যে ছিলেন বিদেশি কূটনীতিক, দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতা, সম্পাদক, সাংবাদিক ও অন্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘উল্লিখিত বিস্তারিত হিসাব থেকে এটি স্পষ্ট যে, ৮৩ কোটি টাকার দাবি শুধু মিথ্যাচার নয়, বরং ঐকমত্য কমিশন ও তার কার্যক্রমকে হেয় করার একটি সংঘবদ্ধ ও পরিকল্পিত অপপ্রয়াস।’
কমিশনের দাবি, তারা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছে, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত দৈনন্দিন সংবাদ থেকেই স্পষ্ট। সাংবাদিকেরা নির্বিঘ্নে কমিশন কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পেরেছেন, কমিশনের সহসভাপতি ও সদস্যরা নিয়মিতভাবে গণমাধ্যমকে তথ্য দিয়েছেন এবং প্রেস ব্রিফিং করেছেন।
এ ছাড়া, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনাগুলো সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়েছে।
কমিশন আশা প্রকাশ করেছে, যে অসাধু মহল এই প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে, তারা অবিলম্বে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কমিশন তার দায়িত্ব পালনে দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের সহযোগিতা পেয়েছে এবং আশা করে গণমাধ্যমগুলো ভবিষ্যতেও সঠিক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্তির হাত থেকে রক্ষা করবে।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘অতি সম্প্রতি মহলবিশেষের পক্ষ থেকে সংঘবদ্ধ অপপ্রচারে বলা হচ্ছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আপ্যায়ন বাবদ ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। এটি একটি পরিকল্পিত প্রপাগান্ডা, যা প্রচারকারীরা কমিশনের কোনো ভাষ্য বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ না করেই চালাচ্ছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২০২৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যক্রম শুরু করে। ২০২৪-২৫ এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কমিশনের মোট বাজেট ছিল ৭ কোটি ২৩ লাখ ৩১ হাজার ২৬ টাকা। এর মধ্যে ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৭১ লাখ ৩১ হাজার ১২৬ টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বাজেটের মধ্যে আপ্যায়ন খাতে বরাদ্দ ছিল ৬৩ লাখ টাকা, যার মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৪৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮৫ টাকা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, আপ্যায়ন খাতের অধিকাংশ ব্যয় হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও কমিশনের বিভিন্ন বৈঠক চলাকালে। এসব বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি, তাঁদের সহযোগী, সাংবাদিক, কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
প্রথম পর্যায়ে গত ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৪৪টি বৈঠক হয়, যেখানে ব্যয় হয় ৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ২৩টি বৈঠক হয়। এতে মোট ব্যয় হয় ২৮ লাখ ৮৩ হাজার ১০০ টাকা। এই বৈঠকগুলোর বেশির ভাগই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলেছে। ফলে নাশতার পাশাপাশি দুপুর ও রাতের খাবারেরও ব্যবস্থা করতে হয়েছে। গড়ে প্রতিদিনের ব্যয় ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকার কম।
তৃতীয় পর্যায়ে সাতটি বৈঠকে ৩০টি দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন, এতে ব্যয় হয় ৭ লাখ ৮ হাজার ৬০০ টাকা।
এ ছাড়া কমিশনের অভ্যন্তরীণ সভা হয়েছে ৫০টি, যার অনেকগুলোই দিনব্যাপী বা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনুষ্ঠিত হয়। এই বাবদ মোট ব্যয় হয় ১ লাখ ৫ হাজার ৫২০ টাকা।
রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক, নাগরিক সমাজ ও পেশাজীবীদের সঙ্গে বৈঠক এবং তিনটি সংবাদ সম্মেলনসহ মোট ১৩টি সভায় ব্যয় হয় ২ লাখ ৩৪০ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ১৩টি, যেখানে আপ্যায়ন বাবদ ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ৯৬০ টাকা। প্রেস উইং জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা এসব বৈঠকের জন্য কোনো ভাতা বা সম্মানী নেননি।
এ ছাড়া গত ৯ মাসে অতিথি আপ্যায়নের জন্য ব্যয় হয়েছে ২ লাখ টাকা। এসব অতিথির মধ্যে ছিলেন বিদেশি কূটনীতিক, দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতা, সম্পাদক, সাংবাদিক ও অন্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘উল্লিখিত বিস্তারিত হিসাব থেকে এটি স্পষ্ট যে, ৮৩ কোটি টাকার দাবি শুধু মিথ্যাচার নয়, বরং ঐকমত্য কমিশন ও তার কার্যক্রমকে হেয় করার একটি সংঘবদ্ধ ও পরিকল্পিত অপপ্রয়াস।’
কমিশনের দাবি, তারা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছে, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত দৈনন্দিন সংবাদ থেকেই স্পষ্ট। সাংবাদিকেরা নির্বিঘ্নে কমিশন কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পেরেছেন, কমিশনের সহসভাপতি ও সদস্যরা নিয়মিতভাবে গণমাধ্যমকে তথ্য দিয়েছেন এবং প্রেস ব্রিফিং করেছেন।
এ ছাড়া, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনাগুলো সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়েছে।
কমিশন আশা প্রকাশ করেছে, যে অসাধু মহল এই প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে, তারা অবিলম্বে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কমিশন তার দায়িত্ব পালনে দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের সহযোগিতা পেয়েছে এবং আশা করে গণমাধ্যমগুলো ভবিষ্যতেও সঠিক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্তির হাত থেকে রক্ষা করবে।’

দুর্নীতি দেশে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নড়াইল–১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি। তিনি বলেছেন, দুর্নীতি আমাদের দেশে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। আজকে অনেকের দুর্নীতির থলের বিড়াল বের হচ্ছে। আমার কাছে মনে হয় এ দুর্নীতির আঘাত থেকে আমরা কেউ বাইরে নই। মূল দোষ হয় জনপ্রতিনিধির।
২৭ জুন ২০২৪
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল।
৩ ঘণ্টা আগে
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫২৫ কোটি টাকার বেশি আদায় করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির ১১ মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৬টি পৃথক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক তাঁদের ব্যবস্থাপত্রে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) অনুমোদিত ও নিবন্ধিত নয় এমন ওষুধ লিখে আসছেন। এতে রোগীদের স্বাস্থ্য বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়ছে। বিষয়টি তদন্তে মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবু হেনা চৌধুরীকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন ফার্মাকোলজি বিভাগের সভাপতি ডা. ইলোরা শারমিন এবং উপ-রেজিস্ট্রার (আইন) ডা. আবু হেনা হেলাল উদ্দিন আহমেদ। সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী পরিচালক (আইন) অ্যাডভোকেট তানিয়া আক্তার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএমইউর চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ওষুধ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। কোনো ওষুধ, ভিটামিন, মিনারেল বা সাপ্লিমেন্টের নাম প্রেসক্রিপশনে লেখা হলে তা আইনভঙ্গের শামিল কি না এবং হলে কী ধরনের আইনি প্রতিকার বা শাস্তি প্রযোজ্য হতে পারে, তা নির্ধারণ করে প্রচলিত আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে কমিটি। এ ক্ষেত্রে প্রামাণ্য আইন হিসেবে ‘ঔষধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩’ এবং ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০’ উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে—যেসব ভিটামিন, মিনারেল সাপ্লিমেন্ট ও হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট বিদেশ থেকে আমদানি হয়, সেগুলো ডিজিডিএ ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কীভাবে যাচাই-বাছাই করে, কিংবা এসব পণ্য ব্যবহারের অনুমোদন দেয় কি না, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ডিজিডিএর ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা সহজেই পাওয়া যায়। এই বিষয়ে চিকিৎসকদের সচেতন করতে আইটি সেকশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রতিকার হিসেবে বিএমইউর চিকিৎসকেরা যেন অননুমোদিত ওষুধ প্রেসক্রিপশনে না লেখেন সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট ছাপানো এবং সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম আয়োজন করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি অনিবন্ধিত ওষুধ লিখলে সম্ভাব্য শাস্তির বিষয়েও চিকিৎসকদের অবহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ, বহির্বিভাগ এবং প্রবেশদ্বারগুলোতে বড় সাইনবোর্ড স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি পাঠানো এবং ডিজিডিএ ও বিএসটিআই কর্তৃক নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা বিভাগ ও বহির্বিভাগে সরবরাহের সুপারিশও করা হয়েছে।

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক তাঁদের ব্যবস্থাপত্রে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) অনুমোদিত ও নিবন্ধিত নয় এমন ওষুধ লিখে আসছেন। এতে রোগীদের স্বাস্থ্য বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়ছে। বিষয়টি তদন্তে মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবু হেনা চৌধুরীকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন ফার্মাকোলজি বিভাগের সভাপতি ডা. ইলোরা শারমিন এবং উপ-রেজিস্ট্রার (আইন) ডা. আবু হেনা হেলাল উদ্দিন আহমেদ। সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী পরিচালক (আইন) অ্যাডভোকেট তানিয়া আক্তার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএমইউর চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ওষুধ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। কোনো ওষুধ, ভিটামিন, মিনারেল বা সাপ্লিমেন্টের নাম প্রেসক্রিপশনে লেখা হলে তা আইনভঙ্গের শামিল কি না এবং হলে কী ধরনের আইনি প্রতিকার বা শাস্তি প্রযোজ্য হতে পারে, তা নির্ধারণ করে প্রচলিত আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে কমিটি। এ ক্ষেত্রে প্রামাণ্য আইন হিসেবে ‘ঔষধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩’ এবং ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০’ উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে—যেসব ভিটামিন, মিনারেল সাপ্লিমেন্ট ও হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট বিদেশ থেকে আমদানি হয়, সেগুলো ডিজিডিএ ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কীভাবে যাচাই-বাছাই করে, কিংবা এসব পণ্য ব্যবহারের অনুমোদন দেয় কি না, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ডিজিডিএর ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা সহজেই পাওয়া যায়। এই বিষয়ে চিকিৎসকদের সচেতন করতে আইটি সেকশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রতিকার হিসেবে বিএমইউর চিকিৎসকেরা যেন অননুমোদিত ওষুধ প্রেসক্রিপশনে না লেখেন সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট ছাপানো এবং সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম আয়োজন করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি অনিবন্ধিত ওষুধ লিখলে সম্ভাব্য শাস্তির বিষয়েও চিকিৎসকদের অবহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ, বহির্বিভাগ এবং প্রবেশদ্বারগুলোতে বড় সাইনবোর্ড স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি পাঠানো এবং ডিজিডিএ ও বিএসটিআই কর্তৃক নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা বিভাগ ও বহির্বিভাগে সরবরাহের সুপারিশও করা হয়েছে।

দুর্নীতি দেশে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নড়াইল–১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি। তিনি বলেছেন, দুর্নীতি আমাদের দেশে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। আজকে অনেকের দুর্নীতির থলের বিড়াল বের হচ্ছে। আমার কাছে মনে হয় এ দুর্নীতির আঘাত থেকে আমরা কেউ বাইরে নই। মূল দোষ হয় জনপ্রতিনিধির।
২৭ জুন ২০২৪
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল।
৩ ঘণ্টা আগে
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫২৫ কোটি টাকার বেশি আদায় করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির ১১ মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৬টি পৃথক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল। সেই ত্রয়োদশ সংশোধনী আপিল বিভাগ বাতিল করলেন সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে। তার প্রধানত দুটি কারণ–একটি হলো এটা নির্বাচিত সরকার না। আরেকটি হলো, এটাতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এসব কথা বলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগে আজ নবম দিনের মতো এ বিষয়ে শুনানি হয়। এদিন রাষ্ট্রপক্ষ তাদের শুনানি শেষ করে। এরপর ১১ নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানিতে বলেন, ত্রয়োদশ সংশোধনী আপিল বিভাগ বাতিল করলেন এজন্য যে, বিচারকেরা প্রধান বিচারপতি, প্রধান উপদেষ্টা ইত্যাদি হওয়ার লোভ সামলাতে পারবেন না। যদি এটিই সত্য হয়, তাহলে যেসব বিচারপতি প্রধান বিচারপতি হওয়ার লোভে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে রায় দিয়েছিলেন, সেই সিস্টেমটা বদলানো দরকার।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, এটা প্রমাণিত হয়েছে, নির্বাচিত সরকার হলেই গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে পারে না। প্রমাণিত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আওতায় বাংলাদেশের মানুষ কীভাবে নিরপেক্ষভাবে, স্বাধীনভাবে, উন্মুক্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
রায় কার্যকর হওয়া প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এই রায় সেই দিন থেকেই কার্যকর হবে। তবে জুলাই বিপ্লবের পর একটি সরকার গঠিত হয়েছে। রাজপথ থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে এ দেশের সরকার প্রধান কে হবেন, কোন ধরনের সরকার হবে। দেশের প্রধান বিচারপতি কে হবেন, সেটাও রাজপথ থেকে বলে দেওয়া হয়েছে। এই যে রেভ্যলুশনের (বিপ্লবের) বিজয়ী শক্তি, এটাকে রেভ্যলুশনের থিওরি জুরিসপ্রুডেন্স বলে। এ থিওরি অনুসারে, এই সরকার একটা নির্বাচনের পথ ধরে হেঁটে গেছে। সেই নির্বাচনের পথে হাঁটতে গিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই সরকারের পরে যে সরকার আসবে, সেখান থেকে যদি কার্যকর করেন সেখানে কোনো ব্যত্যয় হবে না।’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘সরকার প্রধান যখন ৫ আগস্ট পালিয়ে যায়, তার ক্যাবিনেট যখন পালিয়ে যায়, তার সংসদ সদস্যরা যখন পালিয়ে যায়, তখন রাষ্ট্রপতির সামনে যখন কোনো পথ খোলা থাকে না। রাষ্ট্রপতি ১০৬ ধারায় সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে মতামত নিয়ে সরকার গঠন করেছেন। এই সরকার গঠন শুধু সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ওপর নির্ভর করে না। বিপ্লবের তত্ত্ব অনুসারে মুক্তিকামী জনগণ, বিজয়ী জনগণ, স্বাধীন জনগণ, গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বকারী জনগণ যেভাবে নির্ধারণ করবেন—সেটাই সংবিধান, সেটাই আইন। সুতরাং রেভ্যলুশনারি থিওরিতে যে জুরিসপ্রুডেন্স স্বীকার করা হলো, গ্রহণ করা হলো—সেই থিওরিটাকেই আমরা হাইলাইট করছি। ১০৬ সব নয়।’

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল। সেই ত্রয়োদশ সংশোধনী আপিল বিভাগ বাতিল করলেন সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে। তার প্রধানত দুটি কারণ–একটি হলো এটা নির্বাচিত সরকার না। আরেকটি হলো, এটাতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এসব কথা বলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগে আজ নবম দিনের মতো এ বিষয়ে শুনানি হয়। এদিন রাষ্ট্রপক্ষ তাদের শুনানি শেষ করে। এরপর ১১ নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানিতে বলেন, ত্রয়োদশ সংশোধনী আপিল বিভাগ বাতিল করলেন এজন্য যে, বিচারকেরা প্রধান বিচারপতি, প্রধান উপদেষ্টা ইত্যাদি হওয়ার লোভ সামলাতে পারবেন না। যদি এটিই সত্য হয়, তাহলে যেসব বিচারপতি প্রধান বিচারপতি হওয়ার লোভে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে রায় দিয়েছিলেন, সেই সিস্টেমটা বদলানো দরকার।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, এটা প্রমাণিত হয়েছে, নির্বাচিত সরকার হলেই গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে পারে না। প্রমাণিত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আওতায় বাংলাদেশের মানুষ কীভাবে নিরপেক্ষভাবে, স্বাধীনভাবে, উন্মুক্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
রায় কার্যকর হওয়া প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এই রায় সেই দিন থেকেই কার্যকর হবে। তবে জুলাই বিপ্লবের পর একটি সরকার গঠিত হয়েছে। রাজপথ থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে এ দেশের সরকার প্রধান কে হবেন, কোন ধরনের সরকার হবে। দেশের প্রধান বিচারপতি কে হবেন, সেটাও রাজপথ থেকে বলে দেওয়া হয়েছে। এই যে রেভ্যলুশনের (বিপ্লবের) বিজয়ী শক্তি, এটাকে রেভ্যলুশনের থিওরি জুরিসপ্রুডেন্স বলে। এ থিওরি অনুসারে, এই সরকার একটা নির্বাচনের পথ ধরে হেঁটে গেছে। সেই নির্বাচনের পথে হাঁটতে গিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই সরকারের পরে যে সরকার আসবে, সেখান থেকে যদি কার্যকর করেন সেখানে কোনো ব্যত্যয় হবে না।’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘সরকার প্রধান যখন ৫ আগস্ট পালিয়ে যায়, তার ক্যাবিনেট যখন পালিয়ে যায়, তার সংসদ সদস্যরা যখন পালিয়ে যায়, তখন রাষ্ট্রপতির সামনে যখন কোনো পথ খোলা থাকে না। রাষ্ট্রপতি ১০৬ ধারায় সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে মতামত নিয়ে সরকার গঠন করেছেন। এই সরকার গঠন শুধু সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ওপর নির্ভর করে না। বিপ্লবের তত্ত্ব অনুসারে মুক্তিকামী জনগণ, বিজয়ী জনগণ, স্বাধীন জনগণ, গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বকারী জনগণ যেভাবে নির্ধারণ করবেন—সেটাই সংবিধান, সেটাই আইন। সুতরাং রেভ্যলুশনারি থিওরিতে যে জুরিসপ্রুডেন্স স্বীকার করা হলো, গ্রহণ করা হলো—সেই থিওরিটাকেই আমরা হাইলাইট করছি। ১০৬ সব নয়।’

দুর্নীতি দেশে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নড়াইল–১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি। তিনি বলেছেন, দুর্নীতি আমাদের দেশে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। আজকে অনেকের দুর্নীতির থলের বিড়াল বের হচ্ছে। আমার কাছে মনে হয় এ দুর্নীতির আঘাত থেকে আমরা কেউ বাইরে নই। মূল দোষ হয় জনপ্রতিনিধির।
২৭ জুন ২০২৪
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫২৫ কোটি টাকার বেশি আদায় করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির ১১ মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৬টি পৃথক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫২৫ কোটি টাকার বেশি আদায় করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির ১১ মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৬টি পৃথক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন কমিশনে মামলাগুলোর অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মো. আক্তার হোসেন বলেন, এসব রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক ও কর্মকর্তারা মালয়েশিয়াগামী ৩১ হাজার ৩৩১ জন কর্মীর কাছ থেকে সরকারনির্ধারিত ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার পরিবর্তে পাঁচ গুণ অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে ৫২৫ কোটি ২২ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেন।
দুদকের সূত্র বলেছে, মেসার্স আমিন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের বিরুদ্ধে ৭ হাজার ৪৩০ জনের কাছ থেকে ১২৪ কোটি ৪৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের মালিক রুহুল আমিনকে আসামি করা হচ্ছে। মেসার্স মেরিট ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মাধ্যমে ৩ হাজার ৪৮৯ জনের কাছ থেকে ৫৮ কোটি ৪৪ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকা অতিরিক্ত নেওয়ার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ, তাঁর স্ত্রী এবং কোম্পানির এমডির নামে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
৩ হাজার ৩২১ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৫৫ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা আদায়ের অভিযোগে সাদিয়া ইন্টারন্যাশনালের শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমানের বিরুদ্ধে এবং ৮ হাজার ১০১ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ১৩৫ কোটি ৬৯ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা আদায়ের অভিযোগে ইম্পেরিয়াল রিসোর্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসাইন ও এমডি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
৫ হাজার ২০২ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৮৭ কোটি ১৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগে আরআরসি হিউম্যান রিসোর্স সার্ভিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ও এমডি মো. আলমগীর কবীর এবং ৩ হাজার ৭৮৮ জনের কাছ থেকে ৬৩ কোটি ৮৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগে থানেক্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সাবেক এমডি আব্দুল্লাহ শাহেদ, পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন নোমানী ও এমডি শমসের আহমেদের নামে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠিয়ে ১ হাজার ১২৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১১ মার্চ ৩২ জনের বিরুদ্ধে এবং ১ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৪ সেপ্টেম্বর ১৩টি রিক্রুটিং এজেন্সির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও সিন্ডিকেটের কারণে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করেছিল মালয়েশিয়া। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দেশটি পুনরায় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার চুক্তি করে। তখন শ্রমিক ভিসায় যেতে সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার ৫৪০ টাকা ফি নির্ধারণ করে সরকার, যা ২০২২ সালে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় অফিস আদেশের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়।

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫২৫ কোটি টাকার বেশি আদায় করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির ১১ মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৬টি পৃথক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন কমিশনে মামলাগুলোর অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মো. আক্তার হোসেন বলেন, এসব রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক ও কর্মকর্তারা মালয়েশিয়াগামী ৩১ হাজার ৩৩১ জন কর্মীর কাছ থেকে সরকারনির্ধারিত ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার পরিবর্তে পাঁচ গুণ অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে ৫২৫ কোটি ২২ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেন।
দুদকের সূত্র বলেছে, মেসার্স আমিন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের বিরুদ্ধে ৭ হাজার ৪৩০ জনের কাছ থেকে ১২৪ কোটি ৪৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের মালিক রুহুল আমিনকে আসামি করা হচ্ছে। মেসার্স মেরিট ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মাধ্যমে ৩ হাজার ৪৮৯ জনের কাছ থেকে ৫৮ কোটি ৪৪ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকা অতিরিক্ত নেওয়ার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ, তাঁর স্ত্রী এবং কোম্পানির এমডির নামে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
৩ হাজার ৩২১ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৫৫ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা আদায়ের অভিযোগে সাদিয়া ইন্টারন্যাশনালের শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমানের বিরুদ্ধে এবং ৮ হাজার ১০১ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ১৩৫ কোটি ৬৯ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা আদায়ের অভিযোগে ইম্পেরিয়াল রিসোর্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসাইন ও এমডি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
৫ হাজার ২০২ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৮৭ কোটি ১৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগে আরআরসি হিউম্যান রিসোর্স সার্ভিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ও এমডি মো. আলমগীর কবীর এবং ৩ হাজার ৭৮৮ জনের কাছ থেকে ৬৩ কোটি ৮৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগে থানেক্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সাবেক এমডি আব্দুল্লাহ শাহেদ, পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন নোমানী ও এমডি শমসের আহমেদের নামে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠিয়ে ১ হাজার ১২৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১১ মার্চ ৩২ জনের বিরুদ্ধে এবং ১ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৪ সেপ্টেম্বর ১৩টি রিক্রুটিং এজেন্সির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও সিন্ডিকেটের কারণে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করেছিল মালয়েশিয়া। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দেশটি পুনরায় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার চুক্তি করে। তখন শ্রমিক ভিসায় যেতে সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার ৫৪০ টাকা ফি নির্ধারণ করে সরকার, যা ২০২২ সালে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় অফিস আদেশের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়।

দুর্নীতি দেশে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নড়াইল–১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি। তিনি বলেছেন, দুর্নীতি আমাদের দেশে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। আজকে অনেকের দুর্নীতির থলের বিড়াল বের হচ্ছে। আমার কাছে মনে হয় এ দুর্নীতির আঘাত থেকে আমরা কেউ বাইরে নই। মূল দোষ হয় জনপ্রতিনিধির।
২৭ জুন ২০২৪
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল।
৩ ঘণ্টা আগে