
ফেসবুক লাইভে ধর্ম অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ায় সম্প্রতি শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারককে (জেলা জজ পদমর্যাদার) বদলি করা হয়েছে। ফেসবুক লাইভে আল্লাহ, ঈশ্বর ও ভগবান নিয়ে স্পর্শকাতর ও অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছিলেন বলে আইন মন্ত্রণালয়ের বদলি আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই বিচারক অবসর সময়ে লেখালেখি ও গানের সুর করতেন। ‘গানে জ্ঞানে’ নামে তাঁর একটি ইউটিউব চ্যানেলও ছিল। নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে ধর্ম অবমাননাকর কথাবার্তা বলেছিলেন তিনি। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হওয়ার পর তাঁর ফেসবুক আইডি ও ইউটিউব চ্যানেল ডিজেবল রয়েছে।
এই ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের অনুসরণীয় নির্দেশনাসমূহ আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করতে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে সার্কুলার জারি করা হয়েছে। হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) এস কে এম তোফায়েল হাসানের সই করা এ-সংক্রান্ত সার্কুলার গত রোববার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে কতিপয় বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর জারি করা সার্কুলারে (নম্বর-৪ জে) প্রদত্ত নির্দেশনা প্রতিপালন করছেন না।
কোনো কোনো বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা বিচারিক কর্মঘণ্টার মধ্যেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের চেম্বার অথবা কর্মক্ষেত্রে দায়িত্বরত অবস্থায় তোলা ছবি বা ভিডিও আপলোড করছেন। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা ভঙ্গকারী ছবি পাবলিক পোস্ট হিসেবে আপলোড করছেন। অন্যের আপলোড করা ছবি, ভিডিও বা কনটেন্ট শেয়ার বা তাতে অপ্রয়োজনীয় মন্তব্যও করছেন।
এ ছাড়া রাজনৈতিক ও ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয়ে মন্তব্য/শেয়ার করছেন এবং ইউটিউব বা অন্য কোনো মাধ্যমে নিজ বা ছদ্মনামে চ্যানেল খুলে ভিডিও আপলোড করাসহ অপ্রয়োজনীয় ও গুরুত্বহীন অনুষ্ঠানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করছেন।
কতিপয় বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার এমন কর্মকাণ্ডের ফলে বিচার বিভাগ সম্পর্কে জনমনে নেতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি হচ্ছে, যা অপ্রত্যাশিত।
এ অবস্থায় বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রদত্ত অনুসরণীয় নির্দেশনাসমূহ আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে আদিষ্ট হয়ে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে অনুসরণীয় নির্দেশনা জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। তৎকালীন প্রধান বিচারপতির আদেশে রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. মো. জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনা জারি করা হয়। সেটিই আবার সংশ্লিষ্টদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২০১৯ সালের ওই নির্দেশনায় বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়নের সুযোগে ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের মাত্রা অতীতের তুলনায় অনেক গুণ বেড়েছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কম্পিউটার, স্মার্টফোন এবং অনুরূপ যেকোনো ডিভাইসের মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তির তথ্য, ছবি, অডিও ও ভিডিও আদান-প্রদান করা যায়। তবে অতিমাত্রায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ফলে এক ধরনের আসক্তি তৈরি হয়, যা ব্যক্তি ও পেশাগত জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘সকল সরকারি কর্মচারীদের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারসংক্রান্ত নির্দেশিকা ২০১৬’ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে কোনো নীতিমালা বা নির্দেশিকা গ্রহণ করা হয়নি। বর্ণিত অবস্থায় ‘সুপ্রিম কোর্ট স্পেশাল কমিটি ফর জুডিশিয়াল রিফরম’-এর সুপারিশক্রমে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি অনুসরণীয় নির্দেশনা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে যেসব বিষয় অনুসরণ করতে হবে-
ক. প্রকাশিতব্য লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি নির্বাচন ও বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
খ. প্রকাশিত তথ্য-উপাত্তের যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।
গ. ব্যক্তিগত ও পারিবারিক তথ্য আদান-প্রদান, প্রকাশ ও প্রচারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং বিচারকসুলভ মনোভাব অবলম্বন করতে হবে।
ঘ. অপ্রয়োজনীয় বা গুরুত্বহীন বিষয়ে তথ্য, স্ট্যাটাস বা পোস্ট দেওয়া যাবে না।
ঙ. বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য একটি পোর্টাল/গ্রুপ থাকতে পারে, যেখানে বিচারাধীন মামলার বিষয় এবং ব্যক্তিগত বিষয় ব্যতীত কেবল আইনগত বিষয়ে একাডেমিক আলোচনা ও তথ্য আদান-প্রদান করা যাবে।
চ. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ও বিচারকসুলভ আচরণ করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে।
ছ. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো তথ্য আদান-প্রদান ও বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। নিজ কর্মক্ষেত্রে মামলার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বা মামলা পরিচালনার সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না।
জ. বাস্তব ও স্বাভাবিক অবস্থায় সহকর্মীদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়াসংক্রান্ত নিয়মনীতি, করণীয় ও বর্জনীয় দিকসমূহের প্রতিফলন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নিশ্চিত করতে হবে।
যে বিষয়গুলো পরিহার করতে হবে
ক. জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থী কোনো প্রকার তথ্য, মন্তব্য ও অনুভূতি প্রকাশ ও প্রচার।
খ. কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে এমন কোনো তথ্য, মন্তব্য বা অনুভূতি প্রকাশ ও প্রচার।
গ. রাজনৈতিক মতাদর্শ বা আলোচনাসংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য, মন্তব্য বা অনুভূতি প্রকাশ ও প্রচার।
ঘ. কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক বা হেয়প্রতিপন্নমূলক কোনো তথ্য, মন্তব্য বা অনুভূতি প্রকাশ ও প্রচার।
ঙ. কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রকে হেয়প্রতিপন্ন করে এমন কোনো তথ্য, মন্তব্য বা অনুভূতি প্রকাশ ও প্রচার।
চ. লিঙ্গ বৈষম্যমূলক কোনো তথ্য, মন্তব্য বা অনুভূতি প্রকাশ ও প্রচার।
ছ. জনমনে অসন্তোষ ও অপ্রীতিকর মনোভব সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো তথ্য, মন্তব্য বা অনুভূতি প্রচার ও প্রকাশ।
জ. কোনো মামলাসংক্রান্তে বিরূপ মন্তব্য বা ব্যক্তিগত অনুভূতি প্রকাশ বা প্রচার।
ঝ. নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো বিরূপ মন্তব্য বা ব্যক্তিগত অনুভূতি প্রকাশ বা প্রচার।
ঞ. বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় বিচারপতিদের ছবি বা ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ ও প্রচার।
ট. অপ্রাসঙ্গিক, অপ্রয়োজনীয়, মানহানিকর এবং নৈতিকতা পরিপন্থী কোনো স্ট্যাটাস, পোস্ট, লিংক, ছবি ইত্যাদিতে অন্যজনকে সংযুক্তকরণ (ট্যাগিং), আদান-প্রদান (শেয়ারিং), প্রকাশ ও প্রচার।
এ ছাড়া, বিচারিক কর্মঘণ্টার পূর্ণ ব্যবহারের লক্ষ্যে এই সময় (৯.৩০ থেকে ৪: ৩০) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উপস্থিতি কঠোরভাবে পরিহার করতে হবে।
তা ছাড়া বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার দেশের প্রচলিত আইন ও বিধিবিধানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট প্রচারিত এই নির্দেশনা অমান্য করলে তা ‘অসদাচরণ’ হিসেবে গণ্য হবে এবং সে ক্ষেত্রে ‘বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালা, ২০১৭’ এর পাশাপাশি প্রচলিত অন্যান্য আইন ও বিধিবিধান প্রযোজ্য হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

ফেসবুক লাইভে ধর্ম অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ায় সম্প্রতি শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারককে (জেলা জজ পদমর্যাদার) বদলি করা হয়েছে। ফেসবুক লাইভে আল্লাহ, ঈশ্বর ও ভগবান নিয়ে স্পর্শকাতর ও অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছিলেন বলে আইন মন্ত্রণালয়ের বদলি আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই বিচারক অবসর সময়ে লেখালেখি ও গানের সুর করতেন। ‘গানে জ্ঞানে’ নামে তাঁর একটি ইউটিউব চ্যানেলও ছিল। নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে ধর্ম অবমাননাকর কথাবার্তা বলেছিলেন তিনি। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হওয়ার পর তাঁর ফেসবুক আইডি ও ইউটিউব চ্যানেল ডিজেবল রয়েছে।
এই ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের অনুসরণীয় নির্দেশনাসমূহ আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করতে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে সার্কুলার জারি করা হয়েছে। হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) এস কে এম তোফায়েল হাসানের সই করা এ-সংক্রান্ত সার্কুলার গত রোববার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে কতিপয় বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর জারি করা সার্কুলারে (নম্বর-৪ জে) প্রদত্ত নির্দেশনা প্রতিপালন করছেন না।
কোনো কোনো বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা বিচারিক কর্মঘণ্টার মধ্যেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের চেম্বার অথবা কর্মক্ষেত্রে দায়িত্বরত অবস্থায় তোলা ছবি বা ভিডিও আপলোড করছেন। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা ভঙ্গকারী ছবি পাবলিক পোস্ট হিসেবে আপলোড করছেন। অন্যের আপলোড করা ছবি, ভিডিও বা কনটেন্ট শেয়ার বা তাতে অপ্রয়োজনীয় মন্তব্যও করছেন।
এ ছাড়া রাজনৈতিক ও ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয়ে মন্তব্য/শেয়ার করছেন এবং ইউটিউব বা অন্য কোনো মাধ্যমে নিজ বা ছদ্মনামে চ্যানেল খুলে ভিডিও আপলোড করাসহ অপ্রয়োজনীয় ও গুরুত্বহীন অনুষ্ঠানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করছেন।
কতিপয় বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার এমন কর্মকাণ্ডের ফলে বিচার বিভাগ সম্পর্কে জনমনে নেতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি হচ্ছে, যা অপ্রত্যাশিত।
এ অবস্থায় বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রদত্ত অনুসরণীয় নির্দেশনাসমূহ আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে আদিষ্ট হয়ে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে অনুসরণীয় নির্দেশনা জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। তৎকালীন প্রধান বিচারপতির আদেশে রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. মো. জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনা জারি করা হয়। সেটিই আবার সংশ্লিষ্টদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২০১৯ সালের ওই নির্দেশনায় বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়নের সুযোগে ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের মাত্রা অতীতের তুলনায় অনেক গুণ বেড়েছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কম্পিউটার, স্মার্টফোন এবং অনুরূপ যেকোনো ডিভাইসের মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তির তথ্য, ছবি, অডিও ও ভিডিও আদান-প্রদান করা যায়। তবে অতিমাত্রায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ফলে এক ধরনের আসক্তি তৈরি হয়, যা ব্যক্তি ও পেশাগত জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘সকল সরকারি কর্মচারীদের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারসংক্রান্ত নির্দেশিকা ২০১৬’ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে কোনো নীতিমালা বা নির্দেশিকা গ্রহণ করা হয়নি। বর্ণিত অবস্থায় ‘সুপ্রিম কোর্ট স্পেশাল কমিটি ফর জুডিশিয়াল রিফরম’-এর সুপারিশক্রমে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি অনুসরণীয় নির্দেশনা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে যেসব বিষয় অনুসরণ করতে হবে-
ক. প্রকাশিতব্য লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি নির্বাচন ও বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
খ. প্রকাশিত তথ্য-উপাত্তের যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।
গ. ব্যক্তিগত ও পারিবারিক তথ্য আদান-প্রদান, প্রকাশ ও প্রচারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং বিচারকসুলভ মনোভাব অবলম্বন করতে হবে।
ঘ. অপ্রয়োজনীয় বা গুরুত্বহীন বিষয়ে তথ্য, স্ট্যাটাস বা পোস্ট দেওয়া যাবে না।
ঙ. বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য একটি পোর্টাল/গ্রুপ থাকতে পারে, যেখানে বিচারাধীন মামলার বিষয় এবং ব্যক্তিগত বিষয় ব্যতীত কেবল আইনগত বিষয়ে একাডেমিক আলোচনা ও তথ্য আদান-প্রদান করা যাবে।
চ. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ও বিচারকসুলভ আচরণ করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে।
ছ. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো তথ্য আদান-প্রদান ও বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। নিজ কর্মক্ষেত্রে মামলার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বা মামলা পরিচালনার সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না।
জ. বাস্তব ও স্বাভাবিক অবস্থায় সহকর্মীদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়াসংক্রান্ত নিয়মনীতি, করণীয় ও বর্জনীয় দিকসমূহের প্রতিফলন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নিশ্চিত করতে হবে।
যে বিষয়গুলো পরিহার করতে হবে
ক. জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থী কোনো প্রকার তথ্য, মন্তব্য ও অনুভূতি প্রকাশ ও প্রচার।
খ. কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে এমন কোনো তথ্য, মন্তব্য বা অনুভূতি প্রকাশ ও প্রচার।
গ. রাজনৈতিক মতাদর্শ বা আলোচনাসংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য, মন্তব্য বা অনুভূতি প্রকাশ ও প্রচার।
ঘ. কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক বা হেয়প্রতিপন্নমূলক কোনো তথ্য, মন্তব্য বা অনুভূতি প্রকাশ ও প্রচার।
ঙ. কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রকে হেয়প্রতিপন্ন করে এমন কোনো তথ্য, মন্তব্য বা অনুভূতি প্রকাশ ও প্রচার।
চ. লিঙ্গ বৈষম্যমূলক কোনো তথ্য, মন্তব্য বা অনুভূতি প্রকাশ ও প্রচার।
ছ. জনমনে অসন্তোষ ও অপ্রীতিকর মনোভব সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো তথ্য, মন্তব্য বা অনুভূতি প্রচার ও প্রকাশ।
জ. কোনো মামলাসংক্রান্তে বিরূপ মন্তব্য বা ব্যক্তিগত অনুভূতি প্রকাশ বা প্রচার।
ঝ. নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো বিরূপ মন্তব্য বা ব্যক্তিগত অনুভূতি প্রকাশ বা প্রচার।
ঞ. বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় বিচারপতিদের ছবি বা ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ ও প্রচার।
ট. অপ্রাসঙ্গিক, অপ্রয়োজনীয়, মানহানিকর এবং নৈতিকতা পরিপন্থী কোনো স্ট্যাটাস, পোস্ট, লিংক, ছবি ইত্যাদিতে অন্যজনকে সংযুক্তকরণ (ট্যাগিং), আদান-প্রদান (শেয়ারিং), প্রকাশ ও প্রচার।
এ ছাড়া, বিচারিক কর্মঘণ্টার পূর্ণ ব্যবহারের লক্ষ্যে এই সময় (৯.৩০ থেকে ৪: ৩০) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উপস্থিতি কঠোরভাবে পরিহার করতে হবে।
তা ছাড়া বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার দেশের প্রচলিত আইন ও বিধিবিধানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট প্রচারিত এই নির্দেশনা অমান্য করলে তা ‘অসদাচরণ’ হিসেবে গণ্য হবে এবং সে ক্ষেত্রে ‘বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালা, ২০১৭’ এর পাশাপাশি প্রচলিত অন্যান্য আইন ও বিধিবিধান প্রযোজ্য হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

ফেসবুক লাইভে ধর্ম অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ায় সম্প্রতি শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারককে (জেলা জজ পদমর্যাদার) বদলি করা হয়েছে। ফেসবুক লাইভে আল্লাহ, ঈশ্বর ও ভগবান নিয়ে স্পর্শকাতর ও অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছিলেন বলে আইন মন্ত্রণালয়ের বদলি আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই বিচারক অবসর সময়ে লেখালেখি ও গানের সুর করতেন। ‘গানে জ্ঞানে’ নামে তাঁর একটি ইউটিউব চ্যানেলও ছিল। নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে ধর্ম অবমাননাকর কথাবার্তা বলেছিলেন তিনি। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হওয়ার পর তাঁর ফেসবুক আইডি ও ইউটিউব চ্যানেল ডিজেবল রয়েছে।
এই ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের অনুসরণীয় নির্দেশনাসমূহ আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করতে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে সার্কুলার জারি করা হয়েছে। হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) এস কে এম তোফায়েল হাসানের সই করা এ-সংক্রান্ত সার্কুলার গত রোববার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে কতিপয় বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর জারি করা সার্কুলারে (নম্বর-৪ জে) প্রদত্ত নির্দেশনা প্রতিপালন করছেন না।
কোনো কোনো বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা বিচারিক কর্মঘণ্টার মধ্যেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের চেম্বার অথবা কর্মক্ষেত্রে দায়িত্বরত অবস্থায় তোলা ছবি বা ভিডিও আপলোড করছেন। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা ভঙ্গকারী ছবি পাবলিক পোস্ট হিসেবে আপলোড করছেন। অন্যের আপলোড করা ছবি, ভিডিও বা কনটেন্ট শেয়ার বা তাতে অপ্রয়োজনীয় মন্তব্যও করছেন।
এ ছাড়া রাজনৈতিক ও ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয়ে মন্তব্য/শেয়ার করছেন এবং ইউটিউব বা অন্য কোনো মাধ্যমে নিজ বা ছদ্মনামে চ্যানেল খুলে ভিডিও আপলোড করাসহ অপ্রয়োজনীয় ও গুরুত্বহীন অনুষ্ঠানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করছেন।
কতিপয় বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার এমন কর্মকাণ্ডের ফলে বিচার বিভাগ সম্পর্কে জনমনে নেতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি হচ্ছে, যা অপ্রত্যাশিত।
এ অবস্থায় বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রদত্ত অনুসরণীয় নির্দেশনাসমূহ আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে আদিষ্ট হয়ে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে অনুসরণীয় নির্দেশনা জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। তৎকালীন প্রধান বিচারপতির আদেশে রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. মো. জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনা জারি করা হয়। সেটিই আবার সংশ্লিষ্টদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২০১৯ সালের ওই নির্দেশনায় বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়নের সুযোগে ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের মাত্রা অতীতের তুলনায় অনেক গুণ বেড়েছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কম্পিউটার, স্মার্টফোন এবং অনুরূপ যেকোনো ডিভাইসের মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তির তথ্য, ছবি, অডিও ও ভিডিও আদান-প্রদান করা যায়। তবে অতিমাত্রায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ফলে এক ধরনের আসক্তি তৈরি হয়, যা ব্যক্তি ও পেশাগত জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘সকল সরকারি কর্মচারীদের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারসংক্রান্ত নির্দেশিকা ২০১৬’ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে কোনো নীতিমালা বা নির্দেশিকা গ্রহণ করা হয়নি। বর্ণিত অবস্থায় ‘সুপ্রিম কোর্ট স্পেশাল কমিটি ফর জুডিশিয়াল রিফরম’-এর সুপারিশক্রমে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি অনুসরণীয় নির্দেশনা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে যেসব বিষয় অনুসরণ করতে হবে-
ক. প্রকাশিতব্য লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি নির্বাচন ও বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
খ. প্রকাশিত তথ্য-উপাত্তের যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।
গ. ব্যক্তিগত ও পারিবারিক তথ্য আদান-প্রদান, প্রকাশ ও প্রচারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং বিচারকসুলভ মনোভাব অবলম্বন করতে হবে।
ঘ. অপ্রয়োজনীয় বা গুরুত্বহীন বিষয়ে তথ্য, স্ট্যাটাস বা পোস্ট দেওয়া যাবে না।
ঙ. বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য একটি পোর্টাল/গ্রুপ থাকতে পারে, যেখানে বিচারাধীন মামলার বিষয় এবং ব্যক্তিগত বিষয় ব্যতীত কেবল আইনগত বিষয়ে একাডেমিক আলোচনা ও তথ্য আদান-প্রদান করা যাবে।
চ. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ও বিচারকসুলভ আচরণ করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে।
ছ. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো তথ্য আদান-প্রদান ও বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। নিজ কর্মক্ষেত্রে মামলার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বা মামলা পরিচালনার সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না।
জ. বাস্তব ও স্বাভাবিক অবস্থায় সহকর্মীদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়াসংক্রান্ত নিয়মনীতি, করণীয় ও বর্জনীয় দিকসমূহের প্রতিফলন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নিশ্চিত করতে হবে।
যে বিষয়গুলো পরিহার করতে হবে
ক. জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থী কোনো প্রকার তথ্য, মন্তব্য ও অনুভূতি প্রকাশ ও প্রচার।
খ. কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে এমন কোনো তথ্য, মন্তব্য বা অনুভূতি প্রকাশ ও প্রচার।
গ. রাজনৈতিক মতাদর্শ বা আলোচনাসংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য, মন্তব্য বা অনুভূতি প্রকাশ ও প্রচার।
ঘ. কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক বা হেয়প্রতিপন্নমূলক কোনো তথ্য, মন্তব্য বা অনুভূতি প্রকাশ ও প্রচার।
ঙ. কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রকে হেয়প্রতিপন্ন করে এমন কোনো তথ্য, মন্তব্য বা অনুভূতি প্রকাশ ও প্রচার।
চ. লিঙ্গ বৈষম্যমূলক কোনো তথ্য, মন্তব্য বা অনুভূতি প্রকাশ ও প্রচার।
ছ. জনমনে অসন্তোষ ও অপ্রীতিকর মনোভব সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো তথ্য, মন্তব্য বা অনুভূতি প্রচার ও প্রকাশ।
জ. কোনো মামলাসংক্রান্তে বিরূপ মন্তব্য বা ব্যক্তিগত অনুভূতি প্রকাশ বা প্রচার।
ঝ. নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো বিরূপ মন্তব্য বা ব্যক্তিগত অনুভূতি প্রকাশ বা প্রচার।
ঞ. বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় বিচারপতিদের ছবি বা ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ ও প্রচার।
ট. অপ্রাসঙ্গিক, অপ্রয়োজনীয়, মানহানিকর এবং নৈতিকতা পরিপন্থী কোনো স্ট্যাটাস, পোস্ট, লিংক, ছবি ইত্যাদিতে অন্যজনকে সংযুক্তকরণ (ট্যাগিং), আদান-প্রদান (শেয়ারিং), প্রকাশ ও প্রচার।
এ ছাড়া, বিচারিক কর্মঘণ্টার পূর্ণ ব্যবহারের লক্ষ্যে এই সময় (৯.৩০ থেকে ৪: ৩০) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উপস্থিতি কঠোরভাবে পরিহার করতে হবে।
তা ছাড়া বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার দেশের প্রচলিত আইন ও বিধিবিধানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট প্রচারিত এই নির্দেশনা অমান্য করলে তা ‘অসদাচরণ’ হিসেবে গণ্য হবে এবং সে ক্ষেত্রে ‘বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালা, ২০১৭’ এর পাশাপাশি প্রচলিত অন্যান্য আইন ও বিধিবিধান প্রযোজ্য হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

ফেসবুক লাইভে ধর্ম অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ায় সম্প্রতি শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারককে (জেলা জজ পদমর্যাদার) বদলি করা হয়েছে। ফেসবুক লাইভে আল্লাহ, ঈশ্বর ও ভগবান নিয়ে স্পর্শকাতর ও অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছিলেন বলে আইন মন্ত্রণালয়ের বদলি আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই বিচারক অবসর সময়ে লেখালেখি ও গানের সুর করতেন। ‘গানে জ্ঞানে’ নামে তাঁর একটি ইউটিউব চ্যানেলও ছিল। নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে ধর্ম অবমাননাকর কথাবার্তা বলেছিলেন তিনি। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হওয়ার পর তাঁর ফেসবুক আইডি ও ইউটিউব চ্যানেল ডিজেবল রয়েছে।
এই ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের অনুসরণীয় নির্দেশনাসমূহ আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করতে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে সার্কুলার জারি করা হয়েছে। হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) এস কে এম তোফায়েল হাসানের সই করা এ-সংক্রান্ত সার্কুলার গত রোববার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে কতিপয় বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর জারি করা সার্কুলারে (নম্বর-৪ জে) প্রদত্ত নির্দেশনা প্রতিপালন করছেন না।
কোনো কোনো বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা বিচারিক কর্মঘণ্টার মধ্যেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের চেম্বার অথবা কর্মক্ষেত্রে দায়িত্বরত অবস্থায় তোলা ছবি বা ভিডিও আপলোড করছেন। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা ভঙ্গকারী ছবি পাবলিক পোস্ট হিসেবে আপলোড করছেন। অন্যের আপলোড করা ছবি, ভিডিও বা কনটেন্ট শেয়ার বা তাতে অপ্রয়োজনীয় মন্তব্যও করছেন।
এ ছাড়া রাজনৈতিক ও ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয়ে মন্তব্য/শেয়ার করছেন এবং ইউটিউব বা অন্য কোনো মাধ্যমে নিজ বা ছদ্মনামে চ্যানেল খুলে ভিডিও আপলোড করাসহ অপ্রয়োজনীয় ও গুরুত্বহীন অনুষ্ঠানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করছেন।
কতিপয় বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার এমন কর্মকাণ্ডের ফলে বিচার বিভাগ সম্পর্কে জনমনে নেতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি হচ্ছে, যা অপ্রত্যাশিত।
এ অবস্থায় বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রদত্ত অনুসরণীয় নির্দেশনাসমূহ আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে আদিষ্ট হয়ে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে অনুসরণীয় নির্দেশনা জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। তৎকালীন প্রধান বিচারপতির আদেশে রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. মো. জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনা জারি করা হয়। সেটিই আবার সংশ্লিষ্টদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২০১৯ সালের ওই নির্দেশনায় বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়নের সুযোগে ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের মাত্রা অতীতের তুলনায় অনেক গুণ বেড়েছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কম্পিউটার, স্মার্টফোন এবং অনুরূপ যেকোনো ডিভাইসের মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তির তথ্য, ছবি, অডিও ও ভিডিও আদান-প্রদান করা যায়। তবে অতিমাত্রায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ফলে এক ধরনের আসক্তি তৈরি হয়, যা ব্যক্তি ও পেশাগত জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘সকল সরকারি কর্মচারীদের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারসংক্রান্ত নির্দেশিকা ২০১৬’ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে কোনো নীতিমালা বা নির্দেশিকা গ্রহণ করা হয়নি। বর্ণিত অবস্থায় ‘সুপ্রিম কোর্ট স্পেশাল কমিটি ফর জুডিশিয়াল রিফরম’-এর সুপারিশক্রমে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি অনুসরণীয় নির্দেশনা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে যেসব বিষয় অনুসরণ করতে হবে-
ক. প্রকাশিতব্য লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি নির্বাচন ও বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
খ. প্রকাশিত তথ্য-উপাত্তের যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।
গ. ব্যক্তিগত ও পারিবারিক তথ্য আদান-প্রদান, প্রকাশ ও প্রচারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং বিচারকসুলভ মনোভাব অবলম্বন করতে হবে।
ঘ. অপ্রয়োজনীয় বা গুরুত্বহীন বিষয়ে তথ্য, স্ট্যাটাস বা পোস্ট দেওয়া যাবে না।
ঙ. বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য একটি পোর্টাল/গ্রুপ থাকতে পারে, যেখানে বিচারাধীন মামলার বিষয় এবং ব্যক্তিগত বিষয় ব্যতীত কেবল আইনগত বিষয়ে একাডেমিক আলোচনা ও তথ্য আদান-প্রদান করা যাবে।
চ. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ও বিচারকসুলভ আচরণ করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে।
ছ. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো তথ্য আদান-প্রদান ও বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। নিজ কর্মক্ষেত্রে মামলার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বা মামলা পরিচালনার সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না।
জ. বাস্তব ও স্বাভাবিক অবস্থায় সহকর্মীদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়াসংক্রান্ত নিয়মনীতি, করণীয় ও বর্জনীয় দিকসমূহের প্রতিফলন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নিশ্চিত করতে হবে।
যে বিষয়গুলো পরিহার করতে হবে
ক. জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থী কোনো প্রকার তথ্য, মন্তব্য ও অনুভূতি প্রকাশ ও প্রচার।
খ. কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে এমন কোনো তথ্য, মন্তব্য বা অনুভূতি প্রকাশ ও প্রচার।
গ. রাজনৈতিক মতাদর্শ বা আলোচনাসংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য, মন্তব্য বা অনুভূতি প্রকাশ ও প্রচার।
ঘ. কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক বা হেয়প্রতিপন্নমূলক কোনো তথ্য, মন্তব্য বা অনুভূতি প্রকাশ ও প্রচার।
ঙ. কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রকে হেয়প্রতিপন্ন করে এমন কোনো তথ্য, মন্তব্য বা অনুভূতি প্রকাশ ও প্রচার।
চ. লিঙ্গ বৈষম্যমূলক কোনো তথ্য, মন্তব্য বা অনুভূতি প্রকাশ ও প্রচার।
ছ. জনমনে অসন্তোষ ও অপ্রীতিকর মনোভব সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো তথ্য, মন্তব্য বা অনুভূতি প্রচার ও প্রকাশ।
জ. কোনো মামলাসংক্রান্তে বিরূপ মন্তব্য বা ব্যক্তিগত অনুভূতি প্রকাশ বা প্রচার।
ঝ. নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো বিরূপ মন্তব্য বা ব্যক্তিগত অনুভূতি প্রকাশ বা প্রচার।
ঞ. বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় বিচারপতিদের ছবি বা ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ ও প্রচার।
ট. অপ্রাসঙ্গিক, অপ্রয়োজনীয়, মানহানিকর এবং নৈতিকতা পরিপন্থী কোনো স্ট্যাটাস, পোস্ট, লিংক, ছবি ইত্যাদিতে অন্যজনকে সংযুক্তকরণ (ট্যাগিং), আদান-প্রদান (শেয়ারিং), প্রকাশ ও প্রচার।
এ ছাড়া, বিচারিক কর্মঘণ্টার পূর্ণ ব্যবহারের লক্ষ্যে এই সময় (৯.৩০ থেকে ৪: ৩০) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উপস্থিতি কঠোরভাবে পরিহার করতে হবে।
তা ছাড়া বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার দেশের প্রচলিত আইন ও বিধিবিধানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট প্রচারিত এই নির্দেশনা অমান্য করলে তা ‘অসদাচরণ’ হিসেবে গণ্য হবে এবং সে ক্ষেত্রে ‘বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালা, ২০১৭’ এর পাশাপাশি প্রচলিত অন্যান্য আইন ও বিধিবিধান প্রযোজ্য হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

২০২৪ সাল পর্যন্ত নির্বাহী আদেশে ২২ দিন সাধারণ ছুটি ছিল। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২৫ সালে রোজার ঈদে পাঁচ দিন, কোরবানির ঈদে ছয় দিন এবং দুর্গাপূজায় দুই দিন করে ছুটি ঘোষণা করেছিল। ফলে সাধারণ ছুটি বেড়ে ২৮ দিন হয়।
৩১ মিনিট আগে
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে ‘অযথার্থ’ এবং ‘শিষ্টাচার ও কূটনৈতিক সৌজন্যের প্রতি সম্মানজনক নয়’ বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম গতকাল শনিবার বাসসকে...
১ ঘণ্টা আগে
আদেশের বিষয়ে জানতে চাইলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাইকোর্ট চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে রুল জারি করেছেন। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে আলোচনা করে চেম্বার আদালতে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান এ এস এফ রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান এবং তাঁদের সহযোগীরা ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মোট ১৭টি করপোরেট প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে এসব অর্থ বিদেশে পাচার করেন।
২ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর সব সরকারি ও আধা সরকারি অফিস, সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত এবং আধা সরকারি সংস্থার ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি-৬ শাখা আজ রোববার এক প্রজ্ঞাপনে এই তালিকা প্রকাশ করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন দেওয়া হয়। আগামী বছর নির্বাহী আদেশে ২৮ দিন সরকারি ছুটি থাকবে। এর মধ্যে ১১ দিন পড়েছে শুক্র ও শনিবার।
২০২৪ সাল পর্যন্ত নির্বাহী আদেশে ২২ দিন সাধারণ ছুটি ছিল। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২৫ সালে রোজার ঈদে পাঁচ দিন, কোরবানির ঈদে ছয় দিন এবং দুর্গাপূজায় দুই দিন করে ছুটি ঘোষণা করেছিল। ফলে সাধারণ ছুটি বেড়ে ২৮ দিন হয়।
২০২৬ সালেও রোজার ঈদে পাঁচ দিন, কোরবানির ঈদে ছয় দিন এবং দুর্গাপূজায় দুই দিন করে ছুটি রাখা হয়েছে।
সাধারণ ছুটি: ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২০ মার্চ জুমাতুল বিদা, ২১ মার্চ ঈদুল ফিতর, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ১৩ এপ্রিল চৈত্রসংক্রান্তি (শুধু রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার জন্য), ১ মে মে দিবস, ১ মে বুদ্ধপূর্ণিমা (বৈশাখী পূর্ণিমা), ২৮ মে ঈদুল আজহা, ৫ আগস্ট জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস, ২৬ আগস্ট ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), ৪ সেপ্টেম্বর জন্মাষ্টমী, ২১ অক্টোবর দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী), ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৫ ডিসেম্বর যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন (বড়দিন)।
নির্বাহী আদেশে ছুটি: ৪ ফেব্রুয়ারি শবে বরাত; ১৭ মার্চ শবে কদর; ১৯, ২০, ২২ ও ২৩ মার্চ (ঈদের আগের দুই দিন ও পরের দুই দিন) ঈদুল ফিতর; ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ; ২৫, ২৭, ২৯, ৩০, ৩১ মে (ঈদের আগের দুই দিন ও পরের তিন দিন) ঈদুল আজহা; ২৬ জুন আশুরা এবং ২০ অক্টোবর দুর্গাপূজা (নবমী)।
ঐচ্ছিক ছুটি (মুসলিম পর্ব): ১৭ জানুয়ারি শবে মেরাজ, ২৪ মার্চ ঈদুল ফিতর (ঈদের পরের তৃতীয় দিন), ১ জুন ঈদুল আজহা (ঈদের পরের চতুর্থ দিন), ১২ আগস্ট আখেরি চাহার সোম্বা এবং ২৪ সেপ্টেম্বর ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহাম।
ঐচ্ছিক ছুটি (হিন্দু পর্ব): ২৩ জানুয়ারি সরস্বতী পূজা; ১৫ ফেব্রুয়ারি শিবরাত্রি ব্রত; ৩ মার্চ দোলযাত্রা; ১৭ মার্চ হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব; ১০ অক্টোবর মহালয়া; ১৮ ও ১৯ অক্টোবর দুর্গাপূজা (সপ্তমী ও অষ্টমী); ২৫ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজা এবং ৮ নভেম্বর শ্যামা পূজা।
ঐচ্ছিক ছুটি (খ্রিষ্টান পর্ব): ১ জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষ; ১৮ ফেব্রুয়ারি ভস্ম বুধবার; ২ এপ্রিল পুণ্য বৃহস্পতিবার; ৩ এপ্রিল পুণ্য শুক্রবার; ৪ এপ্রিল পুণ্য শনিবার; ৫ এপ্রিল ইস্টার সানডে এবং ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর যিশুখ্রিষ্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরের দিন)।
ঐচ্ছিক ছুটি (বৌদ্ধ পর্ব): ১ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা; ১৩ এপ্রিল চৈত্রসংক্রান্তি (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া অন্য সব জেলার জন্য); ৩০ এপ্রিল ও ২ মে বুদ্ধপূর্ণিমা; ২৯ জুলাই আষাঢ়ী পূর্ণিমা; ২৬ সেপ্টেম্বর মধু পূর্ণিমা (ভাদ্র পূর্ণিমা) এবং ২৫ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমা (আশ্বিনী পূর্ণিমা)।
ঐচ্ছিক ছুটি (পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে কর্মরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের জন্য): ১২ ও ১৫ এপ্রিল বৈসাবি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর অনুরূপ সামাজিক উৎসব।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, একজন কর্মচারীকে তাঁর নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে সর্বোচ্চ তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেওয়া যাবে। তবে এ জন্য বছরের শুরুতে প্রত্যেক কর্মচারীকে নিজ নিজ ধর্ম অনুযায়ী তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অনুমোদন নিতে হবে। সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি এবং সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেওয়া যাবে।
যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইনকানুন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয় অথবা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করেছে, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইনকানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এই ছুটি ঘোষণা করবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।

উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর সব সরকারি ও আধা সরকারি অফিস, সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত এবং আধা সরকারি সংস্থার ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি-৬ শাখা আজ রোববার এক প্রজ্ঞাপনে এই তালিকা প্রকাশ করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন দেওয়া হয়। আগামী বছর নির্বাহী আদেশে ২৮ দিন সরকারি ছুটি থাকবে। এর মধ্যে ১১ দিন পড়েছে শুক্র ও শনিবার।
২০২৪ সাল পর্যন্ত নির্বাহী আদেশে ২২ দিন সাধারণ ছুটি ছিল। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২৫ সালে রোজার ঈদে পাঁচ দিন, কোরবানির ঈদে ছয় দিন এবং দুর্গাপূজায় দুই দিন করে ছুটি ঘোষণা করেছিল। ফলে সাধারণ ছুটি বেড়ে ২৮ দিন হয়।
২০২৬ সালেও রোজার ঈদে পাঁচ দিন, কোরবানির ঈদে ছয় দিন এবং দুর্গাপূজায় দুই দিন করে ছুটি রাখা হয়েছে।
সাধারণ ছুটি: ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২০ মার্চ জুমাতুল বিদা, ২১ মার্চ ঈদুল ফিতর, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ১৩ এপ্রিল চৈত্রসংক্রান্তি (শুধু রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার জন্য), ১ মে মে দিবস, ১ মে বুদ্ধপূর্ণিমা (বৈশাখী পূর্ণিমা), ২৮ মে ঈদুল আজহা, ৫ আগস্ট জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস, ২৬ আগস্ট ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), ৪ সেপ্টেম্বর জন্মাষ্টমী, ২১ অক্টোবর দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী), ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৫ ডিসেম্বর যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন (বড়দিন)।
নির্বাহী আদেশে ছুটি: ৪ ফেব্রুয়ারি শবে বরাত; ১৭ মার্চ শবে কদর; ১৯, ২০, ২২ ও ২৩ মার্চ (ঈদের আগের দুই দিন ও পরের দুই দিন) ঈদুল ফিতর; ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ; ২৫, ২৭, ২৯, ৩০, ৩১ মে (ঈদের আগের দুই দিন ও পরের তিন দিন) ঈদুল আজহা; ২৬ জুন আশুরা এবং ২০ অক্টোবর দুর্গাপূজা (নবমী)।
ঐচ্ছিক ছুটি (মুসলিম পর্ব): ১৭ জানুয়ারি শবে মেরাজ, ২৪ মার্চ ঈদুল ফিতর (ঈদের পরের তৃতীয় দিন), ১ জুন ঈদুল আজহা (ঈদের পরের চতুর্থ দিন), ১২ আগস্ট আখেরি চাহার সোম্বা এবং ২৪ সেপ্টেম্বর ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহাম।
ঐচ্ছিক ছুটি (হিন্দু পর্ব): ২৩ জানুয়ারি সরস্বতী পূজা; ১৫ ফেব্রুয়ারি শিবরাত্রি ব্রত; ৩ মার্চ দোলযাত্রা; ১৭ মার্চ হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব; ১০ অক্টোবর মহালয়া; ১৮ ও ১৯ অক্টোবর দুর্গাপূজা (সপ্তমী ও অষ্টমী); ২৫ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজা এবং ৮ নভেম্বর শ্যামা পূজা।
ঐচ্ছিক ছুটি (খ্রিষ্টান পর্ব): ১ জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষ; ১৮ ফেব্রুয়ারি ভস্ম বুধবার; ২ এপ্রিল পুণ্য বৃহস্পতিবার; ৩ এপ্রিল পুণ্য শুক্রবার; ৪ এপ্রিল পুণ্য শনিবার; ৫ এপ্রিল ইস্টার সানডে এবং ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর যিশুখ্রিষ্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরের দিন)।
ঐচ্ছিক ছুটি (বৌদ্ধ পর্ব): ১ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা; ১৩ এপ্রিল চৈত্রসংক্রান্তি (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া অন্য সব জেলার জন্য); ৩০ এপ্রিল ও ২ মে বুদ্ধপূর্ণিমা; ২৯ জুলাই আষাঢ়ী পূর্ণিমা; ২৬ সেপ্টেম্বর মধু পূর্ণিমা (ভাদ্র পূর্ণিমা) এবং ২৫ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমা (আশ্বিনী পূর্ণিমা)।
ঐচ্ছিক ছুটি (পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে কর্মরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের জন্য): ১২ ও ১৫ এপ্রিল বৈসাবি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর অনুরূপ সামাজিক উৎসব।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, একজন কর্মচারীকে তাঁর নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে সর্বোচ্চ তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেওয়া যাবে। তবে এ জন্য বছরের শুরুতে প্রত্যেক কর্মচারীকে নিজ নিজ ধর্ম অনুযায়ী তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অনুমোদন নিতে হবে। সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি এবং সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেওয়া যাবে।
যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইনকানুন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয় অথবা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করেছে, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইনকানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এই ছুটি ঘোষণা করবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।

ফেসবুক লাইভে ধর্ম অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ায় সম্প্রতি শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারককে (জেলা জজ পদমর্যাদার) বদলি করা হয়েছে। ফেসবুক লাইভে আল্লাহ, ঈশ্বর ও ভগবান নিয়ে স্পর্শকাতর ও অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছিলেন বলে আইন মন্ত্রণালয়ের বদলি আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
১৮ এপ্রিল ২০২৩
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে ‘অযথার্থ’ এবং ‘শিষ্টাচার ও কূটনৈতিক সৌজন্যের প্রতি সম্মানজনক নয়’ বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম গতকাল শনিবার বাসসকে...
১ ঘণ্টা আগে
আদেশের বিষয়ে জানতে চাইলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাইকোর্ট চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে রুল জারি করেছেন। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে আলোচনা করে চেম্বার আদালতে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান এ এস এফ রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান এবং তাঁদের সহযোগীরা ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মোট ১৭টি করপোরেট প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে এসব অর্থ বিদেশে পাচার করেন।
২ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে ‘অযথার্থ’ এবং ‘শিষ্টাচার ও কূটনৈতিক সৌজন্যের প্রতি সম্মানজনক নয়’ বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম গতকাল শনিবার বাসসকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমরা মনে করি, রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্য সঠিক ও গঠনমূলক নয় এবং তা শিষ্টাচার ও কূটনৈতিক সৌজন্যের প্রতি সম্মানজনকও নয়।’
ভারতের নেটওয়ার্ক১৮ গ্রুপের প্রধান সম্পাদক রাহুল জোশির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে রাজনাথ সিং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে ‘নিজের কথাবার্তায় সতর্ক থাকার’ পরামর্শ দেন।
সাক্ষাৎকারে সিং বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো টানাপোড়েন চাই না, তবে ইউনূসকে তার বক্তব্যে সতর্ক থাকতে হবে।’ গত শুক্রবার নেটওয়ার্ক১৮ গ্রুপের একটি গণমাধ্যম ফার্স্টপোস্ট এই সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে।
এ প্রসঙ্গে মুখপাত্র মাহবুবুল আলম বলেন, ‘ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বাংলাদেশের সম্মানিত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তা আমাদের নজরে এসেছে।’
মাহবুবুল আলম পুনর্ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে ‘সার্বভৌম সমতা, পরস্পরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার’ ভিত্তিতে পারস্পরিকভাবে লাভজনক সম্পর্ক বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
আলম আরও বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যগুলো গঠনমূলক ও শ্রদ্ধাশীল সংলাপের মাধ্যমে সবচেয়ে ভালোভাবে সমাধান করা সম্ভব।
সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব চায় না।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে ‘অযথার্থ’ এবং ‘শিষ্টাচার ও কূটনৈতিক সৌজন্যের প্রতি সম্মানজনক নয়’ বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম গতকাল শনিবার বাসসকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমরা মনে করি, রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্য সঠিক ও গঠনমূলক নয় এবং তা শিষ্টাচার ও কূটনৈতিক সৌজন্যের প্রতি সম্মানজনকও নয়।’
ভারতের নেটওয়ার্ক১৮ গ্রুপের প্রধান সম্পাদক রাহুল জোশির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে রাজনাথ সিং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে ‘নিজের কথাবার্তায় সতর্ক থাকার’ পরামর্শ দেন।
সাক্ষাৎকারে সিং বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো টানাপোড়েন চাই না, তবে ইউনূসকে তার বক্তব্যে সতর্ক থাকতে হবে।’ গত শুক্রবার নেটওয়ার্ক১৮ গ্রুপের একটি গণমাধ্যম ফার্স্টপোস্ট এই সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে।
এ প্রসঙ্গে মুখপাত্র মাহবুবুল আলম বলেন, ‘ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বাংলাদেশের সম্মানিত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তা আমাদের নজরে এসেছে।’
মাহবুবুল আলম পুনর্ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে ‘সার্বভৌম সমতা, পরস্পরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার’ ভিত্তিতে পারস্পরিকভাবে লাভজনক সম্পর্ক বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
আলম আরও বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যগুলো গঠনমূলক ও শ্রদ্ধাশীল সংলাপের মাধ্যমে সবচেয়ে ভালোভাবে সমাধান করা সম্ভব।
সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব চায় না।

ফেসবুক লাইভে ধর্ম অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ায় সম্প্রতি শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারককে (জেলা জজ পদমর্যাদার) বদলি করা হয়েছে। ফেসবুক লাইভে আল্লাহ, ঈশ্বর ও ভগবান নিয়ে স্পর্শকাতর ও অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছিলেন বলে আইন মন্ত্রণালয়ের বদলি আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
১৮ এপ্রিল ২০২৩
২০২৪ সাল পর্যন্ত নির্বাহী আদেশে ২২ দিন সাধারণ ছুটি ছিল। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২৫ সালে রোজার ঈদে পাঁচ দিন, কোরবানির ঈদে ছয় দিন এবং দুর্গাপূজায় দুই দিন করে ছুটি ঘোষণা করেছিল। ফলে সাধারণ ছুটি বেড়ে ২৮ দিন হয়।
৩১ মিনিট আগে
আদেশের বিষয়ে জানতে চাইলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাইকোর্ট চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে রুল জারি করেছেন। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে আলোচনা করে চেম্বার আদালতে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান এ এস এফ রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান এবং তাঁদের সহযোগীরা ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মোট ১৭টি করপোরেট প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে এসব অর্থ বিদেশে পাচার করেন।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নতুন মাশুল আদায় স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। মেরিটাইম ল সোসাইটি নামের একটি সংগঠনের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার বেঞ্চ এক মাসের জন্য মাশুল আদায় স্থগিত করে রুল জারি করেন।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর বন্দরের নতুন মাশুলের গেজেট প্রকাশ করা হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বন্দরের বিভিন্ন ধরনের সেবায় আগের তুলনায় গড়ে ৪১ শতাংশ মাশুল বাড়ানো হয়েছে।
এই মাশুল কবে থেকে বাস্তবায়ন হবে, তা জানিয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সার্কুলার দেয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। পরে ওই সার্কুলার ও প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ মেরিটাইম ল সোসাইটির পক্ষ থেকে রিট করা হয়।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মহিউদ্দিন আবদুল কাদের। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।
আদেশের বিষয়ে জানতে চাইলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাইকোর্ট চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে রুল জারি করেছেন। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে আলোচনা করে চেম্বার আদালতে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নতুন মাশুল আদায় স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। মেরিটাইম ল সোসাইটি নামের একটি সংগঠনের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার বেঞ্চ এক মাসের জন্য মাশুল আদায় স্থগিত করে রুল জারি করেন।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর বন্দরের নতুন মাশুলের গেজেট প্রকাশ করা হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বন্দরের বিভিন্ন ধরনের সেবায় আগের তুলনায় গড়ে ৪১ শতাংশ মাশুল বাড়ানো হয়েছে।
এই মাশুল কবে থেকে বাস্তবায়ন হবে, তা জানিয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সার্কুলার দেয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। পরে ওই সার্কুলার ও প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ মেরিটাইম ল সোসাইটির পক্ষ থেকে রিট করা হয়।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মহিউদ্দিন আবদুল কাদের। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।
আদেশের বিষয়ে জানতে চাইলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাইকোর্ট চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে রুল জারি করেছেন। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে আলোচনা করে চেম্বার আদালতে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ফেসবুক লাইভে ধর্ম অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ায় সম্প্রতি শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারককে (জেলা জজ পদমর্যাদার) বদলি করা হয়েছে। ফেসবুক লাইভে আল্লাহ, ঈশ্বর ও ভগবান নিয়ে স্পর্শকাতর ও অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছিলেন বলে আইন মন্ত্রণালয়ের বদলি আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
১৮ এপ্রিল ২০২৩
২০২৪ সাল পর্যন্ত নির্বাহী আদেশে ২২ দিন সাধারণ ছুটি ছিল। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২৫ সালে রোজার ঈদে পাঁচ দিন, কোরবানির ঈদে ছয় দিন এবং দুর্গাপূজায় দুই দিন করে ছুটি ঘোষণা করেছিল। ফলে সাধারণ ছুটি বেড়ে ২৮ দিন হয়।
৩১ মিনিট আগে
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে ‘অযথার্থ’ এবং ‘শিষ্টাচার ও কূটনৈতিক সৌজন্যের প্রতি সম্মানজনক নয়’ বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম গতকাল শনিবার বাসসকে...
১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান এ এস এফ রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান এবং তাঁদের সহযোগীরা ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মোট ১৭টি করপোরেট প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে এসব অর্থ বিদেশে পাচার করেন।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশে বাণিজ্যের আড়ালে প্রায় ৯৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা) পাচারের অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানসহ ২৮ জন বিরুদ্ধে ১৭টি অর্থ পাচার মামলায় অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
আজ রোববার বিকেলে সিআইডির প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান এ এস এফ রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান এবং তাঁদের সহযোগীরা ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মোট ১৭টি করপোরেট প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে এসব অর্থ বিদেশে পাচার করেন।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—অ্যাডভেঞ্চার গার্মেন্টস, অ্যাপোলো অ্যাপারেলস, অটাম লুপ অ্যাপারেলস, বেক্সটেক্স গার্মেন্টস, কসমোপলিটান অ্যাপারেলস, কোজি অ্যাপারেলস, এসেস ফ্যাশন, ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপারেলস, কাঞ্চপুর অ্যাপারেলস, মিডওয়েস্ট গার্মেন্টস, পিয়ারলেস গার্মেন্টস, পিঙ্ক মেকার গার্মেন্টস, প্লাটিনাম গার্মেন্টস, স্কাইনেট অ্যাপারেলস, স্প্রিংফুল অ্যাপারেলস, আরবান ফ্যাশনস ও উইন্টার স্প্রিন্ট গার্মেন্টস লিমিটেড।
তদন্তে উঠে এসেছে, এসব প্রতিষ্ঠান জনতা ব্যাংক পিএলসির মতিঝিল শাখা থেকে এলসি বা বিক্রয় চুক্তির মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্য পরিচালনা করেছিল। কিন্তু রপ্তানির বিপরীতে অর্জিত অর্থ দেশে ফেরত না এনে বিদেশে পাচার করা হয়। অর্থগুলো দুবাইভিত্তিক আর আর গ্লোবাল ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে চলে যায়।
আর আর গ্লোবাল ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানের মালিকানা রয়েছে সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান এবং এ এস এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের নামে।
২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা রপ্তানি দেখানো হলেও সেই অর্থ দেশে ফেরত আনা হয়নি। এভাবে রপ্তানিমূল্য প্রত্যাবাসন না করে অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সিআইডি বাদী হয়ে গত বছরের ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর মতিঝিল থানায় ১৭টি মানি লন্ডারিং মামলা করে।
এসব মামলায় আদালতের আদেশে আসামিদের বিভিন্ন সম্পদ ক্রোক করে সিআইডি।
এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা জেলার দোহার থানার প্রায় দুই হাজার শতাংশ জমি ও স্থাপনা, গুলশানের ‘দ্য এনভয়’ ভবনের ৬ হাজার ১৮৯ দশমিক ৫৪ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, গুলশান ৬৮/এ সড়কের ৩১ নম্বর প্লটে অবস্থিত ২ হাজার ৭১৩ বর্গফুটের একটি ট্রিপ্লেক্স ফ্ল্যাট।
এ ছাড়া আসামিদের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয় এবং বিদেশ গমনেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সব মিলিয়ে ক্রোককৃত সম্পদের আনুমানিক মূল্য ৬০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকা।
১৭টি মামলায় মোট ২৮ জন ব্যক্তি ও ১৯টি প্রতিষ্ঠানকে অভিযুক্ত করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর অধীনে আদালতে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেন সিআইডির প্রধান। সেগুলো আদালতে জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
এসব মামলায় এরই মধ্যে জেলহাজতে থাকা সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া বেক্সিমকোর সহযোগী প্রতিষ্ঠান অটাম লুপ অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াসিউর রহমানকে চলতি বছরের জুলাই মাসে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।
রাষ্ট্রের অর্থ পাচারে জড়িত ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে আইনের আওতায় আনতে এবং জাতীয় অর্থনীতি সুরক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান সিআইডির প্রধান ছিবগাত উল্লাহ।

বিদেশে বাণিজ্যের আড়ালে প্রায় ৯৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা) পাচারের অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানসহ ২৮ জন বিরুদ্ধে ১৭টি অর্থ পাচার মামলায় অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
আজ রোববার বিকেলে সিআইডির প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান এ এস এফ রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান এবং তাঁদের সহযোগীরা ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মোট ১৭টি করপোরেট প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে এসব অর্থ বিদেশে পাচার করেন।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—অ্যাডভেঞ্চার গার্মেন্টস, অ্যাপোলো অ্যাপারেলস, অটাম লুপ অ্যাপারেলস, বেক্সটেক্স গার্মেন্টস, কসমোপলিটান অ্যাপারেলস, কোজি অ্যাপারেলস, এসেস ফ্যাশন, ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপারেলস, কাঞ্চপুর অ্যাপারেলস, মিডওয়েস্ট গার্মেন্টস, পিয়ারলেস গার্মেন্টস, পিঙ্ক মেকার গার্মেন্টস, প্লাটিনাম গার্মেন্টস, স্কাইনেট অ্যাপারেলস, স্প্রিংফুল অ্যাপারেলস, আরবান ফ্যাশনস ও উইন্টার স্প্রিন্ট গার্মেন্টস লিমিটেড।
তদন্তে উঠে এসেছে, এসব প্রতিষ্ঠান জনতা ব্যাংক পিএলসির মতিঝিল শাখা থেকে এলসি বা বিক্রয় চুক্তির মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্য পরিচালনা করেছিল। কিন্তু রপ্তানির বিপরীতে অর্জিত অর্থ দেশে ফেরত না এনে বিদেশে পাচার করা হয়। অর্থগুলো দুবাইভিত্তিক আর আর গ্লোবাল ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে চলে যায়।
আর আর গ্লোবাল ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানের মালিকানা রয়েছে সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান এবং এ এস এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের নামে।
২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা রপ্তানি দেখানো হলেও সেই অর্থ দেশে ফেরত আনা হয়নি। এভাবে রপ্তানিমূল্য প্রত্যাবাসন না করে অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সিআইডি বাদী হয়ে গত বছরের ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর মতিঝিল থানায় ১৭টি মানি লন্ডারিং মামলা করে।
এসব মামলায় আদালতের আদেশে আসামিদের বিভিন্ন সম্পদ ক্রোক করে সিআইডি।
এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা জেলার দোহার থানার প্রায় দুই হাজার শতাংশ জমি ও স্থাপনা, গুলশানের ‘দ্য এনভয়’ ভবনের ৬ হাজার ১৮৯ দশমিক ৫৪ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, গুলশান ৬৮/এ সড়কের ৩১ নম্বর প্লটে অবস্থিত ২ হাজার ৭১৩ বর্গফুটের একটি ট্রিপ্লেক্স ফ্ল্যাট।
এ ছাড়া আসামিদের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয় এবং বিদেশ গমনেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সব মিলিয়ে ক্রোককৃত সম্পদের আনুমানিক মূল্য ৬০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকা।
১৭টি মামলায় মোট ২৮ জন ব্যক্তি ও ১৯টি প্রতিষ্ঠানকে অভিযুক্ত করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর অধীনে আদালতে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেন সিআইডির প্রধান। সেগুলো আদালতে জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
এসব মামলায় এরই মধ্যে জেলহাজতে থাকা সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া বেক্সিমকোর সহযোগী প্রতিষ্ঠান অটাম লুপ অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াসিউর রহমানকে চলতি বছরের জুলাই মাসে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।
রাষ্ট্রের অর্থ পাচারে জড়িত ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে আইনের আওতায় আনতে এবং জাতীয় অর্থনীতি সুরক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান সিআইডির প্রধান ছিবগাত উল্লাহ।

ফেসবুক লাইভে ধর্ম অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ায় সম্প্রতি শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারককে (জেলা জজ পদমর্যাদার) বদলি করা হয়েছে। ফেসবুক লাইভে আল্লাহ, ঈশ্বর ও ভগবান নিয়ে স্পর্শকাতর ও অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছিলেন বলে আইন মন্ত্রণালয়ের বদলি আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
১৮ এপ্রিল ২০২৩
২০২৪ সাল পর্যন্ত নির্বাহী আদেশে ২২ দিন সাধারণ ছুটি ছিল। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২৫ সালে রোজার ঈদে পাঁচ দিন, কোরবানির ঈদে ছয় দিন এবং দুর্গাপূজায় দুই দিন করে ছুটি ঘোষণা করেছিল। ফলে সাধারণ ছুটি বেড়ে ২৮ দিন হয়।
৩১ মিনিট আগে
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে ‘অযথার্থ’ এবং ‘শিষ্টাচার ও কূটনৈতিক সৌজন্যের প্রতি সম্মানজনক নয়’ বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম গতকাল শনিবার বাসসকে...
১ ঘণ্টা আগে
আদেশের বিষয়ে জানতে চাইলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাইকোর্ট চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে রুল জারি করেছেন। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে আলোচনা করে চেম্বার আদালতে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
১ ঘণ্টা আগে