৩ উপদেষ্টাকে কর্মচারী নেতাদের স্মারকলিপি
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ সংশোধন করা হতে পারে বলে আন্দোলনরত কর্মচারী নেতাদের আভাস দিয়েছেন সরকারের দুজন উপদেষ্টা। চাকরি অধ্যাদেশ নিয়ে কর্মচারীদের দাবির বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে গতকাল রোববার খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে স্মারকলিপি দেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতারা। এ সময় অধ্যাদেশ বাতিলের সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন তাঁরা। তার আগে বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে বাদামতলায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন কর্মচারীরা।
কর্মচারীদের দাবির বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদের নজরে আনা হবে জানিয়ে ফাওজুল কবির বলেন, ‘অধ্যাদেশে কিছু ধারা আছে, যেগুলোর অপপ্রয়োগ হওয়ার আশঙ্কা আছে। আমি এটি নিয়ে আলোচনা করব। আপনাদের (কর্মচারী) যে অবস্থান, তা হলো এটি বাতিল করে দিতে হবে। কিন্তু আপনারা একটা জিনিস মনে রাখবেন, আর একটা বিষয় হতে পারে এই অধ্যাদেশটি যে অপপ্রয়োগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে, সেগুলোকে অ্যাড্রেস করা যায় কি না।
সেটাও আপনারা একটু মাথায় রাখবেন।’
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘এটার (অধ্যাদেশ) যে একটা ত্রুটি আছে, সেটা সম্পর্কে কিন্তু আমরা সম্পূর্ণ সচেতন। আমি আপনাদের বাতিল করার দাবি উপদেষ্টা পরিষদে জানাব। আপনারা ভেবে দেখবেন, এই অধ্যাদেশটি রেখে কী কী সেফ গার্ডস ইন্ট্রোডিউস করলে এটা গ্রহণযোগ্য হবে।’
কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘এককভাবে কেউ সিদ্ধান্ত নেবে না, সম্মিলিতভাবে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমি আপনাদের দাবিগুলো জানিয়ে দেব।’
রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন ‘কথা বলার চ্যানেলটা খোলা থাকুক। আপনারা অপব্যবহারের ভয় পাচ্ছেন, প্রয়োগ তো হয়নি। মিস ইউজের ভয় বিবেচনায় নিলাম। আইনটিকে আপনারা একভাবে দেখছেন, সরকার অন্যভাবে দেখেছে। আপনাদের কথাগুলো কনভে করা হবে। আমরা বৃহত্তর পরিসরে আলোচনা করব। যদি আপনাদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন হয়, আবারও কথা বলব।’
উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-মহাসচিব নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি। এই আইন করে প্রত্যেক কর্মচারীকে আঘাত দেওয়া হয়েছে।’
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই আইন প্রয়োগ করবেন আর ভোগ করব আমরা। আমাদের দাসত্বে রূপান্তরের জন্য এটা করা হয়েছে। আংশিক সংশোধন নয়, আমরা এটা সম্পূর্ণ বাতিল চাই।’
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বাদিউল কবীর বলেন, ‘ভেতর থেকে কে এই কালো আইন করতে উৎসাহিত করল, যখন পরিস্থিতি অস্থিতিশীল। এ আইন না করলে কী ক্ষতি হতো আর এটা প্রয়োগ করলে কী ক্ষতি হবে, সেটা ভেবে দেখার অনুরোধ করছি। এই আইনের ফলে সরকারি কর্মচারীদের সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হচ্ছে।’
স্মারকলিপি জমা দেওয়ার আগে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে নূরুল ইসলাম বলেন, ‘তিন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেওয়ার পর আমরা আমাদের সহায়তাকারী ভূমিসচিব স্যারের সঙ্গে বসব। এরপর আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব। সারা দেশের ১৮ লাখ সরকারি কর্মচারীর জন্য আমাদের মেসেজ হলো, আমরা যে কর্মসূচি দেব, আপনারা দেশব্যাপী সেই কর্মসূচি পালন করবেন।’
নূরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি একজন সচিবকে বলেছি, স্যার, ঈদের ছুটি শুরু হয়ে যাবে। ঈদের ছুটির আগে আমাদের একটা ভালো খবর দেন। আমরা সবাই যাতে হাসিমুখে, খুশিমনে ঈদ করতে যেতে পারি। আর যদি তা না হয়, এই আন্দোলন এমন দুর্বার গতিতে চলবে যে আমরা বাধ্য হব এই দাবির সঙ্গে অন্যান্য দাবি এক করতে।’
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ সংশোধন করা হতে পারে বলে আন্দোলনরত কর্মচারী নেতাদের আভাস দিয়েছেন সরকারের দুজন উপদেষ্টা। চাকরি অধ্যাদেশ নিয়ে কর্মচারীদের দাবির বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে গতকাল রোববার খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে স্মারকলিপি দেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতারা। এ সময় অধ্যাদেশ বাতিলের সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন তাঁরা। তার আগে বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে বাদামতলায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন কর্মচারীরা।
কর্মচারীদের দাবির বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদের নজরে আনা হবে জানিয়ে ফাওজুল কবির বলেন, ‘অধ্যাদেশে কিছু ধারা আছে, যেগুলোর অপপ্রয়োগ হওয়ার আশঙ্কা আছে। আমি এটি নিয়ে আলোচনা করব। আপনাদের (কর্মচারী) যে অবস্থান, তা হলো এটি বাতিল করে দিতে হবে। কিন্তু আপনারা একটা জিনিস মনে রাখবেন, আর একটা বিষয় হতে পারে এই অধ্যাদেশটি যে অপপ্রয়োগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে, সেগুলোকে অ্যাড্রেস করা যায় কি না।
সেটাও আপনারা একটু মাথায় রাখবেন।’
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘এটার (অধ্যাদেশ) যে একটা ত্রুটি আছে, সেটা সম্পর্কে কিন্তু আমরা সম্পূর্ণ সচেতন। আমি আপনাদের বাতিল করার দাবি উপদেষ্টা পরিষদে জানাব। আপনারা ভেবে দেখবেন, এই অধ্যাদেশটি রেখে কী কী সেফ গার্ডস ইন্ট্রোডিউস করলে এটা গ্রহণযোগ্য হবে।’
কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘এককভাবে কেউ সিদ্ধান্ত নেবে না, সম্মিলিতভাবে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমি আপনাদের দাবিগুলো জানিয়ে দেব।’
রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন ‘কথা বলার চ্যানেলটা খোলা থাকুক। আপনারা অপব্যবহারের ভয় পাচ্ছেন, প্রয়োগ তো হয়নি। মিস ইউজের ভয় বিবেচনায় নিলাম। আইনটিকে আপনারা একভাবে দেখছেন, সরকার অন্যভাবে দেখেছে। আপনাদের কথাগুলো কনভে করা হবে। আমরা বৃহত্তর পরিসরে আলোচনা করব। যদি আপনাদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন হয়, আবারও কথা বলব।’
উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-মহাসচিব নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি। এই আইন করে প্রত্যেক কর্মচারীকে আঘাত দেওয়া হয়েছে।’
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই আইন প্রয়োগ করবেন আর ভোগ করব আমরা। আমাদের দাসত্বে রূপান্তরের জন্য এটা করা হয়েছে। আংশিক সংশোধন নয়, আমরা এটা সম্পূর্ণ বাতিল চাই।’
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বাদিউল কবীর বলেন, ‘ভেতর থেকে কে এই কালো আইন করতে উৎসাহিত করল, যখন পরিস্থিতি অস্থিতিশীল। এ আইন না করলে কী ক্ষতি হতো আর এটা প্রয়োগ করলে কী ক্ষতি হবে, সেটা ভেবে দেখার অনুরোধ করছি। এই আইনের ফলে সরকারি কর্মচারীদের সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হচ্ছে।’
স্মারকলিপি জমা দেওয়ার আগে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে নূরুল ইসলাম বলেন, ‘তিন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেওয়ার পর আমরা আমাদের সহায়তাকারী ভূমিসচিব স্যারের সঙ্গে বসব। এরপর আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব। সারা দেশের ১৮ লাখ সরকারি কর্মচারীর জন্য আমাদের মেসেজ হলো, আমরা যে কর্মসূচি দেব, আপনারা দেশব্যাপী সেই কর্মসূচি পালন করবেন।’
নূরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি একজন সচিবকে বলেছি, স্যার, ঈদের ছুটি শুরু হয়ে যাবে। ঈদের ছুটির আগে আমাদের একটা ভালো খবর দেন। আমরা সবাই যাতে হাসিমুখে, খুশিমনে ঈদ করতে যেতে পারি। আর যদি তা না হয়, এই আন্দোলন এমন দুর্বার গতিতে চলবে যে আমরা বাধ্য হব এই দাবির সঙ্গে অন্যান্য দাবি এক করতে।’
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থাতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছে
৪১ মিনিট আগেসব ঠিক থাকলে মাস ছয়েক পরে জাতীয় নির্বাচন। প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণার পর জোরেশোরে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নির্বাচনের কাজে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা। পুলিশও প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের দায়িত্ব পালনে। এ জন্য ভোটের মাঠে যেসব উপপরিদর্শক (এসআই) ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) দায়িত্ব পালন করবেন,
১ ঘণ্টা আগেগত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
৬ ঘণ্টা আগেবিবৃতিতে বলা হয়, সরকার গণমাধ্যমে স্বচ্ছতা, সুরক্ষা ও স্বাধীনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একই সঙ্গে এই মূল্যবোধ সংরক্ষণ ও বৃদ্ধির জন্য সব অংশীজনের একসঙ্গে কাজ করা দরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো গণমাধ্যমে সম্পাদকীয়, পরিচালনাগত বা ব্যবসায়িক দিকগুলোতে হস্তক্ষেপ করেনি।
৭ ঘণ্টা আগে