Ajker Patrika

আন্তক্যাডার দ্বন্দ্ব: প্রশাসন ক্যাডারের পাল্টা অবস্থানে ২৫ ক্যাডার

  • উপসচিব পুলে কোটা বাতিলের দাবি অন্যদের।
  • দাবি না মানা হলে কর্মসূচির হুঁশিয়ারি।
  • ‘রাষ্ট্রের কল্যাণে’ শতভাগ পদোন্নতি চায় প্রশাসন।
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮: ৩৫
আন্তক্যাডার দ্বন্দ্ব: প্রশাসন ক্যাডারের পাল্টা অবস্থানে ২৫ ক্যাডার

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে প্রশাসন বাদে অন্য ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে কোটা তুলে দিয়ে মেধার ভিত্তিতে পদোন্নতির দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের এক সিদ্ধান্তে উপসচিব পুলে প্রশাসন ক্যাডার থেকে শতভাগ পদোন্নতির দাবি তুলেছে এ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। এতে প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে অন্য ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মোর্চা আইপ্যাডের দ্বন্দ্ব তীব্র রূপ নিয়েছে।

গত মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান, উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করবেন তাঁরা।

বর্তমান বিধিমালা অনুযায়ী, উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডারের ২৫ শতাংশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়।

সরকারি চাকরির শীর্ষ পদগুলো এখন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের হাতে। শিক্ষা ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা অধ্যাপক সর্বোচ্চ ৪ নম্বর গ্রেডে এবং স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা অধ্যাপক পদে সর্বোচ্চ ৩ নম্বর গ্রেডে যেতে পারেন। তবে এই দুই ক্যাডার থেকে গ্রেড-১ পদে দুজনকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রশাসন বাদে অন্য ক্যাডারগুলোর অবস্থাও একই রকমের।

প্রশাসন বাদে অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদের অতিরিক্ত পদোন্নতি দেওয়া হয় না। অন্যদিকে সুপারনিউমারারি (সংখ্যাতিরিক্ত) পদ সৃষ্টি করে হলেও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। সরকারের বড় বড় প্রকল্পের বেশির ভাগের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বসানো হচ্ছে। অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জন্য এই সুযোগ নেই।

এমন অবস্থায় অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বলে দিয়েছে, উপসচিব পুলের কোটা ৫০: ৫০ করতে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সিদ্ধান্ত তারা মানবে না। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে আদালতে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘উপসচিব পুলে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ কোটা নিয়ে আদালতের রায় আছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে তো কথা বলা যাবে না। সংস্কার কমিশন রায়ের বিরুদ্ধে গেলে আমরাও আদালতে যাব। আদালত অবমাননার অভিযোগ তোলা হবে।’

প্রশাসনের কোটা কমানোর সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না জানিয়ে মাহবুবুর রহমান বলেন, সংস্কার কমিশন যে সুপারিশই করুক না কেন, সরকার কীভাবে তা বাস্তবায়ন করে, সেটিই দেখার বিষয়। উপসচিব পুলের কোটা নিয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগে সংস্কার কমিশন এ তথ্য প্রকাশ করে অন্যায় করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব আরও জানান, তাঁদের সঙ্গে আলোচনার সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন উপসচিব পুলের কোটা নিয়ে কোনো কথা বলেননি।

প্রশাসন ক্যাডারের কার্যপরিধির সঙ্গে সরকারের নীতি প্রণয়নের নিবিড় সম্পর্ক থাকা, বিসিএস পরীক্ষার নম্বর ও পছন্দের ভিত্তিতে প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ হওয়া এবং এ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত থাকার কারণে ‘রাষ্ট্রের কল্যাণে’ প্রশাসন ক্যাডারের শতভাগ কর্মকর্তাকে উপসচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদায়ন করা উচিত বলে গত বুধবার এক বিবৃতিতে দাবি করে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

অন্যদিকে প্রশাসন ক্যাডার বাদে অন্য ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মোর্চা আইপ্যাডের ‘বৈষম্য নিরসন পরিষদ’ বলছে, উপসচিব পুলে কোটাপদ্ধতি তুলে দিয়ে শতভাগ পদোন্নতি মেধার ভিত্তিতে দিতে হবে। এই দাবি মানা না হলে তারা কর্মসূচি ঘোষণা করবে।

আইপ্যাডের বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক মুহম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, ‘কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে এই সরকার এসেছে। তারপরও সেই কোটা! কোটা নিয়ে আবার আন্দোলন হবে, এটা কি কেউ চান? তাঁরা (প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা) যদি মেধাবী হন, তাহলে পরীক্ষা দিতে ভয় কিসের?’

১৯৭৫ সালের সার্ভিস অ্যাক্টে মেধার ভিত্তিতে উপসচিব পদে পদোন্নতির বিধান ছিল। উপসচিব পুলে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জন্য প্রথমে ২৫ শতাংশ এবং পরবর্তী সময়ে ৭৫ শতাংশ কোটা রেখে বিধিমালা জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে মফিজুর রহমান বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনের পর সার্ভিস অ্যাক্ট বাতিল করা হয়েছে। ওই নির্বাচনে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা তৎকালীন সরকারকে সুবিধা দিয়ে আইনটি বাতিল করিয়ে নিয়েছেন। আমরা চাই উপসচিব পুলে কোটা উঠিয়ে দিয়ে সরকার সিভিল প্রশাসন তৈরি করুক।’

মফিজুর রহমান জানান, উপসচিব পুলে কোটা রাখার বিষয়ে আইপ্যাডের বৈষম্য নিরসন পরিষদের পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে কাল শনিবার ২৫ ক্যাডারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে প্রয়োজনে কর্মসূচিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মেট্রোরেলের তিন প্যাকেজের চুক্তি বাতিল করতে চায় ডিএমটিসিএল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঠিকাদারদের প্রস্তাবিত দর বেশি হওয়ায় মেট্রোরেলের লাইন ৫-এর একটি ও লাইন ১-এর দুটি প্যাকেজের চুক্তি বাতিল করতে চায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘লাইন ৫-এর একটা ও লাইন ১-এর দুটি প্যাকেজের চুক্তি বাতিল করার জন্য আমরা জানিয়েছি, কারণ, প্যাকেজগুলোর দর অনেক বেশি। আমরা শুধু কন্ট্যাক্ট প্যাকেজগুলোর রিভিউ করছি। প্রকল্প বাতিল করছি না।’

আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে মেট্রোরেলের উত্তরা ডিপোতে রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোডের (আরআরআর) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ।

ফারুক আহমেদ বলেন, ‘এমআরটি লাইন ৫-এর একটি প্যাকেজে এখন পর্যন্ত ঠিকাদারের কাছ থেকে যে দর প্রস্তাব পাওয়া গেছে, তা ডিপিপির প্রাক্কলিত ব্যয় থেকে প্রায় আড়াই শ গুণ বেশি। লাইন ১-এর সবগুলো প্যাকেজেরই ডিপিপি থেকে ৩০ থেকে ৪০ গুণ বেশি দর ধরা হয়েছে। এখন এত বেশি মূল্যে মেট্রো করা উচিত কি না, সে প্রশ্ন আমার-আপনাদের কাছে।’

ফারুক আহমেদ আরও বলেন, ‘লাইন ৫ ও ২—দুটি প্রকল্পেরই সবগুলো প্যাকেজ রিভিউ করা হচ্ছে, ব্যয় কমানোর জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করা হচ্ছে। তবে লাইন ৫-এর একটা ও লাইন ১-এর দুটি প্যাকেজের চুক্তি বাতিল করার জন্য আমরা জানিয়েছি, কারণ, প্যাকেজগুলোর দর অনেক বেশি। আমরা শুধু কন্ট্যাক্ট প্যাকেজগুলোর রিভিউ করছি। প্রকল্প বাতিল করছি না।’

মেট্রোতে মনিটরিং টিম করা হচ্ছে জানিয়ে ডিএমটিসিএল এমডি বলেন, ‘লাইন ১ ও ৫-এর ব্যয় মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এর জন্য একটা শক্তিশালী মনিটরিং টিম তৈরি করা হচ্ছে। তারা শুধু কাজের পারফরম্যান্স, অগ্রগতি ও ব্যয় মনিটরিং করবে। আশা করছি, আগামী বছর থেকে এটা করতে পারব।’

মেট্রোর এমডি নিয়োগের বিষয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমি বাংলাদেশি নাগরিক, আমার যদি এখানে কাজ করার অধিকার না থাকে, অন্য অনেক সংস্থার এমডি-সিও আছে, যারা বিদেশি। আধার কার্ড হলো আইডেন্টি কার্ড। ভারতে যেকোনো বিদেশি থাকতে হলে এ কার্ড নিতে হয়। এটার সঙ্গে নাগরিকত্বের কোনো সম্পর্ক নাই। আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করেছি। বাংলাদেশে আমার নিয়োগ সবচেয়ে স্বচ্ছ হয়েছে।’

মেট্রো বেয়ারিং প্যাড পড়ার তদন্ত কমিটির বিষয়ে এমডি বলেন, ‘তদন্ত কমিটির মেয়াদ আর দুই সপ্তাহের মতো বাড়ানো হয়েছে এবং তদন্ত কমিটিতে তিনজন সদস্য নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দিলে বোঝা যাবে কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছিল। তা ছাড়া আমাদের হাতে কোনো অতিরিক্ত বেয়ারিং প্যাড নেই। নতুন বেয়ারিং প্যাড আনার অর্ডার দেওয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারির মধ্যে চলে আসবে।’

মেট্রোর সাম্প্রতিক সময়ের নিরাপত্তার বিষয়ে এমডি বলেন, ‘মেট্রোর সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সবাইকে স্টেশনে পাঠানো হচ্ছে নজরদারি করার জন্য। মেট্রো স্টেশনে বডি চেক করে ঢোকানো হচ্ছে যাত্রীদের। পুলিশ-আর্মির সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। স্টেশনের নিচে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

মেট্রোর কমলাপুর ট্রেন চালুর বিষয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল ২০২৭ সালের জানুয়ারি মাসে বাণিজ্যিকভাবে চালু হতে পারে। ২০২৬ সালে ট্রায়াল রানসহ বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হবে।

লাইন ৬-এর অপারেশনের বিষয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘মেট্রো অপারেশনের ক্ষেত্রে আগে পিক টাইম ছয় মিনিট ছিল, সেটাকে নামিয়ে পাঁচ মিনিট করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের শেষে এটাকে ৪.১৫ মিনিটের মধ্যে আনার চেষ্টা করছি। এর জন্য ট্রায়াল চলছে। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ এক দিনে ৪ লাখ ৮০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে। এটা আগামী দিনে ৫ লাখে যাবে। এ ছাড়া এমআরটি পাস আরও কেনার জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে।’

আলোচনা সভায় ডিএমটিএমএলের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও আরআরআর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ওকে/কবির

ফাইল ছবি

জাতীয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সুপ্রিম কোর্টে সেনা মোতায়েন চেয়ে সেনাসদরে চিঠি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় রায়ের তারিখ ঘোষণা উপলক্ষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় পর্যাপ্তসংখ্যক সেনাসদস্য মোতায়েন করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে সেনাসদরে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সূত্র বলছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও মামলাটির সংবেদনশীলতার কারণে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। এতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি বা নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যার কারণে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যাপ্তসংখ্যক সেনাসদস্য মোতায়েন করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এবার ইসির সীমানার মধ্যে চারটি বোমাসদৃশ বস্তু, ফুটিয়ে পুলিশ বলল ‘পটকা’

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৭
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সীমানার ভেতর থেকে চারটি বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। এতে ইসির কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

এর আগে ইসিতে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছিল।

এ বিষয়ে ইসির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সহিদ আব্দুস সালাম সাংবাদিকদের বলেন, সকাল ১০টার দিকে চকলেট বোমাসদৃশ চারটি বস্তু দেখা যায়। পরে পুলিশ এসে সেগুলো উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘লাল টেপ মোড়ানো চারটি বোমাসদ্যৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা সেগুলোর বিস্ফোরণ ঘটিয়েছি। বিস্ফোরণের মাত্রা দেখে বুঝেছি, সেগুলো পটকা। এগুলোর শব্দের মাত্রা কম ছিল।’

ওসি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, স্থানীয়ভাবে এগুলো তৈরি। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে কেউ এসব পটকা রেখে গেছে।

জানা গেছে, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশনের বাউন্ডারির ভেতরে চারটি চকলেট বোমা পড়ে ছিল। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সেখানে কাজ করার সময় সেগুলো দেখতে পেয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। পরে শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করে।

এর আগে ২৫ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে ‘ককটেল বিস্ফোরণের’ পর ‘ধাওয়া দিয়ে’ এক যুবককে আটক করার কথা জানায় পুলিশ। এসব ঘটনায় স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানটির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারতীয় দূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব, গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার কথা বলা বন্ধের অনুরোধ

বাসস, ঢাকা  
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ০৬
ভারতীয় দূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব, গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার কথা বলা বন্ধের অনুরোধ

ভারত সরকার বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত ও পলাতক নেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশটির মূলধারার গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়ের সুযোগ দেওয়ায় বাংলাদেশ আজ ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার পবন বাদেহকে আনুষ্ঠানিকভাবে তলব করে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় এক উচ্চপদস্থ কূটনৈতিক সূত্র বাসসকে এ খবর জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায় যে, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিচারাধীন এক কুখ্যাত পলাতক আসামিকে আশ্রয় দেওয়া এবং তাঁকে বাংলাদেশবিরোধী বিদ্বেষ ছড়ানো ও দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উসকানি দেওয়ার মতো বক্তব্য প্রচারের সুযোগ করে দেওয়া দুই দেশের গঠনমূলক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য ‘অসহায়ক ও অনভিপ্রেত’।

ভারতীয় কূটনীতিককে অনুরোধ জানানো হয়, যেন তিনি নয়াদিল্লিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার গণমাধ্যমে প্রবেশাধিকার তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করার অনুরোধ পৌঁছে দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত