আজকের পত্রিকা ডেস্ক

আসন্ন বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের দুটি পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। সম্প্রতি গাজীপুরের টঙ্গীতে উভয় পক্ষের মধ্যে ইজতেমার মাঠ দখল নিয়ে সংঘর্ষে চারজন মারা গেছেন। এই ঘটনার পর গতকাল বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষই সংবাদ সম্মেলন করেছে। সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনায় জুবায়েরপন্থীদের দায়ী করে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেছেন। অন্যদিকে জুবায়েরপন্থীরা জানিয়েছেন, আসন্ন ইজতেমা তাদের নেতৃত্বেই অনুষ্ঠিত হবে এবং সাদপন্থীরা ইজতেমা আয়োজনের চেষ্টা করলে তাদের প্রতিহত করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সাদপন্থী নেতা মুফতি মুহাম্মদ শফিউল্লাহ মাক্কী বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য ছয় দফা দাবি জানান।
মুফতি মাক্কী অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ১৭ ডিসেম্বর টঙ্গীতে জোড়ের কাজ করতে যাওয়ার পথে সাদপন্থী তাবলিগ জামাতের সাথিরা জুবায়েরপন্থীদের পরিকল্পিত হামলার শিকার হয়। রাত আনুমানিক ২টার দিকে টঙ্গীর কামারপাড়ায় ইজতেমা ময়দানের পাশে গাড়িবহরে নৃশংস হামলায় বগুড়ার সাথি বেলা আহমদ (৬৫) নিহত হন।’
তিনি এই হামলার নিন্দা জানিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি মামুনুল হকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপের নিন্দা জানান।
মঙ্গলবারের সংঘর্ষের পর সারা দেশে সাদপন্থীদের ওপর নির্যাতন নেমে এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) রাতে ঢাকার বিভিন্ন মাদ্রাসা ও মসজিদে হামলা চালানো হয়েছে। যার মধ্যে নিকুঞ্জ মাদ্রাসায় হেফাজত এবং জুবায়েরপন্থীদের হামলার ঘটনা উল্লেখযোগ্য। অনেক সাথি এখনো গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এমনকি ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে আহত সাথিদের সেবা গ্রহণেও বাধা দেওয়া হচ্ছে।’
এ সময় তিনি ছয় দফা দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘আগামী বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থীদের স্বাভাবিক কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার সুযোগ দিতে হবে। টঙ্গীর ইজতেমা মাঠ সরকার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সাদপন্থীদের ইজতেমার আগে বুঝিয়ে দিতে হবে। আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা সুন্দরভাবে আয়োজনের জন্য সরকার এবং সংশ্লিষ্টদের সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারা দেশে সাদপন্থীদের ওপর হামলা ও নির্যাতন বন্ধ করতে হবে এবং মসজিদে বাধা সৃষ্টির ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তাবলিগের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।’
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদ কান্ধলভী আসলে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে বলে জানান, জুবায়েরপন্থি তাবলিগ জামাতের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান। তিনি জানান, জুবায়েরপন্থীদের নেতৃত্বেই আসন্ন ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
ইজতেমা নির্ধারিত সময়েই হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইনশা আল্লাহ, আগামী জানুয়ারির ৩১, ফেব্রুয়ারির ১ ও ২ তারিখে ইজতেমা হবে এবং তা আমাদের নেতৃত্বেই হবে।’ সাদপন্থীরা ইজতেমা করতে পারবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা কীভাবে করবে? তারা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অমান্য করেছে। ওলামায়ে কেরাম এই বিষয়টি বিবেচনা করবেন কারণ দ্বীনের ধারক ও বাহক ওলামায়ে কেরাম।’
ইজতেমায় মাওলানা সাদ কান্ধলভী আসতে চাইলে জুবায়েরপন্থীরা বাধা দেবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই বাধা আসতে পারে। একজন লোক এখানে এসে বারবার কোরআন-সুন্নাহবিরোধী বক্তব্য দেবেন, মানুষকে আকিদা থেকে দূরে সরানোর চেষ্টা করবেন। ওলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে কি বাধা আসবে না? অবশ্যই বাধা আসবে।’
হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও বলেন, ‘কোনো ধরনের সংঘর্ষ বা সংঘাত যাতে না হয়, সে বিষয়ে প্রশাসন থেকে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সাদপন্থীরা হঠাৎ জোড়ের ঘোষণা দেয়, যা প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বাইরে ছিল।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘তারা সারা দেশ থেকে লোকজনকে আসার জন্য ডাকে এবং তাদের সঙ্গে টর্চলাইট নিয়ে আসতে বলে। যেখানে এখন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ঘটনা প্রায় নেই। সেখানে এই টর্চ দিয়ে তারা কী করবে? এটি স্পষ্ট করে যে, তারা রাতের গভীরে আমাদের লোকেরা ঘুমন্ত অবস্থায় থাকলে আক্রমণ করবে। তারা আমাদের তিনজন সদস্যকে হত্যা করেছে।’

আসন্ন বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের দুটি পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। সম্প্রতি গাজীপুরের টঙ্গীতে উভয় পক্ষের মধ্যে ইজতেমার মাঠ দখল নিয়ে সংঘর্ষে চারজন মারা গেছেন। এই ঘটনার পর গতকাল বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষই সংবাদ সম্মেলন করেছে। সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনায় জুবায়েরপন্থীদের দায়ী করে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেছেন। অন্যদিকে জুবায়েরপন্থীরা জানিয়েছেন, আসন্ন ইজতেমা তাদের নেতৃত্বেই অনুষ্ঠিত হবে এবং সাদপন্থীরা ইজতেমা আয়োজনের চেষ্টা করলে তাদের প্রতিহত করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সাদপন্থী নেতা মুফতি মুহাম্মদ শফিউল্লাহ মাক্কী বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য ছয় দফা দাবি জানান।
মুফতি মাক্কী অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ১৭ ডিসেম্বর টঙ্গীতে জোড়ের কাজ করতে যাওয়ার পথে সাদপন্থী তাবলিগ জামাতের সাথিরা জুবায়েরপন্থীদের পরিকল্পিত হামলার শিকার হয়। রাত আনুমানিক ২টার দিকে টঙ্গীর কামারপাড়ায় ইজতেমা ময়দানের পাশে গাড়িবহরে নৃশংস হামলায় বগুড়ার সাথি বেলা আহমদ (৬৫) নিহত হন।’
তিনি এই হামলার নিন্দা জানিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি মামুনুল হকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপের নিন্দা জানান।
মঙ্গলবারের সংঘর্ষের পর সারা দেশে সাদপন্থীদের ওপর নির্যাতন নেমে এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) রাতে ঢাকার বিভিন্ন মাদ্রাসা ও মসজিদে হামলা চালানো হয়েছে। যার মধ্যে নিকুঞ্জ মাদ্রাসায় হেফাজত এবং জুবায়েরপন্থীদের হামলার ঘটনা উল্লেখযোগ্য। অনেক সাথি এখনো গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এমনকি ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে আহত সাথিদের সেবা গ্রহণেও বাধা দেওয়া হচ্ছে।’
এ সময় তিনি ছয় দফা দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘আগামী বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থীদের স্বাভাবিক কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার সুযোগ দিতে হবে। টঙ্গীর ইজতেমা মাঠ সরকার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সাদপন্থীদের ইজতেমার আগে বুঝিয়ে দিতে হবে। আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা সুন্দরভাবে আয়োজনের জন্য সরকার এবং সংশ্লিষ্টদের সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারা দেশে সাদপন্থীদের ওপর হামলা ও নির্যাতন বন্ধ করতে হবে এবং মসজিদে বাধা সৃষ্টির ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তাবলিগের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।’
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদ কান্ধলভী আসলে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে বলে জানান, জুবায়েরপন্থি তাবলিগ জামাতের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান। তিনি জানান, জুবায়েরপন্থীদের নেতৃত্বেই আসন্ন ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
ইজতেমা নির্ধারিত সময়েই হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইনশা আল্লাহ, আগামী জানুয়ারির ৩১, ফেব্রুয়ারির ১ ও ২ তারিখে ইজতেমা হবে এবং তা আমাদের নেতৃত্বেই হবে।’ সাদপন্থীরা ইজতেমা করতে পারবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা কীভাবে করবে? তারা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অমান্য করেছে। ওলামায়ে কেরাম এই বিষয়টি বিবেচনা করবেন কারণ দ্বীনের ধারক ও বাহক ওলামায়ে কেরাম।’
ইজতেমায় মাওলানা সাদ কান্ধলভী আসতে চাইলে জুবায়েরপন্থীরা বাধা দেবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই বাধা আসতে পারে। একজন লোক এখানে এসে বারবার কোরআন-সুন্নাহবিরোধী বক্তব্য দেবেন, মানুষকে আকিদা থেকে দূরে সরানোর চেষ্টা করবেন। ওলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে কি বাধা আসবে না? অবশ্যই বাধা আসবে।’
হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও বলেন, ‘কোনো ধরনের সংঘর্ষ বা সংঘাত যাতে না হয়, সে বিষয়ে প্রশাসন থেকে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সাদপন্থীরা হঠাৎ জোড়ের ঘোষণা দেয়, যা প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বাইরে ছিল।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘তারা সারা দেশ থেকে লোকজনকে আসার জন্য ডাকে এবং তাদের সঙ্গে টর্চলাইট নিয়ে আসতে বলে। যেখানে এখন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ঘটনা প্রায় নেই। সেখানে এই টর্চ দিয়ে তারা কী করবে? এটি স্পষ্ট করে যে, তারা রাতের গভীরে আমাদের লোকেরা ঘুমন্ত অবস্থায় থাকলে আক্রমণ করবে। তারা আমাদের তিনজন সদস্যকে হত্যা করেছে।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

আসন্ন বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের দুটি পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। সম্প্রতি গাজীপুরের টঙ্গীতে উভয় পক্ষের মধ্যে ইজতেমার মাঠ দখল নিয়ে সংঘর্ষে চারজন মারা গেছেন। এই ঘটনার পর গতকাল বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষই সংবাদ সম্মেলন করেছে। সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনায় জুবায়েরপন্থীদের দায়ী করে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেছেন। অন্যদিকে জুবায়েরপন্থীরা জানিয়েছেন, আসন্ন ইজতেমা তাদের নেতৃত্বেই অনুষ্ঠিত হবে এবং সাদপন্থীরা ইজতেমা আয়োজনের চেষ্টা করলে তাদের প্রতিহত করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সাদপন্থী নেতা মুফতি মুহাম্মদ শফিউল্লাহ মাক্কী বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য ছয় দফা দাবি জানান।
মুফতি মাক্কী অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ১৭ ডিসেম্বর টঙ্গীতে জোড়ের কাজ করতে যাওয়ার পথে সাদপন্থী তাবলিগ জামাতের সাথিরা জুবায়েরপন্থীদের পরিকল্পিত হামলার শিকার হয়। রাত আনুমানিক ২টার দিকে টঙ্গীর কামারপাড়ায় ইজতেমা ময়দানের পাশে গাড়িবহরে নৃশংস হামলায় বগুড়ার সাথি বেলা আহমদ (৬৫) নিহত হন।’
তিনি এই হামলার নিন্দা জানিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি মামুনুল হকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপের নিন্দা জানান।
মঙ্গলবারের সংঘর্ষের পর সারা দেশে সাদপন্থীদের ওপর নির্যাতন নেমে এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) রাতে ঢাকার বিভিন্ন মাদ্রাসা ও মসজিদে হামলা চালানো হয়েছে। যার মধ্যে নিকুঞ্জ মাদ্রাসায় হেফাজত এবং জুবায়েরপন্থীদের হামলার ঘটনা উল্লেখযোগ্য। অনেক সাথি এখনো গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এমনকি ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে আহত সাথিদের সেবা গ্রহণেও বাধা দেওয়া হচ্ছে।’
এ সময় তিনি ছয় দফা দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘আগামী বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থীদের স্বাভাবিক কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার সুযোগ দিতে হবে। টঙ্গীর ইজতেমা মাঠ সরকার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সাদপন্থীদের ইজতেমার আগে বুঝিয়ে দিতে হবে। আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা সুন্দরভাবে আয়োজনের জন্য সরকার এবং সংশ্লিষ্টদের সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারা দেশে সাদপন্থীদের ওপর হামলা ও নির্যাতন বন্ধ করতে হবে এবং মসজিদে বাধা সৃষ্টির ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তাবলিগের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।’
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদ কান্ধলভী আসলে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে বলে জানান, জুবায়েরপন্থি তাবলিগ জামাতের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান। তিনি জানান, জুবায়েরপন্থীদের নেতৃত্বেই আসন্ন ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
ইজতেমা নির্ধারিত সময়েই হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইনশা আল্লাহ, আগামী জানুয়ারির ৩১, ফেব্রুয়ারির ১ ও ২ তারিখে ইজতেমা হবে এবং তা আমাদের নেতৃত্বেই হবে।’ সাদপন্থীরা ইজতেমা করতে পারবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা কীভাবে করবে? তারা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অমান্য করেছে। ওলামায়ে কেরাম এই বিষয়টি বিবেচনা করবেন কারণ দ্বীনের ধারক ও বাহক ওলামায়ে কেরাম।’
ইজতেমায় মাওলানা সাদ কান্ধলভী আসতে চাইলে জুবায়েরপন্থীরা বাধা দেবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই বাধা আসতে পারে। একজন লোক এখানে এসে বারবার কোরআন-সুন্নাহবিরোধী বক্তব্য দেবেন, মানুষকে আকিদা থেকে দূরে সরানোর চেষ্টা করবেন। ওলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে কি বাধা আসবে না? অবশ্যই বাধা আসবে।’
হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও বলেন, ‘কোনো ধরনের সংঘর্ষ বা সংঘাত যাতে না হয়, সে বিষয়ে প্রশাসন থেকে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সাদপন্থীরা হঠাৎ জোড়ের ঘোষণা দেয়, যা প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বাইরে ছিল।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘তারা সারা দেশ থেকে লোকজনকে আসার জন্য ডাকে এবং তাদের সঙ্গে টর্চলাইট নিয়ে আসতে বলে। যেখানে এখন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ঘটনা প্রায় নেই। সেখানে এই টর্চ দিয়ে তারা কী করবে? এটি স্পষ্ট করে যে, তারা রাতের গভীরে আমাদের লোকেরা ঘুমন্ত অবস্থায় থাকলে আক্রমণ করবে। তারা আমাদের তিনজন সদস্যকে হত্যা করেছে।’

আসন্ন বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের দুটি পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। সম্প্রতি গাজীপুরের টঙ্গীতে উভয় পক্ষের মধ্যে ইজতেমার মাঠ দখল নিয়ে সংঘর্ষে চারজন মারা গেছেন। এই ঘটনার পর গতকাল বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষই সংবাদ সম্মেলন করেছে। সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনায় জুবায়েরপন্থীদের দায়ী করে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেছেন। অন্যদিকে জুবায়েরপন্থীরা জানিয়েছেন, আসন্ন ইজতেমা তাদের নেতৃত্বেই অনুষ্ঠিত হবে এবং সাদপন্থীরা ইজতেমা আয়োজনের চেষ্টা করলে তাদের প্রতিহত করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সাদপন্থী নেতা মুফতি মুহাম্মদ শফিউল্লাহ মাক্কী বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য ছয় দফা দাবি জানান।
মুফতি মাক্কী অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ১৭ ডিসেম্বর টঙ্গীতে জোড়ের কাজ করতে যাওয়ার পথে সাদপন্থী তাবলিগ জামাতের সাথিরা জুবায়েরপন্থীদের পরিকল্পিত হামলার শিকার হয়। রাত আনুমানিক ২টার দিকে টঙ্গীর কামারপাড়ায় ইজতেমা ময়দানের পাশে গাড়িবহরে নৃশংস হামলায় বগুড়ার সাথি বেলা আহমদ (৬৫) নিহত হন।’
তিনি এই হামলার নিন্দা জানিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি মামুনুল হকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপের নিন্দা জানান।
মঙ্গলবারের সংঘর্ষের পর সারা দেশে সাদপন্থীদের ওপর নির্যাতন নেমে এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) রাতে ঢাকার বিভিন্ন মাদ্রাসা ও মসজিদে হামলা চালানো হয়েছে। যার মধ্যে নিকুঞ্জ মাদ্রাসায় হেফাজত এবং জুবায়েরপন্থীদের হামলার ঘটনা উল্লেখযোগ্য। অনেক সাথি এখনো গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এমনকি ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে আহত সাথিদের সেবা গ্রহণেও বাধা দেওয়া হচ্ছে।’
এ সময় তিনি ছয় দফা দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘আগামী বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থীদের স্বাভাবিক কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার সুযোগ দিতে হবে। টঙ্গীর ইজতেমা মাঠ সরকার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সাদপন্থীদের ইজতেমার আগে বুঝিয়ে দিতে হবে। আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা সুন্দরভাবে আয়োজনের জন্য সরকার এবং সংশ্লিষ্টদের সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারা দেশে সাদপন্থীদের ওপর হামলা ও নির্যাতন বন্ধ করতে হবে এবং মসজিদে বাধা সৃষ্টির ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তাবলিগের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।’
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদ কান্ধলভী আসলে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে বলে জানান, জুবায়েরপন্থি তাবলিগ জামাতের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান। তিনি জানান, জুবায়েরপন্থীদের নেতৃত্বেই আসন্ন ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
ইজতেমা নির্ধারিত সময়েই হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইনশা আল্লাহ, আগামী জানুয়ারির ৩১, ফেব্রুয়ারির ১ ও ২ তারিখে ইজতেমা হবে এবং তা আমাদের নেতৃত্বেই হবে।’ সাদপন্থীরা ইজতেমা করতে পারবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা কীভাবে করবে? তারা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অমান্য করেছে। ওলামায়ে কেরাম এই বিষয়টি বিবেচনা করবেন কারণ দ্বীনের ধারক ও বাহক ওলামায়ে কেরাম।’
ইজতেমায় মাওলানা সাদ কান্ধলভী আসতে চাইলে জুবায়েরপন্থীরা বাধা দেবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই বাধা আসতে পারে। একজন লোক এখানে এসে বারবার কোরআন-সুন্নাহবিরোধী বক্তব্য দেবেন, মানুষকে আকিদা থেকে দূরে সরানোর চেষ্টা করবেন। ওলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে কি বাধা আসবে না? অবশ্যই বাধা আসবে।’
হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও বলেন, ‘কোনো ধরনের সংঘর্ষ বা সংঘাত যাতে না হয়, সে বিষয়ে প্রশাসন থেকে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সাদপন্থীরা হঠাৎ জোড়ের ঘোষণা দেয়, যা প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বাইরে ছিল।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘তারা সারা দেশ থেকে লোকজনকে আসার জন্য ডাকে এবং তাদের সঙ্গে টর্চলাইট নিয়ে আসতে বলে। যেখানে এখন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ঘটনা প্রায় নেই। সেখানে এই টর্চ দিয়ে তারা কী করবে? এটি স্পষ্ট করে যে, তারা রাতের গভীরে আমাদের লোকেরা ঘুমন্ত অবস্থায় থাকলে আক্রমণ করবে। তারা আমাদের তিনজন সদস্যকে হত্যা করেছে।’

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি প্রায় গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি মাসের মধ্যে প্রাক্-প্রস্তুতি শেষ করে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার চিন্তা আছে কমিশনের।
২০ মিনিট আগে
আওয়ামী লীগের সময় অপহরণ ও গুমের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কারাগারে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে লড়বেন না ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন।
১ ঘণ্টা আগে
রোববার সকালে রাজশাহী লিগ্যাল এইড অফিসে বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে অধ্যাদেশ জারির বাধ্যবাধকতা না থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বিষয়ে আদেশ জারি করতে পারেন বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অধ্যাদেশ জারির ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে আগামী ১৩ নভেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ রোববার ইসির পরিচালক জনসংযোগ মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘১৩ নভেম্বর থেকে দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সকাল ও বিকেলে দুই বেলা করে সংলাপ হবে। তবে কোন দলের সঙ্গে কখন বসা হবে, সেটি এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।’
আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে ইসি। এবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরুর আয়োজন চলছে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি প্রায় গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি মাসের মধ্যে প্রাক্-প্রস্তুতি শেষ করে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার চিন্তা আছে কমিশনের।
তবে গণভোটের বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেনি সাংবিধানিক এই সংস্থা। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে ইসি।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে আগামী ১৩ নভেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ রোববার ইসির পরিচালক জনসংযোগ মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘১৩ নভেম্বর থেকে দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সকাল ও বিকেলে দুই বেলা করে সংলাপ হবে। তবে কোন দলের সঙ্গে কখন বসা হবে, সেটি এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।’
আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে ইসি। এবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরুর আয়োজন চলছে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি প্রায় গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি মাসের মধ্যে প্রাক্-প্রস্তুতি শেষ করে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার চিন্তা আছে কমিশনের।
তবে গণভোটের বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেনি সাংবিধানিক এই সংস্থা। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে ইসি।

আসন্ন বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের দুটি পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। সম্প্রতি গাজীপুরের টঙ্গীতে উভয় পক্ষের মধ্যে ইজতেমার মাঠ দখল নিয়ে সংঘর্ষে চারজন মারা গেছেন। এই ঘটনার পর গতকাল বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষই সংবাদ সম্মেলন করেছে। সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনায় জুবায়েরপন্থী
২০ ডিসেম্বর ২০২৪
আওয়ামী লীগের সময় অপহরণ ও গুমের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কারাগারে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে লড়বেন না ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন।
১ ঘণ্টা আগে
রোববার সকালে রাজশাহী লিগ্যাল এইড অফিসে বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে অধ্যাদেশ জারির বাধ্যবাধকতা না থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বিষয়ে আদেশ জারি করতে পারেন বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অধ্যাদেশ জারির ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আওয়ামী লীগের সময় অপহরণ ও গুমের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কারাগারে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে লড়বেন না ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন।
আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ নিজের নাম প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আদালত থেকে বের হয়ে সারওয়ার হোসেন বলেন, ‘১৫ জন সেনা কর্মকর্তার পক্ষে আমরা পাঁচজন আইনজীবী ওকালতনামার সাবমিট করেছিলাম ২২ অক্টোবর। পরবর্তীতে দেখলাম আমি নিজে একটি অভিযোগ করেছিলাম। সেই অভিযোগের আসামি, এই মামলারও আসামি।’
তিনি বলেন, ‘প্রফেশনাল এথিকস অ্যান্ড কনডাক্ট (পেশাগত নৈতিকতা ও আচরণবিধি) অনুযায়ী আমার ডিফেন্স আইনজীবী হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সেই প্রফেশনাল কনডাক্ট এবং এথিকস অনুযায়ী এবং আইসিটি বিধি অনুযায়ী আজকে একটা আবেদন করেছি। ট্রাইব্যুনাল সেই আবেদন গ্রহণ করেছেন।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা তিনটির মধ্যে দুটি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনার। অন্যটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ সম্পর্কিত। এসব মামলায় সাবেক ও বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৩২ জন আসামি। তাঁদের মধ্যে ১৫ সেনা কর্মকর্তা বর্তমানে ঢাকা সেনানিবাসে ঘোষিত সাবজেলে রয়েছেন।
গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা দুটি মামলার একটিতে আসামি ১৭ জন। তাঁদের মধ্যে র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (এখন অবসরকালীন ছুটিতে), র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম এখন কারাগারে রয়েছেন।
আসামিদের মধ্যে র্যাবের সাবেক তিনজন মহাপরিচালকও আছেন। তাঁরা হলেন—বেনজীর আহমেদ (পরে আইজিপি হন), এম খুরশিদ হোসেন ও মো. হারুন-অর-রশিদ। তাঁরা পলাতক। এ মামলার আসামির তালিকায় থাকা শেখ হাসিনা, সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও র্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলাম পলাতক।
গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেকটি মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে রেদোয়ানুল ও রাফাত এখন সেনানিবাসের সাবজেলে আছেন। বাকি দুই আসামি পলাতক।

আওয়ামী লীগের সময় অপহরণ ও গুমের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কারাগারে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে লড়বেন না ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন।
আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ নিজের নাম প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আদালত থেকে বের হয়ে সারওয়ার হোসেন বলেন, ‘১৫ জন সেনা কর্মকর্তার পক্ষে আমরা পাঁচজন আইনজীবী ওকালতনামার সাবমিট করেছিলাম ২২ অক্টোবর। পরবর্তীতে দেখলাম আমি নিজে একটি অভিযোগ করেছিলাম। সেই অভিযোগের আসামি, এই মামলারও আসামি।’
তিনি বলেন, ‘প্রফেশনাল এথিকস অ্যান্ড কনডাক্ট (পেশাগত নৈতিকতা ও আচরণবিধি) অনুযায়ী আমার ডিফেন্স আইনজীবী হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সেই প্রফেশনাল কনডাক্ট এবং এথিকস অনুযায়ী এবং আইসিটি বিধি অনুযায়ী আজকে একটা আবেদন করেছি। ট্রাইব্যুনাল সেই আবেদন গ্রহণ করেছেন।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা তিনটির মধ্যে দুটি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনার। অন্যটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ সম্পর্কিত। এসব মামলায় সাবেক ও বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৩২ জন আসামি। তাঁদের মধ্যে ১৫ সেনা কর্মকর্তা বর্তমানে ঢাকা সেনানিবাসে ঘোষিত সাবজেলে রয়েছেন।
গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা দুটি মামলার একটিতে আসামি ১৭ জন। তাঁদের মধ্যে র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (এখন অবসরকালীন ছুটিতে), র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম এখন কারাগারে রয়েছেন।
আসামিদের মধ্যে র্যাবের সাবেক তিনজন মহাপরিচালকও আছেন। তাঁরা হলেন—বেনজীর আহমেদ (পরে আইজিপি হন), এম খুরশিদ হোসেন ও মো. হারুন-অর-রশিদ। তাঁরা পলাতক। এ মামলার আসামির তালিকায় থাকা শেখ হাসিনা, সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও র্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলাম পলাতক।
গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেকটি মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে রেদোয়ানুল ও রাফাত এখন সেনানিবাসের সাবজেলে আছেন। বাকি দুই আসামি পলাতক।

আসন্ন বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের দুটি পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। সম্প্রতি গাজীপুরের টঙ্গীতে উভয় পক্ষের মধ্যে ইজতেমার মাঠ দখল নিয়ে সংঘর্ষে চারজন মারা গেছেন। এই ঘটনার পর গতকাল বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষই সংবাদ সম্মেলন করেছে। সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনায় জুবায়েরপন্থী
২০ ডিসেম্বর ২০২৪
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি প্রায় গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি মাসের মধ্যে প্রাক্-প্রস্তুতি শেষ করে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার চিন্তা আছে কমিশনের।
২০ মিনিট আগে
রোববার সকালে রাজশাহী লিগ্যাল এইড অফিসে বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে অধ্যাদেশ জারির বাধ্যবাধকতা না থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বিষয়ে আদেশ জারি করতে পারেন বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অধ্যাদেশ জারির ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের ওপর বা সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে কিছু কথা বলে। এসব দেখে মনে হতে পারে, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা বা আশঙ্কা রয়েছে। তবে নির্বাচনের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বিমত নেই।
আজ রোববার সকালে রাজশাহী লিগ্যাল এইড অফিসে বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার কোনো কারণ দেখি না। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের এখানে ১৬-১৭ বছর ধরে নির্বাচন হয় না, ইলেকশনের অভ্যাসটাই চলে গেছে। অনেক মানুষ আছে, বয়স ৩২-৩৪ হয়ে গেছে, কিন্তু জীবনে একবারও ভোট দিতে পারে নাই। প্রায় ৫ কোটি মানুষ কখনো ভোট দিতে পারে নাই। এটা কত ইমপর্টেন্ট! আমি যেখানে যাই পোস্টার দেখতে পাচ্ছি। মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখতে পাচ্ছি।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কার কোনো কারণ দেখি না। রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য বা আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য কিছু কিছু কথা বলে, আবার কিছু কথা হয়তো জেনুইনলি বলে। সবকিছু শুনে হয়তো মনে হয়, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা বা আশঙ্কা রয়েছে। আমি দৃঢ়কণ্ঠে বলতে চাই, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনকে বিলম্বিত করার কোনো ইস্যু আছে বলে মনে করি না। আমরা বিশ্বাস করি, অবশ্যই ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটার কোনো দ্বিতীয় চিন্তা বা নির্বাচন না হলে কী হবে, এই ধরনের চিন্তা আমরা মাথায় রাখছি না। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যে যা-ই বলুক না কেন, তারা নির্বাচনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। তাদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ আনতে যা যা করণীয়, আমরা করব।’
আসামিদের জামিন প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘জামিন দেওয়া শুধু বিচারকের ওপর নির্ভর করে না। পুলিশ কী রিপোর্ট দিচ্ছে, তার ওপরও নির্ভর করে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে কিংবা কণ্ঠ শোনা গেছে, এ রকম হলে ব্যতিক্রম হয়। যেখানে জামিন পাওয়ার যোগ্য, সেখানে জামিন পেতেই পারে। তবে যারা জামিন পেয়ে একই ধরনের অপরাধ করতে পারে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও পরিবেশ বিনষ্ট করতে পারে, নিষিদ্ধ কোনো সংগঠনের সদস্য হয়ে তৎপরতা চালাতে পারে, তাদের যদি বেশি জামিন হয়, সে ক্ষেত্রে আমরা আতঙ্কিত হব।’
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘একজন বিচারকের জায়গায় আদালতে তিনজন বিচারক দেওয়া হচ্ছে, যাতে মামলার চাপ কমে। আদালত সংস্কারে আমরা নানান উদ্যোগ নিচ্ছি। সুফল অবশ্যই জনগণ পাবে।’

রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের ওপর বা সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে কিছু কথা বলে। এসব দেখে মনে হতে পারে, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা বা আশঙ্কা রয়েছে। তবে নির্বাচনের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বিমত নেই।
আজ রোববার সকালে রাজশাহী লিগ্যাল এইড অফিসে বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার কোনো কারণ দেখি না। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের এখানে ১৬-১৭ বছর ধরে নির্বাচন হয় না, ইলেকশনের অভ্যাসটাই চলে গেছে। অনেক মানুষ আছে, বয়স ৩২-৩৪ হয়ে গেছে, কিন্তু জীবনে একবারও ভোট দিতে পারে নাই। প্রায় ৫ কোটি মানুষ কখনো ভোট দিতে পারে নাই। এটা কত ইমপর্টেন্ট! আমি যেখানে যাই পোস্টার দেখতে পাচ্ছি। মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখতে পাচ্ছি।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কার কোনো কারণ দেখি না। রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য বা আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য কিছু কিছু কথা বলে, আবার কিছু কথা হয়তো জেনুইনলি বলে। সবকিছু শুনে হয়তো মনে হয়, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা বা আশঙ্কা রয়েছে। আমি দৃঢ়কণ্ঠে বলতে চাই, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনকে বিলম্বিত করার কোনো ইস্যু আছে বলে মনে করি না। আমরা বিশ্বাস করি, অবশ্যই ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটার কোনো দ্বিতীয় চিন্তা বা নির্বাচন না হলে কী হবে, এই ধরনের চিন্তা আমরা মাথায় রাখছি না। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যে যা-ই বলুক না কেন, তারা নির্বাচনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। তাদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ আনতে যা যা করণীয়, আমরা করব।’
আসামিদের জামিন প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘জামিন দেওয়া শুধু বিচারকের ওপর নির্ভর করে না। পুলিশ কী রিপোর্ট দিচ্ছে, তার ওপরও নির্ভর করে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে কিংবা কণ্ঠ শোনা গেছে, এ রকম হলে ব্যতিক্রম হয়। যেখানে জামিন পাওয়ার যোগ্য, সেখানে জামিন পেতেই পারে। তবে যারা জামিন পেয়ে একই ধরনের অপরাধ করতে পারে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও পরিবেশ বিনষ্ট করতে পারে, নিষিদ্ধ কোনো সংগঠনের সদস্য হয়ে তৎপরতা চালাতে পারে, তাদের যদি বেশি জামিন হয়, সে ক্ষেত্রে আমরা আতঙ্কিত হব।’
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘একজন বিচারকের জায়গায় আদালতে তিনজন বিচারক দেওয়া হচ্ছে, যাতে মামলার চাপ কমে। আদালত সংস্কারে আমরা নানান উদ্যোগ নিচ্ছি। সুফল অবশ্যই জনগণ পাবে।’

আসন্ন বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের দুটি পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। সম্প্রতি গাজীপুরের টঙ্গীতে উভয় পক্ষের মধ্যে ইজতেমার মাঠ দখল নিয়ে সংঘর্ষে চারজন মারা গেছেন। এই ঘটনার পর গতকাল বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষই সংবাদ সম্মেলন করেছে। সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনায় জুবায়েরপন্থী
২০ ডিসেম্বর ২০২৪
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি প্রায় গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি মাসের মধ্যে প্রাক্-প্রস্তুতি শেষ করে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার চিন্তা আছে কমিশনের।
২০ মিনিট আগে
আওয়ামী লীগের সময় অপহরণ ও গুমের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কারাগারে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে লড়বেন না ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে অধ্যাদেশ জারির বাধ্যবাধকতা না থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বিষয়ে আদেশ জারি করতে পারেন বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অধ্যাদেশ জারির ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেতানিম আহমেদ, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে অধ্যাদেশ জারির বাধ্যবাধকতা না থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বিষয়ে আদেশ জারি করতে পারেন বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অধ্যাদেশ জারির ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে।
সংসদ কার্যকর না থাকায় অধ্যাদেশ জারির ক্ষমতা এখন রাষ্ট্রপতির হাতে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের অধ্যাদেশ চায় না। কাজেই প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে আদেশ জারির পথেই সরকার এগোচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
তবে বিএনপি আবার আদেশ জারির বিরোধিতা করছে। জুলাই সনদ নিয়ে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করলে তার ওপর গণভোট হতে পারে বলে মত দিয়েছে দলটি।
সূত্র জানায়, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ কীভাবে জারি করা হবে, আইনি কাঠামোর মধ্য থেকে সে পথ বের করার উপায় খুঁজছে সরকার। এক্ষেত্রে গণ-অভ্যুত্থানের পর বিশেষ পরিস্থিতিতে জনগণের অভিপ্রায়কে প্রাধান্য দেওয়ার চিন্তা চলছে।
জুলাই সনদের খসড়ায় সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদবলে আপিল বিভাগের মতামতের আলোকে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলা ছিল। কিন্তু চূড়ান্ত জুলাই সনদে এই অংশটুকু বাদ দিয়ে বলা হয়েছে, গণ-অভ্যুত্থানের পর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এর মধ্য দিয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে জনগণের অভিপ্রায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
ঐকমত্য কমিশন তাদের সুপারিশে বলেছে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন করতে একটি আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করা একান্ত প্রয়োজন। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে সরকারকে এই আদেশ জারির সুপারিশ করেছে কমিশন।
সরকারের কয়েকটি সূত্র বলছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে কীভাবে এই আদেশ জারি করা যায়, তা নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। আইনি জটিলতা না থাকলে প্রধান উপদেষ্টা এই আদেশ জারি করবেন। তবে আদেশটি রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে জারি করা যায় কি না, এখনো সে বিষয়টি ভাবনার মধ্যে রয়েছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যাতে নতুন কোনো বিভেদ সৃষ্টি না হয়, তা মাথায় রাখছে সরকার।
গত ২৭ অক্টোবর সরকারের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ জমা দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ নামে আদেশ জারির সুপারিশ করে কমিশন। সেখানে আদেশে থাকা সংবিধান-সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে গণভোট এবং আগামী সংসদের দ্বৈত ভূমিকা পালনের মাধ্যমে সংবিধান-সম্পর্কিত সুপারিশগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের ৮৪টি সুপারিশের মধ্যে ৪৭টি সংবিধান-সম্পর্কিত।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারির পাশাপাশি বাস্তবায়নের দুটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গণভোটে বিষয়টি পাস হলে সংসদের প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে এসব সংস্কার শেষ করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে শেষ না করলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে। দ্বিতীয় প্রস্তাবে সংবিধান সংস্কার পরিষদকে গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হলেও প্রথম অধিবেশন শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার শেষ করতে হবে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ কীভাবে জারি করা যাবে, তা সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এই কোনো অধ্যাদেশ নয়, আবার সংসদ দ্বারা তৈরি কোনো আইনও নয়।
জানতে চাইলে ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির আইনগত কিছু নেই। যেহেতু বর্তমান সরকার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে, সেই অনুযায়ী আদেশ জারির বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা। সরকার যেভাবে চায়, সেভাবে জারি করতে পারে। সরকার যদি মনে করে প্রধান উপদেষ্টা এটি জারি করবেন, সেটা পারবেন। আবার সরকার যদি মনে করে রাষ্ট্রপতি এটা জারি করবেন, সেটাও হতে পারে। এ ক্ষমতাটা সরকারের।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য এই আদেশ জারি করতে হবে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে গণ-অভ্যুত্থানের প্রতীক হিসেবে প্রধান উপদেষ্টাকে বেশি ধারক বলা যায়, তাই তিনি এই আদেশ জারি করতে পারেন। এক্ষেত্রে আইনি কোনো ঝামেলা নেই, কারণ এটি অধ্যাদেশ নয়।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে অধ্যাদেশ জারির বাধ্যবাধকতা না থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বিষয়ে আদেশ জারি করতে পারেন বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অধ্যাদেশ জারির ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে।
সংসদ কার্যকর না থাকায় অধ্যাদেশ জারির ক্ষমতা এখন রাষ্ট্রপতির হাতে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের অধ্যাদেশ চায় না। কাজেই প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে আদেশ জারির পথেই সরকার এগোচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
তবে বিএনপি আবার আদেশ জারির বিরোধিতা করছে। জুলাই সনদ নিয়ে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করলে তার ওপর গণভোট হতে পারে বলে মত দিয়েছে দলটি।
সূত্র জানায়, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ কীভাবে জারি করা হবে, আইনি কাঠামোর মধ্য থেকে সে পথ বের করার উপায় খুঁজছে সরকার। এক্ষেত্রে গণ-অভ্যুত্থানের পর বিশেষ পরিস্থিতিতে জনগণের অভিপ্রায়কে প্রাধান্য দেওয়ার চিন্তা চলছে।
জুলাই সনদের খসড়ায় সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদবলে আপিল বিভাগের মতামতের আলোকে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলা ছিল। কিন্তু চূড়ান্ত জুলাই সনদে এই অংশটুকু বাদ দিয়ে বলা হয়েছে, গণ-অভ্যুত্থানের পর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এর মধ্য দিয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে জনগণের অভিপ্রায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
ঐকমত্য কমিশন তাদের সুপারিশে বলেছে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন করতে একটি আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করা একান্ত প্রয়োজন। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে সরকারকে এই আদেশ জারির সুপারিশ করেছে কমিশন।
সরকারের কয়েকটি সূত্র বলছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে কীভাবে এই আদেশ জারি করা যায়, তা নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। আইনি জটিলতা না থাকলে প্রধান উপদেষ্টা এই আদেশ জারি করবেন। তবে আদেশটি রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে জারি করা যায় কি না, এখনো সে বিষয়টি ভাবনার মধ্যে রয়েছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যাতে নতুন কোনো বিভেদ সৃষ্টি না হয়, তা মাথায় রাখছে সরকার।
গত ২৭ অক্টোবর সরকারের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ জমা দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ নামে আদেশ জারির সুপারিশ করে কমিশন। সেখানে আদেশে থাকা সংবিধান-সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে গণভোট এবং আগামী সংসদের দ্বৈত ভূমিকা পালনের মাধ্যমে সংবিধান-সম্পর্কিত সুপারিশগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের ৮৪টি সুপারিশের মধ্যে ৪৭টি সংবিধান-সম্পর্কিত।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারির পাশাপাশি বাস্তবায়নের দুটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গণভোটে বিষয়টি পাস হলে সংসদের প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে এসব সংস্কার শেষ করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে শেষ না করলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে। দ্বিতীয় প্রস্তাবে সংবিধান সংস্কার পরিষদকে গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হলেও প্রথম অধিবেশন শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার শেষ করতে হবে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ কীভাবে জারি করা যাবে, তা সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এই কোনো অধ্যাদেশ নয়, আবার সংসদ দ্বারা তৈরি কোনো আইনও নয়।
জানতে চাইলে ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির আইনগত কিছু নেই। যেহেতু বর্তমান সরকার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে, সেই অনুযায়ী আদেশ জারির বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা। সরকার যেভাবে চায়, সেভাবে জারি করতে পারে। সরকার যদি মনে করে প্রধান উপদেষ্টা এটি জারি করবেন, সেটা পারবেন। আবার সরকার যদি মনে করে রাষ্ট্রপতি এটা জারি করবেন, সেটাও হতে পারে। এ ক্ষমতাটা সরকারের।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য এই আদেশ জারি করতে হবে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে গণ-অভ্যুত্থানের প্রতীক হিসেবে প্রধান উপদেষ্টাকে বেশি ধারক বলা যায়, তাই তিনি এই আদেশ জারি করতে পারেন। এক্ষেত্রে আইনি কোনো ঝামেলা নেই, কারণ এটি অধ্যাদেশ নয়।

আসন্ন বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের দুটি পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। সম্প্রতি গাজীপুরের টঙ্গীতে উভয় পক্ষের মধ্যে ইজতেমার মাঠ দখল নিয়ে সংঘর্ষে চারজন মারা গেছেন। এই ঘটনার পর গতকাল বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষই সংবাদ সম্মেলন করেছে। সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনায় জুবায়েরপন্থী
২০ ডিসেম্বর ২০২৪
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি প্রায় গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি মাসের মধ্যে প্রাক্-প্রস্তুতি শেষ করে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার চিন্তা আছে কমিশনের।
২০ মিনিট আগে
আওয়ামী লীগের সময় অপহরণ ও গুমের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কারাগারে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে লড়বেন না ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন।
১ ঘণ্টা আগে
রোববার সকালে রাজশাহী লিগ্যাল এইড অফিসে বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
১ ঘণ্টা আগে