মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

দরপত্রের জটিলতার সুরাহা না হওয়ায় দেশে সরকারিভাবে বিতরণের জন্মনিয়ন্ত্রণের উপকরণের সংকট প্রকট হয়েছে। এতে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, তাদের কাছে জন্মনিয়ন্ত্রণের উপকরণের মাত্র তিন মাসের মজুত আছে।
জন্মবিরতিকরণ বড়ি (খাওয়ার বড়ি) কিনতে প্রায় দেড় বছর আগে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আহ্বান করা ২১৬ কোটি টাকার দরপত্র নিয়ে জটিলতা এখনো কাটেনি। ফলে কোনো জন্মবিরতিকরণ বড়ি কেনা যায়নি। সরবরাহ কমে যাওয়ায় গ্রামীণ ও প্রান্তিক দম্পতিরা উপকরণ পাচ্ছেন না। এতে অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ, অল্প বয়সে মাতৃত্ব ও ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভপাতের ঘটনা বাড়ছে। সূত্র বলছে, সংকট কাটাতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় নতুন করে দরপত্র আহ্বানের কথা ভাবছে।
জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (নিপোর্ট) তথ্য অনুযায়ী, দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণের এক-তৃতীয়াংশের (৩৭ শতাংশ) বেশি আসে সরকারি খাত থেকে। বাকিটুকু আসে বেসরকারি খাত (৫৭ শতাংশ), বেসরকারি সংস্থা বা এনজিও (৩ শতাংশ) এবং অন্যান্য উৎস (৪ শতাংশ) থেকে। মোট সাত ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির মধ্যে পাঁচটি সরকারিভাবে দেওয়া হয়। এগুলো হলো—জন্মবিরতিকরণ বড়ি (খাওয়ার বড়ি), ইনজেক্টেবল, কনডম, ইমপ্ল্যান্ট ও আইইউডি।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, সরকারিভাবে সাধারণত প্রতি মাসে ৬০ থেকে ৭০ লাখ পাতা (প্রতি পাতায় ২৮ বড়ি) খাওয়ার বড়ি বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া ইনজেক্টেবল ৭ থেকে ১০ লাখ, কনডম ৭০ লাখ থেকে ১ কোটি, ইমপ্ল্যান্ট ৩০ থেকে ৬০ হাজার এবং আইইউডি ১০ থেকে ১৪ হাজার বিতরণ করা হয়। তবে সরবরাহের সংকটে এসব উপকরণ বিতরণ কমেছে।
অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, ৪ কোটি ৫০ লাখ মাসিক চক্রের (এক মাসিক চক্রে ২৮টি বড়ি থাকে) জন্মবিরতিকরণ বড়ি কিনতে ২০২৪ সালের ২ জানুয়ারি পাঁচটি লটে ২১৬ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হয়। সাতটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দিলেও শর্ত পূরণ করে তিনটি প্রতিষ্ঠান। ১, ২ ও ৩ লটে দরপত্র জমা দেয় বেসরকারি ওষুধ কোম্পানি রেনেটা লিমিটেড ও টেকনো ড্রাগস লিমিটেড। ৪ ও ৫ নম্বর লটের জন্য পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ওই বছরের ১৩ মার্চ দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি কার্যকর প্রতিযোগিতার অভাবে এই পাঁচটি লট বাতিল করে দেয়।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ সূত্র জানায়, দরপত্র বাতিলের পর ওই তিনটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটিতে (বিপিপিএ) আপিল করে। বিপিপিএর রিভিউ প্যানেল ৪ ও ৫ নম্বর লটের আপিল খারিজ করে। তবে রিভিউ প্যানেলের রায় যায় ১, ২ ও ৩ নম্বর লটের পক্ষে। এতে পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস হাইকোর্টে রিট করে পক্ষে রায় পায়। এর বিরুদ্ধে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর আপিল বিভাগে আবেদন করলে ‘নো অর্ডার’ মর্মে রায় দেন।
এই দরপত্রের বৈধতার মেয়াদ গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর শেষ হয়। বৈধতার মেয়াদ বাড়াতে টেকনো ড্রাগস লিমিটেড (লট-১, ২ ও ৩) এবং পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস (লট-৪ ও ৫) হাইকোর্টে রিট করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত চলতি মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত প্যাকেজের মেয়াদ বা প্যাকেজের আওতায় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় সময় পর্যন্ত বৈধতা বৃদ্ধি করে রায় দেন। এসব উল্লেখ করে ৭ আগস্ট স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ থেকে বিপিপিএর প্রধান নির্বাহীর কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়। উপসচিব কামরুন নাহার সুমির সই করা ওই চিঠিতে দরপত্র নিয়ে যে অচলাবস্থা রয়েছে, তা সমাধান করে নতুন ক্রয়প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে মতামত দিতে অনুরোধ জানানো হয়।
সূত্র বলছে, নতুন করে কেনা না হওয়ায় জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর সংকট শুরু হয়। বর্তমানে চাহিদার তুলনায় সরকারি সরবরাহ নেমে এসেছে এক-চতুর্থাংশে। কোনো কোনো অঞ্চলে সরবরাহ শূন্যের কোঠায়। গত বছরের জানুয়ারিতে খাওয়ার বড়ি সরবরাহ করা হয়েছিল ৬১ লাখ, গত জুলাইয়ে তা নেমে আসে ১২ লাখে। একইভাবে ইনজেক্টেবল, কনডম, ইমপ্ল্যান্ট ও আইইউডির সরবরাহও কমেছে।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সূত্র বলছে, দেশের ৪৯৪টি উপজেলার মধ্যে এখন খাওয়ার বড়ি নেই ১৩৪টিতে। শিগগির মজুত শেষ হবে ১১৪টিতে এবং ৫৯টিতে চাহিদার তুলনায় কম রয়েছে। ১৫৪টি উপজেলায় কনডম এবং ৩৩৪টি উপজেলায় আইইউডির মজুত নেই। অন্যান্য পদ্ধতির উপকরণের ক্ষেত্রেও একই রকম চিত্র।
এই অধিদপ্তরের পরিচালক (উপকরণ ও সরবরাহ) মো. আব্দুর রাজ্জাক আজকের পত্রিকা'কে বলেন, জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণের এমন সংকট আগে কখনো দেখা যায়নি। রাজস্ব খাত থেকে কিছু উপকরণ কেনা হয়েছে। তাতে আগামী তিন মাসের মতো চলতে পারে। গত বছর কোনো উপকরণ কেনা হয়নি। মাঠপর্যায়ে তিন মাসের বিতরণ সামগ্রী থাকার পরও ২৩টি ওয়্যারহাউসে আরও তিন মাসের মজুত থাকার কথা। এখন সব মিলিয়ে তিন মাসের মজুত রয়েছে। নিয়মিত বড় ধরনের ক্রয় না থাকায় সংকট তৈরি হয়েছে।
জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞ ও জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, সরকারিভাবে উপকরণ না পাওয়ায় অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণের আশঙ্কা বাড়ছে। অল্প বয়সে মাতৃত্ব ও ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভপাতের ঘটনাও বাড়তে পারে। এতে মাতৃমৃত্যু ও নবজাতকের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। একই সঙ্গে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিও হোচট খাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংখ্যাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘গত কয়েক বছরে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি সরকারের অগ্রাধিকারে রাখা হয়নি। দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারে সক্ষম দম্পতিদের বড় একটি অংশ কোনো উপকরণ পাচ্ছে না। ফলে অনেকে অপ্রত্যাশিত সন্তান ধারণ করছেন বা গর্ভপাত করাচ্ছেন।’
তিনি জানান, ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশে টিএফআর বা টোটাল ফার্টিলিটি রেট (নারীপ্রতি মোট প্রজনন হার) ছিল ৩ দশমিক ৩। ২০০০ সালেও একই অবস্থা ছিল। ২০০৪ ও ২০০৭ সালে কিছুটা কমেছে। তবে ২০২১ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত আবার ২ দশমিক ৩ হয়েছে। টিএফআর কমাতে সরকারের পদক্ষেপের অভাব রয়েছে।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী বলেন, ‘দরপত্র আমরা বাতিল করেছিলাম। পরে প্রতিষ্ঠানগুলো আদালতে গিয়ে আদেশ এনেছে। আমরা আপিল করেছিলাম। সরকার শেষপর্যন্ত জিততে পারেনি। এখন বিষয়টি কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, তা নিয়ে আমরা বিপিপিএর কাছে মতামত চেয়েছি। তাদের মতামতের আলোকে আমরা পদক্ষেপ নেব।’ তিনি বলেন, উন্নয়ন বাজেটে যে অপারেশন প্ল্যান ছিল, তা বাস্তবায়ন হলে উপকরণগুলো কেনা হতো। কিন্তু অপারেশন প্ল্যান না থাকায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। তবে নিয়মিত চাহিদা সামাল দিতে বিশেষ বরাদ্দ এনে কিছু উপকরণ কেনা হয়েছিল।

দরপত্রের জটিলতার সুরাহা না হওয়ায় দেশে সরকারিভাবে বিতরণের জন্মনিয়ন্ত্রণের উপকরণের সংকট প্রকট হয়েছে। এতে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, তাদের কাছে জন্মনিয়ন্ত্রণের উপকরণের মাত্র তিন মাসের মজুত আছে।
জন্মবিরতিকরণ বড়ি (খাওয়ার বড়ি) কিনতে প্রায় দেড় বছর আগে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আহ্বান করা ২১৬ কোটি টাকার দরপত্র নিয়ে জটিলতা এখনো কাটেনি। ফলে কোনো জন্মবিরতিকরণ বড়ি কেনা যায়নি। সরবরাহ কমে যাওয়ায় গ্রামীণ ও প্রান্তিক দম্পতিরা উপকরণ পাচ্ছেন না। এতে অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ, অল্প বয়সে মাতৃত্ব ও ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভপাতের ঘটনা বাড়ছে। সূত্র বলছে, সংকট কাটাতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় নতুন করে দরপত্র আহ্বানের কথা ভাবছে।
জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (নিপোর্ট) তথ্য অনুযায়ী, দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণের এক-তৃতীয়াংশের (৩৭ শতাংশ) বেশি আসে সরকারি খাত থেকে। বাকিটুকু আসে বেসরকারি খাত (৫৭ শতাংশ), বেসরকারি সংস্থা বা এনজিও (৩ শতাংশ) এবং অন্যান্য উৎস (৪ শতাংশ) থেকে। মোট সাত ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির মধ্যে পাঁচটি সরকারিভাবে দেওয়া হয়। এগুলো হলো—জন্মবিরতিকরণ বড়ি (খাওয়ার বড়ি), ইনজেক্টেবল, কনডম, ইমপ্ল্যান্ট ও আইইউডি।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, সরকারিভাবে সাধারণত প্রতি মাসে ৬০ থেকে ৭০ লাখ পাতা (প্রতি পাতায় ২৮ বড়ি) খাওয়ার বড়ি বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া ইনজেক্টেবল ৭ থেকে ১০ লাখ, কনডম ৭০ লাখ থেকে ১ কোটি, ইমপ্ল্যান্ট ৩০ থেকে ৬০ হাজার এবং আইইউডি ১০ থেকে ১৪ হাজার বিতরণ করা হয়। তবে সরবরাহের সংকটে এসব উপকরণ বিতরণ কমেছে।
অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, ৪ কোটি ৫০ লাখ মাসিক চক্রের (এক মাসিক চক্রে ২৮টি বড়ি থাকে) জন্মবিরতিকরণ বড়ি কিনতে ২০২৪ সালের ২ জানুয়ারি পাঁচটি লটে ২১৬ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হয়। সাতটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দিলেও শর্ত পূরণ করে তিনটি প্রতিষ্ঠান। ১, ২ ও ৩ লটে দরপত্র জমা দেয় বেসরকারি ওষুধ কোম্পানি রেনেটা লিমিটেড ও টেকনো ড্রাগস লিমিটেড। ৪ ও ৫ নম্বর লটের জন্য পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ওই বছরের ১৩ মার্চ দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি কার্যকর প্রতিযোগিতার অভাবে এই পাঁচটি লট বাতিল করে দেয়।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ সূত্র জানায়, দরপত্র বাতিলের পর ওই তিনটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটিতে (বিপিপিএ) আপিল করে। বিপিপিএর রিভিউ প্যানেল ৪ ও ৫ নম্বর লটের আপিল খারিজ করে। তবে রিভিউ প্যানেলের রায় যায় ১, ২ ও ৩ নম্বর লটের পক্ষে। এতে পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস হাইকোর্টে রিট করে পক্ষে রায় পায়। এর বিরুদ্ধে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর আপিল বিভাগে আবেদন করলে ‘নো অর্ডার’ মর্মে রায় দেন।
এই দরপত্রের বৈধতার মেয়াদ গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর শেষ হয়। বৈধতার মেয়াদ বাড়াতে টেকনো ড্রাগস লিমিটেড (লট-১, ২ ও ৩) এবং পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস (লট-৪ ও ৫) হাইকোর্টে রিট করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত চলতি মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত প্যাকেজের মেয়াদ বা প্যাকেজের আওতায় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় সময় পর্যন্ত বৈধতা বৃদ্ধি করে রায় দেন। এসব উল্লেখ করে ৭ আগস্ট স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ থেকে বিপিপিএর প্রধান নির্বাহীর কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়। উপসচিব কামরুন নাহার সুমির সই করা ওই চিঠিতে দরপত্র নিয়ে যে অচলাবস্থা রয়েছে, তা সমাধান করে নতুন ক্রয়প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে মতামত দিতে অনুরোধ জানানো হয়।
সূত্র বলছে, নতুন করে কেনা না হওয়ায় জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর সংকট শুরু হয়। বর্তমানে চাহিদার তুলনায় সরকারি সরবরাহ নেমে এসেছে এক-চতুর্থাংশে। কোনো কোনো অঞ্চলে সরবরাহ শূন্যের কোঠায়। গত বছরের জানুয়ারিতে খাওয়ার বড়ি সরবরাহ করা হয়েছিল ৬১ লাখ, গত জুলাইয়ে তা নেমে আসে ১২ লাখে। একইভাবে ইনজেক্টেবল, কনডম, ইমপ্ল্যান্ট ও আইইউডির সরবরাহও কমেছে।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সূত্র বলছে, দেশের ৪৯৪টি উপজেলার মধ্যে এখন খাওয়ার বড়ি নেই ১৩৪টিতে। শিগগির মজুত শেষ হবে ১১৪টিতে এবং ৫৯টিতে চাহিদার তুলনায় কম রয়েছে। ১৫৪টি উপজেলায় কনডম এবং ৩৩৪টি উপজেলায় আইইউডির মজুত নেই। অন্যান্য পদ্ধতির উপকরণের ক্ষেত্রেও একই রকম চিত্র।
এই অধিদপ্তরের পরিচালক (উপকরণ ও সরবরাহ) মো. আব্দুর রাজ্জাক আজকের পত্রিকা'কে বলেন, জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণের এমন সংকট আগে কখনো দেখা যায়নি। রাজস্ব খাত থেকে কিছু উপকরণ কেনা হয়েছে। তাতে আগামী তিন মাসের মতো চলতে পারে। গত বছর কোনো উপকরণ কেনা হয়নি। মাঠপর্যায়ে তিন মাসের বিতরণ সামগ্রী থাকার পরও ২৩টি ওয়্যারহাউসে আরও তিন মাসের মজুত থাকার কথা। এখন সব মিলিয়ে তিন মাসের মজুত রয়েছে। নিয়মিত বড় ধরনের ক্রয় না থাকায় সংকট তৈরি হয়েছে।
জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞ ও জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, সরকারিভাবে উপকরণ না পাওয়ায় অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণের আশঙ্কা বাড়ছে। অল্প বয়সে মাতৃত্ব ও ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভপাতের ঘটনাও বাড়তে পারে। এতে মাতৃমৃত্যু ও নবজাতকের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। একই সঙ্গে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিও হোচট খাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংখ্যাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘গত কয়েক বছরে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি সরকারের অগ্রাধিকারে রাখা হয়নি। দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারে সক্ষম দম্পতিদের বড় একটি অংশ কোনো উপকরণ পাচ্ছে না। ফলে অনেকে অপ্রত্যাশিত সন্তান ধারণ করছেন বা গর্ভপাত করাচ্ছেন।’
তিনি জানান, ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশে টিএফআর বা টোটাল ফার্টিলিটি রেট (নারীপ্রতি মোট প্রজনন হার) ছিল ৩ দশমিক ৩। ২০০০ সালেও একই অবস্থা ছিল। ২০০৪ ও ২০০৭ সালে কিছুটা কমেছে। তবে ২০২১ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত আবার ২ দশমিক ৩ হয়েছে। টিএফআর কমাতে সরকারের পদক্ষেপের অভাব রয়েছে।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী বলেন, ‘দরপত্র আমরা বাতিল করেছিলাম। পরে প্রতিষ্ঠানগুলো আদালতে গিয়ে আদেশ এনেছে। আমরা আপিল করেছিলাম। সরকার শেষপর্যন্ত জিততে পারেনি। এখন বিষয়টি কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, তা নিয়ে আমরা বিপিপিএর কাছে মতামত চেয়েছি। তাদের মতামতের আলোকে আমরা পদক্ষেপ নেব।’ তিনি বলেন, উন্নয়ন বাজেটে যে অপারেশন প্ল্যান ছিল, তা বাস্তবায়ন হলে উপকরণগুলো কেনা হতো। কিন্তু অপারেশন প্ল্যান না থাকায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। তবে নিয়মিত চাহিদা সামাল দিতে বিশেষ বরাদ্দ এনে কিছু উপকরণ কেনা হয়েছিল।
মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

দরপত্রের জটিলতার সুরাহা না হওয়ায় দেশে সরকারিভাবে বিতরণের জন্মনিয়ন্ত্রণের উপকরণের সংকট প্রকট হয়েছে। এতে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, তাদের কাছে জন্মনিয়ন্ত্রণের উপকরণের মাত্র তিন মাসের মজুত আছে।
জন্মবিরতিকরণ বড়ি (খাওয়ার বড়ি) কিনতে প্রায় দেড় বছর আগে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আহ্বান করা ২১৬ কোটি টাকার দরপত্র নিয়ে জটিলতা এখনো কাটেনি। ফলে কোনো জন্মবিরতিকরণ বড়ি কেনা যায়নি। সরবরাহ কমে যাওয়ায় গ্রামীণ ও প্রান্তিক দম্পতিরা উপকরণ পাচ্ছেন না। এতে অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ, অল্প বয়সে মাতৃত্ব ও ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভপাতের ঘটনা বাড়ছে। সূত্র বলছে, সংকট কাটাতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় নতুন করে দরপত্র আহ্বানের কথা ভাবছে।
জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (নিপোর্ট) তথ্য অনুযায়ী, দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণের এক-তৃতীয়াংশের (৩৭ শতাংশ) বেশি আসে সরকারি খাত থেকে। বাকিটুকু আসে বেসরকারি খাত (৫৭ শতাংশ), বেসরকারি সংস্থা বা এনজিও (৩ শতাংশ) এবং অন্যান্য উৎস (৪ শতাংশ) থেকে। মোট সাত ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির মধ্যে পাঁচটি সরকারিভাবে দেওয়া হয়। এগুলো হলো—জন্মবিরতিকরণ বড়ি (খাওয়ার বড়ি), ইনজেক্টেবল, কনডম, ইমপ্ল্যান্ট ও আইইউডি।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, সরকারিভাবে সাধারণত প্রতি মাসে ৬০ থেকে ৭০ লাখ পাতা (প্রতি পাতায় ২৮ বড়ি) খাওয়ার বড়ি বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া ইনজেক্টেবল ৭ থেকে ১০ লাখ, কনডম ৭০ লাখ থেকে ১ কোটি, ইমপ্ল্যান্ট ৩০ থেকে ৬০ হাজার এবং আইইউডি ১০ থেকে ১৪ হাজার বিতরণ করা হয়। তবে সরবরাহের সংকটে এসব উপকরণ বিতরণ কমেছে।
অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, ৪ কোটি ৫০ লাখ মাসিক চক্রের (এক মাসিক চক্রে ২৮টি বড়ি থাকে) জন্মবিরতিকরণ বড়ি কিনতে ২০২৪ সালের ২ জানুয়ারি পাঁচটি লটে ২১৬ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হয়। সাতটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দিলেও শর্ত পূরণ করে তিনটি প্রতিষ্ঠান। ১, ২ ও ৩ লটে দরপত্র জমা দেয় বেসরকারি ওষুধ কোম্পানি রেনেটা লিমিটেড ও টেকনো ড্রাগস লিমিটেড। ৪ ও ৫ নম্বর লটের জন্য পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ওই বছরের ১৩ মার্চ দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি কার্যকর প্রতিযোগিতার অভাবে এই পাঁচটি লট বাতিল করে দেয়।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ সূত্র জানায়, দরপত্র বাতিলের পর ওই তিনটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটিতে (বিপিপিএ) আপিল করে। বিপিপিএর রিভিউ প্যানেল ৪ ও ৫ নম্বর লটের আপিল খারিজ করে। তবে রিভিউ প্যানেলের রায় যায় ১, ২ ও ৩ নম্বর লটের পক্ষে। এতে পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস হাইকোর্টে রিট করে পক্ষে রায় পায়। এর বিরুদ্ধে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর আপিল বিভাগে আবেদন করলে ‘নো অর্ডার’ মর্মে রায় দেন।
এই দরপত্রের বৈধতার মেয়াদ গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর শেষ হয়। বৈধতার মেয়াদ বাড়াতে টেকনো ড্রাগস লিমিটেড (লট-১, ২ ও ৩) এবং পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস (লট-৪ ও ৫) হাইকোর্টে রিট করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত চলতি মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত প্যাকেজের মেয়াদ বা প্যাকেজের আওতায় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় সময় পর্যন্ত বৈধতা বৃদ্ধি করে রায় দেন। এসব উল্লেখ করে ৭ আগস্ট স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ থেকে বিপিপিএর প্রধান নির্বাহীর কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়। উপসচিব কামরুন নাহার সুমির সই করা ওই চিঠিতে দরপত্র নিয়ে যে অচলাবস্থা রয়েছে, তা সমাধান করে নতুন ক্রয়প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে মতামত দিতে অনুরোধ জানানো হয়।
সূত্র বলছে, নতুন করে কেনা না হওয়ায় জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর সংকট শুরু হয়। বর্তমানে চাহিদার তুলনায় সরকারি সরবরাহ নেমে এসেছে এক-চতুর্থাংশে। কোনো কোনো অঞ্চলে সরবরাহ শূন্যের কোঠায়। গত বছরের জানুয়ারিতে খাওয়ার বড়ি সরবরাহ করা হয়েছিল ৬১ লাখ, গত জুলাইয়ে তা নেমে আসে ১২ লাখে। একইভাবে ইনজেক্টেবল, কনডম, ইমপ্ল্যান্ট ও আইইউডির সরবরাহও কমেছে।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সূত্র বলছে, দেশের ৪৯৪টি উপজেলার মধ্যে এখন খাওয়ার বড়ি নেই ১৩৪টিতে। শিগগির মজুত শেষ হবে ১১৪টিতে এবং ৫৯টিতে চাহিদার তুলনায় কম রয়েছে। ১৫৪টি উপজেলায় কনডম এবং ৩৩৪টি উপজেলায় আইইউডির মজুত নেই। অন্যান্য পদ্ধতির উপকরণের ক্ষেত্রেও একই রকম চিত্র।
এই অধিদপ্তরের পরিচালক (উপকরণ ও সরবরাহ) মো. আব্দুর রাজ্জাক আজকের পত্রিকা'কে বলেন, জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণের এমন সংকট আগে কখনো দেখা যায়নি। রাজস্ব খাত থেকে কিছু উপকরণ কেনা হয়েছে। তাতে আগামী তিন মাসের মতো চলতে পারে। গত বছর কোনো উপকরণ কেনা হয়নি। মাঠপর্যায়ে তিন মাসের বিতরণ সামগ্রী থাকার পরও ২৩টি ওয়্যারহাউসে আরও তিন মাসের মজুত থাকার কথা। এখন সব মিলিয়ে তিন মাসের মজুত রয়েছে। নিয়মিত বড় ধরনের ক্রয় না থাকায় সংকট তৈরি হয়েছে।
জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞ ও জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, সরকারিভাবে উপকরণ না পাওয়ায় অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণের আশঙ্কা বাড়ছে। অল্প বয়সে মাতৃত্ব ও ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভপাতের ঘটনাও বাড়তে পারে। এতে মাতৃমৃত্যু ও নবজাতকের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। একই সঙ্গে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিও হোচট খাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংখ্যাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘গত কয়েক বছরে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি সরকারের অগ্রাধিকারে রাখা হয়নি। দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারে সক্ষম দম্পতিদের বড় একটি অংশ কোনো উপকরণ পাচ্ছে না। ফলে অনেকে অপ্রত্যাশিত সন্তান ধারণ করছেন বা গর্ভপাত করাচ্ছেন।’
তিনি জানান, ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশে টিএফআর বা টোটাল ফার্টিলিটি রেট (নারীপ্রতি মোট প্রজনন হার) ছিল ৩ দশমিক ৩। ২০০০ সালেও একই অবস্থা ছিল। ২০০৪ ও ২০০৭ সালে কিছুটা কমেছে। তবে ২০২১ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত আবার ২ দশমিক ৩ হয়েছে। টিএফআর কমাতে সরকারের পদক্ষেপের অভাব রয়েছে।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী বলেন, ‘দরপত্র আমরা বাতিল করেছিলাম। পরে প্রতিষ্ঠানগুলো আদালতে গিয়ে আদেশ এনেছে। আমরা আপিল করেছিলাম। সরকার শেষপর্যন্ত জিততে পারেনি। এখন বিষয়টি কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, তা নিয়ে আমরা বিপিপিএর কাছে মতামত চেয়েছি। তাদের মতামতের আলোকে আমরা পদক্ষেপ নেব।’ তিনি বলেন, উন্নয়ন বাজেটে যে অপারেশন প্ল্যান ছিল, তা বাস্তবায়ন হলে উপকরণগুলো কেনা হতো। কিন্তু অপারেশন প্ল্যান না থাকায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। তবে নিয়মিত চাহিদা সামাল দিতে বিশেষ বরাদ্দ এনে কিছু উপকরণ কেনা হয়েছিল।

দরপত্রের জটিলতার সুরাহা না হওয়ায় দেশে সরকারিভাবে বিতরণের জন্মনিয়ন্ত্রণের উপকরণের সংকট প্রকট হয়েছে। এতে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, তাদের কাছে জন্মনিয়ন্ত্রণের উপকরণের মাত্র তিন মাসের মজুত আছে।
জন্মবিরতিকরণ বড়ি (খাওয়ার বড়ি) কিনতে প্রায় দেড় বছর আগে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আহ্বান করা ২১৬ কোটি টাকার দরপত্র নিয়ে জটিলতা এখনো কাটেনি। ফলে কোনো জন্মবিরতিকরণ বড়ি কেনা যায়নি। সরবরাহ কমে যাওয়ায় গ্রামীণ ও প্রান্তিক দম্পতিরা উপকরণ পাচ্ছেন না। এতে অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ, অল্প বয়সে মাতৃত্ব ও ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভপাতের ঘটনা বাড়ছে। সূত্র বলছে, সংকট কাটাতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় নতুন করে দরপত্র আহ্বানের কথা ভাবছে।
জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (নিপোর্ট) তথ্য অনুযায়ী, দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণের এক-তৃতীয়াংশের (৩৭ শতাংশ) বেশি আসে সরকারি খাত থেকে। বাকিটুকু আসে বেসরকারি খাত (৫৭ শতাংশ), বেসরকারি সংস্থা বা এনজিও (৩ শতাংশ) এবং অন্যান্য উৎস (৪ শতাংশ) থেকে। মোট সাত ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির মধ্যে পাঁচটি সরকারিভাবে দেওয়া হয়। এগুলো হলো—জন্মবিরতিকরণ বড়ি (খাওয়ার বড়ি), ইনজেক্টেবল, কনডম, ইমপ্ল্যান্ট ও আইইউডি।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, সরকারিভাবে সাধারণত প্রতি মাসে ৬০ থেকে ৭০ লাখ পাতা (প্রতি পাতায় ২৮ বড়ি) খাওয়ার বড়ি বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া ইনজেক্টেবল ৭ থেকে ১০ লাখ, কনডম ৭০ লাখ থেকে ১ কোটি, ইমপ্ল্যান্ট ৩০ থেকে ৬০ হাজার এবং আইইউডি ১০ থেকে ১৪ হাজার বিতরণ করা হয়। তবে সরবরাহের সংকটে এসব উপকরণ বিতরণ কমেছে।
অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, ৪ কোটি ৫০ লাখ মাসিক চক্রের (এক মাসিক চক্রে ২৮টি বড়ি থাকে) জন্মবিরতিকরণ বড়ি কিনতে ২০২৪ সালের ২ জানুয়ারি পাঁচটি লটে ২১৬ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হয়। সাতটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দিলেও শর্ত পূরণ করে তিনটি প্রতিষ্ঠান। ১, ২ ও ৩ লটে দরপত্র জমা দেয় বেসরকারি ওষুধ কোম্পানি রেনেটা লিমিটেড ও টেকনো ড্রাগস লিমিটেড। ৪ ও ৫ নম্বর লটের জন্য পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ওই বছরের ১৩ মার্চ দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি কার্যকর প্রতিযোগিতার অভাবে এই পাঁচটি লট বাতিল করে দেয়।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ সূত্র জানায়, দরপত্র বাতিলের পর ওই তিনটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটিতে (বিপিপিএ) আপিল করে। বিপিপিএর রিভিউ প্যানেল ৪ ও ৫ নম্বর লটের আপিল খারিজ করে। তবে রিভিউ প্যানেলের রায় যায় ১, ২ ও ৩ নম্বর লটের পক্ষে। এতে পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস হাইকোর্টে রিট করে পক্ষে রায় পায়। এর বিরুদ্ধে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর আপিল বিভাগে আবেদন করলে ‘নো অর্ডার’ মর্মে রায় দেন।
এই দরপত্রের বৈধতার মেয়াদ গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর শেষ হয়। বৈধতার মেয়াদ বাড়াতে টেকনো ড্রাগস লিমিটেড (লট-১, ২ ও ৩) এবং পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস (লট-৪ ও ৫) হাইকোর্টে রিট করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত চলতি মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত প্যাকেজের মেয়াদ বা প্যাকেজের আওতায় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় সময় পর্যন্ত বৈধতা বৃদ্ধি করে রায় দেন। এসব উল্লেখ করে ৭ আগস্ট স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ থেকে বিপিপিএর প্রধান নির্বাহীর কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়। উপসচিব কামরুন নাহার সুমির সই করা ওই চিঠিতে দরপত্র নিয়ে যে অচলাবস্থা রয়েছে, তা সমাধান করে নতুন ক্রয়প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে মতামত দিতে অনুরোধ জানানো হয়।
সূত্র বলছে, নতুন করে কেনা না হওয়ায় জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর সংকট শুরু হয়। বর্তমানে চাহিদার তুলনায় সরকারি সরবরাহ নেমে এসেছে এক-চতুর্থাংশে। কোনো কোনো অঞ্চলে সরবরাহ শূন্যের কোঠায়। গত বছরের জানুয়ারিতে খাওয়ার বড়ি সরবরাহ করা হয়েছিল ৬১ লাখ, গত জুলাইয়ে তা নেমে আসে ১২ লাখে। একইভাবে ইনজেক্টেবল, কনডম, ইমপ্ল্যান্ট ও আইইউডির সরবরাহও কমেছে।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সূত্র বলছে, দেশের ৪৯৪টি উপজেলার মধ্যে এখন খাওয়ার বড়ি নেই ১৩৪টিতে। শিগগির মজুত শেষ হবে ১১৪টিতে এবং ৫৯টিতে চাহিদার তুলনায় কম রয়েছে। ১৫৪টি উপজেলায় কনডম এবং ৩৩৪টি উপজেলায় আইইউডির মজুত নেই। অন্যান্য পদ্ধতির উপকরণের ক্ষেত্রেও একই রকম চিত্র।
এই অধিদপ্তরের পরিচালক (উপকরণ ও সরবরাহ) মো. আব্দুর রাজ্জাক আজকের পত্রিকা'কে বলেন, জন্মনিয়ন্ত্রণ উপকরণের এমন সংকট আগে কখনো দেখা যায়নি। রাজস্ব খাত থেকে কিছু উপকরণ কেনা হয়েছে। তাতে আগামী তিন মাসের মতো চলতে পারে। গত বছর কোনো উপকরণ কেনা হয়নি। মাঠপর্যায়ে তিন মাসের বিতরণ সামগ্রী থাকার পরও ২৩টি ওয়্যারহাউসে আরও তিন মাসের মজুত থাকার কথা। এখন সব মিলিয়ে তিন মাসের মজুত রয়েছে। নিয়মিত বড় ধরনের ক্রয় না থাকায় সংকট তৈরি হয়েছে।
জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞ ও জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, সরকারিভাবে উপকরণ না পাওয়ায় অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণের আশঙ্কা বাড়ছে। অল্প বয়সে মাতৃত্ব ও ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভপাতের ঘটনাও বাড়তে পারে। এতে মাতৃমৃত্যু ও নবজাতকের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। একই সঙ্গে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিও হোচট খাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংখ্যাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘গত কয়েক বছরে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি সরকারের অগ্রাধিকারে রাখা হয়নি। দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারে সক্ষম দম্পতিদের বড় একটি অংশ কোনো উপকরণ পাচ্ছে না। ফলে অনেকে অপ্রত্যাশিত সন্তান ধারণ করছেন বা গর্ভপাত করাচ্ছেন।’
তিনি জানান, ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশে টিএফআর বা টোটাল ফার্টিলিটি রেট (নারীপ্রতি মোট প্রজনন হার) ছিল ৩ দশমিক ৩। ২০০০ সালেও একই অবস্থা ছিল। ২০০৪ ও ২০০৭ সালে কিছুটা কমেছে। তবে ২০২১ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত আবার ২ দশমিক ৩ হয়েছে। টিএফআর কমাতে সরকারের পদক্ষেপের অভাব রয়েছে।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী বলেন, ‘দরপত্র আমরা বাতিল করেছিলাম। পরে প্রতিষ্ঠানগুলো আদালতে গিয়ে আদেশ এনেছে। আমরা আপিল করেছিলাম। সরকার শেষপর্যন্ত জিততে পারেনি। এখন বিষয়টি কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, তা নিয়ে আমরা বিপিপিএর কাছে মতামত চেয়েছি। তাদের মতামতের আলোকে আমরা পদক্ষেপ নেব।’ তিনি বলেন, উন্নয়ন বাজেটে যে অপারেশন প্ল্যান ছিল, তা বাস্তবায়ন হলে উপকরণগুলো কেনা হতো। কিন্তু অপারেশন প্ল্যান না থাকায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। তবে নিয়মিত চাহিদা সামাল দিতে বিশেষ বরাদ্দ এনে কিছু উপকরণ কেনা হয়েছিল।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
৩ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৫ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের
৬ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আদালত।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

দরপত্রের জটিলতার সুরাহা না হওয়ায় দেশে সরকারিভাবে বিতরণের জন্মনিয়ন্ত্রণের উপকরণের সংকট প্রকট হয়েছে। এতে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, তাদের কাছে জন্মনিয়ন্ত্রণের উপকরণের মাত্র তিন মাসের মজুত আছে।
২০ আগস্ট ২০২৫
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৫ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের
৬ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আদালত।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

দরপত্রের জটিলতার সুরাহা না হওয়ায় দেশে সরকারিভাবে বিতরণের জন্মনিয়ন্ত্রণের উপকরণের সংকট প্রকট হয়েছে। এতে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, তাদের কাছে জন্মনিয়ন্ত্রণের উপকরণের মাত্র তিন মাসের মজুত আছে।
২০ আগস্ট ২০২৫
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের
৬ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আদালত।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এরপর তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কুশল-বিনিয়ম করেন। নিরাপত্তা ও বিভিন্ন ধরনের সহায়তার জন্য এ সময় তিনি সরকারপ্রধানের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কথোপকথনে তারেককে বলতে শোনা যায়, ‘জি জি...আমার জন্য আমার...জি জি...আপনার শরীর কেমন আছে?’
...
‘হ্যাঁ, দোয়া করবেন, দোয়া করবেন।’ ...
‘আমি আমার পক্ষ থেকে এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনি আপনার পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকম আয়োজন করেছেন, বিশেষ করে আমার নিরাপত্তার জন্য। অ্যান্ড উই আর থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ...থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ। সব রকম আয়োজনের জন্য।’
...
‘নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই। জি নিশ্চয়ই...ইনশাল্লাহ...ইনশাল্লাহ।’
ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।
এরপরই তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু ফুলের মালা পরিয়ে জামাতাকে বরণ করেন নেন। নাতনি জাইমাকেও আদর করতে দেখা যায়। তারেক রহমান এ সময় তাঁর পাশে কিছু সময় বসে থাকেন। এরপর বেলা ১২টা ২০ মিনিটে তারেক রহমানে স্ত্রী ও তাঁর মেয়ে সাদা রঙের একটি জিপ গাড়িতে উঠে বসেন।
দলের অন্য নেতাদের সঙ্গে তারেক রহমান বেলা ১২টা মিনিটে ৩২ মিনিটে লাল সবুজ রঙে একটি বুলেটপ্রুফ বাসে উঠেন। ২ মিনিট পরে বাসটি বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলের ৩০০ ফিটের সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে যেতে শুরু করে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এরপর তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কুশল-বিনিয়ম করেন। নিরাপত্তা ও বিভিন্ন ধরনের সহায়তার জন্য এ সময় তিনি সরকারপ্রধানের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কথোপকথনে তারেককে বলতে শোনা যায়, ‘জি জি...আমার জন্য আমার...জি জি...আপনার শরীর কেমন আছে?’
...
‘হ্যাঁ, দোয়া করবেন, দোয়া করবেন।’ ...
‘আমি আমার পক্ষ থেকে এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনি আপনার পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকম আয়োজন করেছেন, বিশেষ করে আমার নিরাপত্তার জন্য। অ্যান্ড উই আর থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ...থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ। সব রকম আয়োজনের জন্য।’
...
‘নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই। জি নিশ্চয়ই...ইনশাল্লাহ...ইনশাল্লাহ।’
ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।
এরপরই তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু ফুলের মালা পরিয়ে জামাতাকে বরণ করেন নেন। নাতনি জাইমাকেও আদর করতে দেখা যায়। তারেক রহমান এ সময় তাঁর পাশে কিছু সময় বসে থাকেন। এরপর বেলা ১২টা ২০ মিনিটে তারেক রহমানে স্ত্রী ও তাঁর মেয়ে সাদা রঙের একটি জিপ গাড়িতে উঠে বসেন।
দলের অন্য নেতাদের সঙ্গে তারেক রহমান বেলা ১২টা মিনিটে ৩২ মিনিটে লাল সবুজ রঙে একটি বুলেটপ্রুফ বাসে উঠেন। ২ মিনিট পরে বাসটি বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলের ৩০০ ফিটের সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে যেতে শুরু করে।

দরপত্রের জটিলতার সুরাহা না হওয়ায় দেশে সরকারিভাবে বিতরণের জন্মনিয়ন্ত্রণের উপকরণের সংকট প্রকট হয়েছে। এতে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, তাদের কাছে জন্মনিয়ন্ত্রণের উপকরণের মাত্র তিন মাসের মজুত আছে।
২০ আগস্ট ২০২৫
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
৩ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৫ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আদালত।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আদালত।
অন্যদিকে ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে জব্দ করা ফায়ার কার্তুজ ও ফায়ার বুলেট সদৃশ বস্তুর ব্যালিস্টিক পরীক্ষা করে বিস্তারিত মতামত প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনজন। একইদিনে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে জব্দ করা কার্তুজ ও বুলেট পরীক্ষার নির্দেশ দেন আদালত।
ঢাকার মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনজনের জবানবন্দি
গতকাল বুধবার সামিয়া, মারিয়া ও সিপুকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবি। মামলার তদন্তকর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ তিনজনের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন। পরে আসামি মারিয়া ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কামাল উদ্দিনের আদালতে এবং সামিয়া ও সিপু ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম জুনাঈদের আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
জবানবন্দিতে তিনজন কী বলেছেন তা জানা যায়নি। তবে বিশ্বস্ত এক সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার আগে ও পরে ফয়সাল কি করেছে এবং কি বলেছে সে সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছেন তিনজন।
এর আগে, গত ১৫ ডিসেম্বর এই তিনজনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরে ২০ ডিসেম্বর তিনজনকে আবার দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। গত ১৪ ডিসেম্বর সামিয়া ও সিপুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং মারিয়াকে ঢাকা থেকে আটক করে পল্টন থানায় হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, এ মামলায় গ্রেফতার ফয়সালের মা ও বাবাও স্বীকোরোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
কার্তুজ-বুলেট ব্যালিস্টিক পরীক্ষা
বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ ঘটনাস্থলে জব্দ করা ফায়ার কার্তুজ ও বুলেট সদৃশ বস্তু পরীক্ষার নির্দেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদি ওরফে ওসমান গণি (৩৩) গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে পল্টন থানাধীন বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোড সংলগ্ন ডিআর টাওয়ারের সামনে দুষ্কৃতিকারীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরবর্তীতে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে গত ১৫ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে নিয়ে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃতদেহ বাংলাদেশ বিমান যোগে দেশে এনে ২০ ডিসেম্বর সকালে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।
মামলায় ঘটনাস্থল হতে ফায়ার কার্তুজ ও ফায়ার বুলেট সদৃশ বস্তু আলামত জব্দ করা হয়। মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আলামতসমূহ ব্যালিস্টিক পরীক্ষা করে বিস্তারিত মতামত প্রদান করার জন্য সিআইডির ব্যালিস্টিক শাখার বিশেষ পুলিশ সুপারকে নির্দেশ প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন। শুনানি শেষে আদালত সিআইডিকে নির্দেশ দেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আদালত।
অন্যদিকে ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে জব্দ করা ফায়ার কার্তুজ ও ফায়ার বুলেট সদৃশ বস্তুর ব্যালিস্টিক পরীক্ষা করে বিস্তারিত মতামত প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনজন। একইদিনে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে জব্দ করা কার্তুজ ও বুলেট পরীক্ষার নির্দেশ দেন আদালত।
ঢাকার মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনজনের জবানবন্দি
গতকাল বুধবার সামিয়া, মারিয়া ও সিপুকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবি। মামলার তদন্তকর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ তিনজনের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন। পরে আসামি মারিয়া ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কামাল উদ্দিনের আদালতে এবং সামিয়া ও সিপু ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম জুনাঈদের আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
জবানবন্দিতে তিনজন কী বলেছেন তা জানা যায়নি। তবে বিশ্বস্ত এক সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার আগে ও পরে ফয়সাল কি করেছে এবং কি বলেছে সে সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছেন তিনজন।
এর আগে, গত ১৫ ডিসেম্বর এই তিনজনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরে ২০ ডিসেম্বর তিনজনকে আবার দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। গত ১৪ ডিসেম্বর সামিয়া ও সিপুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং মারিয়াকে ঢাকা থেকে আটক করে পল্টন থানায় হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, এ মামলায় গ্রেফতার ফয়সালের মা ও বাবাও স্বীকোরোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
কার্তুজ-বুলেট ব্যালিস্টিক পরীক্ষা
বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ ঘটনাস্থলে জব্দ করা ফায়ার কার্তুজ ও বুলেট সদৃশ বস্তু পরীক্ষার নির্দেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদি ওরফে ওসমান গণি (৩৩) গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে পল্টন থানাধীন বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোড সংলগ্ন ডিআর টাওয়ারের সামনে দুষ্কৃতিকারীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরবর্তীতে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে গত ১৫ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে নিয়ে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃতদেহ বাংলাদেশ বিমান যোগে দেশে এনে ২০ ডিসেম্বর সকালে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।
মামলায় ঘটনাস্থল হতে ফায়ার কার্তুজ ও ফায়ার বুলেট সদৃশ বস্তু আলামত জব্দ করা হয়। মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আলামতসমূহ ব্যালিস্টিক পরীক্ষা করে বিস্তারিত মতামত প্রদান করার জন্য সিআইডির ব্যালিস্টিক শাখার বিশেষ পুলিশ সুপারকে নির্দেশ প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন। শুনানি শেষে আদালত সিআইডিকে নির্দেশ দেন।

দরপত্রের জটিলতার সুরাহা না হওয়ায় দেশে সরকারিভাবে বিতরণের জন্মনিয়ন্ত্রণের উপকরণের সংকট প্রকট হয়েছে। এতে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, তাদের কাছে জন্মনিয়ন্ত্রণের উপকরণের মাত্র তিন মাসের মজুত আছে।
২০ আগস্ট ২০২৫
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
৩ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৫ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের
৬ ঘণ্টা আগে