Ajker Patrika

হত্যা মামলায় বিচারপতি খায়রুল হকের জামিন নামঞ্জুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৮: ৪২
এ বি এম খায়রুল হক। ছবি: সংগৃহীত
এ বি এম খায়রুল হক। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৬ বছরের কিশোর মো. আব্দুল কাইয়ুম আহাদ নিহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া জামিন নামঞ্জুর করেন।

খায়রুল হকের পক্ষে তাঁর আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহিন জামিন আবেদন করেন। দুপুরের পর ওই আবেদনের ওপর শুনানি হয়।

শুনানিতে আইনজীবী বলেন, এ বি এম খায়রুল হক একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি। হয়রানি করার জন্য ২৪ জুলাই এ মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার ঘটনা গত বছরের ১৮ জুলাই। ঘটনার প্রায় এক বছর পর ৬ জুলাই মামলাটি দায়ের করা হয়। এত দিন পর কেন মামলাটি দায়ের করেছেন, তার সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যাখ্যা নেই। ঘটনার দিন তিনি তাঁর কর্মস্থল আইন কমিশনের কার্যালয়ে দাপ্তরিক কাজ শেষে পুলিশি পাহারায় নিজ বাস ভবনে ফিরে আসেন। যাত্রাবাড়ী এলাকায় তিনি গমন করেননি। তাঁর বয়স ৮১ বছর, তিনি বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। জামিন পেলে তিনি পলাতক হবেন না।

আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আদালত জামিন নামঞ্জুর করেছেন।

২৪ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানার কিশোর আহাদ হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক আদালতে হাজির করা হলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে ওই দিন সকাল ৮টার পর খায়রুল হককে ধানমন্ডির বাসা থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরে তাঁকে ডিবির হেফাজতে রাখা হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেয় কিশোর মো. আব্দুল কাইয়ুম আহাদ (১৬)। ওই দিন সন্ধ্যা ৬টার সময় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কিশোর আহাদ মিছিলে অংশ নেয়। মিছিলটি যাত্রাবাড়ী থানার কাজলা পুলিশ বক্সের সামনে এলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের গুলির মুখে পড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয় আব্দুল কাইয়ুম আহাদ। মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পর যাত্রাবাড়ী থানার তৎকালীন ওসি আবুল হোসেন তাকে দুটি গুলি করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে দনিয়ার সালমান হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক লিমিটেডে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ৬ জুলাই আহাদের বাবা নোয়াখালীর বেগম বাজার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের বিএনপির সহসভাপতি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬৭ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা প্রায় ২০০০ ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় এ বি এম খায়রুল হককে ৪৪ নম্বর আসামি করা হয়। গত মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জে দায়ের করা রায় জালিয়াতির একটি মামলায় খায়রুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। একই অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা আরেকটি মামলায় গত বুধবার গ্রেপ্তার দেখিয়ে খায়রুল হককে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত