Ajker Patrika

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ ও কার্যকর প্রতিবাদের পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২১: ০৪
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ ও কার্যকর প্রতিবাদের পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর 

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সাধারণ মানুষ ও অন্যের ভোগান্তি সৃষ্টি না করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ ও কার্যকর প্রতিবাদ করার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। আজ শুক্রবার মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ পরামর্শ দেন। 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা কোথাও কোনো অন্যায় হলে তার প্রতিবাদ করবেন, আমরা সেটা আশা করি। কারণ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনই আমাদের ভাষার লড়াই, মুক্তিসংগ্রামের লড়াইয়ে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিশ্চিত অবরোধ ও ধর্মঘট করবেন; কিন্তু সেই অবরোধ যেন সাধারণ মানুষ ও অন্যের পথচলায় বাধা সৃষ্টি না করে। আমরা নিজের অধিকার নিয়ে যেমন সচেতন, তেমনি অন্যের অধিকার নিয়েও আমাদের সচেতন থাকা প্রয়োজন।’ 

সর্বস্তরে বাংলা ভাষা নিশ্চিতের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে শিক্ষা যে কতমুখী, তার শেষ নেই। ভাষা শেখার গোড়াতেই গলদ। আমরা এখন ভাষাটাকে রপ্ত করতে চেষ্টা করছি। একমুখী শিক্ষা চালুর চেষ্টা করছি নতুন কারিকুলামে। যে যে মাধ্যমেই পড়ুক, সবাই যেন একটি জায়গা পর্যন্ত একই ধারার শিক্ষা লাভ করতে পারি, সেই চেষ্টা করছি।’ 

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘পাকিস্তান নিজেও ভাবেনি বাংলা তাদের অংশ হবে। ১৯৭৫ সালে শুধু ক্ষমতার পালাবদল হয়নি; বরং সে সময় আবারও পূর্ব পাকিস্তান কায়েম হয়েছিল। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় ইংরেজি ভার্সনটা কীভাবে এল, আমি বুঝতে পারছি না। এটা শিক্ষাব্যবস্থায় বৈষম্য বাড়াচ্ছে, যা বাংলা ভাষার প্রতি অবজ্ঞা। এই রকম বৈষম্য বাড়লে আমাদের আরও কয়েকটি পদ্মা সেতু হবে, মহাকাশ হবে কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হবে না। আমাদের আয় যেভাবে বাড়ছে, সেভাবে এখানে বৈষম্যও বাড়ছে।’ 

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘পাকিস্তান-ভারত সৃষ্টির সঙ্গে বাংলাদেশ সৃষ্টির রাজনৈতিক ইতিহাস ভিন্ন। বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টি হয়েছে সাংস্কৃতিক আলোড়ন, লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। বঙ্গবন্ধুর সেই সাংস্কৃতিক জাগরণ, রাজনৈতিক লড়াই, অতঃপর সমাজ গঠনের জায়গায় দ্বিতীয় বিপ্লব ঘোষণা করেছিলেন।’ 

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য স্থপতি অধ্যাপক ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুস সালাম হাওলাদার বক্তব্য রাখেন। সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কুড়িগ্রাম ল কলেজের অধ্যক্ষ এস এম আব্রাহাম লিংকন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাপুড়ের রক্তে তৈরি হলো বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকর অ্যান্টিভেনম

সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি এড়াতে বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দেখলেই পুলিশে সোপর্দ করবেন: সামান্তা

কুষ্টিয়ায় দুই পুলিশকে আসামির হাতুড়িপেটা

১৭ বছর পর শাশুড়ির সঙ্গে দেশে ফিরছেন জোবাইদা রহমান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত