নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সাধারণ মানুষ ও অন্যের ভোগান্তি সৃষ্টি না করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ ও কার্যকর প্রতিবাদ করার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। আজ শুক্রবার মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ পরামর্শ দেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা কোথাও কোনো অন্যায় হলে তার প্রতিবাদ করবেন, আমরা সেটা আশা করি। কারণ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনই আমাদের ভাষার লড়াই, মুক্তিসংগ্রামের লড়াইয়ে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিশ্চিত অবরোধ ও ধর্মঘট করবেন; কিন্তু সেই অবরোধ যেন সাধারণ মানুষ ও অন্যের পথচলায় বাধা সৃষ্টি না করে। আমরা নিজের অধিকার নিয়ে যেমন সচেতন, তেমনি অন্যের অধিকার নিয়েও আমাদের সচেতন থাকা প্রয়োজন।’
সর্বস্তরে বাংলা ভাষা নিশ্চিতের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে শিক্ষা যে কতমুখী, তার শেষ নেই। ভাষা শেখার গোড়াতেই গলদ। আমরা এখন ভাষাটাকে রপ্ত করতে চেষ্টা করছি। একমুখী শিক্ষা চালুর চেষ্টা করছি নতুন কারিকুলামে। যে যে মাধ্যমেই পড়ুক, সবাই যেন একটি জায়গা পর্যন্ত একই ধারার শিক্ষা লাভ করতে পারি, সেই চেষ্টা করছি।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘পাকিস্তান নিজেও ভাবেনি বাংলা তাদের অংশ হবে। ১৯৭৫ সালে শুধু ক্ষমতার পালাবদল হয়নি; বরং সে সময় আবারও পূর্ব পাকিস্তান কায়েম হয়েছিল। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় ইংরেজি ভার্সনটা কীভাবে এল, আমি বুঝতে পারছি না। এটা শিক্ষাব্যবস্থায় বৈষম্য বাড়াচ্ছে, যা বাংলা ভাষার প্রতি অবজ্ঞা। এই রকম বৈষম্য বাড়লে আমাদের আরও কয়েকটি পদ্মা সেতু হবে, মহাকাশ হবে কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হবে না। আমাদের আয় যেভাবে বাড়ছে, সেভাবে এখানে বৈষম্যও বাড়ছে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘পাকিস্তান-ভারত সৃষ্টির সঙ্গে বাংলাদেশ সৃষ্টির রাজনৈতিক ইতিহাস ভিন্ন। বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টি হয়েছে সাংস্কৃতিক আলোড়ন, লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। বঙ্গবন্ধুর সেই সাংস্কৃতিক জাগরণ, রাজনৈতিক লড়াই, অতঃপর সমাজ গঠনের জায়গায় দ্বিতীয় বিপ্লব ঘোষণা করেছিলেন।’
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য স্থপতি অধ্যাপক ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুস সালাম হাওলাদার বক্তব্য রাখেন। সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কুড়িগ্রাম ল কলেজের অধ্যক্ষ এস এম আব্রাহাম লিংকন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সাধারণ মানুষ ও অন্যের ভোগান্তি সৃষ্টি না করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ ও কার্যকর প্রতিবাদ করার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। আজ শুক্রবার মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ পরামর্শ দেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা কোথাও কোনো অন্যায় হলে তার প্রতিবাদ করবেন, আমরা সেটা আশা করি। কারণ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনই আমাদের ভাষার লড়াই, মুক্তিসংগ্রামের লড়াইয়ে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিশ্চিত অবরোধ ও ধর্মঘট করবেন; কিন্তু সেই অবরোধ যেন সাধারণ মানুষ ও অন্যের পথচলায় বাধা সৃষ্টি না করে। আমরা নিজের অধিকার নিয়ে যেমন সচেতন, তেমনি অন্যের অধিকার নিয়েও আমাদের সচেতন থাকা প্রয়োজন।’
সর্বস্তরে বাংলা ভাষা নিশ্চিতের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে শিক্ষা যে কতমুখী, তার শেষ নেই। ভাষা শেখার গোড়াতেই গলদ। আমরা এখন ভাষাটাকে রপ্ত করতে চেষ্টা করছি। একমুখী শিক্ষা চালুর চেষ্টা করছি নতুন কারিকুলামে। যে যে মাধ্যমেই পড়ুক, সবাই যেন একটি জায়গা পর্যন্ত একই ধারার শিক্ষা লাভ করতে পারি, সেই চেষ্টা করছি।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘পাকিস্তান নিজেও ভাবেনি বাংলা তাদের অংশ হবে। ১৯৭৫ সালে শুধু ক্ষমতার পালাবদল হয়নি; বরং সে সময় আবারও পূর্ব পাকিস্তান কায়েম হয়েছিল। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় ইংরেজি ভার্সনটা কীভাবে এল, আমি বুঝতে পারছি না। এটা শিক্ষাব্যবস্থায় বৈষম্য বাড়াচ্ছে, যা বাংলা ভাষার প্রতি অবজ্ঞা। এই রকম বৈষম্য বাড়লে আমাদের আরও কয়েকটি পদ্মা সেতু হবে, মহাকাশ হবে কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হবে না। আমাদের আয় যেভাবে বাড়ছে, সেভাবে এখানে বৈষম্যও বাড়ছে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘পাকিস্তান-ভারত সৃষ্টির সঙ্গে বাংলাদেশ সৃষ্টির রাজনৈতিক ইতিহাস ভিন্ন। বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টি হয়েছে সাংস্কৃতিক আলোড়ন, লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। বঙ্গবন্ধুর সেই সাংস্কৃতিক জাগরণ, রাজনৈতিক লড়াই, অতঃপর সমাজ গঠনের জায়গায় দ্বিতীয় বিপ্লব ঘোষণা করেছিলেন।’
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য স্থপতি অধ্যাপক ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুস সালাম হাওলাদার বক্তব্য রাখেন। সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কুড়িগ্রাম ল কলেজের অধ্যক্ষ এস এম আব্রাহাম লিংকন।
রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতার মাধ্যমে জুলাই সনদ তৈরি করা হবে মন্তব্য করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, জাতীয় সনদ নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।
১ ঘণ্টা আগেবিভিন্ন রকম আদর্শিক অবস্থান থেকে তাদের মতামত দিয়েছেন। আমরা আশা করি, জাতীয় স্বার্থে, রাষ্ট্র পুনর্গঠনের প্রশ্নে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রত্যেকে যার যার অবস্থান থেকে বলবেন, প্রত্যেকটা দল ও জোট কিছুটা ছাড় দিতেও প্রস্তুত থাকবেন।
৬ ঘণ্টা আগেসরকারি সফরে আজ শনিবার কাতার গেলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। আন্তবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। আইএসপিআর জানিয়েছে, সফরকালে সেনাবাহিনী প্রধান কাতারের সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং সামরিক বাহিনী সংশ্লিষ্ট...
৮ ঘণ্টা আগেসারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিভিন্ন মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ৭৩৯ জন এবং অন্যান্য অপরাধে জড়িত ৫১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মোট গ্রেপ্তার হয়েছেন ১ হাজার ২৫৫ জন।
১৯ ঘণ্টা আগে