নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারের ভেতর রাসেলস ভাইপার আছে কিন্তু ধরার মতো বেজি নেই বলে মন্তব্য করেছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘রাসেলস ভাইপার সাপ এই সরকারে চলে এসেছে। যখন সাপ আসে প্রকৃতিতে বেজি থাকে। এই বেজি সাপকে নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু এই সরকারে বিভিন্ন জায়গায় রাসেলস ভাইপার আছে কিন্তু বেজি ওই পরিমাণে নেই যে সাপ ধরবে।’
সায়েদুল হক সুমন আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে গেছে। একজন ভদ্রলোককে দুদক ধরতে পারেনি। এনবিআর ধরতে পারেনি। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ইউনিট ধরতে পারেনি। আর এনবিআরের মতিউর রহমানকে ধরল একটা ছাগল। ছাগল না এলে এই লোককে আর জানতে পারতেন না।’
তিনি বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ কত বড় হয়ে গেলেন যে মন্ত্রণালয় জানল না, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানলেন না। আর কিছুদিন সুযোগ পেলে পুরো গোপালগঞ্জ কিনে ফেলতেন। এর দায় এই মন্ত্রণালয় এড়াতে পারে না।
সুমন বলেন, ‘কালো টাকা সাদা করবেন অসুবিধা নেই। কিন্তু এই সাদা করার মধ্য দিয়ে বেনজির আর মতিউরের টাকা সাদা হয়ে যায়, আর এদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও আদর্শের উত্তরাধিকারদের টাকা সাদা হয়ে যায়। টাকা পাচার এই সরকারের সব থেকে বড় সমস্যা। টাকা পাচার ঠেকানো যাচ্ছে না। টাকা পাচার হলে যে দেশে যায় সেই দেশের বাজেট হয়। আমরা বঙ্গবন্ধুর খুনিকে আনতে পারি না। পাচারের টাকা ফেরত আনব কীভাবে? টাকা পাচারে বাজেট সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করে সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘বাজেটের আকার ও প্রকার নিয়ে আমার বিশ্বাসের ঘাটতি আছে। কিন্তু এই বাজেট বাস্তবায়নে যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রতি বিশ্বাসের ঘাটতি নেই। যে ধরনের বাজেট হোক না কেন তিনি কোনো না কোনোভাবে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন এই বিশ্বাস আছে। শ্রীলঙ্কা যখন দেউলিয়া হয় তখন অনেকে বলেছে বাংলাদেশ সময়ের ব্যাপার। বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে। পাকিস্তান, ভারও চাপে পড়েছে। কিন্তু আমাদের চাপিয়ে রাখা যায়নি। ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার সম্পদ কোনো অংশেই আমাদের থেকে কম নয়। তবে একটা জায়গায় তাঁদের ঘাটতি ছিল, তাঁদের হাতে শেখ হাসিনা ছিল না।’
হবিগঞ্জ-৪ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘মুদ্রা সংকোচননীতি করতে গিয়ে আমাদের সংসদ সদস্যদের ওপরও সংকোচন শুরু হয়ে গেছে। আমাদের গাড়ির ওপর ২০ শতাংশ কর চলে এল। কাদের সঙ্গে আমরা তুলনা করব। আমার এলাকার সব সরকারি কর্মকর্তার গাড়ি আছে। তাঁদের নতুন নতুন গাড়ি দেওয়া হয় আর আমাদের কিনতে হয়। ট্যাক্স মওকুফ করার কথা কিন্তু এখন ২০ শতাংশ কর দিতে হবে। আমি পরশুদিন গাড়ি পেয়ে গেছি। আমার থেকে কোনো ট্যাক্স নেয়নি। প্রধানমন্ত্রীকে বলব, আমি যেহেতু গাড়ি পেয়ে গেছি, আমার অন্যান্য কলিগদের জন্য এটা ডিসক্রিমিনেশন হয়। তারপরও বলব দেশের স্বার্থে যদি নিতে চান তাহলে বাজেটে এটা পাস হলে আমার ২০ শতাংশ ট্যাক্সের অংশ নিজেই এনবিআরে গিয়ে জমা দিয়ে আসব। আমি যেটা পেয়েছি, এটা আমার কলিগরা পাবে না এটা হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ফরেন রিজার্ভ বড় চাপ। রিজার্ভ কমে যাওয়াটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এই সরকারকে ও বাজেটকে ব্যর্থ করার জন্য নেতৃত্ব দিচ্ছেন ড. মুহস্মদ ইউনুস।
তিনি আরও বলেন, ডলারের সঙ্গে বিনিময় হার ৭ টাকা সম্প্রতি ডিপ্রিসিয়েশন করা হয়েছে। এতে ব্যালেন্স অব পেমেন্ট মেটানো অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। এটা একটা বড় প্রেশার।
সুমন বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি কমে গিয়ে সাড়ে ৯% হয়েছে গত ১০ মাস ধরে। এটা আমাদের কাছে একটা সংখ্যা মাত্র। কিন্তু নির্ধারিত আয়ের মানুষ জানে এটা দিয়ে সংসার চালানো কতটা কঠিন।’
তিনি বলেন, ‘সিলেটে এখন লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী। একটা হাইড্রোলজিক্যাল গবেষণা করেন। আমাদের এখানে আগে কখনো বন্যা হতো না। এখন ২২-এ বন্যা, ২৪-এ বন্যা আমরা বন্যায় ডেবে গেছি। এটা জানা দরকার আমাদের ভারত থেকে আসা পানি কোথায় কোথায় বাধা পড়ে সেটা দেখতে হবে। অনেকে মিঠামইনের রাস্তাকে সন্দেহ করে ওই রাস্তা এই দুর্ভোগের কারণ। এটা যদি সত্য হয় তাহলে সেটাও মডিফাই করতে হবে। একটা জেলাকে সৌন্দর্য দিতে গিয়ে আরেকটা জেলাকে ডুবিয়ে দিতে পারেন না।’
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘এই সংসদে আমার বিরুদ্ধে একজন সংসদ সদস্য অভিযোগ দিয়েছেন। আমি বরাদ্দের তথ্য ফেসবুক দিয়েছি। ২৫ কোটি টাকার কথা বলা হয়েছে। আমি যত বরাদ্দ পেয়েছি সংসদ সদস্য হিসেবে সেটির ট্রাস্টি আমি। এই টাকা জনগণের। জনগণের এটার বিষয়ে জানার অধিকার আছে। আপনি যে বরাদ্দ পাবেন নতুন প্রজন্ম তা জানতে চায়। সেটা জানার অধিকার জনগণের আছে। এই স্বচ্ছতা আমার মধ্যে থাকতে হবে।’

সরকারের ভেতর রাসেলস ভাইপার আছে কিন্তু ধরার মতো বেজি নেই বলে মন্তব্য করেছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘রাসেলস ভাইপার সাপ এই সরকারে চলে এসেছে। যখন সাপ আসে প্রকৃতিতে বেজি থাকে। এই বেজি সাপকে নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু এই সরকারে বিভিন্ন জায়গায় রাসেলস ভাইপার আছে কিন্তু বেজি ওই পরিমাণে নেই যে সাপ ধরবে।’
সায়েদুল হক সুমন আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে গেছে। একজন ভদ্রলোককে দুদক ধরতে পারেনি। এনবিআর ধরতে পারেনি। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ইউনিট ধরতে পারেনি। আর এনবিআরের মতিউর রহমানকে ধরল একটা ছাগল। ছাগল না এলে এই লোককে আর জানতে পারতেন না।’
তিনি বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ কত বড় হয়ে গেলেন যে মন্ত্রণালয় জানল না, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানলেন না। আর কিছুদিন সুযোগ পেলে পুরো গোপালগঞ্জ কিনে ফেলতেন। এর দায় এই মন্ত্রণালয় এড়াতে পারে না।
সুমন বলেন, ‘কালো টাকা সাদা করবেন অসুবিধা নেই। কিন্তু এই সাদা করার মধ্য দিয়ে বেনজির আর মতিউরের টাকা সাদা হয়ে যায়, আর এদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও আদর্শের উত্তরাধিকারদের টাকা সাদা হয়ে যায়। টাকা পাচার এই সরকারের সব থেকে বড় সমস্যা। টাকা পাচার ঠেকানো যাচ্ছে না। টাকা পাচার হলে যে দেশে যায় সেই দেশের বাজেট হয়। আমরা বঙ্গবন্ধুর খুনিকে আনতে পারি না। পাচারের টাকা ফেরত আনব কীভাবে? টাকা পাচারে বাজেট সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করে সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘বাজেটের আকার ও প্রকার নিয়ে আমার বিশ্বাসের ঘাটতি আছে। কিন্তু এই বাজেট বাস্তবায়নে যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রতি বিশ্বাসের ঘাটতি নেই। যে ধরনের বাজেট হোক না কেন তিনি কোনো না কোনোভাবে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন এই বিশ্বাস আছে। শ্রীলঙ্কা যখন দেউলিয়া হয় তখন অনেকে বলেছে বাংলাদেশ সময়ের ব্যাপার। বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে। পাকিস্তান, ভারও চাপে পড়েছে। কিন্তু আমাদের চাপিয়ে রাখা যায়নি। ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার সম্পদ কোনো অংশেই আমাদের থেকে কম নয়। তবে একটা জায়গায় তাঁদের ঘাটতি ছিল, তাঁদের হাতে শেখ হাসিনা ছিল না।’
হবিগঞ্জ-৪ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘মুদ্রা সংকোচননীতি করতে গিয়ে আমাদের সংসদ সদস্যদের ওপরও সংকোচন শুরু হয়ে গেছে। আমাদের গাড়ির ওপর ২০ শতাংশ কর চলে এল। কাদের সঙ্গে আমরা তুলনা করব। আমার এলাকার সব সরকারি কর্মকর্তার গাড়ি আছে। তাঁদের নতুন নতুন গাড়ি দেওয়া হয় আর আমাদের কিনতে হয়। ট্যাক্স মওকুফ করার কথা কিন্তু এখন ২০ শতাংশ কর দিতে হবে। আমি পরশুদিন গাড়ি পেয়ে গেছি। আমার থেকে কোনো ট্যাক্স নেয়নি। প্রধানমন্ত্রীকে বলব, আমি যেহেতু গাড়ি পেয়ে গেছি, আমার অন্যান্য কলিগদের জন্য এটা ডিসক্রিমিনেশন হয়। তারপরও বলব দেশের স্বার্থে যদি নিতে চান তাহলে বাজেটে এটা পাস হলে আমার ২০ শতাংশ ট্যাক্সের অংশ নিজেই এনবিআরে গিয়ে জমা দিয়ে আসব। আমি যেটা পেয়েছি, এটা আমার কলিগরা পাবে না এটা হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ফরেন রিজার্ভ বড় চাপ। রিজার্ভ কমে যাওয়াটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এই সরকারকে ও বাজেটকে ব্যর্থ করার জন্য নেতৃত্ব দিচ্ছেন ড. মুহস্মদ ইউনুস।
তিনি আরও বলেন, ডলারের সঙ্গে বিনিময় হার ৭ টাকা সম্প্রতি ডিপ্রিসিয়েশন করা হয়েছে। এতে ব্যালেন্স অব পেমেন্ট মেটানো অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। এটা একটা বড় প্রেশার।
সুমন বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি কমে গিয়ে সাড়ে ৯% হয়েছে গত ১০ মাস ধরে। এটা আমাদের কাছে একটা সংখ্যা মাত্র। কিন্তু নির্ধারিত আয়ের মানুষ জানে এটা দিয়ে সংসার চালানো কতটা কঠিন।’
তিনি বলেন, ‘সিলেটে এখন লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী। একটা হাইড্রোলজিক্যাল গবেষণা করেন। আমাদের এখানে আগে কখনো বন্যা হতো না। এখন ২২-এ বন্যা, ২৪-এ বন্যা আমরা বন্যায় ডেবে গেছি। এটা জানা দরকার আমাদের ভারত থেকে আসা পানি কোথায় কোথায় বাধা পড়ে সেটা দেখতে হবে। অনেকে মিঠামইনের রাস্তাকে সন্দেহ করে ওই রাস্তা এই দুর্ভোগের কারণ। এটা যদি সত্য হয় তাহলে সেটাও মডিফাই করতে হবে। একটা জেলাকে সৌন্দর্য দিতে গিয়ে আরেকটা জেলাকে ডুবিয়ে দিতে পারেন না।’
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘এই সংসদে আমার বিরুদ্ধে একজন সংসদ সদস্য অভিযোগ দিয়েছেন। আমি বরাদ্দের তথ্য ফেসবুক দিয়েছি। ২৫ কোটি টাকার কথা বলা হয়েছে। আমি যত বরাদ্দ পেয়েছি সংসদ সদস্য হিসেবে সেটির ট্রাস্টি আমি। এই টাকা জনগণের। জনগণের এটার বিষয়ে জানার অধিকার আছে। আপনি যে বরাদ্দ পাবেন নতুন প্রজন্ম তা জানতে চায়। সেটা জানার অধিকার জনগণের আছে। এই স্বচ্ছতা আমার মধ্যে থাকতে হবে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারের ভেতর রাসেলস ভাইপার আছে কিন্তু ধরার মতো বেজি নেই বলে মন্তব্য করেছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘রাসেলস ভাইপার সাপ এই সরকারে চলে এসেছে। যখন সাপ আসে প্রকৃতিতে বেজি থাকে। এই বেজি সাপকে নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু এই সরকারে বিভিন্ন জায়গায় রাসেলস ভাইপার আছে কিন্তু বেজি ওই পরিমাণে নেই যে সাপ ধরবে।’
সায়েদুল হক সুমন আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে গেছে। একজন ভদ্রলোককে দুদক ধরতে পারেনি। এনবিআর ধরতে পারেনি। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ইউনিট ধরতে পারেনি। আর এনবিআরের মতিউর রহমানকে ধরল একটা ছাগল। ছাগল না এলে এই লোককে আর জানতে পারতেন না।’
তিনি বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ কত বড় হয়ে গেলেন যে মন্ত্রণালয় জানল না, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানলেন না। আর কিছুদিন সুযোগ পেলে পুরো গোপালগঞ্জ কিনে ফেলতেন। এর দায় এই মন্ত্রণালয় এড়াতে পারে না।
সুমন বলেন, ‘কালো টাকা সাদা করবেন অসুবিধা নেই। কিন্তু এই সাদা করার মধ্য দিয়ে বেনজির আর মতিউরের টাকা সাদা হয়ে যায়, আর এদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও আদর্শের উত্তরাধিকারদের টাকা সাদা হয়ে যায়। টাকা পাচার এই সরকারের সব থেকে বড় সমস্যা। টাকা পাচার ঠেকানো যাচ্ছে না। টাকা পাচার হলে যে দেশে যায় সেই দেশের বাজেট হয়। আমরা বঙ্গবন্ধুর খুনিকে আনতে পারি না। পাচারের টাকা ফেরত আনব কীভাবে? টাকা পাচারে বাজেট সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করে সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘বাজেটের আকার ও প্রকার নিয়ে আমার বিশ্বাসের ঘাটতি আছে। কিন্তু এই বাজেট বাস্তবায়নে যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রতি বিশ্বাসের ঘাটতি নেই। যে ধরনের বাজেট হোক না কেন তিনি কোনো না কোনোভাবে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন এই বিশ্বাস আছে। শ্রীলঙ্কা যখন দেউলিয়া হয় তখন অনেকে বলেছে বাংলাদেশ সময়ের ব্যাপার। বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে। পাকিস্তান, ভারও চাপে পড়েছে। কিন্তু আমাদের চাপিয়ে রাখা যায়নি। ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার সম্পদ কোনো অংশেই আমাদের থেকে কম নয়। তবে একটা জায়গায় তাঁদের ঘাটতি ছিল, তাঁদের হাতে শেখ হাসিনা ছিল না।’
হবিগঞ্জ-৪ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘মুদ্রা সংকোচননীতি করতে গিয়ে আমাদের সংসদ সদস্যদের ওপরও সংকোচন শুরু হয়ে গেছে। আমাদের গাড়ির ওপর ২০ শতাংশ কর চলে এল। কাদের সঙ্গে আমরা তুলনা করব। আমার এলাকার সব সরকারি কর্মকর্তার গাড়ি আছে। তাঁদের নতুন নতুন গাড়ি দেওয়া হয় আর আমাদের কিনতে হয়। ট্যাক্স মওকুফ করার কথা কিন্তু এখন ২০ শতাংশ কর দিতে হবে। আমি পরশুদিন গাড়ি পেয়ে গেছি। আমার থেকে কোনো ট্যাক্স নেয়নি। প্রধানমন্ত্রীকে বলব, আমি যেহেতু গাড়ি পেয়ে গেছি, আমার অন্যান্য কলিগদের জন্য এটা ডিসক্রিমিনেশন হয়। তারপরও বলব দেশের স্বার্থে যদি নিতে চান তাহলে বাজেটে এটা পাস হলে আমার ২০ শতাংশ ট্যাক্সের অংশ নিজেই এনবিআরে গিয়ে জমা দিয়ে আসব। আমি যেটা পেয়েছি, এটা আমার কলিগরা পাবে না এটা হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ফরেন রিজার্ভ বড় চাপ। রিজার্ভ কমে যাওয়াটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এই সরকারকে ও বাজেটকে ব্যর্থ করার জন্য নেতৃত্ব দিচ্ছেন ড. মুহস্মদ ইউনুস।
তিনি আরও বলেন, ডলারের সঙ্গে বিনিময় হার ৭ টাকা সম্প্রতি ডিপ্রিসিয়েশন করা হয়েছে। এতে ব্যালেন্স অব পেমেন্ট মেটানো অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। এটা একটা বড় প্রেশার।
সুমন বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি কমে গিয়ে সাড়ে ৯% হয়েছে গত ১০ মাস ধরে। এটা আমাদের কাছে একটা সংখ্যা মাত্র। কিন্তু নির্ধারিত আয়ের মানুষ জানে এটা দিয়ে সংসার চালানো কতটা কঠিন।’
তিনি বলেন, ‘সিলেটে এখন লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী। একটা হাইড্রোলজিক্যাল গবেষণা করেন। আমাদের এখানে আগে কখনো বন্যা হতো না। এখন ২২-এ বন্যা, ২৪-এ বন্যা আমরা বন্যায় ডেবে গেছি। এটা জানা দরকার আমাদের ভারত থেকে আসা পানি কোথায় কোথায় বাধা পড়ে সেটা দেখতে হবে। অনেকে মিঠামইনের রাস্তাকে সন্দেহ করে ওই রাস্তা এই দুর্ভোগের কারণ। এটা যদি সত্য হয় তাহলে সেটাও মডিফাই করতে হবে। একটা জেলাকে সৌন্দর্য দিতে গিয়ে আরেকটা জেলাকে ডুবিয়ে দিতে পারেন না।’
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘এই সংসদে আমার বিরুদ্ধে একজন সংসদ সদস্য অভিযোগ দিয়েছেন। আমি বরাদ্দের তথ্য ফেসবুক দিয়েছি। ২৫ কোটি টাকার কথা বলা হয়েছে। আমি যত বরাদ্দ পেয়েছি সংসদ সদস্য হিসেবে সেটির ট্রাস্টি আমি। এই টাকা জনগণের। জনগণের এটার বিষয়ে জানার অধিকার আছে। আপনি যে বরাদ্দ পাবেন নতুন প্রজন্ম তা জানতে চায়। সেটা জানার অধিকার জনগণের আছে। এই স্বচ্ছতা আমার মধ্যে থাকতে হবে।’

সরকারের ভেতর রাসেলস ভাইপার আছে কিন্তু ধরার মতো বেজি নেই বলে মন্তব্য করেছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘রাসেলস ভাইপার সাপ এই সরকারে চলে এসেছে। যখন সাপ আসে প্রকৃতিতে বেজি থাকে। এই বেজি সাপকে নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু এই সরকারে বিভিন্ন জায়গায় রাসেলস ভাইপার আছে কিন্তু বেজি ওই পরিমাণে নেই যে সাপ ধরবে।’
সায়েদুল হক সুমন আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে গেছে। একজন ভদ্রলোককে দুদক ধরতে পারেনি। এনবিআর ধরতে পারেনি। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ইউনিট ধরতে পারেনি। আর এনবিআরের মতিউর রহমানকে ধরল একটা ছাগল। ছাগল না এলে এই লোককে আর জানতে পারতেন না।’
তিনি বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ কত বড় হয়ে গেলেন যে মন্ত্রণালয় জানল না, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানলেন না। আর কিছুদিন সুযোগ পেলে পুরো গোপালগঞ্জ কিনে ফেলতেন। এর দায় এই মন্ত্রণালয় এড়াতে পারে না।
সুমন বলেন, ‘কালো টাকা সাদা করবেন অসুবিধা নেই। কিন্তু এই সাদা করার মধ্য দিয়ে বেনজির আর মতিউরের টাকা সাদা হয়ে যায়, আর এদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও আদর্শের উত্তরাধিকারদের টাকা সাদা হয়ে যায়। টাকা পাচার এই সরকারের সব থেকে বড় সমস্যা। টাকা পাচার ঠেকানো যাচ্ছে না। টাকা পাচার হলে যে দেশে যায় সেই দেশের বাজেট হয়। আমরা বঙ্গবন্ধুর খুনিকে আনতে পারি না। পাচারের টাকা ফেরত আনব কীভাবে? টাকা পাচারে বাজেট সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করে সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘বাজেটের আকার ও প্রকার নিয়ে আমার বিশ্বাসের ঘাটতি আছে। কিন্তু এই বাজেট বাস্তবায়নে যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রতি বিশ্বাসের ঘাটতি নেই। যে ধরনের বাজেট হোক না কেন তিনি কোনো না কোনোভাবে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন এই বিশ্বাস আছে। শ্রীলঙ্কা যখন দেউলিয়া হয় তখন অনেকে বলেছে বাংলাদেশ সময়ের ব্যাপার। বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে। পাকিস্তান, ভারও চাপে পড়েছে। কিন্তু আমাদের চাপিয়ে রাখা যায়নি। ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার সম্পদ কোনো অংশেই আমাদের থেকে কম নয়। তবে একটা জায়গায় তাঁদের ঘাটতি ছিল, তাঁদের হাতে শেখ হাসিনা ছিল না।’
হবিগঞ্জ-৪ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘মুদ্রা সংকোচননীতি করতে গিয়ে আমাদের সংসদ সদস্যদের ওপরও সংকোচন শুরু হয়ে গেছে। আমাদের গাড়ির ওপর ২০ শতাংশ কর চলে এল। কাদের সঙ্গে আমরা তুলনা করব। আমার এলাকার সব সরকারি কর্মকর্তার গাড়ি আছে। তাঁদের নতুন নতুন গাড়ি দেওয়া হয় আর আমাদের কিনতে হয়। ট্যাক্স মওকুফ করার কথা কিন্তু এখন ২০ শতাংশ কর দিতে হবে। আমি পরশুদিন গাড়ি পেয়ে গেছি। আমার থেকে কোনো ট্যাক্স নেয়নি। প্রধানমন্ত্রীকে বলব, আমি যেহেতু গাড়ি পেয়ে গেছি, আমার অন্যান্য কলিগদের জন্য এটা ডিসক্রিমিনেশন হয়। তারপরও বলব দেশের স্বার্থে যদি নিতে চান তাহলে বাজেটে এটা পাস হলে আমার ২০ শতাংশ ট্যাক্সের অংশ নিজেই এনবিআরে গিয়ে জমা দিয়ে আসব। আমি যেটা পেয়েছি, এটা আমার কলিগরা পাবে না এটা হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ফরেন রিজার্ভ বড় চাপ। রিজার্ভ কমে যাওয়াটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এই সরকারকে ও বাজেটকে ব্যর্থ করার জন্য নেতৃত্ব দিচ্ছেন ড. মুহস্মদ ইউনুস।
তিনি আরও বলেন, ডলারের সঙ্গে বিনিময় হার ৭ টাকা সম্প্রতি ডিপ্রিসিয়েশন করা হয়েছে। এতে ব্যালেন্স অব পেমেন্ট মেটানো অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। এটা একটা বড় প্রেশার।
সুমন বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি কমে গিয়ে সাড়ে ৯% হয়েছে গত ১০ মাস ধরে। এটা আমাদের কাছে একটা সংখ্যা মাত্র। কিন্তু নির্ধারিত আয়ের মানুষ জানে এটা দিয়ে সংসার চালানো কতটা কঠিন।’
তিনি বলেন, ‘সিলেটে এখন লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী। একটা হাইড্রোলজিক্যাল গবেষণা করেন। আমাদের এখানে আগে কখনো বন্যা হতো না। এখন ২২-এ বন্যা, ২৪-এ বন্যা আমরা বন্যায় ডেবে গেছি। এটা জানা দরকার আমাদের ভারত থেকে আসা পানি কোথায় কোথায় বাধা পড়ে সেটা দেখতে হবে। অনেকে মিঠামইনের রাস্তাকে সন্দেহ করে ওই রাস্তা এই দুর্ভোগের কারণ। এটা যদি সত্য হয় তাহলে সেটাও মডিফাই করতে হবে। একটা জেলাকে সৌন্দর্য দিতে গিয়ে আরেকটা জেলাকে ডুবিয়ে দিতে পারেন না।’
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘এই সংসদে আমার বিরুদ্ধে একজন সংসদ সদস্য অভিযোগ দিয়েছেন। আমি বরাদ্দের তথ্য ফেসবুক দিয়েছি। ২৫ কোটি টাকার কথা বলা হয়েছে। আমি যত বরাদ্দ পেয়েছি সংসদ সদস্য হিসেবে সেটির ট্রাস্টি আমি। এই টাকা জনগণের। জনগণের এটার বিষয়ে জানার অধিকার আছে। আপনি যে বরাদ্দ পাবেন নতুন প্রজন্ম তা জানতে চায়। সেটা জানার অধিকার জনগণের আছে। এই স্বচ্ছতা আমার মধ্যে থাকতে হবে।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল।
৩ ঘণ্টা আগে
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫২৫ কোটি টাকার বেশি আদায় করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির ১১ মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৬টি পৃথক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘অতি সম্প্রতি মহলবিশেষের পক্ষ থেকে সংঘবদ্ধ অপপ্রচারে বলা হচ্ছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আপ্যায়ন বাবদ ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। এটি একটি পরিকল্পিত প্রপাগান্ডা, যা প্রচারকারীরা কমিশনের কোনো ভাষ্য বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ না করেই চালাচ্ছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২০২৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যক্রম শুরু করে। ২০২৪-২৫ এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কমিশনের মোট বাজেট ছিল ৭ কোটি ২৩ লাখ ৩১ হাজার ২৬ টাকা। এর মধ্যে ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৭১ লাখ ৩১ হাজার ১২৬ টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বাজেটের মধ্যে আপ্যায়ন খাতে বরাদ্দ ছিল ৬৩ লাখ টাকা, যার মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৪৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮৫ টাকা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, আপ্যায়ন খাতের অধিকাংশ ব্যয় হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও কমিশনের বিভিন্ন বৈঠক চলাকালে। এসব বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি, তাঁদের সহযোগী, সাংবাদিক, কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
প্রথম পর্যায়ে গত ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৪৪টি বৈঠক হয়, যেখানে ব্যয় হয় ৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ২৩টি বৈঠক হয়। এতে মোট ব্যয় হয় ২৮ লাখ ৮৩ হাজার ১০০ টাকা। এই বৈঠকগুলোর বেশির ভাগই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলেছে। ফলে নাশতার পাশাপাশি দুপুর ও রাতের খাবারেরও ব্যবস্থা করতে হয়েছে। গড়ে প্রতিদিনের ব্যয় ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকার কম।
তৃতীয় পর্যায়ে সাতটি বৈঠকে ৩০টি দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন, এতে ব্যয় হয় ৭ লাখ ৮ হাজার ৬০০ টাকা।
এ ছাড়া কমিশনের অভ্যন্তরীণ সভা হয়েছে ৫০টি, যার অনেকগুলোই দিনব্যাপী বা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনুষ্ঠিত হয়। এই বাবদ মোট ব্যয় হয় ১ লাখ ৫ হাজার ৫২০ টাকা।
রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক, নাগরিক সমাজ ও পেশাজীবীদের সঙ্গে বৈঠক এবং তিনটি সংবাদ সম্মেলনসহ মোট ১৩টি সভায় ব্যয় হয় ২ লাখ ৩৪০ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ১৩টি, যেখানে আপ্যায়ন বাবদ ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ৯৬০ টাকা। প্রেস উইং জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা এসব বৈঠকের জন্য কোনো ভাতা বা সম্মানী নেননি।
এ ছাড়া গত ৯ মাসে অতিথি আপ্যায়নের জন্য ব্যয় হয়েছে ২ লাখ টাকা। এসব অতিথির মধ্যে ছিলেন বিদেশি কূটনীতিক, দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতা, সম্পাদক, সাংবাদিক ও অন্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘উল্লিখিত বিস্তারিত হিসাব থেকে এটি স্পষ্ট যে, ৮৩ কোটি টাকার দাবি শুধু মিথ্যাচার নয়, বরং ঐকমত্য কমিশন ও তার কার্যক্রমকে হেয় করার একটি সংঘবদ্ধ ও পরিকল্পিত অপপ্রয়াস।’
কমিশনের দাবি, তারা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছে, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত দৈনন্দিন সংবাদ থেকেই স্পষ্ট। সাংবাদিকেরা নির্বিঘ্নে কমিশন কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পেরেছেন, কমিশনের সহসভাপতি ও সদস্যরা নিয়মিতভাবে গণমাধ্যমকে তথ্য দিয়েছেন এবং প্রেস ব্রিফিং করেছেন।
এ ছাড়া, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনাগুলো সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়েছে।
কমিশন আশা প্রকাশ করেছে, যে অসাধু মহল এই প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে, তারা অবিলম্বে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কমিশন তার দায়িত্ব পালনে দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের সহযোগিতা পেয়েছে এবং আশা করে গণমাধ্যমগুলো ভবিষ্যতেও সঠিক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্তির হাত থেকে রক্ষা করবে।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘অতি সম্প্রতি মহলবিশেষের পক্ষ থেকে সংঘবদ্ধ অপপ্রচারে বলা হচ্ছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আপ্যায়ন বাবদ ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। এটি একটি পরিকল্পিত প্রপাগান্ডা, যা প্রচারকারীরা কমিশনের কোনো ভাষ্য বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ না করেই চালাচ্ছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২০২৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যক্রম শুরু করে। ২০২৪-২৫ এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কমিশনের মোট বাজেট ছিল ৭ কোটি ২৩ লাখ ৩১ হাজার ২৬ টাকা। এর মধ্যে ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৭১ লাখ ৩১ হাজার ১২৬ টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বাজেটের মধ্যে আপ্যায়ন খাতে বরাদ্দ ছিল ৬৩ লাখ টাকা, যার মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৪৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮৫ টাকা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, আপ্যায়ন খাতের অধিকাংশ ব্যয় হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও কমিশনের বিভিন্ন বৈঠক চলাকালে। এসব বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি, তাঁদের সহযোগী, সাংবাদিক, কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
প্রথম পর্যায়ে গত ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৪৪টি বৈঠক হয়, যেখানে ব্যয় হয় ৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ২৩টি বৈঠক হয়। এতে মোট ব্যয় হয় ২৮ লাখ ৮৩ হাজার ১০০ টাকা। এই বৈঠকগুলোর বেশির ভাগই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলেছে। ফলে নাশতার পাশাপাশি দুপুর ও রাতের খাবারেরও ব্যবস্থা করতে হয়েছে। গড়ে প্রতিদিনের ব্যয় ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকার কম।
তৃতীয় পর্যায়ে সাতটি বৈঠকে ৩০টি দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন, এতে ব্যয় হয় ৭ লাখ ৮ হাজার ৬০০ টাকা।
এ ছাড়া কমিশনের অভ্যন্তরীণ সভা হয়েছে ৫০টি, যার অনেকগুলোই দিনব্যাপী বা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনুষ্ঠিত হয়। এই বাবদ মোট ব্যয় হয় ১ লাখ ৫ হাজার ৫২০ টাকা।
রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক, নাগরিক সমাজ ও পেশাজীবীদের সঙ্গে বৈঠক এবং তিনটি সংবাদ সম্মেলনসহ মোট ১৩টি সভায় ব্যয় হয় ২ লাখ ৩৪০ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ১৩টি, যেখানে আপ্যায়ন বাবদ ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ৯৬০ টাকা। প্রেস উইং জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা এসব বৈঠকের জন্য কোনো ভাতা বা সম্মানী নেননি।
এ ছাড়া গত ৯ মাসে অতিথি আপ্যায়নের জন্য ব্যয় হয়েছে ২ লাখ টাকা। এসব অতিথির মধ্যে ছিলেন বিদেশি কূটনীতিক, দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতা, সম্পাদক, সাংবাদিক ও অন্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘উল্লিখিত বিস্তারিত হিসাব থেকে এটি স্পষ্ট যে, ৮৩ কোটি টাকার দাবি শুধু মিথ্যাচার নয়, বরং ঐকমত্য কমিশন ও তার কার্যক্রমকে হেয় করার একটি সংঘবদ্ধ ও পরিকল্পিত অপপ্রয়াস।’
কমিশনের দাবি, তারা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছে, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত দৈনন্দিন সংবাদ থেকেই স্পষ্ট। সাংবাদিকেরা নির্বিঘ্নে কমিশন কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পেরেছেন, কমিশনের সহসভাপতি ও সদস্যরা নিয়মিতভাবে গণমাধ্যমকে তথ্য দিয়েছেন এবং প্রেস ব্রিফিং করেছেন।
এ ছাড়া, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনাগুলো সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়েছে।
কমিশন আশা প্রকাশ করেছে, যে অসাধু মহল এই প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে, তারা অবিলম্বে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কমিশন তার দায়িত্ব পালনে দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের সহযোগিতা পেয়েছে এবং আশা করে গণমাধ্যমগুলো ভবিষ্যতেও সঠিক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্তির হাত থেকে রক্ষা করবে।’

সরকারের ভেতর রাসেলস ভাইপার আছে কিন্তু ধরার মতো বেজি নেই বলে মন্তব্য করেছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন
২৪ জুন ২০২৪
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল।
৩ ঘণ্টা আগে
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫২৫ কোটি টাকার বেশি আদায় করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির ১১ মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৬টি পৃথক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক তাঁদের ব্যবস্থাপত্রে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) অনুমোদিত ও নিবন্ধিত নয় এমন ওষুধ লিখে আসছেন। এতে রোগীদের স্বাস্থ্য বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়ছে। বিষয়টি তদন্তে মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবু হেনা চৌধুরীকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন ফার্মাকোলজি বিভাগের সভাপতি ডা. ইলোরা শারমিন এবং উপ-রেজিস্ট্রার (আইন) ডা. আবু হেনা হেলাল উদ্দিন আহমেদ। সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী পরিচালক (আইন) অ্যাডভোকেট তানিয়া আক্তার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএমইউর চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ওষুধ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। কোনো ওষুধ, ভিটামিন, মিনারেল বা সাপ্লিমেন্টের নাম প্রেসক্রিপশনে লেখা হলে তা আইনভঙ্গের শামিল কি না এবং হলে কী ধরনের আইনি প্রতিকার বা শাস্তি প্রযোজ্য হতে পারে, তা নির্ধারণ করে প্রচলিত আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে কমিটি। এ ক্ষেত্রে প্রামাণ্য আইন হিসেবে ‘ঔষধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩’ এবং ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০’ উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে—যেসব ভিটামিন, মিনারেল সাপ্লিমেন্ট ও হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট বিদেশ থেকে আমদানি হয়, সেগুলো ডিজিডিএ ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কীভাবে যাচাই-বাছাই করে, কিংবা এসব পণ্য ব্যবহারের অনুমোদন দেয় কি না, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ডিজিডিএর ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা সহজেই পাওয়া যায়। এই বিষয়ে চিকিৎসকদের সচেতন করতে আইটি সেকশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রতিকার হিসেবে বিএমইউর চিকিৎসকেরা যেন অননুমোদিত ওষুধ প্রেসক্রিপশনে না লেখেন সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট ছাপানো এবং সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম আয়োজন করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি অনিবন্ধিত ওষুধ লিখলে সম্ভাব্য শাস্তির বিষয়েও চিকিৎসকদের অবহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ, বহির্বিভাগ এবং প্রবেশদ্বারগুলোতে বড় সাইনবোর্ড স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি পাঠানো এবং ডিজিডিএ ও বিএসটিআই কর্তৃক নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা বিভাগ ও বহির্বিভাগে সরবরাহের সুপারিশও করা হয়েছে।

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক তাঁদের ব্যবস্থাপত্রে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) অনুমোদিত ও নিবন্ধিত নয় এমন ওষুধ লিখে আসছেন। এতে রোগীদের স্বাস্থ্য বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়ছে। বিষয়টি তদন্তে মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবু হেনা চৌধুরীকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন ফার্মাকোলজি বিভাগের সভাপতি ডা. ইলোরা শারমিন এবং উপ-রেজিস্ট্রার (আইন) ডা. আবু হেনা হেলাল উদ্দিন আহমেদ। সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী পরিচালক (আইন) অ্যাডভোকেট তানিয়া আক্তার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএমইউর চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ওষুধ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। কোনো ওষুধ, ভিটামিন, মিনারেল বা সাপ্লিমেন্টের নাম প্রেসক্রিপশনে লেখা হলে তা আইনভঙ্গের শামিল কি না এবং হলে কী ধরনের আইনি প্রতিকার বা শাস্তি প্রযোজ্য হতে পারে, তা নির্ধারণ করে প্রচলিত আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে কমিটি। এ ক্ষেত্রে প্রামাণ্য আইন হিসেবে ‘ঔষধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩’ এবং ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০’ উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে—যেসব ভিটামিন, মিনারেল সাপ্লিমেন্ট ও হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট বিদেশ থেকে আমদানি হয়, সেগুলো ডিজিডিএ ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কীভাবে যাচাই-বাছাই করে, কিংবা এসব পণ্য ব্যবহারের অনুমোদন দেয় কি না, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ডিজিডিএর ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা সহজেই পাওয়া যায়। এই বিষয়ে চিকিৎসকদের সচেতন করতে আইটি সেকশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রতিকার হিসেবে বিএমইউর চিকিৎসকেরা যেন অননুমোদিত ওষুধ প্রেসক্রিপশনে না লেখেন সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট ছাপানো এবং সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম আয়োজন করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি অনিবন্ধিত ওষুধ লিখলে সম্ভাব্য শাস্তির বিষয়েও চিকিৎসকদের অবহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ, বহির্বিভাগ এবং প্রবেশদ্বারগুলোতে বড় সাইনবোর্ড স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি পাঠানো এবং ডিজিডিএ ও বিএসটিআই কর্তৃক নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা বিভাগ ও বহির্বিভাগে সরবরাহের সুপারিশও করা হয়েছে।

সরকারের ভেতর রাসেলস ভাইপার আছে কিন্তু ধরার মতো বেজি নেই বলে মন্তব্য করেছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন
২৪ জুন ২০২৪
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল।
৩ ঘণ্টা আগে
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫২৫ কোটি টাকার বেশি আদায় করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির ১১ মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৬টি পৃথক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল। সেই ত্রয়োদশ সংশোধনী আপিল বিভাগ বাতিল করলেন সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে। তার প্রধানত দুটি কারণ–একটি হলো এটা নির্বাচিত সরকার না। আরেকটি হলো, এটাতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এসব কথা বলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগে আজ নবম দিনের মতো এ বিষয়ে শুনানি হয়। এদিন রাষ্ট্রপক্ষ তাদের শুনানি শেষ করে। এরপর ১১ নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানিতে বলেন, ত্রয়োদশ সংশোধনী আপিল বিভাগ বাতিল করলেন এজন্য যে, বিচারকেরা প্রধান বিচারপতি, প্রধান উপদেষ্টা ইত্যাদি হওয়ার লোভ সামলাতে পারবেন না। যদি এটিই সত্য হয়, তাহলে যেসব বিচারপতি প্রধান বিচারপতি হওয়ার লোভে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে রায় দিয়েছিলেন, সেই সিস্টেমটা বদলানো দরকার।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, এটা প্রমাণিত হয়েছে, নির্বাচিত সরকার হলেই গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে পারে না। প্রমাণিত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আওতায় বাংলাদেশের মানুষ কীভাবে নিরপেক্ষভাবে, স্বাধীনভাবে, উন্মুক্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
রায় কার্যকর হওয়া প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এই রায় সেই দিন থেকেই কার্যকর হবে। তবে জুলাই বিপ্লবের পর একটি সরকার গঠিত হয়েছে। রাজপথ থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে এ দেশের সরকার প্রধান কে হবেন, কোন ধরনের সরকার হবে। দেশের প্রধান বিচারপতি কে হবেন, সেটাও রাজপথ থেকে বলে দেওয়া হয়েছে। এই যে রেভ্যলুশনের (বিপ্লবের) বিজয়ী শক্তি, এটাকে রেভ্যলুশনের থিওরি জুরিসপ্রুডেন্স বলে। এ থিওরি অনুসারে, এই সরকার একটা নির্বাচনের পথ ধরে হেঁটে গেছে। সেই নির্বাচনের পথে হাঁটতে গিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই সরকারের পরে যে সরকার আসবে, সেখান থেকে যদি কার্যকর করেন সেখানে কোনো ব্যত্যয় হবে না।’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘সরকার প্রধান যখন ৫ আগস্ট পালিয়ে যায়, তার ক্যাবিনেট যখন পালিয়ে যায়, তার সংসদ সদস্যরা যখন পালিয়ে যায়, তখন রাষ্ট্রপতির সামনে যখন কোনো পথ খোলা থাকে না। রাষ্ট্রপতি ১০৬ ধারায় সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে মতামত নিয়ে সরকার গঠন করেছেন। এই সরকার গঠন শুধু সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ওপর নির্ভর করে না। বিপ্লবের তত্ত্ব অনুসারে মুক্তিকামী জনগণ, বিজয়ী জনগণ, স্বাধীন জনগণ, গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বকারী জনগণ যেভাবে নির্ধারণ করবেন—সেটাই সংবিধান, সেটাই আইন। সুতরাং রেভ্যলুশনারি থিওরিতে যে জুরিসপ্রুডেন্স স্বীকার করা হলো, গ্রহণ করা হলো—সেই থিওরিটাকেই আমরা হাইলাইট করছি। ১০৬ সব নয়।’

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল। সেই ত্রয়োদশ সংশোধনী আপিল বিভাগ বাতিল করলেন সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে। তার প্রধানত দুটি কারণ–একটি হলো এটা নির্বাচিত সরকার না। আরেকটি হলো, এটাতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এসব কথা বলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগে আজ নবম দিনের মতো এ বিষয়ে শুনানি হয়। এদিন রাষ্ট্রপক্ষ তাদের শুনানি শেষ করে। এরপর ১১ নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানিতে বলেন, ত্রয়োদশ সংশোধনী আপিল বিভাগ বাতিল করলেন এজন্য যে, বিচারকেরা প্রধান বিচারপতি, প্রধান উপদেষ্টা ইত্যাদি হওয়ার লোভ সামলাতে পারবেন না। যদি এটিই সত্য হয়, তাহলে যেসব বিচারপতি প্রধান বিচারপতি হওয়ার লোভে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে রায় দিয়েছিলেন, সেই সিস্টেমটা বদলানো দরকার।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, এটা প্রমাণিত হয়েছে, নির্বাচিত সরকার হলেই গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে পারে না। প্রমাণিত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আওতায় বাংলাদেশের মানুষ কীভাবে নিরপেক্ষভাবে, স্বাধীনভাবে, উন্মুক্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
রায় কার্যকর হওয়া প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এই রায় সেই দিন থেকেই কার্যকর হবে। তবে জুলাই বিপ্লবের পর একটি সরকার গঠিত হয়েছে। রাজপথ থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে এ দেশের সরকার প্রধান কে হবেন, কোন ধরনের সরকার হবে। দেশের প্রধান বিচারপতি কে হবেন, সেটাও রাজপথ থেকে বলে দেওয়া হয়েছে। এই যে রেভ্যলুশনের (বিপ্লবের) বিজয়ী শক্তি, এটাকে রেভ্যলুশনের থিওরি জুরিসপ্রুডেন্স বলে। এ থিওরি অনুসারে, এই সরকার একটা নির্বাচনের পথ ধরে হেঁটে গেছে। সেই নির্বাচনের পথে হাঁটতে গিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই সরকারের পরে যে সরকার আসবে, সেখান থেকে যদি কার্যকর করেন সেখানে কোনো ব্যত্যয় হবে না।’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘সরকার প্রধান যখন ৫ আগস্ট পালিয়ে যায়, তার ক্যাবিনেট যখন পালিয়ে যায়, তার সংসদ সদস্যরা যখন পালিয়ে যায়, তখন রাষ্ট্রপতির সামনে যখন কোনো পথ খোলা থাকে না। রাষ্ট্রপতি ১০৬ ধারায় সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে মতামত নিয়ে সরকার গঠন করেছেন। এই সরকার গঠন শুধু সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ওপর নির্ভর করে না। বিপ্লবের তত্ত্ব অনুসারে মুক্তিকামী জনগণ, বিজয়ী জনগণ, স্বাধীন জনগণ, গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বকারী জনগণ যেভাবে নির্ধারণ করবেন—সেটাই সংবিধান, সেটাই আইন। সুতরাং রেভ্যলুশনারি থিওরিতে যে জুরিসপ্রুডেন্স স্বীকার করা হলো, গ্রহণ করা হলো—সেই থিওরিটাকেই আমরা হাইলাইট করছি। ১০৬ সব নয়।’

সরকারের ভেতর রাসেলস ভাইপার আছে কিন্তু ধরার মতো বেজি নেই বলে মন্তব্য করেছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন
২৪ জুন ২০২৪
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫২৫ কোটি টাকার বেশি আদায় করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির ১১ মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৬টি পৃথক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫২৫ কোটি টাকার বেশি আদায় করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির ১১ মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৬টি পৃথক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন কমিশনে মামলাগুলোর অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মো. আক্তার হোসেন বলেন, এসব রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক ও কর্মকর্তারা মালয়েশিয়াগামী ৩১ হাজার ৩৩১ জন কর্মীর কাছ থেকে সরকারনির্ধারিত ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার পরিবর্তে পাঁচ গুণ অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে ৫২৫ কোটি ২২ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেন।
দুদকের সূত্র বলেছে, মেসার্স আমিন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের বিরুদ্ধে ৭ হাজার ৪৩০ জনের কাছ থেকে ১২৪ কোটি ৪৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের মালিক রুহুল আমিনকে আসামি করা হচ্ছে। মেসার্স মেরিট ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মাধ্যমে ৩ হাজার ৪৮৯ জনের কাছ থেকে ৫৮ কোটি ৪৪ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকা অতিরিক্ত নেওয়ার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ, তাঁর স্ত্রী এবং কোম্পানির এমডির নামে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
৩ হাজার ৩২১ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৫৫ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা আদায়ের অভিযোগে সাদিয়া ইন্টারন্যাশনালের শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমানের বিরুদ্ধে এবং ৮ হাজার ১০১ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ১৩৫ কোটি ৬৯ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা আদায়ের অভিযোগে ইম্পেরিয়াল রিসোর্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসাইন ও এমডি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
৫ হাজার ২০২ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৮৭ কোটি ১৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগে আরআরসি হিউম্যান রিসোর্স সার্ভিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ও এমডি মো. আলমগীর কবীর এবং ৩ হাজার ৭৮৮ জনের কাছ থেকে ৬৩ কোটি ৮৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগে থানেক্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সাবেক এমডি আব্দুল্লাহ শাহেদ, পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন নোমানী ও এমডি শমসের আহমেদের নামে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠিয়ে ১ হাজার ১২৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১১ মার্চ ৩২ জনের বিরুদ্ধে এবং ১ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৪ সেপ্টেম্বর ১৩টি রিক্রুটিং এজেন্সির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও সিন্ডিকেটের কারণে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করেছিল মালয়েশিয়া। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দেশটি পুনরায় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার চুক্তি করে। তখন শ্রমিক ভিসায় যেতে সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার ৫৪০ টাকা ফি নির্ধারণ করে সরকার, যা ২০২২ সালে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় অফিস আদেশের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়।

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫২৫ কোটি টাকার বেশি আদায় করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির ১১ মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৬টি পৃথক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন কমিশনে মামলাগুলোর অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মো. আক্তার হোসেন বলেন, এসব রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক ও কর্মকর্তারা মালয়েশিয়াগামী ৩১ হাজার ৩৩১ জন কর্মীর কাছ থেকে সরকারনির্ধারিত ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার পরিবর্তে পাঁচ গুণ অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে ৫২৫ কোটি ২২ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেন।
দুদকের সূত্র বলেছে, মেসার্স আমিন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের বিরুদ্ধে ৭ হাজার ৪৩০ জনের কাছ থেকে ১২৪ কোটি ৪৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের মালিক রুহুল আমিনকে আসামি করা হচ্ছে। মেসার্স মেরিট ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মাধ্যমে ৩ হাজার ৪৮৯ জনের কাছ থেকে ৫৮ কোটি ৪৪ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকা অতিরিক্ত নেওয়ার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ, তাঁর স্ত্রী এবং কোম্পানির এমডির নামে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
৩ হাজার ৩২১ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৫৫ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা আদায়ের অভিযোগে সাদিয়া ইন্টারন্যাশনালের শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমানের বিরুদ্ধে এবং ৮ হাজার ১০১ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ১৩৫ কোটি ৬৯ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা আদায়ের অভিযোগে ইম্পেরিয়াল রিসোর্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসাইন ও এমডি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
৫ হাজার ২০২ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৮৭ কোটি ১৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগে আরআরসি হিউম্যান রিসোর্স সার্ভিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ও এমডি মো. আলমগীর কবীর এবং ৩ হাজার ৭৮৮ জনের কাছ থেকে ৬৩ কোটি ৮৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগে থানেক্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সাবেক এমডি আব্দুল্লাহ শাহেদ, পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন নোমানী ও এমডি শমসের আহমেদের নামে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠিয়ে ১ হাজার ১২৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১১ মার্চ ৩২ জনের বিরুদ্ধে এবং ১ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৪ সেপ্টেম্বর ১৩টি রিক্রুটিং এজেন্সির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও সিন্ডিকেটের কারণে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করেছিল মালয়েশিয়া। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দেশটি পুনরায় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার চুক্তি করে। তখন শ্রমিক ভিসায় যেতে সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার ৫৪০ টাকা ফি নির্ধারণ করে সরকার, যা ২০২২ সালে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় অফিস আদেশের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়।

সরকারের ভেতর রাসেলস ভাইপার আছে কিন্তু ধরার মতো বেজি নেই বলে মন্তব্য করেছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন
২৪ জুন ২০২৪
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে—সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এমন দাবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একে ‘সর্বৈব মিথ্যাচার’ বলে অভিহিত করেছে। প্রেস উইং জানিয়েছে, একটি বিশেষ মহল সরকারের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল।
৩ ঘণ্টা আগে