নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ডিম-পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর পেছনে কারসাজিকারীদের গণধোলাই দেওয়া উচিত। তিনি বলেছেন, জনগণ এর প্রতিকার করলে সবচেয়ে ভালো হয়। তাহলে আর কেউই কিছু বলতে পারবে না। আজ শুক্রবার সকালে গণভবনে জার্মানি সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে কারসাজি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারাই বললেন, ডিম লুকিয়ে রেখে দাম বাড়ানো। আপনাদের কী মনে হয় না, যারা সরকার উৎখাত করতে চায়—তাদেরও কিছু কারসাজি আছে। এর আগে পেঁয়াজের খুব অভাব দেখ গেল। বস্তা বস্তা পচা পেঁয়াজ পানিতে ফেলে দেওয়া হলো। এই লোকগুলোকে কী করা উচিত? এদের গণধোলাই দেওয়া উচিত। কারণ, সরকার কিছু করলেই বলবে, ওই সরকার করছে। তার থেকে পাবলিক যদি এটার প্রতিকার করে, তাহলে সব থেকে ভালো হয়। কেউ কিছু বলতে পারবে না।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘পেঁয়াজের যথেষ্ট উৎপাদন হয়েছে। সেটা আমরাই শুরু করেছি। আমরা বীজ উৎপাদন করেছি। কোন কোন জায়গায় পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, সেটা আমরা খুঁজে বের করেছি। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে আর বাইরে থেকে আনতে হবে না। আমদানির কথা যখন বলা হয়, তখন এটা নিয়ে নিউজ করলে যারা লুকিয়ে রাখে তারা তাড়াতাড়ি বের করে। আর বাজারে এর একটা প্রভাব পড়ে। এটা বাস্তবতা।’
নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না বুঝতে পেরে চক্রান্তকারীরা ভোটের আগে (দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির) ষড়যন্ত্র করেছে বলে প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘সরকার উৎখাত করতেই এ চক্রান্ত।’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ষড়যন্ত্র ছিল, ষড়যন্ত্র আছে। নির্বাচনটা যাতে না হয়, তার জন্য একটা বিরাট চক্রান্ত ছিল। ২৮ অক্টোবরের ঘটনা। এর আগে ২০১৩, ’১৪ ও ’১৫ সালের ঘটনা। এই ঘটনাগুলো তো হঠাৎ করে হয়নি। এগুলো পরিকল্পিত ছিল।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা নির্বাচন বানচালের পক্ষে ছিল, তারা যখন দেখল যে নির্বাচন কিছুতেই আটকাতে পারবে না; কারণ, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা আছে—তখন চক্রান্ত হলো, জিনিসের দাম বাড়বে। সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। তখন চক্রান্ত করে সরকারকে উৎখাত করবে। এটা তাদের পরিকল্পনার অংশ। এটা কাদের, সেটা আপনারা ভালো বোঝেন। আমি কারও নাম বলতে চাই না। বলার দরকারও নেই আমার। কিন্তু এ চক্রান্তটা আছে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী গণভবনে নিজের চাষাবাদের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি গণভবনে উৎপাদন করি। নিজের গ্রাম থেকেও পিছিয়ে নেই। নিজের পাশাপাশি আশপাশের মানুষকে কৃষি উৎপাদনে উৎসাহিত করছি। অনাবাদি জমি পরিষ্কার করে চাষের দিকে মানুষকে আনছি আমরা।’
জার্মানি সফরে পশ্চিমা বিশ্বের একাধিক রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকসহ সাক্ষাতের সময় বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা উঠেছে কি না—এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে তাদের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। নির্বাচন নিয়ে তাদের কোনো উদ্বেগও নেই, মন্তব্যও নেই, প্রশ্ন নাই। নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয় নাই, বেশির ভাগ কথা হয়েছে দ্বিপক্ষীয়।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি সব সময় বলেছি, আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করেছি। আপনারা সেখানে আসেন, বিনিয়োগ করেন। সেই সঙ্গে নতুন যেসব প্রযুক্তি এসেছে, যে যে বিষয়ে পারদর্শী সে বিষয়েও আলোচনা করেছি।’
বাংলাদেশের ডেলটা বা বদ্বীপ পরিকল্পনায় নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ডেলটা প্ল্যান নিয়ে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে চুক্তি করা আছে। দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আর থাকছেন না। তিনি নির্বাচন করেননি। আমি যখন ক্ষমতায় এসেছিলাম, তখন তিনিও ক্ষমতায় এসেছিলেন। তিনি বলেছেন, এত দিন হয়ে গেছে। আমার এখানে থাকতে ভালো লাগছে না, আর নির্বাচন করবে না। তখন আমিও বলেছিলাম, আমি যদি পরতাম খুব খুশি হতাম।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে ভালো বন্ধুত্ব আমাদের আছে। ফ্রান্স জলবায়ু পরিবর্তনের (প্রভাব মোকাবিলার) জন্য এক বিলিয়ন ডলার দেবে। ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক আছে, আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকায়ও সুবিধা হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো কথা বলেনি। তারা নিজেরাই জানত নির্বাচনে আমি জিতে আসব। যারা চায় নাই, তারাই কথা ওঠায়।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ডিম-পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর পেছনে কারসাজিকারীদের গণধোলাই দেওয়া উচিত। তিনি বলেছেন, জনগণ এর প্রতিকার করলে সবচেয়ে ভালো হয়। তাহলে আর কেউই কিছু বলতে পারবে না। আজ শুক্রবার সকালে গণভবনে জার্মানি সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে কারসাজি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারাই বললেন, ডিম লুকিয়ে রেখে দাম বাড়ানো। আপনাদের কী মনে হয় না, যারা সরকার উৎখাত করতে চায়—তাদেরও কিছু কারসাজি আছে। এর আগে পেঁয়াজের খুব অভাব দেখ গেল। বস্তা বস্তা পচা পেঁয়াজ পানিতে ফেলে দেওয়া হলো। এই লোকগুলোকে কী করা উচিত? এদের গণধোলাই দেওয়া উচিত। কারণ, সরকার কিছু করলেই বলবে, ওই সরকার করছে। তার থেকে পাবলিক যদি এটার প্রতিকার করে, তাহলে সব থেকে ভালো হয়। কেউ কিছু বলতে পারবে না।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘পেঁয়াজের যথেষ্ট উৎপাদন হয়েছে। সেটা আমরাই শুরু করেছি। আমরা বীজ উৎপাদন করেছি। কোন কোন জায়গায় পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, সেটা আমরা খুঁজে বের করেছি। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে আর বাইরে থেকে আনতে হবে না। আমদানির কথা যখন বলা হয়, তখন এটা নিয়ে নিউজ করলে যারা লুকিয়ে রাখে তারা তাড়াতাড়ি বের করে। আর বাজারে এর একটা প্রভাব পড়ে। এটা বাস্তবতা।’
নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না বুঝতে পেরে চক্রান্তকারীরা ভোটের আগে (দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির) ষড়যন্ত্র করেছে বলে প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘সরকার উৎখাত করতেই এ চক্রান্ত।’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ষড়যন্ত্র ছিল, ষড়যন্ত্র আছে। নির্বাচনটা যাতে না হয়, তার জন্য একটা বিরাট চক্রান্ত ছিল। ২৮ অক্টোবরের ঘটনা। এর আগে ২০১৩, ’১৪ ও ’১৫ সালের ঘটনা। এই ঘটনাগুলো তো হঠাৎ করে হয়নি। এগুলো পরিকল্পিত ছিল।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা নির্বাচন বানচালের পক্ষে ছিল, তারা যখন দেখল যে নির্বাচন কিছুতেই আটকাতে পারবে না; কারণ, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা আছে—তখন চক্রান্ত হলো, জিনিসের দাম বাড়বে। সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। তখন চক্রান্ত করে সরকারকে উৎখাত করবে। এটা তাদের পরিকল্পনার অংশ। এটা কাদের, সেটা আপনারা ভালো বোঝেন। আমি কারও নাম বলতে চাই না। বলার দরকারও নেই আমার। কিন্তু এ চক্রান্তটা আছে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী গণভবনে নিজের চাষাবাদের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি গণভবনে উৎপাদন করি। নিজের গ্রাম থেকেও পিছিয়ে নেই। নিজের পাশাপাশি আশপাশের মানুষকে কৃষি উৎপাদনে উৎসাহিত করছি। অনাবাদি জমি পরিষ্কার করে চাষের দিকে মানুষকে আনছি আমরা।’
জার্মানি সফরে পশ্চিমা বিশ্বের একাধিক রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকসহ সাক্ষাতের সময় বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা উঠেছে কি না—এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে তাদের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। নির্বাচন নিয়ে তাদের কোনো উদ্বেগও নেই, মন্তব্যও নেই, প্রশ্ন নাই। নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয় নাই, বেশির ভাগ কথা হয়েছে দ্বিপক্ষীয়।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি সব সময় বলেছি, আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করেছি। আপনারা সেখানে আসেন, বিনিয়োগ করেন। সেই সঙ্গে নতুন যেসব প্রযুক্তি এসেছে, যে যে বিষয়ে পারদর্শী সে বিষয়েও আলোচনা করেছি।’
বাংলাদেশের ডেলটা বা বদ্বীপ পরিকল্পনায় নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ডেলটা প্ল্যান নিয়ে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে চুক্তি করা আছে। দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আর থাকছেন না। তিনি নির্বাচন করেননি। আমি যখন ক্ষমতায় এসেছিলাম, তখন তিনিও ক্ষমতায় এসেছিলেন। তিনি বলেছেন, এত দিন হয়ে গেছে। আমার এখানে থাকতে ভালো লাগছে না, আর নির্বাচন করবে না। তখন আমিও বলেছিলাম, আমি যদি পরতাম খুব খুশি হতাম।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে ভালো বন্ধুত্ব আমাদের আছে। ফ্রান্স জলবায়ু পরিবর্তনের (প্রভাব মোকাবিলার) জন্য এক বিলিয়ন ডলার দেবে। ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক আছে, আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকায়ও সুবিধা হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো কথা বলেনি। তারা নিজেরাই জানত নির্বাচনে আমি জিতে আসব। যারা চায় নাই, তারাই কথা ওঠায়।’
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থাতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছে
৩৫ মিনিট আগেসব ঠিক থাকলে মাস ছয়েক পরে জাতীয় নির্বাচন। প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণার পর জোরেশোরে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নির্বাচনের কাজে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা। পুলিশও প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের দায়িত্ব পালনে। এ জন্য ভোটের মাঠে যেসব উপপরিদর্শক (এসআই) ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) দায়িত্ব পালন করবেন,
১ ঘণ্টা আগেগত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
৬ ঘণ্টা আগেবিবৃতিতে বলা হয়, সরকার গণমাধ্যমে স্বচ্ছতা, সুরক্ষা ও স্বাধীনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একই সঙ্গে এই মূল্যবোধ সংরক্ষণ ও বৃদ্ধির জন্য সব অংশীজনের একসঙ্গে কাজ করা দরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো গণমাধ্যমে সম্পাদকীয়, পরিচালনাগত বা ব্যবসায়িক দিকগুলোতে হস্তক্ষেপ করেনি।
৭ ঘণ্টা আগে