নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচনবিরোধী প্রচারের কারণে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ ভোটার আসন্ন নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকতে পারে ধারণা করছে নির্বাচন পর্যবেক্ষক মোর্চা ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম (ইএমএফ)। আজ শনিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে এমন ধারণার কথা বলেন ইএমএফের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী। জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এই কর্মশালার আয়োজন করে সংস্থাটি।
কর্মশালায় লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী বলেন, ‘নির্বাচনের সার্বিক বিষয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকা পর্যবেক্ষণ করছেন দেশ-বিদেশের পর্যবেক্ষকেরা। দলীয় সরকারের অধীনে প্রভাবমুক্ত ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে, সেটি প্রমাণ করতে হবে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে। দেশের মানুষ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে। তবে নির্বাচন বর্জনকারী রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মী, সমর্থক ও নির্বাচনবিরোধী প্রচারণার কারণে ৩০-৩৫ শতাংশ ভোটার ভোটদানে বিরত থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকেরা।’
ইএমএফের পর্যবেক্ষকদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর আপনারা (পর্যবেক্ষক) কোনো দলের বিজয় মিছিলে যোগ দেবেন না। গণমাধ্যমের সামনে কেউ কোনো বক্তব্য দেবেন না। আপনারা শুধু আমাদের মনিটরিং সেলের কাছে রিপোর্ট দেবেন। শুধু ভোটকেন্দ্র নয়, কেন্দ্রের আশপাশের ৪০০ মিটার পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করবেন। কোনো অনিয়ম বা ব্যত্যয় ঘটলে সেটি আমাদের জানাবেন। কোনো দলের প্রার্থীর কাছ থেকে কোনো অর্থ নেবেন না।’
নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ২০০টির বেশি আসনে দেশি ৬ হাজার ৩২১ জন পর্যবেক্ষক ও যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ আর এশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের ১৫টি আন্তর্জাতিক সংগঠনের ৩২ জন পর্যবেক্ষক ইএমএফের মাধ্যমে এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন বলে কর্মশালায় জানান এই মোর্চার চেয়ারম্যান।
এ সময় সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আজকে অনেকগুলো বিরোধী দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানাচ্ছে। জাতীয় সংসদের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে। সুতরাং, তারা (বিরোধী দল) যে কেয়ারটেকারের ধোঁয়া তুলছে, এর কোনো ভিত্তি নেই। এটা জানা সত্ত্বেও তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছে। এই প্রেক্ষিতে আমরা মনে করি, আসন্ন নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই নির্বাচনের ওপর দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।’
পর্যবেক্ষকদের নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আহ্বান জানিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘নির্বাচন ভালো হয়েছে না খারাপ হয়েছে সেটা বড় কথা নয়, আপনারা আপনাদের করণীয় করে যাবেন। নির্বাচন যতই ভালো হোক, একটি পক্ষ সমালোচনা করেই যাবে, আবার নির্বাচন খারাপ হলেও একটি পক্ষ সেটিকে ভালো বলবে। কিন্তু নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। সেটা আমাদের স্বীকার করতে হবে।’
সভায় ইলেকশন মনিটরিং কমিশনের পরিচালক ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘আপনারা (পর্যবেক্ষক) শুধু পর্যবেক্ষণ করবেন এবং প্রতিবেদন দেবেন। এমন কোনো কাজ করবেন না, যেটা আপনাদের কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করে।’
ডুয়েটের উপাচার্য ড. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনে কেউ তার কাজ ঠিকমতো না করছে কি না, সেটি নিয়ে আপনারা (পর্যবেক্ষক) কিছু বলতে যাবেন না। শুধু কোনো ব্যত্যয় ঘটলে সেটি নিরাপদে থেকে পর্যবেক্ষণ করে নোট করবেন। নির্বাচন শেষে প্রতিবেদন পাঠাবেন। নির্বাচন কমিশনকে যদি কোনো পরামর্শ দিতে হয়, সেটি আমরা দেব।’
কর্মশালার শুরুতে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পর্যবেক্ষকদের করণীয় সম্পর্কে পাওয়া পয়েন্ট স্লাইডের মাধ্যমে অবহিত করেন বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহফুজুল ইসলাম। এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেন বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আহমেদ আবুল কালাম আজাদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল হাশেমসহ অনেকেই।
নির্বাচনবিরোধী প্রচারের কারণে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ ভোটার আসন্ন নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকতে পারে ধারণা করছে নির্বাচন পর্যবেক্ষক মোর্চা ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম (ইএমএফ)। আজ শনিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে এমন ধারণার কথা বলেন ইএমএফের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী। জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এই কর্মশালার আয়োজন করে সংস্থাটি।
কর্মশালায় লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী বলেন, ‘নির্বাচনের সার্বিক বিষয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকা পর্যবেক্ষণ করছেন দেশ-বিদেশের পর্যবেক্ষকেরা। দলীয় সরকারের অধীনে প্রভাবমুক্ত ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে, সেটি প্রমাণ করতে হবে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে। দেশের মানুষ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে। তবে নির্বাচন বর্জনকারী রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মী, সমর্থক ও নির্বাচনবিরোধী প্রচারণার কারণে ৩০-৩৫ শতাংশ ভোটার ভোটদানে বিরত থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকেরা।’
ইএমএফের পর্যবেক্ষকদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর আপনারা (পর্যবেক্ষক) কোনো দলের বিজয় মিছিলে যোগ দেবেন না। গণমাধ্যমের সামনে কেউ কোনো বক্তব্য দেবেন না। আপনারা শুধু আমাদের মনিটরিং সেলের কাছে রিপোর্ট দেবেন। শুধু ভোটকেন্দ্র নয়, কেন্দ্রের আশপাশের ৪০০ মিটার পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করবেন। কোনো অনিয়ম বা ব্যত্যয় ঘটলে সেটি আমাদের জানাবেন। কোনো দলের প্রার্থীর কাছ থেকে কোনো অর্থ নেবেন না।’
নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ২০০টির বেশি আসনে দেশি ৬ হাজার ৩২১ জন পর্যবেক্ষক ও যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ আর এশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের ১৫টি আন্তর্জাতিক সংগঠনের ৩২ জন পর্যবেক্ষক ইএমএফের মাধ্যমে এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন বলে কর্মশালায় জানান এই মোর্চার চেয়ারম্যান।
এ সময় সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আজকে অনেকগুলো বিরোধী দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানাচ্ছে। জাতীয় সংসদের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে। সুতরাং, তারা (বিরোধী দল) যে কেয়ারটেকারের ধোঁয়া তুলছে, এর কোনো ভিত্তি নেই। এটা জানা সত্ত্বেও তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছে। এই প্রেক্ষিতে আমরা মনে করি, আসন্ন নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই নির্বাচনের ওপর দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।’
পর্যবেক্ষকদের নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আহ্বান জানিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘নির্বাচন ভালো হয়েছে না খারাপ হয়েছে সেটা বড় কথা নয়, আপনারা আপনাদের করণীয় করে যাবেন। নির্বাচন যতই ভালো হোক, একটি পক্ষ সমালোচনা করেই যাবে, আবার নির্বাচন খারাপ হলেও একটি পক্ষ সেটিকে ভালো বলবে। কিন্তু নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। সেটা আমাদের স্বীকার করতে হবে।’
সভায় ইলেকশন মনিটরিং কমিশনের পরিচালক ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘আপনারা (পর্যবেক্ষক) শুধু পর্যবেক্ষণ করবেন এবং প্রতিবেদন দেবেন। এমন কোনো কাজ করবেন না, যেটা আপনাদের কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করে।’
ডুয়েটের উপাচার্য ড. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনে কেউ তার কাজ ঠিকমতো না করছে কি না, সেটি নিয়ে আপনারা (পর্যবেক্ষক) কিছু বলতে যাবেন না। শুধু কোনো ব্যত্যয় ঘটলে সেটি নিরাপদে থেকে পর্যবেক্ষণ করে নোট করবেন। নির্বাচন শেষে প্রতিবেদন পাঠাবেন। নির্বাচন কমিশনকে যদি কোনো পরামর্শ দিতে হয়, সেটি আমরা দেব।’
কর্মশালার শুরুতে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পর্যবেক্ষকদের করণীয় সম্পর্কে পাওয়া পয়েন্ট স্লাইডের মাধ্যমে অবহিত করেন বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহফুজুল ইসলাম। এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেন বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আহমেদ আবুল কালাম আজাদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল হাশেমসহ অনেকেই।
বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে না নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) একেএম শহিদুর রহমান। তিনি বলেন, পুলিশ ক্যাডারে কাউকে সুপারিশ করার আগেই তাঁর বৈবাহিক, শারীরিক ও অন্যান্য বিষয়াদি খতিয়ে দেখা দরকার।
৮ মিনিট আগে‘এক ঠিকানায় সকল নাগরিক সেবা’ স্লোগান নিয়ে এই সেবা আউটলেটের যাত্রা শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে কার্যকর সরকারি সেবা দিয়ে জনগণের ক্ষমতায়ন করা হবে। ওয়েবসাইটটিতে গিয়ে দেখা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ বিল, বয়স্ক ভাতা, স্কুলে ভর্তি, জলবায়ু কর্মসূচির তথ্যও পাওয়া যাবে।
৩৫ মিনিট আগেসেবা প্রদানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে এবং দ্রুততম সময়ে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আগামী ১৬ মে থেকে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের আবেদন শতভাগ অনলাইনে গ্রহণ ও নিষ্পত্তি করা হবে।
১ ঘণ্টা আগেসব ধরনের ওষুধের মধ্যে দেশে পরিপাকতন্ত্রের জটিলতাবিষয়ক ওষুধ বিক্রিতে রয়েছে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্থানে। সরকারি গবেষণায় উঠে এসেছে, এসব ওষুধ বিক্রির অঙ্ক বছরে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, জনসংখ্যার একটা বিশাল অংশ পরিপাকতন্ত্রের সমস্যায় ভুগছে।
১১ ঘণ্টা আগে