শুল্ক বাড়ার প্রভাব
রোকন উদ্দীন, ঢাকা

নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর কারণে আবার অস্থির হয়ে উঠেছে ফলের বাজার। গত পাঁচ দিনে আপেল, কমলা, মাল্টা, আঙুরসহ প্রায় সব ধরনের বিদেশি ফলের দাম পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে কেজিপ্রতি ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে এসব ফলের বিক্রি প্রায় অর্ধেক কমে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
৯ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শুকনো ও টাটকা ফল আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করেছে। আপেল, আঙুর ও তরমুজের মতো কিছু টাটকা ফল ও জুসের ওপর শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। এর প্রভাবেই বাজারে বেড়ে যায় সব ধরনের ফলের দাম।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার বাদামতলীতে গতকাল খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যে মানের ফুজি আপেল গত বৃহস্পতিবার প্রতি কার্টন (১৯-২০ কেজি) দাম ছিল ৫ হাজার টাকা, গতকাল তা বেড়ে ৫ হাজার ৪০০ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া যে আঙুর প্রতি কার্টন (৯ কেজি) দাম ছিল ৪ হাজার ৫০০ টাকা, তা বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার টাকায়। কমলার দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারত থেকে আমদানি করা কমলা বিক্রি হয়েছিল প্রতি কার্টন ৪ হাজার ৫০০ টাকা, এখন তা ৫ হাজার ৪০০ টাকায় উঠেছে। চায়না কমলা বিক্রি হয়েছিল প্রতি কার্টন (৮-৯ কেজি) ৩ হাজার ১০০ টাকা, এখন তা ৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাল্টা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কার্টন (১৪-১৫ কেজি) ৩ হাজার ৫০০ টাকা, যা আগে ছিল ৩ হাজার ১০০ টাকা।
ফলের দাম এভাবে বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে এত দিন যাঁরা ফল খেতেন, তাঁদের সামর্থ্যে টান পড়েছে। হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকে ফল কেনা বন্ধ করেছেন, অনেকে পরিমাণে কম কিনছেন। এতে ফলের বিক্রি ৫০ শতাংশ কমে গেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি করা ফলের বাজারে যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা বসিয়েছে সরকার। ২০২২ সালে মে মাসে আমদানি করা ফলকে বিলাস পণ্য ঘোষণা দিয়ে আমদানি শুল্ক, ভ্যাট ও করের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বসায় সরকার। এবার সেই শুল্ক আরেক দফা বাড়ানো হলো। এই সিদ্ধান্তের ফলে ইতিমধ্যে আমদানি করা ফল বন্দর থেকে খালাস করতে আগের তুলনায় কেজিতে ৪৫ টাকা পর্যন্ত বাড়তি খরচ হচ্ছে। এতে দামও বাড়াতে হচ্ছে। দাম বাড়ার কারণে বিক্রি কমে যাওয়ার পচনশীল পণ্য ফলের মজুত নিয়ে বিপাকে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। বিক্রি না হওয়ার ভয়ে অনেকে আমদানি বন্ধ করে দিচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে আগামী রমজান মাসে দেশে চাহিদার বিপরীতে ফলের সরবরাহ ঘাটতি দেখা দেবে।
আমদানিকারকেরা জানিয়েছেন, রমজানকে সামনে রেখে এনবিআরের কাছে তাঁদের দাবি ছিল যাতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, আমদানি শুল্ক ও অগ্রিম কর—সব মিলিয়ে অন্তত ৩০ শতাংশ কর ছাড় দেওয়া হোক। রমজানে যেহেতু দেশীয় ফলের কোনো মৌসুম থাকবে না, তাই শুল্ক ছাড় দিলে আমদানি করা ফল রমজানের চাহিদা পূরণ করতে পারত। কিন্তু সরকার উল্টো শুল্ক আরও বাড়িয়েছে।
নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর ফলে প্রতি কেজি আপেল, কমলা ও মাল্টায় শুল্ক বেড়েছে ১৬ টাকা ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে তা ২০ টাকার বেশি হয়। এ ছাড়া আঙুর ও আনারে বেড়েছে ২৫-৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গরিব মানুষের কথা চিন্তা করে আমরা মাসখানেক আগে শুল্ক কমানোর জন্য রাজস্ব বোর্ডে চিঠি দিয়েছিলাম। যাতে রমজানে ফলের দামটা কম থাকে। কিন্তু সরকার উল্টো দাম আরও বাড়াল। এই সিদ্ধান্তের কারণে অনেক আমদানিকারকই লোকসানে পড়েছেন। এমন অবস্থায় নতুন করে ফল আমদানিতে সাহস পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। এর প্রভাব রমজানে অবশ্যই পড়বে।
খাদ্যপণ্য হওয়া সত্ত্বেও বিদেশি ফলকে ২০১২ সালে বিলাস পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এই সিদ্ধান্তের পর প্রতিবছর বাজেটে আমদানি ফলের ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ানো হয়। ২০২২ সালের মে মাস পর্যন্ত আমদানি করা সব ধরনের ফলে ২৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি (আমদানি শুল্ক), ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর এবং ৪ শতাংশ অ্যাডভান্স ট্রেড ভ্যাট ছিল।
বাংলাদেশে ডলার-সংকটের মধ্যে গত বছরের মে মাসে সব ধরনের বিদেশি ফল আমদানিতে নতুন করে ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বা রেগুলেটরি ডিউটি আরোপ করেছিল এনবিআর। তাতে সব মিলিয়ে ফল আমদানিতে শুল্ক-কর বেড়ে দাঁড়ায় ১১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। দুই বছরের মধ্যে আবারও শুল্ক ১০-১৫ শতাংশ বাড়ানো হলো।
আমদানিতে ব্যয় বাড়ার প্রভাব ইতিমধ্যে খুচরায়ও পড়েছে। গত বুধবার রাজধানীর রামপুরা বাজারে প্রতি কেজি আপেল (ফুজি) বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকায়, যা চার-পাঁচ দিন আগে ছিল ২৮০ টাকা। ভারতীয় কমলা বিক্রি হয়েছে ২৮০–২৯০ টাকা কেজি, আগে যা ছিল ২৬০–২৭০ টাকা কেজি। মাল্টা বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকা কেজি, যা আগে ছিল ২৬০ টাকা কেজি। চায়না কমলা বিক্রি হয়েছে ৩৫০ টাকা কেজি, যা ছিল ৩২০ টাকা কেজি। কালো আঙুর ৫৫০ টাকা, আগে ছিল ৫০০ টাকা কেজি। সাদা আঙুর ৪৬০ টাকা, আগে ছিল ৪০০ টাকা কেজি এবং লাল আঙুর ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে, যা আগে ছিল ৫০০ টাকা কেজি।
ফল বিক্রেতা মো. রুবেল বলেন, ‘ফলের পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয়। তবে দাম বাড়লে আমার জন্যও ক্ষতি। কারণ প্রতিবার দাম বাড়লেই বিক্রি কমে যায়। মানুষ প্রতিদিনের খাবার খেয়ে ও অন্যান্য খরচ দিয়ে যে বাড়তি টাকা থাকে, তা দিয়ে ফল কিনে খায়। এখন সব জিনিসের দাম বেড়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা এমনিতেই কমে গেছে, আবার ফলের দাম বাড়ায় আমাদের বিক্রি প্রায় অর্ধেকে নেমেছে।’
রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাজারের ক্রেতা মাহবুবা আলম বলেন, সারা বছরই এখন ডেঙ্গুসহ নানা রোগ-বালাই লেগে রয়েছে, যার জন্য ফল একধরনের পথ্য হিসেবে ব্যবহার হয়। দাম বাড়ার পর অনেকেই ফলের ক্রয়ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। আগামী রমজানে অনেক মানুষকে ফল ছাড়াই ইফতার করতে হবে। কারণ তখন দেশি ফলের কোনো মৌসুম নেই। এতে অনেক রোজাদার ভিটামিনের ঘাটতিতে পড়বেন।
বিদেশ থেকে ৩৮ ধরনের ফল আমদানি করা হয়। এর মধ্যে আমদানির ৯৫ শতাংশই আপেল, মাল্টা, কমলা, আঙুর ও আনার। বাকি ৫ শতাংশ ফলের মধ্যে রয়েছে নাশপাতি, কিনো, কতবেল, অ্যাভোকাডো, রামবুটান, কিউই ইত্যাদি।
এনবিআর জানিয়েছেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিদেশি ফল আমদানি ১০ হাজার টন কমেছে। গত অর্থবছরে ফল আমদানি হয়েছে ৫ লাখ ৮৯ হাজার টন।
চার-পাঁচ বছর আগেও ৩৫টি দেশ থেকে ফল আমদানি করা হতো। এখন আমদানি করা হয় ২২টি দেশ থেকে ফল আমদানি করা হলেও সিংহভাগ আসে চীন ও ভারত থেকে। ফল আমদানির তৃতীয় উৎস দেশ আফ্রিকা। এ ছাড়া মিসর, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসছে নানা ধরনের বৈচিত্র্যময় ফল।
মৌলভীবাজারের শুকনো ফল আমদানিকারক হাজি এনায়েতুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, রমজানের খুব কাছে এসে যখন সব দেশ বাজারে চাহিদার পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে চায়, সেখানে আমাদের দেশের সরকার কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। কর্মচারীদের বাড়তি বেতনের টাকা জোগাড় করতেই সরকার মূলত এমন আগ্রাসী হয়ে উঠেছে।

নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর কারণে আবার অস্থির হয়ে উঠেছে ফলের বাজার। গত পাঁচ দিনে আপেল, কমলা, মাল্টা, আঙুরসহ প্রায় সব ধরনের বিদেশি ফলের দাম পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে কেজিপ্রতি ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে এসব ফলের বিক্রি প্রায় অর্ধেক কমে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
৯ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শুকনো ও টাটকা ফল আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করেছে। আপেল, আঙুর ও তরমুজের মতো কিছু টাটকা ফল ও জুসের ওপর শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। এর প্রভাবেই বাজারে বেড়ে যায় সব ধরনের ফলের দাম।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার বাদামতলীতে গতকাল খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যে মানের ফুজি আপেল গত বৃহস্পতিবার প্রতি কার্টন (১৯-২০ কেজি) দাম ছিল ৫ হাজার টাকা, গতকাল তা বেড়ে ৫ হাজার ৪০০ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া যে আঙুর প্রতি কার্টন (৯ কেজি) দাম ছিল ৪ হাজার ৫০০ টাকা, তা বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার টাকায়। কমলার দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারত থেকে আমদানি করা কমলা বিক্রি হয়েছিল প্রতি কার্টন ৪ হাজার ৫০০ টাকা, এখন তা ৫ হাজার ৪০০ টাকায় উঠেছে। চায়না কমলা বিক্রি হয়েছিল প্রতি কার্টন (৮-৯ কেজি) ৩ হাজার ১০০ টাকা, এখন তা ৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাল্টা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কার্টন (১৪-১৫ কেজি) ৩ হাজার ৫০০ টাকা, যা আগে ছিল ৩ হাজার ১০০ টাকা।
ফলের দাম এভাবে বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে এত দিন যাঁরা ফল খেতেন, তাঁদের সামর্থ্যে টান পড়েছে। হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকে ফল কেনা বন্ধ করেছেন, অনেকে পরিমাণে কম কিনছেন। এতে ফলের বিক্রি ৫০ শতাংশ কমে গেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি করা ফলের বাজারে যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা বসিয়েছে সরকার। ২০২২ সালে মে মাসে আমদানি করা ফলকে বিলাস পণ্য ঘোষণা দিয়ে আমদানি শুল্ক, ভ্যাট ও করের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বসায় সরকার। এবার সেই শুল্ক আরেক দফা বাড়ানো হলো। এই সিদ্ধান্তের ফলে ইতিমধ্যে আমদানি করা ফল বন্দর থেকে খালাস করতে আগের তুলনায় কেজিতে ৪৫ টাকা পর্যন্ত বাড়তি খরচ হচ্ছে। এতে দামও বাড়াতে হচ্ছে। দাম বাড়ার কারণে বিক্রি কমে যাওয়ার পচনশীল পণ্য ফলের মজুত নিয়ে বিপাকে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। বিক্রি না হওয়ার ভয়ে অনেকে আমদানি বন্ধ করে দিচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে আগামী রমজান মাসে দেশে চাহিদার বিপরীতে ফলের সরবরাহ ঘাটতি দেখা দেবে।
আমদানিকারকেরা জানিয়েছেন, রমজানকে সামনে রেখে এনবিআরের কাছে তাঁদের দাবি ছিল যাতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, আমদানি শুল্ক ও অগ্রিম কর—সব মিলিয়ে অন্তত ৩০ শতাংশ কর ছাড় দেওয়া হোক। রমজানে যেহেতু দেশীয় ফলের কোনো মৌসুম থাকবে না, তাই শুল্ক ছাড় দিলে আমদানি করা ফল রমজানের চাহিদা পূরণ করতে পারত। কিন্তু সরকার উল্টো শুল্ক আরও বাড়িয়েছে।
নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর ফলে প্রতি কেজি আপেল, কমলা ও মাল্টায় শুল্ক বেড়েছে ১৬ টাকা ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে তা ২০ টাকার বেশি হয়। এ ছাড়া আঙুর ও আনারে বেড়েছে ২৫-৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গরিব মানুষের কথা চিন্তা করে আমরা মাসখানেক আগে শুল্ক কমানোর জন্য রাজস্ব বোর্ডে চিঠি দিয়েছিলাম। যাতে রমজানে ফলের দামটা কম থাকে। কিন্তু সরকার উল্টো দাম আরও বাড়াল। এই সিদ্ধান্তের কারণে অনেক আমদানিকারকই লোকসানে পড়েছেন। এমন অবস্থায় নতুন করে ফল আমদানিতে সাহস পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। এর প্রভাব রমজানে অবশ্যই পড়বে।
খাদ্যপণ্য হওয়া সত্ত্বেও বিদেশি ফলকে ২০১২ সালে বিলাস পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এই সিদ্ধান্তের পর প্রতিবছর বাজেটে আমদানি ফলের ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ানো হয়। ২০২২ সালের মে মাস পর্যন্ত আমদানি করা সব ধরনের ফলে ২৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি (আমদানি শুল্ক), ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর এবং ৪ শতাংশ অ্যাডভান্স ট্রেড ভ্যাট ছিল।
বাংলাদেশে ডলার-সংকটের মধ্যে গত বছরের মে মাসে সব ধরনের বিদেশি ফল আমদানিতে নতুন করে ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বা রেগুলেটরি ডিউটি আরোপ করেছিল এনবিআর। তাতে সব মিলিয়ে ফল আমদানিতে শুল্ক-কর বেড়ে দাঁড়ায় ১১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। দুই বছরের মধ্যে আবারও শুল্ক ১০-১৫ শতাংশ বাড়ানো হলো।
আমদানিতে ব্যয় বাড়ার প্রভাব ইতিমধ্যে খুচরায়ও পড়েছে। গত বুধবার রাজধানীর রামপুরা বাজারে প্রতি কেজি আপেল (ফুজি) বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকায়, যা চার-পাঁচ দিন আগে ছিল ২৮০ টাকা। ভারতীয় কমলা বিক্রি হয়েছে ২৮০–২৯০ টাকা কেজি, আগে যা ছিল ২৬০–২৭০ টাকা কেজি। মাল্টা বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকা কেজি, যা আগে ছিল ২৬০ টাকা কেজি। চায়না কমলা বিক্রি হয়েছে ৩৫০ টাকা কেজি, যা ছিল ৩২০ টাকা কেজি। কালো আঙুর ৫৫০ টাকা, আগে ছিল ৫০০ টাকা কেজি। সাদা আঙুর ৪৬০ টাকা, আগে ছিল ৪০০ টাকা কেজি এবং লাল আঙুর ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে, যা আগে ছিল ৫০০ টাকা কেজি।
ফল বিক্রেতা মো. রুবেল বলেন, ‘ফলের পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয়। তবে দাম বাড়লে আমার জন্যও ক্ষতি। কারণ প্রতিবার দাম বাড়লেই বিক্রি কমে যায়। মানুষ প্রতিদিনের খাবার খেয়ে ও অন্যান্য খরচ দিয়ে যে বাড়তি টাকা থাকে, তা দিয়ে ফল কিনে খায়। এখন সব জিনিসের দাম বেড়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা এমনিতেই কমে গেছে, আবার ফলের দাম বাড়ায় আমাদের বিক্রি প্রায় অর্ধেকে নেমেছে।’
রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাজারের ক্রেতা মাহবুবা আলম বলেন, সারা বছরই এখন ডেঙ্গুসহ নানা রোগ-বালাই লেগে রয়েছে, যার জন্য ফল একধরনের পথ্য হিসেবে ব্যবহার হয়। দাম বাড়ার পর অনেকেই ফলের ক্রয়ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। আগামী রমজানে অনেক মানুষকে ফল ছাড়াই ইফতার করতে হবে। কারণ তখন দেশি ফলের কোনো মৌসুম নেই। এতে অনেক রোজাদার ভিটামিনের ঘাটতিতে পড়বেন।
বিদেশ থেকে ৩৮ ধরনের ফল আমদানি করা হয়। এর মধ্যে আমদানির ৯৫ শতাংশই আপেল, মাল্টা, কমলা, আঙুর ও আনার। বাকি ৫ শতাংশ ফলের মধ্যে রয়েছে নাশপাতি, কিনো, কতবেল, অ্যাভোকাডো, রামবুটান, কিউই ইত্যাদি।
এনবিআর জানিয়েছেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিদেশি ফল আমদানি ১০ হাজার টন কমেছে। গত অর্থবছরে ফল আমদানি হয়েছে ৫ লাখ ৮৯ হাজার টন।
চার-পাঁচ বছর আগেও ৩৫টি দেশ থেকে ফল আমদানি করা হতো। এখন আমদানি করা হয় ২২টি দেশ থেকে ফল আমদানি করা হলেও সিংহভাগ আসে চীন ও ভারত থেকে। ফল আমদানির তৃতীয় উৎস দেশ আফ্রিকা। এ ছাড়া মিসর, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসছে নানা ধরনের বৈচিত্র্যময় ফল।
মৌলভীবাজারের শুকনো ফল আমদানিকারক হাজি এনায়েতুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, রমজানের খুব কাছে এসে যখন সব দেশ বাজারে চাহিদার পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে চায়, সেখানে আমাদের দেশের সরকার কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। কর্মচারীদের বাড়তি বেতনের টাকা জোগাড় করতেই সরকার মূলত এমন আগ্রাসী হয়ে উঠেছে।
শুল্ক বাড়ার প্রভাব
রোকন উদ্দীন, ঢাকা

নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর কারণে আবার অস্থির হয়ে উঠেছে ফলের বাজার। গত পাঁচ দিনে আপেল, কমলা, মাল্টা, আঙুরসহ প্রায় সব ধরনের বিদেশি ফলের দাম পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে কেজিপ্রতি ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে এসব ফলের বিক্রি প্রায় অর্ধেক কমে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
৯ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শুকনো ও টাটকা ফল আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করেছে। আপেল, আঙুর ও তরমুজের মতো কিছু টাটকা ফল ও জুসের ওপর শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। এর প্রভাবেই বাজারে বেড়ে যায় সব ধরনের ফলের দাম।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার বাদামতলীতে গতকাল খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যে মানের ফুজি আপেল গত বৃহস্পতিবার প্রতি কার্টন (১৯-২০ কেজি) দাম ছিল ৫ হাজার টাকা, গতকাল তা বেড়ে ৫ হাজার ৪০০ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া যে আঙুর প্রতি কার্টন (৯ কেজি) দাম ছিল ৪ হাজার ৫০০ টাকা, তা বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার টাকায়। কমলার দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারত থেকে আমদানি করা কমলা বিক্রি হয়েছিল প্রতি কার্টন ৪ হাজার ৫০০ টাকা, এখন তা ৫ হাজার ৪০০ টাকায় উঠেছে। চায়না কমলা বিক্রি হয়েছিল প্রতি কার্টন (৮-৯ কেজি) ৩ হাজার ১০০ টাকা, এখন তা ৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাল্টা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কার্টন (১৪-১৫ কেজি) ৩ হাজার ৫০০ টাকা, যা আগে ছিল ৩ হাজার ১০০ টাকা।
ফলের দাম এভাবে বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে এত দিন যাঁরা ফল খেতেন, তাঁদের সামর্থ্যে টান পড়েছে। হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকে ফল কেনা বন্ধ করেছেন, অনেকে পরিমাণে কম কিনছেন। এতে ফলের বিক্রি ৫০ শতাংশ কমে গেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি করা ফলের বাজারে যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা বসিয়েছে সরকার। ২০২২ সালে মে মাসে আমদানি করা ফলকে বিলাস পণ্য ঘোষণা দিয়ে আমদানি শুল্ক, ভ্যাট ও করের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বসায় সরকার। এবার সেই শুল্ক আরেক দফা বাড়ানো হলো। এই সিদ্ধান্তের ফলে ইতিমধ্যে আমদানি করা ফল বন্দর থেকে খালাস করতে আগের তুলনায় কেজিতে ৪৫ টাকা পর্যন্ত বাড়তি খরচ হচ্ছে। এতে দামও বাড়াতে হচ্ছে। দাম বাড়ার কারণে বিক্রি কমে যাওয়ার পচনশীল পণ্য ফলের মজুত নিয়ে বিপাকে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। বিক্রি না হওয়ার ভয়ে অনেকে আমদানি বন্ধ করে দিচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে আগামী রমজান মাসে দেশে চাহিদার বিপরীতে ফলের সরবরাহ ঘাটতি দেখা দেবে।
আমদানিকারকেরা জানিয়েছেন, রমজানকে সামনে রেখে এনবিআরের কাছে তাঁদের দাবি ছিল যাতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, আমদানি শুল্ক ও অগ্রিম কর—সব মিলিয়ে অন্তত ৩০ শতাংশ কর ছাড় দেওয়া হোক। রমজানে যেহেতু দেশীয় ফলের কোনো মৌসুম থাকবে না, তাই শুল্ক ছাড় দিলে আমদানি করা ফল রমজানের চাহিদা পূরণ করতে পারত। কিন্তু সরকার উল্টো শুল্ক আরও বাড়িয়েছে।
নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর ফলে প্রতি কেজি আপেল, কমলা ও মাল্টায় শুল্ক বেড়েছে ১৬ টাকা ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে তা ২০ টাকার বেশি হয়। এ ছাড়া আঙুর ও আনারে বেড়েছে ২৫-৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গরিব মানুষের কথা চিন্তা করে আমরা মাসখানেক আগে শুল্ক কমানোর জন্য রাজস্ব বোর্ডে চিঠি দিয়েছিলাম। যাতে রমজানে ফলের দামটা কম থাকে। কিন্তু সরকার উল্টো দাম আরও বাড়াল। এই সিদ্ধান্তের কারণে অনেক আমদানিকারকই লোকসানে পড়েছেন। এমন অবস্থায় নতুন করে ফল আমদানিতে সাহস পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। এর প্রভাব রমজানে অবশ্যই পড়বে।
খাদ্যপণ্য হওয়া সত্ত্বেও বিদেশি ফলকে ২০১২ সালে বিলাস পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এই সিদ্ধান্তের পর প্রতিবছর বাজেটে আমদানি ফলের ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ানো হয়। ২০২২ সালের মে মাস পর্যন্ত আমদানি করা সব ধরনের ফলে ২৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি (আমদানি শুল্ক), ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর এবং ৪ শতাংশ অ্যাডভান্স ট্রেড ভ্যাট ছিল।
বাংলাদেশে ডলার-সংকটের মধ্যে গত বছরের মে মাসে সব ধরনের বিদেশি ফল আমদানিতে নতুন করে ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বা রেগুলেটরি ডিউটি আরোপ করেছিল এনবিআর। তাতে সব মিলিয়ে ফল আমদানিতে শুল্ক-কর বেড়ে দাঁড়ায় ১১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। দুই বছরের মধ্যে আবারও শুল্ক ১০-১৫ শতাংশ বাড়ানো হলো।
আমদানিতে ব্যয় বাড়ার প্রভাব ইতিমধ্যে খুচরায়ও পড়েছে। গত বুধবার রাজধানীর রামপুরা বাজারে প্রতি কেজি আপেল (ফুজি) বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকায়, যা চার-পাঁচ দিন আগে ছিল ২৮০ টাকা। ভারতীয় কমলা বিক্রি হয়েছে ২৮০–২৯০ টাকা কেজি, আগে যা ছিল ২৬০–২৭০ টাকা কেজি। মাল্টা বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকা কেজি, যা আগে ছিল ২৬০ টাকা কেজি। চায়না কমলা বিক্রি হয়েছে ৩৫০ টাকা কেজি, যা ছিল ৩২০ টাকা কেজি। কালো আঙুর ৫৫০ টাকা, আগে ছিল ৫০০ টাকা কেজি। সাদা আঙুর ৪৬০ টাকা, আগে ছিল ৪০০ টাকা কেজি এবং লাল আঙুর ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে, যা আগে ছিল ৫০০ টাকা কেজি।
ফল বিক্রেতা মো. রুবেল বলেন, ‘ফলের পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয়। তবে দাম বাড়লে আমার জন্যও ক্ষতি। কারণ প্রতিবার দাম বাড়লেই বিক্রি কমে যায়। মানুষ প্রতিদিনের খাবার খেয়ে ও অন্যান্য খরচ দিয়ে যে বাড়তি টাকা থাকে, তা দিয়ে ফল কিনে খায়। এখন সব জিনিসের দাম বেড়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা এমনিতেই কমে গেছে, আবার ফলের দাম বাড়ায় আমাদের বিক্রি প্রায় অর্ধেকে নেমেছে।’
রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাজারের ক্রেতা মাহবুবা আলম বলেন, সারা বছরই এখন ডেঙ্গুসহ নানা রোগ-বালাই লেগে রয়েছে, যার জন্য ফল একধরনের পথ্য হিসেবে ব্যবহার হয়। দাম বাড়ার পর অনেকেই ফলের ক্রয়ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। আগামী রমজানে অনেক মানুষকে ফল ছাড়াই ইফতার করতে হবে। কারণ তখন দেশি ফলের কোনো মৌসুম নেই। এতে অনেক রোজাদার ভিটামিনের ঘাটতিতে পড়বেন।
বিদেশ থেকে ৩৮ ধরনের ফল আমদানি করা হয়। এর মধ্যে আমদানির ৯৫ শতাংশই আপেল, মাল্টা, কমলা, আঙুর ও আনার। বাকি ৫ শতাংশ ফলের মধ্যে রয়েছে নাশপাতি, কিনো, কতবেল, অ্যাভোকাডো, রামবুটান, কিউই ইত্যাদি।
এনবিআর জানিয়েছেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিদেশি ফল আমদানি ১০ হাজার টন কমেছে। গত অর্থবছরে ফল আমদানি হয়েছে ৫ লাখ ৮৯ হাজার টন।
চার-পাঁচ বছর আগেও ৩৫টি দেশ থেকে ফল আমদানি করা হতো। এখন আমদানি করা হয় ২২টি দেশ থেকে ফল আমদানি করা হলেও সিংহভাগ আসে চীন ও ভারত থেকে। ফল আমদানির তৃতীয় উৎস দেশ আফ্রিকা। এ ছাড়া মিসর, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসছে নানা ধরনের বৈচিত্র্যময় ফল।
মৌলভীবাজারের শুকনো ফল আমদানিকারক হাজি এনায়েতুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, রমজানের খুব কাছে এসে যখন সব দেশ বাজারে চাহিদার পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে চায়, সেখানে আমাদের দেশের সরকার কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। কর্মচারীদের বাড়তি বেতনের টাকা জোগাড় করতেই সরকার মূলত এমন আগ্রাসী হয়ে উঠেছে।

নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর কারণে আবার অস্থির হয়ে উঠেছে ফলের বাজার। গত পাঁচ দিনে আপেল, কমলা, মাল্টা, আঙুরসহ প্রায় সব ধরনের বিদেশি ফলের দাম পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে কেজিপ্রতি ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে এসব ফলের বিক্রি প্রায় অর্ধেক কমে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
৯ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শুকনো ও টাটকা ফল আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করেছে। আপেল, আঙুর ও তরমুজের মতো কিছু টাটকা ফল ও জুসের ওপর শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। এর প্রভাবেই বাজারে বেড়ে যায় সব ধরনের ফলের দাম।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার বাদামতলীতে গতকাল খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যে মানের ফুজি আপেল গত বৃহস্পতিবার প্রতি কার্টন (১৯-২০ কেজি) দাম ছিল ৫ হাজার টাকা, গতকাল তা বেড়ে ৫ হাজার ৪০০ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া যে আঙুর প্রতি কার্টন (৯ কেজি) দাম ছিল ৪ হাজার ৫০০ টাকা, তা বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার টাকায়। কমলার দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারত থেকে আমদানি করা কমলা বিক্রি হয়েছিল প্রতি কার্টন ৪ হাজার ৫০০ টাকা, এখন তা ৫ হাজার ৪০০ টাকায় উঠেছে। চায়না কমলা বিক্রি হয়েছিল প্রতি কার্টন (৮-৯ কেজি) ৩ হাজার ১০০ টাকা, এখন তা ৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাল্টা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কার্টন (১৪-১৫ কেজি) ৩ হাজার ৫০০ টাকা, যা আগে ছিল ৩ হাজার ১০০ টাকা।
ফলের দাম এভাবে বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে এত দিন যাঁরা ফল খেতেন, তাঁদের সামর্থ্যে টান পড়েছে। হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকে ফল কেনা বন্ধ করেছেন, অনেকে পরিমাণে কম কিনছেন। এতে ফলের বিক্রি ৫০ শতাংশ কমে গেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি করা ফলের বাজারে যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা বসিয়েছে সরকার। ২০২২ সালে মে মাসে আমদানি করা ফলকে বিলাস পণ্য ঘোষণা দিয়ে আমদানি শুল্ক, ভ্যাট ও করের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বসায় সরকার। এবার সেই শুল্ক আরেক দফা বাড়ানো হলো। এই সিদ্ধান্তের ফলে ইতিমধ্যে আমদানি করা ফল বন্দর থেকে খালাস করতে আগের তুলনায় কেজিতে ৪৫ টাকা পর্যন্ত বাড়তি খরচ হচ্ছে। এতে দামও বাড়াতে হচ্ছে। দাম বাড়ার কারণে বিক্রি কমে যাওয়ার পচনশীল পণ্য ফলের মজুত নিয়ে বিপাকে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। বিক্রি না হওয়ার ভয়ে অনেকে আমদানি বন্ধ করে দিচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে আগামী রমজান মাসে দেশে চাহিদার বিপরীতে ফলের সরবরাহ ঘাটতি দেখা দেবে।
আমদানিকারকেরা জানিয়েছেন, রমজানকে সামনে রেখে এনবিআরের কাছে তাঁদের দাবি ছিল যাতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, আমদানি শুল্ক ও অগ্রিম কর—সব মিলিয়ে অন্তত ৩০ শতাংশ কর ছাড় দেওয়া হোক। রমজানে যেহেতু দেশীয় ফলের কোনো মৌসুম থাকবে না, তাই শুল্ক ছাড় দিলে আমদানি করা ফল রমজানের চাহিদা পূরণ করতে পারত। কিন্তু সরকার উল্টো শুল্ক আরও বাড়িয়েছে।
নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর ফলে প্রতি কেজি আপেল, কমলা ও মাল্টায় শুল্ক বেড়েছে ১৬ টাকা ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে তা ২০ টাকার বেশি হয়। এ ছাড়া আঙুর ও আনারে বেড়েছে ২৫-৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গরিব মানুষের কথা চিন্তা করে আমরা মাসখানেক আগে শুল্ক কমানোর জন্য রাজস্ব বোর্ডে চিঠি দিয়েছিলাম। যাতে রমজানে ফলের দামটা কম থাকে। কিন্তু সরকার উল্টো দাম আরও বাড়াল। এই সিদ্ধান্তের কারণে অনেক আমদানিকারকই লোকসানে পড়েছেন। এমন অবস্থায় নতুন করে ফল আমদানিতে সাহস পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। এর প্রভাব রমজানে অবশ্যই পড়বে।
খাদ্যপণ্য হওয়া সত্ত্বেও বিদেশি ফলকে ২০১২ সালে বিলাস পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এই সিদ্ধান্তের পর প্রতিবছর বাজেটে আমদানি ফলের ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ানো হয়। ২০২২ সালের মে মাস পর্যন্ত আমদানি করা সব ধরনের ফলে ২৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি (আমদানি শুল্ক), ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর এবং ৪ শতাংশ অ্যাডভান্স ট্রেড ভ্যাট ছিল।
বাংলাদেশে ডলার-সংকটের মধ্যে গত বছরের মে মাসে সব ধরনের বিদেশি ফল আমদানিতে নতুন করে ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বা রেগুলেটরি ডিউটি আরোপ করেছিল এনবিআর। তাতে সব মিলিয়ে ফল আমদানিতে শুল্ক-কর বেড়ে দাঁড়ায় ১১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। দুই বছরের মধ্যে আবারও শুল্ক ১০-১৫ শতাংশ বাড়ানো হলো।
আমদানিতে ব্যয় বাড়ার প্রভাব ইতিমধ্যে খুচরায়ও পড়েছে। গত বুধবার রাজধানীর রামপুরা বাজারে প্রতি কেজি আপেল (ফুজি) বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকায়, যা চার-পাঁচ দিন আগে ছিল ২৮০ টাকা। ভারতীয় কমলা বিক্রি হয়েছে ২৮০–২৯০ টাকা কেজি, আগে যা ছিল ২৬০–২৭০ টাকা কেজি। মাল্টা বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকা কেজি, যা আগে ছিল ২৬০ টাকা কেজি। চায়না কমলা বিক্রি হয়েছে ৩৫০ টাকা কেজি, যা ছিল ৩২০ টাকা কেজি। কালো আঙুর ৫৫০ টাকা, আগে ছিল ৫০০ টাকা কেজি। সাদা আঙুর ৪৬০ টাকা, আগে ছিল ৪০০ টাকা কেজি এবং লাল আঙুর ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে, যা আগে ছিল ৫০০ টাকা কেজি।
ফল বিক্রেতা মো. রুবেল বলেন, ‘ফলের পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয়। তবে দাম বাড়লে আমার জন্যও ক্ষতি। কারণ প্রতিবার দাম বাড়লেই বিক্রি কমে যায়। মানুষ প্রতিদিনের খাবার খেয়ে ও অন্যান্য খরচ দিয়ে যে বাড়তি টাকা থাকে, তা দিয়ে ফল কিনে খায়। এখন সব জিনিসের দাম বেড়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা এমনিতেই কমে গেছে, আবার ফলের দাম বাড়ায় আমাদের বিক্রি প্রায় অর্ধেকে নেমেছে।’
রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাজারের ক্রেতা মাহবুবা আলম বলেন, সারা বছরই এখন ডেঙ্গুসহ নানা রোগ-বালাই লেগে রয়েছে, যার জন্য ফল একধরনের পথ্য হিসেবে ব্যবহার হয়। দাম বাড়ার পর অনেকেই ফলের ক্রয়ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। আগামী রমজানে অনেক মানুষকে ফল ছাড়াই ইফতার করতে হবে। কারণ তখন দেশি ফলের কোনো মৌসুম নেই। এতে অনেক রোজাদার ভিটামিনের ঘাটতিতে পড়বেন।
বিদেশ থেকে ৩৮ ধরনের ফল আমদানি করা হয়। এর মধ্যে আমদানির ৯৫ শতাংশই আপেল, মাল্টা, কমলা, আঙুর ও আনার। বাকি ৫ শতাংশ ফলের মধ্যে রয়েছে নাশপাতি, কিনো, কতবেল, অ্যাভোকাডো, রামবুটান, কিউই ইত্যাদি।
এনবিআর জানিয়েছেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিদেশি ফল আমদানি ১০ হাজার টন কমেছে। গত অর্থবছরে ফল আমদানি হয়েছে ৫ লাখ ৮৯ হাজার টন।
চার-পাঁচ বছর আগেও ৩৫টি দেশ থেকে ফল আমদানি করা হতো। এখন আমদানি করা হয় ২২টি দেশ থেকে ফল আমদানি করা হলেও সিংহভাগ আসে চীন ও ভারত থেকে। ফল আমদানির তৃতীয় উৎস দেশ আফ্রিকা। এ ছাড়া মিসর, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসছে নানা ধরনের বৈচিত্র্যময় ফল।
মৌলভীবাজারের শুকনো ফল আমদানিকারক হাজি এনায়েতুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, রমজানের খুব কাছে এসে যখন সব দেশ বাজারে চাহিদার পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে চায়, সেখানে আমাদের দেশের সরকার কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। কর্মচারীদের বাড়তি বেতনের টাকা জোগাড় করতেই সরকার মূলত এমন আগ্রাসী হয়ে উঠেছে।

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি প্রায় গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি মাসের মধ্যে প্রাক্-প্রস্তুতি শেষ করে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার চিন্তা আছে কমিশনের।
১৫ মিনিট আগে
আওয়ামী লীগের সময় অপহরণ ও গুমের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কারাগারে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে লড়বেন না ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন।
১ ঘণ্টা আগে
রোববার সকালে রাজশাহী লিগ্যাল এইড অফিসে বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে অধ্যাদেশ জারির বাধ্যবাধকতা না থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বিষয়ে আদেশ জারি করতে পারেন বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অধ্যাদেশ জারির ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে আগামী ১৩ নভেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ রোববার ইসির পরিচালক জনসংযোগ মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘১৩ নভেম্বর থেকে দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সকাল ও বিকেলে দুই বেলা করে সংলাপ হবে। তবে কোন দলের সঙ্গে কখন বসা হবে, সেটি এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।’
আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে ইসি। এবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরুর আয়োজন চলছে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি প্রায় গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি মাসের মধ্যে প্রাক্-প্রস্তুতি শেষ করে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার চিন্তা আছে কমিশনের।
তবে গণভোটের বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেনি সাংবিধানিক এই সংস্থা। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে ইসি।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে আগামী ১৩ নভেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ রোববার ইসির পরিচালক জনসংযোগ মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘১৩ নভেম্বর থেকে দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সকাল ও বিকেলে দুই বেলা করে সংলাপ হবে। তবে কোন দলের সঙ্গে কখন বসা হবে, সেটি এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।’
আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে ইসি। এবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরুর আয়োজন চলছে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি প্রায় গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি মাসের মধ্যে প্রাক্-প্রস্তুতি শেষ করে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার চিন্তা আছে কমিশনের।
তবে গণভোটের বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেনি সাংবিধানিক এই সংস্থা। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে ইসি।

নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর কারণে আবার অস্থির হয়ে উঠেছে ফলের বাজার। গত পাঁচ দিনে আপেল, কমলা, মাল্টা, আঙুরসহ প্রায় সব ধরনের বিদেশি ফলের দাম পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে কেজিপ্রতি ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে এসব ফলের বিক্রি প্রায় অর্ধেক কমে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
আওয়ামী লীগের সময় অপহরণ ও গুমের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কারাগারে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে লড়বেন না ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন।
১ ঘণ্টা আগে
রোববার সকালে রাজশাহী লিগ্যাল এইড অফিসে বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে অধ্যাদেশ জারির বাধ্যবাধকতা না থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বিষয়ে আদেশ জারি করতে পারেন বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অধ্যাদেশ জারির ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আওয়ামী লীগের সময় অপহরণ ও গুমের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কারাগারে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে লড়বেন না ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন।
আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ নিজের নাম প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আদালত থেকে বের হয়ে সারওয়ার হোসেন বলেন, ‘১৫ জন সেনা কর্মকর্তার পক্ষে আমরা পাঁচজন আইনজীবী ওকালতনামার সাবমিট করেছিলাম ২২ অক্টোবর। পরবর্তীতে দেখলাম আমি নিজে একটি অভিযোগ করেছিলাম। সেই অভিযোগের আসামি, এই মামলারও আসামি।’
তিনি বলেন, ‘প্রফেশনাল এথিকস অ্যান্ড কনডাক্ট (পেশাগত নৈতিকতা ও আচরণবিধি) অনুযায়ী আমার ডিফেন্স আইনজীবী হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সেই প্রফেশনাল কনডাক্ট এবং এথিকস অনুযায়ী এবং আইসিটি বিধি অনুযায়ী আজকে একটা আবেদন করেছি। ট্রাইব্যুনাল সেই আবেদন গ্রহণ করেছেন।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা তিনটির মধ্যে দুটি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনার। অন্যটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ সম্পর্কিত। এসব মামলায় সাবেক ও বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৩২ জন আসামি। তাঁদের মধ্যে ১৫ সেনা কর্মকর্তা বর্তমানে ঢাকা সেনানিবাসে ঘোষিত সাবজেলে রয়েছেন।
গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা দুটি মামলার একটিতে আসামি ১৭ জন। তাঁদের মধ্যে র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (এখন অবসরকালীন ছুটিতে), র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম এখন কারাগারে রয়েছেন।
আসামিদের মধ্যে র্যাবের সাবেক তিনজন মহাপরিচালকও আছেন। তাঁরা হলেন—বেনজীর আহমেদ (পরে আইজিপি হন), এম খুরশিদ হোসেন ও মো. হারুন-অর-রশিদ। তাঁরা পলাতক। এ মামলার আসামির তালিকায় থাকা শেখ হাসিনা, সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও র্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলাম পলাতক।
গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেকটি মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে রেদোয়ানুল ও রাফাত এখন সেনানিবাসের সাবজেলে আছেন। বাকি দুই আসামি পলাতক।

আওয়ামী লীগের সময় অপহরণ ও গুমের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কারাগারে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে লড়বেন না ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন।
আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ নিজের নাম প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আদালত থেকে বের হয়ে সারওয়ার হোসেন বলেন, ‘১৫ জন সেনা কর্মকর্তার পক্ষে আমরা পাঁচজন আইনজীবী ওকালতনামার সাবমিট করেছিলাম ২২ অক্টোবর। পরবর্তীতে দেখলাম আমি নিজে একটি অভিযোগ করেছিলাম। সেই অভিযোগের আসামি, এই মামলারও আসামি।’
তিনি বলেন, ‘প্রফেশনাল এথিকস অ্যান্ড কনডাক্ট (পেশাগত নৈতিকতা ও আচরণবিধি) অনুযায়ী আমার ডিফেন্স আইনজীবী হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সেই প্রফেশনাল কনডাক্ট এবং এথিকস অনুযায়ী এবং আইসিটি বিধি অনুযায়ী আজকে একটা আবেদন করেছি। ট্রাইব্যুনাল সেই আবেদন গ্রহণ করেছেন।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা তিনটির মধ্যে দুটি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনার। অন্যটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ সম্পর্কিত। এসব মামলায় সাবেক ও বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৩২ জন আসামি। তাঁদের মধ্যে ১৫ সেনা কর্মকর্তা বর্তমানে ঢাকা সেনানিবাসে ঘোষিত সাবজেলে রয়েছেন।
গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা দুটি মামলার একটিতে আসামি ১৭ জন। তাঁদের মধ্যে র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (এখন অবসরকালীন ছুটিতে), র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম এখন কারাগারে রয়েছেন।
আসামিদের মধ্যে র্যাবের সাবেক তিনজন মহাপরিচালকও আছেন। তাঁরা হলেন—বেনজীর আহমেদ (পরে আইজিপি হন), এম খুরশিদ হোসেন ও মো. হারুন-অর-রশিদ। তাঁরা পলাতক। এ মামলার আসামির তালিকায় থাকা শেখ হাসিনা, সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও র্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলাম পলাতক।
গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেকটি মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে রেদোয়ানুল ও রাফাত এখন সেনানিবাসের সাবজেলে আছেন। বাকি দুই আসামি পলাতক।

নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর কারণে আবার অস্থির হয়ে উঠেছে ফলের বাজার। গত পাঁচ দিনে আপেল, কমলা, মাল্টা, আঙুরসহ প্রায় সব ধরনের বিদেশি ফলের দাম পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে কেজিপ্রতি ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে এসব ফলের বিক্রি প্রায় অর্ধেক কমে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি প্রায় গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি মাসের মধ্যে প্রাক্-প্রস্তুতি শেষ করে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার চিন্তা আছে কমিশনের।
১৫ মিনিট আগে
রোববার সকালে রাজশাহী লিগ্যাল এইড অফিসে বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে অধ্যাদেশ জারির বাধ্যবাধকতা না থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বিষয়ে আদেশ জারি করতে পারেন বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অধ্যাদেশ জারির ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের ওপর বা সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে কিছু কথা বলে। এসব দেখে মনে হতে পারে, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা বা আশঙ্কা রয়েছে। তবে নির্বাচনের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বিমত নেই।
আজ রোববার সকালে রাজশাহী লিগ্যাল এইড অফিসে বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার কোনো কারণ দেখি না। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের এখানে ১৬-১৭ বছর ধরে নির্বাচন হয় না, ইলেকশনের অভ্যাসটাই চলে গেছে। অনেক মানুষ আছে, বয়স ৩২-৩৪ হয়ে গেছে, কিন্তু জীবনে একবারও ভোট দিতে পারে নাই। প্রায় ৫ কোটি মানুষ কখনো ভোট দিতে পারে নাই। এটা কত ইমপর্টেন্ট! আমি যেখানে যাই পোস্টার দেখতে পাচ্ছি। মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখতে পাচ্ছি।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কার কোনো কারণ দেখি না। রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য বা আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য কিছু কিছু কথা বলে, আবার কিছু কথা হয়তো জেনুইনলি বলে। সবকিছু শুনে হয়তো মনে হয়, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা বা আশঙ্কা রয়েছে। আমি দৃঢ়কণ্ঠে বলতে চাই, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনকে বিলম্বিত করার কোনো ইস্যু আছে বলে মনে করি না। আমরা বিশ্বাস করি, অবশ্যই ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটার কোনো দ্বিতীয় চিন্তা বা নির্বাচন না হলে কী হবে, এই ধরনের চিন্তা আমরা মাথায় রাখছি না। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যে যা-ই বলুক না কেন, তারা নির্বাচনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। তাদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ আনতে যা যা করণীয়, আমরা করব।’
আসামিদের জামিন প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘জামিন দেওয়া শুধু বিচারকের ওপর নির্ভর করে না। পুলিশ কী রিপোর্ট দিচ্ছে, তার ওপরও নির্ভর করে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে কিংবা কণ্ঠ শোনা গেছে, এ রকম হলে ব্যতিক্রম হয়। যেখানে জামিন পাওয়ার যোগ্য, সেখানে জামিন পেতেই পারে। তবে যারা জামিন পেয়ে একই ধরনের অপরাধ করতে পারে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও পরিবেশ বিনষ্ট করতে পারে, নিষিদ্ধ কোনো সংগঠনের সদস্য হয়ে তৎপরতা চালাতে পারে, তাদের যদি বেশি জামিন হয়, সে ক্ষেত্রে আমরা আতঙ্কিত হব।’
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘একজন বিচারকের জায়গায় আদালতে তিনজন বিচারক দেওয়া হচ্ছে, যাতে মামলার চাপ কমে। আদালত সংস্কারে আমরা নানান উদ্যোগ নিচ্ছি। সুফল অবশ্যই জনগণ পাবে।’

রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের ওপর বা সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে কিছু কথা বলে। এসব দেখে মনে হতে পারে, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা বা আশঙ্কা রয়েছে। তবে নির্বাচনের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বিমত নেই।
আজ রোববার সকালে রাজশাহী লিগ্যাল এইড অফিসে বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার কোনো কারণ দেখি না। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের এখানে ১৬-১৭ বছর ধরে নির্বাচন হয় না, ইলেকশনের অভ্যাসটাই চলে গেছে। অনেক মানুষ আছে, বয়স ৩২-৩৪ হয়ে গেছে, কিন্তু জীবনে একবারও ভোট দিতে পারে নাই। প্রায় ৫ কোটি মানুষ কখনো ভোট দিতে পারে নাই। এটা কত ইমপর্টেন্ট! আমি যেখানে যাই পোস্টার দেখতে পাচ্ছি। মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখতে পাচ্ছি।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কার কোনো কারণ দেখি না। রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য বা আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য কিছু কিছু কথা বলে, আবার কিছু কথা হয়তো জেনুইনলি বলে। সবকিছু শুনে হয়তো মনে হয়, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা বা আশঙ্কা রয়েছে। আমি দৃঢ়কণ্ঠে বলতে চাই, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনকে বিলম্বিত করার কোনো ইস্যু আছে বলে মনে করি না। আমরা বিশ্বাস করি, অবশ্যই ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটার কোনো দ্বিতীয় চিন্তা বা নির্বাচন না হলে কী হবে, এই ধরনের চিন্তা আমরা মাথায় রাখছি না। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যে যা-ই বলুক না কেন, তারা নির্বাচনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। তাদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ আনতে যা যা করণীয়, আমরা করব।’
আসামিদের জামিন প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘জামিন দেওয়া শুধু বিচারকের ওপর নির্ভর করে না। পুলিশ কী রিপোর্ট দিচ্ছে, তার ওপরও নির্ভর করে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে কিংবা কণ্ঠ শোনা গেছে, এ রকম হলে ব্যতিক্রম হয়। যেখানে জামিন পাওয়ার যোগ্য, সেখানে জামিন পেতেই পারে। তবে যারা জামিন পেয়ে একই ধরনের অপরাধ করতে পারে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও পরিবেশ বিনষ্ট করতে পারে, নিষিদ্ধ কোনো সংগঠনের সদস্য হয়ে তৎপরতা চালাতে পারে, তাদের যদি বেশি জামিন হয়, সে ক্ষেত্রে আমরা আতঙ্কিত হব।’
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘একজন বিচারকের জায়গায় আদালতে তিনজন বিচারক দেওয়া হচ্ছে, যাতে মামলার চাপ কমে। আদালত সংস্কারে আমরা নানান উদ্যোগ নিচ্ছি। সুফল অবশ্যই জনগণ পাবে।’

নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর কারণে আবার অস্থির হয়ে উঠেছে ফলের বাজার। গত পাঁচ দিনে আপেল, কমলা, মাল্টা, আঙুরসহ প্রায় সব ধরনের বিদেশি ফলের দাম পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে কেজিপ্রতি ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে এসব ফলের বিক্রি প্রায় অর্ধেক কমে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি প্রায় গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি মাসের মধ্যে প্রাক্-প্রস্তুতি শেষ করে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার চিন্তা আছে কমিশনের।
১৫ মিনিট আগে
আওয়ামী লীগের সময় অপহরণ ও গুমের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কারাগারে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে লড়বেন না ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে অধ্যাদেশ জারির বাধ্যবাধকতা না থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বিষয়ে আদেশ জারি করতে পারেন বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অধ্যাদেশ জারির ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেতানিম আহমেদ, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে অধ্যাদেশ জারির বাধ্যবাধকতা না থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বিষয়ে আদেশ জারি করতে পারেন বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অধ্যাদেশ জারির ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে।
সংসদ কার্যকর না থাকায় অধ্যাদেশ জারির ক্ষমতা এখন রাষ্ট্রপতির হাতে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের অধ্যাদেশ চায় না। কাজেই প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে আদেশ জারির পথেই সরকার এগোচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
তবে বিএনপি আবার আদেশ জারির বিরোধিতা করছে। জুলাই সনদ নিয়ে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করলে তার ওপর গণভোট হতে পারে বলে মত দিয়েছে দলটি।
সূত্র জানায়, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ কীভাবে জারি করা হবে, আইনি কাঠামোর মধ্য থেকে সে পথ বের করার উপায় খুঁজছে সরকার। এক্ষেত্রে গণ-অভ্যুত্থানের পর বিশেষ পরিস্থিতিতে জনগণের অভিপ্রায়কে প্রাধান্য দেওয়ার চিন্তা চলছে।
জুলাই সনদের খসড়ায় সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদবলে আপিল বিভাগের মতামতের আলোকে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলা ছিল। কিন্তু চূড়ান্ত জুলাই সনদে এই অংশটুকু বাদ দিয়ে বলা হয়েছে, গণ-অভ্যুত্থানের পর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এর মধ্য দিয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে জনগণের অভিপ্রায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
ঐকমত্য কমিশন তাদের সুপারিশে বলেছে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন করতে একটি আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করা একান্ত প্রয়োজন। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে সরকারকে এই আদেশ জারির সুপারিশ করেছে কমিশন।
সরকারের কয়েকটি সূত্র বলছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে কীভাবে এই আদেশ জারি করা যায়, তা নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। আইনি জটিলতা না থাকলে প্রধান উপদেষ্টা এই আদেশ জারি করবেন। তবে আদেশটি রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে জারি করা যায় কি না, এখনো সে বিষয়টি ভাবনার মধ্যে রয়েছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যাতে নতুন কোনো বিভেদ সৃষ্টি না হয়, তা মাথায় রাখছে সরকার।
গত ২৭ অক্টোবর সরকারের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ জমা দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ নামে আদেশ জারির সুপারিশ করে কমিশন। সেখানে আদেশে থাকা সংবিধান-সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে গণভোট এবং আগামী সংসদের দ্বৈত ভূমিকা পালনের মাধ্যমে সংবিধান-সম্পর্কিত সুপারিশগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের ৮৪টি সুপারিশের মধ্যে ৪৭টি সংবিধান-সম্পর্কিত।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারির পাশাপাশি বাস্তবায়নের দুটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গণভোটে বিষয়টি পাস হলে সংসদের প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে এসব সংস্কার শেষ করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে শেষ না করলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে। দ্বিতীয় প্রস্তাবে সংবিধান সংস্কার পরিষদকে গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হলেও প্রথম অধিবেশন শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার শেষ করতে হবে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ কীভাবে জারি করা যাবে, তা সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এই কোনো অধ্যাদেশ নয়, আবার সংসদ দ্বারা তৈরি কোনো আইনও নয়।
জানতে চাইলে ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির আইনগত কিছু নেই। যেহেতু বর্তমান সরকার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে, সেই অনুযায়ী আদেশ জারির বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা। সরকার যেভাবে চায়, সেভাবে জারি করতে পারে। সরকার যদি মনে করে প্রধান উপদেষ্টা এটি জারি করবেন, সেটা পারবেন। আবার সরকার যদি মনে করে রাষ্ট্রপতি এটা জারি করবেন, সেটাও হতে পারে। এ ক্ষমতাটা সরকারের।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য এই আদেশ জারি করতে হবে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে গণ-অভ্যুত্থানের প্রতীক হিসেবে প্রধান উপদেষ্টাকে বেশি ধারক বলা যায়, তাই তিনি এই আদেশ জারি করতে পারেন। এক্ষেত্রে আইনি কোনো ঝামেলা নেই, কারণ এটি অধ্যাদেশ নয়।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে অধ্যাদেশ জারির বাধ্যবাধকতা না থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বিষয়ে আদেশ জারি করতে পারেন বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, অধ্যাদেশ জারির ক্ষেত্রে জটিলতা রয়েছে।
সংসদ কার্যকর না থাকায় অধ্যাদেশ জারির ক্ষমতা এখন রাষ্ট্রপতির হাতে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের অধ্যাদেশ চায় না। কাজেই প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে আদেশ জারির পথেই সরকার এগোচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
তবে বিএনপি আবার আদেশ জারির বিরোধিতা করছে। জুলাই সনদ নিয়ে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করলে তার ওপর গণভোট হতে পারে বলে মত দিয়েছে দলটি।
সূত্র জানায়, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ কীভাবে জারি করা হবে, আইনি কাঠামোর মধ্য থেকে সে পথ বের করার উপায় খুঁজছে সরকার। এক্ষেত্রে গণ-অভ্যুত্থানের পর বিশেষ পরিস্থিতিতে জনগণের অভিপ্রায়কে প্রাধান্য দেওয়ার চিন্তা চলছে।
জুলাই সনদের খসড়ায় সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদবলে আপিল বিভাগের মতামতের আলোকে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলা ছিল। কিন্তু চূড়ান্ত জুলাই সনদে এই অংশটুকু বাদ দিয়ে বলা হয়েছে, গণ-অভ্যুত্থানের পর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এর মধ্য দিয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে জনগণের অভিপ্রায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
ঐকমত্য কমিশন তাদের সুপারিশে বলেছে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন করতে একটি আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করা একান্ত প্রয়োজন। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে সরকারকে এই আদেশ জারির সুপারিশ করেছে কমিশন।
সরকারের কয়েকটি সূত্র বলছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে কীভাবে এই আদেশ জারি করা যায়, তা নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। আইনি জটিলতা না থাকলে প্রধান উপদেষ্টা এই আদেশ জারি করবেন। তবে আদেশটি রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে জারি করা যায় কি না, এখনো সে বিষয়টি ভাবনার মধ্যে রয়েছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যাতে নতুন কোনো বিভেদ সৃষ্টি না হয়, তা মাথায় রাখছে সরকার।
গত ২৭ অক্টোবর সরকারের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ জমা দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ নামে আদেশ জারির সুপারিশ করে কমিশন। সেখানে আদেশে থাকা সংবিধান-সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে গণভোট এবং আগামী সংসদের দ্বৈত ভূমিকা পালনের মাধ্যমে সংবিধান-সম্পর্কিত সুপারিশগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের ৮৪টি সুপারিশের মধ্যে ৪৭টি সংবিধান-সম্পর্কিত।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারির পাশাপাশি বাস্তবায়নের দুটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গণভোটে বিষয়টি পাস হলে সংসদের প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে এসব সংস্কার শেষ করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে শেষ না করলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে। দ্বিতীয় প্রস্তাবে সংবিধান সংস্কার পরিষদকে গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হলেও প্রথম অধিবেশন শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার শেষ করতে হবে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ কীভাবে জারি করা যাবে, তা সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এই কোনো অধ্যাদেশ নয়, আবার সংসদ দ্বারা তৈরি কোনো আইনও নয়।
জানতে চাইলে ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির আইনগত কিছু নেই। যেহেতু বর্তমান সরকার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে, সেই অনুযায়ী আদেশ জারির বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা। সরকার যেভাবে চায়, সেভাবে জারি করতে পারে। সরকার যদি মনে করে প্রধান উপদেষ্টা এটি জারি করবেন, সেটা পারবেন। আবার সরকার যদি মনে করে রাষ্ট্রপতি এটা জারি করবেন, সেটাও হতে পারে। এ ক্ষমতাটা সরকারের।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য এই আদেশ জারি করতে হবে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে গণ-অভ্যুত্থানের প্রতীক হিসেবে প্রধান উপদেষ্টাকে বেশি ধারক বলা যায়, তাই তিনি এই আদেশ জারি করতে পারেন। এক্ষেত্রে আইনি কোনো ঝামেলা নেই, কারণ এটি অধ্যাদেশ নয়।

নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর কারণে আবার অস্থির হয়ে উঠেছে ফলের বাজার। গত পাঁচ দিনে আপেল, কমলা, মাল্টা, আঙুরসহ প্রায় সব ধরনের বিদেশি ফলের দাম পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে কেজিপ্রতি ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে এসব ফলের বিক্রি প্রায় অর্ধেক কমে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি প্রায় গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি মাসের মধ্যে প্রাক্-প্রস্তুতি শেষ করে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার চিন্তা আছে কমিশনের।
১৫ মিনিট আগে
আওয়ামী লীগের সময় অপহরণ ও গুমের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কারাগারে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে লড়বেন না ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন।
১ ঘণ্টা আগে
রোববার সকালে রাজশাহী লিগ্যাল এইড অফিসে বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
১ ঘণ্টা আগে