আয়নাল হোসেন, ঢাকা

২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছয় মাসে ১২০টি নতুন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এই ছয় মাসের মধ্যে মোট কর্মদিবস ছিল ১০৩টি। সেই হিসাবে দিনে গড়ে একটির বেশি কারখানা অনুমোদন পেয়েছে, যার বড় অংশই ইউনানি, হারবাল ও আয়ুর্বেদিক।
হঠাৎ এত বেশি ওষুধ কারখানা অনুমোদন নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে। দীর্ঘদিন ধরে এ খাতের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করছেন, কিছু মানুষ কালোটাকা বিনিয়োগ এবং ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নেওয়ার জন্যই কারখানার অনুমোদন নিয়ে থাকতে পারেন। কেউ হয়তো গ্রামাঞ্চলে তৈরি হওয়া বাজার ধরতে নতুন কারখানা গড়ছেন, আবার অনেকে প্রতিবেশী দেশের গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার দেখে বাংলাদেশও আয়ুর্বেদিক ওষুধের বড় বাজার হবে বলে মনে করছেন।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঔষধ ও কসমেটিকস আইন পাস হওয়ার পর অনেকে নতুন প্রকল্প নিচ্ছেন। অনেকের ওষুধের ব্যবসা রয়েছে। তাঁরা নতুন করে ইউনানি, হারবাল ও আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এ কারণে নতুন প্রকল্প বেশি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
দেশে বর্তমানে সব ধরনের ওষুধ তৈরির প্রতিষ্ঠান রয়েছে হাজারখানেক। অ্যালোপ্যাথিক কোম্পানিগুলোর মধ্যেও ৩০-৪০টি প্রতিষ্ঠান চাহিদার মান ঠিক রেখে চাহিদার ৯৫ শতাংশ ওষুধ তৈরি করছে। অন্যগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক; বিশেষ করে বিকল্প ওষুধের ক্ষেত্রে খুবই সমস্যা হচ্ছে। এগুলোর গুণমান ও দাম—কোনোটিই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে নতুন প্রকল্প অনুমোদনের কোনো প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন ওষুধশিল্পের মালিক ও বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এস এম সফিউজ্জামান বলেন, নতুন প্রকল্প অনুমোদনের সময় অনেকে জমি ভাড়া নিয়ে নিজেদের বলে চালিয়ে দিচ্ছেন। দেশে এত ওষুধ কারখানা অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।
ওষুধের মান খারাপ হলেও পার পেয়ে যাওয়া এবং কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ থাকায় ওষুধ কারখানা অনুমোদন নেওয়ার হিড়িক পড়েছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি অ্যান্ড ফার্মাকোলজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মনীর উদ্দিন আহমেদ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, দেশে অবৈধ পন্থায় উপার্জনকারী কালোটাকার মালিকেরা নতুনভাবে ওষুধে বিনিয়োগ করছেন। ওষুধের মান খারাপ দিলে সাধারণ মানুষ চ্যালেঞ্জ করতে পারে না। ওষুধ কোম্পানিগুলো দেশের মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিচ্ছে। তারা আগ্রাসী বিনিয়োগ করছে এবং কমিশন-বাণিজ্যের মাধ্যমে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা চিকিৎসকদের পকেটে দিচ্ছে।
মনীর উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, দেশে মোট ওষুধের ৯২-৯৫ শতাংশ উৎপাদন করছে ৩০-৪০টি কোম্পানি। অবশিষ্ট ওষুধ তৈরি করছে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান। দেশে বর্তমানে ৯৮ শতাংশ ওষুধ তৈরি হচ্ছে। নতুন করে আর কোম্পানির দরকার নেই।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের গত ৫ বছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ওষুধ কারখানার অনুমোদন পেয়েছে গত নভেম্বর থেকে এপ্রিলে। অধিদপ্তর ২০২০ সালে ২০টি, ২০২১ সালে ২৪টি, ২০২২ সালে ২৯টি, ২০২৩ সালে ৭৫টি এবং ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৬০টি কারখানার অনুমোদন দেয়।
২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রকল্প অনুমোদন কমিটির ১১৩তম সভায় ৬৫টি নতুন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। আর চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল ১১৪তম সভায় অনুমোদন দেওয়া হয় ৫৫টি নতুন কারখানার। এসব নতুন কারখানার মধ্যে ২৫টি অ্যালোপ্যাথিক, ৬৫টি হারবাল, ১৩টি ইউনানি, হোমিওপ্যাথি ৪টি, আয়ুর্বেদিক ৭টি, মেডিকেল ডিভাইস ২টি, কসমেটিকস ২টি ও ১টি ফিড কারখানা রয়েছে।
সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ঢাকা জেলায়। ঢাকায় ১৪টি হারবাল, ২টি অ্যালোপ্যাথিক, ১টি ইউনানি, ২টি হোমিওসহ মোট ১৯টি কারখানার অনুমোদন পেয়েছে এ সময়ে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কারখানা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বগুড়ায়। সেখানে হারবাল ৮টি, আয়ুর্বেদিক ৩টি, ইউনানি ৩টি ও অ্যালোপ্যাথিক ২টিসহ মোট ১৬টি কারখানা অনুমোদন পায়। এ ছাড়া গাজীপুরে ৫টি হারবাল ও ৬টি অ্যালোপ্যাথিক মিলিয়ে মোট ১১টি, নারায়ণগঞ্জে ১টি আয়ুর্বেদিক, ২টি হারবাল এবং ১টি করে অ্যালোপ্যাথিক ও ইউনানি কারখানা অনুমোদন পেয়েছে।
বগুড়ায় এক ওষুধ ব্যবসায়ী নিজের এবং আত্মীয়স্বজনের নামে ৮টি কারখানা অনুমোদন নিয়ে রেখেছেন বলে জানা গেছে। জেলাটিতে নতুনভাবে অনুমোদন পাওয়া একটি আয়ুর্বেদিক কোম্পানির মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তালিকাভুক্ত। ওষুধ প্রশাসন থেকে প্রকল্প অনুমোদন দেখিয়ে আমরা চাইলে ব্যাংক থেকে চাহিদা অনুযায়ী ঋণ নিতে পারব।’
রাজশাহীতে অনুমোদন পাওয়া মেসার্স এভালন হারবাল অ্যান্ড নিউট্রাসিউটিক্যালস কারখানায় গত বুধবার বিকেলে গিয়ে দেখা গেছে, পাঁচতলা ভবনের সামনে ‘মুসলিম মেডিল্যাব’ নামে রাঙাপরি গ্রুপের একটি ওষুধ কোম্পানির সাইনবোর্ড। এভালন হারবাল অ্যান্ড নিউট্রাসিউটিক্যালসের লাইসেন্স নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মাসুম সরকার বলেন, চালু কারখানায় বাড়তি দেড় থেকে আড়াই হাজার বর্গফুট জায়গা থাকলে হারবালের লাইসেন্স নেওয়া যায়। ঔষধ প্রশাসন প্রাথমিকভাবে অনুমোদন পেলেও সবাই উৎপাদনে আসতে পারে না।
হারবাল প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনসি দারুল ইসলাম বলেন, দেশে ওষুধে আগ্রাসী বিনিয়োগ হচ্ছে। চাহিদা ও উৎপাদনের সঙ্গে কোনো মিল নেই। প্রকল্প অনুমোদন নিয়ে ব্যাংকঋণ নেবে। ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশে ওষুধ উৎপাদনকারী মার্কেটিং করে না। সেখানে দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হচ্ছে। দেশে এটি করা হলে দুর্বল কোম্পানিগুলো সবল হতো।
ঔষধ প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ কারখানা রয়েছে ৩১৫টি। এগুলোর মধ্যে বন্ধ রয়েছে ৬৪টি। ইউনানি ২৮৭টির মধ্যে বন্ধ ১৯টি। আয়ুর্বেদিক ২০৫টির মধ্যে ১৬টি, হারবাল ৪৪টির মধ্যে ৩টি এবং হোমিও ৭১টির মধ্যে বন্ধ রয়েছে ১৭টি। অর্থাৎ ৯২২টি কারখানার মধ্যে বন্ধ রয়েছে ১১৯টি। এসব কারখানা দেখভাল করার মতো পর্যাপ্ত জনবল অধিদপ্তরের নেই।
ছয় মাসে ১২০টি নতুন কারখানা অনুমোদন দেওয়াকে লুটপাট বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ হেলথ কনজ্যুমারস রাইট ফোরাম। সংগঠনের সদস্যসচিব ইবনুল সাঈদ রানা বলেন, সরকারের দুর্বলতায় ঔষধ প্রশাসনে লুটপাট চলছে, যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। এসব অনিয়ম জনগণের সামনে তুলে ধরার অনুরোধ করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক আব্দুল হামিদ বলেন, দেশে বর্তমানে ওষুধের চাহিদা কী পরিমাণ রয়েছে, কত উৎপাদিত হচ্ছে, তার একটি মূল্যায়ন করে নতুন কারখানা অনুমোদন দেওয়া দরকার। চাহিদার তুলনায় বেশি ওষুধ তৈরি হলে আগ্রাসী বাণিজ্য এবং পুশ সেল বাড়বে।
ঔষধ প্রশাসনের অনিয়ম নিয়ে ২০১৫ সালে গবেষণা চালায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ (টিআইবি)। প্রকল্প স্থানান্তর বা হস্তান্তরের সময় ১৫ লাখ, ছাড়পত্রে ৫-১০ লাখ, লাইসেন্স নবায়নে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ, রেসিপি অনুমোদন ৪-৫ হাজার, ওষুধ নিবন্ধন ১ থেকে দেড় লাখ পর্যন্ত ঘুষ লেনদেনের তথ্য উঠে আসে এতে।
নতুন ওষুধ কারখানা অনুমোদনের ক্ষেত্রেও এমন অর্থ লেনদেন হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ওষুধের মান খুব গুরুত্বপূর্ণ। যাদেরকে তড়িঘড়ি ওষুধ তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তাদের সে সক্ষমতা আছে কি না, যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে কি না, বিষয়টি ক্ষতি দেখতে হবে। ওষুধের মান দেখার দায়িত্ব ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের। তারা যদি রক্ষকের জায়গায় ভক্ষকের ভূমিকা পালন করে, সেটি খতিয়ে দেখতে হবে এবং তাদেরকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছয় মাসে ১২০টি নতুন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এই ছয় মাসের মধ্যে মোট কর্মদিবস ছিল ১০৩টি। সেই হিসাবে দিনে গড়ে একটির বেশি কারখানা অনুমোদন পেয়েছে, যার বড় অংশই ইউনানি, হারবাল ও আয়ুর্বেদিক।
হঠাৎ এত বেশি ওষুধ কারখানা অনুমোদন নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে। দীর্ঘদিন ধরে এ খাতের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করছেন, কিছু মানুষ কালোটাকা বিনিয়োগ এবং ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নেওয়ার জন্যই কারখানার অনুমোদন নিয়ে থাকতে পারেন। কেউ হয়তো গ্রামাঞ্চলে তৈরি হওয়া বাজার ধরতে নতুন কারখানা গড়ছেন, আবার অনেকে প্রতিবেশী দেশের গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার দেখে বাংলাদেশও আয়ুর্বেদিক ওষুধের বড় বাজার হবে বলে মনে করছেন।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঔষধ ও কসমেটিকস আইন পাস হওয়ার পর অনেকে নতুন প্রকল্প নিচ্ছেন। অনেকের ওষুধের ব্যবসা রয়েছে। তাঁরা নতুন করে ইউনানি, হারবাল ও আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এ কারণে নতুন প্রকল্প বেশি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
দেশে বর্তমানে সব ধরনের ওষুধ তৈরির প্রতিষ্ঠান রয়েছে হাজারখানেক। অ্যালোপ্যাথিক কোম্পানিগুলোর মধ্যেও ৩০-৪০টি প্রতিষ্ঠান চাহিদার মান ঠিক রেখে চাহিদার ৯৫ শতাংশ ওষুধ তৈরি করছে। অন্যগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক; বিশেষ করে বিকল্প ওষুধের ক্ষেত্রে খুবই সমস্যা হচ্ছে। এগুলোর গুণমান ও দাম—কোনোটিই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে নতুন প্রকল্প অনুমোদনের কোনো প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন ওষুধশিল্পের মালিক ও বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এস এম সফিউজ্জামান বলেন, নতুন প্রকল্প অনুমোদনের সময় অনেকে জমি ভাড়া নিয়ে নিজেদের বলে চালিয়ে দিচ্ছেন। দেশে এত ওষুধ কারখানা অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।
ওষুধের মান খারাপ হলেও পার পেয়ে যাওয়া এবং কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ থাকায় ওষুধ কারখানা অনুমোদন নেওয়ার হিড়িক পড়েছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি অ্যান্ড ফার্মাকোলজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মনীর উদ্দিন আহমেদ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, দেশে অবৈধ পন্থায় উপার্জনকারী কালোটাকার মালিকেরা নতুনভাবে ওষুধে বিনিয়োগ করছেন। ওষুধের মান খারাপ দিলে সাধারণ মানুষ চ্যালেঞ্জ করতে পারে না। ওষুধ কোম্পানিগুলো দেশের মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিচ্ছে। তারা আগ্রাসী বিনিয়োগ করছে এবং কমিশন-বাণিজ্যের মাধ্যমে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা চিকিৎসকদের পকেটে দিচ্ছে।
মনীর উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, দেশে মোট ওষুধের ৯২-৯৫ শতাংশ উৎপাদন করছে ৩০-৪০টি কোম্পানি। অবশিষ্ট ওষুধ তৈরি করছে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান। দেশে বর্তমানে ৯৮ শতাংশ ওষুধ তৈরি হচ্ছে। নতুন করে আর কোম্পানির দরকার নেই।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের গত ৫ বছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ওষুধ কারখানার অনুমোদন পেয়েছে গত নভেম্বর থেকে এপ্রিলে। অধিদপ্তর ২০২০ সালে ২০টি, ২০২১ সালে ২৪টি, ২০২২ সালে ২৯টি, ২০২৩ সালে ৭৫টি এবং ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৬০টি কারখানার অনুমোদন দেয়।
২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রকল্প অনুমোদন কমিটির ১১৩তম সভায় ৬৫টি নতুন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। আর চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল ১১৪তম সভায় অনুমোদন দেওয়া হয় ৫৫টি নতুন কারখানার। এসব নতুন কারখানার মধ্যে ২৫টি অ্যালোপ্যাথিক, ৬৫টি হারবাল, ১৩টি ইউনানি, হোমিওপ্যাথি ৪টি, আয়ুর্বেদিক ৭টি, মেডিকেল ডিভাইস ২টি, কসমেটিকস ২টি ও ১টি ফিড কারখানা রয়েছে।
সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ঢাকা জেলায়। ঢাকায় ১৪টি হারবাল, ২টি অ্যালোপ্যাথিক, ১টি ইউনানি, ২টি হোমিওসহ মোট ১৯টি কারখানার অনুমোদন পেয়েছে এ সময়ে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কারখানা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বগুড়ায়। সেখানে হারবাল ৮টি, আয়ুর্বেদিক ৩টি, ইউনানি ৩টি ও অ্যালোপ্যাথিক ২টিসহ মোট ১৬টি কারখানা অনুমোদন পায়। এ ছাড়া গাজীপুরে ৫টি হারবাল ও ৬টি অ্যালোপ্যাথিক মিলিয়ে মোট ১১টি, নারায়ণগঞ্জে ১টি আয়ুর্বেদিক, ২টি হারবাল এবং ১টি করে অ্যালোপ্যাথিক ও ইউনানি কারখানা অনুমোদন পেয়েছে।
বগুড়ায় এক ওষুধ ব্যবসায়ী নিজের এবং আত্মীয়স্বজনের নামে ৮টি কারখানা অনুমোদন নিয়ে রেখেছেন বলে জানা গেছে। জেলাটিতে নতুনভাবে অনুমোদন পাওয়া একটি আয়ুর্বেদিক কোম্পানির মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তালিকাভুক্ত। ওষুধ প্রশাসন থেকে প্রকল্প অনুমোদন দেখিয়ে আমরা চাইলে ব্যাংক থেকে চাহিদা অনুযায়ী ঋণ নিতে পারব।’
রাজশাহীতে অনুমোদন পাওয়া মেসার্স এভালন হারবাল অ্যান্ড নিউট্রাসিউটিক্যালস কারখানায় গত বুধবার বিকেলে গিয়ে দেখা গেছে, পাঁচতলা ভবনের সামনে ‘মুসলিম মেডিল্যাব’ নামে রাঙাপরি গ্রুপের একটি ওষুধ কোম্পানির সাইনবোর্ড। এভালন হারবাল অ্যান্ড নিউট্রাসিউটিক্যালসের লাইসেন্স নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মাসুম সরকার বলেন, চালু কারখানায় বাড়তি দেড় থেকে আড়াই হাজার বর্গফুট জায়গা থাকলে হারবালের লাইসেন্স নেওয়া যায়। ঔষধ প্রশাসন প্রাথমিকভাবে অনুমোদন পেলেও সবাই উৎপাদনে আসতে পারে না।
হারবাল প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনসি দারুল ইসলাম বলেন, দেশে ওষুধে আগ্রাসী বিনিয়োগ হচ্ছে। চাহিদা ও উৎপাদনের সঙ্গে কোনো মিল নেই। প্রকল্প অনুমোদন নিয়ে ব্যাংকঋণ নেবে। ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশে ওষুধ উৎপাদনকারী মার্কেটিং করে না। সেখানে দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হচ্ছে। দেশে এটি করা হলে দুর্বল কোম্পানিগুলো সবল হতো।
ঔষধ প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ কারখানা রয়েছে ৩১৫টি। এগুলোর মধ্যে বন্ধ রয়েছে ৬৪টি। ইউনানি ২৮৭টির মধ্যে বন্ধ ১৯টি। আয়ুর্বেদিক ২০৫টির মধ্যে ১৬টি, হারবাল ৪৪টির মধ্যে ৩টি এবং হোমিও ৭১টির মধ্যে বন্ধ রয়েছে ১৭টি। অর্থাৎ ৯২২টি কারখানার মধ্যে বন্ধ রয়েছে ১১৯টি। এসব কারখানা দেখভাল করার মতো পর্যাপ্ত জনবল অধিদপ্তরের নেই।
ছয় মাসে ১২০টি নতুন কারখানা অনুমোদন দেওয়াকে লুটপাট বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ হেলথ কনজ্যুমারস রাইট ফোরাম। সংগঠনের সদস্যসচিব ইবনুল সাঈদ রানা বলেন, সরকারের দুর্বলতায় ঔষধ প্রশাসনে লুটপাট চলছে, যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। এসব অনিয়ম জনগণের সামনে তুলে ধরার অনুরোধ করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক আব্দুল হামিদ বলেন, দেশে বর্তমানে ওষুধের চাহিদা কী পরিমাণ রয়েছে, কত উৎপাদিত হচ্ছে, তার একটি মূল্যায়ন করে নতুন কারখানা অনুমোদন দেওয়া দরকার। চাহিদার তুলনায় বেশি ওষুধ তৈরি হলে আগ্রাসী বাণিজ্য এবং পুশ সেল বাড়বে।
ঔষধ প্রশাসনের অনিয়ম নিয়ে ২০১৫ সালে গবেষণা চালায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ (টিআইবি)। প্রকল্প স্থানান্তর বা হস্তান্তরের সময় ১৫ লাখ, ছাড়পত্রে ৫-১০ লাখ, লাইসেন্স নবায়নে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ, রেসিপি অনুমোদন ৪-৫ হাজার, ওষুধ নিবন্ধন ১ থেকে দেড় লাখ পর্যন্ত ঘুষ লেনদেনের তথ্য উঠে আসে এতে।
নতুন ওষুধ কারখানা অনুমোদনের ক্ষেত্রেও এমন অর্থ লেনদেন হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ওষুধের মান খুব গুরুত্বপূর্ণ। যাদেরকে তড়িঘড়ি ওষুধ তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তাদের সে সক্ষমতা আছে কি না, যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে কি না, বিষয়টি ক্ষতি দেখতে হবে। ওষুধের মান দেখার দায়িত্ব ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের। তারা যদি রক্ষকের জায়গায় ভক্ষকের ভূমিকা পালন করে, সেটি খতিয়ে দেখতে হবে এবং তাদেরকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
আয়নাল হোসেন, ঢাকা

২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছয় মাসে ১২০টি নতুন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এই ছয় মাসের মধ্যে মোট কর্মদিবস ছিল ১০৩টি। সেই হিসাবে দিনে গড়ে একটির বেশি কারখানা অনুমোদন পেয়েছে, যার বড় অংশই ইউনানি, হারবাল ও আয়ুর্বেদিক।
হঠাৎ এত বেশি ওষুধ কারখানা অনুমোদন নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে। দীর্ঘদিন ধরে এ খাতের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করছেন, কিছু মানুষ কালোটাকা বিনিয়োগ এবং ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নেওয়ার জন্যই কারখানার অনুমোদন নিয়ে থাকতে পারেন। কেউ হয়তো গ্রামাঞ্চলে তৈরি হওয়া বাজার ধরতে নতুন কারখানা গড়ছেন, আবার অনেকে প্রতিবেশী দেশের গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার দেখে বাংলাদেশও আয়ুর্বেদিক ওষুধের বড় বাজার হবে বলে মনে করছেন।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঔষধ ও কসমেটিকস আইন পাস হওয়ার পর অনেকে নতুন প্রকল্প নিচ্ছেন। অনেকের ওষুধের ব্যবসা রয়েছে। তাঁরা নতুন করে ইউনানি, হারবাল ও আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এ কারণে নতুন প্রকল্প বেশি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
দেশে বর্তমানে সব ধরনের ওষুধ তৈরির প্রতিষ্ঠান রয়েছে হাজারখানেক। অ্যালোপ্যাথিক কোম্পানিগুলোর মধ্যেও ৩০-৪০টি প্রতিষ্ঠান চাহিদার মান ঠিক রেখে চাহিদার ৯৫ শতাংশ ওষুধ তৈরি করছে। অন্যগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক; বিশেষ করে বিকল্প ওষুধের ক্ষেত্রে খুবই সমস্যা হচ্ছে। এগুলোর গুণমান ও দাম—কোনোটিই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে নতুন প্রকল্প অনুমোদনের কোনো প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন ওষুধশিল্পের মালিক ও বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এস এম সফিউজ্জামান বলেন, নতুন প্রকল্প অনুমোদনের সময় অনেকে জমি ভাড়া নিয়ে নিজেদের বলে চালিয়ে দিচ্ছেন। দেশে এত ওষুধ কারখানা অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।
ওষুধের মান খারাপ হলেও পার পেয়ে যাওয়া এবং কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ থাকায় ওষুধ কারখানা অনুমোদন নেওয়ার হিড়িক পড়েছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি অ্যান্ড ফার্মাকোলজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মনীর উদ্দিন আহমেদ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, দেশে অবৈধ পন্থায় উপার্জনকারী কালোটাকার মালিকেরা নতুনভাবে ওষুধে বিনিয়োগ করছেন। ওষুধের মান খারাপ দিলে সাধারণ মানুষ চ্যালেঞ্জ করতে পারে না। ওষুধ কোম্পানিগুলো দেশের মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিচ্ছে। তারা আগ্রাসী বিনিয়োগ করছে এবং কমিশন-বাণিজ্যের মাধ্যমে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা চিকিৎসকদের পকেটে দিচ্ছে।
মনীর উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, দেশে মোট ওষুধের ৯২-৯৫ শতাংশ উৎপাদন করছে ৩০-৪০টি কোম্পানি। অবশিষ্ট ওষুধ তৈরি করছে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান। দেশে বর্তমানে ৯৮ শতাংশ ওষুধ তৈরি হচ্ছে। নতুন করে আর কোম্পানির দরকার নেই।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের গত ৫ বছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ওষুধ কারখানার অনুমোদন পেয়েছে গত নভেম্বর থেকে এপ্রিলে। অধিদপ্তর ২০২০ সালে ২০টি, ২০২১ সালে ২৪টি, ২০২২ সালে ২৯টি, ২০২৩ সালে ৭৫টি এবং ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৬০টি কারখানার অনুমোদন দেয়।
২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রকল্প অনুমোদন কমিটির ১১৩তম সভায় ৬৫টি নতুন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। আর চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল ১১৪তম সভায় অনুমোদন দেওয়া হয় ৫৫টি নতুন কারখানার। এসব নতুন কারখানার মধ্যে ২৫টি অ্যালোপ্যাথিক, ৬৫টি হারবাল, ১৩টি ইউনানি, হোমিওপ্যাথি ৪টি, আয়ুর্বেদিক ৭টি, মেডিকেল ডিভাইস ২টি, কসমেটিকস ২টি ও ১টি ফিড কারখানা রয়েছে।
সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ঢাকা জেলায়। ঢাকায় ১৪টি হারবাল, ২টি অ্যালোপ্যাথিক, ১টি ইউনানি, ২টি হোমিওসহ মোট ১৯টি কারখানার অনুমোদন পেয়েছে এ সময়ে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কারখানা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বগুড়ায়। সেখানে হারবাল ৮টি, আয়ুর্বেদিক ৩টি, ইউনানি ৩টি ও অ্যালোপ্যাথিক ২টিসহ মোট ১৬টি কারখানা অনুমোদন পায়। এ ছাড়া গাজীপুরে ৫টি হারবাল ও ৬টি অ্যালোপ্যাথিক মিলিয়ে মোট ১১টি, নারায়ণগঞ্জে ১টি আয়ুর্বেদিক, ২টি হারবাল এবং ১টি করে অ্যালোপ্যাথিক ও ইউনানি কারখানা অনুমোদন পেয়েছে।
বগুড়ায় এক ওষুধ ব্যবসায়ী নিজের এবং আত্মীয়স্বজনের নামে ৮টি কারখানা অনুমোদন নিয়ে রেখেছেন বলে জানা গেছে। জেলাটিতে নতুনভাবে অনুমোদন পাওয়া একটি আয়ুর্বেদিক কোম্পানির মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তালিকাভুক্ত। ওষুধ প্রশাসন থেকে প্রকল্প অনুমোদন দেখিয়ে আমরা চাইলে ব্যাংক থেকে চাহিদা অনুযায়ী ঋণ নিতে পারব।’
রাজশাহীতে অনুমোদন পাওয়া মেসার্স এভালন হারবাল অ্যান্ড নিউট্রাসিউটিক্যালস কারখানায় গত বুধবার বিকেলে গিয়ে দেখা গেছে, পাঁচতলা ভবনের সামনে ‘মুসলিম মেডিল্যাব’ নামে রাঙাপরি গ্রুপের একটি ওষুধ কোম্পানির সাইনবোর্ড। এভালন হারবাল অ্যান্ড নিউট্রাসিউটিক্যালসের লাইসেন্স নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মাসুম সরকার বলেন, চালু কারখানায় বাড়তি দেড় থেকে আড়াই হাজার বর্গফুট জায়গা থাকলে হারবালের লাইসেন্স নেওয়া যায়। ঔষধ প্রশাসন প্রাথমিকভাবে অনুমোদন পেলেও সবাই উৎপাদনে আসতে পারে না।
হারবাল প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনসি দারুল ইসলাম বলেন, দেশে ওষুধে আগ্রাসী বিনিয়োগ হচ্ছে। চাহিদা ও উৎপাদনের সঙ্গে কোনো মিল নেই। প্রকল্প অনুমোদন নিয়ে ব্যাংকঋণ নেবে। ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশে ওষুধ উৎপাদনকারী মার্কেটিং করে না। সেখানে দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হচ্ছে। দেশে এটি করা হলে দুর্বল কোম্পানিগুলো সবল হতো।
ঔষধ প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ কারখানা রয়েছে ৩১৫টি। এগুলোর মধ্যে বন্ধ রয়েছে ৬৪টি। ইউনানি ২৮৭টির মধ্যে বন্ধ ১৯টি। আয়ুর্বেদিক ২০৫টির মধ্যে ১৬টি, হারবাল ৪৪টির মধ্যে ৩টি এবং হোমিও ৭১টির মধ্যে বন্ধ রয়েছে ১৭টি। অর্থাৎ ৯২২টি কারখানার মধ্যে বন্ধ রয়েছে ১১৯টি। এসব কারখানা দেখভাল করার মতো পর্যাপ্ত জনবল অধিদপ্তরের নেই।
ছয় মাসে ১২০টি নতুন কারখানা অনুমোদন দেওয়াকে লুটপাট বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ হেলথ কনজ্যুমারস রাইট ফোরাম। সংগঠনের সদস্যসচিব ইবনুল সাঈদ রানা বলেন, সরকারের দুর্বলতায় ঔষধ প্রশাসনে লুটপাট চলছে, যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। এসব অনিয়ম জনগণের সামনে তুলে ধরার অনুরোধ করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক আব্দুল হামিদ বলেন, দেশে বর্তমানে ওষুধের চাহিদা কী পরিমাণ রয়েছে, কত উৎপাদিত হচ্ছে, তার একটি মূল্যায়ন করে নতুন কারখানা অনুমোদন দেওয়া দরকার। চাহিদার তুলনায় বেশি ওষুধ তৈরি হলে আগ্রাসী বাণিজ্য এবং পুশ সেল বাড়বে।
ঔষধ প্রশাসনের অনিয়ম নিয়ে ২০১৫ সালে গবেষণা চালায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ (টিআইবি)। প্রকল্প স্থানান্তর বা হস্তান্তরের সময় ১৫ লাখ, ছাড়পত্রে ৫-১০ লাখ, লাইসেন্স নবায়নে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ, রেসিপি অনুমোদন ৪-৫ হাজার, ওষুধ নিবন্ধন ১ থেকে দেড় লাখ পর্যন্ত ঘুষ লেনদেনের তথ্য উঠে আসে এতে।
নতুন ওষুধ কারখানা অনুমোদনের ক্ষেত্রেও এমন অর্থ লেনদেন হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ওষুধের মান খুব গুরুত্বপূর্ণ। যাদেরকে তড়িঘড়ি ওষুধ তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তাদের সে সক্ষমতা আছে কি না, যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে কি না, বিষয়টি ক্ষতি দেখতে হবে। ওষুধের মান দেখার দায়িত্ব ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের। তারা যদি রক্ষকের জায়গায় ভক্ষকের ভূমিকা পালন করে, সেটি খতিয়ে দেখতে হবে এবং তাদেরকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছয় মাসে ১২০টি নতুন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এই ছয় মাসের মধ্যে মোট কর্মদিবস ছিল ১০৩টি। সেই হিসাবে দিনে গড়ে একটির বেশি কারখানা অনুমোদন পেয়েছে, যার বড় অংশই ইউনানি, হারবাল ও আয়ুর্বেদিক।
হঠাৎ এত বেশি ওষুধ কারখানা অনুমোদন নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে। দীর্ঘদিন ধরে এ খাতের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করছেন, কিছু মানুষ কালোটাকা বিনিয়োগ এবং ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নেওয়ার জন্যই কারখানার অনুমোদন নিয়ে থাকতে পারেন। কেউ হয়তো গ্রামাঞ্চলে তৈরি হওয়া বাজার ধরতে নতুন কারখানা গড়ছেন, আবার অনেকে প্রতিবেশী দেশের গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার দেখে বাংলাদেশও আয়ুর্বেদিক ওষুধের বড় বাজার হবে বলে মনে করছেন।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঔষধ ও কসমেটিকস আইন পাস হওয়ার পর অনেকে নতুন প্রকল্প নিচ্ছেন। অনেকের ওষুধের ব্যবসা রয়েছে। তাঁরা নতুন করে ইউনানি, হারবাল ও আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এ কারণে নতুন প্রকল্প বেশি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
দেশে বর্তমানে সব ধরনের ওষুধ তৈরির প্রতিষ্ঠান রয়েছে হাজারখানেক। অ্যালোপ্যাথিক কোম্পানিগুলোর মধ্যেও ৩০-৪০টি প্রতিষ্ঠান চাহিদার মান ঠিক রেখে চাহিদার ৯৫ শতাংশ ওষুধ তৈরি করছে। অন্যগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক; বিশেষ করে বিকল্প ওষুধের ক্ষেত্রে খুবই সমস্যা হচ্ছে। এগুলোর গুণমান ও দাম—কোনোটিই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে নতুন প্রকল্প অনুমোদনের কোনো প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন ওষুধশিল্পের মালিক ও বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এস এম সফিউজ্জামান বলেন, নতুন প্রকল্প অনুমোদনের সময় অনেকে জমি ভাড়া নিয়ে নিজেদের বলে চালিয়ে দিচ্ছেন। দেশে এত ওষুধ কারখানা অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।
ওষুধের মান খারাপ হলেও পার পেয়ে যাওয়া এবং কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ থাকায় ওষুধ কারখানা অনুমোদন নেওয়ার হিড়িক পড়েছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি অ্যান্ড ফার্মাকোলজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মনীর উদ্দিন আহমেদ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, দেশে অবৈধ পন্থায় উপার্জনকারী কালোটাকার মালিকেরা নতুনভাবে ওষুধে বিনিয়োগ করছেন। ওষুধের মান খারাপ দিলে সাধারণ মানুষ চ্যালেঞ্জ করতে পারে না। ওষুধ কোম্পানিগুলো দেশের মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিচ্ছে। তারা আগ্রাসী বিনিয়োগ করছে এবং কমিশন-বাণিজ্যের মাধ্যমে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা চিকিৎসকদের পকেটে দিচ্ছে।
মনীর উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, দেশে মোট ওষুধের ৯২-৯৫ শতাংশ উৎপাদন করছে ৩০-৪০টি কোম্পানি। অবশিষ্ট ওষুধ তৈরি করছে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান। দেশে বর্তমানে ৯৮ শতাংশ ওষুধ তৈরি হচ্ছে। নতুন করে আর কোম্পানির দরকার নেই।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের গত ৫ বছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ওষুধ কারখানার অনুমোদন পেয়েছে গত নভেম্বর থেকে এপ্রিলে। অধিদপ্তর ২০২০ সালে ২০টি, ২০২১ সালে ২৪টি, ২০২২ সালে ২৯টি, ২০২৩ সালে ৭৫টি এবং ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৬০টি কারখানার অনুমোদন দেয়।
২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রকল্প অনুমোদন কমিটির ১১৩তম সভায় ৬৫টি নতুন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। আর চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল ১১৪তম সভায় অনুমোদন দেওয়া হয় ৫৫টি নতুন কারখানার। এসব নতুন কারখানার মধ্যে ২৫টি অ্যালোপ্যাথিক, ৬৫টি হারবাল, ১৩টি ইউনানি, হোমিওপ্যাথি ৪টি, আয়ুর্বেদিক ৭টি, মেডিকেল ডিভাইস ২টি, কসমেটিকস ২টি ও ১টি ফিড কারখানা রয়েছে।
সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ঢাকা জেলায়। ঢাকায় ১৪টি হারবাল, ২টি অ্যালোপ্যাথিক, ১টি ইউনানি, ২টি হোমিওসহ মোট ১৯টি কারখানার অনুমোদন পেয়েছে এ সময়ে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কারখানা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বগুড়ায়। সেখানে হারবাল ৮টি, আয়ুর্বেদিক ৩টি, ইউনানি ৩টি ও অ্যালোপ্যাথিক ২টিসহ মোট ১৬টি কারখানা অনুমোদন পায়। এ ছাড়া গাজীপুরে ৫টি হারবাল ও ৬টি অ্যালোপ্যাথিক মিলিয়ে মোট ১১টি, নারায়ণগঞ্জে ১টি আয়ুর্বেদিক, ২টি হারবাল এবং ১টি করে অ্যালোপ্যাথিক ও ইউনানি কারখানা অনুমোদন পেয়েছে।
বগুড়ায় এক ওষুধ ব্যবসায়ী নিজের এবং আত্মীয়স্বজনের নামে ৮টি কারখানা অনুমোদন নিয়ে রেখেছেন বলে জানা গেছে। জেলাটিতে নতুনভাবে অনুমোদন পাওয়া একটি আয়ুর্বেদিক কোম্পানির মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তালিকাভুক্ত। ওষুধ প্রশাসন থেকে প্রকল্প অনুমোদন দেখিয়ে আমরা চাইলে ব্যাংক থেকে চাহিদা অনুযায়ী ঋণ নিতে পারব।’
রাজশাহীতে অনুমোদন পাওয়া মেসার্স এভালন হারবাল অ্যান্ড নিউট্রাসিউটিক্যালস কারখানায় গত বুধবার বিকেলে গিয়ে দেখা গেছে, পাঁচতলা ভবনের সামনে ‘মুসলিম মেডিল্যাব’ নামে রাঙাপরি গ্রুপের একটি ওষুধ কোম্পানির সাইনবোর্ড। এভালন হারবাল অ্যান্ড নিউট্রাসিউটিক্যালসের লাইসেন্স নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মাসুম সরকার বলেন, চালু কারখানায় বাড়তি দেড় থেকে আড়াই হাজার বর্গফুট জায়গা থাকলে হারবালের লাইসেন্স নেওয়া যায়। ঔষধ প্রশাসন প্রাথমিকভাবে অনুমোদন পেলেও সবাই উৎপাদনে আসতে পারে না।
হারবাল প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনসি দারুল ইসলাম বলেন, দেশে ওষুধে আগ্রাসী বিনিয়োগ হচ্ছে। চাহিদা ও উৎপাদনের সঙ্গে কোনো মিল নেই। প্রকল্প অনুমোদন নিয়ে ব্যাংকঋণ নেবে। ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশে ওষুধ উৎপাদনকারী মার্কেটিং করে না। সেখানে দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হচ্ছে। দেশে এটি করা হলে দুর্বল কোম্পানিগুলো সবল হতো।
ঔষধ প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ কারখানা রয়েছে ৩১৫টি। এগুলোর মধ্যে বন্ধ রয়েছে ৬৪টি। ইউনানি ২৮৭টির মধ্যে বন্ধ ১৯টি। আয়ুর্বেদিক ২০৫টির মধ্যে ১৬টি, হারবাল ৪৪টির মধ্যে ৩টি এবং হোমিও ৭১টির মধ্যে বন্ধ রয়েছে ১৭টি। অর্থাৎ ৯২২টি কারখানার মধ্যে বন্ধ রয়েছে ১১৯টি। এসব কারখানা দেখভাল করার মতো পর্যাপ্ত জনবল অধিদপ্তরের নেই।
ছয় মাসে ১২০টি নতুন কারখানা অনুমোদন দেওয়াকে লুটপাট বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ হেলথ কনজ্যুমারস রাইট ফোরাম। সংগঠনের সদস্যসচিব ইবনুল সাঈদ রানা বলেন, সরকারের দুর্বলতায় ঔষধ প্রশাসনে লুটপাট চলছে, যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। এসব অনিয়ম জনগণের সামনে তুলে ধরার অনুরোধ করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক আব্দুল হামিদ বলেন, দেশে বর্তমানে ওষুধের চাহিদা কী পরিমাণ রয়েছে, কত উৎপাদিত হচ্ছে, তার একটি মূল্যায়ন করে নতুন কারখানা অনুমোদন দেওয়া দরকার। চাহিদার তুলনায় বেশি ওষুধ তৈরি হলে আগ্রাসী বাণিজ্য এবং পুশ সেল বাড়বে।
ঔষধ প্রশাসনের অনিয়ম নিয়ে ২০১৫ সালে গবেষণা চালায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ (টিআইবি)। প্রকল্প স্থানান্তর বা হস্তান্তরের সময় ১৫ লাখ, ছাড়পত্রে ৫-১০ লাখ, লাইসেন্স নবায়নে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ, রেসিপি অনুমোদন ৪-৫ হাজার, ওষুধ নিবন্ধন ১ থেকে দেড় লাখ পর্যন্ত ঘুষ লেনদেনের তথ্য উঠে আসে এতে।
নতুন ওষুধ কারখানা অনুমোদনের ক্ষেত্রেও এমন অর্থ লেনদেন হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ওষুধের মান খুব গুরুত্বপূর্ণ। যাদেরকে তড়িঘড়ি ওষুধ তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তাদের সে সক্ষমতা আছে কি না, যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে কি না, বিষয়টি ক্ষতি দেখতে হবে। ওষুধের মান দেখার দায়িত্ব ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের। তারা যদি রক্ষকের জায়গায় ভক্ষকের ভূমিকা পালন করে, সেটি খতিয়ে দেখতে হবে এবং তাদেরকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
৮ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৯ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের
১০ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আদালত।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

চলতি বছর ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছয় মাসে দিনে গড়ে একটির বেশি ওষুধের কারখানা অনুমোদন পেয়েছে, যার বড় অংশই হারবাল...
০৬ জুলাই ২০২৪
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৯ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের
১০ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আদালত।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

চলতি বছর ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছয় মাসে দিনে গড়ে একটির বেশি ওষুধের কারখানা অনুমোদন পেয়েছে, যার বড় অংশই হারবাল...
০৬ জুলাই ২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
৮ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের
১০ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আদালত।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এরপর তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কুশল-বিনিয়ম করেন। নিরাপত্তা ও বিভিন্ন ধরনের সহায়তার জন্য এ সময় তিনি সরকারপ্রধানের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কথোপকথনে তারেককে বলতে শোনা যায়, ‘জি জি...আমার জন্য আমার...জি জি...আপনার শরীর কেমন আছে?’
...
‘হ্যাঁ, দোয়া করবেন, দোয়া করবেন।’ ...
‘আমি আমার পক্ষ থেকে এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনি আপনার পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকম আয়োজন করেছেন, বিশেষ করে আমার নিরাপত্তার জন্য। অ্যান্ড উই আর থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ...থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ। সব রকম আয়োজনের জন্য।’
...
‘নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই। জি নিশ্চয়ই...ইনশাল্লাহ...ইনশাল্লাহ।’
ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।
এরপরই তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু ফুলের মালা পরিয়ে জামাতাকে বরণ করেন নেন। নাতনি জাইমাকেও আদর করতে দেখা যায়। তারেক রহমান এ সময় তাঁর পাশে কিছু সময় বসে থাকেন। এরপর বেলা ১২টা ২০ মিনিটে তারেক রহমানে স্ত্রী ও তাঁর মেয়ে সাদা রঙের একটি জিপ গাড়িতে উঠে বসেন।
দলের অন্য নেতাদের সঙ্গে তারেক রহমান বেলা ১২টা মিনিটে ৩২ মিনিটে লাল সবুজ রঙে একটি বুলেটপ্রুফ বাসে উঠেন। ২ মিনিট পরে বাসটি বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলের ৩০০ ফিটের সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে যেতে শুরু করে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এরপর তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কুশল-বিনিয়ম করেন। নিরাপত্তা ও বিভিন্ন ধরনের সহায়তার জন্য এ সময় তিনি সরকারপ্রধানের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কথোপকথনে তারেককে বলতে শোনা যায়, ‘জি জি...আমার জন্য আমার...জি জি...আপনার শরীর কেমন আছে?’
...
‘হ্যাঁ, দোয়া করবেন, দোয়া করবেন।’ ...
‘আমি আমার পক্ষ থেকে এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনি আপনার পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকম আয়োজন করেছেন, বিশেষ করে আমার নিরাপত্তার জন্য। অ্যান্ড উই আর থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ...থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ। সব রকম আয়োজনের জন্য।’
...
‘নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই। জি নিশ্চয়ই...ইনশাল্লাহ...ইনশাল্লাহ।’
ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।
এরপরই তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু ফুলের মালা পরিয়ে জামাতাকে বরণ করেন নেন। নাতনি জাইমাকেও আদর করতে দেখা যায়। তারেক রহমান এ সময় তাঁর পাশে কিছু সময় বসে থাকেন। এরপর বেলা ১২টা ২০ মিনিটে তারেক রহমানে স্ত্রী ও তাঁর মেয়ে সাদা রঙের একটি জিপ গাড়িতে উঠে বসেন।
দলের অন্য নেতাদের সঙ্গে তারেক রহমান বেলা ১২টা মিনিটে ৩২ মিনিটে লাল সবুজ রঙে একটি বুলেটপ্রুফ বাসে উঠেন। ২ মিনিট পরে বাসটি বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলের ৩০০ ফিটের সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে যেতে শুরু করে।

চলতি বছর ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছয় মাসে দিনে গড়ে একটির বেশি ওষুধের কারখানা অনুমোদন পেয়েছে, যার বড় অংশই হারবাল...
০৬ জুলাই ২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
৮ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৯ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আদালত।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আদালত।
অন্যদিকে ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে জব্দ করা ফায়ার কার্তুজ ও ফায়ার বুলেট সদৃশ বস্তুর ব্যালিস্টিক পরীক্ষা করে বিস্তারিত মতামত প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনজন। একইদিনে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে জব্দ করা কার্তুজ ও বুলেট পরীক্ষার নির্দেশ দেন আদালত।
ঢাকার মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনজনের জবানবন্দি
গতকাল বুধবার সামিয়া, মারিয়া ও সিপুকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবি। মামলার তদন্তকর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ তিনজনের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন। পরে আসামি মারিয়া ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কামাল উদ্দিনের আদালতে এবং সামিয়া ও সিপু ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম জুনাঈদের আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
জবানবন্দিতে তিনজন কী বলেছেন তা জানা যায়নি। তবে বিশ্বস্ত এক সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার আগে ও পরে ফয়সাল কি করেছে এবং কি বলেছে সে সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছেন তিনজন।
এর আগে, গত ১৫ ডিসেম্বর এই তিনজনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরে ২০ ডিসেম্বর তিনজনকে আবার দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। গত ১৪ ডিসেম্বর সামিয়া ও সিপুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং মারিয়াকে ঢাকা থেকে আটক করে পল্টন থানায় হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, এ মামলায় গ্রেফতার ফয়সালের মা ও বাবাও স্বীকোরোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
কার্তুজ-বুলেট ব্যালিস্টিক পরীক্ষা
বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ ঘটনাস্থলে জব্দ করা ফায়ার কার্তুজ ও বুলেট সদৃশ বস্তু পরীক্ষার নির্দেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদি ওরফে ওসমান গণি (৩৩) গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে পল্টন থানাধীন বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোড সংলগ্ন ডিআর টাওয়ারের সামনে দুষ্কৃতিকারীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরবর্তীতে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে গত ১৫ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে নিয়ে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃতদেহ বাংলাদেশ বিমান যোগে দেশে এনে ২০ ডিসেম্বর সকালে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।
মামলায় ঘটনাস্থল হতে ফায়ার কার্তুজ ও ফায়ার বুলেট সদৃশ বস্তু আলামত জব্দ করা হয়। মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আলামতসমূহ ব্যালিস্টিক পরীক্ষা করে বিস্তারিত মতামত প্রদান করার জন্য সিআইডির ব্যালিস্টিক শাখার বিশেষ পুলিশ সুপারকে নির্দেশ প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন। শুনানি শেষে আদালত সিআইডিকে নির্দেশ দেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তাঁর বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আদালত।
অন্যদিকে ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে জব্দ করা ফায়ার কার্তুজ ও ফায়ার বুলেট সদৃশ বস্তুর ব্যালিস্টিক পরীক্ষা করে বিস্তারিত মতামত প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনজন। একইদিনে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে জব্দ করা কার্তুজ ও বুলেট পরীক্ষার নির্দেশ দেন আদালত।
ঢাকার মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনজনের জবানবন্দি
গতকাল বুধবার সামিয়া, মারিয়া ও সিপুকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবি। মামলার তদন্তকর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ তিনজনের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন। পরে আসামি মারিয়া ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কামাল উদ্দিনের আদালতে এবং সামিয়া ও সিপু ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম জুনাঈদের আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
জবানবন্দিতে তিনজন কী বলেছেন তা জানা যায়নি। তবে বিশ্বস্ত এক সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার আগে ও পরে ফয়সাল কি করেছে এবং কি বলেছে সে সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছেন তিনজন।
এর আগে, গত ১৫ ডিসেম্বর এই তিনজনকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরে ২০ ডিসেম্বর তিনজনকে আবার দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। গত ১৪ ডিসেম্বর সামিয়া ও সিপুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং মারিয়াকে ঢাকা থেকে আটক করে পল্টন থানায় হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, এ মামলায় গ্রেফতার ফয়সালের মা ও বাবাও স্বীকোরোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
কার্তুজ-বুলেট ব্যালিস্টিক পরীক্ষা
বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদ ঘটনাস্থলে জব্দ করা ফায়ার কার্তুজ ও বুলেট সদৃশ বস্তু পরীক্ষার নির্দেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদি ওরফে ওসমান গণি (৩৩) গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে পল্টন থানাধীন বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোড সংলগ্ন ডিআর টাওয়ারের সামনে দুষ্কৃতিকারীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরবর্তীতে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে গত ১৫ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে নিয়ে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃতদেহ বাংলাদেশ বিমান যোগে দেশে এনে ২০ ডিসেম্বর সকালে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।
মামলায় ঘটনাস্থল হতে ফায়ার কার্তুজ ও ফায়ার বুলেট সদৃশ বস্তু আলামত জব্দ করা হয়। মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আলামতসমূহ ব্যালিস্টিক পরীক্ষা করে বিস্তারিত মতামত প্রদান করার জন্য সিআইডির ব্যালিস্টিক শাখার বিশেষ পুলিশ সুপারকে নির্দেশ প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন। শুনানি শেষে আদালত সিআইডিকে নির্দেশ দেন।

চলতি বছর ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছয় মাসে দিনে গড়ে একটির বেশি ওষুধের কারখানা অনুমোদন পেয়েছে, যার বড় অংশই হারবাল...
০৬ জুলাই ২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
৮ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৯ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের
১০ ঘণ্টা আগে