নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় জুলাই-আগস্টে সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে আদালতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। পরে তা আমলে নিয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর এ মামলায় তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
জাসদ নেতা ইনুর বিরুদ্ধে যে আটটি অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন—
প্রথম অভিযোগে বলা হয়, হাসানুল হক ইনু ক্ষমতাসীন ১৪-দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল জাসদের প্রধান হিসেবে ঊর্ধ্বতন অবস্থানে থেকে গত বছরের ১৮ জুলাই ‘মিরর নাউ’ নামে ভারতের মুম্বাইভিত্তিক গণমাধ্যমে আন্দোলন দমন এবং আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য আন্দোলনকারীদের ‘বিএনপি, জামায়াত, সন্ত্রাসী ও সাম্প্রদায়িক’ ট্যাগ দেন এবং তাঁদের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগের উসকানি দেন।
দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ১৯ জুলাই গণভবনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ও জাসদপ্রধান হাসানুল হক ইনুর উপস্থিতিতে ১৪-দলীয় জোটের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্দেশ্যে দেশব্যাপী সেনা মোতায়েনপূর্বক কারফিউ জারির মাধ্যমে আন্দোলনরত নিরীহ-নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে দমনের জন্য সর্বোচ্চ বল প্রয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। আর ‘শুট অ্যাট সাইট’ সিদ্ধান্ত নিয়ে তা বাস্তবায়নের জন্য দেশব্যাপী সেনা মোতায়েন করে নিরীহ-নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয় এবং তা সরকার কার্যকর করে। এই নির্দেশ প্রদানের সঙ্গে হাসানুল হক ইনু তাঁর ঊর্ধ্বতন অবস্থান থেকে সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে উক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ, বাস্তবায়নের নির্দেশ, প্ররোচনা ও উসকানি দিয়েছেন এবং সহায়তা করেছেন।
তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়, ইনু ১৪-দলীয় জোটের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা হিসেবে গত বছরের ২০ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে তাঁর নিজ জেলা কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারকে ফোন দিয়ে আন্দোলনকারীদের ছবি দেখে তালিকা প্রণয়ন ও তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। সে সঙ্গে আগের নির্যাতনকে অনুমোদন করেন। এ নির্দেশনা অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলার পুলিশ সুপারের অধীনস্ত পুলিশ বাহিনী ও ১৪-দলীয় জোটের সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এই গুলিবর্ষণে শ্রমিক আশরাফুল ইসলাম, বার্মিজ গলিতে সুরুজ আলী বাবু, হরিপুরগামী রাস্তা আড়ংয়ের সামনে শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মুস্তাকিন, মো. উসামা, তুলাপট্টির গলিতে ব্যবসায়ী বাবলু ফরাজী ও ফায়ার সার্ভিসের বিপরীত দিকে রাস্তার ওপর চাকরিজীবী ইউসুফ শেখ নিহত হন। আর রাইসুল হকসহ অসংখ্য নিরীহ-নিরস্ত্র আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা আহত হয়। অনেককে আটক করে নির্যাতন করা হয়।
চতুর্থ অভিযোগে বলা হয়, ইনু সার্বক্ষণিক শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে লেথাল উইপন ব্যবহার করে আন্দোলন দমনের লক্ষ্যে আন্দোলনকারীদের ঘেরাও করে ছত্রীসেনা নামিয়ে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে তাঁদের গুলি করে হত্যা, বোম্বিং করে হত্যা, আটক ও নির্যাতনের ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা ও উসকানি দেন। এরই অংশ হিসেবে তিনি ২০ জুলাই আন্দোলন দমনে লেথাল উইপন ব্যবহার, আন্দোলনকারীদের ঘেরাও করে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে বোম্বিং ও ছত্রীসেনা নামিয়ে হত্যা, আন্দোলন দমনে গুলিবর্ষণসহ শেখ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপ অনুমোদন করেন এবং তা কার্যকর করার জন্য শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিফোনে উক্ত পদক্ষেপ বাস্তবায়নে ষড়যন্ত্র ও সহায়তায় সম্পৃক্ত ছিলেন।
পঞ্চম অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ২৭ জুলাই ইনু নিউজ২৪ চ্যানেলে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য আন্দোলনকারীদের বিএনপি, জামায়াত, সন্ত্রাসী, জঙ্গি ইত্যাদি ট্যাগ দিয়ে উসকানিমুলক বক্তব্য দেন। সে সঙ্গে সরকার কর্তৃক কারফিউ জারি করে লেথাল উইপন ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ড সংঘটনসহ নির্যাতন-নিপীড়নকে কৌশলে সমর্থন করেন।
ষষ্ঠ অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ২৯ জুলাই শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সভায় হাসানুল হক ইনু নিজে উপস্থিত থেকে আন্দোলনকে দমন ও ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য আন্দোলনকারীদের ‘বিএনপি, জামায়াত, সন্ত্রাসী ও সাম্প্রদায়িক’ ট্যাগ দেন। ইনু একটি প্রবীণ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের মাধ্যমে বাস্তবায়নে নির্দেশ, প্ররোচনা ও উসকানি দেন এবং সহায়তা করেন। এর মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগসহ ১৪-দলীয় জোটের সশস্ত্র ক্যাডার কর্তৃক পরিচালিত হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনকে বৈধতা দেয়।
সপ্তম অভিযোগে বলা হয়, হাসানুল হক ইনু সার্বক্ষণিক শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে আন্দোলন দমনে কারফিউ জারি করে দেখামাত্র গুলি করে হত্যা, লেথাল উইপন ব্যবহার করে আন্দোলন দমনে নিরীহ-নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে ‘জঙ্গি’ তকমা দিয়ে গুলি করে হত্যা, আটক ও নির্যাতনের ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা, উসকানি ও নির্দেশ দিতে থাকেন। এরই অংশ হিসেবে তিনি ৪ আগস্ট আন্দোলন দমনে কারফিউ জারি করে গুলিবর্ষণসহ শেখ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপ অনুমোদন করেন। সে সঙ্গে তা কার্যকর করার জন্য শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিফোনে ষড়যন্ত্র ও সহায়তায়ও সম্পৃক্ত ছিলেন এবং তাঁর অধীনস্থ ও নিজ দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন।
অষ্টম অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ৫ আগস্ট জনতা কুষ্টিয়ার চৌড়হাস থেকে মজমপুরের দিকে শান্তিপূর্ণভাবে অগ্রসর হতে চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী ও কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতাদের নির্দেশে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সন্ত্রাসীরা পুলিশের ছত্রচ্ছায়ায় নিরীহ ও নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর শহরের বিভিন্ন স্থানে গুলি চালায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় জুলাই-আগস্টে সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে আদালতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। পরে তা আমলে নিয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর এ মামলায় তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
জাসদ নেতা ইনুর বিরুদ্ধে যে আটটি অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন—
প্রথম অভিযোগে বলা হয়, হাসানুল হক ইনু ক্ষমতাসীন ১৪-দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল জাসদের প্রধান হিসেবে ঊর্ধ্বতন অবস্থানে থেকে গত বছরের ১৮ জুলাই ‘মিরর নাউ’ নামে ভারতের মুম্বাইভিত্তিক গণমাধ্যমে আন্দোলন দমন এবং আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য আন্দোলনকারীদের ‘বিএনপি, জামায়াত, সন্ত্রাসী ও সাম্প্রদায়িক’ ট্যাগ দেন এবং তাঁদের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগের উসকানি দেন।
দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ১৯ জুলাই গণভবনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ও জাসদপ্রধান হাসানুল হক ইনুর উপস্থিতিতে ১৪-দলীয় জোটের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্দেশ্যে দেশব্যাপী সেনা মোতায়েনপূর্বক কারফিউ জারির মাধ্যমে আন্দোলনরত নিরীহ-নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে দমনের জন্য সর্বোচ্চ বল প্রয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। আর ‘শুট অ্যাট সাইট’ সিদ্ধান্ত নিয়ে তা বাস্তবায়নের জন্য দেশব্যাপী সেনা মোতায়েন করে নিরীহ-নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয় এবং তা সরকার কার্যকর করে। এই নির্দেশ প্রদানের সঙ্গে হাসানুল হক ইনু তাঁর ঊর্ধ্বতন অবস্থান থেকে সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে উক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ, বাস্তবায়নের নির্দেশ, প্ররোচনা ও উসকানি দিয়েছেন এবং সহায়তা করেছেন।
তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়, ইনু ১৪-দলীয় জোটের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা হিসেবে গত বছরের ২০ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে তাঁর নিজ জেলা কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারকে ফোন দিয়ে আন্দোলনকারীদের ছবি দেখে তালিকা প্রণয়ন ও তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। সে সঙ্গে আগের নির্যাতনকে অনুমোদন করেন। এ নির্দেশনা অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলার পুলিশ সুপারের অধীনস্ত পুলিশ বাহিনী ও ১৪-দলীয় জোটের সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এই গুলিবর্ষণে শ্রমিক আশরাফুল ইসলাম, বার্মিজ গলিতে সুরুজ আলী বাবু, হরিপুরগামী রাস্তা আড়ংয়ের সামনে শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মুস্তাকিন, মো. উসামা, তুলাপট্টির গলিতে ব্যবসায়ী বাবলু ফরাজী ও ফায়ার সার্ভিসের বিপরীত দিকে রাস্তার ওপর চাকরিজীবী ইউসুফ শেখ নিহত হন। আর রাইসুল হকসহ অসংখ্য নিরীহ-নিরস্ত্র আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা আহত হয়। অনেককে আটক করে নির্যাতন করা হয়।
চতুর্থ অভিযোগে বলা হয়, ইনু সার্বক্ষণিক শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে লেথাল উইপন ব্যবহার করে আন্দোলন দমনের লক্ষ্যে আন্দোলনকারীদের ঘেরাও করে ছত্রীসেনা নামিয়ে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে তাঁদের গুলি করে হত্যা, বোম্বিং করে হত্যা, আটক ও নির্যাতনের ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা ও উসকানি দেন। এরই অংশ হিসেবে তিনি ২০ জুলাই আন্দোলন দমনে লেথাল উইপন ব্যবহার, আন্দোলনকারীদের ঘেরাও করে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে বোম্বিং ও ছত্রীসেনা নামিয়ে হত্যা, আন্দোলন দমনে গুলিবর্ষণসহ শেখ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপ অনুমোদন করেন এবং তা কার্যকর করার জন্য শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিফোনে উক্ত পদক্ষেপ বাস্তবায়নে ষড়যন্ত্র ও সহায়তায় সম্পৃক্ত ছিলেন।
পঞ্চম অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ২৭ জুলাই ইনু নিউজ২৪ চ্যানেলে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য আন্দোলনকারীদের বিএনপি, জামায়াত, সন্ত্রাসী, জঙ্গি ইত্যাদি ট্যাগ দিয়ে উসকানিমুলক বক্তব্য দেন। সে সঙ্গে সরকার কর্তৃক কারফিউ জারি করে লেথাল উইপন ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ড সংঘটনসহ নির্যাতন-নিপীড়নকে কৌশলে সমর্থন করেন।
ষষ্ঠ অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ২৯ জুলাই শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সভায় হাসানুল হক ইনু নিজে উপস্থিত থেকে আন্দোলনকে দমন ও ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য আন্দোলনকারীদের ‘বিএনপি, জামায়াত, সন্ত্রাসী ও সাম্প্রদায়িক’ ট্যাগ দেন। ইনু একটি প্রবীণ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের মাধ্যমে বাস্তবায়নে নির্দেশ, প্ররোচনা ও উসকানি দেন এবং সহায়তা করেন। এর মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগসহ ১৪-দলীয় জোটের সশস্ত্র ক্যাডার কর্তৃক পরিচালিত হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনকে বৈধতা দেয়।
সপ্তম অভিযোগে বলা হয়, হাসানুল হক ইনু সার্বক্ষণিক শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে আন্দোলন দমনে কারফিউ জারি করে দেখামাত্র গুলি করে হত্যা, লেথাল উইপন ব্যবহার করে আন্দোলন দমনে নিরীহ-নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে ‘জঙ্গি’ তকমা দিয়ে গুলি করে হত্যা, আটক ও নির্যাতনের ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা, উসকানি ও নির্দেশ দিতে থাকেন। এরই অংশ হিসেবে তিনি ৪ আগস্ট আন্দোলন দমনে কারফিউ জারি করে গুলিবর্ষণসহ শেখ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপ অনুমোদন করেন। সে সঙ্গে তা কার্যকর করার জন্য শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিফোনে ষড়যন্ত্র ও সহায়তায়ও সম্পৃক্ত ছিলেন এবং তাঁর অধীনস্থ ও নিজ দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন।
অষ্টম অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ৫ আগস্ট জনতা কুষ্টিয়ার চৌড়হাস থেকে মজমপুরের দিকে শান্তিপূর্ণভাবে অগ্রসর হতে চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী ও কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতাদের নির্দেশে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সন্ত্রাসীরা পুলিশের ছত্রচ্ছায়ায় নিরীহ ও নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর শহরের বিভিন্ন স্থানে গুলি চালায়।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে শতাধিক প্রতিনিধিসহ অংশ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার আগের কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিব্রতকর চর্চা অব্যাহত রেখেছে বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এ ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করে সংস্থাটি বলেছে, জনগণের করের টাকায় বিদেশ সফরে এত বড় প্রতিনিধিদল পাঠ
১ মিনিট আগেপরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, শ্রমিকদের মর্যাদা ও শ্রমিককেন্দ্রিক নীতি প্রতিষ্ঠা ছাড়া ন্যায্য রূপান্তর সম্ভব নয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত ‘ফ্রম ডায়লগ টু অ্যাকশন: টুয়ার্ডস
৫ মিনিট আগেবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এবার দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা চার দিন (১-৪ অক্টোবর) সরকারি ছুটি থাকবে। এ ছাড়া ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। দীর্ঘ এই ছুটিতে বাড়তি যাত্রীর চাপ সামলাতেই ট্রেনের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
৮ মিনিট আগেশাপলা প্রতীকের প্রথম দাবিদার নাগরিক ঐক্যের আবেদন নির্বাচন কমিশন (ইসি) খারিজ করে দিলে সেটি নিয়ে তখন কোনো আলোচনা হয়নি কেন—এমন প্রশ্ন রেখেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, ‘এনসিপি শাপলা চেয়েছে, এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অথচ শাপলা প্রথমে চেয়েছিল নাগরিক ঐক্য।
২৪ মিনিট আগে