শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা ও গনেশ দাস, বগুড়া
পুলিশ বাহিনীতে চাকরির সুবাদে অর্জিত অভিজ্ঞতা থেকে তদন্ত, আইনকানুন, নিয়মনীতি ও প্রশিক্ষণ নিয়ে বই লেখেন পদস্থ কর্মকর্তারা। এসব বই শত শত কপি বিক্রিও হয়। কিন্তু ক্রেতাদের প্রায় পুরোটাই অধস্তন পুলিশ সদস্য। অভিযোগ রয়েছে, কেউ কেউ ঊর্ধ্বতনকে খুশি রাখার জন্য, আবার কেউ কেউ চাপে পড়ে বই কিনতে বাধ্য হন। অনেক ক্ষেত্রে বইয়ের প্রকাশনা সংস্থার লোকজন থানায় গিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের লেখা বই গছিয়ে দেন।
বই লিখে আলোচনায় আসা কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ শাহজাহান, রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি (ক্রাইম) গোলাম রউফ এবং সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে সদ্য পদায়ন পাওয়া আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী। আজকের পত্রিকার সঙ্গে পৃথক আলাপে তাঁরা দাবি করেছেন, তাঁদের বই পুলিশ বাহিনীতে জনপ্রিয়, আগ্রহী পুলিশ কর্মকর্তারা নিজেরাই কিনে নেন। জোর করার কোনো ঘটনা নেই। তবে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বা স্থানীয় পর্যায়ে বই বিক্রির উদ্যোগ হয়ে থাকতে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেশির ভাগ সময় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের খুশি রাখতে বা তাঁদের নির্দেশ মেনে চলার জন্যই এসব বই কিনতে উদ্যোগ নেন থানার কর্মকর্তারা। কিনলেও কেউ কেউ বইগুলো একবার খুলেও দেখেন না। কারণ চাকরির শুরুতেই তাঁদেরকে এ বইগুলো পড়তে হয়েছে।
পুলিশ স্টাফ কলেজে চাকরির সুবাদে বিভিন্ন আইনবিধি নিয়ে লিখেছেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান। সম্প্রতি তাঁর লেখা বই কেনার জন্য অধস্তনদের নানাভাবে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি রাজশাহীতে পদায়ন পাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন জেলার পুলিশ সদস্যদের মধ্যে তাঁর বই বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত জুলাই থেকে বগুড়া জেলা পুলিশে এই বই বিক্রি শুরু হয়।
জানা গেছে, জেলার অনেক পুলিশ সদস্যকে এই কর্মকর্তার বই কিনতে বাধ্য করা হয়েছে। কেউ কেউ টাকা দিয়েছেন; কিন্তু বই নেননি। কোথাও কোথাও আবার ওসিরা বই কিনে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছে বিক্রি করেছেন। শুধু বগুড়া জেলার ১২টি থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের ইউনিটেই কয়েক লাখ টাকার বই বিক্রি হয়েছে।
জানতে চাইলে ডিআইজি শাহজাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি অনেক আগে থেকেই বই লিখি। পুলিশ সদস্যরা নিজেরাই কিনে পড়েন। কাউকে বাধ্য করার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। যদি কেউ এমন করে থাকে, সেটি আমার জন্য দুঃখজনক। আমি তদন্ত করে দেখব।’ তিনি আরও জানান, কখনো কখনো প্রকাশনা সংস্থার কর্মীরাও থানায় গিয়ে বই বিক্রির চেষ্টা করেন।
তথ্য অনুযায়ী, ডিআইজির লেখা ১০টি বইয়ের সেটের দাম ৫২০০ টাকা, তবে ছাড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০০ টাকায়। বইগুলোর মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন নিরোধ আইন, ভূমি আইন, পুলিশ পদোন্নতি পরীক্ষা গাইড, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনসহ বিভিন্ন আইনভিত্তিক বই রয়েছে। গত জুলাই মাসের ১০ তারিখ থেকে বগুড়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে বই কেনার ঘোষণা দেওয়া হয় এবং ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়।
এ বিষয়ে বিভিন্ন থানার কর্মকর্তাদের প্রতিক্রিয়া ভিন্ন। শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দিন বলেন, তাঁর থানায় ৯ সেট বই বিক্রি হয়েছে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির দাবি করেন, বইগুলো প্রয়োজনীয়, তবে কাউকে কিনতে বাধ্য করা হয়নি; তাঁর থানায় ৬ সেট বই বিক্রি হয়েছে। শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান জানান, একজন বিক্রেতা এসেছিলেন; কিন্তু বই রাখা হয়নি। তবে ওই থানার কয়েকজন এসআই ও এএসআই জানিয়েছেন, বই পাঠানো হয়েছিল, সেগুলো ভাগাভাগি করে কিনতে হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার এক এসআই নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পুলিশের চাকরিতে বই কিনতে বাধ্য করার ঘটনা নতুন নয়। সারদা পুলিশ একাডেমিতেও প্রশিক্ষণের সময় বিভিন্ন কর্মকর্তার লেখা বই কিনতে হয়েছিল। এবার চাপ দেওয়া হলে তিনি ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে বিষয়টি প্রকাশ করবেন বলেও হুমকি দেন।
কাহালু থানায় কয়েকজন বই কিনতে রাজি না হওয়ায় ওসি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছে বই বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ আছে। তবে ওসি নিতাই চন্দ্র সরকার দাবি করেন, অফিসারদের বাইরে আর কাউকে বই দেওয়া হয়নি। আবার এক থানার এসআই অভিযোগ করেন, তাঁর বিটে সাত হাজার টাকার বই চাপানো হয়েছিল। তিন কর্মকর্তা বই না নিয়েই টাকা দিয়েছেন।
ডিআইজির বই বিক্রির সমন্বয় করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে বগুড়া ডিবির ইনচার্জ ইকবাল বাহারের বিরুদ্ধে। তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘স্যারের বই কারও কাছে বিক্রি করা হয়নি, সৌজন্য হিসেবে বিতরণ করা হচ্ছে।’
কুদ্দুছ চৌধুরীর ‘আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণ’
ডিআইজি আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী বাংলা ভাষায় ‘আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণ—নবীশ থেকে পেশাদার’ নামের একটি বই লিখেছেন। ২০১৯ সালের বইমেলায় তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ ঊর্ধ্বতনরা বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন। অভিযোগ আছে, সে সময় ডিএমপির নিম্নপদস্থ সদস্যদের বই কিনতে বাধ্য করা হয়েছিল।
ওই সময় ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করা এসআই পদমর্যাদার এক সদস্য বলেন, ডিবিতে দায়িত্বে থাকা আব্দুল বাতেন সবাইকে বইটি কেনার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁরা সবাই বইটি কিনতে বাধ্য হন।
‘আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণ—নবীশ থেকে পেশাদার’ বইটিতে অস্ত্রভীতি, আগ্নেয়াস্ত্রের বিভিন্ন অংশের পরিচিতি, প্রশিক্ষণ উপকরণ, নিরাপদ ব্যবহারের নীতি প্রভৃতি বিষয় ধাপে ধাপে তুলে ধরা হয়েছে।
জানতে চাইলে ডিআইজি কুদ্দুছ চৌধুরী বলেন, ‘বইটা এখনো বহুল পঠিত, ৩৫ হাজারের বেশি কপি বিক্রি হয়েছে। প্রশিক্ষণে বা কোনো সদস্যের কাছে বাধ্যতামূলক বিক্রি হয়নি; যাঁরা প্রয়োজন মনে করেছেন, তাঁরাই কিনেছেন।’
গোলাম রউফের তদন্তবিষয়ক বই
রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি (ক্রাইম) মোহাম্মদ গোলাম রউফ খান তাঁর বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে ‘তদন্তের ময়নাতদন্ত’ নামের একটি বই লিখেছেন। এতে ২৩৮টি মামলার তদন্তে পাওয়া ভুলত্রুটি কেস স্টাডি আকারে তুলে ধরা হয়েছে। মূল্য প্রায় ১৪০০ টাকা।
ডিআইজি বলেন, ‘আমার বইয়ের পাঠক মূলত পুলিশ সদস্যরা। প্রকাশনা সংস্থা থেকেই বিক্রি হয়। আমি কাউকে বাধ্য করি না; যাঁরা ভালো মনে করেন, তাঁরাই অন্যদের কিনতে উৎসাহিত করেন।’
সরকারি কর্মকর্তাদের লেখা বই অধস্তনদের দিয়ে কিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। এভাবে অর্থ সংগ্রহ করে অনেকেই আয়কর বিবরণীতে অতিরিক্ত আয় দেখান, যা বেতন-ভাতার বাইরে অস্বচ্ছ আয়ের নজির সৃষ্টি করে। এ প্রক্রিয়া কেবল প্রশাসনিক অনিয়ম নয়; বরং সরকারি চাকরির নীতিমালার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক—এমন মতপ্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
পুলিশ বাহিনীতে চাকরির সুবাদে অর্জিত অভিজ্ঞতা থেকে তদন্ত, আইনকানুন, নিয়মনীতি ও প্রশিক্ষণ নিয়ে বই লেখেন পদস্থ কর্মকর্তারা। এসব বই শত শত কপি বিক্রিও হয়। কিন্তু ক্রেতাদের প্রায় পুরোটাই অধস্তন পুলিশ সদস্য। অভিযোগ রয়েছে, কেউ কেউ ঊর্ধ্বতনকে খুশি রাখার জন্য, আবার কেউ কেউ চাপে পড়ে বই কিনতে বাধ্য হন। অনেক ক্ষেত্রে বইয়ের প্রকাশনা সংস্থার লোকজন থানায় গিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের লেখা বই গছিয়ে দেন।
বই লিখে আলোচনায় আসা কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ শাহজাহান, রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি (ক্রাইম) গোলাম রউফ এবং সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে সদ্য পদায়ন পাওয়া আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী। আজকের পত্রিকার সঙ্গে পৃথক আলাপে তাঁরা দাবি করেছেন, তাঁদের বই পুলিশ বাহিনীতে জনপ্রিয়, আগ্রহী পুলিশ কর্মকর্তারা নিজেরাই কিনে নেন। জোর করার কোনো ঘটনা নেই। তবে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বা স্থানীয় পর্যায়ে বই বিক্রির উদ্যোগ হয়ে থাকতে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেশির ভাগ সময় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের খুশি রাখতে বা তাঁদের নির্দেশ মেনে চলার জন্যই এসব বই কিনতে উদ্যোগ নেন থানার কর্মকর্তারা। কিনলেও কেউ কেউ বইগুলো একবার খুলেও দেখেন না। কারণ চাকরির শুরুতেই তাঁদেরকে এ বইগুলো পড়তে হয়েছে।
পুলিশ স্টাফ কলেজে চাকরির সুবাদে বিভিন্ন আইনবিধি নিয়ে লিখেছেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান। সম্প্রতি তাঁর লেখা বই কেনার জন্য অধস্তনদের নানাভাবে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি রাজশাহীতে পদায়ন পাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন জেলার পুলিশ সদস্যদের মধ্যে তাঁর বই বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত জুলাই থেকে বগুড়া জেলা পুলিশে এই বই বিক্রি শুরু হয়।
জানা গেছে, জেলার অনেক পুলিশ সদস্যকে এই কর্মকর্তার বই কিনতে বাধ্য করা হয়েছে। কেউ কেউ টাকা দিয়েছেন; কিন্তু বই নেননি। কোথাও কোথাও আবার ওসিরা বই কিনে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছে বিক্রি করেছেন। শুধু বগুড়া জেলার ১২টি থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের ইউনিটেই কয়েক লাখ টাকার বই বিক্রি হয়েছে।
জানতে চাইলে ডিআইজি শাহজাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি অনেক আগে থেকেই বই লিখি। পুলিশ সদস্যরা নিজেরাই কিনে পড়েন। কাউকে বাধ্য করার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। যদি কেউ এমন করে থাকে, সেটি আমার জন্য দুঃখজনক। আমি তদন্ত করে দেখব।’ তিনি আরও জানান, কখনো কখনো প্রকাশনা সংস্থার কর্মীরাও থানায় গিয়ে বই বিক্রির চেষ্টা করেন।
তথ্য অনুযায়ী, ডিআইজির লেখা ১০টি বইয়ের সেটের দাম ৫২০০ টাকা, তবে ছাড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০০ টাকায়। বইগুলোর মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন নিরোধ আইন, ভূমি আইন, পুলিশ পদোন্নতি পরীক্ষা গাইড, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনসহ বিভিন্ন আইনভিত্তিক বই রয়েছে। গত জুলাই মাসের ১০ তারিখ থেকে বগুড়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে বই কেনার ঘোষণা দেওয়া হয় এবং ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়।
এ বিষয়ে বিভিন্ন থানার কর্মকর্তাদের প্রতিক্রিয়া ভিন্ন। শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দিন বলেন, তাঁর থানায় ৯ সেট বই বিক্রি হয়েছে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির দাবি করেন, বইগুলো প্রয়োজনীয়, তবে কাউকে কিনতে বাধ্য করা হয়নি; তাঁর থানায় ৬ সেট বই বিক্রি হয়েছে। শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান জানান, একজন বিক্রেতা এসেছিলেন; কিন্তু বই রাখা হয়নি। তবে ওই থানার কয়েকজন এসআই ও এএসআই জানিয়েছেন, বই পাঠানো হয়েছিল, সেগুলো ভাগাভাগি করে কিনতে হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার এক এসআই নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পুলিশের চাকরিতে বই কিনতে বাধ্য করার ঘটনা নতুন নয়। সারদা পুলিশ একাডেমিতেও প্রশিক্ষণের সময় বিভিন্ন কর্মকর্তার লেখা বই কিনতে হয়েছিল। এবার চাপ দেওয়া হলে তিনি ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে বিষয়টি প্রকাশ করবেন বলেও হুমকি দেন।
কাহালু থানায় কয়েকজন বই কিনতে রাজি না হওয়ায় ওসি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছে বই বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ আছে। তবে ওসি নিতাই চন্দ্র সরকার দাবি করেন, অফিসারদের বাইরে আর কাউকে বই দেওয়া হয়নি। আবার এক থানার এসআই অভিযোগ করেন, তাঁর বিটে সাত হাজার টাকার বই চাপানো হয়েছিল। তিন কর্মকর্তা বই না নিয়েই টাকা দিয়েছেন।
ডিআইজির বই বিক্রির সমন্বয় করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে বগুড়া ডিবির ইনচার্জ ইকবাল বাহারের বিরুদ্ধে। তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘স্যারের বই কারও কাছে বিক্রি করা হয়নি, সৌজন্য হিসেবে বিতরণ করা হচ্ছে।’
কুদ্দুছ চৌধুরীর ‘আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণ’
ডিআইজি আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী বাংলা ভাষায় ‘আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণ—নবীশ থেকে পেশাদার’ নামের একটি বই লিখেছেন। ২০১৯ সালের বইমেলায় তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ ঊর্ধ্বতনরা বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন। অভিযোগ আছে, সে সময় ডিএমপির নিম্নপদস্থ সদস্যদের বই কিনতে বাধ্য করা হয়েছিল।
ওই সময় ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করা এসআই পদমর্যাদার এক সদস্য বলেন, ডিবিতে দায়িত্বে থাকা আব্দুল বাতেন সবাইকে বইটি কেনার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁরা সবাই বইটি কিনতে বাধ্য হন।
‘আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণ—নবীশ থেকে পেশাদার’ বইটিতে অস্ত্রভীতি, আগ্নেয়াস্ত্রের বিভিন্ন অংশের পরিচিতি, প্রশিক্ষণ উপকরণ, নিরাপদ ব্যবহারের নীতি প্রভৃতি বিষয় ধাপে ধাপে তুলে ধরা হয়েছে।
জানতে চাইলে ডিআইজি কুদ্দুছ চৌধুরী বলেন, ‘বইটা এখনো বহুল পঠিত, ৩৫ হাজারের বেশি কপি বিক্রি হয়েছে। প্রশিক্ষণে বা কোনো সদস্যের কাছে বাধ্যতামূলক বিক্রি হয়নি; যাঁরা প্রয়োজন মনে করেছেন, তাঁরাই কিনেছেন।’
গোলাম রউফের তদন্তবিষয়ক বই
রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি (ক্রাইম) মোহাম্মদ গোলাম রউফ খান তাঁর বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে ‘তদন্তের ময়নাতদন্ত’ নামের একটি বই লিখেছেন। এতে ২৩৮টি মামলার তদন্তে পাওয়া ভুলত্রুটি কেস স্টাডি আকারে তুলে ধরা হয়েছে। মূল্য প্রায় ১৪০০ টাকা।
ডিআইজি বলেন, ‘আমার বইয়ের পাঠক মূলত পুলিশ সদস্যরা। প্রকাশনা সংস্থা থেকেই বিক্রি হয়। আমি কাউকে বাধ্য করি না; যাঁরা ভালো মনে করেন, তাঁরাই অন্যদের কিনতে উৎসাহিত করেন।’
সরকারি কর্মকর্তাদের লেখা বই অধস্তনদের দিয়ে কিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। এভাবে অর্থ সংগ্রহ করে অনেকেই আয়কর বিবরণীতে অতিরিক্ত আয় দেখান, যা বেতন-ভাতার বাইরে অস্বচ্ছ আয়ের নজির সৃষ্টি করে। এ প্রক্রিয়া কেবল প্রশাসনিক অনিয়ম নয়; বরং সরকারি চাকরির নীতিমালার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক—এমন মতপ্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ মহড়া দুই দেশের বিমানবাহিনীর পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়, আন্তকার্যক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সহযোগিতা জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
২ মিনিট আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভায় যোগ দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রোববার বেলা তিনটার দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে সভায় যুক্ত হন তিনি।
১৬ মিনিট আগেগণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সরকার দৃশ্যমান কোনো অ্যাকশন না নেওয়ায় ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে দলটি। এ সময়ের মধ্যে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে তারা।
১ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা বেলা ৩টায় রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে উপস্থিত হবেন। সেখানে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তাঁর অবস্থান করার কথা রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে