আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষা ও সামাজিক ব্যবস্থা দেশে দেশে দারিদ্র্য জিইয়ে রাখে। শিক্ষা সম্পর্কিত প্রচলিত ধারণা মানুষকে স্বাধীন হওয়ার পথে বাধা তৈরি করে। এমন একটি ব্যবস্থার অংশ হওয়া এবং এর পরিবর্তন করতে না পারায় নিজে অপরাধবোধে ভোগেন বলে জানিয়েছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মানুষের দক্ষতা বা উচ্চাকাঙ্ক্ষার অভাবে দরিদ্র থাকে না; বরং অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তাদের সমান সুযোগ না দেওয়ায় তারা দরিদ্র থাকে।
গতকাল শনিবার বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ কথা বলেন অধ্যাপক ইউনূস। বিশ্ববিদ্যালয়টি তাঁকে এদিন সম্মানসূচক ডক্টরেট দিয়েছে।
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় ড. ইউনূস এমন শিক্ষা ব্যবস্থার অংশ হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন, যা ভুল ধারণাগুলো টিকিয়ে রাখে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, দারিদ্র্য মানুষের সহজাত বৈশিষ্ট্য নয়, বরং আমরা যে ব্যবস্থা তৈরি করেছি, তার ত্রুটি। তাঁর মতে, ত্রুটিপূর্ণ চিন্তাভাবনাই অনেক সামাজিক সমস্যার মূল কারণ।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমি অপরাধবোধ করি, কারণ আমরা এখনো প্রচলিত মানসিকতা পরিবর্তন করতে পারিনি, যা ভোগান্তিই তৈরি করে চলেছে। তরুণদের শিক্ষিত করার জন্য আমরা যে ব্যবস্থা ব্যবহার করি, তার ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করা আমার কর্তব্য, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একই ভুল না করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান ব্যবস্থা ধনীদের জন্য তৈরি, দরিদ্রদের জন্য নয়। এই উপলব্ধি আমাকে একটি বিকল্প তৈরি করতে চালিত করে।’
লাখ লাখ তরুণের স্বপ্নপূরণের প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের এই স্বীকৃতি আমাকে অগণিত যুবকের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাহায্য করার আমার প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর থেকে তারা (তরুণেরা) বাংলাদেশের রূপান্তরের চালিকাশক্তি। তাদের লক্ষ্য একটি নতুন বাংলাদেশ তৈরি করা—যা দারিদ্র্য ও ক্ষুধা থেকে মুক্ত। এই দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নের জন্য আমরা সুশাসন, স্বচ্ছতা এবং একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বেশ কিছু সংস্কার শুরু করেছি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘অর্থনৈতিক নীতিগুলোকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে পুনর্গঠন করে আমরা সবার জন্য সমান সুযোগ প্রদান করতে চাই। এই সংস্কারগুলো আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার, যার সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি কৌশল রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিনিয়োগ, শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনরুজ্জীবিত করছি, উদ্যোক্তার মাধ্যমে অর্থনৈতিক রূপান্তরকে উৎসাহিত করছি।’
অধ্যাপক ইউনূস প্রচলিত চাকরি খোঁজার মানসিকতার সমালোচনা করে বলেন, ‘আমাদের যুবকেরা তাদের শিক্ষা শেষ করে এবং এরপর চাকরি খোঁজে। আমি সব সময় বলেছি, এটি একটি ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতি। মানুষ চাকরি খোঁজার জন্য জন্মগ্রহণ করে না। চাকরির ধারণাটি একটি ভুল ধারণা।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ সহজাতভাবে সৃজনশীল এবং তারা সৃজনশীল কাজে নিযুক্ত হতে পছন্দ করে। চাকরি তাদের তত্ত্বাবধায়কদের নির্দেশ অনুসরণ করতে বাধ্য করে সৃজনশীলতাকে দমন করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চাকরি হলো আধুনিক দাসত্বের একটি রূপ, কিন্তু মানুষ দাস হওয়ার জন্য নয়—তারা মুক্ত হওয়ার জন্য। আমাদের এই ধারণাটি ছড়িয়ে দিতে হবে যে, মানুষ কর্মচারী হওয়ার জন্য নয়, উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য জন্মগ্রহণ করে।’
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার্থীদের চাকরিপ্রার্থী না করে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রস্তুত করার আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের চাকরিপ্রার্থী হিসেবে নয়, সফল উদ্যোক্তা হিসেবে স্নাতক হওয়া উচিত। এই বিশ্বাস একটি সাধারণ অভিজ্ঞতা থেকে উদ্ভূত। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি পড়াতাম, তার কাছে আমি গ্রামীণ নারীদের ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের মাধ্যমে একটি ছোট উদ্যোগ শুরু করি।’
তিনি বলেন, ‘আমার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল তাদের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য তহবিল ব্যবহার করতে সাহায্য করা। সেই সময়ে, আমি নিশ্চিত ছিলাম না, এই উদ্যোগটি কাজ করবে কি না। তবে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয় এবং তারা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যায়। অবশেষে, এই পদ্ধতি লাখ লাখ নারীর জীবন পরিবর্তন করেছে।’
তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, ‘এই উদাহরণ আমাকে আশ্বস্ত করেছে যে, সমস্ত মানুষ উদ্যোক্তা। পাঠ্যপুস্তকে আমাদের শেখানো হয় যে, শুধু কয়েকজন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য জন্মগ্রহণ করে, বাকিদের তাদের অধীনে কাজ করতে হয়। আমি এই ধারণার সঙ্গে দৃঢ়ভাবে দ্বিমত পোষণ করি।’
বাংলাদেশের দৃষ্টান্ত টেনে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশের অত্যন্ত দরিদ্র, অশিক্ষিত নারীরা যদি ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হতে পারে, তবে যে কেউ পারবে। আমরা তাদের ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ বা নির্দেশ প্রদান করি না—তারা নিজেরাই এটি বের করে।’
অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, ‘এটি একটি মৌলিক প্রশ্ন উত্থাপন করে: শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য কী? তাই আমি বিশ্বাস করি, শিক্ষা একজন ব্যক্তির সৃজনশীল সম্ভাবনা উন্মোচন করবে এবং তাদের বিশ্ব পরিবর্তন করার ক্ষমতা দেবে।’
গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় (পিকেইউ) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট দেয়।
সম্মানসূচক ডক্টরেট গ্রহণের পর প্রধান উপদেষ্টা দর্শকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি, কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এবং পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি দল তাঁকে স্বাগত জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বের সঙ্গে একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠকও করেন।

ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষা ও সামাজিক ব্যবস্থা দেশে দেশে দারিদ্র্য জিইয়ে রাখে। শিক্ষা সম্পর্কিত প্রচলিত ধারণা মানুষকে স্বাধীন হওয়ার পথে বাধা তৈরি করে। এমন একটি ব্যবস্থার অংশ হওয়া এবং এর পরিবর্তন করতে না পারায় নিজে অপরাধবোধে ভোগেন বলে জানিয়েছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মানুষের দক্ষতা বা উচ্চাকাঙ্ক্ষার অভাবে দরিদ্র থাকে না; বরং অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তাদের সমান সুযোগ না দেওয়ায় তারা দরিদ্র থাকে।
গতকাল শনিবার বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ কথা বলেন অধ্যাপক ইউনূস। বিশ্ববিদ্যালয়টি তাঁকে এদিন সম্মানসূচক ডক্টরেট দিয়েছে।
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় ড. ইউনূস এমন শিক্ষা ব্যবস্থার অংশ হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন, যা ভুল ধারণাগুলো টিকিয়ে রাখে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, দারিদ্র্য মানুষের সহজাত বৈশিষ্ট্য নয়, বরং আমরা যে ব্যবস্থা তৈরি করেছি, তার ত্রুটি। তাঁর মতে, ত্রুটিপূর্ণ চিন্তাভাবনাই অনেক সামাজিক সমস্যার মূল কারণ।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমি অপরাধবোধ করি, কারণ আমরা এখনো প্রচলিত মানসিকতা পরিবর্তন করতে পারিনি, যা ভোগান্তিই তৈরি করে চলেছে। তরুণদের শিক্ষিত করার জন্য আমরা যে ব্যবস্থা ব্যবহার করি, তার ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করা আমার কর্তব্য, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একই ভুল না করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান ব্যবস্থা ধনীদের জন্য তৈরি, দরিদ্রদের জন্য নয়। এই উপলব্ধি আমাকে একটি বিকল্প তৈরি করতে চালিত করে।’
লাখ লাখ তরুণের স্বপ্নপূরণের প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের এই স্বীকৃতি আমাকে অগণিত যুবকের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাহায্য করার আমার প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর থেকে তারা (তরুণেরা) বাংলাদেশের রূপান্তরের চালিকাশক্তি। তাদের লক্ষ্য একটি নতুন বাংলাদেশ তৈরি করা—যা দারিদ্র্য ও ক্ষুধা থেকে মুক্ত। এই দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নের জন্য আমরা সুশাসন, স্বচ্ছতা এবং একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বেশ কিছু সংস্কার শুরু করেছি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘অর্থনৈতিক নীতিগুলোকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে পুনর্গঠন করে আমরা সবার জন্য সমান সুযোগ প্রদান করতে চাই। এই সংস্কারগুলো আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার, যার সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি কৌশল রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিনিয়োগ, শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনরুজ্জীবিত করছি, উদ্যোক্তার মাধ্যমে অর্থনৈতিক রূপান্তরকে উৎসাহিত করছি।’
অধ্যাপক ইউনূস প্রচলিত চাকরি খোঁজার মানসিকতার সমালোচনা করে বলেন, ‘আমাদের যুবকেরা তাদের শিক্ষা শেষ করে এবং এরপর চাকরি খোঁজে। আমি সব সময় বলেছি, এটি একটি ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতি। মানুষ চাকরি খোঁজার জন্য জন্মগ্রহণ করে না। চাকরির ধারণাটি একটি ভুল ধারণা।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ সহজাতভাবে সৃজনশীল এবং তারা সৃজনশীল কাজে নিযুক্ত হতে পছন্দ করে। চাকরি তাদের তত্ত্বাবধায়কদের নির্দেশ অনুসরণ করতে বাধ্য করে সৃজনশীলতাকে দমন করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চাকরি হলো আধুনিক দাসত্বের একটি রূপ, কিন্তু মানুষ দাস হওয়ার জন্য নয়—তারা মুক্ত হওয়ার জন্য। আমাদের এই ধারণাটি ছড়িয়ে দিতে হবে যে, মানুষ কর্মচারী হওয়ার জন্য নয়, উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য জন্মগ্রহণ করে।’
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার্থীদের চাকরিপ্রার্থী না করে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রস্তুত করার আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের চাকরিপ্রার্থী হিসেবে নয়, সফল উদ্যোক্তা হিসেবে স্নাতক হওয়া উচিত। এই বিশ্বাস একটি সাধারণ অভিজ্ঞতা থেকে উদ্ভূত। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি পড়াতাম, তার কাছে আমি গ্রামীণ নারীদের ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের মাধ্যমে একটি ছোট উদ্যোগ শুরু করি।’
তিনি বলেন, ‘আমার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল তাদের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য তহবিল ব্যবহার করতে সাহায্য করা। সেই সময়ে, আমি নিশ্চিত ছিলাম না, এই উদ্যোগটি কাজ করবে কি না। তবে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয় এবং তারা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যায়। অবশেষে, এই পদ্ধতি লাখ লাখ নারীর জীবন পরিবর্তন করেছে।’
তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, ‘এই উদাহরণ আমাকে আশ্বস্ত করেছে যে, সমস্ত মানুষ উদ্যোক্তা। পাঠ্যপুস্তকে আমাদের শেখানো হয় যে, শুধু কয়েকজন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য জন্মগ্রহণ করে, বাকিদের তাদের অধীনে কাজ করতে হয়। আমি এই ধারণার সঙ্গে দৃঢ়ভাবে দ্বিমত পোষণ করি।’
বাংলাদেশের দৃষ্টান্ত টেনে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশের অত্যন্ত দরিদ্র, অশিক্ষিত নারীরা যদি ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হতে পারে, তবে যে কেউ পারবে। আমরা তাদের ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ বা নির্দেশ প্রদান করি না—তারা নিজেরাই এটি বের করে।’
অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, ‘এটি একটি মৌলিক প্রশ্ন উত্থাপন করে: শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য কী? তাই আমি বিশ্বাস করি, শিক্ষা একজন ব্যক্তির সৃজনশীল সম্ভাবনা উন্মোচন করবে এবং তাদের বিশ্ব পরিবর্তন করার ক্ষমতা দেবে।’
গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় (পিকেইউ) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট দেয়।
সম্মানসূচক ডক্টরেট গ্রহণের পর প্রধান উপদেষ্টা দর্শকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি, কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এবং পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি দল তাঁকে স্বাগত জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বের সঙ্গে একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠকও করেন।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষা ও সামাজিক ব্যবস্থা দেশে দেশে দারিদ্র্য জিইয়ে রাখে। শিক্ষা সম্পর্কিত প্রচলিত ধারণা মানুষকে স্বাধীন হওয়ার পথে বাধা তৈরি করে। এমন একটি ব্যবস্থার অংশ হওয়া এবং এর পরিবর্তন করতে না পারায় নিজে অপরাধবোধে ভোগেন বলে জানিয়েছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মানুষের দক্ষতা বা উচ্চাকাঙ্ক্ষার অভাবে দরিদ্র থাকে না; বরং অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তাদের সমান সুযোগ না দেওয়ায় তারা দরিদ্র থাকে।
গতকাল শনিবার বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ কথা বলেন অধ্যাপক ইউনূস। বিশ্ববিদ্যালয়টি তাঁকে এদিন সম্মানসূচক ডক্টরেট দিয়েছে।
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় ড. ইউনূস এমন শিক্ষা ব্যবস্থার অংশ হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন, যা ভুল ধারণাগুলো টিকিয়ে রাখে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, দারিদ্র্য মানুষের সহজাত বৈশিষ্ট্য নয়, বরং আমরা যে ব্যবস্থা তৈরি করেছি, তার ত্রুটি। তাঁর মতে, ত্রুটিপূর্ণ চিন্তাভাবনাই অনেক সামাজিক সমস্যার মূল কারণ।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমি অপরাধবোধ করি, কারণ আমরা এখনো প্রচলিত মানসিকতা পরিবর্তন করতে পারিনি, যা ভোগান্তিই তৈরি করে চলেছে। তরুণদের শিক্ষিত করার জন্য আমরা যে ব্যবস্থা ব্যবহার করি, তার ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করা আমার কর্তব্য, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একই ভুল না করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান ব্যবস্থা ধনীদের জন্য তৈরি, দরিদ্রদের জন্য নয়। এই উপলব্ধি আমাকে একটি বিকল্প তৈরি করতে চালিত করে।’
লাখ লাখ তরুণের স্বপ্নপূরণের প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের এই স্বীকৃতি আমাকে অগণিত যুবকের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাহায্য করার আমার প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর থেকে তারা (তরুণেরা) বাংলাদেশের রূপান্তরের চালিকাশক্তি। তাদের লক্ষ্য একটি নতুন বাংলাদেশ তৈরি করা—যা দারিদ্র্য ও ক্ষুধা থেকে মুক্ত। এই দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নের জন্য আমরা সুশাসন, স্বচ্ছতা এবং একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বেশ কিছু সংস্কার শুরু করেছি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘অর্থনৈতিক নীতিগুলোকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে পুনর্গঠন করে আমরা সবার জন্য সমান সুযোগ প্রদান করতে চাই। এই সংস্কারগুলো আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার, যার সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি কৌশল রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিনিয়োগ, শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনরুজ্জীবিত করছি, উদ্যোক্তার মাধ্যমে অর্থনৈতিক রূপান্তরকে উৎসাহিত করছি।’
অধ্যাপক ইউনূস প্রচলিত চাকরি খোঁজার মানসিকতার সমালোচনা করে বলেন, ‘আমাদের যুবকেরা তাদের শিক্ষা শেষ করে এবং এরপর চাকরি খোঁজে। আমি সব সময় বলেছি, এটি একটি ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতি। মানুষ চাকরি খোঁজার জন্য জন্মগ্রহণ করে না। চাকরির ধারণাটি একটি ভুল ধারণা।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ সহজাতভাবে সৃজনশীল এবং তারা সৃজনশীল কাজে নিযুক্ত হতে পছন্দ করে। চাকরি তাদের তত্ত্বাবধায়কদের নির্দেশ অনুসরণ করতে বাধ্য করে সৃজনশীলতাকে দমন করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চাকরি হলো আধুনিক দাসত্বের একটি রূপ, কিন্তু মানুষ দাস হওয়ার জন্য নয়—তারা মুক্ত হওয়ার জন্য। আমাদের এই ধারণাটি ছড়িয়ে দিতে হবে যে, মানুষ কর্মচারী হওয়ার জন্য নয়, উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য জন্মগ্রহণ করে।’
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার্থীদের চাকরিপ্রার্থী না করে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রস্তুত করার আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের চাকরিপ্রার্থী হিসেবে নয়, সফল উদ্যোক্তা হিসেবে স্নাতক হওয়া উচিত। এই বিশ্বাস একটি সাধারণ অভিজ্ঞতা থেকে উদ্ভূত। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি পড়াতাম, তার কাছে আমি গ্রামীণ নারীদের ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের মাধ্যমে একটি ছোট উদ্যোগ শুরু করি।’
তিনি বলেন, ‘আমার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল তাদের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য তহবিল ব্যবহার করতে সাহায্য করা। সেই সময়ে, আমি নিশ্চিত ছিলাম না, এই উদ্যোগটি কাজ করবে কি না। তবে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয় এবং তারা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যায়। অবশেষে, এই পদ্ধতি লাখ লাখ নারীর জীবন পরিবর্তন করেছে।’
তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, ‘এই উদাহরণ আমাকে আশ্বস্ত করেছে যে, সমস্ত মানুষ উদ্যোক্তা। পাঠ্যপুস্তকে আমাদের শেখানো হয় যে, শুধু কয়েকজন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য জন্মগ্রহণ করে, বাকিদের তাদের অধীনে কাজ করতে হয়। আমি এই ধারণার সঙ্গে দৃঢ়ভাবে দ্বিমত পোষণ করি।’
বাংলাদেশের দৃষ্টান্ত টেনে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশের অত্যন্ত দরিদ্র, অশিক্ষিত নারীরা যদি ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হতে পারে, তবে যে কেউ পারবে। আমরা তাদের ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ বা নির্দেশ প্রদান করি না—তারা নিজেরাই এটি বের করে।’
অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, ‘এটি একটি মৌলিক প্রশ্ন উত্থাপন করে: শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য কী? তাই আমি বিশ্বাস করি, শিক্ষা একজন ব্যক্তির সৃজনশীল সম্ভাবনা উন্মোচন করবে এবং তাদের বিশ্ব পরিবর্তন করার ক্ষমতা দেবে।’
গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় (পিকেইউ) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট দেয়।
সম্মানসূচক ডক্টরেট গ্রহণের পর প্রধান উপদেষ্টা দর্শকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি, কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এবং পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি দল তাঁকে স্বাগত জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বের সঙ্গে একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠকও করেন।

ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষা ও সামাজিক ব্যবস্থা দেশে দেশে দারিদ্র্য জিইয়ে রাখে। শিক্ষা সম্পর্কিত প্রচলিত ধারণা মানুষকে স্বাধীন হওয়ার পথে বাধা তৈরি করে। এমন একটি ব্যবস্থার অংশ হওয়া এবং এর পরিবর্তন করতে না পারায় নিজে অপরাধবোধে ভোগেন বলে জানিয়েছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মানুষের দক্ষতা বা উচ্চাকাঙ্ক্ষার অভাবে দরিদ্র থাকে না; বরং অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তাদের সমান সুযোগ না দেওয়ায় তারা দরিদ্র থাকে।
গতকাল শনিবার বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ কথা বলেন অধ্যাপক ইউনূস। বিশ্ববিদ্যালয়টি তাঁকে এদিন সম্মানসূচক ডক্টরেট দিয়েছে।
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় ড. ইউনূস এমন শিক্ষা ব্যবস্থার অংশ হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন, যা ভুল ধারণাগুলো টিকিয়ে রাখে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, দারিদ্র্য মানুষের সহজাত বৈশিষ্ট্য নয়, বরং আমরা যে ব্যবস্থা তৈরি করেছি, তার ত্রুটি। তাঁর মতে, ত্রুটিপূর্ণ চিন্তাভাবনাই অনেক সামাজিক সমস্যার মূল কারণ।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমি অপরাধবোধ করি, কারণ আমরা এখনো প্রচলিত মানসিকতা পরিবর্তন করতে পারিনি, যা ভোগান্তিই তৈরি করে চলেছে। তরুণদের শিক্ষিত করার জন্য আমরা যে ব্যবস্থা ব্যবহার করি, তার ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করা আমার কর্তব্য, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একই ভুল না করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান ব্যবস্থা ধনীদের জন্য তৈরি, দরিদ্রদের জন্য নয়। এই উপলব্ধি আমাকে একটি বিকল্প তৈরি করতে চালিত করে।’
লাখ লাখ তরুণের স্বপ্নপূরণের প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের এই স্বীকৃতি আমাকে অগণিত যুবকের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাহায্য করার আমার প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর থেকে তারা (তরুণেরা) বাংলাদেশের রূপান্তরের চালিকাশক্তি। তাদের লক্ষ্য একটি নতুন বাংলাদেশ তৈরি করা—যা দারিদ্র্য ও ক্ষুধা থেকে মুক্ত। এই দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নের জন্য আমরা সুশাসন, স্বচ্ছতা এবং একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বেশ কিছু সংস্কার শুরু করেছি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘অর্থনৈতিক নীতিগুলোকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে পুনর্গঠন করে আমরা সবার জন্য সমান সুযোগ প্রদান করতে চাই। এই সংস্কারগুলো আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার, যার সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি কৌশল রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিনিয়োগ, শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনরুজ্জীবিত করছি, উদ্যোক্তার মাধ্যমে অর্থনৈতিক রূপান্তরকে উৎসাহিত করছি।’
অধ্যাপক ইউনূস প্রচলিত চাকরি খোঁজার মানসিকতার সমালোচনা করে বলেন, ‘আমাদের যুবকেরা তাদের শিক্ষা শেষ করে এবং এরপর চাকরি খোঁজে। আমি সব সময় বলেছি, এটি একটি ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতি। মানুষ চাকরি খোঁজার জন্য জন্মগ্রহণ করে না। চাকরির ধারণাটি একটি ভুল ধারণা।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ সহজাতভাবে সৃজনশীল এবং তারা সৃজনশীল কাজে নিযুক্ত হতে পছন্দ করে। চাকরি তাদের তত্ত্বাবধায়কদের নির্দেশ অনুসরণ করতে বাধ্য করে সৃজনশীলতাকে দমন করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চাকরি হলো আধুনিক দাসত্বের একটি রূপ, কিন্তু মানুষ দাস হওয়ার জন্য নয়—তারা মুক্ত হওয়ার জন্য। আমাদের এই ধারণাটি ছড়িয়ে দিতে হবে যে, মানুষ কর্মচারী হওয়ার জন্য নয়, উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য জন্মগ্রহণ করে।’
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার্থীদের চাকরিপ্রার্থী না করে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রস্তুত করার আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের চাকরিপ্রার্থী হিসেবে নয়, সফল উদ্যোক্তা হিসেবে স্নাতক হওয়া উচিত। এই বিশ্বাস একটি সাধারণ অভিজ্ঞতা থেকে উদ্ভূত। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি পড়াতাম, তার কাছে আমি গ্রামীণ নারীদের ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের মাধ্যমে একটি ছোট উদ্যোগ শুরু করি।’
তিনি বলেন, ‘আমার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল তাদের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য তহবিল ব্যবহার করতে সাহায্য করা। সেই সময়ে, আমি নিশ্চিত ছিলাম না, এই উদ্যোগটি কাজ করবে কি না। তবে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয় এবং তারা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যায়। অবশেষে, এই পদ্ধতি লাখ লাখ নারীর জীবন পরিবর্তন করেছে।’
তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, ‘এই উদাহরণ আমাকে আশ্বস্ত করেছে যে, সমস্ত মানুষ উদ্যোক্তা। পাঠ্যপুস্তকে আমাদের শেখানো হয় যে, শুধু কয়েকজন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য জন্মগ্রহণ করে, বাকিদের তাদের অধীনে কাজ করতে হয়। আমি এই ধারণার সঙ্গে দৃঢ়ভাবে দ্বিমত পোষণ করি।’
বাংলাদেশের দৃষ্টান্ত টেনে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশের অত্যন্ত দরিদ্র, অশিক্ষিত নারীরা যদি ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হতে পারে, তবে যে কেউ পারবে। আমরা তাদের ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ বা নির্দেশ প্রদান করি না—তারা নিজেরাই এটি বের করে।’
অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, ‘এটি একটি মৌলিক প্রশ্ন উত্থাপন করে: শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য কী? তাই আমি বিশ্বাস করি, শিক্ষা একজন ব্যক্তির সৃজনশীল সম্ভাবনা উন্মোচন করবে এবং তাদের বিশ্ব পরিবর্তন করার ক্ষমতা দেবে।’
গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় (পিকেইউ) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট দেয়।
সম্মানসূচক ডক্টরেট গ্রহণের পর প্রধান উপদেষ্টা দর্শকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি, কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এবং পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি দল তাঁকে স্বাগত জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বের সঙ্গে একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠকও করেন।

সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের
৫ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
৯ ঘণ্টা আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
২০ ঘণ্টা আগেখানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মরহুমের এক নিকটাত্মীয় আজকের পত্রিকাকে জানান, মাহমুদ আলী দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। ১৩ দিন ধরে তিনি বারডেম হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল রাতে ধানমন্ডির নিজ বাসার সামনে জানাজা শেষে মরহুমকে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী ১৯৪৩ সালের ২ জুন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ডাক্তারপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দিনাজপুর-৪ (খানসামা-চিরিরবন্দর) আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬২ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক ও ১৯৬৩ সালে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে যোগ দেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি ওই বছরের মে মাসে মুজিবনগরে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত হন।
১৯৬৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল, জার্মানিতে ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সাল ও ভুটানে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মরহুমের এক নিকটাত্মীয় আজকের পত্রিকাকে জানান, মাহমুদ আলী দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। ১৩ দিন ধরে তিনি বারডেম হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল রাতে ধানমন্ডির নিজ বাসার সামনে জানাজা শেষে মরহুমকে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী ১৯৪৩ সালের ২ জুন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ডাক্তারপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দিনাজপুর-৪ (খানসামা-চিরিরবন্দর) আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬২ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক ও ১৯৬৩ সালে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে যোগ দেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি ওই বছরের মে মাসে মুজিবনগরে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত হন।
১৯৬৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল, জার্মানিতে ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সাল ও ভুটানে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষা ও সামাজিক ব্যবস্থা দেশে দেশে দারিদ্র্য জিইয়ে রাখে। শিক্ষা সম্পর্কিত প্রচলিত ধারণা মানুষকে স্বাধীন হওয়ার পথে বাধা তৈরি করে। এমন একটি ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে না পারায় নিজে অপরাধবোধে ভোগেন বলে জানিয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
৩০ মার্চ ২০২৫
২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের
৫ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
৯ ঘণ্টা আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
২০ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া।
আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের জন্য দক্ষ মানবসম্পদসমৃদ্ধ একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় উৎস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
জাপান আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণার্থী ও দক্ষ কর্মী সহযোগিতা সংস্থা জিটকোর সহযোগিতায় আয়োজিত এ সেমিনার ও পরবর্তী ম্যাচিং ইভেন্টে দুই দেশের প্রায় ২৫০টি জনশক্তি রপ্তানিকারক ও নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
স্বাগত বক্তব্যে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী বলেন, জাপানে দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে দূতাবাস সব ধরনের সহায়তা দেবে।
সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া জানান, ২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ বিদেশি কর্মীর প্রয়োজন হবে, অন্যদিকে বাংলাদেশে অতিরিক্ত ২ কোটি ৫০ লাখ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী রয়েছে—এ প্রবণতা ২০৪০ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
নেয়ামত উল্যা বলেন, বাংলাদেশ সরকার জাপানের শ্রমবাজারে দক্ষ কর্মী সরবরাহে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে এবং এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ড. নেয়ামত আরও জানান, জাপানের শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী কর্মী প্রস্তুতের জন্য বাংলাদেশে ৩৩টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) নির্ধারণ করা হয়েছে, প্রয়োজনে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এ ছাড়া প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে একটি ‘জাপান সেল’ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা জাপানি শ্রমবাজারের সঙ্গে সমন্বয় ও যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।
সেমিনারে জিটকোর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শিগেও মাতসুতোমি আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের বর্তমান অবস্থা ও জাপানের সম্ভাবনা নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
পরে বাংলাদেশি জনশক্তি প্রেরণকারী ও জাপানি নিয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সেমিনারে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া।
আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের জন্য দক্ষ মানবসম্পদসমৃদ্ধ একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় উৎস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
জাপান আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণার্থী ও দক্ষ কর্মী সহযোগিতা সংস্থা জিটকোর সহযোগিতায় আয়োজিত এ সেমিনার ও পরবর্তী ম্যাচিং ইভেন্টে দুই দেশের প্রায় ২৫০টি জনশক্তি রপ্তানিকারক ও নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
স্বাগত বক্তব্যে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী বলেন, জাপানে দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে দূতাবাস সব ধরনের সহায়তা দেবে।
সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া জানান, ২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ বিদেশি কর্মীর প্রয়োজন হবে, অন্যদিকে বাংলাদেশে অতিরিক্ত ২ কোটি ৫০ লাখ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী রয়েছে—এ প্রবণতা ২০৪০ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
নেয়ামত উল্যা বলেন, বাংলাদেশ সরকার জাপানের শ্রমবাজারে দক্ষ কর্মী সরবরাহে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে এবং এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ড. নেয়ামত আরও জানান, জাপানের শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী কর্মী প্রস্তুতের জন্য বাংলাদেশে ৩৩টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) নির্ধারণ করা হয়েছে, প্রয়োজনে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এ ছাড়া প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে একটি ‘জাপান সেল’ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা জাপানি শ্রমবাজারের সঙ্গে সমন্বয় ও যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।
সেমিনারে জিটকোর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শিগেও মাতসুতোমি আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের বর্তমান অবস্থা ও জাপানের সম্ভাবনা নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
পরে বাংলাদেশি জনশক্তি প্রেরণকারী ও জাপানি নিয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সেমিনারে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষা ও সামাজিক ব্যবস্থা দেশে দেশে দারিদ্র্য জিইয়ে রাখে। শিক্ষা সম্পর্কিত প্রচলিত ধারণা মানুষকে স্বাধীন হওয়ার পথে বাধা তৈরি করে। এমন একটি ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে না পারায় নিজে অপরাধবোধে ভোগেন বলে জানিয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
৩০ মার্চ ২০২৫
সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
৯ ঘণ্টা আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা রোধে বেতন বৃদ্ধির যৌক্তিক দাবি পে কমিশনের কাছে উত্থাপন করা হয়েছে।
বাহিনীর বিবৃতি অনুযায়ী, ৫ নভেম্বর রাতে নাইট শিফটে (রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৩০ মিনিট) দায়িত্ব পালনকালে অভিযুক্ত অঙ্গীভূত আনসার সদস্য জেনারুল ইসলাম লোভের বশবর্তী হয়ে একটি অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। তিনি ব্যক্তিগত প্রয়োজনের কথা বলে পোড়া ভবনের ভেতরে ভস্মীভূত দ্রব্যাদি থেকে কিছু বাটন ফোন লুকিয়ে বের করার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁকে ঘটনাস্থলেই হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং বাহিনীর জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখতে, সংশ্লিষ্ট আনসার সদস্যকে সঙ্গে সঙ্গে চাকরি থেকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। উপপরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এত দ্রুততম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাহিনীর সদস্যদের দীর্ঘদিনের অনৈতিক চর্চার ক্ষেত্রগুলো হ্রাস করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলো।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাহিনী মনে করে, রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে স্বল্প বেতনের মাধ্যমে দিবারাত্রি ডিউটি শেষে জীবিকার মৌলিক প্রয়োজনগুলো মেটানো অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের মনস্তাত্ত্বিক প্রেষণার অন্যতম নিয়ামক। এ কারণেই বাহিনীর পক্ষ থেকে সদস্যদের নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে মনস্তাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে বাহিনীর প্রধান পে কমিশন চেয়ারম্যানের কাছে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের যৌক্তিক বেতন বৃদ্ধির আবেদন করেছেন। বাহিনীর প্রত্যাশা, বেতন বৃদ্ধি হলে সংবেদনশীল ও ঝুঁকিপূর্ণ ডিউটির ক্ষেত্রে সদস্যরা আরও বেশি নিবেদিত ও নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে অনুপ্রাণিত হবেন।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও কেপিআই এলাকায় দক্ষতা, সততা ও পেশাদারির সঙ্গে দীর্ঘকাল ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছে। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, দ্রুততর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি সদস্যদের জন্য সার্বিক কল্যাণধর্মী কার্যক্রমের মাধ্যমে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপে সদস্যদের সম্পৃক্ততা ধীরে ধীরে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুনেও অক্ষত স্ট্রংরুমের ভল্ট থেকে চুরি হয়েছে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই কমপ্লেক্সের স্ট্রংরুম গত রোববার দুপুরে নিয়মিত পরিদর্শনের সময় ভল্ট থেকে অস্ত্রগুলো খোয়া যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।

রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা রোধে বেতন বৃদ্ধির যৌক্তিক দাবি পে কমিশনের কাছে উত্থাপন করা হয়েছে।
বাহিনীর বিবৃতি অনুযায়ী, ৫ নভেম্বর রাতে নাইট শিফটে (রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৩০ মিনিট) দায়িত্ব পালনকালে অভিযুক্ত অঙ্গীভূত আনসার সদস্য জেনারুল ইসলাম লোভের বশবর্তী হয়ে একটি অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। তিনি ব্যক্তিগত প্রয়োজনের কথা বলে পোড়া ভবনের ভেতরে ভস্মীভূত দ্রব্যাদি থেকে কিছু বাটন ফোন লুকিয়ে বের করার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁকে ঘটনাস্থলেই হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং বাহিনীর জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখতে, সংশ্লিষ্ট আনসার সদস্যকে সঙ্গে সঙ্গে চাকরি থেকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। উপপরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এত দ্রুততম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাহিনীর সদস্যদের দীর্ঘদিনের অনৈতিক চর্চার ক্ষেত্রগুলো হ্রাস করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলো।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাহিনী মনে করে, রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে স্বল্প বেতনের মাধ্যমে দিবারাত্রি ডিউটি শেষে জীবিকার মৌলিক প্রয়োজনগুলো মেটানো অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের মনস্তাত্ত্বিক প্রেষণার অন্যতম নিয়ামক। এ কারণেই বাহিনীর পক্ষ থেকে সদস্যদের নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে মনস্তাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে বাহিনীর প্রধান পে কমিশন চেয়ারম্যানের কাছে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের যৌক্তিক বেতন বৃদ্ধির আবেদন করেছেন। বাহিনীর প্রত্যাশা, বেতন বৃদ্ধি হলে সংবেদনশীল ও ঝুঁকিপূর্ণ ডিউটির ক্ষেত্রে সদস্যরা আরও বেশি নিবেদিত ও নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে অনুপ্রাণিত হবেন।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও কেপিআই এলাকায় দক্ষতা, সততা ও পেশাদারির সঙ্গে দীর্ঘকাল ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছে। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, দ্রুততর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি সদস্যদের জন্য সার্বিক কল্যাণধর্মী কার্যক্রমের মাধ্যমে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপে সদস্যদের সম্পৃক্ততা ধীরে ধীরে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুনেও অক্ষত স্ট্রংরুমের ভল্ট থেকে চুরি হয়েছে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই কমপ্লেক্সের স্ট্রংরুম গত রোববার দুপুরে নিয়মিত পরিদর্শনের সময় ভল্ট থেকে অস্ত্রগুলো খোয়া যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।

ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষা ও সামাজিক ব্যবস্থা দেশে দেশে দারিদ্র্য জিইয়ে রাখে। শিক্ষা সম্পর্কিত প্রচলিত ধারণা মানুষকে স্বাধীন হওয়ার পথে বাধা তৈরি করে। এমন একটি ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে না পারায় নিজে অপরাধবোধে ভোগেন বলে জানিয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
৩০ মার্চ ২০২৫
সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের
৫ ঘণ্টা আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
২০ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
রাইডশেয়ারিং সেবার নীতিমালা-২০১৭ সংশোধন করে বিআরটিএ ২ নভেম্বর প্রস্তাবটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আগে ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস গাইডলাইন-২০১০ অনুযায়ী রাইড শেয়ারিংয়ের ভাড়া নির্ধারিত থাকলেও তা নতুনভাবে নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত আগস্টে গঠিত বিআরটিএর কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই প্রস্তাব করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিআরটিএর প্রস্তাবিত ভাড়ার কাঠামো অনুযায়ী মাইক্রোবাস, মোটরকার/জিপ, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ২ কিলোমিটারের মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। মাইক্রোবাসের ২ কিলোমিটারের সর্বনিম্ন ভাড়া হবে ১১০ টাকা, মোটরকার ও জিপের ১১০ টাকা, অটোরিকশার ৭০ টাকা এবং মোটরসাইকেলের ৬৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি যানের প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়ার সঙ্গে ২০ টাকা বুকিং ফি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৮ টাকা। ভ্রমণ চলাকালে প্রতি মিনিটের ভাড়া ২ টাকা। মোটরকার ও জিপে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। অটোরিকশার প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারে ১৮ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। মোটরসাইকেলের প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ১ টাকা। মোটরসাইকেলের আগে প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়া ছিল ৮৫ টাকা।
রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর কমিশনের হারও কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিআরটিএ। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা ভাড়ার সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ কমিশন নিতে পারবে। আগে এই হার ছিল ৩০ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাইড শেয়ারিংয়ের নানা বিষয়ে একটি আবেদন করেছিলেন রাইডরা। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পরে এটা নিয়ে আমাদের একটি কমিটি হয়েছিল। ওই কমিটি রাইডশেয়ারিংয়ের নানা বিষয় পর্যালোচনা করেছে।’
বিআরটিএ সূত্র জানায়, রাইডশেয়ারিং সেবার প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী যাত্রী বা চালক কেউ ট্রিপ বাতিল করলে নির্দিষ্ট সময়ের পর বাতিল চার্জ প্রযোজ্য হবে। যাত্রী অনুরোধ পাঠানোর পর চালক গ্রহণ করে যাত্রীর অভিমুখে রওনা হওয়ার পর ৩ মিনিটের মধ্যে ট্রিপ বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। তবে ওই সময়ের পর বাতিল করলে সম্ভাব্য ভাড়ার ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৩০ টাকা (যেটি কম) ক্যানসেলেশন চার্জ হিসেবে নেওয়া হবে, যা চালক ও রাইডশেয়ারিং কোম্পানি সমানভাবে ভাগ করবে।
চালকও অনুরোধ গ্রহণের পর ৩ মিনিটের মধ্যে বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। কিন্তু এর পর বাতিল করলে তাঁর কাছ থেকেও একই হারে চার্জ কাটা হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাইড শেয়ারিংয়ে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ ও কমিশন কমানো যাত্রীদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে। তবে বাস্তবায়ন ও তদারকি নিশ্চিত করাই মূল চ্যালেঞ্জ। এসব নিয়ম শুধু কাগজে নয়, বাস্তবেও কার্যকর করতে হবে।

রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
রাইডশেয়ারিং সেবার নীতিমালা-২০১৭ সংশোধন করে বিআরটিএ ২ নভেম্বর প্রস্তাবটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আগে ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস গাইডলাইন-২০১০ অনুযায়ী রাইড শেয়ারিংয়ের ভাড়া নির্ধারিত থাকলেও তা নতুনভাবে নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত আগস্টে গঠিত বিআরটিএর কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই প্রস্তাব করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিআরটিএর প্রস্তাবিত ভাড়ার কাঠামো অনুযায়ী মাইক্রোবাস, মোটরকার/জিপ, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ২ কিলোমিটারের মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। মাইক্রোবাসের ২ কিলোমিটারের সর্বনিম্ন ভাড়া হবে ১১০ টাকা, মোটরকার ও জিপের ১১০ টাকা, অটোরিকশার ৭০ টাকা এবং মোটরসাইকেলের ৬৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি যানের প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়ার সঙ্গে ২০ টাকা বুকিং ফি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৮ টাকা। ভ্রমণ চলাকালে প্রতি মিনিটের ভাড়া ২ টাকা। মোটরকার ও জিপে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। অটোরিকশার প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারে ১৮ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। মোটরসাইকেলের প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ১ টাকা। মোটরসাইকেলের আগে প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়া ছিল ৮৫ টাকা।
রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর কমিশনের হারও কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিআরটিএ। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা ভাড়ার সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ কমিশন নিতে পারবে। আগে এই হার ছিল ৩০ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাইড শেয়ারিংয়ের নানা বিষয়ে একটি আবেদন করেছিলেন রাইডরা। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পরে এটা নিয়ে আমাদের একটি কমিটি হয়েছিল। ওই কমিটি রাইডশেয়ারিংয়ের নানা বিষয় পর্যালোচনা করেছে।’
বিআরটিএ সূত্র জানায়, রাইডশেয়ারিং সেবার প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী যাত্রী বা চালক কেউ ট্রিপ বাতিল করলে নির্দিষ্ট সময়ের পর বাতিল চার্জ প্রযোজ্য হবে। যাত্রী অনুরোধ পাঠানোর পর চালক গ্রহণ করে যাত্রীর অভিমুখে রওনা হওয়ার পর ৩ মিনিটের মধ্যে ট্রিপ বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। তবে ওই সময়ের পর বাতিল করলে সম্ভাব্য ভাড়ার ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৩০ টাকা (যেটি কম) ক্যানসেলেশন চার্জ হিসেবে নেওয়া হবে, যা চালক ও রাইডশেয়ারিং কোম্পানি সমানভাবে ভাগ করবে।
চালকও অনুরোধ গ্রহণের পর ৩ মিনিটের মধ্যে বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। কিন্তু এর পর বাতিল করলে তাঁর কাছ থেকেও একই হারে চার্জ কাটা হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাইড শেয়ারিংয়ে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ ও কমিশন কমানো যাত্রীদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে। তবে বাস্তবায়ন ও তদারকি নিশ্চিত করাই মূল চ্যালেঞ্জ। এসব নিয়ম শুধু কাগজে নয়, বাস্তবেও কার্যকর করতে হবে।

ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষা ও সামাজিক ব্যবস্থা দেশে দেশে দারিদ্র্য জিইয়ে রাখে। শিক্ষা সম্পর্কিত প্রচলিত ধারণা মানুষকে স্বাধীন হওয়ার পথে বাধা তৈরি করে। এমন একটি ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে না পারায় নিজে অপরাধবোধে ভোগেন বলে জানিয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
৩০ মার্চ ২০২৫
সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের
৫ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
৯ ঘণ্টা আগে