নিরাপত্তা উপদেষ্টার প্রেস ব্রিফিং
কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা

মিয়ানমারের রাখাইনে সশস্ত্র সংঘাত চলতে থাকলে এবং আরাকান আর্মি জাতিগত নিধন অব্যাহত রাখলে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে সেখানে মানবিক সহায়তা যেতে দিতে অন্তর্বর্তী সরকার রাজি হবে না। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান গতকাল বুধবার এসব কথা জানিয়েছেন।
ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে আজকের পত্রিকার এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আরাকান আর্মি যদি জাতিগত নিধন চালিয়ে যায়, জাতিবিদ্বেষী রাষ্ট্র তৈরির চেষ্টা করে, আমরা কেন সাহায্য করব? ...প্রশ্নই ওঠে না।’ তিনি বলেন, আরাকান আর্মি ও মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সংঘাত চলতে থাকলেও বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রাখাইনে কোনো সহায়তা যাবে না, এটাও পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রাখাইনে মানবিক সহায়তার জন্য একটি ‘চ্যানেল’ খোলার বিষয় নিয়ে চলমান আলোচনার মধ্যে নিরাপত্তা উপদেষ্টা এই প্রেস ব্রিফিং করলেন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা কিছু দেশের চাপে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার তাড়াহুড়া করছে কি না, আজকের পত্রিকার এই প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টার দাবি, তাড়াহুড়ার কোনো বিষয় নেই। রোহিঙ্গাদের টেকসই ব্যবস্থায় ফেরত পাঠানো ও তারা যাতে গেলে আবার চলে না আসে, সে জন্য এ ব্যবস্থা। এটা হতে হলে রাখাইনে প্রশাসন ও নিরাপত্তাব্যবস্থায় রোহিঙ্গাদের আনুপাতিক উপস্থিতি দরকার হবে। তিনি বলেন, কেউ সরকারকে কোনো চাপ দেয়নি। আরাকান আর্মি অরাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ হওয়ায় জাতিসংঘকে মাঝে রেখে যুক্তরাষ্ট্র-চীনসহ যারা অংশীজন আছে, তাদের সবার সঙ্গে আলোচনা চালানো হচ্ছে। সব পক্ষের সম্মতিতে যতক্ষণ পর্যন্ত না সবকিছু নির্ণীত হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কিছুই লিখিত (চূড়ান্ত) হবে না।
ড. খলিলুর রহমানের দাবি, জাতিসংঘ রাখাইনে নিজস্ব সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে নিজেদের অর্থে ত্রাণ পৌঁছাবে। বাংলাদেশে অবস্থিত ক্যাম্পগুলোর জন্য যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, তা থেকে রাখাইনে সহায়তার বিষয়টি পুরোপুরি আলাদা। যেহেতু রাখাইনে অন্যান্য সরবরাহ রুট দিয়ে সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না, তাই জাতিসংঘের অনুরোধে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত ত্রাণ যেতে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে।
রাখাইনের সঙ্গে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ‘করিডর’ স্থাপনের বিষয়টি ভিত্তিহীন দাবি করে নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, করিডর নিয়ে সরকারের সঙ্গে কারও কোনো কথা হয়নি, কারও সঙ্গে কথা হবে না। করিডরের ধারণা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, এটি সাধারণত জরুরি পরিস্থিতিতে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার একটি ব্যবস্থা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে রাখাইন থেকে কাউকে সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
‘মানবিক করিডর’ নিয়ে সরকার ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে মতভেদের কথা শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. খলিল দাবি করেন, ‘সেনাবাহিনীর সঙ্গে মতপার্থক্য নেই। সেনাপ্রধানের সঙ্গে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এ সম্পর্কে আমরা একেবারে এক সমতলে। ...এখানে কোনো ফাঁকফোকর নেই।’
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের ভূখণ্ড ছাড়া সাগরপথে কিংবা অন্য কোনো রুটে সুযোগ থাকলে, জাতিসংঘ সেসব রুটে রাখাইনে ত্রাণ নিতে চাইলে সরকার সহযোগিতা দেবে।
ইউএনডিপির একটি প্রতিবেদনের উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে এখন ১২ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রে আছে। অন্যদিকে খাবার ও ওষুধের ব্যাপক অভাবে রাখাইনে ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। খাবার ও ওষুধ না পেয়ে রোহিঙ্গাদের আরও অনেকের বাংলাদেশে চলে আসার আশঙ্কা আছে। তিনি বলেন, জাতিসংঘ আরাকান আর্মিকে জানিয়েছে যে রাখাইনে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধক তৈরি করা যাবে না। কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না। এ সহায়তা যুদ্ধের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। এই চ্যানেলে মাদক ও অস্ত্র আনা-নেওয়া হয় কি না, তার ওপর নজর রাখা হবে।
উপদেষ্টার ধারণা, আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে নীতিগতভাবে রাজি আছে। রাখাইনে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো গেলে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হবে। তখন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা শুরু করা সম্ভব হবে। প্রতিবেশী দেশের নিউজ পোর্টাল থেকে ‘করিডর’ এবং জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রকে টেনে ‘প্রক্সি যুদ্ধের’ প্রচারণা চালানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রক্সি যুদ্ধ হলে চীন ও মিয়ানমারের ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হওয়ার ঝুঁকি আছে। তারা কিছু বলছে না। কিন্তু অন্য একটি দেশ থেকে অপপ্রচার চলছে।
২০১৭ সাল থেকে আট লাখ রোহিঙ্গার তালিকা যাচাইয়ের জন্য মিয়ানমারকে দেওয়া হয়েছে বলে ব্রিফিংয়ে জানান খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, তাদের মধ্যে আড়াই লাখ রোহিঙ্গার পরিচয় যাচাই সম্পন্ন হয়েছে বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে। তারা মনে করে, ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসন করা যাবে। বাকি ৭০ হাজার রোহিঙ্গার ছবি ও কিছু তথ্যে ঝামেলা আছে, যা বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলে নিরসন করা হবে।
দেশের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্যভান্ডার ও রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক তথ্যভান্ডারের মধ্যে কোনো আন্তসংযোগ নেই উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এ কারণে রোহিঙ্গাদের কেউ এনআইডি ও পাসপোর্ট নিয়েছে কি না, তা যাচাই করা সম্ভব হয় না।

মিয়ানমারের রাখাইনে সশস্ত্র সংঘাত চলতে থাকলে এবং আরাকান আর্মি জাতিগত নিধন অব্যাহত রাখলে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে সেখানে মানবিক সহায়তা যেতে দিতে অন্তর্বর্তী সরকার রাজি হবে না। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান গতকাল বুধবার এসব কথা জানিয়েছেন।
ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে আজকের পত্রিকার এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আরাকান আর্মি যদি জাতিগত নিধন চালিয়ে যায়, জাতিবিদ্বেষী রাষ্ট্র তৈরির চেষ্টা করে, আমরা কেন সাহায্য করব? ...প্রশ্নই ওঠে না।’ তিনি বলেন, আরাকান আর্মি ও মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সংঘাত চলতে থাকলেও বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রাখাইনে কোনো সহায়তা যাবে না, এটাও পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রাখাইনে মানবিক সহায়তার জন্য একটি ‘চ্যানেল’ খোলার বিষয় নিয়ে চলমান আলোচনার মধ্যে নিরাপত্তা উপদেষ্টা এই প্রেস ব্রিফিং করলেন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা কিছু দেশের চাপে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার তাড়াহুড়া করছে কি না, আজকের পত্রিকার এই প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টার দাবি, তাড়াহুড়ার কোনো বিষয় নেই। রোহিঙ্গাদের টেকসই ব্যবস্থায় ফেরত পাঠানো ও তারা যাতে গেলে আবার চলে না আসে, সে জন্য এ ব্যবস্থা। এটা হতে হলে রাখাইনে প্রশাসন ও নিরাপত্তাব্যবস্থায় রোহিঙ্গাদের আনুপাতিক উপস্থিতি দরকার হবে। তিনি বলেন, কেউ সরকারকে কোনো চাপ দেয়নি। আরাকান আর্মি অরাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ হওয়ায় জাতিসংঘকে মাঝে রেখে যুক্তরাষ্ট্র-চীনসহ যারা অংশীজন আছে, তাদের সবার সঙ্গে আলোচনা চালানো হচ্ছে। সব পক্ষের সম্মতিতে যতক্ষণ পর্যন্ত না সবকিছু নির্ণীত হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কিছুই লিখিত (চূড়ান্ত) হবে না।
ড. খলিলুর রহমানের দাবি, জাতিসংঘ রাখাইনে নিজস্ব সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে নিজেদের অর্থে ত্রাণ পৌঁছাবে। বাংলাদেশে অবস্থিত ক্যাম্পগুলোর জন্য যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, তা থেকে রাখাইনে সহায়তার বিষয়টি পুরোপুরি আলাদা। যেহেতু রাখাইনে অন্যান্য সরবরাহ রুট দিয়ে সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না, তাই জাতিসংঘের অনুরোধে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত ত্রাণ যেতে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে।
রাখাইনের সঙ্গে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ‘করিডর’ স্থাপনের বিষয়টি ভিত্তিহীন দাবি করে নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, করিডর নিয়ে সরকারের সঙ্গে কারও কোনো কথা হয়নি, কারও সঙ্গে কথা হবে না। করিডরের ধারণা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, এটি সাধারণত জরুরি পরিস্থিতিতে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার একটি ব্যবস্থা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে রাখাইন থেকে কাউকে সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
‘মানবিক করিডর’ নিয়ে সরকার ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে মতভেদের কথা শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. খলিল দাবি করেন, ‘সেনাবাহিনীর সঙ্গে মতপার্থক্য নেই। সেনাপ্রধানের সঙ্গে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এ সম্পর্কে আমরা একেবারে এক সমতলে। ...এখানে কোনো ফাঁকফোকর নেই।’
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের ভূখণ্ড ছাড়া সাগরপথে কিংবা অন্য কোনো রুটে সুযোগ থাকলে, জাতিসংঘ সেসব রুটে রাখাইনে ত্রাণ নিতে চাইলে সরকার সহযোগিতা দেবে।
ইউএনডিপির একটি প্রতিবেদনের উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে এখন ১২ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রে আছে। অন্যদিকে খাবার ও ওষুধের ব্যাপক অভাবে রাখাইনে ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। খাবার ও ওষুধ না পেয়ে রোহিঙ্গাদের আরও অনেকের বাংলাদেশে চলে আসার আশঙ্কা আছে। তিনি বলেন, জাতিসংঘ আরাকান আর্মিকে জানিয়েছে যে রাখাইনে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধক তৈরি করা যাবে না। কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না। এ সহায়তা যুদ্ধের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। এই চ্যানেলে মাদক ও অস্ত্র আনা-নেওয়া হয় কি না, তার ওপর নজর রাখা হবে।
উপদেষ্টার ধারণা, আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে নীতিগতভাবে রাজি আছে। রাখাইনে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো গেলে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হবে। তখন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা শুরু করা সম্ভব হবে। প্রতিবেশী দেশের নিউজ পোর্টাল থেকে ‘করিডর’ এবং জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রকে টেনে ‘প্রক্সি যুদ্ধের’ প্রচারণা চালানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রক্সি যুদ্ধ হলে চীন ও মিয়ানমারের ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হওয়ার ঝুঁকি আছে। তারা কিছু বলছে না। কিন্তু অন্য একটি দেশ থেকে অপপ্রচার চলছে।
২০১৭ সাল থেকে আট লাখ রোহিঙ্গার তালিকা যাচাইয়ের জন্য মিয়ানমারকে দেওয়া হয়েছে বলে ব্রিফিংয়ে জানান খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, তাদের মধ্যে আড়াই লাখ রোহিঙ্গার পরিচয় যাচাই সম্পন্ন হয়েছে বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে। তারা মনে করে, ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসন করা যাবে। বাকি ৭০ হাজার রোহিঙ্গার ছবি ও কিছু তথ্যে ঝামেলা আছে, যা বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলে নিরসন করা হবে।
দেশের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্যভান্ডার ও রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক তথ্যভান্ডারের মধ্যে কোনো আন্তসংযোগ নেই উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এ কারণে রোহিঙ্গাদের কেউ এনআইডি ও পাসপোর্ট নিয়েছে কি না, তা যাচাই করা সম্ভব হয় না।
নিরাপত্তা উপদেষ্টার প্রেস ব্রিফিং
কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা

মিয়ানমারের রাখাইনে সশস্ত্র সংঘাত চলতে থাকলে এবং আরাকান আর্মি জাতিগত নিধন অব্যাহত রাখলে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে সেখানে মানবিক সহায়তা যেতে দিতে অন্তর্বর্তী সরকার রাজি হবে না। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান গতকাল বুধবার এসব কথা জানিয়েছেন।
ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে আজকের পত্রিকার এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আরাকান আর্মি যদি জাতিগত নিধন চালিয়ে যায়, জাতিবিদ্বেষী রাষ্ট্র তৈরির চেষ্টা করে, আমরা কেন সাহায্য করব? ...প্রশ্নই ওঠে না।’ তিনি বলেন, আরাকান আর্মি ও মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সংঘাত চলতে থাকলেও বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রাখাইনে কোনো সহায়তা যাবে না, এটাও পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রাখাইনে মানবিক সহায়তার জন্য একটি ‘চ্যানেল’ খোলার বিষয় নিয়ে চলমান আলোচনার মধ্যে নিরাপত্তা উপদেষ্টা এই প্রেস ব্রিফিং করলেন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা কিছু দেশের চাপে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার তাড়াহুড়া করছে কি না, আজকের পত্রিকার এই প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টার দাবি, তাড়াহুড়ার কোনো বিষয় নেই। রোহিঙ্গাদের টেকসই ব্যবস্থায় ফেরত পাঠানো ও তারা যাতে গেলে আবার চলে না আসে, সে জন্য এ ব্যবস্থা। এটা হতে হলে রাখাইনে প্রশাসন ও নিরাপত্তাব্যবস্থায় রোহিঙ্গাদের আনুপাতিক উপস্থিতি দরকার হবে। তিনি বলেন, কেউ সরকারকে কোনো চাপ দেয়নি। আরাকান আর্মি অরাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ হওয়ায় জাতিসংঘকে মাঝে রেখে যুক্তরাষ্ট্র-চীনসহ যারা অংশীজন আছে, তাদের সবার সঙ্গে আলোচনা চালানো হচ্ছে। সব পক্ষের সম্মতিতে যতক্ষণ পর্যন্ত না সবকিছু নির্ণীত হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কিছুই লিখিত (চূড়ান্ত) হবে না।
ড. খলিলুর রহমানের দাবি, জাতিসংঘ রাখাইনে নিজস্ব সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে নিজেদের অর্থে ত্রাণ পৌঁছাবে। বাংলাদেশে অবস্থিত ক্যাম্পগুলোর জন্য যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, তা থেকে রাখাইনে সহায়তার বিষয়টি পুরোপুরি আলাদা। যেহেতু রাখাইনে অন্যান্য সরবরাহ রুট দিয়ে সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না, তাই জাতিসংঘের অনুরোধে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত ত্রাণ যেতে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে।
রাখাইনের সঙ্গে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ‘করিডর’ স্থাপনের বিষয়টি ভিত্তিহীন দাবি করে নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, করিডর নিয়ে সরকারের সঙ্গে কারও কোনো কথা হয়নি, কারও সঙ্গে কথা হবে না। করিডরের ধারণা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, এটি সাধারণত জরুরি পরিস্থিতিতে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার একটি ব্যবস্থা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে রাখাইন থেকে কাউকে সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
‘মানবিক করিডর’ নিয়ে সরকার ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে মতভেদের কথা শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. খলিল দাবি করেন, ‘সেনাবাহিনীর সঙ্গে মতপার্থক্য নেই। সেনাপ্রধানের সঙ্গে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এ সম্পর্কে আমরা একেবারে এক সমতলে। ...এখানে কোনো ফাঁকফোকর নেই।’
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের ভূখণ্ড ছাড়া সাগরপথে কিংবা অন্য কোনো রুটে সুযোগ থাকলে, জাতিসংঘ সেসব রুটে রাখাইনে ত্রাণ নিতে চাইলে সরকার সহযোগিতা দেবে।
ইউএনডিপির একটি প্রতিবেদনের উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে এখন ১২ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রে আছে। অন্যদিকে খাবার ও ওষুধের ব্যাপক অভাবে রাখাইনে ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। খাবার ও ওষুধ না পেয়ে রোহিঙ্গাদের আরও অনেকের বাংলাদেশে চলে আসার আশঙ্কা আছে। তিনি বলেন, জাতিসংঘ আরাকান আর্মিকে জানিয়েছে যে রাখাইনে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধক তৈরি করা যাবে না। কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না। এ সহায়তা যুদ্ধের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। এই চ্যানেলে মাদক ও অস্ত্র আনা-নেওয়া হয় কি না, তার ওপর নজর রাখা হবে।
উপদেষ্টার ধারণা, আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে নীতিগতভাবে রাজি আছে। রাখাইনে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো গেলে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হবে। তখন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা শুরু করা সম্ভব হবে। প্রতিবেশী দেশের নিউজ পোর্টাল থেকে ‘করিডর’ এবং জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রকে টেনে ‘প্রক্সি যুদ্ধের’ প্রচারণা চালানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রক্সি যুদ্ধ হলে চীন ও মিয়ানমারের ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হওয়ার ঝুঁকি আছে। তারা কিছু বলছে না। কিন্তু অন্য একটি দেশ থেকে অপপ্রচার চলছে।
২০১৭ সাল থেকে আট লাখ রোহিঙ্গার তালিকা যাচাইয়ের জন্য মিয়ানমারকে দেওয়া হয়েছে বলে ব্রিফিংয়ে জানান খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, তাদের মধ্যে আড়াই লাখ রোহিঙ্গার পরিচয় যাচাই সম্পন্ন হয়েছে বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে। তারা মনে করে, ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসন করা যাবে। বাকি ৭০ হাজার রোহিঙ্গার ছবি ও কিছু তথ্যে ঝামেলা আছে, যা বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলে নিরসন করা হবে।
দেশের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্যভান্ডার ও রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক তথ্যভান্ডারের মধ্যে কোনো আন্তসংযোগ নেই উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এ কারণে রোহিঙ্গাদের কেউ এনআইডি ও পাসপোর্ট নিয়েছে কি না, তা যাচাই করা সম্ভব হয় না।

মিয়ানমারের রাখাইনে সশস্ত্র সংঘাত চলতে থাকলে এবং আরাকান আর্মি জাতিগত নিধন অব্যাহত রাখলে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে সেখানে মানবিক সহায়তা যেতে দিতে অন্তর্বর্তী সরকার রাজি হবে না। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান গতকাল বুধবার এসব কথা জানিয়েছেন।
ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে আজকের পত্রিকার এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আরাকান আর্মি যদি জাতিগত নিধন চালিয়ে যায়, জাতিবিদ্বেষী রাষ্ট্র তৈরির চেষ্টা করে, আমরা কেন সাহায্য করব? ...প্রশ্নই ওঠে না।’ তিনি বলেন, আরাকান আর্মি ও মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সংঘাত চলতে থাকলেও বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রাখাইনে কোনো সহায়তা যাবে না, এটাও পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রাখাইনে মানবিক সহায়তার জন্য একটি ‘চ্যানেল’ খোলার বিষয় নিয়ে চলমান আলোচনার মধ্যে নিরাপত্তা উপদেষ্টা এই প্রেস ব্রিফিং করলেন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা কিছু দেশের চাপে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার তাড়াহুড়া করছে কি না, আজকের পত্রিকার এই প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টার দাবি, তাড়াহুড়ার কোনো বিষয় নেই। রোহিঙ্গাদের টেকসই ব্যবস্থায় ফেরত পাঠানো ও তারা যাতে গেলে আবার চলে না আসে, সে জন্য এ ব্যবস্থা। এটা হতে হলে রাখাইনে প্রশাসন ও নিরাপত্তাব্যবস্থায় রোহিঙ্গাদের আনুপাতিক উপস্থিতি দরকার হবে। তিনি বলেন, কেউ সরকারকে কোনো চাপ দেয়নি। আরাকান আর্মি অরাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ হওয়ায় জাতিসংঘকে মাঝে রেখে যুক্তরাষ্ট্র-চীনসহ যারা অংশীজন আছে, তাদের সবার সঙ্গে আলোচনা চালানো হচ্ছে। সব পক্ষের সম্মতিতে যতক্ষণ পর্যন্ত না সবকিছু নির্ণীত হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কিছুই লিখিত (চূড়ান্ত) হবে না।
ড. খলিলুর রহমানের দাবি, জাতিসংঘ রাখাইনে নিজস্ব সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে নিজেদের অর্থে ত্রাণ পৌঁছাবে। বাংলাদেশে অবস্থিত ক্যাম্পগুলোর জন্য যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, তা থেকে রাখাইনে সহায়তার বিষয়টি পুরোপুরি আলাদা। যেহেতু রাখাইনে অন্যান্য সরবরাহ রুট দিয়ে সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না, তাই জাতিসংঘের অনুরোধে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত ত্রাণ যেতে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে।
রাখাইনের সঙ্গে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ‘করিডর’ স্থাপনের বিষয়টি ভিত্তিহীন দাবি করে নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, করিডর নিয়ে সরকারের সঙ্গে কারও কোনো কথা হয়নি, কারও সঙ্গে কথা হবে না। করিডরের ধারণা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, এটি সাধারণত জরুরি পরিস্থিতিতে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার একটি ব্যবস্থা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে রাখাইন থেকে কাউকে সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
‘মানবিক করিডর’ নিয়ে সরকার ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে মতভেদের কথা শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. খলিল দাবি করেন, ‘সেনাবাহিনীর সঙ্গে মতপার্থক্য নেই। সেনাপ্রধানের সঙ্গে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এ সম্পর্কে আমরা একেবারে এক সমতলে। ...এখানে কোনো ফাঁকফোকর নেই।’
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের ভূখণ্ড ছাড়া সাগরপথে কিংবা অন্য কোনো রুটে সুযোগ থাকলে, জাতিসংঘ সেসব রুটে রাখাইনে ত্রাণ নিতে চাইলে সরকার সহযোগিতা দেবে।
ইউএনডিপির একটি প্রতিবেদনের উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে এখন ১২ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রে আছে। অন্যদিকে খাবার ও ওষুধের ব্যাপক অভাবে রাখাইনে ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। খাবার ও ওষুধ না পেয়ে রোহিঙ্গাদের আরও অনেকের বাংলাদেশে চলে আসার আশঙ্কা আছে। তিনি বলেন, জাতিসংঘ আরাকান আর্মিকে জানিয়েছে যে রাখাইনে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধক তৈরি করা যাবে না। কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না। এ সহায়তা যুদ্ধের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। এই চ্যানেলে মাদক ও অস্ত্র আনা-নেওয়া হয় কি না, তার ওপর নজর রাখা হবে।
উপদেষ্টার ধারণা, আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে নীতিগতভাবে রাজি আছে। রাখাইনে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো গেলে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হবে। তখন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা শুরু করা সম্ভব হবে। প্রতিবেশী দেশের নিউজ পোর্টাল থেকে ‘করিডর’ এবং জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রকে টেনে ‘প্রক্সি যুদ্ধের’ প্রচারণা চালানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রক্সি যুদ্ধ হলে চীন ও মিয়ানমারের ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হওয়ার ঝুঁকি আছে। তারা কিছু বলছে না। কিন্তু অন্য একটি দেশ থেকে অপপ্রচার চলছে।
২০১৭ সাল থেকে আট লাখ রোহিঙ্গার তালিকা যাচাইয়ের জন্য মিয়ানমারকে দেওয়া হয়েছে বলে ব্রিফিংয়ে জানান খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, তাদের মধ্যে আড়াই লাখ রোহিঙ্গার পরিচয় যাচাই সম্পন্ন হয়েছে বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে। তারা মনে করে, ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসন করা যাবে। বাকি ৭০ হাজার রোহিঙ্গার ছবি ও কিছু তথ্যে ঝামেলা আছে, যা বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলে নিরসন করা হবে।
দেশের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্যভান্ডার ও রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক তথ্যভান্ডারের মধ্যে কোনো আন্তসংযোগ নেই উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এ কারণে রোহিঙ্গাদের কেউ এনআইডি ও পাসপোর্ট নিয়েছে কি না, তা যাচাই করা সম্ভব হয় না।

দায়িত্ব পালনের সময় অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জন, অনিয়ম ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে তাঁদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পদের উৎস ও বিবরণ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি প্রায় গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি মাসের মধ্যে প্রাক্-প্রস্তুতি শেষ করে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার চিন্তা আছে কমিশনের।
২ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগের সময় অপহরণ ও গুমের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কারাগারে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে লড়বেন না ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন।
২ ঘণ্টা আগে
রোববার সকালে রাজশাহী লিগ্যাল এইড অফিসে বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সাবেক দুই ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তুহিন ফারাবী ও মাহমুদুল হাসানের নামে থাকা সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ জারি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্প্রতি দুদক থেকে নোটিশ জারির বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দায়িত্ব পালনের সময় অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জন, অনিয়ম ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে তাঁদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পদের উৎস ও বিবরণ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, তুহিন ফারাবী ও মাহমুদুল হাসানকে এর আগে দুদক প্রাথমিকভাবে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল, যেখানে তাঁদের কাছ থেকে আয়-ব্যয়ের প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সেই জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতেই দুদক পরবর্তীতে সম্পদের বিস্তারিত হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠায়।
দুদক জানায়, সম্পদের হিসাব না দিলে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ অনুযায়ী পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য খাত-সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি দুর্নীতি ও অনিয়মের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সূত্রটি বলছে, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কার্যালয়ে দায়িত্ব পালনকালে কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকারি বরাদ্দের অপব্যবহার, নিয়োগ বাণিজ্য ও সরবরাহ কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। ওই অভিযোগগুলোর পরিপ্রেক্ষিতেই তুহিন ফারাবী ও মাহমুদুল হাসানের সম্পদ যাচাইপ্রক্রিয়া শুরু করে দুদক।
এর আগে গত ২১ মে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) তুহিন ফারাবী (ছাত্র প্রতিনিধি), ডা. মাহমুদুল হাসান ও এনসিপির বহিষ্কারকৃত যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দীন তানভীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। ওই দিন তদবির, চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগে কমিশনের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত সংক্রান্ত দু’টি শাখার কর্মকর্তারা রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে তাঁদের নামে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদকালে তাঁদের ওই সব সম্পদের উৎস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।
তুহিন ফারাবীর বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার দপ্তরে কাজ করার সময় ক্ষমতার অপব্যবহার, তদবির বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্যসহ নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে নামে-বেনামে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় নিজের এবং স্ত্রী ও সন্তানদের জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, তাঁর ও স্ত্রীর আয়করের হালনাগাদ নথির সত্যায়িত ফটোকপি, নিজের ও স্ত্রী-সন্তানদের নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাবের বিবরণী জমা দিতে বলা হয়েছিল।
ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, তদবির, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির মাধ্যমে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তাঁর নিজের, স্ত্রী ও সন্তানদের জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট (যদি থাকে), আয়কর নথি, ব্যাংক হিসাবের বিবরণীসহ হাজির হতে বলা হয়।
এর পর গত ২৭ মে তুহিন ফারাবী ও মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে দেশত্যাগ ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্লকের নিষেধাজ্ঞা দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন গালিব।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সাবেক দুই ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তুহিন ফারাবী ও মাহমুদুল হাসানের নামে থাকা সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ জারি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্প্রতি দুদক থেকে নোটিশ জারির বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দায়িত্ব পালনের সময় অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জন, অনিয়ম ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে তাঁদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পদের উৎস ও বিবরণ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, তুহিন ফারাবী ও মাহমুদুল হাসানকে এর আগে দুদক প্রাথমিকভাবে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল, যেখানে তাঁদের কাছ থেকে আয়-ব্যয়ের প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সেই জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতেই দুদক পরবর্তীতে সম্পদের বিস্তারিত হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠায়।
দুদক জানায়, সম্পদের হিসাব না দিলে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ অনুযায়ী পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য খাত-সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি দুর্নীতি ও অনিয়মের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সূত্রটি বলছে, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কার্যালয়ে দায়িত্ব পালনকালে কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকারি বরাদ্দের অপব্যবহার, নিয়োগ বাণিজ্য ও সরবরাহ কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। ওই অভিযোগগুলোর পরিপ্রেক্ষিতেই তুহিন ফারাবী ও মাহমুদুল হাসানের সম্পদ যাচাইপ্রক্রিয়া শুরু করে দুদক।
এর আগে গত ২১ মে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) তুহিন ফারাবী (ছাত্র প্রতিনিধি), ডা. মাহমুদুল হাসান ও এনসিপির বহিষ্কারকৃত যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দীন তানভীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। ওই দিন তদবির, চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগে কমিশনের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত সংক্রান্ত দু’টি শাখার কর্মকর্তারা রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে তাঁদের নামে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদকালে তাঁদের ওই সব সম্পদের উৎস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।
তুহিন ফারাবীর বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার দপ্তরে কাজ করার সময় ক্ষমতার অপব্যবহার, তদবির বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্যসহ নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে নামে-বেনামে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় নিজের এবং স্ত্রী ও সন্তানদের জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, তাঁর ও স্ত্রীর আয়করের হালনাগাদ নথির সত্যায়িত ফটোকপি, নিজের ও স্ত্রী-সন্তানদের নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাবের বিবরণী জমা দিতে বলা হয়েছিল।
ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, তদবির, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির মাধ্যমে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তাঁর নিজের, স্ত্রী ও সন্তানদের জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট (যদি থাকে), আয়কর নথি, ব্যাংক হিসাবের বিবরণীসহ হাজির হতে বলা হয়।
এর পর গত ২৭ মে তুহিন ফারাবী ও মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে দেশত্যাগ ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্লকের নিষেধাজ্ঞা দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন গালিব।

মিয়ানমারের রাখাইনে সশস্ত্র সংঘাত চলতে থাকলে এবং আরাকান আর্মি জাতিগত নিধন অব্যাহত রাখলে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে সেখানে মানবিক সহায়তা যেতে দিতে অন্তর্বর্তী সরকার রাজি হবে না। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান গতকাল বুধবার এসব কথা জানিয়েছেন।
২২ মে ২০২৫
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি প্রায় গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি মাসের মধ্যে প্রাক্-প্রস্তুতি শেষ করে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার চিন্তা আছে কমিশনের।
২ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগের সময় অপহরণ ও গুমের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কারাগারে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে লড়বেন না ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন।
২ ঘণ্টা আগে
রোববার সকালে রাজশাহী লিগ্যাল এইড অফিসে বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে আগামী ১৩ নভেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ রোববার ইসির পরিচালক জনসংযোগ মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘১৩ নভেম্বর থেকে দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সকাল ও বিকেলে দুই বেলা করে সংলাপ হবে। তবে কোন দলের সঙ্গে কখন বসা হবে, সেটি এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।’
আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে ইসি। এবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরুর আয়োজন চলছে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি প্রায় গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি মাসের মধ্যে প্রাক্-প্রস্তুতি শেষ করে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার চিন্তা আছে কমিশনের।
তবে গণভোটের বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেনি সাংবিধানিক এই সংস্থা। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে ইসি।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে আগামী ১৩ নভেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ রোববার ইসির পরিচালক জনসংযোগ মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘১৩ নভেম্বর থেকে দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সকাল ও বিকেলে দুই বেলা করে সংলাপ হবে। তবে কোন দলের সঙ্গে কখন বসা হবে, সেটি এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।’
আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে ইসি। এবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরুর আয়োজন চলছে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি প্রায় গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি মাসের মধ্যে প্রাক্-প্রস্তুতি শেষ করে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার চিন্তা আছে কমিশনের।
তবে গণভোটের বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেনি সাংবিধানিক এই সংস্থা। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে ইসি।

মিয়ানমারের রাখাইনে সশস্ত্র সংঘাত চলতে থাকলে এবং আরাকান আর্মি জাতিগত নিধন অব্যাহত রাখলে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে সেখানে মানবিক সহায়তা যেতে দিতে অন্তর্বর্তী সরকার রাজি হবে না। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান গতকাল বুধবার এসব কথা জানিয়েছেন।
২২ মে ২০২৫
দায়িত্ব পালনের সময় অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জন, অনিয়ম ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে তাঁদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পদের উৎস ও বিবরণ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগের সময় অপহরণ ও গুমের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কারাগারে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে লড়বেন না ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন।
২ ঘণ্টা আগে
রোববার সকালে রাজশাহী লিগ্যাল এইড অফিসে বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আওয়ামী লীগের সময় অপহরণ ও গুমের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কারাগারে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে লড়বেন না ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন।
আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ নিজের নাম প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আদালত থেকে বের হয়ে সারওয়ার হোসেন বলেন, ‘১৫ জন সেনা কর্মকর্তার পক্ষে আমরা পাঁচজন আইনজীবী ওকালতনামার সাবমিট করেছিলাম ২২ অক্টোবর। পরবর্তীতে দেখলাম আমি নিজে একটি অভিযোগ করেছিলাম। সেই অভিযোগের আসামি, এই মামলারও আসামি।’
তিনি বলেন, ‘প্রফেশনাল এথিকস অ্যান্ড কনডাক্ট (পেশাগত নৈতিকতা ও আচরণবিধি) অনুযায়ী আমার ডিফেন্স আইনজীবী হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সেই প্রফেশনাল কনডাক্ট এবং এথিকস অনুযায়ী এবং আইসিটি বিধি অনুযায়ী আজকে একটা আবেদন করেছি। ট্রাইব্যুনাল সেই আবেদন গ্রহণ করেছেন।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা তিনটির মধ্যে দুটি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনার। অন্যটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ সম্পর্কিত। এসব মামলায় সাবেক ও বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৩২ জন আসামি। তাঁদের মধ্যে ১৫ সেনা কর্মকর্তা বর্তমানে ঢাকা সেনানিবাসে ঘোষিত সাবজেলে রয়েছেন।
গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা দুটি মামলার একটিতে আসামি ১৭ জন। তাঁদের মধ্যে র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (এখন অবসরকালীন ছুটিতে), র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম এখন কারাগারে রয়েছেন।
আসামিদের মধ্যে র্যাবের সাবেক তিনজন মহাপরিচালকও আছেন। তাঁরা হলেন—বেনজীর আহমেদ (পরে আইজিপি হন), এম খুরশিদ হোসেন ও মো. হারুন-অর-রশিদ। তাঁরা পলাতক। এ মামলার আসামির তালিকায় থাকা শেখ হাসিনা, সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও র্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলাম পলাতক।
গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেকটি মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে রেদোয়ানুল ও রাফাত এখন সেনানিবাসের সাবজেলে আছেন। বাকি দুই আসামি পলাতক।

আওয়ামী লীগের সময় অপহরণ ও গুমের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কারাগারে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে লড়বেন না ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন।
আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ নিজের নাম প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আদালত থেকে বের হয়ে সারওয়ার হোসেন বলেন, ‘১৫ জন সেনা কর্মকর্তার পক্ষে আমরা পাঁচজন আইনজীবী ওকালতনামার সাবমিট করেছিলাম ২২ অক্টোবর। পরবর্তীতে দেখলাম আমি নিজে একটি অভিযোগ করেছিলাম। সেই অভিযোগের আসামি, এই মামলারও আসামি।’
তিনি বলেন, ‘প্রফেশনাল এথিকস অ্যান্ড কনডাক্ট (পেশাগত নৈতিকতা ও আচরণবিধি) অনুযায়ী আমার ডিফেন্স আইনজীবী হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সেই প্রফেশনাল কনডাক্ট এবং এথিকস অনুযায়ী এবং আইসিটি বিধি অনুযায়ী আজকে একটা আবেদন করেছি। ট্রাইব্যুনাল সেই আবেদন গ্রহণ করেছেন।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা তিনটির মধ্যে দুটি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনার। অন্যটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ সম্পর্কিত। এসব মামলায় সাবেক ও বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৩২ জন আসামি। তাঁদের মধ্যে ১৫ সেনা কর্মকর্তা বর্তমানে ঢাকা সেনানিবাসে ঘোষিত সাবজেলে রয়েছেন।
গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা দুটি মামলার একটিতে আসামি ১৭ জন। তাঁদের মধ্যে র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (এখন অবসরকালীন ছুটিতে), র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম এখন কারাগারে রয়েছেন।
আসামিদের মধ্যে র্যাবের সাবেক তিনজন মহাপরিচালকও আছেন। তাঁরা হলেন—বেনজীর আহমেদ (পরে আইজিপি হন), এম খুরশিদ হোসেন ও মো. হারুন-অর-রশিদ। তাঁরা পলাতক। এ মামলার আসামির তালিকায় থাকা শেখ হাসিনা, সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও র্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলাম পলাতক।
গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেকটি মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম, বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে রেদোয়ানুল ও রাফাত এখন সেনানিবাসের সাবজেলে আছেন। বাকি দুই আসামি পলাতক।

মিয়ানমারের রাখাইনে সশস্ত্র সংঘাত চলতে থাকলে এবং আরাকান আর্মি জাতিগত নিধন অব্যাহত রাখলে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে সেখানে মানবিক সহায়তা যেতে দিতে অন্তর্বর্তী সরকার রাজি হবে না। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান গতকাল বুধবার এসব কথা জানিয়েছেন।
২২ মে ২০২৫
দায়িত্ব পালনের সময় অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জন, অনিয়ম ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে তাঁদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পদের উৎস ও বিবরণ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি প্রায় গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি মাসের মধ্যে প্রাক্-প্রস্তুতি শেষ করে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার চিন্তা আছে কমিশনের।
২ ঘণ্টা আগে
রোববার সকালে রাজশাহী লিগ্যাল এইড অফিসে বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের ওপর বা সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে কিছু কথা বলে। এসব দেখে মনে হতে পারে, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা বা আশঙ্কা রয়েছে। তবে নির্বাচনের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বিমত নেই।
আজ রোববার সকালে রাজশাহী লিগ্যাল এইড অফিসে বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার কোনো কারণ দেখি না। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের এখানে ১৬-১৭ বছর ধরে নির্বাচন হয় না, ইলেকশনের অভ্যাসটাই চলে গেছে। অনেক মানুষ আছে, বয়স ৩২-৩৪ হয়ে গেছে, কিন্তু জীবনে একবারও ভোট দিতে পারে নাই। প্রায় ৫ কোটি মানুষ কখনো ভোট দিতে পারে নাই। এটা কত ইমপর্টেন্ট! আমি যেখানে যাই পোস্টার দেখতে পাচ্ছি। মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখতে পাচ্ছি।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কার কোনো কারণ দেখি না। রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য বা আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য কিছু কিছু কথা বলে, আবার কিছু কথা হয়তো জেনুইনলি বলে। সবকিছু শুনে হয়তো মনে হয়, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা বা আশঙ্কা রয়েছে। আমি দৃঢ়কণ্ঠে বলতে চাই, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনকে বিলম্বিত করার কোনো ইস্যু আছে বলে মনে করি না। আমরা বিশ্বাস করি, অবশ্যই ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটার কোনো দ্বিতীয় চিন্তা বা নির্বাচন না হলে কী হবে, এই ধরনের চিন্তা আমরা মাথায় রাখছি না। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যে যা-ই বলুক না কেন, তারা নির্বাচনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। তাদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ আনতে যা যা করণীয়, আমরা করব।’
আসামিদের জামিন প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘জামিন দেওয়া শুধু বিচারকের ওপর নির্ভর করে না। পুলিশ কী রিপোর্ট দিচ্ছে, তার ওপরও নির্ভর করে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে কিংবা কণ্ঠ শোনা গেছে, এ রকম হলে ব্যতিক্রম হয়। যেখানে জামিন পাওয়ার যোগ্য, সেখানে জামিন পেতেই পারে। তবে যারা জামিন পেয়ে একই ধরনের অপরাধ করতে পারে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও পরিবেশ বিনষ্ট করতে পারে, নিষিদ্ধ কোনো সংগঠনের সদস্য হয়ে তৎপরতা চালাতে পারে, তাদের যদি বেশি জামিন হয়, সে ক্ষেত্রে আমরা আতঙ্কিত হব।’
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘একজন বিচারকের জায়গায় আদালতে তিনজন বিচারক দেওয়া হচ্ছে, যাতে মামলার চাপ কমে। আদালত সংস্কারে আমরা নানান উদ্যোগ নিচ্ছি। সুফল অবশ্যই জনগণ পাবে।’

রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের ওপর বা সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে কিছু কথা বলে। এসব দেখে মনে হতে পারে, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা বা আশঙ্কা রয়েছে। তবে নির্বাচনের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বিমত নেই।
আজ রোববার সকালে রাজশাহী লিগ্যাল এইড অফিসে বিচারকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার কোনো কারণ দেখি না। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের এখানে ১৬-১৭ বছর ধরে নির্বাচন হয় না, ইলেকশনের অভ্যাসটাই চলে গেছে। অনেক মানুষ আছে, বয়স ৩২-৩৪ হয়ে গেছে, কিন্তু জীবনে একবারও ভোট দিতে পারে নাই। প্রায় ৫ কোটি মানুষ কখনো ভোট দিতে পারে নাই। এটা কত ইমপর্টেন্ট! আমি যেখানে যাই পোস্টার দেখতে পাচ্ছি। মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখতে পাচ্ছি।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কার কোনো কারণ দেখি না। রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য বা আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য কিছু কিছু কথা বলে, আবার কিছু কথা হয়তো জেনুইনলি বলে। সবকিছু শুনে হয়তো মনে হয়, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা বা আশঙ্কা রয়েছে। আমি দৃঢ়কণ্ঠে বলতে চাই, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচনকে বিলম্বিত করার কোনো ইস্যু আছে বলে মনে করি না। আমরা বিশ্বাস করি, অবশ্যই ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটার কোনো দ্বিতীয় চিন্তা বা নির্বাচন না হলে কী হবে, এই ধরনের চিন্তা আমরা মাথায় রাখছি না। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যে যা-ই বলুক না কেন, তারা নির্বাচনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। তাদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ আনতে যা যা করণীয়, আমরা করব।’
আসামিদের জামিন প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘জামিন দেওয়া শুধু বিচারকের ওপর নির্ভর করে না। পুলিশ কী রিপোর্ট দিচ্ছে, তার ওপরও নির্ভর করে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে কিংবা কণ্ঠ শোনা গেছে, এ রকম হলে ব্যতিক্রম হয়। যেখানে জামিন পাওয়ার যোগ্য, সেখানে জামিন পেতেই পারে। তবে যারা জামিন পেয়ে একই ধরনের অপরাধ করতে পারে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও পরিবেশ বিনষ্ট করতে পারে, নিষিদ্ধ কোনো সংগঠনের সদস্য হয়ে তৎপরতা চালাতে পারে, তাদের যদি বেশি জামিন হয়, সে ক্ষেত্রে আমরা আতঙ্কিত হব।’
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘একজন বিচারকের জায়গায় আদালতে তিনজন বিচারক দেওয়া হচ্ছে, যাতে মামলার চাপ কমে। আদালত সংস্কারে আমরা নানান উদ্যোগ নিচ্ছি। সুফল অবশ্যই জনগণ পাবে।’

মিয়ানমারের রাখাইনে সশস্ত্র সংঘাত চলতে থাকলে এবং আরাকান আর্মি জাতিগত নিধন অব্যাহত রাখলে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে সেখানে মানবিক সহায়তা যেতে দিতে অন্তর্বর্তী সরকার রাজি হবে না। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান গতকাল বুধবার এসব কথা জানিয়েছেন।
২২ মে ২০২৫
দায়িত্ব পালনের সময় অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জন, অনিয়ম ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে তাঁদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পদের উৎস ও বিবরণ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি প্রায় গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি মাসের মধ্যে প্রাক্-প্রস্তুতি শেষ করে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার চিন্তা আছে কমিশনের।
২ ঘণ্টা আগে
আওয়ামী লীগের সময় অপহরণ ও গুমের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কারাগারে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের পক্ষে ট্রাইব্যুনালে লড়বেন না ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন।
২ ঘণ্টা আগে