বাংলাদেশ রেলওয়ে
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

৯২৭ কোটি টাকায় ২০০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ কেনার একটি প্রকল্প ৯ বছর পর বাতিল করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। চীনের একটি কোম্পানি থেকে কোচগুলো কেনার এই প্রকল্প বাতিল হয়েছে ঋণের শর্ত অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায়।
ঋণের শর্তের কারণে চুক্তি না হওয়ায় কয়েক দফা এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। প্রকল্পে সরকারি তহবিল থেকে খরচ হয়েছে ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা। রেলওয়ে বলেছে, সহজ ঋণের আওতায় ২০০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ কেনার নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এডিবির অর্থায়নে এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২৮ কোটি ১৫ লাখ ১৬ হাজার টাকা।
প্রকল্প সূত্র জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়ে ২০১৬ সালের জুলাইয়ে চীনের একটি কোম্পানি থেকে ৯২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ (বগি) কেনার একটি প্রকল্প নেয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হওয়ার কথা ছিল টেন্ডারার্স ফাইন্যান্সিং বা সাপ্লায়ার্স ক্রেডিটের আওতায়, যেখানে চীন মূলত অর্থায়ন করত। কিন্তু ঋণের সুদহার নির্ধারণ করা হয় ছয় মাস মেয়াদি ইউরো আন্তব্যাংক অফার রেটে। পাশাপাশি ২৫% কমিটমেন্ট ফি, ১.৩% অ্যারেঞ্জমেন্ট ফি এবং ১৫ বছর মেয়াদি ঋণের বিপরীতে মাত্র ৩ বছরের গ্রেস পিরিয়ড রাখা হয়। এতে বাংলাদেশের ওপর ঋণের চাপ বাড়ত।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আফজাল হোসেন গত বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঋণের কিছু শর্তে ঝামেলা থাকায় এবং দীর্ঘ দিনেও চুক্তি না হওয়াতে প্রকল্পটি বাতিল করা হয়েছে। কঠিন শর্তের কারণে কেউ এই চুক্তি করতে রাজি হয়নি। এর পরিবর্তে সহজ ঋণের আওতায় মিটারগেজের ২০০টি যাত্রীবাহী কোচ কেনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ফলে আগের প্রকল্প বাতিল হলেও খুব একটা সমস্যা নেই।
সূত্র জানায়, গত বছরের নভেম্বরে প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটির (পিএসসি) সভায় ২০০ যাত্রীবাহী কোচ কেনার প্রকল্পটি অসমাপ্ত রেখে সমাপ্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। প্রকল্প অসমাপ্ত রেখে সমাপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেল মন্ত্রণালয়ে ১৮ আগস্ট বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) তাদের মতামতসহ প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রেলওয়ের জন্য ২০০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ সংগ্রহ প্রকল্পটি টেন্ডারার্স ফাইন্যান্সিংয়ের আওতায় অনুমোদিত হয়েছিল। ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর চীনের সিআরআরসি সাইফাং কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তিও হয়। শর্ত অনুযায়ী সরবরাহকারীর সক্ষমতা ও পণ্যের মান যাচাইয়ের জন্য প্রতিনিধিদল পাঠানোর কথা থাকলেও কোভিড-১৯-এর কারণে সম্ভব হয়নি। পরে ২০২২ সালের আগস্টে ঋণবিষয়ক স্থায়ী কমিটি অনুমোদন বাতিল করে এবং ঋণচুক্তির প্রক্রিয়া বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটি বাণিজ্যিক চুক্তিও বাতিল করে। পরে বিকল্প অর্থায়নের বিষয়টি বিবেচনা করা হলেও গত নভেম্বরে প্রকল্পটি অসমাপ্ত রেখেই সমাপ্ত ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত হয়। এ সময়ে সরকারি তহবিল (জিওবি) থেকে ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
আইএমইডির পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, টেন্ডারার্স ফাইন্যান্সিংয়ের ঋণের শর্ত অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় চুক্তি সম্পাদন সম্ভব হয়নি। সূত্র জানায়, এই প্রকল্প বাতিলের প্রস্তাব জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন হলে প্রকল্পটি চূড়ান্তভাবে বাতিল হবে।
ভবিষ্যতে ঋণ চূড়ান্ত হওয়ার আগে যেন সরকারি অর্থ খরচ না হয়, সে বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়কে সতর্ক থাকতে হবে বলে আইএমইডির প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগে নেওয়া কিছু প্রকল্পে ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ জড়িত থাকতে পারে। তাই কোনো প্রকল্প বাতিলের পেছনে নিশ্চয়ই যুক্তি রয়েছে। শর্তে জটিলতা থাকলে চুক্তি না করাই ভালো। এ সিদ্ধান্ত সরকার সঠিকভাবে নিয়েছে।
সূত্র বলেছে, এই প্রকল্পে কাজ না হলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, যানবাহনের জ্বালানি ও রক্ষণাবেক্ষণ, অফিস আসবাব, স্টেশনারি ও অন্যান্য খাতে সরকারি তহবিল থেকে মোট ১ কোটি ১৬ লাখ ১৬ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। প্রকল্পটি ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদের জন্য একনেকে অনুমোদিত হয়। পরে কোনো ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া মেয়াদ একবার ২০২১ পর্যন্ত এবং পরে ২০২৪ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তৃতীয় দফায় ২০২৫ পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
২০০ কোচ কেনার নতুন পরিকল্পনা
রেলওয়ের পরিকল্পনা বিভাগের সূত্র জানায়, চীনের ঋণে কোচ কেনার এই প্রকল্প বাতিল হলেও রেলওয়ে ২০০ মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ কেনার নতুন করে একটি প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২৮ কোটি ১৫ লাখ ১৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে সরকারের অংশ ৯১ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং এডিবির সহায়তা ২৩৬ কোটি ৫৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ হবে ১ জুলাই ২০২৫ থেকে ৩০ জুন ২০২৯ সাল পর্যন্ত।
এই প্রকল্পের আওতায় ২টি মিটারগেজ ও ২টি ব্রডগেজ রিলিফ ক্রেন, ৪টি আন্ডারফ্লোর হুইল লেদ মেশিনও কেনা হবে।
এ বিষয়ে বুয়েটের অধ্যাপক ড. শামসুল হক আজকের পত্রিকা'কে বলেন, উইন্ডো শপিংয়ের মতো বিভিন্ন দেশ বা প্রতিষ্ঠান থেকে কোচ-ইঞ্জিন কেনার বদলে নির্দিষ্ট কোনো দেশ বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি (২০-৩০ বছরের) চুক্তি করে রেলের জন্য প্রয়োজনীয় কোচ ও ইঞ্জিন সংগ্রহ করলে রক্ষণাবেক্ষণসহ অন্যান্য জটিলতা এড়ানো যাবে। এতে রেলের লাভ হবে, সেবার মানও বাড়বে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে এমন নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ হবে।

৯২৭ কোটি টাকায় ২০০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ কেনার একটি প্রকল্প ৯ বছর পর বাতিল করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। চীনের একটি কোম্পানি থেকে কোচগুলো কেনার এই প্রকল্প বাতিল হয়েছে ঋণের শর্ত অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায়।
ঋণের শর্তের কারণে চুক্তি না হওয়ায় কয়েক দফা এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। প্রকল্পে সরকারি তহবিল থেকে খরচ হয়েছে ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা। রেলওয়ে বলেছে, সহজ ঋণের আওতায় ২০০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ কেনার নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এডিবির অর্থায়নে এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২৮ কোটি ১৫ লাখ ১৬ হাজার টাকা।
প্রকল্প সূত্র জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়ে ২০১৬ সালের জুলাইয়ে চীনের একটি কোম্পানি থেকে ৯২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ (বগি) কেনার একটি প্রকল্প নেয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হওয়ার কথা ছিল টেন্ডারার্স ফাইন্যান্সিং বা সাপ্লায়ার্স ক্রেডিটের আওতায়, যেখানে চীন মূলত অর্থায়ন করত। কিন্তু ঋণের সুদহার নির্ধারণ করা হয় ছয় মাস মেয়াদি ইউরো আন্তব্যাংক অফার রেটে। পাশাপাশি ২৫% কমিটমেন্ট ফি, ১.৩% অ্যারেঞ্জমেন্ট ফি এবং ১৫ বছর মেয়াদি ঋণের বিপরীতে মাত্র ৩ বছরের গ্রেস পিরিয়ড রাখা হয়। এতে বাংলাদেশের ওপর ঋণের চাপ বাড়ত।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আফজাল হোসেন গত বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঋণের কিছু শর্তে ঝামেলা থাকায় এবং দীর্ঘ দিনেও চুক্তি না হওয়াতে প্রকল্পটি বাতিল করা হয়েছে। কঠিন শর্তের কারণে কেউ এই চুক্তি করতে রাজি হয়নি। এর পরিবর্তে সহজ ঋণের আওতায় মিটারগেজের ২০০টি যাত্রীবাহী কোচ কেনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ফলে আগের প্রকল্প বাতিল হলেও খুব একটা সমস্যা নেই।
সূত্র জানায়, গত বছরের নভেম্বরে প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটির (পিএসসি) সভায় ২০০ যাত্রীবাহী কোচ কেনার প্রকল্পটি অসমাপ্ত রেখে সমাপ্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। প্রকল্প অসমাপ্ত রেখে সমাপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেল মন্ত্রণালয়ে ১৮ আগস্ট বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) তাদের মতামতসহ প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রেলওয়ের জন্য ২০০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ সংগ্রহ প্রকল্পটি টেন্ডারার্স ফাইন্যান্সিংয়ের আওতায় অনুমোদিত হয়েছিল। ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর চীনের সিআরআরসি সাইফাং কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তিও হয়। শর্ত অনুযায়ী সরবরাহকারীর সক্ষমতা ও পণ্যের মান যাচাইয়ের জন্য প্রতিনিধিদল পাঠানোর কথা থাকলেও কোভিড-১৯-এর কারণে সম্ভব হয়নি। পরে ২০২২ সালের আগস্টে ঋণবিষয়ক স্থায়ী কমিটি অনুমোদন বাতিল করে এবং ঋণচুক্তির প্রক্রিয়া বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটি বাণিজ্যিক চুক্তিও বাতিল করে। পরে বিকল্প অর্থায়নের বিষয়টি বিবেচনা করা হলেও গত নভেম্বরে প্রকল্পটি অসমাপ্ত রেখেই সমাপ্ত ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত হয়। এ সময়ে সরকারি তহবিল (জিওবি) থেকে ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
আইএমইডির পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, টেন্ডারার্স ফাইন্যান্সিংয়ের ঋণের শর্ত অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় চুক্তি সম্পাদন সম্ভব হয়নি। সূত্র জানায়, এই প্রকল্প বাতিলের প্রস্তাব জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন হলে প্রকল্পটি চূড়ান্তভাবে বাতিল হবে।
ভবিষ্যতে ঋণ চূড়ান্ত হওয়ার আগে যেন সরকারি অর্থ খরচ না হয়, সে বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়কে সতর্ক থাকতে হবে বলে আইএমইডির প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগে নেওয়া কিছু প্রকল্পে ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ জড়িত থাকতে পারে। তাই কোনো প্রকল্প বাতিলের পেছনে নিশ্চয়ই যুক্তি রয়েছে। শর্তে জটিলতা থাকলে চুক্তি না করাই ভালো। এ সিদ্ধান্ত সরকার সঠিকভাবে নিয়েছে।
সূত্র বলেছে, এই প্রকল্পে কাজ না হলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, যানবাহনের জ্বালানি ও রক্ষণাবেক্ষণ, অফিস আসবাব, স্টেশনারি ও অন্যান্য খাতে সরকারি তহবিল থেকে মোট ১ কোটি ১৬ লাখ ১৬ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। প্রকল্পটি ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদের জন্য একনেকে অনুমোদিত হয়। পরে কোনো ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া মেয়াদ একবার ২০২১ পর্যন্ত এবং পরে ২০২৪ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তৃতীয় দফায় ২০২৫ পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
২০০ কোচ কেনার নতুন পরিকল্পনা
রেলওয়ের পরিকল্পনা বিভাগের সূত্র জানায়, চীনের ঋণে কোচ কেনার এই প্রকল্প বাতিল হলেও রেলওয়ে ২০০ মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ কেনার নতুন করে একটি প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২৮ কোটি ১৫ লাখ ১৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে সরকারের অংশ ৯১ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং এডিবির সহায়তা ২৩৬ কোটি ৫৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ হবে ১ জুলাই ২০২৫ থেকে ৩০ জুন ২০২৯ সাল পর্যন্ত।
এই প্রকল্পের আওতায় ২টি মিটারগেজ ও ২টি ব্রডগেজ রিলিফ ক্রেন, ৪টি আন্ডারফ্লোর হুইল লেদ মেশিনও কেনা হবে।
এ বিষয়ে বুয়েটের অধ্যাপক ড. শামসুল হক আজকের পত্রিকা'কে বলেন, উইন্ডো শপিংয়ের মতো বিভিন্ন দেশ বা প্রতিষ্ঠান থেকে কোচ-ইঞ্জিন কেনার বদলে নির্দিষ্ট কোনো দেশ বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি (২০-৩০ বছরের) চুক্তি করে রেলের জন্য প্রয়োজনীয় কোচ ও ইঞ্জিন সংগ্রহ করলে রক্ষণাবেক্ষণসহ অন্যান্য জটিলতা এড়ানো যাবে। এতে রেলের লাভ হবে, সেবার মানও বাড়বে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে এমন নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

৯২৭ কোটি টাকায় ২০০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ কেনার একটি প্রকল্প ৯ বছর পর বাতিল করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। চীনের একটি কোম্পানি থেকে কোচগুলো কেনার এই প্রকল্প বাতিল হয়েছে ঋণের শর্ত অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায়।
ঋণের শর্তের কারণে চুক্তি না হওয়ায় কয়েক দফা এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। প্রকল্পে সরকারি তহবিল থেকে খরচ হয়েছে ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা। রেলওয়ে বলেছে, সহজ ঋণের আওতায় ২০০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ কেনার নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এডিবির অর্থায়নে এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২৮ কোটি ১৫ লাখ ১৬ হাজার টাকা।
প্রকল্প সূত্র জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়ে ২০১৬ সালের জুলাইয়ে চীনের একটি কোম্পানি থেকে ৯২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ (বগি) কেনার একটি প্রকল্প নেয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হওয়ার কথা ছিল টেন্ডারার্স ফাইন্যান্সিং বা সাপ্লায়ার্স ক্রেডিটের আওতায়, যেখানে চীন মূলত অর্থায়ন করত। কিন্তু ঋণের সুদহার নির্ধারণ করা হয় ছয় মাস মেয়াদি ইউরো আন্তব্যাংক অফার রেটে। পাশাপাশি ২৫% কমিটমেন্ট ফি, ১.৩% অ্যারেঞ্জমেন্ট ফি এবং ১৫ বছর মেয়াদি ঋণের বিপরীতে মাত্র ৩ বছরের গ্রেস পিরিয়ড রাখা হয়। এতে বাংলাদেশের ওপর ঋণের চাপ বাড়ত।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আফজাল হোসেন গত বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঋণের কিছু শর্তে ঝামেলা থাকায় এবং দীর্ঘ দিনেও চুক্তি না হওয়াতে প্রকল্পটি বাতিল করা হয়েছে। কঠিন শর্তের কারণে কেউ এই চুক্তি করতে রাজি হয়নি। এর পরিবর্তে সহজ ঋণের আওতায় মিটারগেজের ২০০টি যাত্রীবাহী কোচ কেনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ফলে আগের প্রকল্প বাতিল হলেও খুব একটা সমস্যা নেই।
সূত্র জানায়, গত বছরের নভেম্বরে প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটির (পিএসসি) সভায় ২০০ যাত্রীবাহী কোচ কেনার প্রকল্পটি অসমাপ্ত রেখে সমাপ্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। প্রকল্প অসমাপ্ত রেখে সমাপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেল মন্ত্রণালয়ে ১৮ আগস্ট বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) তাদের মতামতসহ প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রেলওয়ের জন্য ২০০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ সংগ্রহ প্রকল্পটি টেন্ডারার্স ফাইন্যান্সিংয়ের আওতায় অনুমোদিত হয়েছিল। ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর চীনের সিআরআরসি সাইফাং কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তিও হয়। শর্ত অনুযায়ী সরবরাহকারীর সক্ষমতা ও পণ্যের মান যাচাইয়ের জন্য প্রতিনিধিদল পাঠানোর কথা থাকলেও কোভিড-১৯-এর কারণে সম্ভব হয়নি। পরে ২০২২ সালের আগস্টে ঋণবিষয়ক স্থায়ী কমিটি অনুমোদন বাতিল করে এবং ঋণচুক্তির প্রক্রিয়া বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটি বাণিজ্যিক চুক্তিও বাতিল করে। পরে বিকল্প অর্থায়নের বিষয়টি বিবেচনা করা হলেও গত নভেম্বরে প্রকল্পটি অসমাপ্ত রেখেই সমাপ্ত ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত হয়। এ সময়ে সরকারি তহবিল (জিওবি) থেকে ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
আইএমইডির পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, টেন্ডারার্স ফাইন্যান্সিংয়ের ঋণের শর্ত অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় চুক্তি সম্পাদন সম্ভব হয়নি। সূত্র জানায়, এই প্রকল্প বাতিলের প্রস্তাব জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন হলে প্রকল্পটি চূড়ান্তভাবে বাতিল হবে।
ভবিষ্যতে ঋণ চূড়ান্ত হওয়ার আগে যেন সরকারি অর্থ খরচ না হয়, সে বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়কে সতর্ক থাকতে হবে বলে আইএমইডির প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগে নেওয়া কিছু প্রকল্পে ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ জড়িত থাকতে পারে। তাই কোনো প্রকল্প বাতিলের পেছনে নিশ্চয়ই যুক্তি রয়েছে। শর্তে জটিলতা থাকলে চুক্তি না করাই ভালো। এ সিদ্ধান্ত সরকার সঠিকভাবে নিয়েছে।
সূত্র বলেছে, এই প্রকল্পে কাজ না হলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, যানবাহনের জ্বালানি ও রক্ষণাবেক্ষণ, অফিস আসবাব, স্টেশনারি ও অন্যান্য খাতে সরকারি তহবিল থেকে মোট ১ কোটি ১৬ লাখ ১৬ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। প্রকল্পটি ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদের জন্য একনেকে অনুমোদিত হয়। পরে কোনো ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া মেয়াদ একবার ২০২১ পর্যন্ত এবং পরে ২০২৪ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তৃতীয় দফায় ২০২৫ পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
২০০ কোচ কেনার নতুন পরিকল্পনা
রেলওয়ের পরিকল্পনা বিভাগের সূত্র জানায়, চীনের ঋণে কোচ কেনার এই প্রকল্প বাতিল হলেও রেলওয়ে ২০০ মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ কেনার নতুন করে একটি প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২৮ কোটি ১৫ লাখ ১৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে সরকারের অংশ ৯১ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং এডিবির সহায়তা ২৩৬ কোটি ৫৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ হবে ১ জুলাই ২০২৫ থেকে ৩০ জুন ২০২৯ সাল পর্যন্ত।
এই প্রকল্পের আওতায় ২টি মিটারগেজ ও ২টি ব্রডগেজ রিলিফ ক্রেন, ৪টি আন্ডারফ্লোর হুইল লেদ মেশিনও কেনা হবে।
এ বিষয়ে বুয়েটের অধ্যাপক ড. শামসুল হক আজকের পত্রিকা'কে বলেন, উইন্ডো শপিংয়ের মতো বিভিন্ন দেশ বা প্রতিষ্ঠান থেকে কোচ-ইঞ্জিন কেনার বদলে নির্দিষ্ট কোনো দেশ বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি (২০-৩০ বছরের) চুক্তি করে রেলের জন্য প্রয়োজনীয় কোচ ও ইঞ্জিন সংগ্রহ করলে রক্ষণাবেক্ষণসহ অন্যান্য জটিলতা এড়ানো যাবে। এতে রেলের লাভ হবে, সেবার মানও বাড়বে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে এমন নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ হবে।

৯২৭ কোটি টাকায় ২০০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ কেনার একটি প্রকল্প ৯ বছর পর বাতিল করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। চীনের একটি কোম্পানি থেকে কোচগুলো কেনার এই প্রকল্প বাতিল হয়েছে ঋণের শর্ত অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায়।
ঋণের শর্তের কারণে চুক্তি না হওয়ায় কয়েক দফা এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। প্রকল্পে সরকারি তহবিল থেকে খরচ হয়েছে ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা। রেলওয়ে বলেছে, সহজ ঋণের আওতায় ২০০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ কেনার নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এডিবির অর্থায়নে এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২৮ কোটি ১৫ লাখ ১৬ হাজার টাকা।
প্রকল্প সূত্র জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়ে ২০১৬ সালের জুলাইয়ে চীনের একটি কোম্পানি থেকে ৯২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ (বগি) কেনার একটি প্রকল্প নেয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হওয়ার কথা ছিল টেন্ডারার্স ফাইন্যান্সিং বা সাপ্লায়ার্স ক্রেডিটের আওতায়, যেখানে চীন মূলত অর্থায়ন করত। কিন্তু ঋণের সুদহার নির্ধারণ করা হয় ছয় মাস মেয়াদি ইউরো আন্তব্যাংক অফার রেটে। পাশাপাশি ২৫% কমিটমেন্ট ফি, ১.৩% অ্যারেঞ্জমেন্ট ফি এবং ১৫ বছর মেয়াদি ঋণের বিপরীতে মাত্র ৩ বছরের গ্রেস পিরিয়ড রাখা হয়। এতে বাংলাদেশের ওপর ঋণের চাপ বাড়ত।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আফজাল হোসেন গত বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঋণের কিছু শর্তে ঝামেলা থাকায় এবং দীর্ঘ দিনেও চুক্তি না হওয়াতে প্রকল্পটি বাতিল করা হয়েছে। কঠিন শর্তের কারণে কেউ এই চুক্তি করতে রাজি হয়নি। এর পরিবর্তে সহজ ঋণের আওতায় মিটারগেজের ২০০টি যাত্রীবাহী কোচ কেনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ফলে আগের প্রকল্প বাতিল হলেও খুব একটা সমস্যা নেই।
সূত্র জানায়, গত বছরের নভেম্বরে প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটির (পিএসসি) সভায় ২০০ যাত্রীবাহী কোচ কেনার প্রকল্পটি অসমাপ্ত রেখে সমাপ্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। প্রকল্প অসমাপ্ত রেখে সমাপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেল মন্ত্রণালয়ে ১৮ আগস্ট বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) তাদের মতামতসহ প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রেলওয়ের জন্য ২০০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ সংগ্রহ প্রকল্পটি টেন্ডারার্স ফাইন্যান্সিংয়ের আওতায় অনুমোদিত হয়েছিল। ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর চীনের সিআরআরসি সাইফাং কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তিও হয়। শর্ত অনুযায়ী সরবরাহকারীর সক্ষমতা ও পণ্যের মান যাচাইয়ের জন্য প্রতিনিধিদল পাঠানোর কথা থাকলেও কোভিড-১৯-এর কারণে সম্ভব হয়নি। পরে ২০২২ সালের আগস্টে ঋণবিষয়ক স্থায়ী কমিটি অনুমোদন বাতিল করে এবং ঋণচুক্তির প্রক্রিয়া বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে প্রজেক্ট স্টিয়ারিং কমিটি বাণিজ্যিক চুক্তিও বাতিল করে। পরে বিকল্প অর্থায়নের বিষয়টি বিবেচনা করা হলেও গত নভেম্বরে প্রকল্পটি অসমাপ্ত রেখেই সমাপ্ত ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত হয়। এ সময়ে সরকারি তহবিল (জিওবি) থেকে ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
আইএমইডির পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, টেন্ডারার্স ফাইন্যান্সিংয়ের ঋণের শর্ত অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় চুক্তি সম্পাদন সম্ভব হয়নি। সূত্র জানায়, এই প্রকল্প বাতিলের প্রস্তাব জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন হলে প্রকল্পটি চূড়ান্তভাবে বাতিল হবে।
ভবিষ্যতে ঋণ চূড়ান্ত হওয়ার আগে যেন সরকারি অর্থ খরচ না হয়, সে বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়কে সতর্ক থাকতে হবে বলে আইএমইডির প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগে নেওয়া কিছু প্রকল্পে ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ জড়িত থাকতে পারে। তাই কোনো প্রকল্প বাতিলের পেছনে নিশ্চয়ই যুক্তি রয়েছে। শর্তে জটিলতা থাকলে চুক্তি না করাই ভালো। এ সিদ্ধান্ত সরকার সঠিকভাবে নিয়েছে।
সূত্র বলেছে, এই প্রকল্পে কাজ না হলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, যানবাহনের জ্বালানি ও রক্ষণাবেক্ষণ, অফিস আসবাব, স্টেশনারি ও অন্যান্য খাতে সরকারি তহবিল থেকে মোট ১ কোটি ১৬ লাখ ১৬ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। প্রকল্পটি ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদের জন্য একনেকে অনুমোদিত হয়। পরে কোনো ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া মেয়াদ একবার ২০২১ পর্যন্ত এবং পরে ২০২৪ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তৃতীয় দফায় ২০২৫ পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
২০০ কোচ কেনার নতুন পরিকল্পনা
রেলওয়ের পরিকল্পনা বিভাগের সূত্র জানায়, চীনের ঋণে কোচ কেনার এই প্রকল্প বাতিল হলেও রেলওয়ে ২০০ মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ কেনার নতুন করে একটি প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২৮ কোটি ১৫ লাখ ১৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে সরকারের অংশ ৯১ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং এডিবির সহায়তা ২৩৬ কোটি ৫৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ হবে ১ জুলাই ২০২৫ থেকে ৩০ জুন ২০২৯ সাল পর্যন্ত।
এই প্রকল্পের আওতায় ২টি মিটারগেজ ও ২টি ব্রডগেজ রিলিফ ক্রেন, ৪টি আন্ডারফ্লোর হুইল লেদ মেশিনও কেনা হবে।
এ বিষয়ে বুয়েটের অধ্যাপক ড. শামসুল হক আজকের পত্রিকা'কে বলেন, উইন্ডো শপিংয়ের মতো বিভিন্ন দেশ বা প্রতিষ্ঠান থেকে কোচ-ইঞ্জিন কেনার বদলে নির্দিষ্ট কোনো দেশ বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি (২০-৩০ বছরের) চুক্তি করে রেলের জন্য প্রয়োজনীয় কোচ ও ইঞ্জিন সংগ্রহ করলে রক্ষণাবেক্ষণসহ অন্যান্য জটিলতা এড়ানো যাবে। এতে রেলের লাভ হবে, সেবার মানও বাড়বে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে এমন নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ হবে।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
১৫ মিনিট আগে
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
২৯ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লাশ ঢাকায় পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
৩৩ মিনিট আগে
প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।
৩৭ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় এগিয়ে এনে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল বেলা দুইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে নামাজে জানাজা বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হবার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজায় যারা অংশ নিতে আসবেন তারা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় এগিয়ে এনে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল বেলা দুইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে নামাজে জানাজা বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হবার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজায় যারা অংশ নিতে আসবেন তারা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

৯২৭ কোটি টাকায় ২০০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ কেনার একটি প্রকল্প ৯ বছর পর বাতিল করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। চীনের একটি কোম্পানি থেকে কোচগুলো কেনার এই প্রকল্প বাতিল হয়েছে ঋণের শর্ত অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায়।
৩১ আগস্ট ২০২৫
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
২৯ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লাশ ঢাকায় পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
৩৩ মিনিট আগে
প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।
৩৭ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টার পর ওসমান হাদির মর্মান্তিক মৃত্যুকে উপলক্ষ করে একজোট লোক ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজ চালায় এবং অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে। তারা ছয়তলা ভবনের সব সিসি ক্যামেরাসহ অধিকাংশ কক্ষ, প্রক্ষালণ কক্ষ এবং বহু বাদ্যযন্ত্র, মিলনায়তন, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে। সার্ভারসহ ছায়ানটের কিছু বাদ্যযন্ত্র ও আসবাবপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে। অন্তত সাতটি ল্যাপটপসহ গোটা চারেক ফোন ও কিছু হার্ডডিস্ক লুট করেছে। তাদের ভাঙচুরে বৈদ্যুতিক সংযোগ ও সরঞ্জামও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
‘ছায়ানট একটি স্বেচ্ছাসেবী ও স্বনির্ভর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। ছায়ানট কোনো সরকার, বিদেশি সংস্থা বা করপোরেট অনুদান নেয় না। সুতরাং, ছায়ানট আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে এই ক্ষতি পূরণ করবে এবং সংগীত ও শিশুদের সাধারণ শিক্ষায় এই সাময়িক বিঘ্নের দ্রুত প্রতিকার করতে বদ্ধপরিকর।’
এতে আরও বলা হয়, ‘ছায়ানটের কাজের ক্ষেত্র রাজনীতি নয়, সংগীত-সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তাকে ধারণ করে ছায়ানট। ছায়ানট সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের সমাজ গড়তে প্রয়াসী। আমরা ওসমান হাদির মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে গভীরভাবে শোকাহত। কিন্তু ওই সূত্র ধরে ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে কেন হামলা সংঘটিত হলো, তা মোটেই বোধগম্য নয়। হয়তো পরিস্থিতির সুযোগ গ্রহণ করেছে সংস্কৃতিচর্চার বিরোধী গোষ্ঠী।’
সংগীতশিক্ষার প্রতিষ্ঠানটি আরও বলে, ছায়ানট এই উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ অনানুষ্ঠানিক সংগীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীরা দেশে ও বিদেশে সমাদৃত। বাংলা গানের চর্চা বিস্তৃতির পাশাপাশি স্বাধীনতা-সংগ্রামে ছায়ানটের ভূমিকাও সারা বিশ্বে স্বীকৃত। তাই ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে এই নিন্দনীয় হামলা মাতৃভূমি সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিতে পারে বিশ্বে।
দেশ ও বিদেশ থেকে যে অগণিত শুভাকাঙ্ক্ষী তাঁদের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা জানিয়েছেন, তাঁদের সবার কাছে ছায়ানট কৃতজ্ঞ।
বাঙালির আবহমান সংগীতসংস্কৃতির সাধনা ও প্রসারে ছায়ানট তার স্থির প্রত্যয় যাত্রায় অবিচল থাকবে।

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টার পর ওসমান হাদির মর্মান্তিক মৃত্যুকে উপলক্ষ করে একজোট লোক ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজ চালায় এবং অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে। তারা ছয়তলা ভবনের সব সিসি ক্যামেরাসহ অধিকাংশ কক্ষ, প্রক্ষালণ কক্ষ এবং বহু বাদ্যযন্ত্র, মিলনায়তন, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে। সার্ভারসহ ছায়ানটের কিছু বাদ্যযন্ত্র ও আসবাবপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে। অন্তত সাতটি ল্যাপটপসহ গোটা চারেক ফোন ও কিছু হার্ডডিস্ক লুট করেছে। তাদের ভাঙচুরে বৈদ্যুতিক সংযোগ ও সরঞ্জামও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
‘ছায়ানট একটি স্বেচ্ছাসেবী ও স্বনির্ভর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। ছায়ানট কোনো সরকার, বিদেশি সংস্থা বা করপোরেট অনুদান নেয় না। সুতরাং, ছায়ানট আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে এই ক্ষতি পূরণ করবে এবং সংগীত ও শিশুদের সাধারণ শিক্ষায় এই সাময়িক বিঘ্নের দ্রুত প্রতিকার করতে বদ্ধপরিকর।’
এতে আরও বলা হয়, ‘ছায়ানটের কাজের ক্ষেত্র রাজনীতি নয়, সংগীত-সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তাকে ধারণ করে ছায়ানট। ছায়ানট সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের সমাজ গড়তে প্রয়াসী। আমরা ওসমান হাদির মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে গভীরভাবে শোকাহত। কিন্তু ওই সূত্র ধরে ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে কেন হামলা সংঘটিত হলো, তা মোটেই বোধগম্য নয়। হয়তো পরিস্থিতির সুযোগ গ্রহণ করেছে সংস্কৃতিচর্চার বিরোধী গোষ্ঠী।’
সংগীতশিক্ষার প্রতিষ্ঠানটি আরও বলে, ছায়ানট এই উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ অনানুষ্ঠানিক সংগীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীরা দেশে ও বিদেশে সমাদৃত। বাংলা গানের চর্চা বিস্তৃতির পাশাপাশি স্বাধীনতা-সংগ্রামে ছায়ানটের ভূমিকাও সারা বিশ্বে স্বীকৃত। তাই ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে এই নিন্দনীয় হামলা মাতৃভূমি সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিতে পারে বিশ্বে।
দেশ ও বিদেশ থেকে যে অগণিত শুভাকাঙ্ক্ষী তাঁদের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা জানিয়েছেন, তাঁদের সবার কাছে ছায়ানট কৃতজ্ঞ।
বাঙালির আবহমান সংগীতসংস্কৃতির সাধনা ও প্রসারে ছায়ানট তার স্থির প্রত্যয় যাত্রায় অবিচল থাকবে।

৯২৭ কোটি টাকায় ২০০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ কেনার একটি প্রকল্প ৯ বছর পর বাতিল করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। চীনের একটি কোম্পানি থেকে কোচগুলো কেনার এই প্রকল্প বাতিল হয়েছে ঋণের শর্ত অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায়।
৩১ আগস্ট ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
১৫ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লাশ ঢাকায় পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
৩৩ মিনিট আগে
প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।
৩৭ মিনিট আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লাশ ঢাকায় পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বিমানবন্দর এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে ডোমেস্টিক ও আন্তর্জাতিক টার্মিনালের প্রতিটি প্রবেশপথে সেনাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। পুরো বিমানবন্দর এলাকার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতেও নিরাপত্তা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
এ ছাড়া ভিআইপি গেটে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও আর্মড ফোর্স ব্যাটালিয়নের (এএফবি) সদস্যদের কঠোর দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত নজরদারি রাখা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ওসমান হাদির লাশের বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট দিয়ে বের করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ওই গেট এলাকাতেও সেনাবাহিনী, আর্মড ফোর্স ব্যাটালিয়ন ও পুলিশের সদস্যদের কড়া অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি ৫৮৫ ফ্লাইটে করে সিঙ্গাপুর থেকে আনা হয় ওসমান হাদির লাশ। ফ্লাইটটি সন্ধ্যা ৫টা ৪৯ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লাশ ঢাকায় পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বিমানবন্দর এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে ডোমেস্টিক ও আন্তর্জাতিক টার্মিনালের প্রতিটি প্রবেশপথে সেনাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। পুরো বিমানবন্দর এলাকার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতেও নিরাপত্তা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
এ ছাড়া ভিআইপি গেটে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও আর্মড ফোর্স ব্যাটালিয়নের (এএফবি) সদস্যদের কঠোর দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত নজরদারি রাখা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ওসমান হাদির লাশের বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট দিয়ে বের করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ওই গেট এলাকাতেও সেনাবাহিনী, আর্মড ফোর্স ব্যাটালিয়ন ও পুলিশের সদস্যদের কড়া অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি ৫৮৫ ফ্লাইটে করে সিঙ্গাপুর থেকে আনা হয় ওসমান হাদির লাশ। ফ্লাইটটি সন্ধ্যা ৫টা ৪৯ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

৯২৭ কোটি টাকায় ২০০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ কেনার একটি প্রকল্প ৯ বছর পর বাতিল করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। চীনের একটি কোম্পানি থেকে কোচগুলো কেনার এই প্রকল্প বাতিল হয়েছে ঋণের শর্ত অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায়।
৩১ আগস্ট ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
১৫ মিনিট আগে
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
২৯ মিনিট আগে
প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।
৩৭ মিনিট আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।
আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানায় বিশ্বজুড়ে সংবাদকর্মীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, হামলার সময় সাংবাদিকেরা কার্যালয়ের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন; পরে তাঁদের উদ্ধার করা হয়।
সিপিজে বলেছে, তারা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে এবং বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের কাছে সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এ ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছে।

প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।
আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানায় বিশ্বজুড়ে সংবাদকর্মীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, হামলার সময় সাংবাদিকেরা কার্যালয়ের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন; পরে তাঁদের উদ্ধার করা হয়।
সিপিজে বলেছে, তারা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে এবং বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের কাছে সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এ ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছে।

৯২৭ কোটি টাকায় ২০০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ কেনার একটি প্রকল্প ৯ বছর পর বাতিল করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। চীনের একটি কোম্পানি থেকে কোচগুলো কেনার এই প্রকল্প বাতিল হয়েছে ঋণের শর্ত অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায়।
৩১ আগস্ট ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
১৫ মিনিট আগে
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
২৯ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লাশ ঢাকায় পৌঁছানোকে কেন্দ্র করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা।
৩৩ মিনিট আগে