নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারি চাকরি হতে ‘বাধ্যতামূলক’ অবসরে পাঠানো তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন আজ সোমবার নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাকে কেন অবসরে পাঠানো হলো আমি তা জানি না। যেহেতু এটি সরকার পারে, আইনের ভেতরেই পারে, সেজন্য এটি কার্যকর।’
চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেনকে অবসরে পাঠিয়ে গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এই খবর প্রকাশের পরই নানা গুঞ্জন শুরু হয়। তবে সরকারের কোনো পক্ষ থেকেই তথ্যসচিবকে হঠাৎ অবসরে পাঠানোর নেপথ্য কারণ নির্দিষ্ট করে বলা হচ্ছে না। এমনকি আজ সোমবার তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও সাংবাদিকদের বলেছেন, তথ্য সচিবের আকস্মিক চলে যাওয়ার অন্তর্নিহিত কারণ তিনি জানেন না।
কয়েকটি গণমাধ্যমে কিছু অনুমানভিত্তিক খবর বেরিয়েছে। কেউ দাবি করছেন, কোনো কারণে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সচিবের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। আবার লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে তথ্যসচিব সাক্ষাৎ করেছেন— এমন দাবিও করছেন অনেকে।
তাঁর ওপর যে সব অভিযোগ উঠেছে সেগুলো বস্তুনিষ্ঠ হলে প্রকাশ করার অনুরোধ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি জানি না, কেন আমাকে অবসরে পাঠানো হলো! কিন্তু সরকারের এ রাইট আছে। এ বিষয়ে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে অতৃপ্তি দেখানোর কোনো সুযোগ নেই। প্রত্যেকটি মানুষ নিজেই সবচেয়ে বড় বিচারক। সুতরাং আমি সেই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে সবসময় প্রস্তুত।’
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর কারণ কী হতে পারে এবং যেখানে তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাজে আপনার অনিয়মের বিষয়টি গণমাধ্যমের খবরে আসছে—সাংবাদিকেরা এদিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সচিব মো. মকবুল হোসেন বলেন, ‘আমার জানা মতে নেই। আমি যতদিন এখানে কাজ করেছি, সততার সঙ্গে করেছি, নিষ্ঠার সঙ্গে করেছি, সরকারকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। আমার জ্ঞানের ভেতর নেই, আমার কোনো অপরাধ ছিল কি না বা কোন অপরাধের কারণে অবসরে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু এটি সরকার পারে, আইনের ভেতরেই পারে; সেজন্য এটি কার্যকর।’
তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তার একটা প্লান থাকে। আমরা যারা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করি তারা এটা মানি। আমার সরকারি চাকরির রিজিক এই পর্যন্তই ছিল। এর বেশি যাওয়ার সুযোগ নেই।’
অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যাপারে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু বলার আছে কি না, জানতে চাইলে মকবুল হোসেন বলেন, ‘এটি আপনারা সাংবাদিক হিসেবে অনুসন্ধান করতে পারেন। সরকার বিরোধী কোনো অ্যাক্টিভিটিজে আমার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল কি না? যদি থেকে থাকে সেটি আপনারা প্রচার করতে পারেন, আমার পক্ষ থেকে কোনো অসুবিধা নাই।’
তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আপনার একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল এমন কথা শোনা যাচ্ছে। আপনি অনেক কাজেই মন্ত্রীকে অবহিত করেননি— সাংবাদিকেরা এ কথা উল্লেখ করলে তথ্য ও সম্প্রচার সচিব বলেন, ‘মানুষ অনেক কথাই বলে। অনেক কিছুই শোনা যায়। শোনা কথা বিশ্বাস না করাই ভালো। আমার পক্ষ থেকে মন্ত্রীর সঙ্গে কেন দূরত্ব থাকবে? আমরা তো সবাই মিলেই কাজ করি। দূরত্বের কথা কেন আসছে আমি জানি না। আমি উনাকে সম্মান করি।’
তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মকবুল হোসেন বলেন, ‘একটা কথা আছে, হাতি যখন পাঁকে পড়ে, চামচিকাও লাথি মারে! আমি তারেক রহমানকে কোনোদিন দেখেছি বলে মনে হয় না। তাকে দেখার ইচ্ছাও আমার নেই।’
ছাত্রলীগের একটি বিশ্ববিদ্যালয় হল শাখার সহসভাপতি ছিলেন বলে দাবি করেছেন সচিব মকবুল হোসেন। তিনি বলেন, ‘যত দিন বেঁচে আছি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়েই বেঁচে থাকব।’
সরকারি চাকরি হতে ‘বাধ্যতামূলক’ অবসরে পাঠানো তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন আজ সোমবার নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাকে কেন অবসরে পাঠানো হলো আমি তা জানি না। যেহেতু এটি সরকার পারে, আইনের ভেতরেই পারে, সেজন্য এটি কার্যকর।’
চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেনকে অবসরে পাঠিয়ে গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এই খবর প্রকাশের পরই নানা গুঞ্জন শুরু হয়। তবে সরকারের কোনো পক্ষ থেকেই তথ্যসচিবকে হঠাৎ অবসরে পাঠানোর নেপথ্য কারণ নির্দিষ্ট করে বলা হচ্ছে না। এমনকি আজ সোমবার তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও সাংবাদিকদের বলেছেন, তথ্য সচিবের আকস্মিক চলে যাওয়ার অন্তর্নিহিত কারণ তিনি জানেন না।
কয়েকটি গণমাধ্যমে কিছু অনুমানভিত্তিক খবর বেরিয়েছে। কেউ দাবি করছেন, কোনো কারণে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সচিবের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। আবার লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে তথ্যসচিব সাক্ষাৎ করেছেন— এমন দাবিও করছেন অনেকে।
তাঁর ওপর যে সব অভিযোগ উঠেছে সেগুলো বস্তুনিষ্ঠ হলে প্রকাশ করার অনুরোধ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি জানি না, কেন আমাকে অবসরে পাঠানো হলো! কিন্তু সরকারের এ রাইট আছে। এ বিষয়ে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে অতৃপ্তি দেখানোর কোনো সুযোগ নেই। প্রত্যেকটি মানুষ নিজেই সবচেয়ে বড় বিচারক। সুতরাং আমি সেই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে সবসময় প্রস্তুত।’
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর কারণ কী হতে পারে এবং যেখানে তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাজে আপনার অনিয়মের বিষয়টি গণমাধ্যমের খবরে আসছে—সাংবাদিকেরা এদিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সচিব মো. মকবুল হোসেন বলেন, ‘আমার জানা মতে নেই। আমি যতদিন এখানে কাজ করেছি, সততার সঙ্গে করেছি, নিষ্ঠার সঙ্গে করেছি, সরকারকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। আমার জ্ঞানের ভেতর নেই, আমার কোনো অপরাধ ছিল কি না বা কোন অপরাধের কারণে অবসরে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু এটি সরকার পারে, আইনের ভেতরেই পারে; সেজন্য এটি কার্যকর।’
তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তার একটা প্লান থাকে। আমরা যারা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করি তারা এটা মানি। আমার সরকারি চাকরির রিজিক এই পর্যন্তই ছিল। এর বেশি যাওয়ার সুযোগ নেই।’
অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যাপারে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু বলার আছে কি না, জানতে চাইলে মকবুল হোসেন বলেন, ‘এটি আপনারা সাংবাদিক হিসেবে অনুসন্ধান করতে পারেন। সরকার বিরোধী কোনো অ্যাক্টিভিটিজে আমার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল কি না? যদি থেকে থাকে সেটি আপনারা প্রচার করতে পারেন, আমার পক্ষ থেকে কোনো অসুবিধা নাই।’
তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আপনার একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল এমন কথা শোনা যাচ্ছে। আপনি অনেক কাজেই মন্ত্রীকে অবহিত করেননি— সাংবাদিকেরা এ কথা উল্লেখ করলে তথ্য ও সম্প্রচার সচিব বলেন, ‘মানুষ অনেক কথাই বলে। অনেক কিছুই শোনা যায়। শোনা কথা বিশ্বাস না করাই ভালো। আমার পক্ষ থেকে মন্ত্রীর সঙ্গে কেন দূরত্ব থাকবে? আমরা তো সবাই মিলেই কাজ করি। দূরত্বের কথা কেন আসছে আমি জানি না। আমি উনাকে সম্মান করি।’
তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মকবুল হোসেন বলেন, ‘একটা কথা আছে, হাতি যখন পাঁকে পড়ে, চামচিকাও লাথি মারে! আমি তারেক রহমানকে কোনোদিন দেখেছি বলে মনে হয় না। তাকে দেখার ইচ্ছাও আমার নেই।’
ছাত্রলীগের একটি বিশ্ববিদ্যালয় হল শাখার সহসভাপতি ছিলেন বলে দাবি করেছেন সচিব মকবুল হোসেন। তিনি বলেন, ‘যত দিন বেঁচে আছি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়েই বেঁচে থাকব।’
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যাসহ আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের হত্যা, গুম, নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অনেক মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় এক হাজারের বেশি পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এ পর্যন্ত সাবেক আইজিসহ পুলিশের ৬৩ জন সদস্য গ্রেপ্তার হয়ে
৫ ঘণ্টা আগেআকাশে যেন দুর্যোগের মেঘ। বিপদ হেঁটে চলেছে পাশ ঘেঁষে, আর অল্পের জন্য রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে বিমান। উড়ন্ত উড়োজাহাজে যেভাবে একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ছে, তাতে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে গতকাল সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার
৫ ঘণ্টা আগেফৌজদারি কার্যবিধির ৩২ ধারায় বর্ণিত বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের জরিমানার ক্ষমতা ব্যাপক বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা আগের ১০ হাজার টাকার জায়গায় এখন ৫ লাখ টাকা জরিমানা করতে পারবেন। সংসদ অধিবেশন না থাকায় সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এরই মধ্যে ফৌজদারি কার্যবিধি
৮ ঘণ্টা আগে