নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে সংস্কারের নামে কালক্ষেপণের অভিযোগের মধ্যে সংস্কার নিয়ে জনমত জরিপ করতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয় বলে সূত্রে জানা গেছে।
বৈঠকে উপস্থিত একজন সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংস্কারপ্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি মানুষের অংশগ্রহণ বাড়াতে জরিপ করার বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দু-তিন দিনের মধ্যে কারিগরি সহায়তা দলের সঙ্গে আলাপ শুরু হতে পারে।
ওই সদস্য আরো বলেন, দুই ধরনের জরিপের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। হাউসহোল্ড সার্ভে অর্থাৎ মাঠ পর্যায়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জরিপ করা হবে। পাশাপাশি অনলাইনেও জরিপ হবে।
সংস্কার নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ২০ মার্চ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম ধাপের সংলাপ শুরু হয়। গতকাল পর্যন্ত ২৭টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে কমিশন। আগামী ১৫ মে’র মধ্যে প্রথম ধাপের সংলাপ শেষ করতে চায় কমিশন। এরপরই দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ করবেন তাঁরা।
সংলাপের দ্বিতীয় পর্ব কবে এবং কীভাবে হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান ওই সদস্য। তিনি বলেন, চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহের শেষ নাগাদ দ্বিতীয় পর্বের সংলাপ শুরু হতে পারে।
তবে বিএনপিসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল বলছে, মানুষ গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়েছে। দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে না দিলে দেশে স্থিতিশীলতা ফিরবে না। সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ করতে দেশ আরো অস্থিতিশীল হতে পারে। তাই, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি তাদের। সামগ্রিক সংস্কার নির্বাচিত সরকার এসে জাতীয় সংসদের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।
আজ রাজধানীতে এক সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপিও সংস্কার চায়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকারের কিছু ব্যক্তি এটি ভিন্নভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছেন। প্রতিদিন নতুন নতুন সংস্কারের তালিকা তৈরি করে পরিস্থিতিকে জটিল করে তোলা হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভায় কমিশনের সামগ্রিক কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরবর্তী ধাপের আলোচনার কর্মপরিকল্পনা দ্রুত চূড়ান্ত করার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশনপ্রধান প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস তাগিদ দেন। তিনি প্রথম ধাপের আলোচনায় সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেন।
দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ সভায় অংশগ্রহণ করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, বিচারপতি এমদাদুল হক, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পরিকল্পনা উপদেষ্টা প্রফেসর ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, জ্বালানি ও সড়ক যোগাযোগ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটি মূলত একটি নিয়মিত বৈঠক, যার উদ্দেশ্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শের অগ্রগতি সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্য দেওয়া।
বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে সংস্কারের নামে কালক্ষেপণের অভিযোগের মধ্যে সংস্কার নিয়ে জনমত জরিপ করতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয় বলে সূত্রে জানা গেছে।
বৈঠকে উপস্থিত একজন সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংস্কারপ্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি মানুষের অংশগ্রহণ বাড়াতে জরিপ করার বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দু-তিন দিনের মধ্যে কারিগরি সহায়তা দলের সঙ্গে আলাপ শুরু হতে পারে।
ওই সদস্য আরো বলেন, দুই ধরনের জরিপের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। হাউসহোল্ড সার্ভে অর্থাৎ মাঠ পর্যায়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জরিপ করা হবে। পাশাপাশি অনলাইনেও জরিপ হবে।
সংস্কার নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ২০ মার্চ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম ধাপের সংলাপ শুরু হয়। গতকাল পর্যন্ত ২৭টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে কমিশন। আগামী ১৫ মে’র মধ্যে প্রথম ধাপের সংলাপ শেষ করতে চায় কমিশন। এরপরই দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ করবেন তাঁরা।
সংলাপের দ্বিতীয় পর্ব কবে এবং কীভাবে হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান ওই সদস্য। তিনি বলেন, চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহের শেষ নাগাদ দ্বিতীয় পর্বের সংলাপ শুরু হতে পারে।
তবে বিএনপিসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল বলছে, মানুষ গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়েছে। দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে না দিলে দেশে স্থিতিশীলতা ফিরবে না। সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ করতে দেশ আরো অস্থিতিশীল হতে পারে। তাই, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি তাদের। সামগ্রিক সংস্কার নির্বাচিত সরকার এসে জাতীয় সংসদের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।
আজ রাজধানীতে এক সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপিও সংস্কার চায়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকারের কিছু ব্যক্তি এটি ভিন্নভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছেন। প্রতিদিন নতুন নতুন সংস্কারের তালিকা তৈরি করে পরিস্থিতিকে জটিল করে তোলা হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভায় কমিশনের সামগ্রিক কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরবর্তী ধাপের আলোচনার কর্মপরিকল্পনা দ্রুত চূড়ান্ত করার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশনপ্রধান প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস তাগিদ দেন। তিনি প্রথম ধাপের আলোচনায় সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেন।
দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ সভায় অংশগ্রহণ করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, বিচারপতি এমদাদুল হক, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পরিকল্পনা উপদেষ্টা প্রফেসর ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, জ্বালানি ও সড়ক যোগাযোগ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটি মূলত একটি নিয়মিত বৈঠক, যার উদ্দেশ্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শের অগ্রগতি সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্য দেওয়া।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থাতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছে
৪১ মিনিট আগেসব ঠিক থাকলে মাস ছয়েক পরে জাতীয় নির্বাচন। প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণার পর জোরেশোরে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নির্বাচনের কাজে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা। পুলিশও প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের দায়িত্ব পালনে। এ জন্য ভোটের মাঠে যেসব উপপরিদর্শক (এসআই) ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) দায়িত্ব পালন করবেন,
১ ঘণ্টা আগেগত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
৬ ঘণ্টা আগেবিবৃতিতে বলা হয়, সরকার গণমাধ্যমে স্বচ্ছতা, সুরক্ষা ও স্বাধীনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একই সঙ্গে এই মূল্যবোধ সংরক্ষণ ও বৃদ্ধির জন্য সব অংশীজনের একসঙ্গে কাজ করা দরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো গণমাধ্যমে সম্পাদকীয়, পরিচালনাগত বা ব্যবসায়িক দিকগুলোতে হস্তক্ষেপ করেনি।
৭ ঘণ্টা আগে