
চলতি বছরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ৯ জন সদস্য ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) অন্তত দুটি দেশ থেকে প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণসংক্রান্ত সরঞ্জাম গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা। মাত্র এক দিন আগেই আন্তর্জাতিক এই গণমাধ্যম জানিয়েছিল, যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সাইবার সিকিউরিটি ও নজরদারি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছে র্যাব।
মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে গত বছরের ডিসেম্বরে গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি আইনের অধীনে র্যাবের সাত সদস্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। ওই সাত সদস্যের একজনসহ ৯ জন র্যাব সদস্য এ বছর নেদারল্যান্ডস ও পোল্যান্ডের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সেবা গ্রহণ করেছেন। আজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা।
২০১০ সাল থেকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো র্যাবের বিরুদ্ধে তথাকথিত মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নির্বিচারে গ্রেপ্তারের অভিযোগ করে আসছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াবিষয়ক পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলী আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘র্যাবের মাধ্যমে এই সরকার যে অপকর্মগুলো করেছে, সে ব্যাপারে আমরা উদ্বিগ্ন। র্যাব সম্পর্কে যে নথিগুলো প্রকাশিত হয়েছে, তা এটাই ইঙ্গিত করে যে র্যাব প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও প্রশিক্ষণসংক্রান্ত সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ করছে।’
গত বছর যুক্তরাষ্ট্র যখন র্যাবের শীর্ষ সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তখন তারা প্রমাণ দিয়েছিল যে, র্যাব ২০০৯ সাল থেকে অন্তত ৬০০ ব্যক্তিকে জোরপূর্বক গুম করেছে। এ ছাড়া ২০১৮ সাল থেকে কমপক্ষে ৬০০টি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল র্যাব।
বিদেশি গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ
আল-জাজিরা জানিয়েছে, তাদের হাতে এমন কিছু নথি এসেছে, যার মাধ্যমে জানা গেছে যে এ বছরের মার্চ মাসে র্যাবের সদস্যরা গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ নিতে পোল্যান্ডে গিয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী সদস্যদের মধ্যে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক খান মোহাম্মদ আজাদ রয়েছেন। তিনি মার্কিন নিষেধাজ্ঞাভুক্ত সাত সদস্যের একজন।
পোল্যান্ডে র্যাব সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে ইউরোপিয়ান সিকিউরিটি অ্যাকাডেমি (ইএসএ)। এই সংস্থা সাধারণত সামরিক বাহিনীর সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সামরিক সংস্থাকে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
এ ছাড়া র্যাবের ক্যানাইন স্কোয়াডের জন্য ‘পুলিশ ডগস সেন্টার’ থেকে প্রশিক্ষিত কুকুর কেনার জন্য ‘ক্রয়পূর্ব পরিদর্শন’ করতে তিনজন র্যাব সদস্য এ বছরের সেপ্টেম্বরে নেদারল্যান্ডসে গিয়েছিলেন। আল-জাজিরা জানিয়েছে, গত তিন বছরের মধ্যে অন্তত দুবার র্যাবের ক্যানাইন স্কোয়াড নেদারল্যান্ডসে এ ধরনের পরিদর্শনের জন্য গিয়েছেন।
আল-জাজিরা যে নথি পেয়েছে, তাতে দেখা গেছে, পোল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস সরকারের কাছে র্যাব ভ্রমণ বিজ্ঞপ্তির কপি পাঠিয়েছিল।
ম্যাগনিটস্কি আইনে নিষেধাজ্ঞা
মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ‘গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি হিউম্যান রাইটস অ্যাকাউন্টেবিলিটি অ্যাক্ট’ নামে আইন রয়েছে। এই আইনের অধীনে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যক্তি ও সংস্থার সম্পদ জব্দ করা হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ওই ব্যক্তি ও সংস্থাগুলোর ব্যবসা নিষিদ্ধ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ফার্স্টের আইনজীবী আমান্ডা স্ট্রেয়ার বলেছেন, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কেন সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে, তা দেখিয়ে দিয়েছে র্যাব কর্মকর্তাদের ইউরোপ ভ্রমণ। তাঁরা যা করতেন (মানবাধিকার লঙ্ঘন) তা আরও ভালোভাবে করার জন্য ইউরোপে প্রশিক্ষণ নিতে গেছেন।’
আমান্ডা স্ট্রেয়ার আরও বলেছেন, ‘নিষেধাজ্ঞাবিষয়ক গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি আইনটি যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডায় প্রায় একই রকম। সুতরাং র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ক্ষমতা তাদের সবারই রয়েছে।’
তবে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করা ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য কঠিন বলেও মন্তব্য করেছেন আমান্ডা স্ট্রেয়ার। তিনি বলেছেন, ‘ইইউ একটি বিশাল বহুপক্ষীয় সংস্থা। ফলে ইইউর পক্ষে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছা সহজ নয়। আর এ বিষয়টিই সম্ভবত র্যাব বুঝতে পেরেছে এবং ইউরোপে প্রশিক্ষণ নিতে গেছে।’
ইউরোপে ২৫ বারেরও বেশি ভ্রমণ র্যাবের
আল-জাজিরার তদন্ত ইউনিট (আই-ইউনিট) যেসব নথি সংগ্রহ করেছে, তাতে দেখা গেছে, র্যাব কর্মকর্তারা ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৫ বারেরও বেশি ইউরোপে ভ্রমণ করেছেন। এসব ভ্রমণের সময় তাঁরা গণনজরদারি সরঞ্জাম ব্যবহারের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং আরও অন্যান্য সরঞ্জাম কেনার জন্য ‘ক্রয়-পূর্ব পরিদর্শন’ করেছেন।
২০১৭ সালে র্যাবের তৎকালীন মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ জার্মানিতে একটি পুলিশের সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়েছিলেন। বর্তমানে তাঁর ওপরেও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ওই একই সময়ে র্যাবের সদস্যরা চীন, রাশিয়া, থাইল্যান্ড, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্রমণ করেছিলেন।
এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের লিয়াজো অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি রাষ্ট্র এই ব্যক্তিদের (র্যাব সদস্যদের) প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম সরবরাহ করছে। প্রকৃতপক্ষে র্যাবের প্রতি তাদের (যুক্তরাজ্য ও ইইউ) কঠোর হওয়া উচিত। যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মূল মূল্যবোধ হচ্ছে, কূটনীতির মাধ্যমে উন্নয়ন অংশীদারত্ব, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার। এসব মূলনীতির বাইরে তাদের যাওয়া উচিত নয়।’
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নেদারল্যান্ডস সদস্য থিজ রিউটেন আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যারা স্পষ্টভাবে জড়িত, তাদের বিষয়ে নেদারল্যান্ডসকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে।’
২০১৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে ‘র্যাবের দায়মুক্তি অবসানের প্রস্তাবনা’ দিয়েছিল। সেই প্রস্তাবনার কথা উল্লেখ করে থিজ রিউটেন বলেন, ‘আমি এখনো সেই প্রস্তাবনাকে সমর্থন করি এবং বাংলাদেশ সরকারের উচিত হত্যা ও জোরপূর্বক গুমের বিষয়ে স্বাধীনভাবে তদন্ত করা।’
জবাবের অধিকার
এক প্রশ্নের জবাবে আল-জাজিরার আই-ইউনিটকে ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘তারা র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে অবগত। এমনকি তারা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কেও অবগত। কিন্তু ইইউ র্যাবের ওপর ওই ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। আর নেদারল্যান্ডস সরকার কুকুর বিক্রির সঙ্গে জড়িত নয়।’
ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যাখ্যা করে বলেছে, ‘বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত কুকুরগুলোকে কৌশলগত পণ্য (সামরিক পণ্য বা দ্বৈত ব্যবহার) হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। তাই এ ধরনের কেনাবেচার জন্য কোনো রপ্তানি অনুমতির প্রয়োজন হয় না। সুতরাং বাংলাদেশে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর রপ্তানির সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জড়িত নয়।’
ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, আগের বছরগুলোতেও র্যাব সদস্যরা স্বাধীনভাবে নেদারল্যান্ডস ভ্রমণ করেছেন। এ ধরনের ভ্রমণের ক্ষেত্রে দূতাবাস বা ডাচ সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশে ভিসা দেয় না। এই পরিষেবা একটি ভিন্ন সেনজেন দেশের মাধ্যমে হয়েছে।
এদিকে পুলিশ ডগস সেন্টার আল-জাজিরাকে বলেছে, ‘এ বছরের সেপ্টেম্বরে আমাদের কাছে র্যাবের কোনো সদস্য আসেননি। তাঁদের সঙ্গে আমাদের কোনো ব্যবসায়িক সম্পর্ক নেই।’
আল-জাজিরা আরও জানিয়েছে, পোল্যান্ড সরকার, ইউরোপিয়ান সিকিউরিটি অ্যাকাডেমি (ইএসএ) এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) তাদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়নি।

চলতি বছরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ৯ জন সদস্য ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) অন্তত দুটি দেশ থেকে প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণসংক্রান্ত সরঞ্জাম গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা। মাত্র এক দিন আগেই আন্তর্জাতিক এই গণমাধ্যম জানিয়েছিল, যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সাইবার সিকিউরিটি ও নজরদারি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছে র্যাব।
মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে গত বছরের ডিসেম্বরে গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি আইনের অধীনে র্যাবের সাত সদস্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। ওই সাত সদস্যের একজনসহ ৯ জন র্যাব সদস্য এ বছর নেদারল্যান্ডস ও পোল্যান্ডের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সেবা গ্রহণ করেছেন। আজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা।
২০১০ সাল থেকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো র্যাবের বিরুদ্ধে তথাকথিত মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নির্বিচারে গ্রেপ্তারের অভিযোগ করে আসছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াবিষয়ক পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলী আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘র্যাবের মাধ্যমে এই সরকার যে অপকর্মগুলো করেছে, সে ব্যাপারে আমরা উদ্বিগ্ন। র্যাব সম্পর্কে যে নথিগুলো প্রকাশিত হয়েছে, তা এটাই ইঙ্গিত করে যে র্যাব প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও প্রশিক্ষণসংক্রান্ত সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ করছে।’
গত বছর যুক্তরাষ্ট্র যখন র্যাবের শীর্ষ সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তখন তারা প্রমাণ দিয়েছিল যে, র্যাব ২০০৯ সাল থেকে অন্তত ৬০০ ব্যক্তিকে জোরপূর্বক গুম করেছে। এ ছাড়া ২০১৮ সাল থেকে কমপক্ষে ৬০০টি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল র্যাব।
বিদেশি গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ
আল-জাজিরা জানিয়েছে, তাদের হাতে এমন কিছু নথি এসেছে, যার মাধ্যমে জানা গেছে যে এ বছরের মার্চ মাসে র্যাবের সদস্যরা গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ নিতে পোল্যান্ডে গিয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী সদস্যদের মধ্যে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক খান মোহাম্মদ আজাদ রয়েছেন। তিনি মার্কিন নিষেধাজ্ঞাভুক্ত সাত সদস্যের একজন।
পোল্যান্ডে র্যাব সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে ইউরোপিয়ান সিকিউরিটি অ্যাকাডেমি (ইএসএ)। এই সংস্থা সাধারণত সামরিক বাহিনীর সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সামরিক সংস্থাকে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
এ ছাড়া র্যাবের ক্যানাইন স্কোয়াডের জন্য ‘পুলিশ ডগস সেন্টার’ থেকে প্রশিক্ষিত কুকুর কেনার জন্য ‘ক্রয়পূর্ব পরিদর্শন’ করতে তিনজন র্যাব সদস্য এ বছরের সেপ্টেম্বরে নেদারল্যান্ডসে গিয়েছিলেন। আল-জাজিরা জানিয়েছে, গত তিন বছরের মধ্যে অন্তত দুবার র্যাবের ক্যানাইন স্কোয়াড নেদারল্যান্ডসে এ ধরনের পরিদর্শনের জন্য গিয়েছেন।
আল-জাজিরা যে নথি পেয়েছে, তাতে দেখা গেছে, পোল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস সরকারের কাছে র্যাব ভ্রমণ বিজ্ঞপ্তির কপি পাঠিয়েছিল।
ম্যাগনিটস্কি আইনে নিষেধাজ্ঞা
মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ‘গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি হিউম্যান রাইটস অ্যাকাউন্টেবিলিটি অ্যাক্ট’ নামে আইন রয়েছে। এই আইনের অধীনে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যক্তি ও সংস্থার সম্পদ জব্দ করা হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ওই ব্যক্তি ও সংস্থাগুলোর ব্যবসা নিষিদ্ধ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ফার্স্টের আইনজীবী আমান্ডা স্ট্রেয়ার বলেছেন, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কেন সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে, তা দেখিয়ে দিয়েছে র্যাব কর্মকর্তাদের ইউরোপ ভ্রমণ। তাঁরা যা করতেন (মানবাধিকার লঙ্ঘন) তা আরও ভালোভাবে করার জন্য ইউরোপে প্রশিক্ষণ নিতে গেছেন।’
আমান্ডা স্ট্রেয়ার আরও বলেছেন, ‘নিষেধাজ্ঞাবিষয়ক গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি আইনটি যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডায় প্রায় একই রকম। সুতরাং র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ক্ষমতা তাদের সবারই রয়েছে।’
তবে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করা ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য কঠিন বলেও মন্তব্য করেছেন আমান্ডা স্ট্রেয়ার। তিনি বলেছেন, ‘ইইউ একটি বিশাল বহুপক্ষীয় সংস্থা। ফলে ইইউর পক্ষে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছা সহজ নয়। আর এ বিষয়টিই সম্ভবত র্যাব বুঝতে পেরেছে এবং ইউরোপে প্রশিক্ষণ নিতে গেছে।’
ইউরোপে ২৫ বারেরও বেশি ভ্রমণ র্যাবের
আল-জাজিরার তদন্ত ইউনিট (আই-ইউনিট) যেসব নথি সংগ্রহ করেছে, তাতে দেখা গেছে, র্যাব কর্মকর্তারা ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৫ বারেরও বেশি ইউরোপে ভ্রমণ করেছেন। এসব ভ্রমণের সময় তাঁরা গণনজরদারি সরঞ্জাম ব্যবহারের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং আরও অন্যান্য সরঞ্জাম কেনার জন্য ‘ক্রয়-পূর্ব পরিদর্শন’ করেছেন।
২০১৭ সালে র্যাবের তৎকালীন মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ জার্মানিতে একটি পুলিশের সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়েছিলেন। বর্তমানে তাঁর ওপরেও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ওই একই সময়ে র্যাবের সদস্যরা চীন, রাশিয়া, থাইল্যান্ড, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্রমণ করেছিলেন।
এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের লিয়াজো অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি রাষ্ট্র এই ব্যক্তিদের (র্যাব সদস্যদের) প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম সরবরাহ করছে। প্রকৃতপক্ষে র্যাবের প্রতি তাদের (যুক্তরাজ্য ও ইইউ) কঠোর হওয়া উচিত। যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মূল মূল্যবোধ হচ্ছে, কূটনীতির মাধ্যমে উন্নয়ন অংশীদারত্ব, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার। এসব মূলনীতির বাইরে তাদের যাওয়া উচিত নয়।’
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নেদারল্যান্ডস সদস্য থিজ রিউটেন আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যারা স্পষ্টভাবে জড়িত, তাদের বিষয়ে নেদারল্যান্ডসকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে।’
২০১৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে ‘র্যাবের দায়মুক্তি অবসানের প্রস্তাবনা’ দিয়েছিল। সেই প্রস্তাবনার কথা উল্লেখ করে থিজ রিউটেন বলেন, ‘আমি এখনো সেই প্রস্তাবনাকে সমর্থন করি এবং বাংলাদেশ সরকারের উচিত হত্যা ও জোরপূর্বক গুমের বিষয়ে স্বাধীনভাবে তদন্ত করা।’
জবাবের অধিকার
এক প্রশ্নের জবাবে আল-জাজিরার আই-ইউনিটকে ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘তারা র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে অবগত। এমনকি তারা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কেও অবগত। কিন্তু ইইউ র্যাবের ওপর ওই ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। আর নেদারল্যান্ডস সরকার কুকুর বিক্রির সঙ্গে জড়িত নয়।’
ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যাখ্যা করে বলেছে, ‘বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত কুকুরগুলোকে কৌশলগত পণ্য (সামরিক পণ্য বা দ্বৈত ব্যবহার) হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। তাই এ ধরনের কেনাবেচার জন্য কোনো রপ্তানি অনুমতির প্রয়োজন হয় না। সুতরাং বাংলাদেশে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর রপ্তানির সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জড়িত নয়।’
ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, আগের বছরগুলোতেও র্যাব সদস্যরা স্বাধীনভাবে নেদারল্যান্ডস ভ্রমণ করেছেন। এ ধরনের ভ্রমণের ক্ষেত্রে দূতাবাস বা ডাচ সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশে ভিসা দেয় না। এই পরিষেবা একটি ভিন্ন সেনজেন দেশের মাধ্যমে হয়েছে।
এদিকে পুলিশ ডগস সেন্টার আল-জাজিরাকে বলেছে, ‘এ বছরের সেপ্টেম্বরে আমাদের কাছে র্যাবের কোনো সদস্য আসেননি। তাঁদের সঙ্গে আমাদের কোনো ব্যবসায়িক সম্পর্ক নেই।’
আল-জাজিরা আরও জানিয়েছে, পোল্যান্ড সরকার, ইউরোপিয়ান সিকিউরিটি অ্যাকাডেমি (ইএসএ) এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) তাদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়নি।

চলতি বছরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ৯ জন সদস্য ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) অন্তত দুটি দেশ থেকে প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণসংক্রান্ত সরঞ্জাম গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা। মাত্র এক দিন আগেই আন্তর্জাতিক এই গণমাধ্যম জানিয়েছিল, যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সাইবার সিকিউরিটি ও নজরদারি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছে র্যাব।
মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে গত বছরের ডিসেম্বরে গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি আইনের অধীনে র্যাবের সাত সদস্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। ওই সাত সদস্যের একজনসহ ৯ জন র্যাব সদস্য এ বছর নেদারল্যান্ডস ও পোল্যান্ডের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সেবা গ্রহণ করেছেন। আজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা।
২০১০ সাল থেকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো র্যাবের বিরুদ্ধে তথাকথিত মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নির্বিচারে গ্রেপ্তারের অভিযোগ করে আসছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াবিষয়ক পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলী আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘র্যাবের মাধ্যমে এই সরকার যে অপকর্মগুলো করেছে, সে ব্যাপারে আমরা উদ্বিগ্ন। র্যাব সম্পর্কে যে নথিগুলো প্রকাশিত হয়েছে, তা এটাই ইঙ্গিত করে যে র্যাব প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও প্রশিক্ষণসংক্রান্ত সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ করছে।’
গত বছর যুক্তরাষ্ট্র যখন র্যাবের শীর্ষ সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তখন তারা প্রমাণ দিয়েছিল যে, র্যাব ২০০৯ সাল থেকে অন্তত ৬০০ ব্যক্তিকে জোরপূর্বক গুম করেছে। এ ছাড়া ২০১৮ সাল থেকে কমপক্ষে ৬০০টি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল র্যাব।
বিদেশি গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ
আল-জাজিরা জানিয়েছে, তাদের হাতে এমন কিছু নথি এসেছে, যার মাধ্যমে জানা গেছে যে এ বছরের মার্চ মাসে র্যাবের সদস্যরা গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ নিতে পোল্যান্ডে গিয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী সদস্যদের মধ্যে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক খান মোহাম্মদ আজাদ রয়েছেন। তিনি মার্কিন নিষেধাজ্ঞাভুক্ত সাত সদস্যের একজন।
পোল্যান্ডে র্যাব সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে ইউরোপিয়ান সিকিউরিটি অ্যাকাডেমি (ইএসএ)। এই সংস্থা সাধারণত সামরিক বাহিনীর সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সামরিক সংস্থাকে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
এ ছাড়া র্যাবের ক্যানাইন স্কোয়াডের জন্য ‘পুলিশ ডগস সেন্টার’ থেকে প্রশিক্ষিত কুকুর কেনার জন্য ‘ক্রয়পূর্ব পরিদর্শন’ করতে তিনজন র্যাব সদস্য এ বছরের সেপ্টেম্বরে নেদারল্যান্ডসে গিয়েছিলেন। আল-জাজিরা জানিয়েছে, গত তিন বছরের মধ্যে অন্তত দুবার র্যাবের ক্যানাইন স্কোয়াড নেদারল্যান্ডসে এ ধরনের পরিদর্শনের জন্য গিয়েছেন।
আল-জাজিরা যে নথি পেয়েছে, তাতে দেখা গেছে, পোল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস সরকারের কাছে র্যাব ভ্রমণ বিজ্ঞপ্তির কপি পাঠিয়েছিল।
ম্যাগনিটস্কি আইনে নিষেধাজ্ঞা
মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ‘গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি হিউম্যান রাইটস অ্যাকাউন্টেবিলিটি অ্যাক্ট’ নামে আইন রয়েছে। এই আইনের অধীনে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যক্তি ও সংস্থার সম্পদ জব্দ করা হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ওই ব্যক্তি ও সংস্থাগুলোর ব্যবসা নিষিদ্ধ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ফার্স্টের আইনজীবী আমান্ডা স্ট্রেয়ার বলেছেন, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কেন সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে, তা দেখিয়ে দিয়েছে র্যাব কর্মকর্তাদের ইউরোপ ভ্রমণ। তাঁরা যা করতেন (মানবাধিকার লঙ্ঘন) তা আরও ভালোভাবে করার জন্য ইউরোপে প্রশিক্ষণ নিতে গেছেন।’
আমান্ডা স্ট্রেয়ার আরও বলেছেন, ‘নিষেধাজ্ঞাবিষয়ক গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি আইনটি যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডায় প্রায় একই রকম। সুতরাং র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ক্ষমতা তাদের সবারই রয়েছে।’
তবে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করা ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য কঠিন বলেও মন্তব্য করেছেন আমান্ডা স্ট্রেয়ার। তিনি বলেছেন, ‘ইইউ একটি বিশাল বহুপক্ষীয় সংস্থা। ফলে ইইউর পক্ষে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছা সহজ নয়। আর এ বিষয়টিই সম্ভবত র্যাব বুঝতে পেরেছে এবং ইউরোপে প্রশিক্ষণ নিতে গেছে।’
ইউরোপে ২৫ বারেরও বেশি ভ্রমণ র্যাবের
আল-জাজিরার তদন্ত ইউনিট (আই-ইউনিট) যেসব নথি সংগ্রহ করেছে, তাতে দেখা গেছে, র্যাব কর্মকর্তারা ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৫ বারেরও বেশি ইউরোপে ভ্রমণ করেছেন। এসব ভ্রমণের সময় তাঁরা গণনজরদারি সরঞ্জাম ব্যবহারের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং আরও অন্যান্য সরঞ্জাম কেনার জন্য ‘ক্রয়-পূর্ব পরিদর্শন’ করেছেন।
২০১৭ সালে র্যাবের তৎকালীন মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ জার্মানিতে একটি পুলিশের সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়েছিলেন। বর্তমানে তাঁর ওপরেও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ওই একই সময়ে র্যাবের সদস্যরা চীন, রাশিয়া, থাইল্যান্ড, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্রমণ করেছিলেন।
এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের লিয়াজো অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি রাষ্ট্র এই ব্যক্তিদের (র্যাব সদস্যদের) প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম সরবরাহ করছে। প্রকৃতপক্ষে র্যাবের প্রতি তাদের (যুক্তরাজ্য ও ইইউ) কঠোর হওয়া উচিত। যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মূল মূল্যবোধ হচ্ছে, কূটনীতির মাধ্যমে উন্নয়ন অংশীদারত্ব, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার। এসব মূলনীতির বাইরে তাদের যাওয়া উচিত নয়।’
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নেদারল্যান্ডস সদস্য থিজ রিউটেন আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যারা স্পষ্টভাবে জড়িত, তাদের বিষয়ে নেদারল্যান্ডসকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে।’
২০১৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে ‘র্যাবের দায়মুক্তি অবসানের প্রস্তাবনা’ দিয়েছিল। সেই প্রস্তাবনার কথা উল্লেখ করে থিজ রিউটেন বলেন, ‘আমি এখনো সেই প্রস্তাবনাকে সমর্থন করি এবং বাংলাদেশ সরকারের উচিত হত্যা ও জোরপূর্বক গুমের বিষয়ে স্বাধীনভাবে তদন্ত করা।’
জবাবের অধিকার
এক প্রশ্নের জবাবে আল-জাজিরার আই-ইউনিটকে ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘তারা র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে অবগত। এমনকি তারা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কেও অবগত। কিন্তু ইইউ র্যাবের ওপর ওই ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। আর নেদারল্যান্ডস সরকার কুকুর বিক্রির সঙ্গে জড়িত নয়।’
ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যাখ্যা করে বলেছে, ‘বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত কুকুরগুলোকে কৌশলগত পণ্য (সামরিক পণ্য বা দ্বৈত ব্যবহার) হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। তাই এ ধরনের কেনাবেচার জন্য কোনো রপ্তানি অনুমতির প্রয়োজন হয় না। সুতরাং বাংলাদেশে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর রপ্তানির সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জড়িত নয়।’
ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, আগের বছরগুলোতেও র্যাব সদস্যরা স্বাধীনভাবে নেদারল্যান্ডস ভ্রমণ করেছেন। এ ধরনের ভ্রমণের ক্ষেত্রে দূতাবাস বা ডাচ সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশে ভিসা দেয় না। এই পরিষেবা একটি ভিন্ন সেনজেন দেশের মাধ্যমে হয়েছে।
এদিকে পুলিশ ডগস সেন্টার আল-জাজিরাকে বলেছে, ‘এ বছরের সেপ্টেম্বরে আমাদের কাছে র্যাবের কোনো সদস্য আসেননি। তাঁদের সঙ্গে আমাদের কোনো ব্যবসায়িক সম্পর্ক নেই।’
আল-জাজিরা আরও জানিয়েছে, পোল্যান্ড সরকার, ইউরোপিয়ান সিকিউরিটি অ্যাকাডেমি (ইএসএ) এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) তাদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়নি।

চলতি বছরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ৯ জন সদস্য ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) অন্তত দুটি দেশ থেকে প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণসংক্রান্ত সরঞ্জাম গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা। মাত্র এক দিন আগেই আন্তর্জাতিক এই গণমাধ্যম জানিয়েছিল, যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সাইবার সিকিউরিটি ও নজরদারি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছে র্যাব।
মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে গত বছরের ডিসেম্বরে গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি আইনের অধীনে র্যাবের সাত সদস্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। ওই সাত সদস্যের একজনসহ ৯ জন র্যাব সদস্য এ বছর নেদারল্যান্ডস ও পোল্যান্ডের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সেবা গ্রহণ করেছেন। আজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা।
২০১০ সাল থেকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো র্যাবের বিরুদ্ধে তথাকথিত মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নির্বিচারে গ্রেপ্তারের অভিযোগ করে আসছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াবিষয়ক পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলী আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘র্যাবের মাধ্যমে এই সরকার যে অপকর্মগুলো করেছে, সে ব্যাপারে আমরা উদ্বিগ্ন। র্যাব সম্পর্কে যে নথিগুলো প্রকাশিত হয়েছে, তা এটাই ইঙ্গিত করে যে র্যাব প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও প্রশিক্ষণসংক্রান্ত সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ করছে।’
গত বছর যুক্তরাষ্ট্র যখন র্যাবের শীর্ষ সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তখন তারা প্রমাণ দিয়েছিল যে, র্যাব ২০০৯ সাল থেকে অন্তত ৬০০ ব্যক্তিকে জোরপূর্বক গুম করেছে। এ ছাড়া ২০১৮ সাল থেকে কমপক্ষে ৬০০টি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল র্যাব।
বিদেশি গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ
আল-জাজিরা জানিয়েছে, তাদের হাতে এমন কিছু নথি এসেছে, যার মাধ্যমে জানা গেছে যে এ বছরের মার্চ মাসে র্যাবের সদস্যরা গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ নিতে পোল্যান্ডে গিয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী সদস্যদের মধ্যে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক খান মোহাম্মদ আজাদ রয়েছেন। তিনি মার্কিন নিষেধাজ্ঞাভুক্ত সাত সদস্যের একজন।
পোল্যান্ডে র্যাব সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে ইউরোপিয়ান সিকিউরিটি অ্যাকাডেমি (ইএসএ)। এই সংস্থা সাধারণত সামরিক বাহিনীর সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সামরিক সংস্থাকে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
এ ছাড়া র্যাবের ক্যানাইন স্কোয়াডের জন্য ‘পুলিশ ডগস সেন্টার’ থেকে প্রশিক্ষিত কুকুর কেনার জন্য ‘ক্রয়পূর্ব পরিদর্শন’ করতে তিনজন র্যাব সদস্য এ বছরের সেপ্টেম্বরে নেদারল্যান্ডসে গিয়েছিলেন। আল-জাজিরা জানিয়েছে, গত তিন বছরের মধ্যে অন্তত দুবার র্যাবের ক্যানাইন স্কোয়াড নেদারল্যান্ডসে এ ধরনের পরিদর্শনের জন্য গিয়েছেন।
আল-জাজিরা যে নথি পেয়েছে, তাতে দেখা গেছে, পোল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস সরকারের কাছে র্যাব ভ্রমণ বিজ্ঞপ্তির কপি পাঠিয়েছিল।
ম্যাগনিটস্কি আইনে নিষেধাজ্ঞা
মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ‘গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি হিউম্যান রাইটস অ্যাকাউন্টেবিলিটি অ্যাক্ট’ নামে আইন রয়েছে। এই আইনের অধীনে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যক্তি ও সংস্থার সম্পদ জব্দ করা হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ওই ব্যক্তি ও সংস্থাগুলোর ব্যবসা নিষিদ্ধ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ফার্স্টের আইনজীবী আমান্ডা স্ট্রেয়ার বলেছেন, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কেন সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে, তা দেখিয়ে দিয়েছে র্যাব কর্মকর্তাদের ইউরোপ ভ্রমণ। তাঁরা যা করতেন (মানবাধিকার লঙ্ঘন) তা আরও ভালোভাবে করার জন্য ইউরোপে প্রশিক্ষণ নিতে গেছেন।’
আমান্ডা স্ট্রেয়ার আরও বলেছেন, ‘নিষেধাজ্ঞাবিষয়ক গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কি আইনটি যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডায় প্রায় একই রকম। সুতরাং র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ক্ষমতা তাদের সবারই রয়েছে।’
তবে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করা ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য কঠিন বলেও মন্তব্য করেছেন আমান্ডা স্ট্রেয়ার। তিনি বলেছেন, ‘ইইউ একটি বিশাল বহুপক্ষীয় সংস্থা। ফলে ইইউর পক্ষে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছা সহজ নয়। আর এ বিষয়টিই সম্ভবত র্যাব বুঝতে পেরেছে এবং ইউরোপে প্রশিক্ষণ নিতে গেছে।’
ইউরোপে ২৫ বারেরও বেশি ভ্রমণ র্যাবের
আল-জাজিরার তদন্ত ইউনিট (আই-ইউনিট) যেসব নথি সংগ্রহ করেছে, তাতে দেখা গেছে, র্যাব কর্মকর্তারা ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৫ বারেরও বেশি ইউরোপে ভ্রমণ করেছেন। এসব ভ্রমণের সময় তাঁরা গণনজরদারি সরঞ্জাম ব্যবহারের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং আরও অন্যান্য সরঞ্জাম কেনার জন্য ‘ক্রয়-পূর্ব পরিদর্শন’ করেছেন।
২০১৭ সালে র্যাবের তৎকালীন মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ জার্মানিতে একটি পুলিশের সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়েছিলেন। বর্তমানে তাঁর ওপরেও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ওই একই সময়ে র্যাবের সদস্যরা চীন, রাশিয়া, থাইল্যান্ড, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্রমণ করেছিলেন।
এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের লিয়াজো অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি রাষ্ট্র এই ব্যক্তিদের (র্যাব সদস্যদের) প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম সরবরাহ করছে। প্রকৃতপক্ষে র্যাবের প্রতি তাদের (যুক্তরাজ্য ও ইইউ) কঠোর হওয়া উচিত। যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মূল মূল্যবোধ হচ্ছে, কূটনীতির মাধ্যমে উন্নয়ন অংশীদারত্ব, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার। এসব মূলনীতির বাইরে তাদের যাওয়া উচিত নয়।’
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নেদারল্যান্ডস সদস্য থিজ রিউটেন আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যারা স্পষ্টভাবে জড়িত, তাদের বিষয়ে নেদারল্যান্ডসকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে।’
২০১৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে ‘র্যাবের দায়মুক্তি অবসানের প্রস্তাবনা’ দিয়েছিল। সেই প্রস্তাবনার কথা উল্লেখ করে থিজ রিউটেন বলেন, ‘আমি এখনো সেই প্রস্তাবনাকে সমর্থন করি এবং বাংলাদেশ সরকারের উচিত হত্যা ও জোরপূর্বক গুমের বিষয়ে স্বাধীনভাবে তদন্ত করা।’
জবাবের অধিকার
এক প্রশ্নের জবাবে আল-জাজিরার আই-ইউনিটকে ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘তারা র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে অবগত। এমনকি তারা বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কেও অবগত। কিন্তু ইইউ র্যাবের ওপর ওই ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। আর নেদারল্যান্ডস সরকার কুকুর বিক্রির সঙ্গে জড়িত নয়।’
ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যাখ্যা করে বলেছে, ‘বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত কুকুরগুলোকে কৌশলগত পণ্য (সামরিক পণ্য বা দ্বৈত ব্যবহার) হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। তাই এ ধরনের কেনাবেচার জন্য কোনো রপ্তানি অনুমতির প্রয়োজন হয় না। সুতরাং বাংলাদেশে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর রপ্তানির সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জড়িত নয়।’
ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, আগের বছরগুলোতেও র্যাব সদস্যরা স্বাধীনভাবে নেদারল্যান্ডস ভ্রমণ করেছেন। এ ধরনের ভ্রমণের ক্ষেত্রে দূতাবাস বা ডাচ সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশে ভিসা দেয় না। এই পরিষেবা একটি ভিন্ন সেনজেন দেশের মাধ্যমে হয়েছে।
এদিকে পুলিশ ডগস সেন্টার আল-জাজিরাকে বলেছে, ‘এ বছরের সেপ্টেম্বরে আমাদের কাছে র্যাবের কোনো সদস্য আসেননি। তাঁদের সঙ্গে আমাদের কোনো ব্যবসায়িক সম্পর্ক নেই।’
আল-জাজিরা আরও জানিয়েছে, পোল্যান্ড সরকার, ইউরোপিয়ান সিকিউরিটি অ্যাকাডেমি (ইএসএ) এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) তাদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়নি।

সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের
৫ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
৯ ঘণ্টা আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
২০ ঘণ্টা আগেখানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মরহুমের এক নিকটাত্মীয় আজকের পত্রিকাকে জানান, মাহমুদ আলী দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। ১৩ দিন ধরে তিনি বারডেম হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল রাতে ধানমন্ডির নিজ বাসার সামনে জানাজা শেষে মরহুমকে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী ১৯৪৩ সালের ২ জুন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ডাক্তারপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দিনাজপুর-৪ (খানসামা-চিরিরবন্দর) আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬২ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক ও ১৯৬৩ সালে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে যোগ দেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি ওই বছরের মে মাসে মুজিবনগরে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত হন।
১৯৬৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল, জার্মানিতে ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সাল ও ভুটানে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মরহুমের এক নিকটাত্মীয় আজকের পত্রিকাকে জানান, মাহমুদ আলী দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। ১৩ দিন ধরে তিনি বারডেম হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল রাতে ধানমন্ডির নিজ বাসার সামনে জানাজা শেষে মরহুমকে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী ১৯৪৩ সালের ২ জুন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ডাক্তারপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দিনাজপুর-৪ (খানসামা-চিরিরবন্দর) আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬২ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক ও ১৯৬৩ সালে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে যোগ দেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি ওই বছরের মে মাসে মুজিবনগরে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত হন।
১৯৬৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল, জার্মানিতে ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সাল ও ভুটানে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় থাকা একজনসহ ৯ জন র্যাব সদস্য এ বছর নেদারল্যান্ডস ও পোল্যান্ডের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
০৯ ডিসেম্বর ২০২২
২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের
৫ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
৯ ঘণ্টা আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
২০ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া।
আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের জন্য দক্ষ মানবসম্পদসমৃদ্ধ একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় উৎস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
জাপান আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণার্থী ও দক্ষ কর্মী সহযোগিতা সংস্থা জিটকোর সহযোগিতায় আয়োজিত এ সেমিনার ও পরবর্তী ম্যাচিং ইভেন্টে দুই দেশের প্রায় ২৫০টি জনশক্তি রপ্তানিকারক ও নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
স্বাগত বক্তব্যে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী বলেন, জাপানে দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে দূতাবাস সব ধরনের সহায়তা দেবে।
সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া জানান, ২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ বিদেশি কর্মীর প্রয়োজন হবে, অন্যদিকে বাংলাদেশে অতিরিক্ত ২ কোটি ৫০ লাখ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী রয়েছে—এ প্রবণতা ২০৪০ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
নেয়ামত উল্যা বলেন, বাংলাদেশ সরকার জাপানের শ্রমবাজারে দক্ষ কর্মী সরবরাহে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে এবং এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ড. নেয়ামত আরও জানান, জাপানের শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী কর্মী প্রস্তুতের জন্য বাংলাদেশে ৩৩টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) নির্ধারণ করা হয়েছে, প্রয়োজনে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এ ছাড়া প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে একটি ‘জাপান সেল’ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা জাপানি শ্রমবাজারের সঙ্গে সমন্বয় ও যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।
সেমিনারে জিটকোর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শিগেও মাতসুতোমি আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের বর্তমান অবস্থা ও জাপানের সম্ভাবনা নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
পরে বাংলাদেশি জনশক্তি প্রেরণকারী ও জাপানি নিয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সেমিনারে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া।
আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের জন্য দক্ষ মানবসম্পদসমৃদ্ধ একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় উৎস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
জাপান আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণার্থী ও দক্ষ কর্মী সহযোগিতা সংস্থা জিটকোর সহযোগিতায় আয়োজিত এ সেমিনার ও পরবর্তী ম্যাচিং ইভেন্টে দুই দেশের প্রায় ২৫০টি জনশক্তি রপ্তানিকারক ও নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
স্বাগত বক্তব্যে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী বলেন, জাপানে দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে দূতাবাস সব ধরনের সহায়তা দেবে।
সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া জানান, ২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ বিদেশি কর্মীর প্রয়োজন হবে, অন্যদিকে বাংলাদেশে অতিরিক্ত ২ কোটি ৫০ লাখ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী রয়েছে—এ প্রবণতা ২০৪০ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
নেয়ামত উল্যা বলেন, বাংলাদেশ সরকার জাপানের শ্রমবাজারে দক্ষ কর্মী সরবরাহে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে এবং এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ড. নেয়ামত আরও জানান, জাপানের শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী কর্মী প্রস্তুতের জন্য বাংলাদেশে ৩৩টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) নির্ধারণ করা হয়েছে, প্রয়োজনে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এ ছাড়া প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে একটি ‘জাপান সেল’ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা জাপানি শ্রমবাজারের সঙ্গে সমন্বয় ও যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।
সেমিনারে জিটকোর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শিগেও মাতসুতোমি আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের বর্তমান অবস্থা ও জাপানের সম্ভাবনা নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
পরে বাংলাদেশি জনশক্তি প্রেরণকারী ও জাপানি নিয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সেমিনারে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় থাকা একজনসহ ৯ জন র্যাব সদস্য এ বছর নেদারল্যান্ডস ও পোল্যান্ডের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
০৯ ডিসেম্বর ২০২২
সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
৯ ঘণ্টা আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা রোধে বেতন বৃদ্ধির যৌক্তিক দাবি পে কমিশনের কাছে উত্থাপন করা হয়েছে।
বাহিনীর বিবৃতি অনুযায়ী, ৫ নভেম্বর রাতে নাইট শিফটে (রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৩০ মিনিট) দায়িত্ব পালনকালে অভিযুক্ত অঙ্গীভূত আনসার সদস্য জেনারুল ইসলাম লোভের বশবর্তী হয়ে একটি অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। তিনি ব্যক্তিগত প্রয়োজনের কথা বলে পোড়া ভবনের ভেতরে ভস্মীভূত দ্রব্যাদি থেকে কিছু বাটন ফোন লুকিয়ে বের করার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁকে ঘটনাস্থলেই হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং বাহিনীর জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখতে, সংশ্লিষ্ট আনসার সদস্যকে সঙ্গে সঙ্গে চাকরি থেকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। উপপরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এত দ্রুততম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাহিনীর সদস্যদের দীর্ঘদিনের অনৈতিক চর্চার ক্ষেত্রগুলো হ্রাস করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলো।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাহিনী মনে করে, রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে স্বল্প বেতনের মাধ্যমে দিবারাত্রি ডিউটি শেষে জীবিকার মৌলিক প্রয়োজনগুলো মেটানো অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের মনস্তাত্ত্বিক প্রেষণার অন্যতম নিয়ামক। এ কারণেই বাহিনীর পক্ষ থেকে সদস্যদের নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে মনস্তাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে বাহিনীর প্রধান পে কমিশন চেয়ারম্যানের কাছে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের যৌক্তিক বেতন বৃদ্ধির আবেদন করেছেন। বাহিনীর প্রত্যাশা, বেতন বৃদ্ধি হলে সংবেদনশীল ও ঝুঁকিপূর্ণ ডিউটির ক্ষেত্রে সদস্যরা আরও বেশি নিবেদিত ও নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে অনুপ্রাণিত হবেন।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও কেপিআই এলাকায় দক্ষতা, সততা ও পেশাদারির সঙ্গে দীর্ঘকাল ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছে। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, দ্রুততর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি সদস্যদের জন্য সার্বিক কল্যাণধর্মী কার্যক্রমের মাধ্যমে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপে সদস্যদের সম্পৃক্ততা ধীরে ধীরে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুনেও অক্ষত স্ট্রংরুমের ভল্ট থেকে চুরি হয়েছে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই কমপ্লেক্সের স্ট্রংরুম গত রোববার দুপুরে নিয়মিত পরিদর্শনের সময় ভল্ট থেকে অস্ত্রগুলো খোয়া যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।

রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা রোধে বেতন বৃদ্ধির যৌক্তিক দাবি পে কমিশনের কাছে উত্থাপন করা হয়েছে।
বাহিনীর বিবৃতি অনুযায়ী, ৫ নভেম্বর রাতে নাইট শিফটে (রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৩০ মিনিট) দায়িত্ব পালনকালে অভিযুক্ত অঙ্গীভূত আনসার সদস্য জেনারুল ইসলাম লোভের বশবর্তী হয়ে একটি অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। তিনি ব্যক্তিগত প্রয়োজনের কথা বলে পোড়া ভবনের ভেতরে ভস্মীভূত দ্রব্যাদি থেকে কিছু বাটন ফোন লুকিয়ে বের করার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁকে ঘটনাস্থলেই হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং বাহিনীর জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখতে, সংশ্লিষ্ট আনসার সদস্যকে সঙ্গে সঙ্গে চাকরি থেকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। উপপরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এত দ্রুততম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাহিনীর সদস্যদের দীর্ঘদিনের অনৈতিক চর্চার ক্ষেত্রগুলো হ্রাস করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলো।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাহিনী মনে করে, রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে স্বল্প বেতনের মাধ্যমে দিবারাত্রি ডিউটি শেষে জীবিকার মৌলিক প্রয়োজনগুলো মেটানো অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের মনস্তাত্ত্বিক প্রেষণার অন্যতম নিয়ামক। এ কারণেই বাহিনীর পক্ষ থেকে সদস্যদের নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে মনস্তাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে বাহিনীর প্রধান পে কমিশন চেয়ারম্যানের কাছে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের যৌক্তিক বেতন বৃদ্ধির আবেদন করেছেন। বাহিনীর প্রত্যাশা, বেতন বৃদ্ধি হলে সংবেদনশীল ও ঝুঁকিপূর্ণ ডিউটির ক্ষেত্রে সদস্যরা আরও বেশি নিবেদিত ও নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে অনুপ্রাণিত হবেন।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও কেপিআই এলাকায় দক্ষতা, সততা ও পেশাদারির সঙ্গে দীর্ঘকাল ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছে। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, দ্রুততর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি সদস্যদের জন্য সার্বিক কল্যাণধর্মী কার্যক্রমের মাধ্যমে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপে সদস্যদের সম্পৃক্ততা ধীরে ধীরে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুনেও অক্ষত স্ট্রংরুমের ভল্ট থেকে চুরি হয়েছে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই কমপ্লেক্সের স্ট্রংরুম গত রোববার দুপুরে নিয়মিত পরিদর্শনের সময় ভল্ট থেকে অস্ত্রগুলো খোয়া যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।

মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় থাকা একজনসহ ৯ জন র্যাব সদস্য এ বছর নেদারল্যান্ডস ও পোল্যান্ডের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
০৯ ডিসেম্বর ২০২২
সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের
৫ ঘণ্টা আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
২০ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
রাইডশেয়ারিং সেবার নীতিমালা-২০১৭ সংশোধন করে বিআরটিএ ২ নভেম্বর প্রস্তাবটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আগে ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস গাইডলাইন-২০১০ অনুযায়ী রাইড শেয়ারিংয়ের ভাড়া নির্ধারিত থাকলেও তা নতুনভাবে নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত আগস্টে গঠিত বিআরটিএর কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই প্রস্তাব করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিআরটিএর প্রস্তাবিত ভাড়ার কাঠামো অনুযায়ী মাইক্রোবাস, মোটরকার/জিপ, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ২ কিলোমিটারের মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। মাইক্রোবাসের ২ কিলোমিটারের সর্বনিম্ন ভাড়া হবে ১১০ টাকা, মোটরকার ও জিপের ১১০ টাকা, অটোরিকশার ৭০ টাকা এবং মোটরসাইকেলের ৬৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি যানের প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়ার সঙ্গে ২০ টাকা বুকিং ফি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৮ টাকা। ভ্রমণ চলাকালে প্রতি মিনিটের ভাড়া ২ টাকা। মোটরকার ও জিপে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। অটোরিকশার প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারে ১৮ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। মোটরসাইকেলের প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ১ টাকা। মোটরসাইকেলের আগে প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়া ছিল ৮৫ টাকা।
রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর কমিশনের হারও কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিআরটিএ। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা ভাড়ার সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ কমিশন নিতে পারবে। আগে এই হার ছিল ৩০ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাইড শেয়ারিংয়ের নানা বিষয়ে একটি আবেদন করেছিলেন রাইডরা। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পরে এটা নিয়ে আমাদের একটি কমিটি হয়েছিল। ওই কমিটি রাইডশেয়ারিংয়ের নানা বিষয় পর্যালোচনা করেছে।’
বিআরটিএ সূত্র জানায়, রাইডশেয়ারিং সেবার প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী যাত্রী বা চালক কেউ ট্রিপ বাতিল করলে নির্দিষ্ট সময়ের পর বাতিল চার্জ প্রযোজ্য হবে। যাত্রী অনুরোধ পাঠানোর পর চালক গ্রহণ করে যাত্রীর অভিমুখে রওনা হওয়ার পর ৩ মিনিটের মধ্যে ট্রিপ বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। তবে ওই সময়ের পর বাতিল করলে সম্ভাব্য ভাড়ার ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৩০ টাকা (যেটি কম) ক্যানসেলেশন চার্জ হিসেবে নেওয়া হবে, যা চালক ও রাইডশেয়ারিং কোম্পানি সমানভাবে ভাগ করবে।
চালকও অনুরোধ গ্রহণের পর ৩ মিনিটের মধ্যে বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। কিন্তু এর পর বাতিল করলে তাঁর কাছ থেকেও একই হারে চার্জ কাটা হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাইড শেয়ারিংয়ে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ ও কমিশন কমানো যাত্রীদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে। তবে বাস্তবায়ন ও তদারকি নিশ্চিত করাই মূল চ্যালেঞ্জ। এসব নিয়ম শুধু কাগজে নয়, বাস্তবেও কার্যকর করতে হবে।

রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
রাইডশেয়ারিং সেবার নীতিমালা-২০১৭ সংশোধন করে বিআরটিএ ২ নভেম্বর প্রস্তাবটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আগে ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস গাইডলাইন-২০১০ অনুযায়ী রাইড শেয়ারিংয়ের ভাড়া নির্ধারিত থাকলেও তা নতুনভাবে নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত আগস্টে গঠিত বিআরটিএর কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই প্রস্তাব করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিআরটিএর প্রস্তাবিত ভাড়ার কাঠামো অনুযায়ী মাইক্রোবাস, মোটরকার/জিপ, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ২ কিলোমিটারের মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। মাইক্রোবাসের ২ কিলোমিটারের সর্বনিম্ন ভাড়া হবে ১১০ টাকা, মোটরকার ও জিপের ১১০ টাকা, অটোরিকশার ৭০ টাকা এবং মোটরসাইকেলের ৬৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি যানের প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়ার সঙ্গে ২০ টাকা বুকিং ফি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৮ টাকা। ভ্রমণ চলাকালে প্রতি মিনিটের ভাড়া ২ টাকা। মোটরকার ও জিপে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। অটোরিকশার প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারে ১৮ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। মোটরসাইকেলের প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ১ টাকা। মোটরসাইকেলের আগে প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়া ছিল ৮৫ টাকা।
রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর কমিশনের হারও কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিআরটিএ। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা ভাড়ার সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ কমিশন নিতে পারবে। আগে এই হার ছিল ৩০ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাইড শেয়ারিংয়ের নানা বিষয়ে একটি আবেদন করেছিলেন রাইডরা। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পরে এটা নিয়ে আমাদের একটি কমিটি হয়েছিল। ওই কমিটি রাইডশেয়ারিংয়ের নানা বিষয় পর্যালোচনা করেছে।’
বিআরটিএ সূত্র জানায়, রাইডশেয়ারিং সেবার প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী যাত্রী বা চালক কেউ ট্রিপ বাতিল করলে নির্দিষ্ট সময়ের পর বাতিল চার্জ প্রযোজ্য হবে। যাত্রী অনুরোধ পাঠানোর পর চালক গ্রহণ করে যাত্রীর অভিমুখে রওনা হওয়ার পর ৩ মিনিটের মধ্যে ট্রিপ বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। তবে ওই সময়ের পর বাতিল করলে সম্ভাব্য ভাড়ার ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৩০ টাকা (যেটি কম) ক্যানসেলেশন চার্জ হিসেবে নেওয়া হবে, যা চালক ও রাইডশেয়ারিং কোম্পানি সমানভাবে ভাগ করবে।
চালকও অনুরোধ গ্রহণের পর ৩ মিনিটের মধ্যে বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। কিন্তু এর পর বাতিল করলে তাঁর কাছ থেকেও একই হারে চার্জ কাটা হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাইড শেয়ারিংয়ে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ ও কমিশন কমানো যাত্রীদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে। তবে বাস্তবায়ন ও তদারকি নিশ্চিত করাই মূল চ্যালেঞ্জ। এসব নিয়ম শুধু কাগজে নয়, বাস্তবেও কার্যকর করতে হবে।

মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় থাকা একজনসহ ৯ জন র্যাব সদস্য এ বছর নেদারল্যান্ডস ও পোল্যান্ডের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
০৯ ডিসেম্বর ২০২২
সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের
৫ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
৯ ঘণ্টা আগে