Ajker Patrika

আনার অপহরণ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার নতুন তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। ফাইল ছবি
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। ফাইল ছবি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা অপহরণ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর ধার্য করা হয়েছে।

আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান এই নতুন তারিখ ধার্য করেন।

আজ এই অপহরণ মামলার প্রতিবেদন দাখিল করার কথা ছিল। তদন্ত সংস্থা ডিবি পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় আদালত এই তারিখ ধার্য করেন।

আনোয়ারুল আজীম আনার ভারতে খুন হওয়ার ঘটনায় গত বছরের ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি করেন তাঁর মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বছরের ৯ মে রাত ৮টার দিকে তাঁর বাবা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর সংসদ সদস্য ভবনের বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দেন। এরপর ১১ মে ৪টা ৪৫ মিনিটে মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তা কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর তাঁর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তা বন্ধ পান।

আনারের ভারতীয় নম্বর থেকে ১৩ মে হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে। মেসেজে লেখা ছিল—‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি। আমার সঙ্গে ভিআইপি আছে। আমি অমিত শাহের কাছে যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নেই। পরে ফোন দেব।’ এ ছাড়া আরও কয়েকটি মেসেজ আসে। মেসেজগুলো মুমতারিনের বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।

এজাহারে আরও বলা হয়, বাদীর বাবা ভারতে খুন হয়েছেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। তবে এখনো বাবার লাশ পায়নি তাঁর পরিবার। তাঁর বাবাকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১২ মে দর্শনা-গেদে সীমান্ত দিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান আনার। বরাহনগরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। কিন্তু ১৬ মে থেকে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে না পারায় নিখোঁজ জানিয়ে ১৮ মে বরাহনগর থানায় জিডি করেন গোপাল বিশ্বাস। এরপর ২২ মে আনার খুন হওয়ার খবর আসে।

শেরেবাংলা নগর থানায় তাঁর মেয়ের করা অপহরণ মামলায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া, সিলিস্তি রহমান, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু, মোস্তাফিজুর রহমান ও ফয়সাল আলী।

তাঁদের মধ্যে মিন্টু ছাড়া বাকি ছয়জন দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামিরা বর্তমানে কারাগারে আছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শাহজালালে তৃতীয় টার্মিনাল চালুতে বাধা, রাজস্ব ভাগাভাগি নিয়ে টানাপোড়েন

বৈপ্লবিক পরিবর্তন করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে

ব্যাংকের চাকরি যায় জাল সনদে, একই নথি দিয়ে বাগালেন স্কুল সভাপতির পদ

ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ নিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছে এবি ব্যাংক

‘বউ আমাকে মিথ্যা ভালোবাসত, টাকা না থাকলে ছেড়ে যাবে, তাই মরে গেলাম’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত