সুমন্ত গুপ্ত
প্রাচীনকালের সমৃদ্ধ নগর সুবর্ণ গ্রাম। এখন যেটি সোনারগাঁ নামে বেশি পরিচিত। বড় নগর, খাস নগর, পানাম নগর—প্রাচীন সোনারগাঁর এই তিন নগরের মধ্যে পানাম ছিল সবচেয়ে আকর্ষণীয়। ঈসা খাঁ সেখানেই করেছিলেন বাংলার রাজধানী। এখানে কয়েক শতাব্দী পুরোনো অনেক ভবন রয়েছে, যেগুলো বাংলার বারোভূঁইয়াদের ইতিহাসের সঙ্গে সম্পর্কিত।
পূর্বে মেঘনা আর পশ্চিমে শীতলক্ষ্যা, মাঝখানে পানাম নগর। ফলে এটি একসময় ভীষণ ব্যস্ত নদীবন্দর ছিল। বিপুল ব্যবসা হতো বলে এই এলাকা ছিল সমৃদ্ধ। এখানে নদীপথে বিলেত থেকে আসত থানকাপড়, দেশ থেকে যেত মসলিন। ইংরেজরাও এখানে নীলের বাণিজ্যকেন্দ্র খুলে বসে। প্রাচীন সেই নগরে এখন তেমন কিছু অবশিষ্ট নেই। আছে শুধু ঘুরে দেখার মতো ঐতিহাসিক বাড়িঘর।
শেষ পর্যন্ত অনেক চেষ্টার পর আমরা রওনা দিলাম সেই ঐতিহাসিক পানাম নগরের দিকে। আমাদের গাড়ি চলছে নিজস্ব ছন্দে। বারবার জানালা দিয়ে বাইরে তাকাচ্ছি। ঘণ্টা পার হলো, অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হচ্ছে না। আরও কিছুক্ষণ পর অবশেষে মোগরাপাড়ায় এসে থামলাম। সেখান থেকে স্বল্প সময়ে পৌঁছে গেলাম পানাম সিটিতে।
গাড়ি থেকে নেমে আমাদের চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল। মনে হলো, ভুল কোনো শতাব্দীতে ঢুকে পড়েছি। শুধু একটি দালান হলেও কথা ছিল। কিন্তু এ যেন চোখের সামনে পনোরা শতকের এক হারানো রাজ্য, চার শ বছরের পুরোনো পানাম নগর! আমরা এগিয়ে যেতে থাকলাম। পানাম নগরে ঢোকার মুখে কথা হলো কর্তব্যরত আনসার সদস্যের সঙ্গে। তিনি জানালেন, এই নগরের পুরোটাই খালবেষ্টিত। সেই খালের নাম পঙ্খীরাজ। খালটি পূর্ব দিকে মেনিখালী নদী হয়ে মেঘনায় এসে মিশেছে। ছিল বিশাল সুরক্ষিত গেট, যা সন্ধ্যা হলেই বন্ধ হয়ে যেত। এখনো সন্ধ্যার আগপর্যন্ত এই পুরোনো নগর দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। আমরা পদব্রজে এগিয়ে যেতে থাকলাম।
পানাম নগরে ঢুকেই চোখে পড়ল একটি সরু রাস্তার ধারে সারি সারি পুরোনো দালান। কোনোটা দোতলা, কোনোটা আবার একতলা। আমরা ভেতরে প্রবেশ করার একটু পরেই শুরু হলো মুষলধারে বর্ষণ। কোনো উপায় না পেয়ে একটি পুরোনো ভবনের নিচে অবস্থান নিলাম। এই ঝুম বৃষ্টির মধ্যে সবাই ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। বৃষ্টিস্নাত ভবনগুলো দেখতে আরও সুন্দর লাগছিল।
বৃষ্টি থামলে হাঁটতে থাকলাম সামনের দিকে। বাড়িগুলোর স্থাপত্য নিদর্শন দেখে বোঝা যায়, এখানে বণিক শ্রেণির লোকেরা বসবাস করতেন। বাড়িগুলোতে মোগল ও গ্রিক স্থাপত্যশৈলীর মিশ্রণ দেখা যায় এবং প্রতিটি বাড়ির কারুকাজ স্বতন্ত্র। কারুকাজ, রঙের ব্যবহার ও নির্মাণকাজের দিক থেকে নতুন নতুন উদ্ভাবনী কৌশলের প্রমাণ পাওয়া যায় এখানে। প্রায় প্রতিটি বাড়ি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ঢালাই লোহার তৈরি ব্রাকেট। জানালা হলো লোহার গ্রিলের এবং ঘরে বায়ু চলাচলের জন্য রয়েছে ভেন্টিলেটর। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, বাড়িগুলোতে কাস্ট আয়রনের নিখুঁত কাজ রয়েছে এবং ইউরোপে ব্যবহৃত কাস্ট আয়রনের কাজের সঙ্গে এর অনেক মিল। এ ছাড়া মেঝেতে লাল, সাদা ও কালো মোজাইকের কারুকাজ বিদ্যমান। নগরের ভেতরে আবাসিক ভবন ছাড়াও রয়েছে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, মঠ, গোসলখানা, নাচঘর, পান্থশালা, চিত্রশালা, খাজাঞ্চিখানা, দরবারকক্ষ, গুপ্তপথ, বিচারালয় এবং পুরোনো জাদুঘর।
ব্যবসায়ী আর জমিদারদের বসবাসের এই নগরের প্রতিটি দালান অপূর্ব কারুকার্যমণ্ডিত।
খুব খেয়াল করে দেখলাম, পানাম নগরকে চিরে দুই ভাগ করে চলে যাওয়া ৫ মিটার প্রশস্ত এবং ৬০০ মিটার দীর্ঘ একটি সড়কের দুই পাশে একতলা, দোতলা ও তিনতলা মিলিয়ে রয়েছে প্রায় ৫২টি ভবন। সড়কের উত্তর পাশে আছে ৩১টি এবং দক্ষিণ পাশে আছে ২১টি ভবন। ওয়ার্ল্ড মনুমেন্ট ফান্ড ২০০৬ সালে পানাম নগরকে বিশ্বের ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রায় ১০০টি ঐতিহাসিক স্থাপনার তালিকায় স্থান দেয়। পদব্রজে রাস্তার দুই ধারের বাড়িগুলো দেখে
সন্তুষ্ট থাকতে চাইলাম না আমরা। স্থাপত্যগুলোর পেছন দিকটায় গিয়ে দেখি, চমৎকার বাতাসে জলাশয়ের ওপারে ফুল গাছগুলো মোহনীয় রূপ ধারণ করেছে। পরগাছায় ছেয়ে থাকা দেয়াল ও সিঁড়িতেও যেন আশ্চর্য সৌন্দর্য ঠিকরে পড়ছিল। প্রাচীনত্ব, এ যেন মায়ারই অন্য রূপ। এ রকম জায়গায় এলে মনটা যেন কেমন করে ওঠে। বাড়িগুলোর নির্মাণকাজ দেখলে আপনা থেকে এগুলোর কারিগরদের প্রতি শ্রদ্ধা জাগে। এত নিখুঁত, এত সুন্দর কারুকাজ!
খুব জানতে ইচ্ছা করে, এই প্রাচীন নগরের মানুষেরা কীভাবে জীবন যাপন করতেন। জানতে ইচ্ছা করে, পানাম নগরের এত বাড়িতে বসবাসরত মানুষ একসঙ্গে কোথায় চলে গেল? সেটা হয়তো আর কখনোই জানা যাবে না। আফসোস থেকে যাবে দিনের পর দিন, শতাব্দীর পর শতাব্দী।
কীভাবে যাবেন
ঢাকার গুলিস্তান থেকে দোয়েল, বোরাক আর স্বদেশ পরিবহনে যাওয়া যায় সোনারগাঁ। বাসভেদে ভাড়া পড়বে ২৫-৪৫ টাকা। নামবেন সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া বাসস্ট্যান্ডে। ওখান থেকে রিকশায়, ভাড়া ১৫-২০ টাকা।
প্রাচীনকালের সমৃদ্ধ নগর সুবর্ণ গ্রাম। এখন যেটি সোনারগাঁ নামে বেশি পরিচিত। বড় নগর, খাস নগর, পানাম নগর—প্রাচীন সোনারগাঁর এই তিন নগরের মধ্যে পানাম ছিল সবচেয়ে আকর্ষণীয়। ঈসা খাঁ সেখানেই করেছিলেন বাংলার রাজধানী। এখানে কয়েক শতাব্দী পুরোনো অনেক ভবন রয়েছে, যেগুলো বাংলার বারোভূঁইয়াদের ইতিহাসের সঙ্গে সম্পর্কিত।
পূর্বে মেঘনা আর পশ্চিমে শীতলক্ষ্যা, মাঝখানে পানাম নগর। ফলে এটি একসময় ভীষণ ব্যস্ত নদীবন্দর ছিল। বিপুল ব্যবসা হতো বলে এই এলাকা ছিল সমৃদ্ধ। এখানে নদীপথে বিলেত থেকে আসত থানকাপড়, দেশ থেকে যেত মসলিন। ইংরেজরাও এখানে নীলের বাণিজ্যকেন্দ্র খুলে বসে। প্রাচীন সেই নগরে এখন তেমন কিছু অবশিষ্ট নেই। আছে শুধু ঘুরে দেখার মতো ঐতিহাসিক বাড়িঘর।
শেষ পর্যন্ত অনেক চেষ্টার পর আমরা রওনা দিলাম সেই ঐতিহাসিক পানাম নগরের দিকে। আমাদের গাড়ি চলছে নিজস্ব ছন্দে। বারবার জানালা দিয়ে বাইরে তাকাচ্ছি। ঘণ্টা পার হলো, অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হচ্ছে না। আরও কিছুক্ষণ পর অবশেষে মোগরাপাড়ায় এসে থামলাম। সেখান থেকে স্বল্প সময়ে পৌঁছে গেলাম পানাম সিটিতে।
গাড়ি থেকে নেমে আমাদের চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল। মনে হলো, ভুল কোনো শতাব্দীতে ঢুকে পড়েছি। শুধু একটি দালান হলেও কথা ছিল। কিন্তু এ যেন চোখের সামনে পনোরা শতকের এক হারানো রাজ্য, চার শ বছরের পুরোনো পানাম নগর! আমরা এগিয়ে যেতে থাকলাম। পানাম নগরে ঢোকার মুখে কথা হলো কর্তব্যরত আনসার সদস্যের সঙ্গে। তিনি জানালেন, এই নগরের পুরোটাই খালবেষ্টিত। সেই খালের নাম পঙ্খীরাজ। খালটি পূর্ব দিকে মেনিখালী নদী হয়ে মেঘনায় এসে মিশেছে। ছিল বিশাল সুরক্ষিত গেট, যা সন্ধ্যা হলেই বন্ধ হয়ে যেত। এখনো সন্ধ্যার আগপর্যন্ত এই পুরোনো নগর দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। আমরা পদব্রজে এগিয়ে যেতে থাকলাম।
পানাম নগরে ঢুকেই চোখে পড়ল একটি সরু রাস্তার ধারে সারি সারি পুরোনো দালান। কোনোটা দোতলা, কোনোটা আবার একতলা। আমরা ভেতরে প্রবেশ করার একটু পরেই শুরু হলো মুষলধারে বর্ষণ। কোনো উপায় না পেয়ে একটি পুরোনো ভবনের নিচে অবস্থান নিলাম। এই ঝুম বৃষ্টির মধ্যে সবাই ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। বৃষ্টিস্নাত ভবনগুলো দেখতে আরও সুন্দর লাগছিল।
বৃষ্টি থামলে হাঁটতে থাকলাম সামনের দিকে। বাড়িগুলোর স্থাপত্য নিদর্শন দেখে বোঝা যায়, এখানে বণিক শ্রেণির লোকেরা বসবাস করতেন। বাড়িগুলোতে মোগল ও গ্রিক স্থাপত্যশৈলীর মিশ্রণ দেখা যায় এবং প্রতিটি বাড়ির কারুকাজ স্বতন্ত্র। কারুকাজ, রঙের ব্যবহার ও নির্মাণকাজের দিক থেকে নতুন নতুন উদ্ভাবনী কৌশলের প্রমাণ পাওয়া যায় এখানে। প্রায় প্রতিটি বাড়ি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ঢালাই লোহার তৈরি ব্রাকেট। জানালা হলো লোহার গ্রিলের এবং ঘরে বায়ু চলাচলের জন্য রয়েছে ভেন্টিলেটর। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, বাড়িগুলোতে কাস্ট আয়রনের নিখুঁত কাজ রয়েছে এবং ইউরোপে ব্যবহৃত কাস্ট আয়রনের কাজের সঙ্গে এর অনেক মিল। এ ছাড়া মেঝেতে লাল, সাদা ও কালো মোজাইকের কারুকাজ বিদ্যমান। নগরের ভেতরে আবাসিক ভবন ছাড়াও রয়েছে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, মঠ, গোসলখানা, নাচঘর, পান্থশালা, চিত্রশালা, খাজাঞ্চিখানা, দরবারকক্ষ, গুপ্তপথ, বিচারালয় এবং পুরোনো জাদুঘর।
ব্যবসায়ী আর জমিদারদের বসবাসের এই নগরের প্রতিটি দালান অপূর্ব কারুকার্যমণ্ডিত।
খুব খেয়াল করে দেখলাম, পানাম নগরকে চিরে দুই ভাগ করে চলে যাওয়া ৫ মিটার প্রশস্ত এবং ৬০০ মিটার দীর্ঘ একটি সড়কের দুই পাশে একতলা, দোতলা ও তিনতলা মিলিয়ে রয়েছে প্রায় ৫২টি ভবন। সড়কের উত্তর পাশে আছে ৩১টি এবং দক্ষিণ পাশে আছে ২১টি ভবন। ওয়ার্ল্ড মনুমেন্ট ফান্ড ২০০৬ সালে পানাম নগরকে বিশ্বের ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রায় ১০০টি ঐতিহাসিক স্থাপনার তালিকায় স্থান দেয়। পদব্রজে রাস্তার দুই ধারের বাড়িগুলো দেখে
সন্তুষ্ট থাকতে চাইলাম না আমরা। স্থাপত্যগুলোর পেছন দিকটায় গিয়ে দেখি, চমৎকার বাতাসে জলাশয়ের ওপারে ফুল গাছগুলো মোহনীয় রূপ ধারণ করেছে। পরগাছায় ছেয়ে থাকা দেয়াল ও সিঁড়িতেও যেন আশ্চর্য সৌন্দর্য ঠিকরে পড়ছিল। প্রাচীনত্ব, এ যেন মায়ারই অন্য রূপ। এ রকম জায়গায় এলে মনটা যেন কেমন করে ওঠে। বাড়িগুলোর নির্মাণকাজ দেখলে আপনা থেকে এগুলোর কারিগরদের প্রতি শ্রদ্ধা জাগে। এত নিখুঁত, এত সুন্দর কারুকাজ!
খুব জানতে ইচ্ছা করে, এই প্রাচীন নগরের মানুষেরা কীভাবে জীবন যাপন করতেন। জানতে ইচ্ছা করে, পানাম নগরের এত বাড়িতে বসবাসরত মানুষ একসঙ্গে কোথায় চলে গেল? সেটা হয়তো আর কখনোই জানা যাবে না। আফসোস থেকে যাবে দিনের পর দিন, শতাব্দীর পর শতাব্দী।
কীভাবে যাবেন
ঢাকার গুলিস্তান থেকে দোয়েল, বোরাক আর স্বদেশ পরিবহনে যাওয়া যায় সোনারগাঁ। বাসভেদে ভাড়া পড়বে ২৫-৪৫ টাকা। নামবেন সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া বাসস্ট্যান্ডে। ওখান থেকে রিকশায়, ভাড়া ১৫-২০ টাকা।
রোড ট্রিপের জন্য গাড়িতে ভ্রমণ নিঃসন্দেহে এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। কিন্তু এই আনন্দ মাঝেমধ্যে কিছুটা মানসিক চাপের কারণ হতে পারে, বিশেষ করে যখন চালকেরা অযথা হর্ন বাজান কিংবা ঘন ঘন হেডলাইট জ্বালান আর বন্ধ করেন। বিশ্বে এমন কিছু দেশ রয়েছে, যেগুলোতে ‘বন্ধুসুলভ চালক’ পাওয়া যায়।
৭ ঘণ্টা আগেফিটনেসের ব্যাপারে যিনি কোনো আপস করেন না, তিনি শিল্পা শেঠি। ৫০ বছর বয়সী বলিউড তারকা শিল্পা শেঠি শুধু রুপালি পর্দাতেই নয়, ফিটনেস ও যোগব্যায়ামের জগতেও ব্যাপকভাবে পরিচিত। তাঁর নিয়মিত যোগচর্চা ও ফিটনেস টিপস বহু মানুষকে...
১০ ঘণ্টা আগেভ্রমণের জন্য বিখ্যাত থাইল্যান্ড। আর স্ট্রিট ফুডের জন্য জনপ্রিয় দেশটির রাজধানী ব্যাংকক। শহরটির রাস্তা থেকে গলি—খাবারের ঘ্রাণ আর রং মানুষকে বিমোহিত করে রাখে। এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও জীবনধারার অংশ। তবে এই অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। তাহলে ভ্রমণের পুরো আমেজ পেতে পারেন।
১১ ঘণ্টা আগেএভারেস্ট জয়ের স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল মাত্র ১৭ বছরের বিয়ানকা অ্যাডলার। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানোর মাত্র ৪০০ মিটার বাকি থাকতে পিছু হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এভারেস্ট জয় করতে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা যেমন জরুরি, তেমনি প্রয়োজন মানসিক শক্তি ধরে রাখা।
১২ ঘণ্টা আগে