ফিচার ডেস্ক
এভারেস্ট জয়ের স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল মাত্র ১৭ বছরের বিয়ানকা অ্যাডলার। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানোর মাত্র ৪০০ মিটার বাকি থাকতে পিছু হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।এভারেস্ট জয় করতে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা যেমন জরুরি, তেমনি প্রয়োজন মানসিক শক্তি ধরে রাখা। দীর্ঘদিনের চর্চা, অক্সিজেনের ঘাটতিতে মানিয়ে নেওয়া আর তীব্র ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করে এভারেস্টের পুরো পথ পাড়ি দিতে হয়। এর চূড়ায় পৌঁছাতে না পারলেও বিয়ানকা এরই মধ্যে বেশ পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন। সম্প্রতি এভারেস্টে নিজের অভিজ্ঞতা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করার পর তা অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
বাবা-মেয়ের এভারেস্ট অভিযান
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন থেকে আসা বিয়ানকা অ্যাডলার গত মে মাসে বাবা পল অ্যাডলারকে সঙ্গে নিয়ে নেপালের কাঠমান্ডুতে পৌঁছান। ৫ হাজার ৩৬৪ মিটার উঁচু বেসক্যাম্প থেকে শুরু হয় তাঁদের যাত্রা। ধাপে ধাপে ক্যাম্প ১, ক্যাম্প ২, ক্যাম্প ৩ পার হয়ে তাঁরা পৌঁছে যান ক্যাম্প ৪-এ। এর ওপরে ৮ হাজার মিটারের বেশি উচ্চতাকে বলা হয় ‘ডেথ জোন’। পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে সেখানে থাকা বিপজ্জনক।
মৃত্যুযাত্রা থেকে ফিরে আসা
চলতি বছরের ২২ মে ভোরে চূড়ায় ওঠার চেষ্টা করেন বিয়ানকা। কিন্তু প্রবল বাতাস আর তুষারঝড়ে এগোনো অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফ্রস্টবাইটের লক্ষণ দেখা দেয়। এতে ঠান্ডায় হাত-পা জমে আসে তাঁর। অক্সিজেন মাস্ক ছাড়া শ্বাস নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। এসব প্রতিবন্ধকতার কারণে চূড়ার মাত্র ৪০০ মিটার দূরে থেকে ফিরতে হয় তাঁকে। পরদিন ২৩ মে আবারও চূড়ার পথে যাত্রা করেন তিনি। কিন্তু টানা ১০ ঘণ্টা লড়াইয়ের পর শরীর আর সাড়া দেয়নি। শ্বাসকষ্ট, শুকনো কাশি ও প্রচণ্ড দুর্বলতায় হাঁপিয়ে ওঠেন। প্রায় চার দিন ও তিন রাত কাটাতে হয় ডেথ জোনে। অবশেষে বাবা-মেয়ে নেমে আসেন ক্যাম্প ২-এ। সেখানেই ধরা পড়ে ফুসফুসের সমস্যা ও পানিশূন্যতা।
জয়ের চেয়ে জীবন বড়
৩০ মে নেপাল ছেড়ে মেলবোর্নে ফেরেন বিয়ানকা ও তাঁর বাবা। এভারেস্টের চূড়ায় ওঠা হয়নি বলে মন খারাপ হয়নি তাঁর। বিয়ানকা বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে আমি সব সময় বেঁচে থাকাকে গুরুত্ব দেব। বেঁচে থাকলে এমন চেষ্টা আমি আরও করতে পারব।’ অভিজ্ঞ পর্বতারোহীরা তাঁর এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। অনেকের মতে, এত অল্প বয়সে ভয়ংকর পরিস্থিতিতে বেঁচে ফেরাটাই বড় বিজয়।
কিশোর বয়সে রেকর্ড
এর আগে বিয়ানকা অ্যাডলার সবচেয়ে কম বয়সী নারী হিসেবে জয় করেছেন হিমালয়ের মানাসলু ও আমা দাবলম পর্বত। গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর, মাত্র ১৬ বছর বয়সে মানাসলু জয় করে তিনি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখান। একই বছরের অক্টোবরে জয় করেন আমা দাবলম, যেখানে ছয় মাস আগে হাঁটুতে ব্যথা পাওয়ায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।
এভারেস্টের চূড়ার একেবারে কাছ থেকে ফিরে আসার এই সিদ্ধান্ত বিয়ানকার বিচক্ষণতার প্রকাশ বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ পর্বতারোহীরা।
সূত্র: দ্য মিরর
এভারেস্ট জয়ের স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল মাত্র ১৭ বছরের বিয়ানকা অ্যাডলার। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানোর মাত্র ৪০০ মিটার বাকি থাকতে পিছু হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।এভারেস্ট জয় করতে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা যেমন জরুরি, তেমনি প্রয়োজন মানসিক শক্তি ধরে রাখা। দীর্ঘদিনের চর্চা, অক্সিজেনের ঘাটতিতে মানিয়ে নেওয়া আর তীব্র ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করে এভারেস্টের পুরো পথ পাড়ি দিতে হয়। এর চূড়ায় পৌঁছাতে না পারলেও বিয়ানকা এরই মধ্যে বেশ পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন। সম্প্রতি এভারেস্টে নিজের অভিজ্ঞতা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করার পর তা অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
বাবা-মেয়ের এভারেস্ট অভিযান
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন থেকে আসা বিয়ানকা অ্যাডলার গত মে মাসে বাবা পল অ্যাডলারকে সঙ্গে নিয়ে নেপালের কাঠমান্ডুতে পৌঁছান। ৫ হাজার ৩৬৪ মিটার উঁচু বেসক্যাম্প থেকে শুরু হয় তাঁদের যাত্রা। ধাপে ধাপে ক্যাম্প ১, ক্যাম্প ২, ক্যাম্প ৩ পার হয়ে তাঁরা পৌঁছে যান ক্যাম্প ৪-এ। এর ওপরে ৮ হাজার মিটারের বেশি উচ্চতাকে বলা হয় ‘ডেথ জোন’। পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে সেখানে থাকা বিপজ্জনক।
মৃত্যুযাত্রা থেকে ফিরে আসা
চলতি বছরের ২২ মে ভোরে চূড়ায় ওঠার চেষ্টা করেন বিয়ানকা। কিন্তু প্রবল বাতাস আর তুষারঝড়ে এগোনো অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফ্রস্টবাইটের লক্ষণ দেখা দেয়। এতে ঠান্ডায় হাত-পা জমে আসে তাঁর। অক্সিজেন মাস্ক ছাড়া শ্বাস নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। এসব প্রতিবন্ধকতার কারণে চূড়ার মাত্র ৪০০ মিটার দূরে থেকে ফিরতে হয় তাঁকে। পরদিন ২৩ মে আবারও চূড়ার পথে যাত্রা করেন তিনি। কিন্তু টানা ১০ ঘণ্টা লড়াইয়ের পর শরীর আর সাড়া দেয়নি। শ্বাসকষ্ট, শুকনো কাশি ও প্রচণ্ড দুর্বলতায় হাঁপিয়ে ওঠেন। প্রায় চার দিন ও তিন রাত কাটাতে হয় ডেথ জোনে। অবশেষে বাবা-মেয়ে নেমে আসেন ক্যাম্প ২-এ। সেখানেই ধরা পড়ে ফুসফুসের সমস্যা ও পানিশূন্যতা।
জয়ের চেয়ে জীবন বড়
৩০ মে নেপাল ছেড়ে মেলবোর্নে ফেরেন বিয়ানকা ও তাঁর বাবা। এভারেস্টের চূড়ায় ওঠা হয়নি বলে মন খারাপ হয়নি তাঁর। বিয়ানকা বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে আমি সব সময় বেঁচে থাকাকে গুরুত্ব দেব। বেঁচে থাকলে এমন চেষ্টা আমি আরও করতে পারব।’ অভিজ্ঞ পর্বতারোহীরা তাঁর এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। অনেকের মতে, এত অল্প বয়সে ভয়ংকর পরিস্থিতিতে বেঁচে ফেরাটাই বড় বিজয়।
কিশোর বয়সে রেকর্ড
এর আগে বিয়ানকা অ্যাডলার সবচেয়ে কম বয়সী নারী হিসেবে জয় করেছেন হিমালয়ের মানাসলু ও আমা দাবলম পর্বত। গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর, মাত্র ১৬ বছর বয়সে মানাসলু জয় করে তিনি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখান। একই বছরের অক্টোবরে জয় করেন আমা দাবলম, যেখানে ছয় মাস আগে হাঁটুতে ব্যথা পাওয়ায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।
এভারেস্টের চূড়ার একেবারে কাছ থেকে ফিরে আসার এই সিদ্ধান্ত বিয়ানকার বিচক্ষণতার প্রকাশ বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ পর্বতারোহীরা।
সূত্র: দ্য মিরর
রোড ট্রিপের জন্য গাড়িতে ভ্রমণ নিঃসন্দেহে এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। কিন্তু এই আনন্দ মাঝেমধ্যে কিছুটা মানসিক চাপের কারণ হতে পারে, বিশেষ করে যখন চালকেরা অযথা হর্ন বাজান কিংবা ঘন ঘন হেডলাইট জ্বালান আর বন্ধ করেন। বিশ্বে এমন কিছু দেশ রয়েছে, যেগুলোতে ‘বন্ধুসুলভ চালক’ পাওয়া যায়।
৭ ঘণ্টা আগেফিটনেসের ব্যাপারে যিনি কোনো আপস করেন না, তিনি শিল্পা শেঠি। ৫০ বছর বয়সী বলিউড তারকা শিল্পা শেঠি শুধু রুপালি পর্দাতেই নয়, ফিটনেস ও যোগব্যায়ামের জগতেও ব্যাপকভাবে পরিচিত। তাঁর নিয়মিত যোগচর্চা ও ফিটনেস টিপস বহু মানুষকে...
১০ ঘণ্টা আগেপ্রাচীনকালের সমৃদ্ধ নগর সুবর্ণ গ্রাম। এখন যেটি সোনারগাঁ নামে বেশি পরিচিত। বড় নগর, খাস নগর, পানাম নগর—প্রাচীন সোনারগাঁর এই তিন নগরের মধ্যে পানাম ছিল সবচেয়ে আকর্ষণীয়। ঈসা খাঁ সেখানেই করেছিলেন বাংলার রাজধানী। এখানে কয়েক শতাব্দী পুরোনো অনেক ভবন রয়েছে, যেগুলো বাংলার বারোভূঁইয়াদের ইতিহাসের সঙ্গে সম্পর্কিত
১০ ঘণ্টা আগেভ্রমণের জন্য বিখ্যাত থাইল্যান্ড। আর স্ট্রিট ফুডের জন্য জনপ্রিয় দেশটির রাজধানী ব্যাংকক। শহরটির রাস্তা থেকে গলি—খাবারের ঘ্রাণ আর রং মানুষকে বিমোহিত করে রাখে। এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও জীবনধারার অংশ। তবে এই অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। তাহলে ভ্রমণের পুরো আমেজ পেতে পারেন।
১১ ঘণ্টা আগে