মুহাম্মদ জাভেদ হাকিম
‘সাতলা’ নামের মাঝেই লুকিয়ে আছে এক অন্যরকম আদিমতা। আধুনিকতার আড়ালে আজ অনেক বুনো সৌন্দর্যই বিলীন। তবে নয়াকান্দী গ্রামটা এখনো তার ব্যতিক্রম। হ্যাঁ বলছি, বরিশাল জেলার উজিরপুরের নয়াকান্দী গ্রামের সাতলা বিলের কথা।
অনেক বছর ধরে যাই-যাই করেও যাওয়া হয়নি। এবার সুযোগ মিলে যায়। দে-ছুট ভ্রমণ সংঘের চার বন্ধু মিলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। দুই দিনের সফর। প্রথম দিনটি বরিশালে থাকা ভাগনির জন্য বরাদ্দ। পরের দিন ঘোরাফেরা। এই পরিকল্পনা মাথায় নিয়ে বুধবার রাতে একজনকে সঙ্গী করে জাহাজে উঠে পড়ি। বৃহস্পতিবার যাবে বাকি দুজন। আমি বুড়িগঙ্গা পারের মানুষ হলেও জাহাজে ভ্রমণ করেছি খুবই কম। তাই নদীপথে ভ্রমণ আমাকে বাড়তি আনন্দ দেয়।
রাত ৯টায় সদরঘাট থেকে জাহাজ ছাড়ে। সব ঠিকঠাক থাকলে বরিশাল ঘাটে পৌঁছাবে ভোর ৪টায়। এই দীর্ঘ সময় ফেসবুকিং, গল্প-গুজব আর ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিলাম। জাহাজ সময়মতো ঘাটে পৌঁছাল। কিন্তু আমরা কেবিন ছাড়লাম না। টাকা দিয়েই যখন কেবিন ভাড়া নিয়েছি, ঘুমটা না পুষিয়ে যাই কীভাবে! সকাল ৭টায় ঘুম থেকে উঠে, বাড়িঘরের মতো আয়েশি ঢংয়ে সাফসুতরা হই। ঘাট থেকে অটোতে উঠে চলে যাই শহরের এক নম্বর পুলঘাটে ভগ্নিপতির বাসায়। বৃহস্পতিবার পুরো দিন ওদের সঙ্গে আড্ডা, নাশতা, বিশ্রাম, ভোজন। অতঃপর বিকেলে ভাগনিকে নিয়ে বরিশাল শহরের প্ল্যানেট পার্কে ঘোরাঘুরি। রাতের লঞ্চে টিমের বাকি সদস্যরা আসবে।
সাতলা বিলের ফুটন্ত লাল শাপলা দেখতে হলে যতটা সম্ভব ভোরে পৌঁছাতে হবে উজিরপুর। তাই সেলফোনে তাদের বারংবার বলতে হচ্ছে, যেন এক মিনিট সময়ও নষ্ট না হয়। বরিশালবাসীর জনপ্রিয় বাহন মাহিন্দ্রার চালক গিয়াসকেও সেভাবেই বলা হলো। আমিও আজ বেশি রাত না জেগে মোবাইল ফোনে অ্যালার্ম দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। ভ্রমণসঙ্গী ইউশা দুই প্রান্তের ঘুমকাতুরে মানুষগুলোকে সময়মতো জাগিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে। বেচারা সেই টানটান উত্তেজনায় সারা রাত আর ঘুমায়নি।
ঘুম ভাঙে নিজ থেকেই। জিজ্ঞাসা করি, ওরা কোন পর্যন্ত এসেছে। ইউশা উত্তর দেয়, বস, কাছাকাছি। ঘড়ির কাঁটায় তখন ৪টা। বন্ধুদের কল করি। তারা হাসতে হাসতে জানায়, লঞ্চ চরে আটকে আছে! ইয়া খোদা, যেখানে এক মিনিটও সময় নষ্ট করা যাবে না, সেখানে কিনা তারা এখনো চরে আটকে আছে!
দ্রুত সাফসুতরা হয়ে ঘাট থেকে ড্রাইভারকে ডেকে এনে ফজরের নামাজ আদায় করে বের হতে গেলাম। বাদ সাধল বোনের জামাই। নাশতা খেতেই হবে। দেরি হলে শাপলার সৌন্দর্য পাব না বলায় বোনের জামাই বলল, ঘোড়ার ডিম! সারা দিনই শাপলা দেখা যায়। কোনোমতে তাদের বুঝিয়ে নাশতার পোঁটলা সঙ্গে নিয়েই দৌড় দিই ঘাটের দিকে। সকালের ফাঁকা রাস্তার সুযোগে প্রায় দেড় ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছাই নয়াকান্দীর কালবিলায়। সড়কের পাশেই খেয়াঘাট। গাড়ি থেকে নেমেই হুড়মুড় করে গিয়ে নৌকায় বসি।
দূর থেকেই চোখে ধরা দেয় লাল শাপলা। ছোট নৌকা এগিয়ে যায়। যতই এগোয় ততই চোখে-মুখে মুগ্ধতা ভর করে। একসময় আবিষ্কার করি, বিশাল লালের মাঝে আমি বড় একা! লাল শাপলার রাজ্যে নৌকা চলে, আমি অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রই। পুরো সাতলা বিলটিই যেন মনে হয় ফরাসি লাল মখমলে ঢাকা। এক জোড়া যুগল ছাড়া তখনো কোনো পর্যটক আসেননি। ফলে বিলের মাঝে একটা নিঝুম ভাব। মাঝেমধ্যে টুপটাপ মাছের লম্ফঝম্প।
সাতলা বিলের চারপাশ পুরোটাই নৈসর্গিক। লাল শাপলার ঔষধি গুণও বেশ। বিশাল আয়তনের এই সাতলা বিল থেকে অনেক পরিবার শাপলা তুলে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। থইথই পানির বুকে মাথা উঁচু করে থাকা, সবুজে ঘেরা বিচ্ছিন্ন বাড়িগুলো বেশ দৃষ্টিনন্দন। আর নারকেল গাছে ঝুলে থাকা থোকায় থোকায় কচি ডাব দেখেই তৃষ্ণা পেয়ে যায়।
আমাদের মাঝি মতিলাল রায় জানালেন, আগে এখানে সাদা ও বেগুনি শাপলাও ফুটত। এখন আর দেখা যায় না। তিনি প্রায় পঞ্চাশ বছর এই বিলে এ রকম হাজার হাজার শাপলা ফুটতে দেখেন। মতিলাল জানান, আগে সাতলা বিলে লোকজন খুব একটা আসত না। এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর দর্শনার্থী আসে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের আর্থিক সচ্ছলতা এসেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আনাগোনাও বাড়তে থাকল। ধীরে ধীরে ঝিম মেরে থাকা নৈঃশব্দ্য উবে গেল শাপলা দেখতে আসা পর্যটকদের কোলাহলে।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সেলফোন বেজে উঠল। আমার আটকে পড়া বন্ধুরা এসেছে ঘাটে। দ্রুত মাহিন্দ্রা নিয়ে চলে আসতে বলে গ্রামটা ঘুরে দেখতে গেলাম। বরিশাল থেকে গোপালগঞ্জ যাওয়ার জন্য কচা নদীর ওপর তৈরি সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে চোখ জুড়িয়ে ঠান্ডা হয়ে গেল! কচা নদীর চারপাশে নয়নাভিরাম দৃশ্য। এ দৃশ্য ভোলা অসম্ভব!
চরে আটকে পড়া বন্ধুরা এল আরও অনেক পরে, সোয়া ১০টার দিকে। ওদের নিয়ে আবারও সাতলা বিলের পানিতে ভাসি। ততক্ষণে শাপলা অনেকটাই গুটিয়ে গেছে। পাপড়িতে শিশির পড়া তাজা শাপলা নেই আর। সেসব নেতিয়ে পড়া শাপলা দেখেই তারা তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে শুরু করল। হঠাৎ চোখে পড়ল বিলের এক পাশটায় সাদা কী যেন ভাসছে! মাঝি জানালেন, ডেপ ফুল। নৌকা সেদিকটায় গেল। চাঁদমালা ফুলে ভরে আছে জায়গাটা। এর আঞ্চলিক না ডেপ ফুল। সত্যি বলতে, আমরা এই ফুলের নামই কখনো শুনিনি। ফুলের নাম চাঁদমালা! মালার মতোই পানিতে ভেসে আছে। চাঁদমালা ফুল দর্শন ভ্রমণে আমাদের বাড়তি আনন্দ যোগ করল।
যেভাবে যাবেন
বাস ও লঞ্চে যাওয়া যায়। প্রতিদিন রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল লঞ্চ সদরঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। লঞ্চ টার্মিনাল থেকে রিজার্ভ মাহিন্দ্রায় অথবা নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে বাসে উজিরপুর উপজেলার হারতার নয়াকান্দীতে নামতে হবে। বাসে যেতে হলে সায়েদাবাদ ও গাবতলী থেকে টিকিট কাটতে হবে।
ভাড়া
জাহাজের ডেকে জনপ্রতি ১৫০ এবং কেবিন ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে। মাহিন্দ্রা সারা দিনের জন্য ২ হাজার টাকা। নৌকা ভাড়া দরদাম করে নিতে হবে।
বিশেষ টিপস
সকাল ৮টার মধ্যে সাতলা বিলে পৌঁছতে হবে। নইলে তাজা লাল শাপলার আসল সৌন্দর্য দেখতে পারবেন না।
লেখক: চিফ অর্গানাইজার, দে-ছুট ভ্রমণ সংঘ
‘সাতলা’ নামের মাঝেই লুকিয়ে আছে এক অন্যরকম আদিমতা। আধুনিকতার আড়ালে আজ অনেক বুনো সৌন্দর্যই বিলীন। তবে নয়াকান্দী গ্রামটা এখনো তার ব্যতিক্রম। হ্যাঁ বলছি, বরিশাল জেলার উজিরপুরের নয়াকান্দী গ্রামের সাতলা বিলের কথা।
অনেক বছর ধরে যাই-যাই করেও যাওয়া হয়নি। এবার সুযোগ মিলে যায়। দে-ছুট ভ্রমণ সংঘের চার বন্ধু মিলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। দুই দিনের সফর। প্রথম দিনটি বরিশালে থাকা ভাগনির জন্য বরাদ্দ। পরের দিন ঘোরাফেরা। এই পরিকল্পনা মাথায় নিয়ে বুধবার রাতে একজনকে সঙ্গী করে জাহাজে উঠে পড়ি। বৃহস্পতিবার যাবে বাকি দুজন। আমি বুড়িগঙ্গা পারের মানুষ হলেও জাহাজে ভ্রমণ করেছি খুবই কম। তাই নদীপথে ভ্রমণ আমাকে বাড়তি আনন্দ দেয়।
রাত ৯টায় সদরঘাট থেকে জাহাজ ছাড়ে। সব ঠিকঠাক থাকলে বরিশাল ঘাটে পৌঁছাবে ভোর ৪টায়। এই দীর্ঘ সময় ফেসবুকিং, গল্প-গুজব আর ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিলাম। জাহাজ সময়মতো ঘাটে পৌঁছাল। কিন্তু আমরা কেবিন ছাড়লাম না। টাকা দিয়েই যখন কেবিন ভাড়া নিয়েছি, ঘুমটা না পুষিয়ে যাই কীভাবে! সকাল ৭টায় ঘুম থেকে উঠে, বাড়িঘরের মতো আয়েশি ঢংয়ে সাফসুতরা হই। ঘাট থেকে অটোতে উঠে চলে যাই শহরের এক নম্বর পুলঘাটে ভগ্নিপতির বাসায়। বৃহস্পতিবার পুরো দিন ওদের সঙ্গে আড্ডা, নাশতা, বিশ্রাম, ভোজন। অতঃপর বিকেলে ভাগনিকে নিয়ে বরিশাল শহরের প্ল্যানেট পার্কে ঘোরাঘুরি। রাতের লঞ্চে টিমের বাকি সদস্যরা আসবে।
সাতলা বিলের ফুটন্ত লাল শাপলা দেখতে হলে যতটা সম্ভব ভোরে পৌঁছাতে হবে উজিরপুর। তাই সেলফোনে তাদের বারংবার বলতে হচ্ছে, যেন এক মিনিট সময়ও নষ্ট না হয়। বরিশালবাসীর জনপ্রিয় বাহন মাহিন্দ্রার চালক গিয়াসকেও সেভাবেই বলা হলো। আমিও আজ বেশি রাত না জেগে মোবাইল ফোনে অ্যালার্ম দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। ভ্রমণসঙ্গী ইউশা দুই প্রান্তের ঘুমকাতুরে মানুষগুলোকে সময়মতো জাগিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে। বেচারা সেই টানটান উত্তেজনায় সারা রাত আর ঘুমায়নি।
ঘুম ভাঙে নিজ থেকেই। জিজ্ঞাসা করি, ওরা কোন পর্যন্ত এসেছে। ইউশা উত্তর দেয়, বস, কাছাকাছি। ঘড়ির কাঁটায় তখন ৪টা। বন্ধুদের কল করি। তারা হাসতে হাসতে জানায়, লঞ্চ চরে আটকে আছে! ইয়া খোদা, যেখানে এক মিনিটও সময় নষ্ট করা যাবে না, সেখানে কিনা তারা এখনো চরে আটকে আছে!
দ্রুত সাফসুতরা হয়ে ঘাট থেকে ড্রাইভারকে ডেকে এনে ফজরের নামাজ আদায় করে বের হতে গেলাম। বাদ সাধল বোনের জামাই। নাশতা খেতেই হবে। দেরি হলে শাপলার সৌন্দর্য পাব না বলায় বোনের জামাই বলল, ঘোড়ার ডিম! সারা দিনই শাপলা দেখা যায়। কোনোমতে তাদের বুঝিয়ে নাশতার পোঁটলা সঙ্গে নিয়েই দৌড় দিই ঘাটের দিকে। সকালের ফাঁকা রাস্তার সুযোগে প্রায় দেড় ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছাই নয়াকান্দীর কালবিলায়। সড়কের পাশেই খেয়াঘাট। গাড়ি থেকে নেমেই হুড়মুড় করে গিয়ে নৌকায় বসি।
দূর থেকেই চোখে ধরা দেয় লাল শাপলা। ছোট নৌকা এগিয়ে যায়। যতই এগোয় ততই চোখে-মুখে মুগ্ধতা ভর করে। একসময় আবিষ্কার করি, বিশাল লালের মাঝে আমি বড় একা! লাল শাপলার রাজ্যে নৌকা চলে, আমি অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রই। পুরো সাতলা বিলটিই যেন মনে হয় ফরাসি লাল মখমলে ঢাকা। এক জোড়া যুগল ছাড়া তখনো কোনো পর্যটক আসেননি। ফলে বিলের মাঝে একটা নিঝুম ভাব। মাঝেমধ্যে টুপটাপ মাছের লম্ফঝম্প।
সাতলা বিলের চারপাশ পুরোটাই নৈসর্গিক। লাল শাপলার ঔষধি গুণও বেশ। বিশাল আয়তনের এই সাতলা বিল থেকে অনেক পরিবার শাপলা তুলে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। থইথই পানির বুকে মাথা উঁচু করে থাকা, সবুজে ঘেরা বিচ্ছিন্ন বাড়িগুলো বেশ দৃষ্টিনন্দন। আর নারকেল গাছে ঝুলে থাকা থোকায় থোকায় কচি ডাব দেখেই তৃষ্ণা পেয়ে যায়।
আমাদের মাঝি মতিলাল রায় জানালেন, আগে এখানে সাদা ও বেগুনি শাপলাও ফুটত। এখন আর দেখা যায় না। তিনি প্রায় পঞ্চাশ বছর এই বিলে এ রকম হাজার হাজার শাপলা ফুটতে দেখেন। মতিলাল জানান, আগে সাতলা বিলে লোকজন খুব একটা আসত না। এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর দর্শনার্থী আসে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের আর্থিক সচ্ছলতা এসেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আনাগোনাও বাড়তে থাকল। ধীরে ধীরে ঝিম মেরে থাকা নৈঃশব্দ্য উবে গেল শাপলা দেখতে আসা পর্যটকদের কোলাহলে।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সেলফোন বেজে উঠল। আমার আটকে পড়া বন্ধুরা এসেছে ঘাটে। দ্রুত মাহিন্দ্রা নিয়ে চলে আসতে বলে গ্রামটা ঘুরে দেখতে গেলাম। বরিশাল থেকে গোপালগঞ্জ যাওয়ার জন্য কচা নদীর ওপর তৈরি সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে চোখ জুড়িয়ে ঠান্ডা হয়ে গেল! কচা নদীর চারপাশে নয়নাভিরাম দৃশ্য। এ দৃশ্য ভোলা অসম্ভব!
চরে আটকে পড়া বন্ধুরা এল আরও অনেক পরে, সোয়া ১০টার দিকে। ওদের নিয়ে আবারও সাতলা বিলের পানিতে ভাসি। ততক্ষণে শাপলা অনেকটাই গুটিয়ে গেছে। পাপড়িতে শিশির পড়া তাজা শাপলা নেই আর। সেসব নেতিয়ে পড়া শাপলা দেখেই তারা তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে শুরু করল। হঠাৎ চোখে পড়ল বিলের এক পাশটায় সাদা কী যেন ভাসছে! মাঝি জানালেন, ডেপ ফুল। নৌকা সেদিকটায় গেল। চাঁদমালা ফুলে ভরে আছে জায়গাটা। এর আঞ্চলিক না ডেপ ফুল। সত্যি বলতে, আমরা এই ফুলের নামই কখনো শুনিনি। ফুলের নাম চাঁদমালা! মালার মতোই পানিতে ভেসে আছে। চাঁদমালা ফুল দর্শন ভ্রমণে আমাদের বাড়তি আনন্দ যোগ করল।
যেভাবে যাবেন
বাস ও লঞ্চে যাওয়া যায়। প্রতিদিন রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল লঞ্চ সদরঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। লঞ্চ টার্মিনাল থেকে রিজার্ভ মাহিন্দ্রায় অথবা নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে বাসে উজিরপুর উপজেলার হারতার নয়াকান্দীতে নামতে হবে। বাসে যেতে হলে সায়েদাবাদ ও গাবতলী থেকে টিকিট কাটতে হবে।
ভাড়া
জাহাজের ডেকে জনপ্রতি ১৫০ এবং কেবিন ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে। মাহিন্দ্রা সারা দিনের জন্য ২ হাজার টাকা। নৌকা ভাড়া দরদাম করে নিতে হবে।
বিশেষ টিপস
সকাল ৮টার মধ্যে সাতলা বিলে পৌঁছতে হবে। নইলে তাজা লাল শাপলার আসল সৌন্দর্য দেখতে পারবেন না।
লেখক: চিফ অর্গানাইজার, দে-ছুট ভ্রমণ সংঘ
প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। আমরা অনেকেই মোবাইল ফোন বাড়িতে ফেলে এলে মনে করি, শরীরের একটা অংশ নেই! আমাদের আশপাশে তাকালেই দেখা যায়, সবাই তাদের স্ক্রিনে মুখ গুঁজে বসে আছে। বাসে কিংবা যেকোনো বাহনেও সবাই একই রকম কাজ করেই যায়। মুখ তুলে বাইরে কেউ দেখেই না আজকাল! পরিবার কিংবা বন্ধুদের আড্ডাতেও
৯ মিনিট আগেকিছু খাবার এয়ার ফ্রায়ারে রান্না করলে গন্ধ বা তেল ইত্যাদি ছড়িয়ে বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি করতে পারে। স্টেক, পপকর্ন থেকে তৈরি খাবার, পাতাযুক্ত সবজি বা বড় কেক তৈরিতে এয়ার ফ্রায়ারের সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট। এই যন্ত্রে এগুলো রান্না করতে না যাওয়াই ভালো।
১ ঘণ্টা আগেহয়তো আপনি খেয়াল করেননি। কিন্তু আপনার সঙ্গে দিনের পর দিন এসব ঘটে গেছে বলে আপনি সম্পর্কের শেষ চান। আবার আপনি ভেবেও পাচ্ছেন না, সব দোষ কেন আপনার ঘাড়েই আসছে! সম্পর্ক শেষ করার আগে একবার সচেতনভাবে খেয়াল করুন আপনার সঙ্গীটি নার্সিসিস্ট কি না।
২ ঘণ্টা আগেআজকের যে মোবাইল ফোনের ক্যামেরা, তার জন্মরহস্য ওই দ্য ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তথা নাসার গবেষণার সূত্রেই। কিংবা ধরুন বেবি ফর্মুলা বা তারবিহীন হেডফোন কিংবা ম্যাট্রেস! নাসার কোনো না কোনো গবেষণা থেকেই এগুলোর জন্ম হয়েছে। আর সেগুলোর সুবিধা ভোগ করছি আমরা।
৭ ঘণ্টা আগে