সাদা পাথর
যত দূর চোখ যায় কেবল সাদা সাদা পাথর, মাঝখানে স্বচ্ছ নীল জল আর পাহাড়ে মেঘের আলিঙ্গন। ঝরনার শীতল পানির গন্তব্য ধলাই নদ। স্বচ্ছ নীল জল আর পাহাড়ের সবুজ যেন মিলেমিশে একাকার। সাদা পাথর দেখতে যেতে হবে সিলেট শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে, কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে।
যেভাবে যাবেন
সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জ গাড়িতে। সেখান থেকে নৌকায় সাদা পাথর। এ ছাড়া সিলেটের আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সাদা পাথর যাওয়া যায় বিআরটিসিসহ অনেক পরিবহনের বাসে। সাদা পাথর থেকে নৌকা ভাড়া করতে হবে। ভাড়া ৮০০ টাকার মতো।
তুরুংছড়া
এই ছড়ার পাথরে বসে খুব কাছ থেকে মেঘালয়ের পাহাড় দেখা যায়। পানির শব্দে ঘুম আসে। সাদা পাথর শুধু নয়, আছে অগণিত কালো পাথর। উৎমাছড়া থেকে আরও এক কিলোমিটার ভেতরে গেলে তবেই পাওয়া যাবে তুরুংছড়ার সন্ধান। ছড়াটি একেবারে সীমান্তবর্তী। নির্জন এলাকা বলে এখানে ইচ্ছেমতো সময় কাটানো যায়।
যেভাবে যাবেন
উৎমা ছড়া ছাড়িয়ে আরও পৌনে এক ঘণ্টা হাঁটলে বা মোটরবাইকে আরও কম সময়ে তুরুং ছড়া দেখা যাবে। সিলেট থেকে উৎমা ছড়া পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তা একই।
রাতারগুল
জলাবন হিসেবে রাতারগুল ইতিমধ্যে পরিচিতি পেয়েছে দেশে। প্রকৃতি এখানে কতটা সুন্দর ও সবুজ, নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা দায়। এখানকার গাছপালা বছরে ৪ থেকে ৭ মাস পানির নিচে থাকে। বর্ষাকালে এই বন ২০ থেকে ৩০ ফুট পানিতে নিমজ্জিত থাকে। এখানে ৭৩ প্রজাতির উদ্ভিদের সন্ধান পাওয়া গেছে। রাতারগুল দেখার উৎকৃষ্ট সময় বর্ষাকাল। বনের ভেতর নৌকাভ্রমণ এখানকার প্রধান আকর্ষণ।
যেভাবে যাবেন
সিলেটের গোয়াইনঘাটের ফতেহপুর ইউনিয়নের গোয়াইন নদে দক্ষিণে রাতারগুল। সিলেট শহর থেকে এর দূরত্ব ২৬ কিলোমিটার। সারা দিনের জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিংবা লেগুনা ভাড়া করে যাওয়া যায় রাতারগুল। ভাড়া ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। এখান থেকেও ভোলাগঞ্জ অথবা বিছনাকান্দি ঘুরে আসা যায়। রাতারগুলে ঢোকার জন্য সরকারি ফি দিতে হয়। বনে ভ্রমণের জন্য নৌকাভাড়া ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা।
গোয়াইনঘাট যেন আলাদা অঞ্চল
জাফলং, বিছনাকান্দি, পান্থুমাই কিংবা রাংপানির মতো দর্শনীয় জায়গা—সবই গোয়াইনঘাট উপজেলায়। মনে হয়, সিলেটের নয়, এটি যেন আলাদা কোনো অঞ্চল!
এত দিন সিলেটের ব্র্যান্ডিং হয়েছে জাফলং দিয়ে। গোয়াইনঘাটের মেঘালয় সীমান্তঘেঁষা খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে রূপের পসরা সাজিয়ে আছে জাফলং। পিয়াইন নদের তীরে স্তরে স্তরে বিছানো পাথরের স্তূপ জাফলংকে করেছে আকর্ষণীয়। এখান থেকে সীমান্তের ওপারের প্রকৃতি দেখা যায় সুন্দরভাবে। এখানে যাওয়ার সময় দেখা যাবে শ্রীপুর চা-বাগান, ইকোপার্ক।
গোয়াইনঘাটের রুস্তমপুর ইউনিয়নে বিছনাকান্দি। পাথরের বিছানা হিসেবে বিখ্যাত এটি। এখানকার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে খাসিয়া পাহাড়ের অনেক ধাপ দুই পাশ থেকে এক বিন্দুতে এসে মিলেছে। পাহাড়ের খাঁজে রয়েছে ঝরনা। পাহাড়, নদী, ঝরনা, পাথর আর বৃষ্টি, এই মিলে বিছনাকান্দি।
গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের একটি গ্রাম পান্থুমাই। এটি জাফলং থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে। একই রকম পাহাড়ি ভিউ পাওয়া যাবে এ গ্রাম থেকেও।
পাহাড়-ঝরনা আর সাদা সাদা পাথরের মিতালি রাংপানিতে। এখানে যাওয়ার পথের দুই দিকে সুপারিবাগান। গোয়াইনঘাটের মোকামপুঞ্জি এলাকায় এটি। সিলেট শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৫৪ কিলোমিটার। রাংপানি নদীর পাশেই রয়েছে খাসিয়াদের গ্রাম মোকামপুঞ্জি। প্রাচীনকাল থেকে এই নদী আর পাহাড় ঘিরে তাদের বসবাস।
যেভাবে যাবেন
সিলেট শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে বিছনাকান্দি আর ৬২ কিলোমিটার দূরে জাফলং। সিলেট থেকে যেকোনো বাসে কিংবা গাড়ি ভাড়া করে যাওয়া যায় দুই জায়গাতেই। বাসে ভাড়া ১০০ থেকে ১৬০ টাকা। বিছনাকান্দির জন্য সারা দিনের সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া ৮০০ থেকে দেড় হাজার টাকা। আর জাফলংয়ে সারা দিনের জন্য অটোরিকশা ভাড়া ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, লেগুনা ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং মাইক্রোবাস ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। জাফলং যাওয়ার সার্ভিস বাসে জৈন্তাপুর শ্রীপুর পর্যটনকেন্দ্র পার হয়ে মোকামপুঞ্জি এলাকায় নেমে যেতে হবে রাংপানি।
উৎমাছড়া
সারি সারি পাহাড়, পাহাড়ের বুক চিরে বয়ে চলা শীতল স্বচ্ছ জলরাশি। পাহাড়ের বুকে গাঢ় সবুজের প্রলেপ। এ সবকিছু দেখা যাবে কোম্পানীগঞ্জের উৎমাছড়ায়। এখানেও আছে নীল আকাশের নিচে ছড়ানো পাথর। বর্ষায় এর রূপ খোলে বেশি।
যেভাবে যাবেন
উৎমা ছড়া এখনো প্রায় অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। সিলেট থেকে কোম্পানীগঞ্জ, সেখান থেকে দয়ারবাজার হয়ে চরারবাজার যেতে হবে বাসে। সেখান থেকে হেঁটে যাওয়া যায় উৎমা ছড়া।
লালাখাল
ভারতের চেরাপুঞ্জির ঠিক নিচে বাংলাদেশ অংশে লালাখালের অবস্থান। এ নদীর পানি নীল। লালাখাল নদীতে অসংখ্য বাঁক আছে। এর পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে সারি গোয়াইন নদ। এর তীরে আছে পাহাড়ি বন, চা-বাগান এবং নানা প্রজাতির গাছপালা। লালাখাল সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় অবস্থিত।
যেভাবে যাবেন
নগরীর ধোপাদিঘির সামনে থেকে লেগুনা, মাইক্রোবাস অথবা জাফলংগামী বাসে চড়ে সারিঘাটে নামতে হবে। সেখান থেকে লালাখাল যাওয়া যাবে নৌকা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায়। ভাড়া জনপ্রতি ১৫ টাকা। ছাউনি দেওয়া রঙিন নৌকার ভাড়া ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা।
লোভাছড়া
পাহাড়, মেঘ আর স্বচ্ছ নদীর পানির সঙ্গে নীল আকাশের মিতালি মানেই লোভাছড়া। সুরমা ও লোভা নদীর সংগমস্থল লোভার মুখ। এখানে একসঙ্গে চা-বাগান, প্রাকৃতিক হ্রদ ও ঝরনা, ঝুলন্ত সেতু, খাসিয়া গ্রাম, মীরাপিং শাহর মাজার, মোগল রাজা-রানির পুরাকীর্তি, প্রাচীন দিঘি, পাথর কোয়ারি ও বন বিভাগের সামাজিক বনায়ন দেখা যায়।লোভাছড়া নদীর পাশে ব্রিটিশ আমলে প্রায় ১ হাজার ৮৩৯ একর জমির ওপর ইংরেজদের মালিকানায় গড়ে উঠেছিল লোভাছড়া চা-বাগান। পাশেই আছে লালাখাল চা-বাগান।
যেভাবে যাবেন
লোভাছড়া সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নে অবস্থিত। সিলেট থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও বাসে করে কানাইঘাট যেতে হবে। জনপ্রতি বাসভাড়া ৬০ থেকে ৭০ টাকা, অটোরিকশার ভাড়া জনপ্রতি ১০০ টাকা। কানাইঘাট থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে লোভাছড়ায় যাওয়া যায় সড়ক ও নদীপথে। কানাইঘাট থেকে জনপ্রতি নৌকাভাড়া ৩০ থেকে ৫০ টাকা। রিজার্ভ ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা।
সাদা পাথর
যত দূর চোখ যায় কেবল সাদা সাদা পাথর, মাঝখানে স্বচ্ছ নীল জল আর পাহাড়ে মেঘের আলিঙ্গন। ঝরনার শীতল পানির গন্তব্য ধলাই নদ। স্বচ্ছ নীল জল আর পাহাড়ের সবুজ যেন মিলেমিশে একাকার। সাদা পাথর দেখতে যেতে হবে সিলেট শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে, কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে।
যেভাবে যাবেন
সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জ গাড়িতে। সেখান থেকে নৌকায় সাদা পাথর। এ ছাড়া সিলেটের আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সাদা পাথর যাওয়া যায় বিআরটিসিসহ অনেক পরিবহনের বাসে। সাদা পাথর থেকে নৌকা ভাড়া করতে হবে। ভাড়া ৮০০ টাকার মতো।
তুরুংছড়া
এই ছড়ার পাথরে বসে খুব কাছ থেকে মেঘালয়ের পাহাড় দেখা যায়। পানির শব্দে ঘুম আসে। সাদা পাথর শুধু নয়, আছে অগণিত কালো পাথর। উৎমাছড়া থেকে আরও এক কিলোমিটার ভেতরে গেলে তবেই পাওয়া যাবে তুরুংছড়ার সন্ধান। ছড়াটি একেবারে সীমান্তবর্তী। নির্জন এলাকা বলে এখানে ইচ্ছেমতো সময় কাটানো যায়।
যেভাবে যাবেন
উৎমা ছড়া ছাড়িয়ে আরও পৌনে এক ঘণ্টা হাঁটলে বা মোটরবাইকে আরও কম সময়ে তুরুং ছড়া দেখা যাবে। সিলেট থেকে উৎমা ছড়া পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তা একই।
রাতারগুল
জলাবন হিসেবে রাতারগুল ইতিমধ্যে পরিচিতি পেয়েছে দেশে। প্রকৃতি এখানে কতটা সুন্দর ও সবুজ, নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা দায়। এখানকার গাছপালা বছরে ৪ থেকে ৭ মাস পানির নিচে থাকে। বর্ষাকালে এই বন ২০ থেকে ৩০ ফুট পানিতে নিমজ্জিত থাকে। এখানে ৭৩ প্রজাতির উদ্ভিদের সন্ধান পাওয়া গেছে। রাতারগুল দেখার উৎকৃষ্ট সময় বর্ষাকাল। বনের ভেতর নৌকাভ্রমণ এখানকার প্রধান আকর্ষণ।
যেভাবে যাবেন
সিলেটের গোয়াইনঘাটের ফতেহপুর ইউনিয়নের গোয়াইন নদে দক্ষিণে রাতারগুল। সিলেট শহর থেকে এর দূরত্ব ২৬ কিলোমিটার। সারা দিনের জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিংবা লেগুনা ভাড়া করে যাওয়া যায় রাতারগুল। ভাড়া ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। এখান থেকেও ভোলাগঞ্জ অথবা বিছনাকান্দি ঘুরে আসা যায়। রাতারগুলে ঢোকার জন্য সরকারি ফি দিতে হয়। বনে ভ্রমণের জন্য নৌকাভাড়া ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা।
গোয়াইনঘাট যেন আলাদা অঞ্চল
জাফলং, বিছনাকান্দি, পান্থুমাই কিংবা রাংপানির মতো দর্শনীয় জায়গা—সবই গোয়াইনঘাট উপজেলায়। মনে হয়, সিলেটের নয়, এটি যেন আলাদা কোনো অঞ্চল!
এত দিন সিলেটের ব্র্যান্ডিং হয়েছে জাফলং দিয়ে। গোয়াইনঘাটের মেঘালয় সীমান্তঘেঁষা খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে রূপের পসরা সাজিয়ে আছে জাফলং। পিয়াইন নদের তীরে স্তরে স্তরে বিছানো পাথরের স্তূপ জাফলংকে করেছে আকর্ষণীয়। এখান থেকে সীমান্তের ওপারের প্রকৃতি দেখা যায় সুন্দরভাবে। এখানে যাওয়ার সময় দেখা যাবে শ্রীপুর চা-বাগান, ইকোপার্ক।
গোয়াইনঘাটের রুস্তমপুর ইউনিয়নে বিছনাকান্দি। পাথরের বিছানা হিসেবে বিখ্যাত এটি। এখানকার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে খাসিয়া পাহাড়ের অনেক ধাপ দুই পাশ থেকে এক বিন্দুতে এসে মিলেছে। পাহাড়ের খাঁজে রয়েছে ঝরনা। পাহাড়, নদী, ঝরনা, পাথর আর বৃষ্টি, এই মিলে বিছনাকান্দি।
গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের একটি গ্রাম পান্থুমাই। এটি জাফলং থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে। একই রকম পাহাড়ি ভিউ পাওয়া যাবে এ গ্রাম থেকেও।
পাহাড়-ঝরনা আর সাদা সাদা পাথরের মিতালি রাংপানিতে। এখানে যাওয়ার পথের দুই দিকে সুপারিবাগান। গোয়াইনঘাটের মোকামপুঞ্জি এলাকায় এটি। সিলেট শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৫৪ কিলোমিটার। রাংপানি নদীর পাশেই রয়েছে খাসিয়াদের গ্রাম মোকামপুঞ্জি। প্রাচীনকাল থেকে এই নদী আর পাহাড় ঘিরে তাদের বসবাস।
যেভাবে যাবেন
সিলেট শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে বিছনাকান্দি আর ৬২ কিলোমিটার দূরে জাফলং। সিলেট থেকে যেকোনো বাসে কিংবা গাড়ি ভাড়া করে যাওয়া যায় দুই জায়গাতেই। বাসে ভাড়া ১০০ থেকে ১৬০ টাকা। বিছনাকান্দির জন্য সারা দিনের সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া ৮০০ থেকে দেড় হাজার টাকা। আর জাফলংয়ে সারা দিনের জন্য অটোরিকশা ভাড়া ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, লেগুনা ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং মাইক্রোবাস ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। জাফলং যাওয়ার সার্ভিস বাসে জৈন্তাপুর শ্রীপুর পর্যটনকেন্দ্র পার হয়ে মোকামপুঞ্জি এলাকায় নেমে যেতে হবে রাংপানি।
উৎমাছড়া
সারি সারি পাহাড়, পাহাড়ের বুক চিরে বয়ে চলা শীতল স্বচ্ছ জলরাশি। পাহাড়ের বুকে গাঢ় সবুজের প্রলেপ। এ সবকিছু দেখা যাবে কোম্পানীগঞ্জের উৎমাছড়ায়। এখানেও আছে নীল আকাশের নিচে ছড়ানো পাথর। বর্ষায় এর রূপ খোলে বেশি।
যেভাবে যাবেন
উৎমা ছড়া এখনো প্রায় অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। সিলেট থেকে কোম্পানীগঞ্জ, সেখান থেকে দয়ারবাজার হয়ে চরারবাজার যেতে হবে বাসে। সেখান থেকে হেঁটে যাওয়া যায় উৎমা ছড়া।
লালাখাল
ভারতের চেরাপুঞ্জির ঠিক নিচে বাংলাদেশ অংশে লালাখালের অবস্থান। এ নদীর পানি নীল। লালাখাল নদীতে অসংখ্য বাঁক আছে। এর পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে সারি গোয়াইন নদ। এর তীরে আছে পাহাড়ি বন, চা-বাগান এবং নানা প্রজাতির গাছপালা। লালাখাল সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় অবস্থিত।
যেভাবে যাবেন
নগরীর ধোপাদিঘির সামনে থেকে লেগুনা, মাইক্রোবাস অথবা জাফলংগামী বাসে চড়ে সারিঘাটে নামতে হবে। সেখান থেকে লালাখাল যাওয়া যাবে নৌকা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায়। ভাড়া জনপ্রতি ১৫ টাকা। ছাউনি দেওয়া রঙিন নৌকার ভাড়া ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা।
লোভাছড়া
পাহাড়, মেঘ আর স্বচ্ছ নদীর পানির সঙ্গে নীল আকাশের মিতালি মানেই লোভাছড়া। সুরমা ও লোভা নদীর সংগমস্থল লোভার মুখ। এখানে একসঙ্গে চা-বাগান, প্রাকৃতিক হ্রদ ও ঝরনা, ঝুলন্ত সেতু, খাসিয়া গ্রাম, মীরাপিং শাহর মাজার, মোগল রাজা-রানির পুরাকীর্তি, প্রাচীন দিঘি, পাথর কোয়ারি ও বন বিভাগের সামাজিক বনায়ন দেখা যায়।লোভাছড়া নদীর পাশে ব্রিটিশ আমলে প্রায় ১ হাজার ৮৩৯ একর জমির ওপর ইংরেজদের মালিকানায় গড়ে উঠেছিল লোভাছড়া চা-বাগান। পাশেই আছে লালাখাল চা-বাগান।
যেভাবে যাবেন
লোভাছড়া সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নে অবস্থিত। সিলেট থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও বাসে করে কানাইঘাট যেতে হবে। জনপ্রতি বাসভাড়া ৬০ থেকে ৭০ টাকা, অটোরিকশার ভাড়া জনপ্রতি ১০০ টাকা। কানাইঘাট থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে লোভাছড়ায় যাওয়া যায় সড়ক ও নদীপথে। কানাইঘাট থেকে জনপ্রতি নৌকাভাড়া ৩০ থেকে ৫০ টাকা। রিজার্ভ ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা।
সাদা পাথর
যত দূর চোখ যায় কেবল সাদা সাদা পাথর, মাঝখানে স্বচ্ছ নীল জল আর পাহাড়ে মেঘের আলিঙ্গন। ঝরনার শীতল পানির গন্তব্য ধলাই নদ। স্বচ্ছ নীল জল আর পাহাড়ের সবুজ যেন মিলেমিশে একাকার। সাদা পাথর দেখতে যেতে হবে সিলেট শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে, কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে।
যেভাবে যাবেন
সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জ গাড়িতে। সেখান থেকে নৌকায় সাদা পাথর। এ ছাড়া সিলেটের আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সাদা পাথর যাওয়া যায় বিআরটিসিসহ অনেক পরিবহনের বাসে। সাদা পাথর থেকে নৌকা ভাড়া করতে হবে। ভাড়া ৮০০ টাকার মতো।
তুরুংছড়া
এই ছড়ার পাথরে বসে খুব কাছ থেকে মেঘালয়ের পাহাড় দেখা যায়। পানির শব্দে ঘুম আসে। সাদা পাথর শুধু নয়, আছে অগণিত কালো পাথর। উৎমাছড়া থেকে আরও এক কিলোমিটার ভেতরে গেলে তবেই পাওয়া যাবে তুরুংছড়ার সন্ধান। ছড়াটি একেবারে সীমান্তবর্তী। নির্জন এলাকা বলে এখানে ইচ্ছেমতো সময় কাটানো যায়।
যেভাবে যাবেন
উৎমা ছড়া ছাড়িয়ে আরও পৌনে এক ঘণ্টা হাঁটলে বা মোটরবাইকে আরও কম সময়ে তুরুং ছড়া দেখা যাবে। সিলেট থেকে উৎমা ছড়া পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তা একই।
রাতারগুল
জলাবন হিসেবে রাতারগুল ইতিমধ্যে পরিচিতি পেয়েছে দেশে। প্রকৃতি এখানে কতটা সুন্দর ও সবুজ, নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা দায়। এখানকার গাছপালা বছরে ৪ থেকে ৭ মাস পানির নিচে থাকে। বর্ষাকালে এই বন ২০ থেকে ৩০ ফুট পানিতে নিমজ্জিত থাকে। এখানে ৭৩ প্রজাতির উদ্ভিদের সন্ধান পাওয়া গেছে। রাতারগুল দেখার উৎকৃষ্ট সময় বর্ষাকাল। বনের ভেতর নৌকাভ্রমণ এখানকার প্রধান আকর্ষণ।
যেভাবে যাবেন
সিলেটের গোয়াইনঘাটের ফতেহপুর ইউনিয়নের গোয়াইন নদে দক্ষিণে রাতারগুল। সিলেট শহর থেকে এর দূরত্ব ২৬ কিলোমিটার। সারা দিনের জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিংবা লেগুনা ভাড়া করে যাওয়া যায় রাতারগুল। ভাড়া ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। এখান থেকেও ভোলাগঞ্জ অথবা বিছনাকান্দি ঘুরে আসা যায়। রাতারগুলে ঢোকার জন্য সরকারি ফি দিতে হয়। বনে ভ্রমণের জন্য নৌকাভাড়া ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা।
গোয়াইনঘাট যেন আলাদা অঞ্চল
জাফলং, বিছনাকান্দি, পান্থুমাই কিংবা রাংপানির মতো দর্শনীয় জায়গা—সবই গোয়াইনঘাট উপজেলায়। মনে হয়, সিলেটের নয়, এটি যেন আলাদা কোনো অঞ্চল!
এত দিন সিলেটের ব্র্যান্ডিং হয়েছে জাফলং দিয়ে। গোয়াইনঘাটের মেঘালয় সীমান্তঘেঁষা খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে রূপের পসরা সাজিয়ে আছে জাফলং। পিয়াইন নদের তীরে স্তরে স্তরে বিছানো পাথরের স্তূপ জাফলংকে করেছে আকর্ষণীয়। এখান থেকে সীমান্তের ওপারের প্রকৃতি দেখা যায় সুন্দরভাবে। এখানে যাওয়ার সময় দেখা যাবে শ্রীপুর চা-বাগান, ইকোপার্ক।
গোয়াইনঘাটের রুস্তমপুর ইউনিয়নে বিছনাকান্দি। পাথরের বিছানা হিসেবে বিখ্যাত এটি। এখানকার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে খাসিয়া পাহাড়ের অনেক ধাপ দুই পাশ থেকে এক বিন্দুতে এসে মিলেছে। পাহাড়ের খাঁজে রয়েছে ঝরনা। পাহাড়, নদী, ঝরনা, পাথর আর বৃষ্টি, এই মিলে বিছনাকান্দি।
গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের একটি গ্রাম পান্থুমাই। এটি জাফলং থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে। একই রকম পাহাড়ি ভিউ পাওয়া যাবে এ গ্রাম থেকেও।
পাহাড়-ঝরনা আর সাদা সাদা পাথরের মিতালি রাংপানিতে। এখানে যাওয়ার পথের দুই দিকে সুপারিবাগান। গোয়াইনঘাটের মোকামপুঞ্জি এলাকায় এটি। সিলেট শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৫৪ কিলোমিটার। রাংপানি নদীর পাশেই রয়েছে খাসিয়াদের গ্রাম মোকামপুঞ্জি। প্রাচীনকাল থেকে এই নদী আর পাহাড় ঘিরে তাদের বসবাস।
যেভাবে যাবেন
সিলেট শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে বিছনাকান্দি আর ৬২ কিলোমিটার দূরে জাফলং। সিলেট থেকে যেকোনো বাসে কিংবা গাড়ি ভাড়া করে যাওয়া যায় দুই জায়গাতেই। বাসে ভাড়া ১০০ থেকে ১৬০ টাকা। বিছনাকান্দির জন্য সারা দিনের সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া ৮০০ থেকে দেড় হাজার টাকা। আর জাফলংয়ে সারা দিনের জন্য অটোরিকশা ভাড়া ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, লেগুনা ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং মাইক্রোবাস ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। জাফলং যাওয়ার সার্ভিস বাসে জৈন্তাপুর শ্রীপুর পর্যটনকেন্দ্র পার হয়ে মোকামপুঞ্জি এলাকায় নেমে যেতে হবে রাংপানি।
উৎমাছড়া
সারি সারি পাহাড়, পাহাড়ের বুক চিরে বয়ে চলা শীতল স্বচ্ছ জলরাশি। পাহাড়ের বুকে গাঢ় সবুজের প্রলেপ। এ সবকিছু দেখা যাবে কোম্পানীগঞ্জের উৎমাছড়ায়। এখানেও আছে নীল আকাশের নিচে ছড়ানো পাথর। বর্ষায় এর রূপ খোলে বেশি।
যেভাবে যাবেন
উৎমা ছড়া এখনো প্রায় অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। সিলেট থেকে কোম্পানীগঞ্জ, সেখান থেকে দয়ারবাজার হয়ে চরারবাজার যেতে হবে বাসে। সেখান থেকে হেঁটে যাওয়া যায় উৎমা ছড়া।
লালাখাল
ভারতের চেরাপুঞ্জির ঠিক নিচে বাংলাদেশ অংশে লালাখালের অবস্থান। এ নদীর পানি নীল। লালাখাল নদীতে অসংখ্য বাঁক আছে। এর পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে সারি গোয়াইন নদ। এর তীরে আছে পাহাড়ি বন, চা-বাগান এবং নানা প্রজাতির গাছপালা। লালাখাল সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় অবস্থিত।
যেভাবে যাবেন
নগরীর ধোপাদিঘির সামনে থেকে লেগুনা, মাইক্রোবাস অথবা জাফলংগামী বাসে চড়ে সারিঘাটে নামতে হবে। সেখান থেকে লালাখাল যাওয়া যাবে নৌকা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায়। ভাড়া জনপ্রতি ১৫ টাকা। ছাউনি দেওয়া রঙিন নৌকার ভাড়া ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা।
লোভাছড়া
পাহাড়, মেঘ আর স্বচ্ছ নদীর পানির সঙ্গে নীল আকাশের মিতালি মানেই লোভাছড়া। সুরমা ও লোভা নদীর সংগমস্থল লোভার মুখ। এখানে একসঙ্গে চা-বাগান, প্রাকৃতিক হ্রদ ও ঝরনা, ঝুলন্ত সেতু, খাসিয়া গ্রাম, মীরাপিং শাহর মাজার, মোগল রাজা-রানির পুরাকীর্তি, প্রাচীন দিঘি, পাথর কোয়ারি ও বন বিভাগের সামাজিক বনায়ন দেখা যায়।লোভাছড়া নদীর পাশে ব্রিটিশ আমলে প্রায় ১ হাজার ৮৩৯ একর জমির ওপর ইংরেজদের মালিকানায় গড়ে উঠেছিল লোভাছড়া চা-বাগান। পাশেই আছে লালাখাল চা-বাগান।
যেভাবে যাবেন
লোভাছড়া সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নে অবস্থিত। সিলেট থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও বাসে করে কানাইঘাট যেতে হবে। জনপ্রতি বাসভাড়া ৬০ থেকে ৭০ টাকা, অটোরিকশার ভাড়া জনপ্রতি ১০০ টাকা। কানাইঘাট থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে লোভাছড়ায় যাওয়া যায় সড়ক ও নদীপথে। কানাইঘাট থেকে জনপ্রতি নৌকাভাড়া ৩০ থেকে ৫০ টাকা। রিজার্ভ ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা।
সাদা পাথর
যত দূর চোখ যায় কেবল সাদা সাদা পাথর, মাঝখানে স্বচ্ছ নীল জল আর পাহাড়ে মেঘের আলিঙ্গন। ঝরনার শীতল পানির গন্তব্য ধলাই নদ। স্বচ্ছ নীল জল আর পাহাড়ের সবুজ যেন মিলেমিশে একাকার। সাদা পাথর দেখতে যেতে হবে সিলেট শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে, কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে।
যেভাবে যাবেন
সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জ গাড়িতে। সেখান থেকে নৌকায় সাদা পাথর। এ ছাড়া সিলেটের আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সাদা পাথর যাওয়া যায় বিআরটিসিসহ অনেক পরিবহনের বাসে। সাদা পাথর থেকে নৌকা ভাড়া করতে হবে। ভাড়া ৮০০ টাকার মতো।
তুরুংছড়া
এই ছড়ার পাথরে বসে খুব কাছ থেকে মেঘালয়ের পাহাড় দেখা যায়। পানির শব্দে ঘুম আসে। সাদা পাথর শুধু নয়, আছে অগণিত কালো পাথর। উৎমাছড়া থেকে আরও এক কিলোমিটার ভেতরে গেলে তবেই পাওয়া যাবে তুরুংছড়ার সন্ধান। ছড়াটি একেবারে সীমান্তবর্তী। নির্জন এলাকা বলে এখানে ইচ্ছেমতো সময় কাটানো যায়।
যেভাবে যাবেন
উৎমা ছড়া ছাড়িয়ে আরও পৌনে এক ঘণ্টা হাঁটলে বা মোটরবাইকে আরও কম সময়ে তুরুং ছড়া দেখা যাবে। সিলেট থেকে উৎমা ছড়া পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তা একই।
রাতারগুল
জলাবন হিসেবে রাতারগুল ইতিমধ্যে পরিচিতি পেয়েছে দেশে। প্রকৃতি এখানে কতটা সুন্দর ও সবুজ, নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা দায়। এখানকার গাছপালা বছরে ৪ থেকে ৭ মাস পানির নিচে থাকে। বর্ষাকালে এই বন ২০ থেকে ৩০ ফুট পানিতে নিমজ্জিত থাকে। এখানে ৭৩ প্রজাতির উদ্ভিদের সন্ধান পাওয়া গেছে। রাতারগুল দেখার উৎকৃষ্ট সময় বর্ষাকাল। বনের ভেতর নৌকাভ্রমণ এখানকার প্রধান আকর্ষণ।
যেভাবে যাবেন
সিলেটের গোয়াইনঘাটের ফতেহপুর ইউনিয়নের গোয়াইন নদে দক্ষিণে রাতারগুল। সিলেট শহর থেকে এর দূরত্ব ২৬ কিলোমিটার। সারা দিনের জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিংবা লেগুনা ভাড়া করে যাওয়া যায় রাতারগুল। ভাড়া ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। এখান থেকেও ভোলাগঞ্জ অথবা বিছনাকান্দি ঘুরে আসা যায়। রাতারগুলে ঢোকার জন্য সরকারি ফি দিতে হয়। বনে ভ্রমণের জন্য নৌকাভাড়া ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা।
গোয়াইনঘাট যেন আলাদা অঞ্চল
জাফলং, বিছনাকান্দি, পান্থুমাই কিংবা রাংপানির মতো দর্শনীয় জায়গা—সবই গোয়াইনঘাট উপজেলায়। মনে হয়, সিলেটের নয়, এটি যেন আলাদা কোনো অঞ্চল!
এত দিন সিলেটের ব্র্যান্ডিং হয়েছে জাফলং দিয়ে। গোয়াইনঘাটের মেঘালয় সীমান্তঘেঁষা খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে রূপের পসরা সাজিয়ে আছে জাফলং। পিয়াইন নদের তীরে স্তরে স্তরে বিছানো পাথরের স্তূপ জাফলংকে করেছে আকর্ষণীয়। এখান থেকে সীমান্তের ওপারের প্রকৃতি দেখা যায় সুন্দরভাবে। এখানে যাওয়ার সময় দেখা যাবে শ্রীপুর চা-বাগান, ইকোপার্ক।
গোয়াইনঘাটের রুস্তমপুর ইউনিয়নে বিছনাকান্দি। পাথরের বিছানা হিসেবে বিখ্যাত এটি। এখানকার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে খাসিয়া পাহাড়ের অনেক ধাপ দুই পাশ থেকে এক বিন্দুতে এসে মিলেছে। পাহাড়ের খাঁজে রয়েছে ঝরনা। পাহাড়, নদী, ঝরনা, পাথর আর বৃষ্টি, এই মিলে বিছনাকান্দি।
গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের একটি গ্রাম পান্থুমাই। এটি জাফলং থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে। একই রকম পাহাড়ি ভিউ পাওয়া যাবে এ গ্রাম থেকেও।
পাহাড়-ঝরনা আর সাদা সাদা পাথরের মিতালি রাংপানিতে। এখানে যাওয়ার পথের দুই দিকে সুপারিবাগান। গোয়াইনঘাটের মোকামপুঞ্জি এলাকায় এটি। সিলেট শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৫৪ কিলোমিটার। রাংপানি নদীর পাশেই রয়েছে খাসিয়াদের গ্রাম মোকামপুঞ্জি। প্রাচীনকাল থেকে এই নদী আর পাহাড় ঘিরে তাদের বসবাস।
যেভাবে যাবেন
সিলেট শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে বিছনাকান্দি আর ৬২ কিলোমিটার দূরে জাফলং। সিলেট থেকে যেকোনো বাসে কিংবা গাড়ি ভাড়া করে যাওয়া যায় দুই জায়গাতেই। বাসে ভাড়া ১০০ থেকে ১৬০ টাকা। বিছনাকান্দির জন্য সারা দিনের সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া ৮০০ থেকে দেড় হাজার টাকা। আর জাফলংয়ে সারা দিনের জন্য অটোরিকশা ভাড়া ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, লেগুনা ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং মাইক্রোবাস ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। জাফলং যাওয়ার সার্ভিস বাসে জৈন্তাপুর শ্রীপুর পর্যটনকেন্দ্র পার হয়ে মোকামপুঞ্জি এলাকায় নেমে যেতে হবে রাংপানি।
উৎমাছড়া
সারি সারি পাহাড়, পাহাড়ের বুক চিরে বয়ে চলা শীতল স্বচ্ছ জলরাশি। পাহাড়ের বুকে গাঢ় সবুজের প্রলেপ। এ সবকিছু দেখা যাবে কোম্পানীগঞ্জের উৎমাছড়ায়। এখানেও আছে নীল আকাশের নিচে ছড়ানো পাথর। বর্ষায় এর রূপ খোলে বেশি।
যেভাবে যাবেন
উৎমা ছড়া এখনো প্রায় অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। সিলেট থেকে কোম্পানীগঞ্জ, সেখান থেকে দয়ারবাজার হয়ে চরারবাজার যেতে হবে বাসে। সেখান থেকে হেঁটে যাওয়া যায় উৎমা ছড়া।
লালাখাল
ভারতের চেরাপুঞ্জির ঠিক নিচে বাংলাদেশ অংশে লালাখালের অবস্থান। এ নদীর পানি নীল। লালাখাল নদীতে অসংখ্য বাঁক আছে। এর পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে সারি গোয়াইন নদ। এর তীরে আছে পাহাড়ি বন, চা-বাগান এবং নানা প্রজাতির গাছপালা। লালাখাল সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় অবস্থিত।
যেভাবে যাবেন
নগরীর ধোপাদিঘির সামনে থেকে লেগুনা, মাইক্রোবাস অথবা জাফলংগামী বাসে চড়ে সারিঘাটে নামতে হবে। সেখান থেকে লালাখাল যাওয়া যাবে নৌকা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায়। ভাড়া জনপ্রতি ১৫ টাকা। ছাউনি দেওয়া রঙিন নৌকার ভাড়া ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা।
লোভাছড়া
পাহাড়, মেঘ আর স্বচ্ছ নদীর পানির সঙ্গে নীল আকাশের মিতালি মানেই লোভাছড়া। সুরমা ও লোভা নদীর সংগমস্থল লোভার মুখ। এখানে একসঙ্গে চা-বাগান, প্রাকৃতিক হ্রদ ও ঝরনা, ঝুলন্ত সেতু, খাসিয়া গ্রাম, মীরাপিং শাহর মাজার, মোগল রাজা-রানির পুরাকীর্তি, প্রাচীন দিঘি, পাথর কোয়ারি ও বন বিভাগের সামাজিক বনায়ন দেখা যায়।লোভাছড়া নদীর পাশে ব্রিটিশ আমলে প্রায় ১ হাজার ৮৩৯ একর জমির ওপর ইংরেজদের মালিকানায় গড়ে উঠেছিল লোভাছড়া চা-বাগান। পাশেই আছে লালাখাল চা-বাগান।
যেভাবে যাবেন
লোভাছড়া সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নে অবস্থিত। সিলেট থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও বাসে করে কানাইঘাট যেতে হবে। জনপ্রতি বাসভাড়া ৬০ থেকে ৭০ টাকা, অটোরিকশার ভাড়া জনপ্রতি ১০০ টাকা। কানাইঘাট থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে লোভাছড়ায় যাওয়া যায় সড়ক ও নদীপথে। কানাইঘাট থেকে জনপ্রতি নৌকাভাড়া ৩০ থেকে ৫০ টাকা। রিজার্ভ ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা।
সবুজ পাহাড়, জলপাইগাছ আর আঙুরবাগানে ঘেরা এক মনোরম গ্রাম রাদিকনদলি। ছবির মতো গ্রামটি ইতালির টাসকানি অঞ্চলের সিয়েনা শহরের কাছে। একসময় প্রাণচঞ্চল মধ্যযুগীয় বসতি হলেও এখন তা প্রায় জনশূন্য। যেখানে আগে ৩ হাজারের মতো মানুষ থাকত, সেখানে এখন বাস করে মাত্র ৯৬৬ জন। গ্রামের ৪৫০টি বাড়ির মধ্যে শতাধিক খালি পড়ে
২ ঘণ্টা আগেশীত আসছে। আসছে রঙিন সবজির দিন। অবশ্য এখন আর রঙিন সবজির জন্য শীতের অপেক্ষায় থাকতে হয় না। সারা বছর প্রায় পাওয়া যায় বিভিন্ন সবজি। তো এই সবজিকেই এবার কাজে লাগান মুরগির মাংস রান্না করতে। ডায়েটে থাকুন আর না থাকুন, এখন থেকে মুরগির মাংস রান্নার সময় আলু যোগ করা বাদ দিন...
৪ ঘণ্টা আগেনতুন বাড়ি মানেই এক দারুণ শিহরণ! তাই সে বাড়িতে ওঠার বিষয়টিও হয় বিশেষ। নতুন বাড়িতে ওঠার সঙ্গে সৌভাগ্য বিষয়টির এক অদৃশ্য যোগাযোগ থাকে বলে মনে করে অনেকে। ফলে সবাই চায়, সেই বাড়ি সৌভাগ্যে ভরে থাক, ভরে থাক ইতিবাচক শক্তিতে। এ জন্য বিভিন্ন দেশে বা সংস্কৃতিতে বিভিন্ন নিয়মকানুন মেনে চলে মানুষ। অধিবাসীদের...
৬ ঘণ্টা আগেদেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবারের বৈচিত্র্য ও সমৃদ্ধির স্বাক্ষর নিয়ে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট আয়োজন করেছে এক বিশেষ অনুষ্ঠান। নাম ‘দ্য লোকাল কালিনারি হেরিটেজ অব বাংলাদেশ’। এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অপ্রচলিত এবং হারিয়ে যাওয়া খাবার তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, যাতে সবার সামনে...
১৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক
সবুজ পাহাড়, জলপাইগাছ আর আঙুরবাগানে ঘেরা এক মনোরম গ্রাম রাদিকনদলি। ছবির মতো গ্রামটি ইতালির টাসকানি অঞ্চলের সিয়েনা শহরের কাছে। একসময় প্রাণচঞ্চল মধ্যযুগীয় বসতি হলেও এখন তা প্রায় জনশূন্য। যেখানে আগে ৩ হাজারের মতো মানুষ থাকত, সেখানে এখন বাস করে মাত্র ৯৬৬ জন। গ্রামের ৪৫০টি বাড়ির মধ্যে শতাধিক খালি পড়ে রয়েছে।
এই হারানো জনজীবন ফিরিয়ে আনতে স্থানীয় প্রশাসন এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে। গ্রামে গিয়ে বসবাস করলে দেওয়া হচ্ছে প্রায় ২৩ হাজার ডলার পর্যন্ত নগদ সহায়তা।
বাড়ি কিনলেই নগদ টাকা
২০২৩ সালে রাদিকনদলি গ্রামে প্রথম চালু হয় এই প্রকল্প। যাঁরা খালি বাড়িগুলোর একটি কিনে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করবেন, তাঁদের দেওয়া হয় সর্বোচ্চ ২০ হাজার ইউরো বা প্রায় ২৩ হাজার ডলার। পাশাপাশি পরিবহন খরচসহ বাড়তি খাতে আরও ৬ হাজার ইউরো সহায়তা।
এ বছর কর্মসূচিটি আরও বিস্তৃত হয়েছে। শুধু ক্রেতা নয়, ভাড়াটিয়ারাও এই সহায়তা পাবেন। যাঁরা ভাড়া নিয়ে বসবাস করবেন, তাঁদের প্রথম দুই বছরের অর্ধেক ভাড়া সরকার বহন করবে ২০২৬ সালের শুরুর দিক পর্যন্ত। মেয়র ফ্রান্সিসকো গুয়ারগুয়াগলিনি জানান, ‘দুই বছর আগে যে কর্মসূচি শুরু করেছিলাম, সেটিকে আমরা আরও শক্তিশালী করেছি। এ বছরই আমরা ৪ লাখ ইউরোর বেশি বরাদ্দ রেখেছি নতুন বাসিন্দাদের জন্য।’
বাড়ি কেনা বা ভাড়ার খরচ
এখানকার খালি বাড়িগুলোর মধ্যে আছে ছোট অ্যাপার্টমেন্ট, পুরোনো খামারবাড়ি, শহরতলির টাসকান স্টাইলের ফার্ম হাউস। পাথর গাঁথা দেয়াল, কাঠের বিম আর পুরোনো ইটের কারুকাজে সাজানো এই বাড়িগুলোর দাম ৫০ থেকে ১ লাখ ইউরোর মধ্যে। যেসব বাড়ি কিছুটা পুরোনো, সেগুলো সংস্কারে লাগে প্রায় ১০ হাজার ইউরো। অর্থাৎ পুরো সহায়তা পেলে কেউ চাইলে ৩০ হাজার ইউরো বা ৩৫ হাজার ডলারের মধ্যে একটি ছোট অ্যাপার্টমেন্ট কিনে নিতে পারেন। ভাড়াটেরাও কম দামে উপকৃত হচ্ছেন। যে বাড়ির মাসিক ভাড়া ৪০০ ইউরো, সেটি এখন ভর্তুকিতে মাত্র ২০০ ইউরোতে পাওয়া যায়। শর্ত হলো, বাড়ি কিনলে অন্তত ১০ বছর এবং ভাড়া নিলে ৪ বছর সেখানে থাকতে হবে।
হারিয়ে যাওয়া প্রাণ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা
গ্রামের জনসংখ্যা কমতে শুরু করে ১৯৫০ সাল থেকে। তখন তরুণেরা কাজের সন্ধানে বড় শহরে পাড়ি জমান। এই শহরে প্রতিবছর প্রায় ১৫ জন বয়স্ক মানুষ মারা যান, অথচ জন্ম হয় মাত্র ৩টি শিশুর। ২০২৩ সালে প্রকল্প চালুর পর এখন ২৩টি বাড়ি বিক্রি হয়েছে। ৬০ জন নতুন বাসিন্দা এসেছেন, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই ইতালিয়ান, কিছু বেলজিয়ানও আছেন। শহরের মেয়রের লক্ষ্য, অন্তত ১ হাজার বাসিন্দার এখানে জায়গা করা।
অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল
রাদিকনদলি শুধু সুন্দর নয়, টেকসইও বটে। পুরো গ্রাম চলে ভূতাপীয় শক্তিতে। এখানেই বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। জাতীয় বিদ্যুৎ সংস্থার কাছ থেকে এর জন্য গ্রামটি রয়্যালটি পায়। মেয়র গুয়ারগুয়াগলিনি বলেন, ‘আমরা ছোট হলেও অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল।’ গ্রামটি সিয়েনা শহর থেকে ৪০ মিনিট এবং ফ্লোরেন্স থেকে দেড় ঘণ্টার দূরত্বে। যদিও পর্যটকের ভিড় তুলনামূলক কম। এখানে আঙুরের মদ, জলপাই তেল, পিচি পাস্তা ও বুনো শূকরের মাংস এখানকার বিশেষ খাবার। এখানে বছরজুড়ে নানা উৎসব, লোকজ মেলা আর সংগীতানুষ্ঠান হয়।
নতুন জীবনের আহ্বান
রাদিকনদলির বাড়িগুলো দেখতে চাইলে স্থানীয় রিয়েল এস্টেট এজেন্সি ভি পি ইমোবিলিয়ারে গিয়ে দেখা যাবে। এ ছাড়া দেশের বড় কয়েকটি ওয়েবসাইটের বাড়িগুলোর তালিকা রয়েছে।
বেলফোর্তের পাথরের সরু গলি, শান্ত পরিবেশ এবং ছোট বসতবাড়িতে এখনো কিছু স্থানীয় পরিবার বসবাস করছেন। মেয়ররা আশা করছেন, নতুন মানুষদের আগমনে এই ঘুমন্ত টাসকানি গ্রাম আবারও জীবন্ত হয়ে উঠবে। গ্রামে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে নতুন প্রাণ এবং গ্রামটির ঐতিহ্য ও সৌন্দর্য আরও ছড়িয়ে পড়বে।
সূত্র: সিএনএন
সবুজ পাহাড়, জলপাইগাছ আর আঙুরবাগানে ঘেরা এক মনোরম গ্রাম রাদিকনদলি। ছবির মতো গ্রামটি ইতালির টাসকানি অঞ্চলের সিয়েনা শহরের কাছে। একসময় প্রাণচঞ্চল মধ্যযুগীয় বসতি হলেও এখন তা প্রায় জনশূন্য। যেখানে আগে ৩ হাজারের মতো মানুষ থাকত, সেখানে এখন বাস করে মাত্র ৯৬৬ জন। গ্রামের ৪৫০টি বাড়ির মধ্যে শতাধিক খালি পড়ে রয়েছে।
এই হারানো জনজীবন ফিরিয়ে আনতে স্থানীয় প্রশাসন এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে। গ্রামে গিয়ে বসবাস করলে দেওয়া হচ্ছে প্রায় ২৩ হাজার ডলার পর্যন্ত নগদ সহায়তা।
বাড়ি কিনলেই নগদ টাকা
২০২৩ সালে রাদিকনদলি গ্রামে প্রথম চালু হয় এই প্রকল্প। যাঁরা খালি বাড়িগুলোর একটি কিনে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করবেন, তাঁদের দেওয়া হয় সর্বোচ্চ ২০ হাজার ইউরো বা প্রায় ২৩ হাজার ডলার। পাশাপাশি পরিবহন খরচসহ বাড়তি খাতে আরও ৬ হাজার ইউরো সহায়তা।
এ বছর কর্মসূচিটি আরও বিস্তৃত হয়েছে। শুধু ক্রেতা নয়, ভাড়াটিয়ারাও এই সহায়তা পাবেন। যাঁরা ভাড়া নিয়ে বসবাস করবেন, তাঁদের প্রথম দুই বছরের অর্ধেক ভাড়া সরকার বহন করবে ২০২৬ সালের শুরুর দিক পর্যন্ত। মেয়র ফ্রান্সিসকো গুয়ারগুয়াগলিনি জানান, ‘দুই বছর আগে যে কর্মসূচি শুরু করেছিলাম, সেটিকে আমরা আরও শক্তিশালী করেছি। এ বছরই আমরা ৪ লাখ ইউরোর বেশি বরাদ্দ রেখেছি নতুন বাসিন্দাদের জন্য।’
বাড়ি কেনা বা ভাড়ার খরচ
এখানকার খালি বাড়িগুলোর মধ্যে আছে ছোট অ্যাপার্টমেন্ট, পুরোনো খামারবাড়ি, শহরতলির টাসকান স্টাইলের ফার্ম হাউস। পাথর গাঁথা দেয়াল, কাঠের বিম আর পুরোনো ইটের কারুকাজে সাজানো এই বাড়িগুলোর দাম ৫০ থেকে ১ লাখ ইউরোর মধ্যে। যেসব বাড়ি কিছুটা পুরোনো, সেগুলো সংস্কারে লাগে প্রায় ১০ হাজার ইউরো। অর্থাৎ পুরো সহায়তা পেলে কেউ চাইলে ৩০ হাজার ইউরো বা ৩৫ হাজার ডলারের মধ্যে একটি ছোট অ্যাপার্টমেন্ট কিনে নিতে পারেন। ভাড়াটেরাও কম দামে উপকৃত হচ্ছেন। যে বাড়ির মাসিক ভাড়া ৪০০ ইউরো, সেটি এখন ভর্তুকিতে মাত্র ২০০ ইউরোতে পাওয়া যায়। শর্ত হলো, বাড়ি কিনলে অন্তত ১০ বছর এবং ভাড়া নিলে ৪ বছর সেখানে থাকতে হবে।
হারিয়ে যাওয়া প্রাণ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা
গ্রামের জনসংখ্যা কমতে শুরু করে ১৯৫০ সাল থেকে। তখন তরুণেরা কাজের সন্ধানে বড় শহরে পাড়ি জমান। এই শহরে প্রতিবছর প্রায় ১৫ জন বয়স্ক মানুষ মারা যান, অথচ জন্ম হয় মাত্র ৩টি শিশুর। ২০২৩ সালে প্রকল্প চালুর পর এখন ২৩টি বাড়ি বিক্রি হয়েছে। ৬০ জন নতুন বাসিন্দা এসেছেন, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই ইতালিয়ান, কিছু বেলজিয়ানও আছেন। শহরের মেয়রের লক্ষ্য, অন্তত ১ হাজার বাসিন্দার এখানে জায়গা করা।
অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল
রাদিকনদলি শুধু সুন্দর নয়, টেকসইও বটে। পুরো গ্রাম চলে ভূতাপীয় শক্তিতে। এখানেই বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। জাতীয় বিদ্যুৎ সংস্থার কাছ থেকে এর জন্য গ্রামটি রয়্যালটি পায়। মেয়র গুয়ারগুয়াগলিনি বলেন, ‘আমরা ছোট হলেও অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল।’ গ্রামটি সিয়েনা শহর থেকে ৪০ মিনিট এবং ফ্লোরেন্স থেকে দেড় ঘণ্টার দূরত্বে। যদিও পর্যটকের ভিড় তুলনামূলক কম। এখানে আঙুরের মদ, জলপাই তেল, পিচি পাস্তা ও বুনো শূকরের মাংস এখানকার বিশেষ খাবার। এখানে বছরজুড়ে নানা উৎসব, লোকজ মেলা আর সংগীতানুষ্ঠান হয়।
নতুন জীবনের আহ্বান
রাদিকনদলির বাড়িগুলো দেখতে চাইলে স্থানীয় রিয়েল এস্টেট এজেন্সি ভি পি ইমোবিলিয়ারে গিয়ে দেখা যাবে। এ ছাড়া দেশের বড় কয়েকটি ওয়েবসাইটের বাড়িগুলোর তালিকা রয়েছে।
বেলফোর্তের পাথরের সরু গলি, শান্ত পরিবেশ এবং ছোট বসতবাড়িতে এখনো কিছু স্থানীয় পরিবার বসবাস করছেন। মেয়ররা আশা করছেন, নতুন মানুষদের আগমনে এই ঘুমন্ত টাসকানি গ্রাম আবারও জীবন্ত হয়ে উঠবে। গ্রামে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে নতুন প্রাণ এবং গ্রামটির ঐতিহ্য ও সৌন্দর্য আরও ছড়িয়ে পড়বে।
সূত্র: সিএনএন
যত দূর চোখ যায় কেবল সাদা সাদা পাথর, মাঝখানে স্বচ্ছ নীল জল আর পাহাড়ে মেঘের আলিঙ্গন। ঝরনার শীতল পানির গন্তব্য ধলাই নদ। স্বচ্ছ নীল জল আর পাহাড়ের সবুজ যেন মিলেমিশে একাকার। সাদা পাথর দেখতে যেতে হবে সিলেট শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে, কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে।
১৩ জুন ২০২৪শীত আসছে। আসছে রঙিন সবজির দিন। অবশ্য এখন আর রঙিন সবজির জন্য শীতের অপেক্ষায় থাকতে হয় না। সারা বছর প্রায় পাওয়া যায় বিভিন্ন সবজি। তো এই সবজিকেই এবার কাজে লাগান মুরগির মাংস রান্না করতে। ডায়েটে থাকুন আর না থাকুন, এখন থেকে মুরগির মাংস রান্নার সময় আলু যোগ করা বাদ দিন...
৪ ঘণ্টা আগেনতুন বাড়ি মানেই এক দারুণ শিহরণ! তাই সে বাড়িতে ওঠার বিষয়টিও হয় বিশেষ। নতুন বাড়িতে ওঠার সঙ্গে সৌভাগ্য বিষয়টির এক অদৃশ্য যোগাযোগ থাকে বলে মনে করে অনেকে। ফলে সবাই চায়, সেই বাড়ি সৌভাগ্যে ভরে থাক, ভরে থাক ইতিবাচক শক্তিতে। এ জন্য বিভিন্ন দেশে বা সংস্কৃতিতে বিভিন্ন নিয়মকানুন মেনে চলে মানুষ। অধিবাসীদের...
৬ ঘণ্টা আগেদেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবারের বৈচিত্র্য ও সমৃদ্ধির স্বাক্ষর নিয়ে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট আয়োজন করেছে এক বিশেষ অনুষ্ঠান। নাম ‘দ্য লোকাল কালিনারি হেরিটেজ অব বাংলাদেশ’। এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অপ্রচলিত এবং হারিয়ে যাওয়া খাবার তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, যাতে সবার সামনে...
১৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা
শীত আসছে। আসছে রঙিন সবজির দিন। অবশ্য এখন আর রঙিন সবজির জন্য শীতের অপেক্ষায় থাকতে হয় না। সারা বছর প্রায় পাওয়া যায় বিভিন্ন সবজি। তো এই সবজিকেই এবার কাজে লাগান মুরগির মাংস রান্না করতে। মাংসের সঙ্গে আলু আমাদের অতিপ্রিয় খাবার। ডায়েটে থাকুন আর না থাকুন, এখন থেকে মুরগির মাংস রান্নার সময় আলু যোগ করা বাদ দিন। তার বদলে যোগ করুন রঙিন সবজি। খাবারের রং ও স্বাদ তো বাড়বেই, সঙ্গে স্বাস্থ্যেরও হবে উপকার। আপনাদের জন্য রং বাহারি চিকেনের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
চিকেন স্লাইস ১ কাপ, ফুলকপি, গাজর, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজকলি ১ কাপ করে, কাটা পেঁয়াজ আধা কাপ, কাঁচা মরিচ ৫ থেকে ৬টি, ঘি, সয়া সস ও চিনি ২ টেবিল চামচ করে, কাশ্মীরি মরিচগুঁড়া ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল আধা কাপ, গরমমসলার গুঁড়া এবং ধনে ও জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, সাদা গোলমরিচের গুঁড়া ২ চা-চামচ।
প্রণালি
গাজর ও ফুলকপি ৫ মিনিট সেদ্ধ করে নিন। চিকেন মোটা স্লাইস করে কেটে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর সব সবজি কিউব করে কেটে নিন। একটি বাটিতে চিকেন, আদা ও রসুনবাটা, কাশ্মীরি মরিচ, ধনে ও জিরাগুঁড়া, সয়া সস, চিনি, লবণ, গরমমসলার গুঁড়া দিয়ে মাখিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে ম্যারিনেট করা চিকেন দিয়ে সামান্য নেড়ে সব সবজি দিয়ে আবার নেড়ে পেঁয়াজ লেয়ার, কাঁচা মরিচ, ঘি ও গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে নামিয়ে নিন।
তারপর দেখুন, কতটা রঙিন লাগছে এই চিকেন।
শীত আসছে। আসছে রঙিন সবজির দিন। অবশ্য এখন আর রঙিন সবজির জন্য শীতের অপেক্ষায় থাকতে হয় না। সারা বছর প্রায় পাওয়া যায় বিভিন্ন সবজি। তো এই সবজিকেই এবার কাজে লাগান মুরগির মাংস রান্না করতে। মাংসের সঙ্গে আলু আমাদের অতিপ্রিয় খাবার। ডায়েটে থাকুন আর না থাকুন, এখন থেকে মুরগির মাংস রান্নার সময় আলু যোগ করা বাদ দিন। তার বদলে যোগ করুন রঙিন সবজি। খাবারের রং ও স্বাদ তো বাড়বেই, সঙ্গে স্বাস্থ্যেরও হবে উপকার। আপনাদের জন্য রং বাহারি চিকেনের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
চিকেন স্লাইস ১ কাপ, ফুলকপি, গাজর, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজকলি ১ কাপ করে, কাটা পেঁয়াজ আধা কাপ, কাঁচা মরিচ ৫ থেকে ৬টি, ঘি, সয়া সস ও চিনি ২ টেবিল চামচ করে, কাশ্মীরি মরিচগুঁড়া ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল আধা কাপ, গরমমসলার গুঁড়া এবং ধনে ও জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, সাদা গোলমরিচের গুঁড়া ২ চা-চামচ।
প্রণালি
গাজর ও ফুলকপি ৫ মিনিট সেদ্ধ করে নিন। চিকেন মোটা স্লাইস করে কেটে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর সব সবজি কিউব করে কেটে নিন। একটি বাটিতে চিকেন, আদা ও রসুনবাটা, কাশ্মীরি মরিচ, ধনে ও জিরাগুঁড়া, সয়া সস, চিনি, লবণ, গরমমসলার গুঁড়া দিয়ে মাখিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে ম্যারিনেট করা চিকেন দিয়ে সামান্য নেড়ে সব সবজি দিয়ে আবার নেড়ে পেঁয়াজ লেয়ার, কাঁচা মরিচ, ঘি ও গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে নামিয়ে নিন।
তারপর দেখুন, কতটা রঙিন লাগছে এই চিকেন।
যত দূর চোখ যায় কেবল সাদা সাদা পাথর, মাঝখানে স্বচ্ছ নীল জল আর পাহাড়ে মেঘের আলিঙ্গন। ঝরনার শীতল পানির গন্তব্য ধলাই নদ। স্বচ্ছ নীল জল আর পাহাড়ের সবুজ যেন মিলেমিশে একাকার। সাদা পাথর দেখতে যেতে হবে সিলেট শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে, কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে।
১৩ জুন ২০২৪সবুজ পাহাড়, জলপাইগাছ আর আঙুরবাগানে ঘেরা এক মনোরম গ্রাম রাদিকনদলি। ছবির মতো গ্রামটি ইতালির টাসকানি অঞ্চলের সিয়েনা শহরের কাছে। একসময় প্রাণচঞ্চল মধ্যযুগীয় বসতি হলেও এখন তা প্রায় জনশূন্য। যেখানে আগে ৩ হাজারের মতো মানুষ থাকত, সেখানে এখন বাস করে মাত্র ৯৬৬ জন। গ্রামের ৪৫০টি বাড়ির মধ্যে শতাধিক খালি পড়ে
২ ঘণ্টা আগেনতুন বাড়ি মানেই এক দারুণ শিহরণ! তাই সে বাড়িতে ওঠার বিষয়টিও হয় বিশেষ। নতুন বাড়িতে ওঠার সঙ্গে সৌভাগ্য বিষয়টির এক অদৃশ্য যোগাযোগ থাকে বলে মনে করে অনেকে। ফলে সবাই চায়, সেই বাড়ি সৌভাগ্যে ভরে থাক, ভরে থাক ইতিবাচক শক্তিতে। এ জন্য বিভিন্ন দেশে বা সংস্কৃতিতে বিভিন্ন নিয়মকানুন মেনে চলে মানুষ। অধিবাসীদের...
৬ ঘণ্টা আগেদেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবারের বৈচিত্র্য ও সমৃদ্ধির স্বাক্ষর নিয়ে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট আয়োজন করেছে এক বিশেষ অনুষ্ঠান। নাম ‘দ্য লোকাল কালিনারি হেরিটেজ অব বাংলাদেশ’। এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অপ্রচলিত এবং হারিয়ে যাওয়া খাবার তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, যাতে সবার সামনে...
১৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা
নতুন বাড়ি মানেই এক দারুণ শিহরণ! তাই সে বাড়িতে ওঠার বিষয়টিও হয় বিশেষ। নতুন বাড়িতে ওঠার সঙ্গে সৌভাগ্য বিষয়টির এক অদৃশ্য যোগাযোগ থাকে বলে মনে করে অনেকে। ফলে সবাই চায়, সেই বাড়ি সৌভাগ্যে ভরে থাক, ভরে থাক ইতিবাচক শক্তিতে। এ জন্য বিভিন্ন দেশে বা সংস্কৃতিতে বিভিন্ন নিয়মকানুন মেনে চলে মানুষ। অধিবাসীদের ধারণা, নতুন বাড়িতে প্রবেশের সময় প্রথাগত নিয়মকানুন মানলে কিংবা সেই কাজগুলো করলে বাড়িতে সৌভাগ্য বিরাজ করে।
চলুন, দেখে নেওয়া যাক তেমন কিছু নিয়মকানুন।
দরজা, বারান্দা ও জানালায় নীল রং দক্ষিণ আমেরিকায়
দক্ষিণ আমেরিকায় বসবাসরত আফ্রিকান-আমেরিকানরা মনে করে, খারাপ আত্মারা পানি অতিক্রম করতে পারে না। পানির রং নীল বলে সেখানকার মানুষ বাড়ির সদর দরজা, বারান্দা ও জানালায় নীল রং করে। তাদের বিশ্বাস, মন্দ আত্মারা এই নীল রং অতিক্রম করে বাড়িতে প্রবেশ করবে না।
এই অঞ্চলের অধিবাসীরা চুনের সঙ্গে নীল রং মিশিয়ে ব্যবহার করে। এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও রয়েছে। চুনের সঙ্গে রং মেশানোর কারণে বাড়ি থেকে মশা ও উড়ন্ত পোকা দূরে থাকে।
চীনের মানুষ ফল কেনে ও উপহার দেয়
চীনা ঐতিহ্য অনুযায়ী ফল সৌভাগ্যের প্রতীক। তাই পরিবার-পরিজনের কেউ নতুন বাড়ি করলে বা নতুন বাড়িতে উঠলে উপহার হিসেবে তাদের ফল দেওয়া হয়। ফলের মধ্য়েও আবার বিশেষত্ব রয়েছে। সবাইকে সব ধরনের ফল উপহার দেওয়া হয় না। কার জন্য কী কামনা করা হচ্ছে, সে অনুযায়ী ফল উপহার দেওয়া হয়। এই যেমন, সমৃদ্ধির জন্য কমলা, সুযোগের জন্য ডালিম, সুস্বাস্থ্যের জন্য পিচ এবং সুরক্ষার জন্য আপেল দেওয়া হয়।
ফলের পাশাপাশি, ফলের গাছ বা গাছপালাও উপহার পায় বাড়ির নতুন মালিকেরা। গৃহ প্রবেশের দিন বাড়িতে এ ধরনের ফল থাকা আবশ্যক। এ ছাড়া তারা নতুন বাড়িতে ওঠার সময় গাছ রোপণ করে।
রাশিয়া ও জার্মানির মানুষ বাড়ির প্রথম বাজারে রুটি ও লবণ কেনে
রাশিয়া ও জার্মানির রীতি অনুসারে, নতুন বাড়িতে উঠে প্রথম যে বাজারের তালিকা তৈরি করা হয়, তাতে অবধারিতভাবে থাকে রুটি ও লবণ। বাড়ির লোকেরা যেন কখনো ক্ষুধার্ত না থাকে, সে জন্য রুটি কেনা হয়। আর নেতিবাচক শক্তি শুষে নিয়ে জীবন যেন তরতাজা করে রাখা যায়, সে জন্য এই দুই দেশের মানুষ কেনে লবণ। অনেকে নতুন বাড়ির মালিককে এই দুটো জিনিস উপহার হিসেবেও দেয়।
কোরিয়ার রীতি শিম ছিটিয়ে দেওয়া
কোরিয়ায় নতুন বাড়িতে লাল শিম ছড়িয়ে দেওয়া হয় মন্দ আত্মাদের তাড়িয়ে ভাগ্য ফেরাতে। এশিয়ার অনেক দেশের মতো কোরিয়াতেও লাল সৌভাগ্যের রং হিসেবে পরিচিত।
ধূপ দিয়ে নতুন বাড়িকে আশীর্বাদ করার নিয়ম ইতালিতে
অনেক সংস্কৃতিতে নতুন বাড়িতে প্রবেশের দিন ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদ্যাপন করা হয়। ইতালিতে স্থানীয় পুরোহিত ধূপ দিয়ে নতুন বাড়িকে আশীর্বাদ করেন। এরপর বিশেষ ভোজের আয়োজন করা হয় সে বাড়িতে।
ডান পা প্রথমে দিয়ে নতুন বাড়িতে ওঠে ভারতের মানুষ
নতুন বাড়িতে প্রবেশের সময় প্রথম চৌকাঠের ভেতরে দেওয়া হয় ডান পা। ভারতের মানুষ মনে করে, এতে সৌভাগ্য আসে। বিয়ের পর নতুন বউ বাড়িতে প্রবেশ করে ডান পা প্রথমে দিয়ে।
ইংল্যান্ডে করা হয় নতুন ঝাড়ু ব্যবহার
ইংল্যান্ডে নতুন বাড়িতে প্রবেশের সময় পুরো ঝাড়ু সঙ্গে করে আনা নিষেধ। পুরোনো ময়লা, পুরোনো ভাগ্য, পুরোনো আত্মাসহ আরও নেতিবাচক শক্তি দূর করার জন্য পুরোনো ঝাড়ুর পরিবর্তে নতুন ঝাড়ু ব্যবহার করার নিয়ম রয়েছে যুক্তরাজ্যে। এ জন্য নতুন বাড়িতে ওঠা মানে, সঙ্গে নতুন একটি ঝাড়ু নিয়ে প্রবেশ করা।
উত্তর ইউরোপে ঘর উষ্ণ রাখার প্রতীকী প্রথা আছে
উত্তর ইউরোপে নতুন বাড়িতে ওঠার দিন ঘরের ফায়ার প্লেসে আগুন ধরানো হয়। সঙ্গে মোমবাতি জ্বালিয়ে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে ঘরের ঠান্ডা কেটে গিয়ে একটা আরামদায়ক তাপমাত্রা বিরাজ করে; পাশাপাশি মন্দ আত্মারাও পালিয়ে যায় বলে তাঁদের ধারণা।
ভারত, চীন ও পারস্যে ডালিমগাছ রোপণের প্রথা আছে
ডালিম উর্বরতার প্রতীক। পরিবার গঠন করতে ইচ্ছুক দম্পতিদের নতুন বাড়ির কোথাও এই গাছ লাগানো হলে সমৃদ্ধির পাশাপাশি সন্তান-সন্ততি লাভের ইচ্ছাও পূর্ণ হয় বলে এসব দেশের অধিবাসীরা মনে করে। একসময় আমাদের দেশেও নতুন বাড়ি করার পর সে বাড়ির কোথাও একটি ডালিমগাছ লাগানো হতো। সে জন্য গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে একটি ডালিমগাছের দেখা মিলত।
এসবের বাইরেও বিভিন্ন দেশে নতুন বাড়ির মেঝেতে লবণ ছিটিয়ে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। এতে করে মন্দ আত্মারা বিদায় নেয় বলে মনে করা হয়। পশ্চিমা বিভিন্ন দেশে নতুন বাড়িতে ওঠার পর ওয়াইনের নতুন বোতল খুলে পরিবার-পরিজন নিয়ে তা উপভোগ করা হয়।
সূত্র: আরমিশজ
নতুন বাড়ি মানেই এক দারুণ শিহরণ! তাই সে বাড়িতে ওঠার বিষয়টিও হয় বিশেষ। নতুন বাড়িতে ওঠার সঙ্গে সৌভাগ্য বিষয়টির এক অদৃশ্য যোগাযোগ থাকে বলে মনে করে অনেকে। ফলে সবাই চায়, সেই বাড়ি সৌভাগ্যে ভরে থাক, ভরে থাক ইতিবাচক শক্তিতে। এ জন্য বিভিন্ন দেশে বা সংস্কৃতিতে বিভিন্ন নিয়মকানুন মেনে চলে মানুষ। অধিবাসীদের ধারণা, নতুন বাড়িতে প্রবেশের সময় প্রথাগত নিয়মকানুন মানলে কিংবা সেই কাজগুলো করলে বাড়িতে সৌভাগ্য বিরাজ করে।
চলুন, দেখে নেওয়া যাক তেমন কিছু নিয়মকানুন।
দরজা, বারান্দা ও জানালায় নীল রং দক্ষিণ আমেরিকায়
দক্ষিণ আমেরিকায় বসবাসরত আফ্রিকান-আমেরিকানরা মনে করে, খারাপ আত্মারা পানি অতিক্রম করতে পারে না। পানির রং নীল বলে সেখানকার মানুষ বাড়ির সদর দরজা, বারান্দা ও জানালায় নীল রং করে। তাদের বিশ্বাস, মন্দ আত্মারা এই নীল রং অতিক্রম করে বাড়িতে প্রবেশ করবে না।
এই অঞ্চলের অধিবাসীরা চুনের সঙ্গে নীল রং মিশিয়ে ব্যবহার করে। এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও রয়েছে। চুনের সঙ্গে রং মেশানোর কারণে বাড়ি থেকে মশা ও উড়ন্ত পোকা দূরে থাকে।
চীনের মানুষ ফল কেনে ও উপহার দেয়
চীনা ঐতিহ্য অনুযায়ী ফল সৌভাগ্যের প্রতীক। তাই পরিবার-পরিজনের কেউ নতুন বাড়ি করলে বা নতুন বাড়িতে উঠলে উপহার হিসেবে তাদের ফল দেওয়া হয়। ফলের মধ্য়েও আবার বিশেষত্ব রয়েছে। সবাইকে সব ধরনের ফল উপহার দেওয়া হয় না। কার জন্য কী কামনা করা হচ্ছে, সে অনুযায়ী ফল উপহার দেওয়া হয়। এই যেমন, সমৃদ্ধির জন্য কমলা, সুযোগের জন্য ডালিম, সুস্বাস্থ্যের জন্য পিচ এবং সুরক্ষার জন্য আপেল দেওয়া হয়।
ফলের পাশাপাশি, ফলের গাছ বা গাছপালাও উপহার পায় বাড়ির নতুন মালিকেরা। গৃহ প্রবেশের দিন বাড়িতে এ ধরনের ফল থাকা আবশ্যক। এ ছাড়া তারা নতুন বাড়িতে ওঠার সময় গাছ রোপণ করে।
রাশিয়া ও জার্মানির মানুষ বাড়ির প্রথম বাজারে রুটি ও লবণ কেনে
রাশিয়া ও জার্মানির রীতি অনুসারে, নতুন বাড়িতে উঠে প্রথম যে বাজারের তালিকা তৈরি করা হয়, তাতে অবধারিতভাবে থাকে রুটি ও লবণ। বাড়ির লোকেরা যেন কখনো ক্ষুধার্ত না থাকে, সে জন্য রুটি কেনা হয়। আর নেতিবাচক শক্তি শুষে নিয়ে জীবন যেন তরতাজা করে রাখা যায়, সে জন্য এই দুই দেশের মানুষ কেনে লবণ। অনেকে নতুন বাড়ির মালিককে এই দুটো জিনিস উপহার হিসেবেও দেয়।
কোরিয়ার রীতি শিম ছিটিয়ে দেওয়া
কোরিয়ায় নতুন বাড়িতে লাল শিম ছড়িয়ে দেওয়া হয় মন্দ আত্মাদের তাড়িয়ে ভাগ্য ফেরাতে। এশিয়ার অনেক দেশের মতো কোরিয়াতেও লাল সৌভাগ্যের রং হিসেবে পরিচিত।
ধূপ দিয়ে নতুন বাড়িকে আশীর্বাদ করার নিয়ম ইতালিতে
অনেক সংস্কৃতিতে নতুন বাড়িতে প্রবেশের দিন ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদ্যাপন করা হয়। ইতালিতে স্থানীয় পুরোহিত ধূপ দিয়ে নতুন বাড়িকে আশীর্বাদ করেন। এরপর বিশেষ ভোজের আয়োজন করা হয় সে বাড়িতে।
ডান পা প্রথমে দিয়ে নতুন বাড়িতে ওঠে ভারতের মানুষ
নতুন বাড়িতে প্রবেশের সময় প্রথম চৌকাঠের ভেতরে দেওয়া হয় ডান পা। ভারতের মানুষ মনে করে, এতে সৌভাগ্য আসে। বিয়ের পর নতুন বউ বাড়িতে প্রবেশ করে ডান পা প্রথমে দিয়ে।
ইংল্যান্ডে করা হয় নতুন ঝাড়ু ব্যবহার
ইংল্যান্ডে নতুন বাড়িতে প্রবেশের সময় পুরো ঝাড়ু সঙ্গে করে আনা নিষেধ। পুরোনো ময়লা, পুরোনো ভাগ্য, পুরোনো আত্মাসহ আরও নেতিবাচক শক্তি দূর করার জন্য পুরোনো ঝাড়ুর পরিবর্তে নতুন ঝাড়ু ব্যবহার করার নিয়ম রয়েছে যুক্তরাজ্যে। এ জন্য নতুন বাড়িতে ওঠা মানে, সঙ্গে নতুন একটি ঝাড়ু নিয়ে প্রবেশ করা।
উত্তর ইউরোপে ঘর উষ্ণ রাখার প্রতীকী প্রথা আছে
উত্তর ইউরোপে নতুন বাড়িতে ওঠার দিন ঘরের ফায়ার প্লেসে আগুন ধরানো হয়। সঙ্গে মোমবাতি জ্বালিয়ে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে ঘরের ঠান্ডা কেটে গিয়ে একটা আরামদায়ক তাপমাত্রা বিরাজ করে; পাশাপাশি মন্দ আত্মারাও পালিয়ে যায় বলে তাঁদের ধারণা।
ভারত, চীন ও পারস্যে ডালিমগাছ রোপণের প্রথা আছে
ডালিম উর্বরতার প্রতীক। পরিবার গঠন করতে ইচ্ছুক দম্পতিদের নতুন বাড়ির কোথাও এই গাছ লাগানো হলে সমৃদ্ধির পাশাপাশি সন্তান-সন্ততি লাভের ইচ্ছাও পূর্ণ হয় বলে এসব দেশের অধিবাসীরা মনে করে। একসময় আমাদের দেশেও নতুন বাড়ি করার পর সে বাড়ির কোথাও একটি ডালিমগাছ লাগানো হতো। সে জন্য গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে একটি ডালিমগাছের দেখা মিলত।
এসবের বাইরেও বিভিন্ন দেশে নতুন বাড়ির মেঝেতে লবণ ছিটিয়ে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। এতে করে মন্দ আত্মারা বিদায় নেয় বলে মনে করা হয়। পশ্চিমা বিভিন্ন দেশে নতুন বাড়িতে ওঠার পর ওয়াইনের নতুন বোতল খুলে পরিবার-পরিজন নিয়ে তা উপভোগ করা হয়।
সূত্র: আরমিশজ
যত দূর চোখ যায় কেবল সাদা সাদা পাথর, মাঝখানে স্বচ্ছ নীল জল আর পাহাড়ে মেঘের আলিঙ্গন। ঝরনার শীতল পানির গন্তব্য ধলাই নদ। স্বচ্ছ নীল জল আর পাহাড়ের সবুজ যেন মিলেমিশে একাকার। সাদা পাথর দেখতে যেতে হবে সিলেট শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে, কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে।
১৩ জুন ২০২৪সবুজ পাহাড়, জলপাইগাছ আর আঙুরবাগানে ঘেরা এক মনোরম গ্রাম রাদিকনদলি। ছবির মতো গ্রামটি ইতালির টাসকানি অঞ্চলের সিয়েনা শহরের কাছে। একসময় প্রাণচঞ্চল মধ্যযুগীয় বসতি হলেও এখন তা প্রায় জনশূন্য। যেখানে আগে ৩ হাজারের মতো মানুষ থাকত, সেখানে এখন বাস করে মাত্র ৯৬৬ জন। গ্রামের ৪৫০টি বাড়ির মধ্যে শতাধিক খালি পড়ে
২ ঘণ্টা আগেশীত আসছে। আসছে রঙিন সবজির দিন। অবশ্য এখন আর রঙিন সবজির জন্য শীতের অপেক্ষায় থাকতে হয় না। সারা বছর প্রায় পাওয়া যায় বিভিন্ন সবজি। তো এই সবজিকেই এবার কাজে লাগান মুরগির মাংস রান্না করতে। ডায়েটে থাকুন আর না থাকুন, এখন থেকে মুরগির মাংস রান্নার সময় আলু যোগ করা বাদ দিন...
৪ ঘণ্টা আগেদেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবারের বৈচিত্র্য ও সমৃদ্ধির স্বাক্ষর নিয়ে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট আয়োজন করেছে এক বিশেষ অনুষ্ঠান। নাম ‘দ্য লোকাল কালিনারি হেরিটেজ অব বাংলাদেশ’। এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অপ্রচলিত এবং হারিয়ে যাওয়া খাবার তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, যাতে সবার সামনে...
১৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক
দেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবারের বৈচিত্র্য ও সমৃদ্ধির স্বাক্ষর নিয়ে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট আয়োজন করেছে এক বিশেষ অনুষ্ঠান। নাম ‘দ্য লোকাল কালিনারি হেরিটেজ অব বাংলাদেশ’। এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অপ্রচলিত এবং হারিয়ে যাওয়া খাবার তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, যাতে সবার সামনে বাংলাদেশের প্রাচীন খাদ্য ঐতিহ্য পুনরায় তুলে ধরা যায়। এ আয়োজন ১৫ অক্টোবর শুরু হয়ে চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। রিজেন্সির গ্র্যান্ডডিওস রেস্টুরেন্টে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অতিথিদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এই আয়োজন।
এই আয়োজন ঢাকা রিজেন্সির নিজস্ব উদ্যোগ। এর মাধ্যমে স্থানীয় খাবারের বৈচিত্র্য ও স্বাদ গ্রহণের সুযোগ পাবেন অতিথিরা। এসব খাবারের মধ্যে থাকবে পুরান ঢাকার বাখরখানি, চট্টগ্রামের মেজবান মাংস, রাজশাহীর চাপাটি, খুলনার চুইঝাল, কক্সবাজারের লইট্টা ভাজি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কালাইয়ের রুটি, চাটগাঁওয়ের কালা ভুনা, সিলেটের সাতকড়া মাংসসহ আরও নানা রকম মুখরোচক খাবার।
মিষ্টি মণ্ডার মধ্যে আছে নাটোরের কাঁচাগোল্লা; নেত্রকোনার বালিশ মিষ্টি; বরগুনার চুইয়া পিঠা, চ্যাবা পিঠা, মুইট্টা পিঠা; বগুড়ার দই; টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ীর চমচম; কুমিল্লার রসমালাই; মেহেরপুরের রস কদম্ব। এ ছাড়া থাকবে হরেক রকমের ভর্তা।
ঢাকা রিজেন্সির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর (কারেন্ট ইনচার্জ) শাহিদ হামিদ এফ আই এইচ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য শুধু একটি খাবারের উৎসব আয়োজন করা নয়, বরং বাংলাদেশের খাবারের ঐতিহ্যকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা। আশা করি, এই আয়োজনের মাধ্যমে দেশি ও বিদেশি অতিথিরা বাংলাদেশের খাবারের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য সম্পর্কে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন।’
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টায় কেক কাটার মাধ্যমে জমজমাট এই আয়োজনের উদ্বোধন করবেন বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী। আরও উপস্থিত থাকবেন ঢাকা রিজেন্সির নির্বাহী পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (কারেন্ট ইনচার্জ) শাহিদ হামিদ এফআইএইচসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, বিদেশি অতিথি ও ফুড ক্রিটিকস, বিভিন্ন দূতাবাস ও এয়ারলাইনসের অতিথিরা।
ঐতিহ্যবাহী নানা খাবারে সাজানো এই বিশাল আয়োজনে খাবার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে জনপ্রতি ৫ হাজার ৫৫৫ টাকা। এ ছাড়া অতিথিদের জন্য থাকবে র্যাফল ড্র। সিলেক্টেড কার্ড হোল্ডার পাবেন বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি। ঢাকা রিজেন্সির লয়্যালটি প্রোগ্রাম প্রিমিয়ার ক্লাব মেম্বাররা বুফে ডিনারে পাবেন অগ্রাধিকার।
দেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবারের বৈচিত্র্য ও সমৃদ্ধির স্বাক্ষর নিয়ে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট আয়োজন করেছে এক বিশেষ অনুষ্ঠান। নাম ‘দ্য লোকাল কালিনারি হেরিটেজ অব বাংলাদেশ’। এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অপ্রচলিত এবং হারিয়ে যাওয়া খাবার তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, যাতে সবার সামনে বাংলাদেশের প্রাচীন খাদ্য ঐতিহ্য পুনরায় তুলে ধরা যায়। এ আয়োজন ১৫ অক্টোবর শুরু হয়ে চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। রিজেন্সির গ্র্যান্ডডিওস রেস্টুরেন্টে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অতিথিদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এই আয়োজন।
এই আয়োজন ঢাকা রিজেন্সির নিজস্ব উদ্যোগ। এর মাধ্যমে স্থানীয় খাবারের বৈচিত্র্য ও স্বাদ গ্রহণের সুযোগ পাবেন অতিথিরা। এসব খাবারের মধ্যে থাকবে পুরান ঢাকার বাখরখানি, চট্টগ্রামের মেজবান মাংস, রাজশাহীর চাপাটি, খুলনার চুইঝাল, কক্সবাজারের লইট্টা ভাজি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কালাইয়ের রুটি, চাটগাঁওয়ের কালা ভুনা, সিলেটের সাতকড়া মাংসসহ আরও নানা রকম মুখরোচক খাবার।
মিষ্টি মণ্ডার মধ্যে আছে নাটোরের কাঁচাগোল্লা; নেত্রকোনার বালিশ মিষ্টি; বরগুনার চুইয়া পিঠা, চ্যাবা পিঠা, মুইট্টা পিঠা; বগুড়ার দই; টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ীর চমচম; কুমিল্লার রসমালাই; মেহেরপুরের রস কদম্ব। এ ছাড়া থাকবে হরেক রকমের ভর্তা।
ঢাকা রিজেন্সির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর (কারেন্ট ইনচার্জ) শাহিদ হামিদ এফ আই এইচ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য শুধু একটি খাবারের উৎসব আয়োজন করা নয়, বরং বাংলাদেশের খাবারের ঐতিহ্যকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা। আশা করি, এই আয়োজনের মাধ্যমে দেশি ও বিদেশি অতিথিরা বাংলাদেশের খাবারের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য সম্পর্কে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন।’
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টায় কেক কাটার মাধ্যমে জমজমাট এই আয়োজনের উদ্বোধন করবেন বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী। আরও উপস্থিত থাকবেন ঢাকা রিজেন্সির নির্বাহী পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (কারেন্ট ইনচার্জ) শাহিদ হামিদ এফআইএইচসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, বিদেশি অতিথি ও ফুড ক্রিটিকস, বিভিন্ন দূতাবাস ও এয়ারলাইনসের অতিথিরা।
ঐতিহ্যবাহী নানা খাবারে সাজানো এই বিশাল আয়োজনে খাবার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে জনপ্রতি ৫ হাজার ৫৫৫ টাকা। এ ছাড়া অতিথিদের জন্য থাকবে র্যাফল ড্র। সিলেক্টেড কার্ড হোল্ডার পাবেন বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি। ঢাকা রিজেন্সির লয়্যালটি প্রোগ্রাম প্রিমিয়ার ক্লাব মেম্বাররা বুফে ডিনারে পাবেন অগ্রাধিকার।
যত দূর চোখ যায় কেবল সাদা সাদা পাথর, মাঝখানে স্বচ্ছ নীল জল আর পাহাড়ে মেঘের আলিঙ্গন। ঝরনার শীতল পানির গন্তব্য ধলাই নদ। স্বচ্ছ নীল জল আর পাহাড়ের সবুজ যেন মিলেমিশে একাকার। সাদা পাথর দেখতে যেতে হবে সিলেট শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে, কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে।
১৩ জুন ২০২৪সবুজ পাহাড়, জলপাইগাছ আর আঙুরবাগানে ঘেরা এক মনোরম গ্রাম রাদিকনদলি। ছবির মতো গ্রামটি ইতালির টাসকানি অঞ্চলের সিয়েনা শহরের কাছে। একসময় প্রাণচঞ্চল মধ্যযুগীয় বসতি হলেও এখন তা প্রায় জনশূন্য। যেখানে আগে ৩ হাজারের মতো মানুষ থাকত, সেখানে এখন বাস করে মাত্র ৯৬৬ জন। গ্রামের ৪৫০টি বাড়ির মধ্যে শতাধিক খালি পড়ে
২ ঘণ্টা আগেশীত আসছে। আসছে রঙিন সবজির দিন। অবশ্য এখন আর রঙিন সবজির জন্য শীতের অপেক্ষায় থাকতে হয় না। সারা বছর প্রায় পাওয়া যায় বিভিন্ন সবজি। তো এই সবজিকেই এবার কাজে লাগান মুরগির মাংস রান্না করতে। ডায়েটে থাকুন আর না থাকুন, এখন থেকে মুরগির মাংস রান্নার সময় আলু যোগ করা বাদ দিন...
৪ ঘণ্টা আগেনতুন বাড়ি মানেই এক দারুণ শিহরণ! তাই সে বাড়িতে ওঠার বিষয়টিও হয় বিশেষ। নতুন বাড়িতে ওঠার সঙ্গে সৌভাগ্য বিষয়টির এক অদৃশ্য যোগাযোগ থাকে বলে মনে করে অনেকে। ফলে সবাই চায়, সেই বাড়ি সৌভাগ্যে ভরে থাক, ভরে থাক ইতিবাচক শক্তিতে। এ জন্য বিভিন্ন দেশে বা সংস্কৃতিতে বিভিন্ন নিয়মকানুন মেনে চলে মানুষ। অধিবাসীদের...
৬ ঘণ্টা আগে