ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন

প্রশ্ন: আমি বাবার বাসায় থাকা অবস্থায় স্বামী আরেকটি বিয়ে করে। সে জানায়, আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে। কিন্তু আমি আজ এক বছরেও কোনো নোটিশ পাইনি। তার বিয়ের পরপরই এক পারিবারিক আইনজীবীর সাহায্যে তার বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করি। আইন ও মামলা বিষয়ে আমার ধারণা না থাকায় আইনজীবী যা বলেছেন, তা-ই করেছি। কোর্ট থেকে ওয়ারেন্ট বের হওয়ার পর তারা আগাম জামিন নিয়েছে, সেটা দুই মাস পর আমি জানতে পেরেছি। সে আমার দেড় বছরের সন্তানের কোনো ভরণপোষণ দেয় না, কোনো খোঁজখবরও রাখে না। আমি এই বয়সে মেয়েটাকে নিয়ে চাকরি করছি। কোথায় যাব, কী করব বুঝতে পারছি না।
আমাদের আইনজীবী কি কোনো ধরনের ছলচাতুরী করেছে? এখন আমাদের কী করা উচিত?
উত্তর: আপনি এক অন্যায় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। আপনার বৈবাহিক অবস্থা এখনো বৈধ। মুসলিম পারিবারিক আইন, ১৯৬১, সেকশন ৭ অনুযায়ী তালাক কার্যকর হওয়ার জন্য তিনটি আইনি শর্ত পূরণ করতে হবে। লিখিত তালাকনামা দিতে হবে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কিংবা সিটি করপোরেশনের মেয়রকে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে। এরপর চেয়ারম্যান ৯০ দিনের মধ্যে সালিসি সভা আহ্বান করবেন এবং সে সময়কাল শেষে তালাক কার্যকর হবে।
আপনি যেহেতু কোনো লিখিত নোটিশ পাননি এবং ইউনিয়ন পরিষদ থেকেও কোনো সালিসি সভার নোটিশ পাননি, তাহলে এ ধরনের তথাকথিত ‘ডিভোর্স’ আইনগতভাবে অবৈধ ও অকার্যকর।
অর্থাৎ, আপনি এখনো তাঁর বৈধ স্ত্রী। তিনি অর্থাৎ আপনার স্বামী যদি আপনার অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করে থাকেন, তাহলে তিনি মুসলিম পারিবারিক আইন, ১৯৬১, সেকশন ৬ অনুযায়ী অপরাধ করেছেন।
সেই অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ড হতে পারে।
আপনি এই অভিযোগ স্থানীয় পারিবারিক কোর্ট বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে দাখিল করতে পারেন।
আপনি নিজের এবং আপনার সন্তানের জন্য পারিবারিক কোর্টে ভরণপোষণের মামলা করতে পারেন মুসলিম পারিবারিক আইন, ১৯৬১, সেকশন ৯ অনুসারে। এই মামলায় আপনি দাবি করতে পারবেন—সন্তানের মাসিক খরচ (খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা ইত্যাদি), নিজের রক্ষণাবেক্ষণ (যেহেতু বৈধ ডিভোর্স হয়নি) এবং অতীতের বকেয়া ভরণপোষণ।
যে কাগজপত্র প্রয়োজন হবে
আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মসনদ, নিকাহনামা (কিংবা বিয়ের সাক্ষী থাকলে তাঁদের বিবৃতি), সন্তানের জন্মসনদ, আপনার স্বামীর ঠিকানা ও পেশার তথ্য, আপনার এবং সন্তানের আনুমানিক মাসিক খরচের হিসাব।
আপনি যৌতুক মামলা ইতিমধ্যে করেছেন বলে জানিয়েছেন। আপনি আদালতে গিয়ে কেস নম্বর এবং পরবর্তী শুনানির তারিখ জেনে নেবেন। যদি দেখেন, আপনার আগের উকিল মামলাটি ইচ্ছাকৃত বিলম্বিত করছেন, তাহলে নতুন উকিল নিয়োগ করে ওকালতনামা পরিবর্তন করুন। নতুন উকিলকে দিয়ে অর্ডার শিট দেখুন। তাতে বোঝা যাবে, মামলার অগ্রগতি কত দূর। আগের উকিল যদি অসততা করে থাকেন, তাহলে আপনি বার কাউন্সিল বা জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনে লিখিত অভিযোগ দাখিল করতে পারেন।
আপনার বাবার পাঠানো আসবাব ও দানসামগ্রী আপনার ব্যক্তিগত সম্পত্তি। আপনার স্বামী যদি সেগুলো নিজের দখলে রেখে ব্যবহার করেন, তাহলে আপনি সিভিল কোর্টে স্ত্রীধন রিকভারি মামলা করতে পারেন। এই মামলায় কোর্ট নির্দেশ দিতে পারেন, যেন ওই সব জিনিস আপনাকে ফেরত দেওয়া হয় কিংবা এর আর্থিক মূল্য আপনাকে দেওয়া হয়।
যদি আপনার বা আপনার সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা থাকে, তবে অবিলম্বে স্থানীয় থানায় জিডি করুন। যদি মানসিক বা শারীরিক হুমকি থাকে, তাহলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ অনুযায়ী মামলা করতে পারেন।
সহায়তা পাওয়ার জন্য জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) অথবা ব্র্যাক লিগ্যাল এইডে আপনি যোগাযোগ করতে পারেন।
পরামর্শ দিয়েছেন
ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন
অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

প্রশ্ন: আমি বাবার বাসায় থাকা অবস্থায় স্বামী আরেকটি বিয়ে করে। সে জানায়, আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে। কিন্তু আমি আজ এক বছরেও কোনো নোটিশ পাইনি। তার বিয়ের পরপরই এক পারিবারিক আইনজীবীর সাহায্যে তার বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করি। আইন ও মামলা বিষয়ে আমার ধারণা না থাকায় আইনজীবী যা বলেছেন, তা-ই করেছি। কোর্ট থেকে ওয়ারেন্ট বের হওয়ার পর তারা আগাম জামিন নিয়েছে, সেটা দুই মাস পর আমি জানতে পেরেছি। সে আমার দেড় বছরের সন্তানের কোনো ভরণপোষণ দেয় না, কোনো খোঁজখবরও রাখে না। আমি এই বয়সে মেয়েটাকে নিয়ে চাকরি করছি। কোথায় যাব, কী করব বুঝতে পারছি না।
আমাদের আইনজীবী কি কোনো ধরনের ছলচাতুরী করেছে? এখন আমাদের কী করা উচিত?
উত্তর: আপনি এক অন্যায় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। আপনার বৈবাহিক অবস্থা এখনো বৈধ। মুসলিম পারিবারিক আইন, ১৯৬১, সেকশন ৭ অনুযায়ী তালাক কার্যকর হওয়ার জন্য তিনটি আইনি শর্ত পূরণ করতে হবে। লিখিত তালাকনামা দিতে হবে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কিংবা সিটি করপোরেশনের মেয়রকে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে। এরপর চেয়ারম্যান ৯০ দিনের মধ্যে সালিসি সভা আহ্বান করবেন এবং সে সময়কাল শেষে তালাক কার্যকর হবে।
আপনি যেহেতু কোনো লিখিত নোটিশ পাননি এবং ইউনিয়ন পরিষদ থেকেও কোনো সালিসি সভার নোটিশ পাননি, তাহলে এ ধরনের তথাকথিত ‘ডিভোর্স’ আইনগতভাবে অবৈধ ও অকার্যকর।
অর্থাৎ, আপনি এখনো তাঁর বৈধ স্ত্রী। তিনি অর্থাৎ আপনার স্বামী যদি আপনার অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করে থাকেন, তাহলে তিনি মুসলিম পারিবারিক আইন, ১৯৬১, সেকশন ৬ অনুযায়ী অপরাধ করেছেন।
সেই অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ড হতে পারে।
আপনি এই অভিযোগ স্থানীয় পারিবারিক কোর্ট বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে দাখিল করতে পারেন।
আপনি নিজের এবং আপনার সন্তানের জন্য পারিবারিক কোর্টে ভরণপোষণের মামলা করতে পারেন মুসলিম পারিবারিক আইন, ১৯৬১, সেকশন ৯ অনুসারে। এই মামলায় আপনি দাবি করতে পারবেন—সন্তানের মাসিক খরচ (খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা ইত্যাদি), নিজের রক্ষণাবেক্ষণ (যেহেতু বৈধ ডিভোর্স হয়নি) এবং অতীতের বকেয়া ভরণপোষণ।
যে কাগজপত্র প্রয়োজন হবে
আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মসনদ, নিকাহনামা (কিংবা বিয়ের সাক্ষী থাকলে তাঁদের বিবৃতি), সন্তানের জন্মসনদ, আপনার স্বামীর ঠিকানা ও পেশার তথ্য, আপনার এবং সন্তানের আনুমানিক মাসিক খরচের হিসাব।
আপনি যৌতুক মামলা ইতিমধ্যে করেছেন বলে জানিয়েছেন। আপনি আদালতে গিয়ে কেস নম্বর এবং পরবর্তী শুনানির তারিখ জেনে নেবেন। যদি দেখেন, আপনার আগের উকিল মামলাটি ইচ্ছাকৃত বিলম্বিত করছেন, তাহলে নতুন উকিল নিয়োগ করে ওকালতনামা পরিবর্তন করুন। নতুন উকিলকে দিয়ে অর্ডার শিট দেখুন। তাতে বোঝা যাবে, মামলার অগ্রগতি কত দূর। আগের উকিল যদি অসততা করে থাকেন, তাহলে আপনি বার কাউন্সিল বা জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনে লিখিত অভিযোগ দাখিল করতে পারেন।
আপনার বাবার পাঠানো আসবাব ও দানসামগ্রী আপনার ব্যক্তিগত সম্পত্তি। আপনার স্বামী যদি সেগুলো নিজের দখলে রেখে ব্যবহার করেন, তাহলে আপনি সিভিল কোর্টে স্ত্রীধন রিকভারি মামলা করতে পারেন। এই মামলায় কোর্ট নির্দেশ দিতে পারেন, যেন ওই সব জিনিস আপনাকে ফেরত দেওয়া হয় কিংবা এর আর্থিক মূল্য আপনাকে দেওয়া হয়।
যদি আপনার বা আপনার সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা থাকে, তবে অবিলম্বে স্থানীয় থানায় জিডি করুন। যদি মানসিক বা শারীরিক হুমকি থাকে, তাহলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ অনুযায়ী মামলা করতে পারেন।
সহায়তা পাওয়ার জন্য জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) অথবা ব্র্যাক লিগ্যাল এইডে আপনি যোগাযোগ করতে পারেন।
পরামর্শ দিয়েছেন
ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন
অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

‘মেয়েদের ফুটবলে বাধা দিতে খনন করে রাখা হয়েছিল খেলার মাঠ। মাঠটা নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল, যাতে গ্রামের মেয়েরা সেখানে খেলতে না পারে।’ কথাগুলো বলছিল ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশৈংকল উপজেলার পূর্ব বলদানি গ্রামের কিশোরী ফুটবলার প্রতিমা রানী। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে বেসরকারি সংস্থা এডুকো বাংলাদেশ বাস্তবায়িত
৯ ঘণ্টা আগে
প্রতিবন্ধিতাবিষয়ক শব্দচয়নের ক্ষেত্রে দেশের গণমাধ্যম এখনো পিছিয়ে আছে। ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের’ নিয়ে সংবাদ প্রচারের সময় অনেক ক্ষেত্রে শুধু ‘প্রতিবন্ধী’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। অথচ আইনে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তি’ ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া শারীরিক ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধিতার ক্ষেত্রে পঙ্গু, অন্ধসহ বিভিন্ন
৫ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়া অনেক জটিল। কয়েকটি প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ জানানোর সুযোগও নেই। এ ছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রযুক্তি সহায়তা নীতিমালা ইংরেজিনির্ভর হয়ে থাকে। এসব কারণে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নারীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার...
৬ দিন আগে
বাংলার ইতিহাস পড়ে এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে শুনে বড় হয়েছেন মেহেরুন নেছা শাহেলী। তাঁদের কথা শুনলেই মনে হতো, বাংলার প্রকৃতিতে এখনো সাগর, নদী, আকাশ, পাখি আর সবুজ আছে। কিন্তু হারিয়ে যাচ্ছে আদি শস্য ও প্রাকৃতিক খাদ্যের আবেদন। সেই অভাব তাঁকে ভাবায়, জাগায় পুনরুদ্ধারের আকাঙ্ক্ষা।
৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘মেয়েদের ফুটবলে বাধা দিতে খনন করে রাখা হয়েছিল খেলার মাঠ। মাঠটা নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল, যাতে গ্রামের মেয়েরা সেখানে খেলতে না পারে।’ কথাগুলো বলছিল ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশৈংকল উপজেলার পূর্ব বলদানি গ্রামের কিশোরী ফুটবলার প্রতিমা রানী। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে বেসরকারি সংস্থা এডুকো বাংলাদেশ বাস্তবায়িত বিভিন্ন শিশু অধিকার প্রকল্পের’ লার্নিং-শেয়ারিং’ অনুষ্ঠানে এসেছিল সে।
প্রতিমা জানায়, তার বাবা একটি ছোট চায়ের দোকান চালান। মা গৃহিণী। বাবাই পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। সীমিত আয়ের কারণে তাদের জীবন সব সময়ই সংগ্রামের। সঙ্গে সামাজিক প্রতিবন্ধকতাও বড় হুমকি হয়ে এসেছিল। তবে এসব কিছুই তাকে আটকে রাখতে পারেনি। গ্রামের সেই খুঁড়ে রাখা মাঠের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে প্রতিমা। ফুটবলে লেফট-উইং পজিশনে খেলে এই কিশোরী। তার স্বপ্ন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা।
প্রতিমা বলে, পাড়া-প্রতিবেশী শুরুর দিকে তেমন সাপোর্ট (সমর্থন) করত না। ভালো নজরে দেখত না। মেয়েরা হাফ প্যান্ট পরে ফুটবল খেলবে, এটা নিয়ে নানা কটুকথা বলত তারা। এখন তারা দেখতেছে মেয়েরা ফুটবল খেলে অনেকটা এগিয়ে যাচ্ছে, তখন একটু ‘সাপোর্ট’ করতেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের শিশু-কিশোরদের সক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য একটি সমন্বিত পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত। কারণ, তারা আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ। বেসরকারি সংস্থাগুলো যে প্রকল্পগুলো নিচ্ছে, সেগুলো চলমান থাকা উচিত। সমস্যা সমাধানে সমষ্টিগত ও প্রভাবমুখী পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি, যা প্রকল্পের সীমার বাইরে দীর্ঘমেয়াদি সুফল নিশ্চিত করবে।’
অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোরের শিক্ষা, সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন বিষয়ে বাস্তবায়িত ৯টি প্রকল্পের মূল শিক্ষাগুলো তুলে ধরে এডুকো বাংলাদেশ। তারা জানায়, ২০২৩ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত গত তিন বছরে এডুকো বাংলাদেশের প্রকল্পগুলো থেকে বিভিন্ন জেলায় গুরুত্বপূর্ণ এবং ইতিবাচক ফল এসেছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাইদুর রহমান খান বলেন, ‘এডুকো শিশু সুরক্ষায় সমন্বিত পদ্ধতি বাস্তবায়ন করছে, যা প্রতিটি শিশুর জন্য নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্ব দেয়। আমরা ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করেছি। ধারাবাহিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা সব শিশুর কল্যাণ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আরও শক্তিশালী প্রচেষ্টা নিতে পারি।’
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, প্রকল্পের উপকারভোগী, উন্নয়ন অংশীদার এবং সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। তারা দেশের শিশু-কিশোর ও যুব উন্নয়নে করণীয় সম্পর্কে মতামত তুলে ধরেন।

‘মেয়েদের ফুটবলে বাধা দিতে খনন করে রাখা হয়েছিল খেলার মাঠ। মাঠটা নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল, যাতে গ্রামের মেয়েরা সেখানে খেলতে না পারে।’ কথাগুলো বলছিল ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশৈংকল উপজেলার পূর্ব বলদানি গ্রামের কিশোরী ফুটবলার প্রতিমা রানী। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে বেসরকারি সংস্থা এডুকো বাংলাদেশ বাস্তবায়িত বিভিন্ন শিশু অধিকার প্রকল্পের’ লার্নিং-শেয়ারিং’ অনুষ্ঠানে এসেছিল সে।
প্রতিমা জানায়, তার বাবা একটি ছোট চায়ের দোকান চালান। মা গৃহিণী। বাবাই পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। সীমিত আয়ের কারণে তাদের জীবন সব সময়ই সংগ্রামের। সঙ্গে সামাজিক প্রতিবন্ধকতাও বড় হুমকি হয়ে এসেছিল। তবে এসব কিছুই তাকে আটকে রাখতে পারেনি। গ্রামের সেই খুঁড়ে রাখা মাঠের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে প্রতিমা। ফুটবলে লেফট-উইং পজিশনে খেলে এই কিশোরী। তার স্বপ্ন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা।
প্রতিমা বলে, পাড়া-প্রতিবেশী শুরুর দিকে তেমন সাপোর্ট (সমর্থন) করত না। ভালো নজরে দেখত না। মেয়েরা হাফ প্যান্ট পরে ফুটবল খেলবে, এটা নিয়ে নানা কটুকথা বলত তারা। এখন তারা দেখতেছে মেয়েরা ফুটবল খেলে অনেকটা এগিয়ে যাচ্ছে, তখন একটু ‘সাপোর্ট’ করতেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের শিশু-কিশোরদের সক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য একটি সমন্বিত পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত। কারণ, তারা আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ। বেসরকারি সংস্থাগুলো যে প্রকল্পগুলো নিচ্ছে, সেগুলো চলমান থাকা উচিত। সমস্যা সমাধানে সমষ্টিগত ও প্রভাবমুখী পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি, যা প্রকল্পের সীমার বাইরে দীর্ঘমেয়াদি সুফল নিশ্চিত করবে।’
অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোরের শিক্ষা, সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন বিষয়ে বাস্তবায়িত ৯টি প্রকল্পের মূল শিক্ষাগুলো তুলে ধরে এডুকো বাংলাদেশ। তারা জানায়, ২০২৩ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত গত তিন বছরে এডুকো বাংলাদেশের প্রকল্পগুলো থেকে বিভিন্ন জেলায় গুরুত্বপূর্ণ এবং ইতিবাচক ফল এসেছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাইদুর রহমান খান বলেন, ‘এডুকো শিশু সুরক্ষায় সমন্বিত পদ্ধতি বাস্তবায়ন করছে, যা প্রতিটি শিশুর জন্য নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্ব দেয়। আমরা ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করেছি। ধারাবাহিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা সব শিশুর কল্যাণ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আরও শক্তিশালী প্রচেষ্টা নিতে পারি।’
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, প্রকল্পের উপকারভোগী, উন্নয়ন অংশীদার এবং সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। তারা দেশের শিশু-কিশোর ও যুব উন্নয়নে করণীয় সম্পর্কে মতামত তুলে ধরেন।

আমি বাবার বাসায় থাকা অবস্থায় স্বামী আরেকটি বিয়ে করে। সে জানায়, আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে। কিন্তু আমি আজ এক বছরেও কোনো নোটিশ পাইনি। তার বিয়ের পরপরই এক পারিবারিক আইনজীবীর সাহায্যে তার বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করি। আইন ও মামলা বিষয়ে আমার ধারণা না থাকায় আইনজীবী যা বলেছেন, তা-ই করেছি।
১৫ অক্টোবর ২০২৫
প্রতিবন্ধিতাবিষয়ক শব্দচয়নের ক্ষেত্রে দেশের গণমাধ্যম এখনো পিছিয়ে আছে। ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের’ নিয়ে সংবাদ প্রচারের সময় অনেক ক্ষেত্রে শুধু ‘প্রতিবন্ধী’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। অথচ আইনে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তি’ ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া শারীরিক ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধিতার ক্ষেত্রে পঙ্গু, অন্ধসহ বিভিন্ন
৫ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়া অনেক জটিল। কয়েকটি প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ জানানোর সুযোগও নেই। এ ছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রযুক্তি সহায়তা নীতিমালা ইংরেজিনির্ভর হয়ে থাকে। এসব কারণে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নারীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার...
৬ দিন আগে
বাংলার ইতিহাস পড়ে এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে শুনে বড় হয়েছেন মেহেরুন নেছা শাহেলী। তাঁদের কথা শুনলেই মনে হতো, বাংলার প্রকৃতিতে এখনো সাগর, নদী, আকাশ, পাখি আর সবুজ আছে। কিন্তু হারিয়ে যাচ্ছে আদি শস্য ও প্রাকৃতিক খাদ্যের আবেদন। সেই অভাব তাঁকে ভাবায়, জাগায় পুনরুদ্ধারের আকাঙ্ক্ষা।
৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রতিবন্ধিতাবিষয়ক শব্দচয়নের ক্ষেত্রে দেশের গণমাধ্যম এখনো পিছিয়ে আছে। ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের’ নিয়ে সংবাদ প্রচারের সময় অনেক ক্ষেত্রে শুধু ‘প্রতিবন্ধী’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। অথচ আইনে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তি’ ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া শারীরিক ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধিতার ক্ষেত্রে পঙ্গু, অন্ধসহ বিভিন্ন নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার করা হয়, যা অমানবিক।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ‘সমতার বাংলাদেশ গঠনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার নিশ্চিতকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সংলাপে বক্তারা গণমাধ্যমে প্রতিবন্ধিতার বিষয়টি আরও অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে ও মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপনের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় ও সংসদীয় আসনের দাবি জানান। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশ ও সাইটসেভার্সের ‘ইকুয়াল বাংলাদেশ’ ক্যাম্পেইনের সহযোগিতায় জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট এই সংলাপের আয়োজন করে।
মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সোসাইটি ফর দ্য চেঞ্জ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি নেক্সাসের (বি-স্ক্যান) সাধারণ সম্পাদক সালমা মাহবুব এবং সাইটসেভার্সের ক্যাম্পেইন অ্যাডভাইজার অয়ন দেবনাথ। সালমা মাহবুব বলেন, ‘প্রতিবন্ধিতা নিয়ে শব্দচয়নের ক্ষেত্রে আমাদের গণমাধ্যম অনেক পিছিয়ে আছে। এখনো যেন আমরা সেই আগের যুগে রয়ে গিয়েছি। প্রতিবন্ধী মানসিক বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে গেলে প্রথমেই বোঝা দরকার যে প্রতিবন্ধিতাটা কী। এটা সম্পর্কে যদি সুস্পষ্ট ধারণা থাকে, তাহলে কাজ করতে কোনো অসুবিধা হবে না।’
অয়ন দেবনাথ বলেন, যদি একটি ভবনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি না যেতে পারে, তাহলে সেটা ভবনটির সমস্যা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির নয়। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার হচ্ছে মানবাধিকার। একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও অপ্রতিবন্ধী ব্যক্তির সমাজের অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ অধিকার থাকতে হবে। এখানে কোনো বৈষম্য করা যাবে না।
সংলাপে আলোচকেরা বলেন, বাংলাদেশে স্কুল, অফিস, সেবা প্রতিষ্ঠানসহ বেশির ভাগ জায়গায় প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো নেই। যার ফলে তাঁরা চাইলেও অনেক জায়গায় অংশ নিতে পারেন না। আসন্ন নির্বাচনেও বহু প্রতিবন্ধী ব্যক্তি তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না।
ইউএনডিপির নির্বাচনী সহায়তা ব্যালট/ ড্রিপ প্রকল্পের প্রধান কারিগরি উপদেষ্টা আন্দ্রেজ দেল ক্যাস্তিলো সানচেজ বলেন, নির্বাচন অবশ্যই অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া উচিত। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও যেন সেখানে সবার মতো অংশ নিতে পারেন এবং ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা থাকা উচিত।
সংলাপে স্বাগত বক্তব্য দেন সাইটসেভার্সের কান্ট্রি ডিরেক্টর অমৃতা রেজিনা রোজারিও। সমাপনী বক্তব্য দেন ইউএনডিপির নেটওয়ার্কিং অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি স্পেশালিস্ট অসীম ডিও। আলোচনায় বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তাঁরা বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা কম নয়। যদিও অধিকার সংখ্যা দিয়ে বিচার হয় না। যদি একজন মানুষ থাকে, তাকেও পূর্ণাঙ্গ অধিকার দিতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংখ্যা নিয়ে একেক রকম তথ্য দেয়, কিন্তু কেউই সঠিক তথ্য দেয় না। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সঠিক তথ্য থাকা উচিত।
বক্তারা বলেন, গণমাধ্যমের উচিত প্রতিবন্ধিতাকে মানববৈচিত্র্য ও অধিকারের অংশ হিসেবে তুলে ধরা। তবেই সমাজে প্রচলিত নেতিবাচক ধারণা ভাঙবে এবং দেশের নীতি-পরিকল্পনা ও জনমানসে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

প্রতিবন্ধিতাবিষয়ক শব্দচয়নের ক্ষেত্রে দেশের গণমাধ্যম এখনো পিছিয়ে আছে। ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের’ নিয়ে সংবাদ প্রচারের সময় অনেক ক্ষেত্রে শুধু ‘প্রতিবন্ধী’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। অথচ আইনে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তি’ ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া শারীরিক ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধিতার ক্ষেত্রে পঙ্গু, অন্ধসহ বিভিন্ন নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার করা হয়, যা অমানবিক।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ‘সমতার বাংলাদেশ গঠনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার নিশ্চিতকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সংলাপে বক্তারা গণমাধ্যমে প্রতিবন্ধিতার বিষয়টি আরও অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে ও মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপনের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় ও সংসদীয় আসনের দাবি জানান। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশ ও সাইটসেভার্সের ‘ইকুয়াল বাংলাদেশ’ ক্যাম্পেইনের সহযোগিতায় জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট এই সংলাপের আয়োজন করে।
মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সোসাইটি ফর দ্য চেঞ্জ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি নেক্সাসের (বি-স্ক্যান) সাধারণ সম্পাদক সালমা মাহবুব এবং সাইটসেভার্সের ক্যাম্পেইন অ্যাডভাইজার অয়ন দেবনাথ। সালমা মাহবুব বলেন, ‘প্রতিবন্ধিতা নিয়ে শব্দচয়নের ক্ষেত্রে আমাদের গণমাধ্যম অনেক পিছিয়ে আছে। এখনো যেন আমরা সেই আগের যুগে রয়ে গিয়েছি। প্রতিবন্ধী মানসিক বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে গেলে প্রথমেই বোঝা দরকার যে প্রতিবন্ধিতাটা কী। এটা সম্পর্কে যদি সুস্পষ্ট ধারণা থাকে, তাহলে কাজ করতে কোনো অসুবিধা হবে না।’
অয়ন দেবনাথ বলেন, যদি একটি ভবনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি না যেতে পারে, তাহলে সেটা ভবনটির সমস্যা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির নয়। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার হচ্ছে মানবাধিকার। একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও অপ্রতিবন্ধী ব্যক্তির সমাজের অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ অধিকার থাকতে হবে। এখানে কোনো বৈষম্য করা যাবে না।
সংলাপে আলোচকেরা বলেন, বাংলাদেশে স্কুল, অফিস, সেবা প্রতিষ্ঠানসহ বেশির ভাগ জায়গায় প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো নেই। যার ফলে তাঁরা চাইলেও অনেক জায়গায় অংশ নিতে পারেন না। আসন্ন নির্বাচনেও বহু প্রতিবন্ধী ব্যক্তি তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না।
ইউএনডিপির নির্বাচনী সহায়তা ব্যালট/ ড্রিপ প্রকল্পের প্রধান কারিগরি উপদেষ্টা আন্দ্রেজ দেল ক্যাস্তিলো সানচেজ বলেন, নির্বাচন অবশ্যই অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া উচিত। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও যেন সেখানে সবার মতো অংশ নিতে পারেন এবং ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা থাকা উচিত।
সংলাপে স্বাগত বক্তব্য দেন সাইটসেভার্সের কান্ট্রি ডিরেক্টর অমৃতা রেজিনা রোজারিও। সমাপনী বক্তব্য দেন ইউএনডিপির নেটওয়ার্কিং অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি স্পেশালিস্ট অসীম ডিও। আলোচনায় বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তাঁরা বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা কম নয়। যদিও অধিকার সংখ্যা দিয়ে বিচার হয় না। যদি একজন মানুষ থাকে, তাকেও পূর্ণাঙ্গ অধিকার দিতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংখ্যা নিয়ে একেক রকম তথ্য দেয়, কিন্তু কেউই সঠিক তথ্য দেয় না। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সঠিক তথ্য থাকা উচিত।
বক্তারা বলেন, গণমাধ্যমের উচিত প্রতিবন্ধিতাকে মানববৈচিত্র্য ও অধিকারের অংশ হিসেবে তুলে ধরা। তবেই সমাজে প্রচলিত নেতিবাচক ধারণা ভাঙবে এবং দেশের নীতি-পরিকল্পনা ও জনমানসে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

আমি বাবার বাসায় থাকা অবস্থায় স্বামী আরেকটি বিয়ে করে। সে জানায়, আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে। কিন্তু আমি আজ এক বছরেও কোনো নোটিশ পাইনি। তার বিয়ের পরপরই এক পারিবারিক আইনজীবীর সাহায্যে তার বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করি। আইন ও মামলা বিষয়ে আমার ধারণা না থাকায় আইনজীবী যা বলেছেন, তা-ই করেছি।
১৫ অক্টোবর ২০২৫
‘মেয়েদের ফুটবলে বাধা দিতে খনন করে রাখা হয়েছিল খেলার মাঠ। মাঠটা নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল, যাতে গ্রামের মেয়েরা সেখানে খেলতে না পারে।’ কথাগুলো বলছিল ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশৈংকল উপজেলার পূর্ব বলদানি গ্রামের কিশোরী ফুটবলার প্রতিমা রানী। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে বেসরকারি সংস্থা এডুকো বাংলাদেশ বাস্তবায়িত
৯ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়া অনেক জটিল। কয়েকটি প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ জানানোর সুযোগও নেই। এ ছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রযুক্তি সহায়তা নীতিমালা ইংরেজিনির্ভর হয়ে থাকে। এসব কারণে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নারীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার...
৬ দিন আগে
বাংলার ইতিহাস পড়ে এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে শুনে বড় হয়েছেন মেহেরুন নেছা শাহেলী। তাঁদের কথা শুনলেই মনে হতো, বাংলার প্রকৃতিতে এখনো সাগর, নদী, আকাশ, পাখি আর সবুজ আছে। কিন্তু হারিয়ে যাচ্ছে আদি শস্য ও প্রাকৃতিক খাদ্যের আবেদন। সেই অভাব তাঁকে ভাবায়, জাগায় পুনরুদ্ধারের আকাঙ্ক্ষা।
৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়া অনেক জটিল। কয়েকটি প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ জানানোর সুযোগও নেই। এ ছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রযুক্তি সহায়তা নীতিমালা ইংরেজিনির্ভর হয়ে থাকে। এসব কারণে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নারীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েও অভিযোগ (রিপোর্ট) জানাতে পারেন না।
আজ বুধবার রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে আজিমুর রহমান কনফারেন্স হলে ‘নারী ও প্রযুক্তি: অনলাইন সহিংসতা নিরসন ও আইনি সুরক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
নারী ও শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা প্ল্যাটফর্ম সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন (সিএসডব্লিউসি) এ সভার আয়োজন করে।
সভায় বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) জ্যেষ্ঠ গবেষণা কর্মকর্তা এবং সিএসডব্লিউসির ফোকাল মনীষা বিশ্বাস মূল নিবন্ধ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম—ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, গুগল ইত্যাদির রিপোর্টিং (অভিযোগ করা) ও প্রযুক্তি সহায়তা প্রক্রিয়া জটিল ও ইংরেজিনির্ভর। অনেক ক্ষেত্রে প্রেক্ষাপট ভিন্ন থাকার কারণে রিপোর্ট ‘পলিসি ভায়োলেশন (নীতিভঙ্গ) নয়’ বলে বাতিল হয়। অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী সরাসরি কীভাবে রিপোর্ট করতে হয়, তা জানেন না৷
মূল নিবন্ধে অতীতের কিছু গবেষণার তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, ৮৮ শতাংশ নারী অনলাইনে হয়রানির শিকার হয়েও অভিযোগ করেন না৷ আরও বলা হয়, এআই জেনারেটেড ছবি, ডিপফেক কনটেন্ট—এগুলো শনাক্ত ও মোকাবিলায় স্থানীয় পর্যায়ে প্রযুক্তি সহায়তা সক্ষমতা সীমিত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রযুক্তি উদ্ভূত লিঙ্গভিত্তিক যৌন সহিংসতা-সংক্রান্ত কনটেন্ট রিপোর্ট করতে পারলেও তা খুব সীমিত। এ ছাড়া ইমো, লাইকির মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে রিপোর্ট করার সুবিধা না থাকায় অপরাধীরা এ ধরনের প্ল্যাটফর্ম বেছে নেয়।
২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন থানা থেকে পাওয়া নারী ও শিশুর প্রতি সাইবার সহিংসতার তথ্য বিশ্লেষণ করে মনীষা বিশ্বাস জানান, থানায় ভুক্তভোগীরা পরামর্শ নেওয়ার পরে মামলা করতে উৎসাহিত না হওয়ায় অভিযোগ নেওয়া হয় না। কিছু ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তি থানায় এসে উপাত্ত সরানোর মাধ্যমে পারস্পরিক মীমাংসারও পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
সভায় নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক নোভা আহমেদ বলেন, ‘সাইবার সহিংসতার কথা যখন বলি, তখন প্রথমে মাথায় আসে, কেন এটা নিয়ে এত চিন্তা করছি। তার একটা কারণ হলো, এটি দ্রুত ছড়িয়ে যায় এবং একে কখনো মুছে ফেলা যায় না। আমাদের দেশে সাইবার সহিংসতার ক্ষেত্রে নারীদের চরিত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রবণতা এখনো গভীরভাবে বিদ্যমান। ‘মি টু’ আন্দোলনে বাংলাদেশি নারীদের অংশগ্রহণ তুলনামূলকভাবে কম হওয়ার পেছনেও এই ভয় কাজ করেছে যে, কথা বললেই তাঁদের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে। বাস্তব জীবনে যেভাবে নারীদের দোষারোপ করা হয়, সেই একই চিত্র ডিজিটাল জগতেও প্রতিফলিত হচ্ছে। এর ফলে নারীরা নিরাপদভাবে অনলাইন পরিসরে বিচরণ করতে পারছেন না।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার হামিদুল মেজবাহ বলেন, ‘ফরেনসিক সাক্ষ্য সংরক্ষণের জন্য থানায় মোবাইল ফোন বা ব্যক্তিগত ডিভাইস জমা দিতে হয়, যা ভুক্তভোগীকে আরও নিরুৎসাহিত করে মামলা করার ক্ষেত্রে। সেই সঙ্গে আমাদের যথাযথ ডেটা নেই যে কতজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন এবং কতজন নারী পুলিশ কর্মকর্তা আছেন, যাঁরা প্রযুক্তি সম্পর্কে সচেতন।’
নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে জাতীয় হেল্পলাইন সেন্টারের হেল্পলাইন ইনচার্জ রাইসুল ইসলাম জানান, নারীর প্রতি সহিংসতার জন্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের গুরুত্ব অনেক বেশি। বর্তমানে ১০৯-এর জরুরি হেল্পলাইন সেবায় ভুক্তভোগীদের চাহিদার ধরনগুলো পরিবর্তন হচ্ছে এবং এখন সাইবারসংক্রান্ত অভিযোগ বেশি আসছে।
ঢাকা ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের উপপুলিশ কমিশনার মোছা. মাকসুদা আক্তার বলেন, সাইবারসংক্রান্ত মামলার ভুক্তভোগীদের জন্য মনোসামাজিক সেবা দরকার। যদি পুলিশের কাছে আসতে ভুক্তভোগীরা ভয় পান, তাহলে কিশোর-কিশোরীদের জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে হেল্পডেস্ক স্থাপন করা দরকার।
সভার সমাপনী বক্তব্যে ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিকস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইআইডি) নির্বাহী পরিচালক সাইদ আহমেদ বলেন, সব সরকারি-বেসরকারি সংস্থার মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করা এবং একে প্রান্তিক নারীবান্ধব করা প্রয়োজন। আইনবিদদের সঙ্গে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের একসঙ্গে বসা খুব জরুরি।
সভায় নারী ও শিশুর প্রতি সাইবার সহিংসতা প্রতিরোধে কিছু সুপারিশ করা হয়। সুপারিশে বলা হয়, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২-কে সংশোধন করে ডিজিটাল শিশু যৌন নিপীড়ন-সংক্রান্ত উপাদান এবং ডিজিটাল অসম্মতিপূর্ণ পর্নোগ্রাফিকে অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। ই-এফআইআর ব্যবস্থা চালু করতে হবে। যার ফলে ভুক্তভোগীকে ব্যক্তিগতভাবে পুলিশ স্টেশনে যেতে হবে না, যা হয়রানি ও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়া অনেক জটিল। কয়েকটি প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ জানানোর সুযোগও নেই। এ ছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রযুক্তি সহায়তা নীতিমালা ইংরেজিনির্ভর হয়ে থাকে। এসব কারণে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নারীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েও অভিযোগ (রিপোর্ট) জানাতে পারেন না।
আজ বুধবার রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে আজিমুর রহমান কনফারেন্স হলে ‘নারী ও প্রযুক্তি: অনলাইন সহিংসতা নিরসন ও আইনি সুরক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
নারী ও শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা প্ল্যাটফর্ম সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন (সিএসডব্লিউসি) এ সভার আয়োজন করে।
সভায় বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) জ্যেষ্ঠ গবেষণা কর্মকর্তা এবং সিএসডব্লিউসির ফোকাল মনীষা বিশ্বাস মূল নিবন্ধ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম—ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, গুগল ইত্যাদির রিপোর্টিং (অভিযোগ করা) ও প্রযুক্তি সহায়তা প্রক্রিয়া জটিল ও ইংরেজিনির্ভর। অনেক ক্ষেত্রে প্রেক্ষাপট ভিন্ন থাকার কারণে রিপোর্ট ‘পলিসি ভায়োলেশন (নীতিভঙ্গ) নয়’ বলে বাতিল হয়। অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী সরাসরি কীভাবে রিপোর্ট করতে হয়, তা জানেন না৷
মূল নিবন্ধে অতীতের কিছু গবেষণার তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, ৮৮ শতাংশ নারী অনলাইনে হয়রানির শিকার হয়েও অভিযোগ করেন না৷ আরও বলা হয়, এআই জেনারেটেড ছবি, ডিপফেক কনটেন্ট—এগুলো শনাক্ত ও মোকাবিলায় স্থানীয় পর্যায়ে প্রযুক্তি সহায়তা সক্ষমতা সীমিত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রযুক্তি উদ্ভূত লিঙ্গভিত্তিক যৌন সহিংসতা-সংক্রান্ত কনটেন্ট রিপোর্ট করতে পারলেও তা খুব সীমিত। এ ছাড়া ইমো, লাইকির মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে রিপোর্ট করার সুবিধা না থাকায় অপরাধীরা এ ধরনের প্ল্যাটফর্ম বেছে নেয়।
২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন থানা থেকে পাওয়া নারী ও শিশুর প্রতি সাইবার সহিংসতার তথ্য বিশ্লেষণ করে মনীষা বিশ্বাস জানান, থানায় ভুক্তভোগীরা পরামর্শ নেওয়ার পরে মামলা করতে উৎসাহিত না হওয়ায় অভিযোগ নেওয়া হয় না। কিছু ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তি থানায় এসে উপাত্ত সরানোর মাধ্যমে পারস্পরিক মীমাংসারও পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
সভায় নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক নোভা আহমেদ বলেন, ‘সাইবার সহিংসতার কথা যখন বলি, তখন প্রথমে মাথায় আসে, কেন এটা নিয়ে এত চিন্তা করছি। তার একটা কারণ হলো, এটি দ্রুত ছড়িয়ে যায় এবং একে কখনো মুছে ফেলা যায় না। আমাদের দেশে সাইবার সহিংসতার ক্ষেত্রে নারীদের চরিত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রবণতা এখনো গভীরভাবে বিদ্যমান। ‘মি টু’ আন্দোলনে বাংলাদেশি নারীদের অংশগ্রহণ তুলনামূলকভাবে কম হওয়ার পেছনেও এই ভয় কাজ করেছে যে, কথা বললেই তাঁদের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে। বাস্তব জীবনে যেভাবে নারীদের দোষারোপ করা হয়, সেই একই চিত্র ডিজিটাল জগতেও প্রতিফলিত হচ্ছে। এর ফলে নারীরা নিরাপদভাবে অনলাইন পরিসরে বিচরণ করতে পারছেন না।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার হামিদুল মেজবাহ বলেন, ‘ফরেনসিক সাক্ষ্য সংরক্ষণের জন্য থানায় মোবাইল ফোন বা ব্যক্তিগত ডিভাইস জমা দিতে হয়, যা ভুক্তভোগীকে আরও নিরুৎসাহিত করে মামলা করার ক্ষেত্রে। সেই সঙ্গে আমাদের যথাযথ ডেটা নেই যে কতজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন এবং কতজন নারী পুলিশ কর্মকর্তা আছেন, যাঁরা প্রযুক্তি সম্পর্কে সচেতন।’
নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে জাতীয় হেল্পলাইন সেন্টারের হেল্পলাইন ইনচার্জ রাইসুল ইসলাম জানান, নারীর প্রতি সহিংসতার জন্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের গুরুত্ব অনেক বেশি। বর্তমানে ১০৯-এর জরুরি হেল্পলাইন সেবায় ভুক্তভোগীদের চাহিদার ধরনগুলো পরিবর্তন হচ্ছে এবং এখন সাইবারসংক্রান্ত অভিযোগ বেশি আসছে।
ঢাকা ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের উপপুলিশ কমিশনার মোছা. মাকসুদা আক্তার বলেন, সাইবারসংক্রান্ত মামলার ভুক্তভোগীদের জন্য মনোসামাজিক সেবা দরকার। যদি পুলিশের কাছে আসতে ভুক্তভোগীরা ভয় পান, তাহলে কিশোর-কিশোরীদের জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে হেল্পডেস্ক স্থাপন করা দরকার।
সভার সমাপনী বক্তব্যে ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিকস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইআইডি) নির্বাহী পরিচালক সাইদ আহমেদ বলেন, সব সরকারি-বেসরকারি সংস্থার মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করা এবং একে প্রান্তিক নারীবান্ধব করা প্রয়োজন। আইনবিদদের সঙ্গে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের একসঙ্গে বসা খুব জরুরি।
সভায় নারী ও শিশুর প্রতি সাইবার সহিংসতা প্রতিরোধে কিছু সুপারিশ করা হয়। সুপারিশে বলা হয়, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২-কে সংশোধন করে ডিজিটাল শিশু যৌন নিপীড়ন-সংক্রান্ত উপাদান এবং ডিজিটাল অসম্মতিপূর্ণ পর্নোগ্রাফিকে অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। ই-এফআইআর ব্যবস্থা চালু করতে হবে। যার ফলে ভুক্তভোগীকে ব্যক্তিগতভাবে পুলিশ স্টেশনে যেতে হবে না, যা হয়রানি ও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে।

আমি বাবার বাসায় থাকা অবস্থায় স্বামী আরেকটি বিয়ে করে। সে জানায়, আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে। কিন্তু আমি আজ এক বছরেও কোনো নোটিশ পাইনি। তার বিয়ের পরপরই এক পারিবারিক আইনজীবীর সাহায্যে তার বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করি। আইন ও মামলা বিষয়ে আমার ধারণা না থাকায় আইনজীবী যা বলেছেন, তা-ই করেছি।
১৫ অক্টোবর ২০২৫
‘মেয়েদের ফুটবলে বাধা দিতে খনন করে রাখা হয়েছিল খেলার মাঠ। মাঠটা নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল, যাতে গ্রামের মেয়েরা সেখানে খেলতে না পারে।’ কথাগুলো বলছিল ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশৈংকল উপজেলার পূর্ব বলদানি গ্রামের কিশোরী ফুটবলার প্রতিমা রানী। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে বেসরকারি সংস্থা এডুকো বাংলাদেশ বাস্তবায়িত
৯ ঘণ্টা আগে
প্রতিবন্ধিতাবিষয়ক শব্দচয়নের ক্ষেত্রে দেশের গণমাধ্যম এখনো পিছিয়ে আছে। ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের’ নিয়ে সংবাদ প্রচারের সময় অনেক ক্ষেত্রে শুধু ‘প্রতিবন্ধী’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। অথচ আইনে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তি’ ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া শারীরিক ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধিতার ক্ষেত্রে পঙ্গু, অন্ধসহ বিভিন্ন
৫ দিন আগে
বাংলার ইতিহাস পড়ে এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে শুনে বড় হয়েছেন মেহেরুন নেছা শাহেলী। তাঁদের কথা শুনলেই মনে হতো, বাংলার প্রকৃতিতে এখনো সাগর, নদী, আকাশ, পাখি আর সবুজ আছে। কিন্তু হারিয়ে যাচ্ছে আদি শস্য ও প্রাকৃতিক খাদ্যের আবেদন। সেই অভাব তাঁকে ভাবায়, জাগায় পুনরুদ্ধারের আকাঙ্ক্ষা।
৭ দিন আগেমুহাম্মদ শফিকুর রহমান

বাংলার ইতিহাস পড়ে এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে শুনে বড় হয়েছেন মেহেরুন নেছা শাহেলী। তাঁদের কথা শুনলেই মনে হতো, বাংলার প্রকৃতিতে এখনো সাগর, নদী, আকাশ, পাখি আর সবুজ আছে। কিন্তু হারিয়ে যাচ্ছে আদি শস্য ও প্রাকৃতিক খাদ্যের আবেদন। সেই অভাব তাঁকে ভাবায়, জাগায় পুনরুদ্ধারের আকাঙ্ক্ষা। আর সেখান থেকে শুরু তাঁর উদ্যোগ—বাংলার আদি খাদ্য ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা। এটি শুধু ব্যবসা নয়, দেশের জন্য কিছু করার দায়বদ্ধতা। সংসার সামলে একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে দাঁড়িয়েছেন শাহেলী। ‘আহরণ’ নামের ফেসবুক পেজের কান্ডারি তিনি।
পরিবার
স্বামী এবং এক সন্তানকে নিয়ে শাহেলীর পরিবার। থাকেন ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায়। চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজি বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন তিনি। উদ্যোক্তা হতে গিয়ে শাহেলী স্বামীর সহযোগিতা পেয়েছেন সব সময়।

শুরুর গল্প
বছর সাতেক আগে শাহেলী ব্যবসায় নেমে পড়েন। প্রথম দিকে টুকটাক সমস্যা হলেও বুদ্ধি করে সব সামলে নেন। শাহেলীর পেজ আহরণে অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজার। সাত বছর আগে খোলা এই পেজ তাঁর বিক্রির মাধ্যম। অবশ্য অফলাইনেও তিনি পণ্য বিক্রি করেন।
কেন উদ্যোক্তা হলেন
পড়াশোনা করে যে চাকরিই করতে হবে, এমন নয়। শাহেলী মনে করেন, উদ্যোক্তা হওয়ার মতো মেধা আর দক্ষতা থাকলে চাকরি না করে নিজে কিছু করে অন্যের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করা উচিত। কাজ করতে করতেই উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছেন শাহেলী; যাকে বলে ঠেকে ঠেকে শেখা।

মাসে আয় আড়াই লাখ টাকা
শুরুতে তাঁর পুঁজি ছিল মাত্র ২০ হাজার টাকা। পরিশ্রম ও দক্ষতায় এখন তাঁর মাসিক বিক্রি পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকায় ওঠানামা করে। প্রতি মাসে গড়ে প্রায় আড়াই লাখ টাকা আয় করেন তিনি। বর্তমানে তাঁর কাজে সহকারী হিসেবে যুক্ত আছেন ১৪ জন।
যা বিক্রি করেন
শাহেলীর পেজ আহরণে পাওয়া যাবে মধু, বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খাবার, খেজুরের গুড়, শুঁটকি, বিভিন্ন প্রজাতির চাল ইত্যাদি।

কাঁচামাল সংগ্রহ
শাহেলী কাঁচামাল পেতে ছুটে বেড়ান কৃষকের দোরগোড়ায়। নিজে উপস্থিত থেকে পণ্যের সব ধরনের কাজ সম্পন্ন করেন। মানের বেলায় তিনি বিন্দুমাত্র ছাড় দেন না। এ কারণে অনেক ক্রেতা বিভিন্ন জায়গায় প্রতারিত হয়ে তাঁর কাছে এসে স্বস্তি খুঁজে পান।
আনন্দ
উদ্যোক্তা হিসেবে শাহেলী এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিচিতি গড়ে তুলেছেন। তাই ভিড়ের মধ্যে একদম অচেনা কেউ এগিয়ে এসে যখন বলেন, ‘আপনি মেহেরুন না? আপনার পণ্যের গুণগত মান সত্যিই অসাধারণ’—সেই প্রশংসা শাহেলীর মন ভরিয়ে দেয়। অচেনা মানুষের এমন আন্তরিক সাড়া তাঁকে আরও অনুপ্রাণিত করে এগিয়ে যেতে।
চ্যালেঞ্জ
একজন নারী সফল উদ্যোক্তা হয়ে দেশের নানান জায়গায় ছুটে বেড়াবে—এটা অনেকে সহজে মেনে নিতে পারে না। শাহেলীর ভাষায়, ‘একজন নারীও পুরুষের মতো মাঠপর্যায়ে কাজ করার সাহস ও সক্ষমতা রাখে। কিন্তু অনেকে নানা অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করে। এতে আমার কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করা হয়।’
তবে শাহেলী জানান, তিনি শুরু থেকে সাহসী। তাই এসব মন্তব্য বা চ্যালেঞ্জ তিনি খুব সহজে সামলে নিতে পারেন। প্রতিটি চ্যালেঞ্জ তাঁর আগামীর পথ আরও দৃঢ় করে।

আফটার সেলস সার্ভিস
নানা কারণে কুরিয়ারে পণ্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাহলে কি ক্রেতা ক্ষতি মেনে নেবে? মোটেই না।
পণ্য নষ্ট হয়ে গেলে গ্রাহক যেভাবে ক্ষতিপূরণ চায়, সেভাবে ক্ষতিপূরণ দেন শাহেলী। আর যারা পণ্য নিতে চায়, পেজে বার্তা পাঠালেই তা ক্রেতার হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
ভবিষ্যৎ
একটা গ্রাম হবে। সেই গ্রামে একজন মানুষ যখন প্রবেশ করবে, দেখবে ঢেঁকিতে ধান ভানা হচ্ছে, নারীরা পাটায় সর পিষছে, ঘানিতে সরিষা ভাঙিয়ে তেল বের হচ্ছে। মোটামুটি বাংলার আদি চিত্র দেখা যাবে সেই গ্রামে। এমন স্বপ্ন শাহেলীর। এ ধরনের একটি গ্রাম প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা তাঁর।

বাংলার ইতিহাস পড়ে এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে শুনে বড় হয়েছেন মেহেরুন নেছা শাহেলী। তাঁদের কথা শুনলেই মনে হতো, বাংলার প্রকৃতিতে এখনো সাগর, নদী, আকাশ, পাখি আর সবুজ আছে। কিন্তু হারিয়ে যাচ্ছে আদি শস্য ও প্রাকৃতিক খাদ্যের আবেদন। সেই অভাব তাঁকে ভাবায়, জাগায় পুনরুদ্ধারের আকাঙ্ক্ষা। আর সেখান থেকে শুরু তাঁর উদ্যোগ—বাংলার আদি খাদ্য ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা। এটি শুধু ব্যবসা নয়, দেশের জন্য কিছু করার দায়বদ্ধতা। সংসার সামলে একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে দাঁড়িয়েছেন শাহেলী। ‘আহরণ’ নামের ফেসবুক পেজের কান্ডারি তিনি।
পরিবার
স্বামী এবং এক সন্তানকে নিয়ে শাহেলীর পরিবার। থাকেন ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায়। চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজি বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন তিনি। উদ্যোক্তা হতে গিয়ে শাহেলী স্বামীর সহযোগিতা পেয়েছেন সব সময়।

শুরুর গল্প
বছর সাতেক আগে শাহেলী ব্যবসায় নেমে পড়েন। প্রথম দিকে টুকটাক সমস্যা হলেও বুদ্ধি করে সব সামলে নেন। শাহেলীর পেজ আহরণে অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজার। সাত বছর আগে খোলা এই পেজ তাঁর বিক্রির মাধ্যম। অবশ্য অফলাইনেও তিনি পণ্য বিক্রি করেন।
কেন উদ্যোক্তা হলেন
পড়াশোনা করে যে চাকরিই করতে হবে, এমন নয়। শাহেলী মনে করেন, উদ্যোক্তা হওয়ার মতো মেধা আর দক্ষতা থাকলে চাকরি না করে নিজে কিছু করে অন্যের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করা উচিত। কাজ করতে করতেই উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছেন শাহেলী; যাকে বলে ঠেকে ঠেকে শেখা।

মাসে আয় আড়াই লাখ টাকা
শুরুতে তাঁর পুঁজি ছিল মাত্র ২০ হাজার টাকা। পরিশ্রম ও দক্ষতায় এখন তাঁর মাসিক বিক্রি পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকায় ওঠানামা করে। প্রতি মাসে গড়ে প্রায় আড়াই লাখ টাকা আয় করেন তিনি। বর্তমানে তাঁর কাজে সহকারী হিসেবে যুক্ত আছেন ১৪ জন।
যা বিক্রি করেন
শাহেলীর পেজ আহরণে পাওয়া যাবে মধু, বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খাবার, খেজুরের গুড়, শুঁটকি, বিভিন্ন প্রজাতির চাল ইত্যাদি।

কাঁচামাল সংগ্রহ
শাহেলী কাঁচামাল পেতে ছুটে বেড়ান কৃষকের দোরগোড়ায়। নিজে উপস্থিত থেকে পণ্যের সব ধরনের কাজ সম্পন্ন করেন। মানের বেলায় তিনি বিন্দুমাত্র ছাড় দেন না। এ কারণে অনেক ক্রেতা বিভিন্ন জায়গায় প্রতারিত হয়ে তাঁর কাছে এসে স্বস্তি খুঁজে পান।
আনন্দ
উদ্যোক্তা হিসেবে শাহেলী এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিচিতি গড়ে তুলেছেন। তাই ভিড়ের মধ্যে একদম অচেনা কেউ এগিয়ে এসে যখন বলেন, ‘আপনি মেহেরুন না? আপনার পণ্যের গুণগত মান সত্যিই অসাধারণ’—সেই প্রশংসা শাহেলীর মন ভরিয়ে দেয়। অচেনা মানুষের এমন আন্তরিক সাড়া তাঁকে আরও অনুপ্রাণিত করে এগিয়ে যেতে।
চ্যালেঞ্জ
একজন নারী সফল উদ্যোক্তা হয়ে দেশের নানান জায়গায় ছুটে বেড়াবে—এটা অনেকে সহজে মেনে নিতে পারে না। শাহেলীর ভাষায়, ‘একজন নারীও পুরুষের মতো মাঠপর্যায়ে কাজ করার সাহস ও সক্ষমতা রাখে। কিন্তু অনেকে নানা অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করে। এতে আমার কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করা হয়।’
তবে শাহেলী জানান, তিনি শুরু থেকে সাহসী। তাই এসব মন্তব্য বা চ্যালেঞ্জ তিনি খুব সহজে সামলে নিতে পারেন। প্রতিটি চ্যালেঞ্জ তাঁর আগামীর পথ আরও দৃঢ় করে।

আফটার সেলস সার্ভিস
নানা কারণে কুরিয়ারে পণ্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাহলে কি ক্রেতা ক্ষতি মেনে নেবে? মোটেই না।
পণ্য নষ্ট হয়ে গেলে গ্রাহক যেভাবে ক্ষতিপূরণ চায়, সেভাবে ক্ষতিপূরণ দেন শাহেলী। আর যারা পণ্য নিতে চায়, পেজে বার্তা পাঠালেই তা ক্রেতার হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
ভবিষ্যৎ
একটা গ্রাম হবে। সেই গ্রামে একজন মানুষ যখন প্রবেশ করবে, দেখবে ঢেঁকিতে ধান ভানা হচ্ছে, নারীরা পাটায় সর পিষছে, ঘানিতে সরিষা ভাঙিয়ে তেল বের হচ্ছে। মোটামুটি বাংলার আদি চিত্র দেখা যাবে সেই গ্রামে। এমন স্বপ্ন শাহেলীর। এ ধরনের একটি গ্রাম প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা তাঁর।

আমি বাবার বাসায় থাকা অবস্থায় স্বামী আরেকটি বিয়ে করে। সে জানায়, আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে। কিন্তু আমি আজ এক বছরেও কোনো নোটিশ পাইনি। তার বিয়ের পরপরই এক পারিবারিক আইনজীবীর সাহায্যে তার বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করি। আইন ও মামলা বিষয়ে আমার ধারণা না থাকায় আইনজীবী যা বলেছেন, তা-ই করেছি।
১৫ অক্টোবর ২০২৫
‘মেয়েদের ফুটবলে বাধা দিতে খনন করে রাখা হয়েছিল খেলার মাঠ। মাঠটা নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল, যাতে গ্রামের মেয়েরা সেখানে খেলতে না পারে।’ কথাগুলো বলছিল ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশৈংকল উপজেলার পূর্ব বলদানি গ্রামের কিশোরী ফুটবলার প্রতিমা রানী। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে বেসরকারি সংস্থা এডুকো বাংলাদেশ বাস্তবায়িত
৯ ঘণ্টা আগে
প্রতিবন্ধিতাবিষয়ক শব্দচয়নের ক্ষেত্রে দেশের গণমাধ্যম এখনো পিছিয়ে আছে। ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের’ নিয়ে সংবাদ প্রচারের সময় অনেক ক্ষেত্রে শুধু ‘প্রতিবন্ধী’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। অথচ আইনে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তি’ ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া শারীরিক ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধিতার ক্ষেত্রে পঙ্গু, অন্ধসহ বিভিন্ন
৫ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়া অনেক জটিল। কয়েকটি প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ জানানোর সুযোগও নেই। এ ছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রযুক্তি সহায়তা নীতিমালা ইংরেজিনির্ভর হয়ে থাকে। এসব কারণে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নারীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার...
৬ দিন আগে