আজকের পত্রিকা ডেস্ক
গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে করা শান্তিচুক্তির পর হামাসের অবস্থান নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে। প্রয়োজন হলে ‘সহিংস’ উপায় অবলম্বন করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ট্রাম্প বলেন, ‘যদি তারা অস্ত্র নামিয়ে না রাখে, তাহলে আমরাই তাদের নিরস্ত্র করব—তা হবে দ্রুত, আর প্রয়োজনে সহিংসভাবেও। তবে তারা নিরস্ত্র হবে, বুঝতে পারছেন তো?’ তিনি আরও বলেন, এটি ‘যুক্তিসংগত সময়সীমার মধ্যেই’ হওয়া উচিত।
এই সপ্তাহে গাজায় ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় করা যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সবচেয়ে বড় প্রশ্নগুলোর একটি হলো, হামাসকে কীভাবে নিরস্ত্র করা হবে এবং তারা কবে গাজা ছাড়বে, বিশেষ করে তার ২০ দফা শান্তিচুক্তির দ্বিতীয় ধাপ কার্যকর হলে।
ট্রাম্পের আগের বক্তব্যগুলো থেকে ধারণা পাওয়া গিয়েছিল, গাজায় হামাসকে সীমিত ভূমিকায় থাকতে দেওয়া হতে পারে। এরই মধ্যে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসের দূতদের সঙ্গে হামাস নেতাদের সরাসরি বৈঠক হয়েছে, যা দুই পক্ষের মধ্যে অনুষ্ঠিত সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈঠক।
এর আগেও ট্রাম্প বলেছিলেন, স্বল্প মেয়াদে হামাসকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সীমিত ভূমিকা রাখতে দেওয়া হতে পারে। এতে প্রশ্ন উঠেছে, হামাস ও ইসরায়েলকে পুনরায় সংঘাতে জড়িয়ে পড়া থেকে কীভাবে বিরত রাখা সম্ভব হবে।
মঙ্গলবার হামাস একটি ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে দেখা যায় তারা আটজন চোখ বাঁধা, হাত বাঁধা ও হাঁটু গেড়ে বসা ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করছে।
ইসরায়েলের ‘সহযোগী ও সমাজবিরোধী’ হিসেবে ওই ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে গুলি করে হত্যার দাবি করে হামাস। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরের পর হামাস গাজার ‘ফিলিস্তিনি অপরাধী চক্র ও গোত্রীয় গোষ্ঠীগুলোর’ বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে।
এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ শুরু হওয়ার আগে হামাসকে সীমিতভাবে নিরাপত্তা রক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে। যদিও তার ২০ দফা শান্তিচুক্তিতে স্পষ্টভাবে বলা আছে, হামাসকে নিরস্ত্র হতে হবে এবং গাজা দখলের লক্ষ্য ত্যাগ করতে হবে।
ট্রাম্প বলেন, ‘হামাস এখনো টিকে আছে। কারণ, তারা সমস্যার অবসান চায়। তারা তা স্পষ্টভাবেই জানিয়েছে। আমরা তাদের কিছু সময়ের জন্য অনুমতি দিয়েছি।’
ট্রাম্প আরও বলেন, গাজা পুনর্গঠন একটি কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হবে এবং এ জন্য মাঠপর্যায়ের শক্তিগুলোর সঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন।
মিসরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় ট্রাম্প বলেন, ‘শান্তিচুক্তির দ্বিতীয় ধাপ আমাদের দৃষ্টিতে শুরু হয়ে গেছে।, যদিও তিনি জানান, কিছু দিক সময়ের সঙ্গে বাস্তবায়িত হবে।
ট্রাম্প বলেন, ‘দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়েছে। সব ধাপ কিছুটা একসঙ্গে মিশে আছে। গাজা এখন পরিষ্কার করতে হবে—ওখানে অনেক কিছুই গুছিয়ে নিতে হবে।’
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে হামাস নেতাদের এক বৈঠকের পর এই মন্তব্য করেন ট্রাম্প। ওই বৈঠকে কুশনার ব্যক্তিগতভাবে হামাসকে আশ্বাস দেন যে তারা শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করলে ট্রাম্প ইসরায়েলকে পুনরায় সংঘাত শুরু করতে বাধা দেবেন।
গত বুধবার অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ছিলেন হামাসের রাজনৈতিক নেতা খালিল আল-হায়া, যিনি গত মাসে দোহায় ইসরায়েলের এক হত্যাচেষ্টায় বেঁচে যান।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, এটি ছিল হোয়াইট হাউস ও হামাসের মধ্যে প্রথম বৈঠক, যা এর আগে মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের জিম্মি বিষয়ক দূত অ্যাডাম বোহলার হামাস নেতাদের সঙ্গে দোহায় বৈঠকের পর আর হয়নি। সে সময় তিনি মার্কিন-ইসরায়েলি জিম্মি এডান আলেকজান্ডার ও হামাসের হাতে থাকা আরও চারজন মার্কিন নাগরিকের মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন।
গত সপ্তাহের ৪৫ মিনিটের বৈঠকে উইটকফ হামাসকে বলেন, ‘জিম্মিরা এখন আপনাদের জন্য সম্পদের চেয়ে বোঝা বেশি। এখনই তাদের মুক্তি দেওয়ার সময়।’
অ্যাক্সিওসের সূত্র জানায়, উইটকফ বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বার্তা হলো—আপনাদের সঙ্গে ন্যায্য আচরণ করা হবে এবং তিনি তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রতিটি দফা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।’
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, এই সরাসরি বৈঠকই ছিল শান্তিচুক্তি নিশ্চিত করার মূল চাবিকাঠি। বৈঠকের পর মিসর, তুরস্ক ও কাতারের গোয়েন্দাপ্রধানেরা আলাদা করে হামাস প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং পরে উইটকফ ও কুশনারকে বলেন, ‘আমরা যেই বৈঠক শেষ করেছি, তাতে আমরা একমত হয়েছি—চুক্তি হয়েছে।’
গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে করা শান্তিচুক্তির পর হামাসের অবস্থান নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে। প্রয়োজন হলে ‘সহিংস’ উপায় অবলম্বন করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ট্রাম্প বলেন, ‘যদি তারা অস্ত্র নামিয়ে না রাখে, তাহলে আমরাই তাদের নিরস্ত্র করব—তা হবে দ্রুত, আর প্রয়োজনে সহিংসভাবেও। তবে তারা নিরস্ত্র হবে, বুঝতে পারছেন তো?’ তিনি আরও বলেন, এটি ‘যুক্তিসংগত সময়সীমার মধ্যেই’ হওয়া উচিত।
এই সপ্তাহে গাজায় ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় করা যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সবচেয়ে বড় প্রশ্নগুলোর একটি হলো, হামাসকে কীভাবে নিরস্ত্র করা হবে এবং তারা কবে গাজা ছাড়বে, বিশেষ করে তার ২০ দফা শান্তিচুক্তির দ্বিতীয় ধাপ কার্যকর হলে।
ট্রাম্পের আগের বক্তব্যগুলো থেকে ধারণা পাওয়া গিয়েছিল, গাজায় হামাসকে সীমিত ভূমিকায় থাকতে দেওয়া হতে পারে। এরই মধ্যে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসের দূতদের সঙ্গে হামাস নেতাদের সরাসরি বৈঠক হয়েছে, যা দুই পক্ষের মধ্যে অনুষ্ঠিত সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈঠক।
এর আগেও ট্রাম্প বলেছিলেন, স্বল্প মেয়াদে হামাসকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সীমিত ভূমিকা রাখতে দেওয়া হতে পারে। এতে প্রশ্ন উঠেছে, হামাস ও ইসরায়েলকে পুনরায় সংঘাতে জড়িয়ে পড়া থেকে কীভাবে বিরত রাখা সম্ভব হবে।
মঙ্গলবার হামাস একটি ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে দেখা যায় তারা আটজন চোখ বাঁধা, হাত বাঁধা ও হাঁটু গেড়ে বসা ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করছে।
ইসরায়েলের ‘সহযোগী ও সমাজবিরোধী’ হিসেবে ওই ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে গুলি করে হত্যার দাবি করে হামাস। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরের পর হামাস গাজার ‘ফিলিস্তিনি অপরাধী চক্র ও গোত্রীয় গোষ্ঠীগুলোর’ বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে।
এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ শুরু হওয়ার আগে হামাসকে সীমিতভাবে নিরাপত্তা রক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে। যদিও তার ২০ দফা শান্তিচুক্তিতে স্পষ্টভাবে বলা আছে, হামাসকে নিরস্ত্র হতে হবে এবং গাজা দখলের লক্ষ্য ত্যাগ করতে হবে।
ট্রাম্প বলেন, ‘হামাস এখনো টিকে আছে। কারণ, তারা সমস্যার অবসান চায়। তারা তা স্পষ্টভাবেই জানিয়েছে। আমরা তাদের কিছু সময়ের জন্য অনুমতি দিয়েছি।’
ট্রাম্প আরও বলেন, গাজা পুনর্গঠন একটি কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হবে এবং এ জন্য মাঠপর্যায়ের শক্তিগুলোর সঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন।
মিসরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় ট্রাম্প বলেন, ‘শান্তিচুক্তির দ্বিতীয় ধাপ আমাদের দৃষ্টিতে শুরু হয়ে গেছে।, যদিও তিনি জানান, কিছু দিক সময়ের সঙ্গে বাস্তবায়িত হবে।
ট্রাম্প বলেন, ‘দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়েছে। সব ধাপ কিছুটা একসঙ্গে মিশে আছে। গাজা এখন পরিষ্কার করতে হবে—ওখানে অনেক কিছুই গুছিয়ে নিতে হবে।’
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে হামাস নেতাদের এক বৈঠকের পর এই মন্তব্য করেন ট্রাম্প। ওই বৈঠকে কুশনার ব্যক্তিগতভাবে হামাসকে আশ্বাস দেন যে তারা শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করলে ট্রাম্প ইসরায়েলকে পুনরায় সংঘাত শুরু করতে বাধা দেবেন।
গত বুধবার অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ছিলেন হামাসের রাজনৈতিক নেতা খালিল আল-হায়া, যিনি গত মাসে দোহায় ইসরায়েলের এক হত্যাচেষ্টায় বেঁচে যান।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, এটি ছিল হোয়াইট হাউস ও হামাসের মধ্যে প্রথম বৈঠক, যা এর আগে মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের জিম্মি বিষয়ক দূত অ্যাডাম বোহলার হামাস নেতাদের সঙ্গে দোহায় বৈঠকের পর আর হয়নি। সে সময় তিনি মার্কিন-ইসরায়েলি জিম্মি এডান আলেকজান্ডার ও হামাসের হাতে থাকা আরও চারজন মার্কিন নাগরিকের মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন।
গত সপ্তাহের ৪৫ মিনিটের বৈঠকে উইটকফ হামাসকে বলেন, ‘জিম্মিরা এখন আপনাদের জন্য সম্পদের চেয়ে বোঝা বেশি। এখনই তাদের মুক্তি দেওয়ার সময়।’
অ্যাক্সিওসের সূত্র জানায়, উইটকফ বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বার্তা হলো—আপনাদের সঙ্গে ন্যায্য আচরণ করা হবে এবং তিনি তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রতিটি দফা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।’
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, এই সরাসরি বৈঠকই ছিল শান্তিচুক্তি নিশ্চিত করার মূল চাবিকাঠি। বৈঠকের পর মিসর, তুরস্ক ও কাতারের গোয়েন্দাপ্রধানেরা আলাদা করে হামাস প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং পরে উইটকফ ও কুশনারকে বলেন, ‘আমরা যেই বৈঠক শেষ করেছি, তাতে আমরা একমত হয়েছি—চুক্তি হয়েছে।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে করা শান্তিচুক্তির পর হামাসের অবস্থান নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে। প্রয়োজন হলে ‘সহিংস’ উপায় অবলম্বন করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ট্রাম্প বলেন, ‘যদি তারা অস্ত্র নামিয়ে না রাখে, তাহলে আমরাই তাদের নিরস্ত্র করব—তা হবে দ্রুত, আর প্রয়োজনে সহিংসভাবেও। তবে তারা নিরস্ত্র হবে, বুঝতে পারছেন তো?’ তিনি আরও বলেন, এটি ‘যুক্তিসংগত সময়সীমার মধ্যেই’ হওয়া উচিত।
এই সপ্তাহে গাজায় ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় করা যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সবচেয়ে বড় প্রশ্নগুলোর একটি হলো, হামাসকে কীভাবে নিরস্ত্র করা হবে এবং তারা কবে গাজা ছাড়বে, বিশেষ করে তার ২০ দফা শান্তিচুক্তির দ্বিতীয় ধাপ কার্যকর হলে।
ট্রাম্পের আগের বক্তব্যগুলো থেকে ধারণা পাওয়া গিয়েছিল, গাজায় হামাসকে সীমিত ভূমিকায় থাকতে দেওয়া হতে পারে। এরই মধ্যে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসের দূতদের সঙ্গে হামাস নেতাদের সরাসরি বৈঠক হয়েছে, যা দুই পক্ষের মধ্যে অনুষ্ঠিত সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈঠক।
এর আগেও ট্রাম্প বলেছিলেন, স্বল্প মেয়াদে হামাসকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সীমিত ভূমিকা রাখতে দেওয়া হতে পারে। এতে প্রশ্ন উঠেছে, হামাস ও ইসরায়েলকে পুনরায় সংঘাতে জড়িয়ে পড়া থেকে কীভাবে বিরত রাখা সম্ভব হবে।
মঙ্গলবার হামাস একটি ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে দেখা যায় তারা আটজন চোখ বাঁধা, হাত বাঁধা ও হাঁটু গেড়ে বসা ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করছে।
ইসরায়েলের ‘সহযোগী ও সমাজবিরোধী’ হিসেবে ওই ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে গুলি করে হত্যার দাবি করে হামাস। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরের পর হামাস গাজার ‘ফিলিস্তিনি অপরাধী চক্র ও গোত্রীয় গোষ্ঠীগুলোর’ বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে।
এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ শুরু হওয়ার আগে হামাসকে সীমিতভাবে নিরাপত্তা রক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে। যদিও তার ২০ দফা শান্তিচুক্তিতে স্পষ্টভাবে বলা আছে, হামাসকে নিরস্ত্র হতে হবে এবং গাজা দখলের লক্ষ্য ত্যাগ করতে হবে।
ট্রাম্প বলেন, ‘হামাস এখনো টিকে আছে। কারণ, তারা সমস্যার অবসান চায়। তারা তা স্পষ্টভাবেই জানিয়েছে। আমরা তাদের কিছু সময়ের জন্য অনুমতি দিয়েছি।’
ট্রাম্প আরও বলেন, গাজা পুনর্গঠন একটি কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হবে এবং এ জন্য মাঠপর্যায়ের শক্তিগুলোর সঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন।
মিসরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় ট্রাম্প বলেন, ‘শান্তিচুক্তির দ্বিতীয় ধাপ আমাদের দৃষ্টিতে শুরু হয়ে গেছে।, যদিও তিনি জানান, কিছু দিক সময়ের সঙ্গে বাস্তবায়িত হবে।
ট্রাম্প বলেন, ‘দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়েছে। সব ধাপ কিছুটা একসঙ্গে মিশে আছে। গাজা এখন পরিষ্কার করতে হবে—ওখানে অনেক কিছুই গুছিয়ে নিতে হবে।’
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে হামাস নেতাদের এক বৈঠকের পর এই মন্তব্য করেন ট্রাম্প। ওই বৈঠকে কুশনার ব্যক্তিগতভাবে হামাসকে আশ্বাস দেন যে তারা শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করলে ট্রাম্প ইসরায়েলকে পুনরায় সংঘাত শুরু করতে বাধা দেবেন।
গত বুধবার অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ছিলেন হামাসের রাজনৈতিক নেতা খালিল আল-হায়া, যিনি গত মাসে দোহায় ইসরায়েলের এক হত্যাচেষ্টায় বেঁচে যান।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, এটি ছিল হোয়াইট হাউস ও হামাসের মধ্যে প্রথম বৈঠক, যা এর আগে মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের জিম্মি বিষয়ক দূত অ্যাডাম বোহলার হামাস নেতাদের সঙ্গে দোহায় বৈঠকের পর আর হয়নি। সে সময় তিনি মার্কিন-ইসরায়েলি জিম্মি এডান আলেকজান্ডার ও হামাসের হাতে থাকা আরও চারজন মার্কিন নাগরিকের মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন।
গত সপ্তাহের ৪৫ মিনিটের বৈঠকে উইটকফ হামাসকে বলেন, ‘জিম্মিরা এখন আপনাদের জন্য সম্পদের চেয়ে বোঝা বেশি। এখনই তাদের মুক্তি দেওয়ার সময়।’
অ্যাক্সিওসের সূত্র জানায়, উইটকফ বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বার্তা হলো—আপনাদের সঙ্গে ন্যায্য আচরণ করা হবে এবং তিনি তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রতিটি দফা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।’
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, এই সরাসরি বৈঠকই ছিল শান্তিচুক্তি নিশ্চিত করার মূল চাবিকাঠি। বৈঠকের পর মিসর, তুরস্ক ও কাতারের গোয়েন্দাপ্রধানেরা আলাদা করে হামাস প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং পরে উইটকফ ও কুশনারকে বলেন, ‘আমরা যেই বৈঠক শেষ করেছি, তাতে আমরা একমত হয়েছি—চুক্তি হয়েছে।’
গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে করা শান্তিচুক্তির পর হামাসের অবস্থান নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে। প্রয়োজন হলে ‘সহিংস’ উপায় অবলম্বন করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ট্রাম্প বলেন, ‘যদি তারা অস্ত্র নামিয়ে না রাখে, তাহলে আমরাই তাদের নিরস্ত্র করব—তা হবে দ্রুত, আর প্রয়োজনে সহিংসভাবেও। তবে তারা নিরস্ত্র হবে, বুঝতে পারছেন তো?’ তিনি আরও বলেন, এটি ‘যুক্তিসংগত সময়সীমার মধ্যেই’ হওয়া উচিত।
এই সপ্তাহে গাজায় ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় করা যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সবচেয়ে বড় প্রশ্নগুলোর একটি হলো, হামাসকে কীভাবে নিরস্ত্র করা হবে এবং তারা কবে গাজা ছাড়বে, বিশেষ করে তার ২০ দফা শান্তিচুক্তির দ্বিতীয় ধাপ কার্যকর হলে।
ট্রাম্পের আগের বক্তব্যগুলো থেকে ধারণা পাওয়া গিয়েছিল, গাজায় হামাসকে সীমিত ভূমিকায় থাকতে দেওয়া হতে পারে। এরই মধ্যে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসের দূতদের সঙ্গে হামাস নেতাদের সরাসরি বৈঠক হয়েছে, যা দুই পক্ষের মধ্যে অনুষ্ঠিত সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈঠক।
এর আগেও ট্রাম্প বলেছিলেন, স্বল্প মেয়াদে হামাসকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সীমিত ভূমিকা রাখতে দেওয়া হতে পারে। এতে প্রশ্ন উঠেছে, হামাস ও ইসরায়েলকে পুনরায় সংঘাতে জড়িয়ে পড়া থেকে কীভাবে বিরত রাখা সম্ভব হবে।
মঙ্গলবার হামাস একটি ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে দেখা যায় তারা আটজন চোখ বাঁধা, হাত বাঁধা ও হাঁটু গেড়ে বসা ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করছে।
ইসরায়েলের ‘সহযোগী ও সমাজবিরোধী’ হিসেবে ওই ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে গুলি করে হত্যার দাবি করে হামাস। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরের পর হামাস গাজার ‘ফিলিস্তিনি অপরাধী চক্র ও গোত্রীয় গোষ্ঠীগুলোর’ বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে।
এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ শুরু হওয়ার আগে হামাসকে সীমিতভাবে নিরাপত্তা রক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে। যদিও তার ২০ দফা শান্তিচুক্তিতে স্পষ্টভাবে বলা আছে, হামাসকে নিরস্ত্র হতে হবে এবং গাজা দখলের লক্ষ্য ত্যাগ করতে হবে।
ট্রাম্প বলেন, ‘হামাস এখনো টিকে আছে। কারণ, তারা সমস্যার অবসান চায়। তারা তা স্পষ্টভাবেই জানিয়েছে। আমরা তাদের কিছু সময়ের জন্য অনুমতি দিয়েছি।’
ট্রাম্প আরও বলেন, গাজা পুনর্গঠন একটি কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হবে এবং এ জন্য মাঠপর্যায়ের শক্তিগুলোর সঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন।
মিসরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় ট্রাম্প বলেন, ‘শান্তিচুক্তির দ্বিতীয় ধাপ আমাদের দৃষ্টিতে শুরু হয়ে গেছে।, যদিও তিনি জানান, কিছু দিক সময়ের সঙ্গে বাস্তবায়িত হবে।
ট্রাম্প বলেন, ‘দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়েছে। সব ধাপ কিছুটা একসঙ্গে মিশে আছে। গাজা এখন পরিষ্কার করতে হবে—ওখানে অনেক কিছুই গুছিয়ে নিতে হবে।’
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে হামাস নেতাদের এক বৈঠকের পর এই মন্তব্য করেন ট্রাম্প। ওই বৈঠকে কুশনার ব্যক্তিগতভাবে হামাসকে আশ্বাস দেন যে তারা শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করলে ট্রাম্প ইসরায়েলকে পুনরায় সংঘাত শুরু করতে বাধা দেবেন।
গত বুধবার অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ছিলেন হামাসের রাজনৈতিক নেতা খালিল আল-হায়া, যিনি গত মাসে দোহায় ইসরায়েলের এক হত্যাচেষ্টায় বেঁচে যান।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, এটি ছিল হোয়াইট হাউস ও হামাসের মধ্যে প্রথম বৈঠক, যা এর আগে মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের জিম্মি বিষয়ক দূত অ্যাডাম বোহলার হামাস নেতাদের সঙ্গে দোহায় বৈঠকের পর আর হয়নি। সে সময় তিনি মার্কিন-ইসরায়েলি জিম্মি এডান আলেকজান্ডার ও হামাসের হাতে থাকা আরও চারজন মার্কিন নাগরিকের মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন।
গত সপ্তাহের ৪৫ মিনিটের বৈঠকে উইটকফ হামাসকে বলেন, ‘জিম্মিরা এখন আপনাদের জন্য সম্পদের চেয়ে বোঝা বেশি। এখনই তাদের মুক্তি দেওয়ার সময়।’
অ্যাক্সিওসের সূত্র জানায়, উইটকফ বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বার্তা হলো—আপনাদের সঙ্গে ন্যায্য আচরণ করা হবে এবং তিনি তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রতিটি দফা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।’
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, এই সরাসরি বৈঠকই ছিল শান্তিচুক্তি নিশ্চিত করার মূল চাবিকাঠি। বৈঠকের পর মিসর, তুরস্ক ও কাতারের গোয়েন্দাপ্রধানেরা আলাদা করে হামাস প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং পরে উইটকফ ও কুশনারকে বলেন, ‘আমরা যেই বৈঠক শেষ করেছি, তাতে আমরা একমত হয়েছি—চুক্তি হয়েছে।’
ভারতের দক্ষিণী রাজ্য তামিলনাড়ুর সরকার রাজ্যে হিন্দি নিষিদ্ধ করতে একটি বিল আনতে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিনে এই বিলটি উপস্থাপন করবেন। প্রস্তাবিত আইনে রাজ্যজুড়ে হিন্দি ভাষার হোর্ডিং এবং হিন্দি ভাষার সিনেমা প্রদর্শন নিষিদ্ধের কথা বলা হয়েছে।
৩৪ মিনিট আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস নিহত ইসরায়েলি জিম্মিদের আরও কয়েকজনের মরদেহ ফেরত দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ায় এখন অস্ত্রবিরতি চুক্তির ‘দ্বিতীয় ধাপে’ যাওয়ার সময় এসেছে। তবে তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের
১ ঘণ্টা আগেকর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া নির্দেশ দিয়েছেন, কট্টর হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) শাখা সভা রাজ্যের সরকারি ও সরকারি সহায়তা পাওয়া স্কুল, সরকারি মাঠ এবং সরকারের মালিকানাধীন অন্য কোনো স্থানে করা যাবে না। রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি, বায়োটেকনোলজি, গ্রামীণ উন্নয়ন
২ ঘণ্টা আগেসীমান্তে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়েছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে সীমান্ত এলাকায় অঞ্চলে অন্তত ২১ জন নিহত ও আরও অনেকে আহত হয়েছেন। বিগত কয়েক দিন ধরে এক সময়ের মিত্র এই দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা ক্রমেই বাড়ছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতের দক্ষিণী রাজ্য তামিলনাড়ুর সরকার রাজ্যে হিন্দি নিষিদ্ধ করতে একটি বিল আনতে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিনে এই বিলটি উপস্থাপন করবেন। প্রস্তাবিত আইনে রাজ্যজুড়ে হিন্দি ভাষার হোর্ডিং এবং হিন্দি ভাষার সিনেমা প্রদর্শন নিষিদ্ধের কথা বলা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, এর আগে—চলতি বছরের শুরুতে রাজ্য সরকার সরকারি বাজেটের প্রতীক হিসেবে ভারতীয় মুদ্রা চিহ্ন ‘₹’-এর জায়গায় তামিল অক্ষর ‘ரூ’ (রু) ব্যবহার করে নতুন লোগো চালু করেছিল।
স্টালিনের রাজ্য বাজেট ঘোষণার ঠিক আগেই এই পদক্ষেপের বিষয়টি সামনে এল। সেই সময়েই সরকারি যোগাযোগ ও নথিপত্রে আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক চলছিল। এমকে স্টালিনের দল দ্রাবিড়া মুনেত্রা কাজাগাম—ডিএমকে অভিযোগ করেছিল, কেন্দ্র সরকার দেশের স্থানীয় ভাষাগুলোর ওপর হিন্দি চাপিয়ে দিচ্ছে।
স্টালিন তখন বলেছিলেন, যদি হিন্দি চাপিয়ে না দেওয়া হয়, তাহলে ডিএমকে তার বিরোধিতা করবে না। কিন্তু জোর করে তামিলদের ওপর ভাষাটি চাপিয়ে দেওয়া তাদের আত্মসম্মানের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিজেপি তিন ভাষানীতির অজুহাতে প্রথমে হিন্দি, পরে সংস্কৃত চাপিয়ে দিতে চাইছে, আর তামিলনাড়ু সেই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে। তিনি জানান, রাজ্যের দুই ভাষার নীতি—তামিল ও ইংরেজি—শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান তৈরিতে রাজ্যকে অনেক এগিয়ে দিয়েছে। বিজেপির নীতিকে তিনি দক্ষিণ রাজ্যের সঙ্গে ‘প্রতারণা’ বলে অভিহিত করেন এবং ভাষা ও জনগণের মর্যাদা রক্ষায় কোনো ছাড় না দেওয়ার ঘোষণা দেন।
ডিএমকে অভিযোগ করেছে, জাতীয় শিক্ষা নীতিতে তিন ভাষার সূত্র প্রয়োগের মাধ্যমে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার হিন্দি চাপিয়ে দিতে চাইছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ভারতের দক্ষিণী রাজ্য তামিলনাড়ুর সরকার রাজ্যে হিন্দি নিষিদ্ধ করতে একটি বিল আনতে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিনে এই বিলটি উপস্থাপন করবেন। প্রস্তাবিত আইনে রাজ্যজুড়ে হিন্দি ভাষার হোর্ডিং এবং হিন্দি ভাষার সিনেমা প্রদর্শন নিষিদ্ধের কথা বলা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, এর আগে—চলতি বছরের শুরুতে রাজ্য সরকার সরকারি বাজেটের প্রতীক হিসেবে ভারতীয় মুদ্রা চিহ্ন ‘₹’-এর জায়গায় তামিল অক্ষর ‘ரூ’ (রু) ব্যবহার করে নতুন লোগো চালু করেছিল।
স্টালিনের রাজ্য বাজেট ঘোষণার ঠিক আগেই এই পদক্ষেপের বিষয়টি সামনে এল। সেই সময়েই সরকারি যোগাযোগ ও নথিপত্রে আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক চলছিল। এমকে স্টালিনের দল দ্রাবিড়া মুনেত্রা কাজাগাম—ডিএমকে অভিযোগ করেছিল, কেন্দ্র সরকার দেশের স্থানীয় ভাষাগুলোর ওপর হিন্দি চাপিয়ে দিচ্ছে।
স্টালিন তখন বলেছিলেন, যদি হিন্দি চাপিয়ে না দেওয়া হয়, তাহলে ডিএমকে তার বিরোধিতা করবে না। কিন্তু জোর করে তামিলদের ওপর ভাষাটি চাপিয়ে দেওয়া তাদের আত্মসম্মানের ওপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিজেপি তিন ভাষানীতির অজুহাতে প্রথমে হিন্দি, পরে সংস্কৃত চাপিয়ে দিতে চাইছে, আর তামিলনাড়ু সেই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে। তিনি জানান, রাজ্যের দুই ভাষার নীতি—তামিল ও ইংরেজি—শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান তৈরিতে রাজ্যকে অনেক এগিয়ে দিয়েছে। বিজেপির নীতিকে তিনি দক্ষিণ রাজ্যের সঙ্গে ‘প্রতারণা’ বলে অভিহিত করেন এবং ভাষা ও জনগণের মর্যাদা রক্ষায় কোনো ছাড় না দেওয়ার ঘোষণা দেন।
ডিএমকে অভিযোগ করেছে, জাতীয় শিক্ষা নীতিতে তিন ভাষার সূত্র প্রয়োগের মাধ্যমে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার হিন্দি চাপিয়ে দিতে চাইছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে করা শান্তিচুক্তির পর হামাসের অবস্থান নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে। প্রয়োজন হলে ‘সহিংস’ উপায় অবলম্বন করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ
৮ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস নিহত ইসরায়েলি জিম্মিদের আরও কয়েকজনের মরদেহ ফেরত দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ায় এখন অস্ত্রবিরতি চুক্তির ‘দ্বিতীয় ধাপে’ যাওয়ার সময় এসেছে। তবে তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের
১ ঘণ্টা আগেকর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া নির্দেশ দিয়েছেন, কট্টর হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) শাখা সভা রাজ্যের সরকারি ও সরকারি সহায়তা পাওয়া স্কুল, সরকারি মাঠ এবং সরকারের মালিকানাধীন অন্য কোনো স্থানে করা যাবে না। রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি, বায়োটেকনোলজি, গ্রামীণ উন্নয়ন
২ ঘণ্টা আগেসীমান্তে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়েছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে সীমান্ত এলাকায় অঞ্চলে অন্তত ২১ জন নিহত ও আরও অনেকে আহত হয়েছেন। বিগত কয়েক দিন ধরে এক সময়ের মিত্র এই দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা ক্রমেই বাড়ছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস নিহত ইসরায়েলি জিম্মিদের আরও কয়েকজনের মরদেহ ফেরত দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ায় এখন অস্ত্রবিরতি চুক্তির ‘দ্বিতীয় ধাপে’ যাওয়ার সময় এসেছে। তবে তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার ট্রাম্প নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, ‘২০ জন জিম্মির সবাই এখন ফিরে এসেছে এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী ভালোই আছে। বড় এক বোঝা কাঁধ থেকে নেমেছে, কিন্তু কাজ এখনো শেষ হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেভাবে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, মৃতদের মরদেহ এখনো ফেরত আসেনি! এখনই শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় ধাপ!’
মঙ্গলবার ইসরায়েল ও মিসর সফর শেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার কয়েক ঘণ্টার পরই ট্রাম্প এই পোস্ট শেয়ার করেন। এদিকে, মিসরে যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আলোচনায় জড়িত এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হামাস মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে যে—তারা মঙ্গলবার রাতে আরও চারজন নিহত ইসরায়েলি বন্দীর মরদেহ হস্তান্তর শুরু করবে। তবে এরই মধ্যে, তাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
এর আগে, গাজায় কার্যকর হওয়া ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি পরীক্ষার মুখে পড়ে। ইসরায়েল জানিয়েছিল, হামাস জিম্মিদের মরদেহ ফেরাতে বিলম্ব করায় গাজায় ত্রাণপ্রবাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে এবং মিসরের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংও পরিকল্পনামতো খোলা হবে না। তবে মরদেহ হস্তান্তরের পর অবশ্য গাজায় পুরোদমে ত্রাণ প্রবেশ শুরু হয়।
তার আগে, ইসরায়েল ও মিসরে সফরের সময় ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ‘নতুন মধ্যপ্রাচ্যের ঐতিহাসিক ভোরের সূচনা হয়েছে।’ এ সময় তিনি ও আঞ্চলিক নেতারা গাজায় যুদ্ধবিরতি স্থায়ী করার লক্ষ্যে একটি ঘোষণা স্বাক্ষর করেন। চুক্তির আওতায় জীবিত ২০ জন বন্দীকে ট্রাম্প ইসরায়েলে পৌঁছানোর ঠিক আগেই মুক্তি দেওয়া হয়।
তবে সোমবার হামাস চারটি মরদেহ ফেরত দিলেও তারা এখনো ২৪ জন নিহত বন্দীর মরদেহ নিজেদের হেফাজতে রেখেছে, যা অস্ত্রবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী পরবর্তীতে ফেরত দেওয়া হবে। অন্যদিকে, গাজার একটি হাসপাতাল জানিয়েছে, তারা ৪৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ গ্রহণ করেছে, যা যুদ্ধ শেষের চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েল ফেরত দিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস নিহত ইসরায়েলি জিম্মিদের আরও কয়েকজনের মরদেহ ফেরত দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ায় এখন অস্ত্রবিরতি চুক্তির ‘দ্বিতীয় ধাপে’ যাওয়ার সময় এসেছে। তবে তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার ট্রাম্প নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, ‘২০ জন জিম্মির সবাই এখন ফিরে এসেছে এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী ভালোই আছে। বড় এক বোঝা কাঁধ থেকে নেমেছে, কিন্তু কাজ এখনো শেষ হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেভাবে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, মৃতদের মরদেহ এখনো ফেরত আসেনি! এখনই শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় ধাপ!’
মঙ্গলবার ইসরায়েল ও মিসর সফর শেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার কয়েক ঘণ্টার পরই ট্রাম্প এই পোস্ট শেয়ার করেন। এদিকে, মিসরে যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আলোচনায় জড়িত এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হামাস মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে যে—তারা মঙ্গলবার রাতে আরও চারজন নিহত ইসরায়েলি বন্দীর মরদেহ হস্তান্তর শুরু করবে। তবে এরই মধ্যে, তাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
এর আগে, গাজায় কার্যকর হওয়া ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি পরীক্ষার মুখে পড়ে। ইসরায়েল জানিয়েছিল, হামাস জিম্মিদের মরদেহ ফেরাতে বিলম্ব করায় গাজায় ত্রাণপ্রবাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে এবং মিসরের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংও পরিকল্পনামতো খোলা হবে না। তবে মরদেহ হস্তান্তরের পর অবশ্য গাজায় পুরোদমে ত্রাণ প্রবেশ শুরু হয়।
তার আগে, ইসরায়েল ও মিসরে সফরের সময় ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ‘নতুন মধ্যপ্রাচ্যের ঐতিহাসিক ভোরের সূচনা হয়েছে।’ এ সময় তিনি ও আঞ্চলিক নেতারা গাজায় যুদ্ধবিরতি স্থায়ী করার লক্ষ্যে একটি ঘোষণা স্বাক্ষর করেন। চুক্তির আওতায় জীবিত ২০ জন বন্দীকে ট্রাম্প ইসরায়েলে পৌঁছানোর ঠিক আগেই মুক্তি দেওয়া হয়।
তবে সোমবার হামাস চারটি মরদেহ ফেরত দিলেও তারা এখনো ২৪ জন নিহত বন্দীর মরদেহ নিজেদের হেফাজতে রেখেছে, যা অস্ত্রবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী পরবর্তীতে ফেরত দেওয়া হবে। অন্যদিকে, গাজার একটি হাসপাতাল জানিয়েছে, তারা ৪৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ গ্রহণ করেছে, যা যুদ্ধ শেষের চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েল ফেরত দিয়েছে।
গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে করা শান্তিচুক্তির পর হামাসের অবস্থান নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে। প্রয়োজন হলে ‘সহিংস’ উপায় অবলম্বন করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ
৮ ঘণ্টা আগেভারতের দক্ষিণী রাজ্য তামিলনাড়ুর সরকার রাজ্যে হিন্দি নিষিদ্ধ করতে একটি বিল আনতে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিনে এই বিলটি উপস্থাপন করবেন। প্রস্তাবিত আইনে রাজ্যজুড়ে হিন্দি ভাষার হোর্ডিং এবং হিন্দি ভাষার সিনেমা প্রদর্শন নিষিদ্ধের কথা বলা হয়েছে।
৩৪ মিনিট আগেকর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া নির্দেশ দিয়েছেন, কট্টর হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) শাখা সভা রাজ্যের সরকারি ও সরকারি সহায়তা পাওয়া স্কুল, সরকারি মাঠ এবং সরকারের মালিকানাধীন অন্য কোনো স্থানে করা যাবে না। রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি, বায়োটেকনোলজি, গ্রামীণ উন্নয়ন
২ ঘণ্টা আগেসীমান্তে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়েছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে সীমান্ত এলাকায় অঞ্চলে অন্তত ২১ জন নিহত ও আরও অনেকে আহত হয়েছেন। বিগত কয়েক দিন ধরে এক সময়ের মিত্র এই দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা ক্রমেই বাড়ছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া নির্দেশ দিয়েছেন, কট্টর হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) শাখা সভা রাজ্যের সরকারি ও সরকারি সহায়তা পাওয়া স্কুল, সরকারি মাঠ এবং সরকারের মালিকানাধীন অন্য কোনো স্থানে করা যাবে না। রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি, বায়োটেকনোলজি, গ্রামীণ উন্নয়ন ও পঞ্চায়েত রাজমন্ত্রী প্রিয়াঙ্ক খাড়গের অনুরোধের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, গত রোববার কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় ৪ অক্টোবরের এক চিঠি প্রকাশ করে। সেই চিঠি লিখেছিলেন প্রিয়াঙ্ক খাড়গে। সঙ্গে ছিল মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার একটি নোট, যাতে তিনি বিষয়টি নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
চিঠিতে খাড়গে লিখেছেন, ‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ নামের একটি সংগঠন সরকারি ও সরকারি সহায়তা পাওয়া স্কুল, সরকারি মাঠ ব্যবহার করে শাখা সভা করছে। সেখানে এমন স্লোগান দেওয়া হচ্ছে, যা শিশু ও তরুণদের মনে দেশের ঐক্য ও সংবিধানের আদর্শের বিরুদ্ধে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করছে।’
তিনি আরও বলেন, পুলিশের অনুমতি ছাড়াই এসব শাখা সভায় লাঠি প্রদর্শনের মতো আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ড হচ্ছে, যা শিশু ও তরুণদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। খাড়গে চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘রাজ্যের শিশু, তরুণ, সাধারণ মানুষ ও সমাজের কল্যাণের স্বার্থে আমি অনুরোধ করছি—সরকারি ও সরকারি সহায়তা পাওয়া স্কুল, মাঠ, পার্ক, মুজরাই বিভাগের অধীনে থাকা মন্দির, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীন স্থান এবং সরকারি জমিতে অনুষ্ঠিত শাখা, সাংঘিক বা বৈঠক নামে আরএসএসের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হোক।’
রোববার এক্সে চিঠির অনুলিপি শেয়ার করে খাড়গে বলেন, ‘আজ এমন পরিবেশ তৈরি হয়েছে—যেখানে ভারতের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের দিকে জুতা ছোড়া হয়, সংবিধানপ্রণেতা ড. বি আর আম্বেদকরকে অপমান করা হয়, আর এসবই আরএসএসের প্রণোদিত মৌলবাদী মতাদর্শের ফল।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছি, সরকারি ও পাবলিক স্থানে আরএসএসের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে। সংবিধানের আদর্শ—ঐক্য, সমতা ও অখণ্ডতা রক্ষার স্বার্থে, এবং শিশু ও তরুণ সমাজের ওপর আরএসএসের নেতিবাচক প্রভাব রোধে এই পদক্ষেপ প্রয়োজন।’
সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে গিয়ে প্রিয়াঙ্ক খাড়গে বলেন, ‘আরএসএস চাইলে তাদের অনুষ্ঠান বেসরকারি জায়গায় করতে পারে, তাতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু সরকারি জমি বা পাবলিক স্থানে এসব কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে—আমার দাবি শুধু এটুকুই।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আরএসএস হিন্দু ধর্ম ও গরু রক্ষার নামে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। খাড়গের ভাষায়, ‘আরএসএসের আদর্শ বিপজ্জনক। না হলে, এর নেতারা নিজের বাড়িতে সেই আদর্শ মেনে চলেন না কেন? সংবিধানের বিরোধিতা করে মনুস্মৃতির পক্ষে তো আরএসএস-ই ছিল, তাই না?’
অন্যদিকে, কর্ণাটক বিজেপির সভাপতি বিওয়াই বিজয়েন্দ্র বলেন, আরএসএসের ইতিহাস ও কর্মকাণ্ড না জানলেই কেবল কেউ এমন দাবি করতে পারে। তাঁর ভাষায়, ‘দায়িত্বশীল পদে থেকে প্রিয়াঙ্ক খাড়গে যে চিঠি লিখেছেন, তা তাঁর মূর্খতার পরিচয়।’
তিনি বলেন, অতীতে কংগ্রেস দুই-তিনবার আরএসএসকে নিষিদ্ধ করেছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজেদেরই সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হয়েছে। বিজয়েন্দ্রর দাবি, ‘কংগ্রেসের পক্ষে এখন আর এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার ক্ষমতা নেই। আসলে এই চিঠি লেখা হয়েছে গান্ধী পরিবারকে খুশি করার জন্য।’
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া নির্দেশ দিয়েছেন, কট্টর হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) শাখা সভা রাজ্যের সরকারি ও সরকারি সহায়তা পাওয়া স্কুল, সরকারি মাঠ এবং সরকারের মালিকানাধীন অন্য কোনো স্থানে করা যাবে না। রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি, বায়োটেকনোলজি, গ্রামীণ উন্নয়ন ও পঞ্চায়েত রাজমন্ত্রী প্রিয়াঙ্ক খাড়গের অনুরোধের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, গত রোববার কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় ৪ অক্টোবরের এক চিঠি প্রকাশ করে। সেই চিঠি লিখেছিলেন প্রিয়াঙ্ক খাড়গে। সঙ্গে ছিল মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার একটি নোট, যাতে তিনি বিষয়টি নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
চিঠিতে খাড়গে লিখেছেন, ‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ নামের একটি সংগঠন সরকারি ও সরকারি সহায়তা পাওয়া স্কুল, সরকারি মাঠ ব্যবহার করে শাখা সভা করছে। সেখানে এমন স্লোগান দেওয়া হচ্ছে, যা শিশু ও তরুণদের মনে দেশের ঐক্য ও সংবিধানের আদর্শের বিরুদ্ধে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করছে।’
তিনি আরও বলেন, পুলিশের অনুমতি ছাড়াই এসব শাখা সভায় লাঠি প্রদর্শনের মতো আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ড হচ্ছে, যা শিশু ও তরুণদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। খাড়গে চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘রাজ্যের শিশু, তরুণ, সাধারণ মানুষ ও সমাজের কল্যাণের স্বার্থে আমি অনুরোধ করছি—সরকারি ও সরকারি সহায়তা পাওয়া স্কুল, মাঠ, পার্ক, মুজরাই বিভাগের অধীনে থাকা মন্দির, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীন স্থান এবং সরকারি জমিতে অনুষ্ঠিত শাখা, সাংঘিক বা বৈঠক নামে আরএসএসের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হোক।’
রোববার এক্সে চিঠির অনুলিপি শেয়ার করে খাড়গে বলেন, ‘আজ এমন পরিবেশ তৈরি হয়েছে—যেখানে ভারতের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের দিকে জুতা ছোড়া হয়, সংবিধানপ্রণেতা ড. বি আর আম্বেদকরকে অপমান করা হয়, আর এসবই আরএসএসের প্রণোদিত মৌলবাদী মতাদর্শের ফল।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছি, সরকারি ও পাবলিক স্থানে আরএসএসের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে। সংবিধানের আদর্শ—ঐক্য, সমতা ও অখণ্ডতা রক্ষার স্বার্থে, এবং শিশু ও তরুণ সমাজের ওপর আরএসএসের নেতিবাচক প্রভাব রোধে এই পদক্ষেপ প্রয়োজন।’
সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে গিয়ে প্রিয়াঙ্ক খাড়গে বলেন, ‘আরএসএস চাইলে তাদের অনুষ্ঠান বেসরকারি জায়গায় করতে পারে, তাতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু সরকারি জমি বা পাবলিক স্থানে এসব কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে—আমার দাবি শুধু এটুকুই।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আরএসএস হিন্দু ধর্ম ও গরু রক্ষার নামে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। খাড়গের ভাষায়, ‘আরএসএসের আদর্শ বিপজ্জনক। না হলে, এর নেতারা নিজের বাড়িতে সেই আদর্শ মেনে চলেন না কেন? সংবিধানের বিরোধিতা করে মনুস্মৃতির পক্ষে তো আরএসএস-ই ছিল, তাই না?’
অন্যদিকে, কর্ণাটক বিজেপির সভাপতি বিওয়াই বিজয়েন্দ্র বলেন, আরএসএসের ইতিহাস ও কর্মকাণ্ড না জানলেই কেবল কেউ এমন দাবি করতে পারে। তাঁর ভাষায়, ‘দায়িত্বশীল পদে থেকে প্রিয়াঙ্ক খাড়গে যে চিঠি লিখেছেন, তা তাঁর মূর্খতার পরিচয়।’
তিনি বলেন, অতীতে কংগ্রেস দুই-তিনবার আরএসএসকে নিষিদ্ধ করেছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজেদেরই সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হয়েছে। বিজয়েন্দ্রর দাবি, ‘কংগ্রেসের পক্ষে এখন আর এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার ক্ষমতা নেই। আসলে এই চিঠি লেখা হয়েছে গান্ধী পরিবারকে খুশি করার জন্য।’
গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে করা শান্তিচুক্তির পর হামাসের অবস্থান নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে। প্রয়োজন হলে ‘সহিংস’ উপায় অবলম্বন করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ
৮ ঘণ্টা আগেভারতের দক্ষিণী রাজ্য তামিলনাড়ুর সরকার রাজ্যে হিন্দি নিষিদ্ধ করতে একটি বিল আনতে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিনে এই বিলটি উপস্থাপন করবেন। প্রস্তাবিত আইনে রাজ্যজুড়ে হিন্দি ভাষার হোর্ডিং এবং হিন্দি ভাষার সিনেমা প্রদর্শন নিষিদ্ধের কথা বলা হয়েছে।
৩৪ মিনিট আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস নিহত ইসরায়েলি জিম্মিদের আরও কয়েকজনের মরদেহ ফেরত দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ায় এখন অস্ত্রবিরতি চুক্তির ‘দ্বিতীয় ধাপে’ যাওয়ার সময় এসেছে। তবে তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের
১ ঘণ্টা আগেসীমান্তে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়েছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে সীমান্ত এলাকায় অঞ্চলে অন্তত ২১ জন নিহত ও আরও অনেকে আহত হয়েছেন। বিগত কয়েক দিন ধরে এক সময়ের মিত্র এই দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা ক্রমেই বাড়ছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
সীমান্তে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়েছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে সীমান্ত এলাকায় অঞ্চলে অন্তত ২১ জন নিহত ও আরও অনেকে আহত হয়েছেন। বিগত কয়েক দিন ধরে এক সময়ের মিত্র এই দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা ক্রমেই বাড়ছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দুই পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতভর চলা এই সংঘর্ষ আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের স্পিন বোলডাক জেলা ও পাকিস্তানের চামান জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে।
এক্সে দেওয়া পোস্টে তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ অভিযোগ করেন, পাকিস্তানি সেনারা আগে গুলি চালিয়ে সংঘর্ষ শুরু করে। তিনি বলেন, পাকিস্তানি বাহিনী ‘হালকা ও ভারী অস্ত্র’ ব্যবহার করে আফগানিস্তানের ভেতরে হামলা চালায়, এতে ১২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও শতাধিক আহত হন।
মুজাহিদ দাবি করেন, আফগান বাহিনী পাল্টা হামলা চালিয়ে ‘বিশাল সংখ্যক’ পাকিস্তানি সেনাকে হত্যা করেছে, পাকিস্তানি অস্ত্র ও ট্যাংক দখল করেছে এবং তাদের সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করেছে। তবে তিনি নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেননি।
স্পিন বোলডাক জেলার জনসংযোগ কর্মকর্তা আলী মোহাম্মদ হাকমাল জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপি এক জেলা হাসপাতালের কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে ৮০ জন নারী ও শিশু রয়েছে।
পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথমে তালেবানই পাকিস্তানের একটি সামরিক চৌকি ও সীমান্তের আশপাশে গোলাবর্ষণ শুরু করে। এতে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে এবং চার পাকিস্তানি বেসামরিক নাগরিক আহত হন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সংঘর্ষে ছয়জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছেন। এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, এই সহিংসতা প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে।
পাকিস্তানের চামান জেলার বাসিন্দা নাজিবুল্লাহ খান বলেন, গোলাগুলির সময় সীমান্তের কাছের অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। তিনি বলেন, ‘মানুষ খুব কষ্টে আছে। গোলার আঘাতে অনেকের বাড়িঘরে আগুন লেগে গেছে।’
পাকিস্তান সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা আফগান তালেবানের হামলা ‘কার্যকরভাবে প্রতিহত’ করেছে। এতে ১৫ থেকে ২০ জন তালেবান যোদ্ধা নিহত ও আরও অনেকে আহত হয়েছে। সেনাবাহিনী আরও জানায়, একই রাতে উত্তরের কুররম জেলাতেও তারা আলাদা এক তালেবান হামলা প্রতিহত করেছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী আরও বলেছে, ‘পাকিস্তানই আগে হামলা চালিয়েছে—এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। পাকিস্তানের পোস্ট বা অস্ত্র দখলের কথাও মিথ্যা। দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’
উল্লেখ্য, গত শনিবার থেকেই আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র হয়ে ওঠে। সেদিনও দুই পক্ষ সীমান্তের একাধিক স্থানে গোলাগুলি চালায়, তাতেও দুই দেশের বহু মানুষ হতাহত হন।
সীমান্তে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়েছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে সীমান্ত এলাকায় অঞ্চলে অন্তত ২১ জন নিহত ও আরও অনেকে আহত হয়েছেন। বিগত কয়েক দিন ধরে এক সময়ের মিত্র এই দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা ক্রমেই বাড়ছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দুই পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতভর চলা এই সংঘর্ষ আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের স্পিন বোলডাক জেলা ও পাকিস্তানের চামান জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে।
এক্সে দেওয়া পোস্টে তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ অভিযোগ করেন, পাকিস্তানি সেনারা আগে গুলি চালিয়ে সংঘর্ষ শুরু করে। তিনি বলেন, পাকিস্তানি বাহিনী ‘হালকা ও ভারী অস্ত্র’ ব্যবহার করে আফগানিস্তানের ভেতরে হামলা চালায়, এতে ১২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও শতাধিক আহত হন।
মুজাহিদ দাবি করেন, আফগান বাহিনী পাল্টা হামলা চালিয়ে ‘বিশাল সংখ্যক’ পাকিস্তানি সেনাকে হত্যা করেছে, পাকিস্তানি অস্ত্র ও ট্যাংক দখল করেছে এবং তাদের সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করেছে। তবে তিনি নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেননি।
স্পিন বোলডাক জেলার জনসংযোগ কর্মকর্তা আলী মোহাম্মদ হাকমাল জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপি এক জেলা হাসপাতালের কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে ৮০ জন নারী ও শিশু রয়েছে।
পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথমে তালেবানই পাকিস্তানের একটি সামরিক চৌকি ও সীমান্তের আশপাশে গোলাবর্ষণ শুরু করে। এতে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে এবং চার পাকিস্তানি বেসামরিক নাগরিক আহত হন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সংঘর্ষে ছয়জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছেন। এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, এই সহিংসতা প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে।
পাকিস্তানের চামান জেলার বাসিন্দা নাজিবুল্লাহ খান বলেন, গোলাগুলির সময় সীমান্তের কাছের অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। তিনি বলেন, ‘মানুষ খুব কষ্টে আছে। গোলার আঘাতে অনেকের বাড়িঘরে আগুন লেগে গেছে।’
পাকিস্তান সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা আফগান তালেবানের হামলা ‘কার্যকরভাবে প্রতিহত’ করেছে। এতে ১৫ থেকে ২০ জন তালেবান যোদ্ধা নিহত ও আরও অনেকে আহত হয়েছে। সেনাবাহিনী আরও জানায়, একই রাতে উত্তরের কুররম জেলাতেও তারা আলাদা এক তালেবান হামলা প্রতিহত করেছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী আরও বলেছে, ‘পাকিস্তানই আগে হামলা চালিয়েছে—এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। পাকিস্তানের পোস্ট বা অস্ত্র দখলের কথাও মিথ্যা। দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’
উল্লেখ্য, গত শনিবার থেকেই আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র হয়ে ওঠে। সেদিনও দুই পক্ষ সীমান্তের একাধিক স্থানে গোলাগুলি চালায়, তাতেও দুই দেশের বহু মানুষ হতাহত হন।
গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে করা শান্তিচুক্তির পর হামাসের অবস্থান নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে। প্রয়োজন হলে ‘সহিংস’ উপায় অবলম্বন করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ
৮ ঘণ্টা আগেভারতের দক্ষিণী রাজ্য তামিলনাড়ুর সরকার রাজ্যে হিন্দি নিষিদ্ধ করতে একটি বিল আনতে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিনে এই বিলটি উপস্থাপন করবেন। প্রস্তাবিত আইনে রাজ্যজুড়ে হিন্দি ভাষার হোর্ডিং এবং হিন্দি ভাষার সিনেমা প্রদর্শন নিষিদ্ধের কথা বলা হয়েছে।
৩৪ মিনিট আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস নিহত ইসরায়েলি জিম্মিদের আরও কয়েকজনের মরদেহ ফেরত দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ায় এখন অস্ত্রবিরতি চুক্তির ‘দ্বিতীয় ধাপে’ যাওয়ার সময় এসেছে। তবে তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের
১ ঘণ্টা আগেকর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া নির্দেশ দিয়েছেন, কট্টর হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) শাখা সভা রাজ্যের সরকারি ও সরকারি সহায়তা পাওয়া স্কুল, সরকারি মাঠ এবং সরকারের মালিকানাধীন অন্য কোনো স্থানে করা যাবে না। রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি, বায়োটেকনোলজি, গ্রামীণ উন্নয়ন
২ ঘণ্টা আগে