সানজিদা সামরিন, ঢাকা
মাংসের যেকোনো রান্না সুস্বাদু করতে মসলা গুরুত্বপূর্ণ। মসলা বেটে ব্যবহার করলে তা খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয়। এখন অবশ্য শিলপাটায় বেটে না নিলেও চলে। ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিলেই চলে। এটি হয়তো প্রতিদিনের জন্য ঠিক আছে। কিন্তু ঈদের বিষয়টি একেবারেই আলাদা। এ সময় বিশেষ খাবারদাবার রান্না করতে হয়। তা ছাড়া আত্মীয়–স্বজন, বন্ধুবান্ধব আসে বলে রান্না করতে হয় বেশি। ঈদের দিন অনেক কাজের ঝামেলায় মসলা বাটা বেশ কষ্টকর হয়ে ওঠে। তাই আগে থেকে এগুলো তৈরি করে রাখলে ঈদের দিন সময় পাওয়া যাবে বেশি। কষ্ট হবে কম।
ঈদ আর খুব বেশি দূরে নয়, এটা আমরা জেনে গেছি। তাই বাটা মসলা নিয়ে যত ঝামেলা পোহাতে না চাইলে আগে থেকে যদি প্রয়োজনীয় মসলা বেটে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। এতে রান্নাঘরের কাজ অনেকটাই এগিয়ে থাকবে।
আদা-রসুন বাটা
মাংস, বিশেষ করে গরু বা খাসির মাংস রান্নায় আদা ও রসুন বাটার বিকল্প নেই। মাংস ছাড়া অন্যান্য রান্নাতেও এগুলো ব্যবহার করা হয়। তাই আগে থেকে তৈরি করে রাখা ভালো।
ব্লেন্ডারে সমপরিমাণ আদা ও রসুন নিন। ২ চা-চামচ লবণ দিন। অল্প পরিমাণে পানি ও ২ টেবিল চামচ রান্নার তেল দিয়ে খুব ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন মিশ্রণটি। ব্লেন্ড করার সময় কিছুক্ষণ পরপর আদা-রসুনের মিশ্রণ নেড়ে দিতে হবে। চাইলে পাটায়ও বেটে নিতে পারেন আদা-রসুন। সে ক্ষেত্রে বাটার পর তেল ও লবণ মেশাবেন। মিশ্রণ একদম মিহি হলে মুখ বন্ধ কাচের বয়ামে নরমাল ফ্রিজে চার সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকবে। তবে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে ডিপ ফ্রিজে রাখতে হবে। এ প্রক্রিয়ায় দুই মাস পর্যন্ত ভালো থাকবে বাটা আদা-রসুন।
পেঁয়াজ বাটা
শুধু তো মাংস নয়। মাছসহ অন্যান্য খাবারেও পেঁয়াজ বাটা ব্যবহার করা হয়। বলা চলে, পেঁয়াজ বাটা ভাত ছাড়া প্রায় সব খাবারেই ব্যবহারযোগ্য। ফলে এটি আগে থেকেই তৈরি করে রাখুন। তাতে সময় বাঁচবে।
বাটা পেঁয়াজ কিন্তু সংরক্ষণ করা যায়। খোসা ছাড়িয়ে পেঁয়াজ ব্লেন্ড করে নিন অথবা পাটায় বেটে নিন। এবার বরফ জমানোর ট্রেতে অল্প অল্প করে পেঁয়াজ বাটা রাখুন। সেটি পলিব্যাগে মুড়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। বরফ জমে গেলে ট্রে বের করে শক্ত হয়ে যাওয়া পেঁয়াজের টুকরা খুব সাবধানে উঠিয়ে নিন। টুকরাগুলো একটি পলিব্যাগে ভরে মুখ বন্ধ করে দিন। রেখে দিন ডিপ ফ্রিজে। এভাবে ৬ মাস পর্যন্ত ভালো থাকবে বাটা পেঁয়াজ।
বারবার কাটার ঝামেলা এড়াতে চাইলে পেঁয়াজ কুচি করেও দীর্ঘদিন ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে পেঁয়াজ কাটার পর তা পানি দিয়ে ধোয়া যাবে না। পেঁয়াজ কুচি করে তার ওপর খানিকটা সয়াবিন বা সরিষার তেল ছড়িয়ে দিন। পাতলা পলিব্যাগে নিয়ে ভেতরের বাতাস বের করে মুখ আটকে নিন। এবার একটি মুখবন্ধ বাটিতে রেখে দিন পলিব্যাগ। এভাবে এক সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকবে পেঁয়াজ। তেলের বদলে সাদা ভিনেগার ছড়িয়ে দিয়েও ফ্রিজে রাখতে পারেন পেঁয়াজ।
টমেটো পিউরি
কিছু খাবারে টমেটো পিউরি ব্যবহার করলে তার স্বাদ বেড়ে যায়। এটি তৈরি করা একটু সময় সাপেক্ষ। তাই আগে থেকে তৈরি করে রাখুন।
টমেটো ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। চার টুকরা করে কেটে ব্লেন্ড করে নিন। ব্লেন্ড করা টমেটো একটি ঝাঁজরিতে নিয়ে ছেঁকে মিহি পেস্ট বের করে নিন। কোনো খোসা বা দানা যেন না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। এবার চুলায় কড়াই বসিয়ে হালকা গরম করুন। টমেটোর পেস্ট কড়াইয়ে ঢেলে দিন। সঙ্গে আধা চামচ লবণ দিন। ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কম আঁচে ২০ থেকে ২৫ মিনিট রাখুন। টমেটো পিউরি ঘন হয়ে এলে চুলা বন্ধ করে ঠান্ডা করে নিন ভালোভাবে। তারপর একটি পরিষ্কার শুকনা কাচের জারে ভরে ফ্রিজে রাখুন। এতে ১২ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত এটি ভালো থাকে। এক মাস রাখতে চাইলে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন।
মাংসের যেকোনো রান্না সুস্বাদু করতে মসলা গুরুত্বপূর্ণ। মসলা বেটে ব্যবহার করলে তা খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয়। এখন অবশ্য শিলপাটায় বেটে না নিলেও চলে। ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিলেই চলে। এটি হয়তো প্রতিদিনের জন্য ঠিক আছে। কিন্তু ঈদের বিষয়টি একেবারেই আলাদা। এ সময় বিশেষ খাবারদাবার রান্না করতে হয়। তা ছাড়া আত্মীয়–স্বজন, বন্ধুবান্ধব আসে বলে রান্না করতে হয় বেশি। ঈদের দিন অনেক কাজের ঝামেলায় মসলা বাটা বেশ কষ্টকর হয়ে ওঠে। তাই আগে থেকে এগুলো তৈরি করে রাখলে ঈদের দিন সময় পাওয়া যাবে বেশি। কষ্ট হবে কম।
ঈদ আর খুব বেশি দূরে নয়, এটা আমরা জেনে গেছি। তাই বাটা মসলা নিয়ে যত ঝামেলা পোহাতে না চাইলে আগে থেকে যদি প্রয়োজনীয় মসলা বেটে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। এতে রান্নাঘরের কাজ অনেকটাই এগিয়ে থাকবে।
আদা-রসুন বাটা
মাংস, বিশেষ করে গরু বা খাসির মাংস রান্নায় আদা ও রসুন বাটার বিকল্প নেই। মাংস ছাড়া অন্যান্য রান্নাতেও এগুলো ব্যবহার করা হয়। তাই আগে থেকে তৈরি করে রাখা ভালো।
ব্লেন্ডারে সমপরিমাণ আদা ও রসুন নিন। ২ চা-চামচ লবণ দিন। অল্প পরিমাণে পানি ও ২ টেবিল চামচ রান্নার তেল দিয়ে খুব ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন মিশ্রণটি। ব্লেন্ড করার সময় কিছুক্ষণ পরপর আদা-রসুনের মিশ্রণ নেড়ে দিতে হবে। চাইলে পাটায়ও বেটে নিতে পারেন আদা-রসুন। সে ক্ষেত্রে বাটার পর তেল ও লবণ মেশাবেন। মিশ্রণ একদম মিহি হলে মুখ বন্ধ কাচের বয়ামে নরমাল ফ্রিজে চার সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকবে। তবে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে ডিপ ফ্রিজে রাখতে হবে। এ প্রক্রিয়ায় দুই মাস পর্যন্ত ভালো থাকবে বাটা আদা-রসুন।
পেঁয়াজ বাটা
শুধু তো মাংস নয়। মাছসহ অন্যান্য খাবারেও পেঁয়াজ বাটা ব্যবহার করা হয়। বলা চলে, পেঁয়াজ বাটা ভাত ছাড়া প্রায় সব খাবারেই ব্যবহারযোগ্য। ফলে এটি আগে থেকেই তৈরি করে রাখুন। তাতে সময় বাঁচবে।
বাটা পেঁয়াজ কিন্তু সংরক্ষণ করা যায়। খোসা ছাড়িয়ে পেঁয়াজ ব্লেন্ড করে নিন অথবা পাটায় বেটে নিন। এবার বরফ জমানোর ট্রেতে অল্প অল্প করে পেঁয়াজ বাটা রাখুন। সেটি পলিব্যাগে মুড়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। বরফ জমে গেলে ট্রে বের করে শক্ত হয়ে যাওয়া পেঁয়াজের টুকরা খুব সাবধানে উঠিয়ে নিন। টুকরাগুলো একটি পলিব্যাগে ভরে মুখ বন্ধ করে দিন। রেখে দিন ডিপ ফ্রিজে। এভাবে ৬ মাস পর্যন্ত ভালো থাকবে বাটা পেঁয়াজ।
বারবার কাটার ঝামেলা এড়াতে চাইলে পেঁয়াজ কুচি করেও দীর্ঘদিন ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে পেঁয়াজ কাটার পর তা পানি দিয়ে ধোয়া যাবে না। পেঁয়াজ কুচি করে তার ওপর খানিকটা সয়াবিন বা সরিষার তেল ছড়িয়ে দিন। পাতলা পলিব্যাগে নিয়ে ভেতরের বাতাস বের করে মুখ আটকে নিন। এবার একটি মুখবন্ধ বাটিতে রেখে দিন পলিব্যাগ। এভাবে এক সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকবে পেঁয়াজ। তেলের বদলে সাদা ভিনেগার ছড়িয়ে দিয়েও ফ্রিজে রাখতে পারেন পেঁয়াজ।
টমেটো পিউরি
কিছু খাবারে টমেটো পিউরি ব্যবহার করলে তার স্বাদ বেড়ে যায়। এটি তৈরি করা একটু সময় সাপেক্ষ। তাই আগে থেকে তৈরি করে রাখুন।
টমেটো ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। চার টুকরা করে কেটে ব্লেন্ড করে নিন। ব্লেন্ড করা টমেটো একটি ঝাঁজরিতে নিয়ে ছেঁকে মিহি পেস্ট বের করে নিন। কোনো খোসা বা দানা যেন না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। এবার চুলায় কড়াই বসিয়ে হালকা গরম করুন। টমেটোর পেস্ট কড়াইয়ে ঢেলে দিন। সঙ্গে আধা চামচ লবণ দিন। ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কম আঁচে ২০ থেকে ২৫ মিনিট রাখুন। টমেটো পিউরি ঘন হয়ে এলে চুলা বন্ধ করে ঠান্ডা করে নিন ভালোভাবে। তারপর একটি পরিষ্কার শুকনা কাচের জারে ভরে ফ্রিজে রাখুন। এতে ১২ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত এটি ভালো থাকে। এক মাস রাখতে চাইলে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে মুসলিম ভ্রমণকারীর সংখ্যা দাঁড়াবে ২৪৫ মিলিয়ন। তখন মুসলিম পর্যটকদের ভ্রমণ ব্যয় দাঁড়াবে প্রায় ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৫ সালের ‘টপ মুসলিম-ফ্রেন্ডলি ডেস্টিনেশন অব দ্য ইয়ার’ খেতাব পেয়েছে মালয়েশিয়া।
১ ঘণ্টা আগেতিব্বত অঞ্চলের খাবার হলেও মোমো এখন আমাদের দেশে পাওয়া যায়। রাস্তার মোড়ে কিংবা গলির দোকানে এখন হরেক স্বাদের মোমোর দেখা মেলে। একেবারে তিব্বতি বা নেপালি মোমো এখানে তৈরি হওয়া সম্ভব নয় উপকরণের স্বল্পতার কারণে। তাই নিজের মতো করে তৈরি করে নিতে পারেন এ খাবার।
৫ ঘণ্টা আগেশখ ডিপ্রেশনের লক্ষণ কমাতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এটি মানসিক রোগ হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। একই সঙ্গে ইতিমধ্যে ডিপ্রেশনে ভোগা রোগীদের মধ্যে যাঁরা অন্তত একটি শখ পূরণে কাজ শুরু করেছেন, তাঁদের সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা ২৭২ শতাংশ বেশি।
৬ ঘণ্টা আগেপ্রতিদিন কিছু না কিছু ভুলে যাওয়ার অভ্যাস আমাদের সবারই আছে। কখনো কোনো শব্দ জিভের ডগায় এসে আটকে যায়, আবার কখনো ঘরে ঢুকে ভুলে যাই কেন এসেছিলাম। কিংবা চাবি, মোবাইল ফোন বা চশমা কোথায় রাখলাম, তা মনেই পড়ে না।
১ দিন আগে