সানজিদা সামরিন, ঢাকা
নজরুলসংগীতশিল্পী হিসেবে পরিচিত রত্না দাস। সংগীতে হাতেখড়ি ছোটবেলায়, মায়ের কাছে। পরবর্তীকালে ছায়ানটে ভর্তি হন। উচ্চাঙ্গ ও নজরুলসংগীতের ওপর দীর্ঘদিন তালিম নেন মানস কুমার দাসের কাছে। এ ছাড়া তিনি অনেক গুণী ওস্তাদের কাছে গান শেখেন। নজরুলসংগীত চর্চা ছাড়াও ব্যক্তিজীবনে তিনি নিজেকে ‘নজরুলপ্রিয়া’ বলতেই বেশি ভালোবাসেন।
আসছে ১২ ভাদ্র আমাদের জাতীয় কবির প্রয়াণ দিবস। একান্ত জীবন ও যাপনে নজরুল কীভাবে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে, তা নিয়েই কথোপকথন হলো রত্না দাসের সঙ্গে।
নজরুলসংগীতের সঙ্গে সম্পৃক্ততা যখন থেকে...
আমি তখন ক্লাস টুতে পড়ি। তখন নাচ শিখতাম। নজরুলের কিছু বিশেষ গান রয়েছে নাচের জন্য। নাচ করতে করতে প্রায়ই মনে হতো, ইশ্, এই গানগুলো যদি আমি গাইতে পারতাম! বাড়িতে জানালাম। আমার বাবা শিক্ষক ছিলেন। তিনি বললেন, নাচ ও গান—দুটো একসঙ্গে করা যাবে না। এতে পড়াশোনার ক্ষতি হতে পারে। যেকোনো একটা করতে হবে। তখন আমি নাচের পরিবর্তে গান শেখায় মনোযোগ দিলাম।
নজরুলের প্রেম, না দ্রোহ
নজরুল মানবতার কবি। তাঁর দ্রোহ, প্রেম, অভিমান, বিরহ—সবই তাঁর সৃষ্টিতে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন। নজরুলের গান গাইতে গিয়ে, তাঁর লেখা পড়তে গিয়ে বা গবেষণামূলক কাজে বরাবরই নজরুলকে মহাসমুদ্র মনে হয়েছে। যদিও মানুষ নজরুলের বিদ্রোহকে খুব করে জাগাতে চায়। এই দ্রোহ তাঁর জীবনের একটিমাত্র অংশ। অন্যদিকে তাঁর জীবনে ব্যাপকভাবে রয়েছে প্রেম, বিরহ ও অভিমান। ফলে নজরুলসংগীতশিল্পী হিসেবে প্রেমের কবিকেই খুব স্পষ্টভাবে প্রকাশের চেষ্টা করি।
প্রিয় কবির প্রিয় গান
নজরুল আমার শৈশবের ভালো লাগা। তাঁর গানে যে এত বৈচিত্র্য, তা কী করে এককথায় বলি! নজরুলের চার হাজারের বেশি গান রয়েছে। সাধারণত মানুষ এগুলোর মধ্য়ে সর্বোচ্চ ৫০টা শোনে। জীবন কিংবা সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই বলুন অথবা নিজের প্রাণপণ চেষ্টা থেকেই বলুন, আমি নজরুলের অপ্রচলিত গানগুলোই বরাবর তোলার চেষ্টা করি। যাতে পরবর্তী প্রজন্ম নজরুলের গভীরতাকে আরেকটু ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারে। এখন পর্যন্ত আমি নজরুলের ৭০টি গানের মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছি।
এই প্রজন্মের নজরুলসংগীত শিল্পীদের জন্য কী বলবেন
আমি খুবই আশাবাদী মানুষ। যুগ পাল্টেছে। পুরোনো ধারার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, নতুন প্রজন্মের জন্য নতুন করে সংগীতায়োজন করে তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়াটা জরুরি। তবে যাঁরা এ সময়ে নজরুলসংগীত শিখছেন, তাঁদের উদ্দেশে বলতে চাই, নজরুলসংগীত করতে হলে নজরুলকে বুঝতে হবে। অনেক ধৈর্য, বিনয় ও সাধনা করতে হবে।
দৈনন্দিন জীবনে নজরুলের প্রভাব
নজরুলকে ছাড়া আমি কিছুই ভাবতে পারি না। ঘর সাজাতে গেলেও মনে হয় ফুলদানিতে কেন গাছ থেকে এনে তাজা ফুল রাখব না! নিজে সাজগোজ করার বেলাতেও ইচ্ছা হয় নজরুলের নায়িকা সেজে উঠতে। কবি বলেছেন, ‘মোর প্রিয়া হবে এসো রানী দেব খোঁপায় তারার ফুল’। আকাশ থেকে খসে পড়া তারা দিয়ে হয়তো সাজতে পারব না, তবে তারার মতো ফুলে তো খোঁপা সাজাতে পারি! কী পারি না? কবি তো তাঁর প্রেয়সীকে বলেছেন, ‘জোছনার সাথে চন্দন দিয়ে মাখাব তোমার গায়/ রামধনু হতে লাল রঙ ছানি আলতা পরাবো পায়।’ কী অপূর্ব সেই ভাবনা। পায়ে আলতা পরার সময়ও যখন এই দুই লাইন গুনগুন করে গাই, তখনো যেন আলতার নকশা আরও কাব্য়ে ভরে ওঠে!
নজরুলসংগীতশিল্পী হিসেবে পরিচিত রত্না দাস। সংগীতে হাতেখড়ি ছোটবেলায়, মায়ের কাছে। পরবর্তীকালে ছায়ানটে ভর্তি হন। উচ্চাঙ্গ ও নজরুলসংগীতের ওপর দীর্ঘদিন তালিম নেন মানস কুমার দাসের কাছে। এ ছাড়া তিনি অনেক গুণী ওস্তাদের কাছে গান শেখেন। নজরুলসংগীত চর্চা ছাড়াও ব্যক্তিজীবনে তিনি নিজেকে ‘নজরুলপ্রিয়া’ বলতেই বেশি ভালোবাসেন।
আসছে ১২ ভাদ্র আমাদের জাতীয় কবির প্রয়াণ দিবস। একান্ত জীবন ও যাপনে নজরুল কীভাবে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে, তা নিয়েই কথোপকথন হলো রত্না দাসের সঙ্গে।
নজরুলসংগীতের সঙ্গে সম্পৃক্ততা যখন থেকে...
আমি তখন ক্লাস টুতে পড়ি। তখন নাচ শিখতাম। নজরুলের কিছু বিশেষ গান রয়েছে নাচের জন্য। নাচ করতে করতে প্রায়ই মনে হতো, ইশ্, এই গানগুলো যদি আমি গাইতে পারতাম! বাড়িতে জানালাম। আমার বাবা শিক্ষক ছিলেন। তিনি বললেন, নাচ ও গান—দুটো একসঙ্গে করা যাবে না। এতে পড়াশোনার ক্ষতি হতে পারে। যেকোনো একটা করতে হবে। তখন আমি নাচের পরিবর্তে গান শেখায় মনোযোগ দিলাম।
নজরুলের প্রেম, না দ্রোহ
নজরুল মানবতার কবি। তাঁর দ্রোহ, প্রেম, অভিমান, বিরহ—সবই তাঁর সৃষ্টিতে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন। নজরুলের গান গাইতে গিয়ে, তাঁর লেখা পড়তে গিয়ে বা গবেষণামূলক কাজে বরাবরই নজরুলকে মহাসমুদ্র মনে হয়েছে। যদিও মানুষ নজরুলের বিদ্রোহকে খুব করে জাগাতে চায়। এই দ্রোহ তাঁর জীবনের একটিমাত্র অংশ। অন্যদিকে তাঁর জীবনে ব্যাপকভাবে রয়েছে প্রেম, বিরহ ও অভিমান। ফলে নজরুলসংগীতশিল্পী হিসেবে প্রেমের কবিকেই খুব স্পষ্টভাবে প্রকাশের চেষ্টা করি।
প্রিয় কবির প্রিয় গান
নজরুল আমার শৈশবের ভালো লাগা। তাঁর গানে যে এত বৈচিত্র্য, তা কী করে এককথায় বলি! নজরুলের চার হাজারের বেশি গান রয়েছে। সাধারণত মানুষ এগুলোর মধ্য়ে সর্বোচ্চ ৫০টা শোনে। জীবন কিংবা সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই বলুন অথবা নিজের প্রাণপণ চেষ্টা থেকেই বলুন, আমি নজরুলের অপ্রচলিত গানগুলোই বরাবর তোলার চেষ্টা করি। যাতে পরবর্তী প্রজন্ম নজরুলের গভীরতাকে আরেকটু ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারে। এখন পর্যন্ত আমি নজরুলের ৭০টি গানের মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছি।
এই প্রজন্মের নজরুলসংগীত শিল্পীদের জন্য কী বলবেন
আমি খুবই আশাবাদী মানুষ। যুগ পাল্টেছে। পুরোনো ধারার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, নতুন প্রজন্মের জন্য নতুন করে সংগীতায়োজন করে তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়াটা জরুরি। তবে যাঁরা এ সময়ে নজরুলসংগীত শিখছেন, তাঁদের উদ্দেশে বলতে চাই, নজরুলসংগীত করতে হলে নজরুলকে বুঝতে হবে। অনেক ধৈর্য, বিনয় ও সাধনা করতে হবে।
দৈনন্দিন জীবনে নজরুলের প্রভাব
নজরুলকে ছাড়া আমি কিছুই ভাবতে পারি না। ঘর সাজাতে গেলেও মনে হয় ফুলদানিতে কেন গাছ থেকে এনে তাজা ফুল রাখব না! নিজে সাজগোজ করার বেলাতেও ইচ্ছা হয় নজরুলের নায়িকা সেজে উঠতে। কবি বলেছেন, ‘মোর প্রিয়া হবে এসো রানী দেব খোঁপায় তারার ফুল’। আকাশ থেকে খসে পড়া তারা দিয়ে হয়তো সাজতে পারব না, তবে তারার মতো ফুলে তো খোঁপা সাজাতে পারি! কী পারি না? কবি তো তাঁর প্রেয়সীকে বলেছেন, ‘জোছনার সাথে চন্দন দিয়ে মাখাব তোমার গায়/ রামধনু হতে লাল রঙ ছানি আলতা পরাবো পায়।’ কী অপূর্ব সেই ভাবনা। পায়ে আলতা পরার সময়ও যখন এই দুই লাইন গুনগুন করে গাই, তখনো যেন আলতার নকশা আরও কাব্য়ে ভরে ওঠে!
কোনো কাজ নিখুঁতভাবে করতে, মনোযোগ দিতে এবং সেখান থেকে সেরা ফল অর্জন করার জন্য পারফেকশনিস্টরা প্রায়শই প্রশংসিত হন। কিন্তু একজন পারফেকশনিস্ট কাজে-কর্মে যতটা নিখুঁত, তাঁর মানসিক স্থিতিশীলতা কিন্তু ততটাই কম। কারণ, সেরা ও ত্রুটিহীন কাজ করতে গিয়ে মানসিকভাবে তাঁরা নানান চাপ, উদ্বেগ, এমনকি বিষণ্নতায় ভোগেন।
১১ ঘণ্টা আগেএ বছরের মে মাসে ডিজনি তাদের নতুন থিম পার্ক স্থাপনের ঘোষণা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য প্রদেশ কিংবা জাপানের মনোরম প্রকৃতিকে বাদ দিয়ে ডিজনি বেছে নেয় আবুধাবিকে। এবার কি অরল্যান্ডোকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত হচ্ছে আবুধাবি!
১৩ ঘণ্টা আগেশরৎ থেকে একেবারে বসন্ত পর্যন্ত ত্বকে মরা কোষ একটু বেশিই জন্মায়। অর্থাৎ ত্বকের জেল্লা অনেকটাই ঢাকা পড়ে যায় এর নিচে। ডেথ সেল বা মরা কোষ ত্বকের ওপর সাদা স্তর ফেলে। কনুই, হাঁটু ও গোড়ালিতে মরা কোষ বেশি জন্মায়।
১৭ ঘণ্টা আগেছাদকৃষি আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এখন আর শুধু সবজি নয়, ছাদে ফলানো হচ্ছে নানান ধরনের ফল। বাজারে উন্নত জাতের কলম চারা পাওয়া যায়, যেগুলো অল্প সময়ে বড় হয়ে প্রচুর ফল দেয়।
১৮ ঘণ্টা আগে