কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা

এই ফিউশন ফ্যাশনের যুগে কোনটা কী, তা ভেবে কখনো কখনো কনফিউশন তৈরি হয়। তবে এ বিষয়ে কোনো কনফিউশন নেই যে নারীরা শাড়ি পছন্দ করে। আর বিষয়টি যদি হয় শাড়িতে ফিউশনের, তাহলে তো কথাই নেই। শাড়ির জগতে এবার নতুন মাত্রা যোগ করেছে ডেনিম শাড়ি।
প্যান্ট, ব্লেজার, শার্ট, জুতা, ব্যাগ আর ঘড়ির ফিতার গণ্ডি পেরিয়ে ডেনিম এবার শাড়িতে রূপান্তরিত হয়েছে। কাজটি দারুণভাবে করেছেন আফরিন আহমেদ।
ডেনিম শাড়ির প্রচলন
ডেনিম শাড়ির ধারণাটি ভারতীয় ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম প্রচলিত হয়। সে দেশের কিছু ফ্যাশন হাউস এবং আনামিকা খান্না বা মাসাবা গুপ্তার মতো ডিজাইনার ডেনিমকে ঐতিহ্যবাহী পোশাকে নতুনভাবে তুলে ধরার চেষ্টা চালান। তাঁদের হাত ধরে শাড়ির ফিউশন স্টাইল হিসেবে ডেনিম শাড়ি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ভারতীয় ব্র্যান্ড আনারকলি এবং ফ্যাবইন্ডিয়ার মতো ব্র্যান্ডগুলোও ডেনিম শাড়ি প্রবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তারা ঐতিহ্যবাহী শাড়িকে নতুনভাবে উপস্থাপন করার জন্য পাতলা ডেনিম কিংবা ডেনিমের মতো দেখতে কাপড় ব্যবহার করে ফিউশন তৈরি করেছে। এ ধরনের শাড়ি আধুনিক ফ্যাশনপ্রেমী নারীদের মধ্যে দ্রুততম সময়ে জনপ্রিয়তা পায়। আমাদের দেশে ডেনিম শাড়ির ধারণা এখনো তুলনামূলকভাবে নতুন এবং অপ্রচলিত।
আফরিনের যাত্রা
ভারতীয় ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি থেকে ধারণা নিয়ে অন ক্লাউড নাইন অ্যান্ড হাফ পেজের উদ্যোক্তা আফরিন আহমেদ গত বছরের নভেম্বরে এনেছেন ডেনিমের শাড়ি। এ শাড়ির বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, এতে পশ্চিম ও পূর্বের ফ্যাশনের সংমিশ্রণ ঘটেছে। ঐতিহ্যবাহী শাড়ির একটি নতুন রূপ হিসেবে ফ্যাশন দুনিয়ায় স্থান করে নিচ্ছে ডেনিম শাড়ি। এটি একুশ শতকের প্রথম দশকের শুরুতে ফ্যাশনের জগতে প্রবেশ করে।
নিরীক্ষামূলক ও ফিউশনধর্মী কাজ আফরিনের স্বচ্ছন্দের জায়গা। সেখান থেকে ডেনিম শাড়ি নিয়ে কাজ করার চিন্তা শুরু করেন তিনি। আমাদের দেশে ডেনিম জ্যাকেট, ক্রপটপ, পাঞ্জাবি, প্যান্ট ইত্যাদি অনেক কিছুই পাওয়া যায়; কিন্তু শাড়ি পাওয়া যায় না। আবার শীতকালে অনেকে শাড়ি পরে তার ওপরে শাল চাপাতে চান না শাড়ির ডিজাইন দেখা যাবে না বলে। এরপর আফরিনের মাথায় আসে, তাহলে এমন একটা শাড়ি তিনি তৈরি করবেন, যেটি শীতের জন্য পরলে ওপরে শাল না চাপালেও চলবে। এরপরেই তিনি ডেনিম শাড়ি তৈরি শুরু করেন।
ডেনিমের জমিনে কাজের ধরন
জমিন আর আঁচলজুড়ে ব্লকপ্রিন্ট। সঙ্গে পাইপিং। উজ্জ্বল রঙের সঙ্গে কিছুটা নিষ্প্রভ রং ব্যবহার করে ব্লকের নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এতে প্রিন্ট ছাপিয়ে ডেনিম কাপড়টাই বেশি চোখে পড়ে। আফরিন জানান, শাড়ি তৈরিতে সফট ডেনিম ব্যবহার করা হয়েছে, যেন এগুলো পরে সবাই আরাম পায়। তা ছাড়া এতে শাড়িও হয়েছে তুলনামূলক কম ওজনের। এ কারণে হয়তো তাঁর পেজের বেশি বিক্রীত ডেনিম পণ্য এই শাড়ি আর ব্লাউজ। আফরিন শুধু শাড়িই নয়, ডেনিম দিয়ে তৈরি করেন কুর্তা, কামিজ, কো অর্ড ও টপ।

আফরিনের স্বপ্ন
জীবনের শোনা ও দেখা কিছু ছোট ছোট গল্প থেকে আফরিন শিখেছেন, নতুন করে শুরু করার কোনো বয়স বা সময় নেই। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, সবাই নিজের স্বপ্ন পূরণ করার মতো ভাগ্যবান নয়। এ সুযোগ হলে পূরণ করা উচিত।’ তিনি একজন ডার্মাটোলজিস্ট। তবে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন আফরিন।
স্বামীর পোস্টডক্টরালের সময় তাঁর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন তিনি। সেখানে কাজ করার অনুমতি না থাকায় ঘরে বসে ক্র্যাফটিং করতেন আফরিন। সেখানেই মিশিগানের এক বিখ্যাত গয়না নির্মাতার কাছে ট্রেনিং নেন। দেশে ফিরে গয়না বানানো শুরু করলেও তেমন সাড়া মেলেনি সে সময়। কারণ, আফরিন তৈরি করতেন মূলত ওয়েস্টার্ন ধাঁচের গয়না। সে ধরনের গয়না পরার প্রচলন তখনো শুরু হয়নি আমাদের দেশে। এরপর ধীরে ধীরে গয়না ছেড়ে পোশাক তৈরিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন আফরিন। তাঁর ক্রেতাদের একটা বড় অংশ প্রবাসী। তারা ডেনিম শাড়ি সাদরে গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন আফরিন। তবে দেশের অনেক ক্রেতাও ডেনিম শাড়িকে সাদরে গ্রহণ করেছে।
সম্প্রতি জামদানি স্যুভেনির নিয়ে কাজ শুরু করেছেন আফরিন। বছরে অন্তত পাঁচটা একেবারে ইউনিক ডিজাইন তৈরি করতে চান। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে এখন একটি ফ্ল্যাগশিপ স্টোরের স্বপ্ন দেখছেন আফরিন আহমেদ।

এই ফিউশন ফ্যাশনের যুগে কোনটা কী, তা ভেবে কখনো কখনো কনফিউশন তৈরি হয়। তবে এ বিষয়ে কোনো কনফিউশন নেই যে নারীরা শাড়ি পছন্দ করে। আর বিষয়টি যদি হয় শাড়িতে ফিউশনের, তাহলে তো কথাই নেই। শাড়ির জগতে এবার নতুন মাত্রা যোগ করেছে ডেনিম শাড়ি।
প্যান্ট, ব্লেজার, শার্ট, জুতা, ব্যাগ আর ঘড়ির ফিতার গণ্ডি পেরিয়ে ডেনিম এবার শাড়িতে রূপান্তরিত হয়েছে। কাজটি দারুণভাবে করেছেন আফরিন আহমেদ।
ডেনিম শাড়ির প্রচলন
ডেনিম শাড়ির ধারণাটি ভারতীয় ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম প্রচলিত হয়। সে দেশের কিছু ফ্যাশন হাউস এবং আনামিকা খান্না বা মাসাবা গুপ্তার মতো ডিজাইনার ডেনিমকে ঐতিহ্যবাহী পোশাকে নতুনভাবে তুলে ধরার চেষ্টা চালান। তাঁদের হাত ধরে শাড়ির ফিউশন স্টাইল হিসেবে ডেনিম শাড়ি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ভারতীয় ব্র্যান্ড আনারকলি এবং ফ্যাবইন্ডিয়ার মতো ব্র্যান্ডগুলোও ডেনিম শাড়ি প্রবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তারা ঐতিহ্যবাহী শাড়িকে নতুনভাবে উপস্থাপন করার জন্য পাতলা ডেনিম কিংবা ডেনিমের মতো দেখতে কাপড় ব্যবহার করে ফিউশন তৈরি করেছে। এ ধরনের শাড়ি আধুনিক ফ্যাশনপ্রেমী নারীদের মধ্যে দ্রুততম সময়ে জনপ্রিয়তা পায়। আমাদের দেশে ডেনিম শাড়ির ধারণা এখনো তুলনামূলকভাবে নতুন এবং অপ্রচলিত।
আফরিনের যাত্রা
ভারতীয় ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি থেকে ধারণা নিয়ে অন ক্লাউড নাইন অ্যান্ড হাফ পেজের উদ্যোক্তা আফরিন আহমেদ গত বছরের নভেম্বরে এনেছেন ডেনিমের শাড়ি। এ শাড়ির বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, এতে পশ্চিম ও পূর্বের ফ্যাশনের সংমিশ্রণ ঘটেছে। ঐতিহ্যবাহী শাড়ির একটি নতুন রূপ হিসেবে ফ্যাশন দুনিয়ায় স্থান করে নিচ্ছে ডেনিম শাড়ি। এটি একুশ শতকের প্রথম দশকের শুরুতে ফ্যাশনের জগতে প্রবেশ করে।
নিরীক্ষামূলক ও ফিউশনধর্মী কাজ আফরিনের স্বচ্ছন্দের জায়গা। সেখান থেকে ডেনিম শাড়ি নিয়ে কাজ করার চিন্তা শুরু করেন তিনি। আমাদের দেশে ডেনিম জ্যাকেট, ক্রপটপ, পাঞ্জাবি, প্যান্ট ইত্যাদি অনেক কিছুই পাওয়া যায়; কিন্তু শাড়ি পাওয়া যায় না। আবার শীতকালে অনেকে শাড়ি পরে তার ওপরে শাল চাপাতে চান না শাড়ির ডিজাইন দেখা যাবে না বলে। এরপর আফরিনের মাথায় আসে, তাহলে এমন একটা শাড়ি তিনি তৈরি করবেন, যেটি শীতের জন্য পরলে ওপরে শাল না চাপালেও চলবে। এরপরেই তিনি ডেনিম শাড়ি তৈরি শুরু করেন।
ডেনিমের জমিনে কাজের ধরন
জমিন আর আঁচলজুড়ে ব্লকপ্রিন্ট। সঙ্গে পাইপিং। উজ্জ্বল রঙের সঙ্গে কিছুটা নিষ্প্রভ রং ব্যবহার করে ব্লকের নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এতে প্রিন্ট ছাপিয়ে ডেনিম কাপড়টাই বেশি চোখে পড়ে। আফরিন জানান, শাড়ি তৈরিতে সফট ডেনিম ব্যবহার করা হয়েছে, যেন এগুলো পরে সবাই আরাম পায়। তা ছাড়া এতে শাড়িও হয়েছে তুলনামূলক কম ওজনের। এ কারণে হয়তো তাঁর পেজের বেশি বিক্রীত ডেনিম পণ্য এই শাড়ি আর ব্লাউজ। আফরিন শুধু শাড়িই নয়, ডেনিম দিয়ে তৈরি করেন কুর্তা, কামিজ, কো অর্ড ও টপ।

আফরিনের স্বপ্ন
জীবনের শোনা ও দেখা কিছু ছোট ছোট গল্প থেকে আফরিন শিখেছেন, নতুন করে শুরু করার কোনো বয়স বা সময় নেই। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, সবাই নিজের স্বপ্ন পূরণ করার মতো ভাগ্যবান নয়। এ সুযোগ হলে পূরণ করা উচিত।’ তিনি একজন ডার্মাটোলজিস্ট। তবে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন আফরিন।
স্বামীর পোস্টডক্টরালের সময় তাঁর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন তিনি। সেখানে কাজ করার অনুমতি না থাকায় ঘরে বসে ক্র্যাফটিং করতেন আফরিন। সেখানেই মিশিগানের এক বিখ্যাত গয়না নির্মাতার কাছে ট্রেনিং নেন। দেশে ফিরে গয়না বানানো শুরু করলেও তেমন সাড়া মেলেনি সে সময়। কারণ, আফরিন তৈরি করতেন মূলত ওয়েস্টার্ন ধাঁচের গয়না। সে ধরনের গয়না পরার প্রচলন তখনো শুরু হয়নি আমাদের দেশে। এরপর ধীরে ধীরে গয়না ছেড়ে পোশাক তৈরিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন আফরিন। তাঁর ক্রেতাদের একটা বড় অংশ প্রবাসী। তারা ডেনিম শাড়ি সাদরে গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন আফরিন। তবে দেশের অনেক ক্রেতাও ডেনিম শাড়িকে সাদরে গ্রহণ করেছে।
সম্প্রতি জামদানি স্যুভেনির নিয়ে কাজ শুরু করেছেন আফরিন। বছরে অন্তত পাঁচটা একেবারে ইউনিক ডিজাইন তৈরি করতে চান। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে এখন একটি ফ্ল্যাগশিপ স্টোরের স্বপ্ন দেখছেন আফরিন আহমেদ।
কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা

এই ফিউশন ফ্যাশনের যুগে কোনটা কী, তা ভেবে কখনো কখনো কনফিউশন তৈরি হয়। তবে এ বিষয়ে কোনো কনফিউশন নেই যে নারীরা শাড়ি পছন্দ করে। আর বিষয়টি যদি হয় শাড়িতে ফিউশনের, তাহলে তো কথাই নেই। শাড়ির জগতে এবার নতুন মাত্রা যোগ করেছে ডেনিম শাড়ি।
প্যান্ট, ব্লেজার, শার্ট, জুতা, ব্যাগ আর ঘড়ির ফিতার গণ্ডি পেরিয়ে ডেনিম এবার শাড়িতে রূপান্তরিত হয়েছে। কাজটি দারুণভাবে করেছেন আফরিন আহমেদ।
ডেনিম শাড়ির প্রচলন
ডেনিম শাড়ির ধারণাটি ভারতীয় ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম প্রচলিত হয়। সে দেশের কিছু ফ্যাশন হাউস এবং আনামিকা খান্না বা মাসাবা গুপ্তার মতো ডিজাইনার ডেনিমকে ঐতিহ্যবাহী পোশাকে নতুনভাবে তুলে ধরার চেষ্টা চালান। তাঁদের হাত ধরে শাড়ির ফিউশন স্টাইল হিসেবে ডেনিম শাড়ি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ভারতীয় ব্র্যান্ড আনারকলি এবং ফ্যাবইন্ডিয়ার মতো ব্র্যান্ডগুলোও ডেনিম শাড়ি প্রবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তারা ঐতিহ্যবাহী শাড়িকে নতুনভাবে উপস্থাপন করার জন্য পাতলা ডেনিম কিংবা ডেনিমের মতো দেখতে কাপড় ব্যবহার করে ফিউশন তৈরি করেছে। এ ধরনের শাড়ি আধুনিক ফ্যাশনপ্রেমী নারীদের মধ্যে দ্রুততম সময়ে জনপ্রিয়তা পায়। আমাদের দেশে ডেনিম শাড়ির ধারণা এখনো তুলনামূলকভাবে নতুন এবং অপ্রচলিত।
আফরিনের যাত্রা
ভারতীয় ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি থেকে ধারণা নিয়ে অন ক্লাউড নাইন অ্যান্ড হাফ পেজের উদ্যোক্তা আফরিন আহমেদ গত বছরের নভেম্বরে এনেছেন ডেনিমের শাড়ি। এ শাড়ির বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, এতে পশ্চিম ও পূর্বের ফ্যাশনের সংমিশ্রণ ঘটেছে। ঐতিহ্যবাহী শাড়ির একটি নতুন রূপ হিসেবে ফ্যাশন দুনিয়ায় স্থান করে নিচ্ছে ডেনিম শাড়ি। এটি একুশ শতকের প্রথম দশকের শুরুতে ফ্যাশনের জগতে প্রবেশ করে।
নিরীক্ষামূলক ও ফিউশনধর্মী কাজ আফরিনের স্বচ্ছন্দের জায়গা। সেখান থেকে ডেনিম শাড়ি নিয়ে কাজ করার চিন্তা শুরু করেন তিনি। আমাদের দেশে ডেনিম জ্যাকেট, ক্রপটপ, পাঞ্জাবি, প্যান্ট ইত্যাদি অনেক কিছুই পাওয়া যায়; কিন্তু শাড়ি পাওয়া যায় না। আবার শীতকালে অনেকে শাড়ি পরে তার ওপরে শাল চাপাতে চান না শাড়ির ডিজাইন দেখা যাবে না বলে। এরপর আফরিনের মাথায় আসে, তাহলে এমন একটা শাড়ি তিনি তৈরি করবেন, যেটি শীতের জন্য পরলে ওপরে শাল না চাপালেও চলবে। এরপরেই তিনি ডেনিম শাড়ি তৈরি শুরু করেন।
ডেনিমের জমিনে কাজের ধরন
জমিন আর আঁচলজুড়ে ব্লকপ্রিন্ট। সঙ্গে পাইপিং। উজ্জ্বল রঙের সঙ্গে কিছুটা নিষ্প্রভ রং ব্যবহার করে ব্লকের নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এতে প্রিন্ট ছাপিয়ে ডেনিম কাপড়টাই বেশি চোখে পড়ে। আফরিন জানান, শাড়ি তৈরিতে সফট ডেনিম ব্যবহার করা হয়েছে, যেন এগুলো পরে সবাই আরাম পায়। তা ছাড়া এতে শাড়িও হয়েছে তুলনামূলক কম ওজনের। এ কারণে হয়তো তাঁর পেজের বেশি বিক্রীত ডেনিম পণ্য এই শাড়ি আর ব্লাউজ। আফরিন শুধু শাড়িই নয়, ডেনিম দিয়ে তৈরি করেন কুর্তা, কামিজ, কো অর্ড ও টপ।

আফরিনের স্বপ্ন
জীবনের শোনা ও দেখা কিছু ছোট ছোট গল্প থেকে আফরিন শিখেছেন, নতুন করে শুরু করার কোনো বয়স বা সময় নেই। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, সবাই নিজের স্বপ্ন পূরণ করার মতো ভাগ্যবান নয়। এ সুযোগ হলে পূরণ করা উচিত।’ তিনি একজন ডার্মাটোলজিস্ট। তবে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন আফরিন।
স্বামীর পোস্টডক্টরালের সময় তাঁর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন তিনি। সেখানে কাজ করার অনুমতি না থাকায় ঘরে বসে ক্র্যাফটিং করতেন আফরিন। সেখানেই মিশিগানের এক বিখ্যাত গয়না নির্মাতার কাছে ট্রেনিং নেন। দেশে ফিরে গয়না বানানো শুরু করলেও তেমন সাড়া মেলেনি সে সময়। কারণ, আফরিন তৈরি করতেন মূলত ওয়েস্টার্ন ধাঁচের গয়না। সে ধরনের গয়না পরার প্রচলন তখনো শুরু হয়নি আমাদের দেশে। এরপর ধীরে ধীরে গয়না ছেড়ে পোশাক তৈরিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন আফরিন। তাঁর ক্রেতাদের একটা বড় অংশ প্রবাসী। তারা ডেনিম শাড়ি সাদরে গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন আফরিন। তবে দেশের অনেক ক্রেতাও ডেনিম শাড়িকে সাদরে গ্রহণ করেছে।
সম্প্রতি জামদানি স্যুভেনির নিয়ে কাজ শুরু করেছেন আফরিন। বছরে অন্তত পাঁচটা একেবারে ইউনিক ডিজাইন তৈরি করতে চান। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে এখন একটি ফ্ল্যাগশিপ স্টোরের স্বপ্ন দেখছেন আফরিন আহমেদ।

এই ফিউশন ফ্যাশনের যুগে কোনটা কী, তা ভেবে কখনো কখনো কনফিউশন তৈরি হয়। তবে এ বিষয়ে কোনো কনফিউশন নেই যে নারীরা শাড়ি পছন্দ করে। আর বিষয়টি যদি হয় শাড়িতে ফিউশনের, তাহলে তো কথাই নেই। শাড়ির জগতে এবার নতুন মাত্রা যোগ করেছে ডেনিম শাড়ি।
প্যান্ট, ব্লেজার, শার্ট, জুতা, ব্যাগ আর ঘড়ির ফিতার গণ্ডি পেরিয়ে ডেনিম এবার শাড়িতে রূপান্তরিত হয়েছে। কাজটি দারুণভাবে করেছেন আফরিন আহমেদ।
ডেনিম শাড়ির প্রচলন
ডেনিম শাড়ির ধারণাটি ভারতীয় ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম প্রচলিত হয়। সে দেশের কিছু ফ্যাশন হাউস এবং আনামিকা খান্না বা মাসাবা গুপ্তার মতো ডিজাইনার ডেনিমকে ঐতিহ্যবাহী পোশাকে নতুনভাবে তুলে ধরার চেষ্টা চালান। তাঁদের হাত ধরে শাড়ির ফিউশন স্টাইল হিসেবে ডেনিম শাড়ি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ভারতীয় ব্র্যান্ড আনারকলি এবং ফ্যাবইন্ডিয়ার মতো ব্র্যান্ডগুলোও ডেনিম শাড়ি প্রবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তারা ঐতিহ্যবাহী শাড়িকে নতুনভাবে উপস্থাপন করার জন্য পাতলা ডেনিম কিংবা ডেনিমের মতো দেখতে কাপড় ব্যবহার করে ফিউশন তৈরি করেছে। এ ধরনের শাড়ি আধুনিক ফ্যাশনপ্রেমী নারীদের মধ্যে দ্রুততম সময়ে জনপ্রিয়তা পায়। আমাদের দেশে ডেনিম শাড়ির ধারণা এখনো তুলনামূলকভাবে নতুন এবং অপ্রচলিত।
আফরিনের যাত্রা
ভারতীয় ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি থেকে ধারণা নিয়ে অন ক্লাউড নাইন অ্যান্ড হাফ পেজের উদ্যোক্তা আফরিন আহমেদ গত বছরের নভেম্বরে এনেছেন ডেনিমের শাড়ি। এ শাড়ির বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, এতে পশ্চিম ও পূর্বের ফ্যাশনের সংমিশ্রণ ঘটেছে। ঐতিহ্যবাহী শাড়ির একটি নতুন রূপ হিসেবে ফ্যাশন দুনিয়ায় স্থান করে নিচ্ছে ডেনিম শাড়ি। এটি একুশ শতকের প্রথম দশকের শুরুতে ফ্যাশনের জগতে প্রবেশ করে।
নিরীক্ষামূলক ও ফিউশনধর্মী কাজ আফরিনের স্বচ্ছন্দের জায়গা। সেখান থেকে ডেনিম শাড়ি নিয়ে কাজ করার চিন্তা শুরু করেন তিনি। আমাদের দেশে ডেনিম জ্যাকেট, ক্রপটপ, পাঞ্জাবি, প্যান্ট ইত্যাদি অনেক কিছুই পাওয়া যায়; কিন্তু শাড়ি পাওয়া যায় না। আবার শীতকালে অনেকে শাড়ি পরে তার ওপরে শাল চাপাতে চান না শাড়ির ডিজাইন দেখা যাবে না বলে। এরপর আফরিনের মাথায় আসে, তাহলে এমন একটা শাড়ি তিনি তৈরি করবেন, যেটি শীতের জন্য পরলে ওপরে শাল না চাপালেও চলবে। এরপরেই তিনি ডেনিম শাড়ি তৈরি শুরু করেন।
ডেনিমের জমিনে কাজের ধরন
জমিন আর আঁচলজুড়ে ব্লকপ্রিন্ট। সঙ্গে পাইপিং। উজ্জ্বল রঙের সঙ্গে কিছুটা নিষ্প্রভ রং ব্যবহার করে ব্লকের নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এতে প্রিন্ট ছাপিয়ে ডেনিম কাপড়টাই বেশি চোখে পড়ে। আফরিন জানান, শাড়ি তৈরিতে সফট ডেনিম ব্যবহার করা হয়েছে, যেন এগুলো পরে সবাই আরাম পায়। তা ছাড়া এতে শাড়িও হয়েছে তুলনামূলক কম ওজনের। এ কারণে হয়তো তাঁর পেজের বেশি বিক্রীত ডেনিম পণ্য এই শাড়ি আর ব্লাউজ। আফরিন শুধু শাড়িই নয়, ডেনিম দিয়ে তৈরি করেন কুর্তা, কামিজ, কো অর্ড ও টপ।

আফরিনের স্বপ্ন
জীবনের শোনা ও দেখা কিছু ছোট ছোট গল্প থেকে আফরিন শিখেছেন, নতুন করে শুরু করার কোনো বয়স বা সময় নেই। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, সবাই নিজের স্বপ্ন পূরণ করার মতো ভাগ্যবান নয়। এ সুযোগ হলে পূরণ করা উচিত।’ তিনি একজন ডার্মাটোলজিস্ট। তবে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন আফরিন।
স্বামীর পোস্টডক্টরালের সময় তাঁর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন তিনি। সেখানে কাজ করার অনুমতি না থাকায় ঘরে বসে ক্র্যাফটিং করতেন আফরিন। সেখানেই মিশিগানের এক বিখ্যাত গয়না নির্মাতার কাছে ট্রেনিং নেন। দেশে ফিরে গয়না বানানো শুরু করলেও তেমন সাড়া মেলেনি সে সময়। কারণ, আফরিন তৈরি করতেন মূলত ওয়েস্টার্ন ধাঁচের গয়না। সে ধরনের গয়না পরার প্রচলন তখনো শুরু হয়নি আমাদের দেশে। এরপর ধীরে ধীরে গয়না ছেড়ে পোশাক তৈরিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন আফরিন। তাঁর ক্রেতাদের একটা বড় অংশ প্রবাসী। তারা ডেনিম শাড়ি সাদরে গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন আফরিন। তবে দেশের অনেক ক্রেতাও ডেনিম শাড়িকে সাদরে গ্রহণ করেছে।
সম্প্রতি জামদানি স্যুভেনির নিয়ে কাজ শুরু করেছেন আফরিন। বছরে অন্তত পাঁচটা একেবারে ইউনিক ডিজাইন তৈরি করতে চান। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে এখন একটি ফ্ল্যাগশিপ স্টোরের স্বপ্ন দেখছেন আফরিন আহমেদ।

ক্ষুধা আমাদের শরীরের স্বাভাবিক প্রবণতা। সাধারণত আমাদের শরীর জানে, কখন খাবার খেতে হবে, কখন ঘুমাতে হবে। বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রে সন্ধ্যায় ক্ষুধা ও খাবারের চাহিদা সবচেয়ে বেশি এবং রাতে ও সকালবেলায় তা সবচেয়ে কম থাকে।
১১ ঘণ্টা আগে
বিমান সংস্থাগুলোর লাগেজ নীতিতে দিন দিন আরও কড়াকড়ি বাড়ছে। আর এই কারণেই হালকা ভ্রমণের চল বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। যাত্রীরা এখন ছোট, কেবিন-সাইজের সুটকেস বেছে নিচ্ছেন ভ্রমণের সময়। তবে ভ্রমণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুটকেস পুরোপুরি এড়িয়ে একটি ব্যাকপ্যাক নিয়েই বেরিয়ে পড়া বুদ্ধিমানের কাজ।
১৩ ঘণ্টা আগে
পুরো পৃথিবীর প্রায় পুরো জল ও স্থলভাগ কোনো না কোনো দেশের দখলে। কিন্তু কিছু জায়গা এখনো আছে, যেগুলো কোনো দেশের দখলে নেই। আন্তর্জাতিক আইনে এটিকে বলা হয় ‘টেরা নুলিউস’ বা নির্জন ভূমি। যদিও এ ধরনের জায়গা খুবই বিরল। এর একটি উদাহরণ হলো বির তাওয়িল। এটি মিসর ও সুদানের সীমান্তে মরুভূমির এক নির্জন অঞ্চল। দুটি...
১৮ ঘণ্টা আগে
মধু মূলত একটি উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন ভেষজ তরল। এটি চিনির চেয়ে অনেক মিষ্টি। মধুতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ, যা যকৃতে গ্রাইকোজেনের রিজার্ভ গড়ে তোলে। রাতে ঘুমানোর আগে মধু খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ভালো থাকে। এটি মানবদেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বলে নিয়মিত মধু পানে রোগ-বালাই কমে। ঠান্ডায়...
১৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

ক্ষুধা আমাদের শরীরের স্বাভাবিক প্রবণতা। সাধারণত আমাদের শরীর জানে, কখন খাবার খেতে হবে, কখন ঘুমাতে হবে। বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রে সন্ধ্যায় ক্ষুধা ও খাবারের চাহিদা সবচেয়ে বেশি এবং রাত ও সকালবেলায় তা সবচেয়ে কম থাকে।
যদি মাঝরাতে কিংবা ভোরবেলা প্রচণ্ড ক্ষুধা নিয়ে আপনার ঘুম ভেঙে যায়, তাহলে বুঝতে হবে, শরীর যা প্রয়োজন, তা পাচ্ছে না। সাধারণত খাদ্যাভ্যাস বা দৈনন্দিন রুটিনে সামান্য পরিবর্তন আনলেই রাতের ক্ষুধার সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। তবে কখনো কখনো এটি কোনো শারীরিক সমস্যার লক্ষণও হতে পারে, যার জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন।
রাতে ক্ষুধা লাগে কেন
ঘুমের মধ্যেও আপনার শরীরে ক্যালরি কমতে থাকে। কোনো বিশেষ শারীরিক সমস্যা না থাকলে রাতে আপনার পেটে ক্ষুধার কষ্ট হওয়ার কথা নয়। রাতে বা সকালে প্রচণ্ড ক্ষুধা নিয়ে ঘুম ভাঙার অনেক কারণ থাকতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটি জীবনযাপনের ধরনের সঙ্গে জড়িত। তবে ওষুধ ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও দায়ী হতে পারে।
কেন এই সমস্যা হয়
ঘুমানোর আগে বেশি খাওয়া
রাতে চিনিজাতীয় খাবার বেশি খেলে রক্তে শর্করা দ্রুত বেড়ে যায়। এরপর ইনসুলিন নিঃসরণ হয়ে রক্তে শর্করা কমতে থাকে। এই ওঠানামার ফলে একসময় প্রচণ্ড ক্ষুধা লাগে। ঘুমানোর আগে ভারী খাবার না খেয়ে হালকা প্রোটিন বা ফাইবারযুক্ত কোনো খাবার খাওয়া ভালো।
পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া
ঘুম কম হলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়। পাশাপাশি ক্ষুধা বাড়ায় এমন হরমোন বেড়ে যায়। প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানো দরকার।
পিএমএস
অনেক নারীর মাসিক শুরুর আগে খাবারের প্রতি আকর্ষণ বাড়ে। ক্লান্তি, ঘুমের সমস্যা এবং শরীর ফুলে থাকার সঙ্গে রাতের ক্ষুধাও দেখা দিতে পারে।
ওষুধের প্রভাব
স্টেরয়েড, কয়েক ধরনের অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট, সাইপ্রোহেপ্টাডিন জাতীয় অ্যান্টিহিস্টামিন, কয়েক ধরনের ডায়াবেটিসের ওষুধ, অ্যান্টিসাইকোটিক বা খিঁচুনির ওষুধ ক্ষুধা বাড়াতে পারে। ডোজ কমানো বা সময় বদলানো নিজেরা সিদ্ধান্ত নেবেন না। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
তৃষ্ণাকে ক্ষুধা মনে করা
অনেক সময় শরীর পানিশূন্য হলে আমরা ক্ষুধা ভাবি। তাই রাতের ক্ষুধা লাগলে প্রথমেই পানি পান করুন।
মানসিক চাপ
মানসিক চাপ বাড়লে কর্টিসল হরমোন বেড়ে যায়, যা মিষ্টি বা অতিরিক্ত খাবারের প্রতি আকর্ষণ তৈরি করে।
অতিরিক্ত ব্যায়াম
রাতে বেশি ব্যায়াম করলে রক্তে শর্করা দ্রুত কমে যেতে পারে, ফলে রাতে ক্ষুধা লাগে।
নাইট ইটিং সিনড্রোম
এটি একটি খাদ্যজনিত সমস্যা। রাতে ঘন ঘন খেতে ইচ্ছে করা বা খাওয়ার জন্য ঘুম ভেঙে যাওয়াই মূল লক্ষণ। চিকিৎসায় সিবিটি, এসএসআরআই ও মেলাটোনিন ব্যবহৃত হয়।
গর্ভাবস্থা
গর্ভাবস্থায় ক্ষুধা বাড়া স্বাভাবিক। তবে এটি যদি খুব বেশি হয় বা সঙ্গে অন্য উপসর্গ থাকে, তাহলে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস পরীক্ষা করানো দরকার।
অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা
মোটা হওয়া, ডায়াবেটিস বা থাইরয়েড অতিরিক্ত সক্রিয়তা ক্ষুধা বাড়াতে পারে। এই অবস্থায় রক্তে শর্করা ঠিকমতো কাজ না করায় শরীর শক্তি পায় না, ফলে ক্ষুধা বাড়ে।
রাতের ক্ষুধা কমানোর সহজ উপায়
* রাতের খাবার খুব ভারী খাবেন না।
* ঘুমানোর আগে খুব ক্ষুধা থাকলে প্রোটিনসমৃদ্ধ ছোট্ট খাবার খান।
* পানি বেশি পান করুন।
* নিয়মিত ঘুমের রুটিন গড়ে তুলুন।
* মানসিক চাপে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম বা হালকা যোগব্যায়াম করতে পারেন।
* ওজন বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে কমানোর চেষ্টা করুন। মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ ওজন কমলেও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুধা কমে।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন
* জীবনযাত্রা বদলেও যদি রাতের ক্ষুধা না কমে।
* ডায়াবেটিস বা থাইরয়েড সমস্যার উপসর্গ থাকলে।
* যেসব ওষুধ আপনি খাচ্ছেন, সেগুলোর কারণে ক্ষুধা বাড়ছে বলে মনে হলে।
* পিএমএস বা ঘুমের সমস্যা থেকে অবস্থা খারাপ হচ্ছে মনে হলে
সূত্র: হেলথলাইন

ক্ষুধা আমাদের শরীরের স্বাভাবিক প্রবণতা। সাধারণত আমাদের শরীর জানে, কখন খাবার খেতে হবে, কখন ঘুমাতে হবে। বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রে সন্ধ্যায় ক্ষুধা ও খাবারের চাহিদা সবচেয়ে বেশি এবং রাত ও সকালবেলায় তা সবচেয়ে কম থাকে।
যদি মাঝরাতে কিংবা ভোরবেলা প্রচণ্ড ক্ষুধা নিয়ে আপনার ঘুম ভেঙে যায়, তাহলে বুঝতে হবে, শরীর যা প্রয়োজন, তা পাচ্ছে না। সাধারণত খাদ্যাভ্যাস বা দৈনন্দিন রুটিনে সামান্য পরিবর্তন আনলেই রাতের ক্ষুধার সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। তবে কখনো কখনো এটি কোনো শারীরিক সমস্যার লক্ষণও হতে পারে, যার জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন।
রাতে ক্ষুধা লাগে কেন
ঘুমের মধ্যেও আপনার শরীরে ক্যালরি কমতে থাকে। কোনো বিশেষ শারীরিক সমস্যা না থাকলে রাতে আপনার পেটে ক্ষুধার কষ্ট হওয়ার কথা নয়। রাতে বা সকালে প্রচণ্ড ক্ষুধা নিয়ে ঘুম ভাঙার অনেক কারণ থাকতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটি জীবনযাপনের ধরনের সঙ্গে জড়িত। তবে ওষুধ ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও দায়ী হতে পারে।
কেন এই সমস্যা হয়
ঘুমানোর আগে বেশি খাওয়া
রাতে চিনিজাতীয় খাবার বেশি খেলে রক্তে শর্করা দ্রুত বেড়ে যায়। এরপর ইনসুলিন নিঃসরণ হয়ে রক্তে শর্করা কমতে থাকে। এই ওঠানামার ফলে একসময় প্রচণ্ড ক্ষুধা লাগে। ঘুমানোর আগে ভারী খাবার না খেয়ে হালকা প্রোটিন বা ফাইবারযুক্ত কোনো খাবার খাওয়া ভালো।
পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া
ঘুম কম হলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়। পাশাপাশি ক্ষুধা বাড়ায় এমন হরমোন বেড়ে যায়। প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানো দরকার।
পিএমএস
অনেক নারীর মাসিক শুরুর আগে খাবারের প্রতি আকর্ষণ বাড়ে। ক্লান্তি, ঘুমের সমস্যা এবং শরীর ফুলে থাকার সঙ্গে রাতের ক্ষুধাও দেখা দিতে পারে।
ওষুধের প্রভাব
স্টেরয়েড, কয়েক ধরনের অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট, সাইপ্রোহেপ্টাডিন জাতীয় অ্যান্টিহিস্টামিন, কয়েক ধরনের ডায়াবেটিসের ওষুধ, অ্যান্টিসাইকোটিক বা খিঁচুনির ওষুধ ক্ষুধা বাড়াতে পারে। ডোজ কমানো বা সময় বদলানো নিজেরা সিদ্ধান্ত নেবেন না। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
তৃষ্ণাকে ক্ষুধা মনে করা
অনেক সময় শরীর পানিশূন্য হলে আমরা ক্ষুধা ভাবি। তাই রাতের ক্ষুধা লাগলে প্রথমেই পানি পান করুন।
মানসিক চাপ
মানসিক চাপ বাড়লে কর্টিসল হরমোন বেড়ে যায়, যা মিষ্টি বা অতিরিক্ত খাবারের প্রতি আকর্ষণ তৈরি করে।
অতিরিক্ত ব্যায়াম
রাতে বেশি ব্যায়াম করলে রক্তে শর্করা দ্রুত কমে যেতে পারে, ফলে রাতে ক্ষুধা লাগে।
নাইট ইটিং সিনড্রোম
এটি একটি খাদ্যজনিত সমস্যা। রাতে ঘন ঘন খেতে ইচ্ছে করা বা খাওয়ার জন্য ঘুম ভেঙে যাওয়াই মূল লক্ষণ। চিকিৎসায় সিবিটি, এসএসআরআই ও মেলাটোনিন ব্যবহৃত হয়।
গর্ভাবস্থা
গর্ভাবস্থায় ক্ষুধা বাড়া স্বাভাবিক। তবে এটি যদি খুব বেশি হয় বা সঙ্গে অন্য উপসর্গ থাকে, তাহলে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস পরীক্ষা করানো দরকার।
অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা
মোটা হওয়া, ডায়াবেটিস বা থাইরয়েড অতিরিক্ত সক্রিয়তা ক্ষুধা বাড়াতে পারে। এই অবস্থায় রক্তে শর্করা ঠিকমতো কাজ না করায় শরীর শক্তি পায় না, ফলে ক্ষুধা বাড়ে।
রাতের ক্ষুধা কমানোর সহজ উপায়
* রাতের খাবার খুব ভারী খাবেন না।
* ঘুমানোর আগে খুব ক্ষুধা থাকলে প্রোটিনসমৃদ্ধ ছোট্ট খাবার খান।
* পানি বেশি পান করুন।
* নিয়মিত ঘুমের রুটিন গড়ে তুলুন।
* মানসিক চাপে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম বা হালকা যোগব্যায়াম করতে পারেন।
* ওজন বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে কমানোর চেষ্টা করুন। মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ ওজন কমলেও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুধা কমে।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন
* জীবনযাত্রা বদলেও যদি রাতের ক্ষুধা না কমে।
* ডায়াবেটিস বা থাইরয়েড সমস্যার উপসর্গ থাকলে।
* যেসব ওষুধ আপনি খাচ্ছেন, সেগুলোর কারণে ক্ষুধা বাড়ছে বলে মনে হলে।
* পিএমএস বা ঘুমের সমস্যা থেকে অবস্থা খারাপ হচ্ছে মনে হলে
সূত্র: হেলথলাইন

এই ফিউশন ফ্যাশনের যুগে কোনটা কী, তা ভেবে কখনো কখনো কনফিউশন তৈরি হয়। তবে এ বিষয়ে কোনো কনফিউশন নেই যে নারীরা শাড়ি পছন্দ করে। আর বিষয়টি যদি হয় শাড়িতে ফিউশনের, তাহলে তো কথাই নেই। শাড়ির জগতে এবার নতুন মাত্রা যোগ করেছে ডেনিম শাড়ি।
১৩ জানুয়ারি ২০২৫
বিমান সংস্থাগুলোর লাগেজ নীতিতে দিন দিন আরও কড়াকড়ি বাড়ছে। আর এই কারণেই হালকা ভ্রমণের চল বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। যাত্রীরা এখন ছোট, কেবিন-সাইজের সুটকেস বেছে নিচ্ছেন ভ্রমণের সময়। তবে ভ্রমণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুটকেস পুরোপুরি এড়িয়ে একটি ব্যাকপ্যাক নিয়েই বেরিয়ে পড়া বুদ্ধিমানের কাজ।
১৩ ঘণ্টা আগে
পুরো পৃথিবীর প্রায় পুরো জল ও স্থলভাগ কোনো না কোনো দেশের দখলে। কিন্তু কিছু জায়গা এখনো আছে, যেগুলো কোনো দেশের দখলে নেই। আন্তর্জাতিক আইনে এটিকে বলা হয় ‘টেরা নুলিউস’ বা নির্জন ভূমি। যদিও এ ধরনের জায়গা খুবই বিরল। এর একটি উদাহরণ হলো বির তাওয়িল। এটি মিসর ও সুদানের সীমান্তে মরুভূমির এক নির্জন অঞ্চল। দুটি...
১৮ ঘণ্টা আগে
মধু মূলত একটি উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন ভেষজ তরল। এটি চিনির চেয়ে অনেক মিষ্টি। মধুতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ, যা যকৃতে গ্রাইকোজেনের রিজার্ভ গড়ে তোলে। রাতে ঘুমানোর আগে মধু খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ভালো থাকে। এটি মানবদেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বলে নিয়মিত মধু পানে রোগ-বালাই কমে। ঠান্ডায়...
১৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বিমান সংস্থাগুলোর লাগেজ নীতিতে দিন দিন আরও কড়াকড়ি বাড়ছে। আর এই কারণেই হালকা ভ্রমণের চল বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। যাত্রীরা এখন ছোট, কেবিন-সাইজের সুটকেস বেছে নিচ্ছেন ভ্রমণের সময়। তবে ভ্রমণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুটকেস পুরোপুরি এড়িয়ে একটি ব্যাকপ্যাক নিয়েই বেরিয়ে পড়া বুদ্ধিমানের কাজ।
প্রখ্যাত ভ্রমণ বিশেষজ্ঞ কার্ল লাউডনজোর দিয়ে বলেন যে সুটকেসের পরিবর্তে ব্যাকপ্যাক ব্যবহার করা অনেক বেশি ফলপ্রসূ। আর এটি তিনি নিজের বিশেষজ্ঞ জ্ঞান ও ভ্রমণ অভিজ্ঞতা থেকেই বলছে। কারণ তিনি কাজের সূত্রে মাসে অন্তত দুবার বিমানে ভ্রমণ করেন। সব মিলিয়ে, যদি আপনি হালকা, ঝামেলামুক্ত এবং দ্রুত ভ্রমণ করতে চান, তাহলে সুটকেস ছেড়ে একটি মানসম্মত ভ্রমণ ব্যাকপ্যাক বেছে নেওয়াই হবে আজকের দিনে বুদ্ধিমানের কাজ।
সুটকেস কেন নয়, বিশেষজ্ঞরা কি বলছেন
কার্ল লাউডনের মতে, চাকাযুক্ত ট্রলি সুটকেস বা হুইলি ট্রলি কেস প্রথম দিকে বেশ ভালো সার্ভিস দেবে বলে মনে হতে পারে। তবে ভ্রমণের সময় শহরের মধ্যে চলাফেরার সময়ও এগুলো বিরাট ঝামেলার কারণ হইয়ে উঠে। ভিড়ের মধ্যে বা অসমান রাস্তায় সুটকেস টেনে নিয়ে যাওয়া বেশ কষ্টকর। অন্যদিকে, একটি ব্যাকপ্যাকেও আপনি যথেষ্ট জিনিসপত্র গুছিয়ে নিতে পারবেন। আর এটি বহন করা অনেক বেশি সহজ ও ব্যবহারিক। এ ক্ষেত্রে কার্ল লাউডন সর্বোচ্চ বৈধ বহনযোগ্য ব্যাকপ্যাকগুলো খুঁজে দেখার পরামর্শ দেন।
ব্যাকপ্যাক ব্যবহারের ৫টি সুবিধা
বিশেষজ্ঞদের মতে, এয়ারপোর্টে এবং ভ্রমণে সুটকেসের চেয়ে ব্যাকপ্যাক অনেক বেশি সুবিধাজনক। চলুন জেনে নিই সেই কারণগুলো:
গুছিয়ে রাখা সহজ
আজকাল ফ্লাইটে আসন পূর্ণ থাকে। তাই কেবিনের ওপরের বিনে জায়গার জন্য প্রায়ই কাড়াকাড়ির মতন অবস্থার সৃষ্টি হয়। হার্ড-সাইডেড রোলার সুটকেসগুলো বেশি জায়গা নেয়। কিন্তু একটি ব্যাকপ্যাক সহজেই লাগেজগুলোর ফাঁকে বা সামনের সিটের নিচে চেপে গুছিয়ে রাখা যায়।

চলাফেরা করা সহজ
ব্যাকপ্যাক কাঁধে নিলে তা আপনার শরীরের সঙ্গে লেগে থাকে। এর ফলে আপনি সুটকেস টেনে নিয়ে যাওয়ার চেয়ে কম জায়গা ব্যবহার করেন। এটি আশপাশে থাকা অন্য যাত্রীদেরও বাধা দেয় না। জ্যাম হওয়া চাকা বা হাতল নিয়ে চিন্তাও করতে হয় না।
হাত থাকে সম্পূর্ণ মুক্ত
এটি ব্যাকপ্যাক ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুবিধা। কাঁধে ব্যাগ থাকলে আপনার দু’টি হাতই মুক্ত থাকে। ফলে বিমানবন্দরে কফি বা নাশতা নেওয়া, টিকিট হাতে রাখা, বা স্মার্টফোন ব্যবহার করা অনেক সহজ হয়ে যায়।
বহুমুখী ব্যবহার
ভ্রমণের জন্য ব্যবহৃত ব্যাকপ্যাকগুলো প্রায়ই অতিরিক্ত অ্যাটাচমেন্ট পয়েন্ট বা পকেটসহ তৈরি হয়। এই বিষয়টি এর বহন ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, গন্তব্যে পৌঁছানোর পর এই ব্যাকপ্যাকটি আপনি দৈনন্দিন কাজ বা অ্যাডভেঞ্চারেও ব্যবহার করতে পারবেন। যেমন: হাইকিং বা শপিং করার সময় সুটকেস ব্যবহার করা যায় না।

শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি
কিছুটা ভারী ব্যাকপ্যাক বহন করা এক ধরনের ব্যায়ামের মতো। এটি হাঁটতে গিয়ে সামরিক কায়দায় ভার বহনের মতো না হলেও, সাধারণ হাঁটার চেয়ে ২ থেকে ৩ গুণ বেশি ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করতে পারে। নিয়মিত ভ্রমণের কারণে ওয়ার্কআউটের সময় কম পেলে, এই পদ্ধতিতে শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখা যায়।
ভ্রমণের জন্য কিছু জরুরি টিপস
কার্ল লাউডন ব্যাকপ্যাক ব্যবহারের পাশাপাশি আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন:
অতিরিক্ত হালকা পোশাকঃ গন্তব্যে পৌঁছে তাৎক্ষণিক পোশাক পরিবর্তনের জন্য একটি অতিরিক্ত টি-শার্ট বা হালকা কোন কাপড় ব্যাগে রাখুন।
ক্যাবল গুছিয়ে নিনঃ ফ্লাই করার আগেই আপনার সমস্ত চার্জিং ক্যাবল এবং সরঞ্জাম গুছিয়ে নিন।
ল্যাপটপই পাওয়ার ব্যাংকঃ মনে রাখবেন, আপনার ল্যাপটপটি একটি বিশাল পাওয়ার ব্যাংক হিসেবে কাজ করতে পারে। তাই আলাদা পাওয়ার ব্যাংক সব সময় প্রয়োজন নাও হতে পারে।
নেমে হাঁটাঃ দীর্ঘ ফ্লাইট বা ভ্রমণের পর ক্লান্তি ও জেট-ল্যাগ কাটাতে কিছুক্ষণ হেঁটে নিন। এটি গভীর শিরায় রক্ত জমাট বাঁধা ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করতে পারে।
সূত্রঃ ডেইলি মেইল, গিয়ার পেট্রল, ওয়ার্ল্ড অব ফ্রিল্যান্সের

বিমান সংস্থাগুলোর লাগেজ নীতিতে দিন দিন আরও কড়াকড়ি বাড়ছে। আর এই কারণেই হালকা ভ্রমণের চল বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। যাত্রীরা এখন ছোট, কেবিন-সাইজের সুটকেস বেছে নিচ্ছেন ভ্রমণের সময়। তবে ভ্রমণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুটকেস পুরোপুরি এড়িয়ে একটি ব্যাকপ্যাক নিয়েই বেরিয়ে পড়া বুদ্ধিমানের কাজ।
প্রখ্যাত ভ্রমণ বিশেষজ্ঞ কার্ল লাউডনজোর দিয়ে বলেন যে সুটকেসের পরিবর্তে ব্যাকপ্যাক ব্যবহার করা অনেক বেশি ফলপ্রসূ। আর এটি তিনি নিজের বিশেষজ্ঞ জ্ঞান ও ভ্রমণ অভিজ্ঞতা থেকেই বলছে। কারণ তিনি কাজের সূত্রে মাসে অন্তত দুবার বিমানে ভ্রমণ করেন। সব মিলিয়ে, যদি আপনি হালকা, ঝামেলামুক্ত এবং দ্রুত ভ্রমণ করতে চান, তাহলে সুটকেস ছেড়ে একটি মানসম্মত ভ্রমণ ব্যাকপ্যাক বেছে নেওয়াই হবে আজকের দিনে বুদ্ধিমানের কাজ।
সুটকেস কেন নয়, বিশেষজ্ঞরা কি বলছেন
কার্ল লাউডনের মতে, চাকাযুক্ত ট্রলি সুটকেস বা হুইলি ট্রলি কেস প্রথম দিকে বেশ ভালো সার্ভিস দেবে বলে মনে হতে পারে। তবে ভ্রমণের সময় শহরের মধ্যে চলাফেরার সময়ও এগুলো বিরাট ঝামেলার কারণ হইয়ে উঠে। ভিড়ের মধ্যে বা অসমান রাস্তায় সুটকেস টেনে নিয়ে যাওয়া বেশ কষ্টকর। অন্যদিকে, একটি ব্যাকপ্যাকেও আপনি যথেষ্ট জিনিসপত্র গুছিয়ে নিতে পারবেন। আর এটি বহন করা অনেক বেশি সহজ ও ব্যবহারিক। এ ক্ষেত্রে কার্ল লাউডন সর্বোচ্চ বৈধ বহনযোগ্য ব্যাকপ্যাকগুলো খুঁজে দেখার পরামর্শ দেন।
ব্যাকপ্যাক ব্যবহারের ৫টি সুবিধা
বিশেষজ্ঞদের মতে, এয়ারপোর্টে এবং ভ্রমণে সুটকেসের চেয়ে ব্যাকপ্যাক অনেক বেশি সুবিধাজনক। চলুন জেনে নিই সেই কারণগুলো:
গুছিয়ে রাখা সহজ
আজকাল ফ্লাইটে আসন পূর্ণ থাকে। তাই কেবিনের ওপরের বিনে জায়গার জন্য প্রায়ই কাড়াকাড়ির মতন অবস্থার সৃষ্টি হয়। হার্ড-সাইডেড রোলার সুটকেসগুলো বেশি জায়গা নেয়। কিন্তু একটি ব্যাকপ্যাক সহজেই লাগেজগুলোর ফাঁকে বা সামনের সিটের নিচে চেপে গুছিয়ে রাখা যায়।

চলাফেরা করা সহজ
ব্যাকপ্যাক কাঁধে নিলে তা আপনার শরীরের সঙ্গে লেগে থাকে। এর ফলে আপনি সুটকেস টেনে নিয়ে যাওয়ার চেয়ে কম জায়গা ব্যবহার করেন। এটি আশপাশে থাকা অন্য যাত্রীদেরও বাধা দেয় না। জ্যাম হওয়া চাকা বা হাতল নিয়ে চিন্তাও করতে হয় না।
হাত থাকে সম্পূর্ণ মুক্ত
এটি ব্যাকপ্যাক ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুবিধা। কাঁধে ব্যাগ থাকলে আপনার দু’টি হাতই মুক্ত থাকে। ফলে বিমানবন্দরে কফি বা নাশতা নেওয়া, টিকিট হাতে রাখা, বা স্মার্টফোন ব্যবহার করা অনেক সহজ হয়ে যায়।
বহুমুখী ব্যবহার
ভ্রমণের জন্য ব্যবহৃত ব্যাকপ্যাকগুলো প্রায়ই অতিরিক্ত অ্যাটাচমেন্ট পয়েন্ট বা পকেটসহ তৈরি হয়। এই বিষয়টি এর বহন ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, গন্তব্যে পৌঁছানোর পর এই ব্যাকপ্যাকটি আপনি দৈনন্দিন কাজ বা অ্যাডভেঞ্চারেও ব্যবহার করতে পারবেন। যেমন: হাইকিং বা শপিং করার সময় সুটকেস ব্যবহার করা যায় না।

শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি
কিছুটা ভারী ব্যাকপ্যাক বহন করা এক ধরনের ব্যায়ামের মতো। এটি হাঁটতে গিয়ে সামরিক কায়দায় ভার বহনের মতো না হলেও, সাধারণ হাঁটার চেয়ে ২ থেকে ৩ গুণ বেশি ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করতে পারে। নিয়মিত ভ্রমণের কারণে ওয়ার্কআউটের সময় কম পেলে, এই পদ্ধতিতে শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখা যায়।
ভ্রমণের জন্য কিছু জরুরি টিপস
কার্ল লাউডন ব্যাকপ্যাক ব্যবহারের পাশাপাশি আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন:
অতিরিক্ত হালকা পোশাকঃ গন্তব্যে পৌঁছে তাৎক্ষণিক পোশাক পরিবর্তনের জন্য একটি অতিরিক্ত টি-শার্ট বা হালকা কোন কাপড় ব্যাগে রাখুন।
ক্যাবল গুছিয়ে নিনঃ ফ্লাই করার আগেই আপনার সমস্ত চার্জিং ক্যাবল এবং সরঞ্জাম গুছিয়ে নিন।
ল্যাপটপই পাওয়ার ব্যাংকঃ মনে রাখবেন, আপনার ল্যাপটপটি একটি বিশাল পাওয়ার ব্যাংক হিসেবে কাজ করতে পারে। তাই আলাদা পাওয়ার ব্যাংক সব সময় প্রয়োজন নাও হতে পারে।
নেমে হাঁটাঃ দীর্ঘ ফ্লাইট বা ভ্রমণের পর ক্লান্তি ও জেট-ল্যাগ কাটাতে কিছুক্ষণ হেঁটে নিন। এটি গভীর শিরায় রক্ত জমাট বাঁধা ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করতে পারে।
সূত্রঃ ডেইলি মেইল, গিয়ার পেট্রল, ওয়ার্ল্ড অব ফ্রিল্যান্সের

এই ফিউশন ফ্যাশনের যুগে কোনটা কী, তা ভেবে কখনো কখনো কনফিউশন তৈরি হয়। তবে এ বিষয়ে কোনো কনফিউশন নেই যে নারীরা শাড়ি পছন্দ করে। আর বিষয়টি যদি হয় শাড়িতে ফিউশনের, তাহলে তো কথাই নেই। শাড়ির জগতে এবার নতুন মাত্রা যোগ করেছে ডেনিম শাড়ি।
১৩ জানুয়ারি ২০২৫
ক্ষুধা আমাদের শরীরের স্বাভাবিক প্রবণতা। সাধারণত আমাদের শরীর জানে, কখন খাবার খেতে হবে, কখন ঘুমাতে হবে। বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রে সন্ধ্যায় ক্ষুধা ও খাবারের চাহিদা সবচেয়ে বেশি এবং রাতে ও সকালবেলায় তা সবচেয়ে কম থাকে।
১১ ঘণ্টা আগে
পুরো পৃথিবীর প্রায় পুরো জল ও স্থলভাগ কোনো না কোনো দেশের দখলে। কিন্তু কিছু জায়গা এখনো আছে, যেগুলো কোনো দেশের দখলে নেই। আন্তর্জাতিক আইনে এটিকে বলা হয় ‘টেরা নুলিউস’ বা নির্জন ভূমি। যদিও এ ধরনের জায়গা খুবই বিরল। এর একটি উদাহরণ হলো বির তাওয়িল। এটি মিসর ও সুদানের সীমান্তে মরুভূমির এক নির্জন অঞ্চল। দুটি...
১৮ ঘণ্টা আগে
মধু মূলত একটি উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন ভেষজ তরল। এটি চিনির চেয়ে অনেক মিষ্টি। মধুতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ, যা যকৃতে গ্রাইকোজেনের রিজার্ভ গড়ে তোলে। রাতে ঘুমানোর আগে মধু খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ভালো থাকে। এটি মানবদেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বলে নিয়মিত মধু পানে রোগ-বালাই কমে। ঠান্ডায়...
১৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

পুরো পৃথিবীর প্রায় পুরো জল ও স্থলভাগ কোনো না কোনো দেশের দখলে। কিন্তু কিছু জায়গা এখনো আছে, যেগুলো কোনো দেশের দখলে নেই। আন্তর্জাতিক আইনে এটিকে বলা হয় ‘টেরা নুলিউস’ বা নির্জন ভূমি। যদিও এ ধরনের জায়গা খুবই বিরল। এর একটি উদাহরণ হলো বির তাওয়িল। এটি মিসর ও সুদানের সীমান্তে মরুভূমির এক নির্জন অঞ্চল। দুটি দেশই জায়গাটি নিজের বলে দাবি করে।
কয়েকজন যুবক স্বপ্ন দেখেছেন এ রকম এক অঞ্চলে ছোট রাষ্ট্র বা মাইক্রোন্যাশন গড়ে তুলতে। ২০১৪ সালে আমেরিকান জেরেমাইয়া হিটন এই অঞ্চলে উত্তর সুদানের হয়ে রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তাঁর মূল লক্ষ্য ছিল কন্যাকে বাস্তব জীবনের রাজকুমারী বানানো।
তাঁর মতো অন্য এক যুবক, ড্যানিয়েল জ্যাকসনও এমনই এক স্বপ্ন দেখেন। তাঁর লক্ষ্য নতুন একটি রাষ্ট্র নিজের মতো করে পরিচালনা করা।
ইউরোপেও মাইক্রোন্যাশন
ক্রোয়েশিয়া-সার্বিয়ার দানিউব নদীর তীরে দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত বিবাদ চলছে। ১৯৪৭ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শুরু হওয়া এ দ্বন্দ্ব নব্বইয়ের দশকে আবার উত্তপ্ত হয়। তখন ক্রোয়েশিয়া ও সার্বিয়া প্রাচীন সীমান্ত পুনঃস্থাপনের চেষ্টা করে। সার্বিয়া দাবি করে, সীমান্ত নদীর মাঝ দিয়ে যাবে। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়া ১৯ শতকের মানচিত্রের ভিত্তিতে সীমান্ত চিহ্নিত করে। ফলে নদীর পশ্চিম তীরে কিছু ছোট এলাকা নোম্যান্স ল্যান্ড হিসেবে রয়ে গেছে।
এ ধরনের এক অঞ্চলে ২০১৫ সালে চেক রাজনীতিবিদ ভিট জেদলিচকা ৭ বর্গকিলোমিটার জমি দখল করে ফ্রি রিপাবলিক অব লিবারল্যান্ড ঘোষণা করেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল, একটি স্বাধীন, লিবার্টেরিয়ান মাইক্রোস্টেট গড়ে তোলা।
ড্যানিয়েল জ্যাকসন ও ভের্ডিস

এবারের গল্পের কেন্দ্রবিন্দু ২০ বছর বয়সী ব্রিটিশ-অস্ট্রেলিয়ান ড্যানিয়েল জ্যাকসন। জ্যাকসন দানিউব নদীর পশ্চিম তীরের ১২৪ একর জমি দখল করে ফ্রি রিপাবলিক অব ভের্ডিস ঘোষণা করেন। ফলে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী ‘রাষ্ট্রপ্রধান’ হিসেবে পরিচিতি পান। ভের্ডিসের ভূখণ্ড বলতে মূলত বন ও নদীর তীরের ছোট ছোট এলাকা। এটি ভ্যাটিকান সিটির থেকে সামান্য বড়। জ্যাকসন দাবি করেন, তাঁর মাইক্রো স্টেটে ৪০০ নাগরিক এবং ৯০০ অনলাইন ‘ই-নাগরিক’ আছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য শুধু দেশের সীমানা টানা নয়। একে নিরপেক্ষ ও মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, যেখানে বিশ্বনেতারা শান্তির জন্য আলোচনায় বসতে পারবেন।’

সরকার ও সরকারি কাঠামো
ভের্ডিসে সরকার গঠন করা হয়েছে। জ্যাকসন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে মন্ত্রী নিয়োগ এবং দূতাবাসও স্থাপন করা হয়েছে। তাঁরা নিজেদের পতাকা, রাষ্ট্রীয় সিল, পাসপোর্ট এবং মৌলিক আইনও তৈরি করেছেন। জ্যাকসনের দল কয়েক বছর ধরে নিজেদের দেশটিকে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাঁরা স্থানীয় নথিপত্র ও সীমান্তের ইতিহাস নিয়ে গবেষণাও করেছেন। তাঁদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই এলাকা দীর্ঘদিন ধরে অরক্ষিত এবং কোনো দেশের মালিকানায় ছিল না।
প্রথম চ্যালেঞ্জ
২০২৩ সালের অক্টোবরে ভের্ডিসে পতাকা উত্তোলনের একদিন পর, ক্রোয়েশিয়ার পুলিশ এসে জ্যাকসন ও তাঁর সমর্থকদের বিতাড়িত করে। ক্রোয়েশিয়া জানিয়েছে, এটি আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিহীন কাজ। যদিও অঞ্চলটি সীমান্ত বিবাদের মধ্যে ক্রোয়েশিয়া ও সার্বিয়ার মধ্যে নোম্যান্স ল্যান্ড, তবুও তৃতীয় পক্ষ এটি দখল করতে পারবে না। জ্যাকসন বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য বড় ধাক্কা ছিল; কিন্তু আমরা হাল ছাড়িনি।’
নির্বাসনেও স্বপ্ন চালু
জ্যাকসন এখন যুক্তরাজ্য থেকে ভের্ডিস চালাচ্ছেন। নদীর পানি বেশি থাকলে তাঁরা আবারও ভের্ডিসের পতাকা তুলে দেন। ভের্ডিস মানবিক কার্যক্রমও চালাচ্ছে। ২০২৩ সালে তাঁরা ভের্ডিস রেডক্রসের মাধ্যমে ইউক্রেনে সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন। যদিও এটি আন্তর্জাতিক রেডক্রসের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। জ্যাকসন আশা করেন, একদিন ভের্ডিসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলবে এবং ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
ইতিহাসের গুরুত্ব
বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভের্ডিসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া কঠিন। তবে তাঁরা এটিকে যুবকদের জন্য রাজনৈতিক শিক্ষার এক মঞ্চ হিসেবে দেখছেন—কীভাবে যুবসমাজ নতুনভাবে রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনায় আগ্রহী হতে পারে।
ড্যানিয়েল জ্যাকসন ও তাঁর দল প্রমাণ করেছেন, স্বপ্ন দেখতে হবে, পাশাপাশি চেষ্টাও চালিয়ে যেতে হবে, যদিও বাস্তবতা অনেক কঠিন।
সূত্র: সিএনএন

পুরো পৃথিবীর প্রায় পুরো জল ও স্থলভাগ কোনো না কোনো দেশের দখলে। কিন্তু কিছু জায়গা এখনো আছে, যেগুলো কোনো দেশের দখলে নেই। আন্তর্জাতিক আইনে এটিকে বলা হয় ‘টেরা নুলিউস’ বা নির্জন ভূমি। যদিও এ ধরনের জায়গা খুবই বিরল। এর একটি উদাহরণ হলো বির তাওয়িল। এটি মিসর ও সুদানের সীমান্তে মরুভূমির এক নির্জন অঞ্চল। দুটি দেশই জায়গাটি নিজের বলে দাবি করে।
কয়েকজন যুবক স্বপ্ন দেখেছেন এ রকম এক অঞ্চলে ছোট রাষ্ট্র বা মাইক্রোন্যাশন গড়ে তুলতে। ২০১৪ সালে আমেরিকান জেরেমাইয়া হিটন এই অঞ্চলে উত্তর সুদানের হয়ে রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তাঁর মূল লক্ষ্য ছিল কন্যাকে বাস্তব জীবনের রাজকুমারী বানানো।
তাঁর মতো অন্য এক যুবক, ড্যানিয়েল জ্যাকসনও এমনই এক স্বপ্ন দেখেন। তাঁর লক্ষ্য নতুন একটি রাষ্ট্র নিজের মতো করে পরিচালনা করা।
ইউরোপেও মাইক্রোন্যাশন
ক্রোয়েশিয়া-সার্বিয়ার দানিউব নদীর তীরে দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত বিবাদ চলছে। ১৯৪৭ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শুরু হওয়া এ দ্বন্দ্ব নব্বইয়ের দশকে আবার উত্তপ্ত হয়। তখন ক্রোয়েশিয়া ও সার্বিয়া প্রাচীন সীমান্ত পুনঃস্থাপনের চেষ্টা করে। সার্বিয়া দাবি করে, সীমান্ত নদীর মাঝ দিয়ে যাবে। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়া ১৯ শতকের মানচিত্রের ভিত্তিতে সীমান্ত চিহ্নিত করে। ফলে নদীর পশ্চিম তীরে কিছু ছোট এলাকা নোম্যান্স ল্যান্ড হিসেবে রয়ে গেছে।
এ ধরনের এক অঞ্চলে ২০১৫ সালে চেক রাজনীতিবিদ ভিট জেদলিচকা ৭ বর্গকিলোমিটার জমি দখল করে ফ্রি রিপাবলিক অব লিবারল্যান্ড ঘোষণা করেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল, একটি স্বাধীন, লিবার্টেরিয়ান মাইক্রোস্টেট গড়ে তোলা।
ড্যানিয়েল জ্যাকসন ও ভের্ডিস

এবারের গল্পের কেন্দ্রবিন্দু ২০ বছর বয়সী ব্রিটিশ-অস্ট্রেলিয়ান ড্যানিয়েল জ্যাকসন। জ্যাকসন দানিউব নদীর পশ্চিম তীরের ১২৪ একর জমি দখল করে ফ্রি রিপাবলিক অব ভের্ডিস ঘোষণা করেন। ফলে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী ‘রাষ্ট্রপ্রধান’ হিসেবে পরিচিতি পান। ভের্ডিসের ভূখণ্ড বলতে মূলত বন ও নদীর তীরের ছোট ছোট এলাকা। এটি ভ্যাটিকান সিটির থেকে সামান্য বড়। জ্যাকসন দাবি করেন, তাঁর মাইক্রো স্টেটে ৪০০ নাগরিক এবং ৯০০ অনলাইন ‘ই-নাগরিক’ আছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য শুধু দেশের সীমানা টানা নয়। একে নিরপেক্ষ ও মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, যেখানে বিশ্বনেতারা শান্তির জন্য আলোচনায় বসতে পারবেন।’

সরকার ও সরকারি কাঠামো
ভের্ডিসে সরকার গঠন করা হয়েছে। জ্যাকসন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে মন্ত্রী নিয়োগ এবং দূতাবাসও স্থাপন করা হয়েছে। তাঁরা নিজেদের পতাকা, রাষ্ট্রীয় সিল, পাসপোর্ট এবং মৌলিক আইনও তৈরি করেছেন। জ্যাকসনের দল কয়েক বছর ধরে নিজেদের দেশটিকে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাঁরা স্থানীয় নথিপত্র ও সীমান্তের ইতিহাস নিয়ে গবেষণাও করেছেন। তাঁদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই এলাকা দীর্ঘদিন ধরে অরক্ষিত এবং কোনো দেশের মালিকানায় ছিল না।
প্রথম চ্যালেঞ্জ
২০২৩ সালের অক্টোবরে ভের্ডিসে পতাকা উত্তোলনের একদিন পর, ক্রোয়েশিয়ার পুলিশ এসে জ্যাকসন ও তাঁর সমর্থকদের বিতাড়িত করে। ক্রোয়েশিয়া জানিয়েছে, এটি আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিহীন কাজ। যদিও অঞ্চলটি সীমান্ত বিবাদের মধ্যে ক্রোয়েশিয়া ও সার্বিয়ার মধ্যে নোম্যান্স ল্যান্ড, তবুও তৃতীয় পক্ষ এটি দখল করতে পারবে না। জ্যাকসন বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য বড় ধাক্কা ছিল; কিন্তু আমরা হাল ছাড়িনি।’
নির্বাসনেও স্বপ্ন চালু
জ্যাকসন এখন যুক্তরাজ্য থেকে ভের্ডিস চালাচ্ছেন। নদীর পানি বেশি থাকলে তাঁরা আবারও ভের্ডিসের পতাকা তুলে দেন। ভের্ডিস মানবিক কার্যক্রমও চালাচ্ছে। ২০২৩ সালে তাঁরা ভের্ডিস রেডক্রসের মাধ্যমে ইউক্রেনে সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন। যদিও এটি আন্তর্জাতিক রেডক্রসের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। জ্যাকসন আশা করেন, একদিন ভের্ডিসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলবে এবং ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
ইতিহাসের গুরুত্ব
বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভের্ডিসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া কঠিন। তবে তাঁরা এটিকে যুবকদের জন্য রাজনৈতিক শিক্ষার এক মঞ্চ হিসেবে দেখছেন—কীভাবে যুবসমাজ নতুনভাবে রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনায় আগ্রহী হতে পারে।
ড্যানিয়েল জ্যাকসন ও তাঁর দল প্রমাণ করেছেন, স্বপ্ন দেখতে হবে, পাশাপাশি চেষ্টাও চালিয়ে যেতে হবে, যদিও বাস্তবতা অনেক কঠিন।
সূত্র: সিএনএন

এই ফিউশন ফ্যাশনের যুগে কোনটা কী, তা ভেবে কখনো কখনো কনফিউশন তৈরি হয়। তবে এ বিষয়ে কোনো কনফিউশন নেই যে নারীরা শাড়ি পছন্দ করে। আর বিষয়টি যদি হয় শাড়িতে ফিউশনের, তাহলে তো কথাই নেই। শাড়ির জগতে এবার নতুন মাত্রা যোগ করেছে ডেনিম শাড়ি।
১৩ জানুয়ারি ২০২৫
ক্ষুধা আমাদের শরীরের স্বাভাবিক প্রবণতা। সাধারণত আমাদের শরীর জানে, কখন খাবার খেতে হবে, কখন ঘুমাতে হবে। বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রে সন্ধ্যায় ক্ষুধা ও খাবারের চাহিদা সবচেয়ে বেশি এবং রাতে ও সকালবেলায় তা সবচেয়ে কম থাকে।
১১ ঘণ্টা আগে
বিমান সংস্থাগুলোর লাগেজ নীতিতে দিন দিন আরও কড়াকড়ি বাড়ছে। আর এই কারণেই হালকা ভ্রমণের চল বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। যাত্রীরা এখন ছোট, কেবিন-সাইজের সুটকেস বেছে নিচ্ছেন ভ্রমণের সময়। তবে ভ্রমণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুটকেস পুরোপুরি এড়িয়ে একটি ব্যাকপ্যাক নিয়েই বেরিয়ে পড়া বুদ্ধিমানের কাজ।
১৩ ঘণ্টা আগে
মধু মূলত একটি উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন ভেষজ তরল। এটি চিনির চেয়ে অনেক মিষ্টি। মধুতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ, যা যকৃতে গ্রাইকোজেনের রিজার্ভ গড়ে তোলে। রাতে ঘুমানোর আগে মধু খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ভালো থাকে। এটি মানবদেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বলে নিয়মিত মধু পানে রোগ-বালাই কমে। ঠান্ডায়...
১৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

মধু মূলত একটি উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন ভেষজ তরল। এটি চিনির চেয়ে অনেক মিষ্টি। মধুতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ, যা যকৃতে গ্রাইকোজেনের রিজার্ভ গড়ে তোলে। রাতে ঘুমানোর আগে মধু খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ভালো থাকে। এটি মানবদেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বলে নিয়মিত মধু পানে রোগ-বালাই কমে। ঠান্ডায় মধু ভালো কাজ করে। শীতকালে মধু খাওয়ার অভ্যাস আপনার সুস্থতার একটি বড় হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে। খালি পেটে মধু খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এ ছাড়া, এটি ওজন কমাতে, অ্যাসিডিটি ও আলসারের সমস্যা কমাতে এবং ফুসফুসের রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। তাই সকালে মধু খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। মধুতে কোনো চর্বি নেই। এতে সামান্য পরিমাণে প্রোটিন ও আঁশ থাকে।
মধুর স্বাস্থ্য উপকারিতা

মধু পুষ্টি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে ব্যাকটেরিয়াবিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। একটি সুষম খাদ্যের অংশ হিসেবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারে। মধু অনেক খাবারে একটি সাধারণ উপাদান এবং বিভিন্ন রূপে পাওয়া যায়। ১ টেবিল চামচ বা ২০ গ্রাম মধুতে থাকে,
ন্যূনতম প্রক্রিয়াজাত মধুতে ফ্ল্যাভোনয়েড ও ফেনোলিক অ্যাসিডের মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ জৈব-সক্রিয় উদ্ভিদ যৌগ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। হালকা রঙের মধুর চেয়ে গাঢ় রঙের মধুতে সাধারণত বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এগুলো শরীরের রিঅ্যাকটিভ অক্সিজেন নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে। এ ধরনের অক্সিজেন কোষে জমা হয়ে ক্ষতি করতে পারে। এই ক্ষতি অকালবার্ধক্য, টাইপ২ ডায়াবেটিস এবং হৃদ্রোগের মতো অবস্থার জন্ম দিতে পারে।
রক্তে শর্করার মাত্রার জন্য ভালো
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে মধু সাধারণ চিনির চেয়ে কিছুটা বেশি সুবিধা দিতে পারে। যদিও মধু অন্যান্য চিনির মতোই রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। তবে এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মেটাবলিক সিনড্রোম ও টাইপ২ ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। গবেষকেরা দেখেছেন, মধু অ্যাডিপোনেকটিন নামক একটি হরমোনের মাত্রা বাড়াতে পারে, যা প্রদাহ কমায় এবং রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ উন্নত করে। এমন প্রমাণও রয়েছে, প্রতিদিন মধু খাওয়া টাইপ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খালি পেটে রক্তে শর্করার মাত্রা ভালো রাখতে পারে। তবে, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরিশ্রুত চিনির চেয়ে মধু সামান্য ভালো হলেও, তাদের এটি পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত।
হৃদ্রোগের জন্য উপকারী
মধু হৃদ্রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করতে পারে। একটি পর্যালোচনা অনুসারে, মধু রক্তচাপ কমাতে, রক্তের চর্বির মাত্রা উন্নত করতে, হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করতে এবং স্বাস্থ্যকর কোষের মৃত্যু প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। এসব কারণে হৃদ্যন্ত্রের কার্যকারিতা ও স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ৪০ বছরের বেশি বয়সী ৪ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ নিয়ে করা একটি পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের পরিমিত পরিমাণে মধু খাওয়া উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া, কাঁচা মধুতে সাধারণত প্রোপোলিস থাকে। মৌমাছিরা গাছের রস বা আঠা-উৎপাদনকারী গাছ থেকে তৈরি করে এটি। প্রোপোলিস কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা উন্নত করতে পারে। তবে হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যের ওপর মধুর প্রভাব ভালোভাবে বোঝার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
শিশুদের কাশি কমাতে মধু
শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণজনিত সমস্যায় ভোগা শিশুদের জন্য কাশি একটি সাধারণ সমস্যা। এ সংক্রমণ শিশু ও মা-বাবার ঘুমের এবং জীবনযাত্রার মানকে প্রভাবিত করতে পারে। শিশুদের কাশি ও মধুর ওপর করা বেশ কয়েকটি গবেষণার একটি পর্যালোচনায় মনে করা হয়েছে, কাশির উপসর্গের জন্য ডাইফেনহাইড্রামিনের চেয়ে মধু বেশি কার্যকর। এটি কাশির স্থায়িত্ব কমাতে সাহায্য করতে পারে। উপরন্তু, কাশির ওষুধের মতো মধুর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে, এক বছরের কম বয়সী শিশুদের মধু খাওয়ানো উচিত নয়।

খাদ্যের সঙ্গে মধু মেশানো সহজ
মধু খাদ্যের সঙ্গে যোগ করা সহজ। এ থেকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের সামান্য বাড়তি সুবিধা পেতে, আপনি সাধারণত যেভাবে চিনি ব্যবহার করেন, সেভাবে এটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি দই, কফি বা চায়ে মিষ্টির উৎস হিসেবে ব্যবহার করা যায়। রান্না ও বেকিংয়েও ব্যবহার করতে পারেন মধু। মনে রাখতে হবে, মধু হলো একধরনের চিনি। তাই এটি গ্রহণ করলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে দীর্ঘ সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে পরিমাণে মধু খেলে ওজন বৃদ্ধি ও টাইপ২ ডায়াবেটিস বা হৃদ্রোগের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
সূত্র: হেলথ লাইন

মধু মূলত একটি উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন ভেষজ তরল। এটি চিনির চেয়ে অনেক মিষ্টি। মধুতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ, যা যকৃতে গ্রাইকোজেনের রিজার্ভ গড়ে তোলে। রাতে ঘুমানোর আগে মধু খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ভালো থাকে। এটি মানবদেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বলে নিয়মিত মধু পানে রোগ-বালাই কমে। ঠান্ডায় মধু ভালো কাজ করে। শীতকালে মধু খাওয়ার অভ্যাস আপনার সুস্থতার একটি বড় হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে। খালি পেটে মধু খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এ ছাড়া, এটি ওজন কমাতে, অ্যাসিডিটি ও আলসারের সমস্যা কমাতে এবং ফুসফুসের রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। তাই সকালে মধু খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। মধুতে কোনো চর্বি নেই। এতে সামান্য পরিমাণে প্রোটিন ও আঁশ থাকে।
মধুর স্বাস্থ্য উপকারিতা

মধু পুষ্টি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে ব্যাকটেরিয়াবিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। একটি সুষম খাদ্যের অংশ হিসেবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারে। মধু অনেক খাবারে একটি সাধারণ উপাদান এবং বিভিন্ন রূপে পাওয়া যায়। ১ টেবিল চামচ বা ২০ গ্রাম মধুতে থাকে,
ন্যূনতম প্রক্রিয়াজাত মধুতে ফ্ল্যাভোনয়েড ও ফেনোলিক অ্যাসিডের মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ জৈব-সক্রিয় উদ্ভিদ যৌগ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। হালকা রঙের মধুর চেয়ে গাঢ় রঙের মধুতে সাধারণত বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এগুলো শরীরের রিঅ্যাকটিভ অক্সিজেন নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে। এ ধরনের অক্সিজেন কোষে জমা হয়ে ক্ষতি করতে পারে। এই ক্ষতি অকালবার্ধক্য, টাইপ২ ডায়াবেটিস এবং হৃদ্রোগের মতো অবস্থার জন্ম দিতে পারে।
রক্তে শর্করার মাত্রার জন্য ভালো
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে মধু সাধারণ চিনির চেয়ে কিছুটা বেশি সুবিধা দিতে পারে। যদিও মধু অন্যান্য চিনির মতোই রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। তবে এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মেটাবলিক সিনড্রোম ও টাইপ২ ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। গবেষকেরা দেখেছেন, মধু অ্যাডিপোনেকটিন নামক একটি হরমোনের মাত্রা বাড়াতে পারে, যা প্রদাহ কমায় এবং রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ উন্নত করে। এমন প্রমাণও রয়েছে, প্রতিদিন মধু খাওয়া টাইপ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খালি পেটে রক্তে শর্করার মাত্রা ভালো রাখতে পারে। তবে, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরিশ্রুত চিনির চেয়ে মধু সামান্য ভালো হলেও, তাদের এটি পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত।
হৃদ্রোগের জন্য উপকারী
মধু হৃদ্রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করতে পারে। একটি পর্যালোচনা অনুসারে, মধু রক্তচাপ কমাতে, রক্তের চর্বির মাত্রা উন্নত করতে, হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করতে এবং স্বাস্থ্যকর কোষের মৃত্যু প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। এসব কারণে হৃদ্যন্ত্রের কার্যকারিতা ও স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ৪০ বছরের বেশি বয়সী ৪ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ নিয়ে করা একটি পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের পরিমিত পরিমাণে মধু খাওয়া উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া, কাঁচা মধুতে সাধারণত প্রোপোলিস থাকে। মৌমাছিরা গাছের রস বা আঠা-উৎপাদনকারী গাছ থেকে তৈরি করে এটি। প্রোপোলিস কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা উন্নত করতে পারে। তবে হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যের ওপর মধুর প্রভাব ভালোভাবে বোঝার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
শিশুদের কাশি কমাতে মধু
শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণজনিত সমস্যায় ভোগা শিশুদের জন্য কাশি একটি সাধারণ সমস্যা। এ সংক্রমণ শিশু ও মা-বাবার ঘুমের এবং জীবনযাত্রার মানকে প্রভাবিত করতে পারে। শিশুদের কাশি ও মধুর ওপর করা বেশ কয়েকটি গবেষণার একটি পর্যালোচনায় মনে করা হয়েছে, কাশির উপসর্গের জন্য ডাইফেনহাইড্রামিনের চেয়ে মধু বেশি কার্যকর। এটি কাশির স্থায়িত্ব কমাতে সাহায্য করতে পারে। উপরন্তু, কাশির ওষুধের মতো মধুর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে, এক বছরের কম বয়সী শিশুদের মধু খাওয়ানো উচিত নয়।

খাদ্যের সঙ্গে মধু মেশানো সহজ
মধু খাদ্যের সঙ্গে যোগ করা সহজ। এ থেকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের সামান্য বাড়তি সুবিধা পেতে, আপনি সাধারণত যেভাবে চিনি ব্যবহার করেন, সেভাবে এটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি দই, কফি বা চায়ে মিষ্টির উৎস হিসেবে ব্যবহার করা যায়। রান্না ও বেকিংয়েও ব্যবহার করতে পারেন মধু। মনে রাখতে হবে, মধু হলো একধরনের চিনি। তাই এটি গ্রহণ করলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে দীর্ঘ সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে পরিমাণে মধু খেলে ওজন বৃদ্ধি ও টাইপ২ ডায়াবেটিস বা হৃদ্রোগের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
সূত্র: হেলথ লাইন

এই ফিউশন ফ্যাশনের যুগে কোনটা কী, তা ভেবে কখনো কখনো কনফিউশন তৈরি হয়। তবে এ বিষয়ে কোনো কনফিউশন নেই যে নারীরা শাড়ি পছন্দ করে। আর বিষয়টি যদি হয় শাড়িতে ফিউশনের, তাহলে তো কথাই নেই। শাড়ির জগতে এবার নতুন মাত্রা যোগ করেছে ডেনিম শাড়ি।
১৩ জানুয়ারি ২০২৫
ক্ষুধা আমাদের শরীরের স্বাভাবিক প্রবণতা। সাধারণত আমাদের শরীর জানে, কখন খাবার খেতে হবে, কখন ঘুমাতে হবে। বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রে সন্ধ্যায় ক্ষুধা ও খাবারের চাহিদা সবচেয়ে বেশি এবং রাতে ও সকালবেলায় তা সবচেয়ে কম থাকে।
১১ ঘণ্টা আগে
বিমান সংস্থাগুলোর লাগেজ নীতিতে দিন দিন আরও কড়াকড়ি বাড়ছে। আর এই কারণেই হালকা ভ্রমণের চল বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। যাত্রীরা এখন ছোট, কেবিন-সাইজের সুটকেস বেছে নিচ্ছেন ভ্রমণের সময়। তবে ভ্রমণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুটকেস পুরোপুরি এড়িয়ে একটি ব্যাকপ্যাক নিয়েই বেরিয়ে পড়া বুদ্ধিমানের কাজ।
১৩ ঘণ্টা আগে
পুরো পৃথিবীর প্রায় পুরো জল ও স্থলভাগ কোনো না কোনো দেশের দখলে। কিন্তু কিছু জায়গা এখনো আছে, যেগুলো কোনো দেশের দখলে নেই। আন্তর্জাতিক আইনে এটিকে বলা হয় ‘টেরা নুলিউস’ বা নির্জন ভূমি। যদিও এ ধরনের জায়গা খুবই বিরল। এর একটি উদাহরণ হলো বির তাওয়িল। এটি মিসর ও সুদানের সীমান্তে মরুভূমির এক নির্জন অঞ্চল। দুটি...
১৮ ঘণ্টা আগে